Lives – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 04 Dec 2021 14:38:11 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Lives – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 এক রাতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন এই স্টেশন মাস্টার https://ekolkata24.com/offbeat-news/this-station-master-saved-the-lives-of-thousands-of-people-in-one-night Sat, 04 Dec 2021 14:38:11 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13521 বিশেষ প্রতিবেদন: কোনওদিন শুনেছেন সময় হবার আগেই একটা মেল ট্রেনকে স্টেশন থেকে জোর করে রওয়ানা করিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুনবেন না। এমন কাজটি করিয়েছিলেন খোদ ডেপুটি স্টেশন সুপার। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই কাজ মারাত্মক ভুল কিন্তু এই কাজের জন্য রেল তাকে শাস্তি না দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল, ভোপাল প্লাটফর্মে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখা হয় তার নাম। তিনি গোলাম দস্তাগীর, সেন্ট্রাল রেলের এক পদস্থ কর্মচারী। তাঁর জন্যই বেঁচে গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষের প্রাণ।

ঘটনা ১৯৮৪ সালের। ২ ডিসেম্বরের মাঝরাত , রোজকার মতন রাত দশটায় স্টেশনের ডিউটিতে এসেছিলেন গুলাম । জমে থাকা কিছু ফাইল দেখতে দেখতে কখন যে রাত একটা বেজে গেছে খেয়াল করেননি । প্লাটফর্মে গোরখপুর মুম্বই এক্সপ্রেস এসে দাঁড়াতে আড়ামোড়া ভেঙে অফিসের বাইরে এলেন । প্লাটফর্মে পা রাখতেই চোখ দুটো তার তীব্র জ্বালা করে উঠলো, গলা এমন শুকিয়ে গেল যেন দমবন্ধ হয়ে যাবে । তখনও উনি জানতে পারেননি স্টেশন মাস্টার সহ তেইশজন রেলকর্মী ইতিমধ্যেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে।

কিছু একটা ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটেছে আন্দাজ করে উনি সঙ্গে সঙ্গেই খবরটা জানালেন মধ্য রেলের কন্ট্রোল রুমে, দুদিকের বিদিশা আর ইটারসি স্টেশনে খবর দেন কোন ট্রেন যেন সেখান থেকে ছেড়ে এদিকে না আসে !

এবারে তার নজর গেলো এক্সপ্রেস ট্রেনটার দিকে । কেবিনে সিগন্যাল সবুজ করতে বলে ছুটে গেলেন ইঞ্জিনের দিকে । ড্রাইভার কে বললেন এখুনি ট্রেন ছাড়ার জন্য । বিস্মিত চালক যখন বললো ছাড়ার সময় আসতে এখনও পনেরো মিনিট বাকি, উনি দায়িত্ব নিয়ে লগবুকে লিখে দিলেন । হাজারের ওপর যাত্রী নিয়ে নিরাপদে বেরিয়ে গেল এক্সপ্রেস ট্রেনটি । বেঁচে গেল সেই ট্রেন সহ আরও কয়েকটি ট্রেনের যাত্রীদের প্রাণ।

পঁয়ত্রিশ বছর আগে সেই রাতেই ভূপালের ‘Union Carbide’ কারখানার স্টোরেজ ট্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিল প্রায় ৩০ টন বিষাক্ত ‘methyl isocyanate’ বা মিক গ্যাস। যার প্রভাবে সেরাতে ছয়লক্ষ মানুষের স্বাভাবিক জীবনটাই গেলো বদলে । হাজার হাজার মানুষ যারা মারা গেলো সেদিন তারা তো একদিক দিয়ে বেঁচে গেলো, বাকিরা কেউ বিকলাঙ্গ কেউ অন্ধ কেউ ভয়ঙ্কর ফুসফুস বা চর্মরোগ নিয়ে দগ্ধে দগ্ধে বেঁচে ছিল বাকি জীবন।
ট্রেনটা ছেড়ে যাবার পরও সেরাতে তার বউ বাচ্চার হাল দেখতে কোয়ার্টারে ফিরে যাননি গোলাম দস্তাগীর। চারিদিকে ফোন করে ডাক্তার ও এম্বুলেন্স আনিয়েছেন বিষাক্ত গ্যাসের ছোবলে যারা প্লাটফর্মে ছটফট করছিল তাদের জন্য । সারারাত নাকে রুমাল বেঁধে আচ্ছন্ন সহকর্মীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছেন, যোগাযোগ রেখেছেন আশেপাশের সব স্টেশনের সঙ্গে।

রাত কেটে সকাল হয়, মনে পড়ে পরিবারের কথা। ক্লান্ত আচ্ছন্ন গুলাম দস্তাগীর কোনক্রমে শরীরটা টানতে টানতে পৌঁছান রেল কোয়ার্টারে । গ্যাসের ছোবল ততক্ষণে কেড়ে নিয়েছে তার এক পুত্রকে, আরেকজনের সারা শরীরে ছড়িয়েছে সংক্রমণ । সারারাত গ্যাসের প্রত্যক্ষ স্পর্শে থাকার দরুন গোলাম সাহেবেরও শ্বাসনালী হয়েছিল ভীষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত । বাকি জীবনটা তাঁকে বাড়ি আর হাসপাতাল করেই কাটাতে হয়েছিল । ২০০৩ সালে দুনিয়া থেকে কিছুটা অভিমান নিয়েই বিদায় নেন এই মানুষটি ।

মৃত্যুর কারণ হিসাবে সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছিল “suffering from diseases caused as a direct result of exposure to MIC (Methyl Isocyanate) gas.”

]]>
Henrietta Lacks: মৃত্যুর ৭০ বছর পরও কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে চলেছেন https://ekolkata24.com/offbeat-news/henrietta-lacks-this-woman-died-70-years-ago-but-her-cells-are-still-saving-millions-of-lives Tue, 23 Nov 2021 16:10:18 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12166 Special Report: ১৯৪০ সালে তার বয়স ত্রিশেও পৌঁছায়নি। তার শরীরের চামড়া ছিল উজ্জ্বল, দৃঢ় দৃষ্টি। দেখলে মনেই হবে না যে সে কোনো এক ভয়ানক টিউমার নিয়ে বাস করছে শরীরে। অথচ যে টিউমার তার পাঁচজন সন্তানকে মাতৃহীন করেছে সেই টিউমারই পরিবর্তন করে দিয়েছে মেডিসিনের ভবিষ্যৎ! তার নাম হেনরিয়েটা ল্যাকস (Henrietta Lacks), হেলেন লেন অথবা হেলেন লার্সন নামেও বিশ্বের বিভিন্ন তথ্যকেন্দ্রে সে পরিচিত।

তার এই ছবি শতাধিক ম্যাগাজিন ও বিজ্ঞানের টেক্সট বুক ও ওয়েবসাইট দখল করে আছে। তাকে সাধারণত হেলেন লেন ডাকা হয় কিন্তু আসলে তার কোনো নাম নেই। সায়েন্টিফিক কমিউনিটি তাকে HeLa বলেই জানে, এটি হলো বিশ্বের প্রথম অমর কোষের সাংকেতিক নাম, এ কোষটি শাশ্বত কাল একই স্থানে জীবিত হয়ে থাকবে। তার জরায়ুর কিছু কোষ শরীর থেকে আলাদা করে নেওয়া হয় মৃত্যুর আগে কিন্তু সে বা তার পরিবারের কেউ জানতোনা এ কোষটি এক সময় পৃথিবী অতিক্রম করে মহাকাশ ভ্রমণ করবে!

১৯৫১ সালে হেনরিয়েটা মারাত্মক জরায়ু ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। মৃত্যুর পূর্বে একজন সার্জন তার টিউমারের একটি স্যাম্পল সংগ্রহ করেছিলেন, যেটিকে তিনি পেট্রি ডিশের মধ্যে রাখেন। বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই মানুষের দেহের কোষকে জীবিত রাখার চেষ্টা করছেন , সেগুলো মরে যায় কিন্তু হেনরিয়েটার সেলগুলো ছিলো সম্পূর্ণ বিপরীত। এরা প্রতি চব্বিশ ঘন্টায় তাদের সম্পূর্ণ জেনারেশনকে রিপ্রডিউস করতে পারে এবং এ প্রক্রিয়া নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতেই থাকে। এগুলোই ল্যাবরেটরিতে জীবিত প্রথম অমর মানব কোষ।

Henrietta Lacks

তার এ কোষগুলো আজ জিন গবেষণার একটি অংশ যা ক্যান্সারের কারণ এবং সেগুলোর সাথে যা এটিকে অবদমন করতে পারে। এ সেলগুলো হার্পিস, লিউকেমিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হোমোফিলিয়া এবং পারকিনসন রোগের কারণ এবং লেকটোজ ডাইজেশনের জন্যও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সেক্সচুয়ালি ট্রান্সমিটেট ডিজিজ, এপেন্ডিসাইটিস এবং মস্কুইটো মেটিং নিয়ে স্টাডি করার সময় এ কোষগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সমস্ত বিশ্বজুড়ে।

হেলেন তার ভাইপোকে বলেছিলেন, তার শরীরে কোনও গিঁট পড়েছে। আসলে একজন সন্তান জন্ম দেওয়ার পর হেনরিয়েটা এবনরমাল ব্লিডিং-এর শিকার হয়েছিলেন। তার ডাক্তার তার জরায়ুতে একটি পিণ্ড খুঁজে পেলেন এবং তার একটি স্যাম্পল ল্যাবে প্রেরণ করলেন। যার ফলাফল ছিল জরায়ু ক্যান্সার। তখন সেই এরিয়ায় আফ্রিকান ও আমেরিকান পেশেন্টদের জন্য একমাত্র মানসম্মত হসপিটাল ছিল জন হপকিন্স, আর সেখানেই ল্যাকসের ট্রিটমেন্ট করা হয়। যখন তার স্বামী ও তার সন্তানরা তার জন্য বাহিরে গাড়িতে অপেক্ষা করতো, তাকে রেডিয়েশন( জরায়ুর চারপাশে একটি রেডিয়াম টিউব ইনসার্ট করে সেই জায়গায় সেলাই করে দেয়া হত) ও এক্স-রে ট্রিটমেন্ট দেয়া হতো। এসব ট্রিটমেন্টের পরও ক্যান্সার বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে ল্যাকসের শরীরে, যা তার মধ্যে অমানবিক যন্ত্রণার জন্ম দেয়। তিনি ১৯৫১ সালের ৪ অক্টোবর ৩১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার এ রোগ শনাক্ত হওয়ার নয় মাস পর।

রেডিয়েশন ট্রিটমেন্টের সময়, ডাক্তার ল্যাকসের জরায়ু থেকে কিছু টিস্যুর স্যাম্পল সরিয়ে নেন। তাকে ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টের জন্য সম্মতিসূচক একটি ফর্মে সাইন করতে হয় কিন্তু টিস্যু সেম্পল সংগ্রহের ব্যাপারে তার সম্মতি নেয়া হয়নি এবং তাকে এটাও জানানো হয়নি যে তার শরীর থেকে কিছু টিস্যু নেয়া হয়েছে এবং তখন এটা অস্বাভাবিক কিছু ছিলো না। জন হপকিন্স-এর টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরির ড. গের কাছে এ টিস্যুগুলো প্রেরণ করা হয়।।

ড. গে কয়েক দশক ল্যাবরেটরিতে হিউম্যান সেল জন্মানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু কয়েকদিন পরই সেলগুলো মারা যায়। কিন্তু ল্যাকসের সেলগুলো ছিল ইউনিক। সে এ সেলগুলোর একটিকে আলাদা করেন আর তারপর ভাগ হতে দেন আর এ প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। তিনি এই লাইনের নাম প্রেরণ করেন HeLa! তৈরি হয় অমর কোষ। রেবেকা স্কলুটের লেখা “The Immortal Life of Henrietta Lacks ” নামে একটি বই লিখেছিলেন।

সেই বই থেকেই হেলেনের কথা প্রথম জানতে পারে বিশ্ব। রেবেকা স্কলুট এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি বহু বছর হেনরিয়েটার ছবিটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আমি বিস্মিত হয়েছিলাম তিনি কিভাবে জীবন যাপন করতেন, তার সন্তানদের সাথে কি ঘটেছিল? তিনি তার জরায়ুর কোষটি সম্পর্কে কি কখনো ভাবতে পেরেছিলেন যে এটি চিরকাল জীবিত থাকবে? একবার ভেবে দেখুন, আত্মায় বিশ্বাসীরা এখানে কি বলবেন? মৃত্যুর পরও একজন মানুষের কোষ আজ ৭০ বছর টিকে আছে, ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কপি নিয়ে, বিশ্বের বড় বড় রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে হেনরিয়েটার কোষ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে’

হেলেন জানতেন না, তারই অজান্তে তার শরীরের কিছু সেল পোলিও ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করবে, কোমোথেরাপিতে বিপ্লব ঘটাবে, তিনি জানতেন না তার মৃত্যুর শত বছর পর তার দেহের সেলগুলো ক্লোনিং, জিন ম্যাপিং, ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনে একের পর এক অবদান রেখে যাবে এবং এটাও জানতেননা যে তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসা কিছু সেল শত শত বছর পর মানব সভ্যতাকে হয়তোবা অমরত্বের দুয়ার খুলে দেবে। শাশ্বত কোষ থেকে বেরিয়ে আসবে শাশ্বত আর এক মানব সভ্যতা।

বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিতভাবে জানেন না বর্তমান পৃথিবীতে হেনরিয়েটার শরীরের ঠিক কতগুলো কোষ জীবিত। একজন বিজ্ঞানী বলেছেন, এ পর্যন্ত যে পরিমাণ হেলা কোষ তৈরি হয়েছে সেগুলোর ওজন যদি পরিমাপ করা হয় তবে তার ওজন হবে ৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টন, যা ছিলো একটি দুর্বোধ্য সংখ্যা। একটি স্বতন্ত্র সেল যার ওজন একেবারে নাথিং, তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে আনকাউন্টেবল ট্রিলিয়ন কোষ, যেনো একদম শূন্য থেকে মহাকাশের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গ্রহ তারকা! এ পর্যন্ত যতগুলো হেলা কোষ নিজেদের ক্লোন তৈরি করেছে তাদেরকে যদি একের পর এক বসানো হয় তবে তারা তিনবার আমাদের পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে আসতে পারবে যাদের স্প্যানিং হবে ৩৫০ মিলিয়ন ফুট থেকেও বেশি। ভাবুন, মাত্র ৫ ফুট লম্বা একজন নারীর শরীর থেকে বেরিয়ে আসা অত্যন্ত ক্ষুদ্র কিছু ক্যান্সার কোষ সমস্ত পৃথিবীকে তিনবার ঘিরে নিতে পারে।

]]>
৭ ভারতীয় মহিলা সেনাকর্মী, কেউ কাবুলে রক্ষাকারী, কেউ সীমান্তে, চমকে দেয় তাঁদের জীবন https://ekolkata24.com/offbeat-news/7brave-women-from-the-indian-armed-forces-who-proved-theres-nothing-called-a-mans-job Fri, 22 Oct 2021 06:33:26 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8646 নিউজ ডেস্ক: ভারতের বীর সন্তানেরা সীমান্তে রোজ রক্ত খুইয়ে চলেছেন দেশের সুরক্ষার কাজে। সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের কাজে প্রাণপাত করা মোটেই সহজ কাজ না, যার প্রথম শর্তই হলো আত্মত্যাগ, অনুশাসন আর সংকল্প।

এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় যার অঙ্গই হলো মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি। এদের মাঝে মহিলাদের অবদানও মোটেই কম নয় যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে সীমান্তে তাদের বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। জেনে নেওয়া যাক এমনই কয়েকজন অপরাজিতা নারীর গল্প দেশের কাজে যোগদান করতে লিঙ্গ বৈষম্য যাদের দমিয়ে দিতে পারেনি:

padmavathy bandopadhyay ১. পদ্মাবতী বন্দ্যোপাধ্যায়
পদ্মাবতীকে সশস্ত্র ভারতীয় সেনার একজন অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম মহিলা এয়ার মার্শাল। তিনি প্রথম মহিলা যিনি এয়ারোস্পেস মেডিক্যাল সোসাইটির ফেলো হয়েছেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি উত্তর মেরুতে চরম ঠাণ্ডার উপযোগিতা নিয়ে একটি অভিযান চালান। ১৯৭১ সালের ভারত-পাক সংঘর্ষের সময় তিনি তার ব্যতিক্রমী সেবার জন্য বিশিষ্ট সেবা পদক প্রাপক।

Divya Ajith Kumar

২. দিব্যা অজিত কুমার
মাত্র ২১ বছর বয়সে দিব্যা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রথম মহিলা হিসেবে সম্মানিত ‘সোর্ড অফ অনার’ পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তিনি ২৪৪ জন সহকর্মী ক্যাডেটদের (পুরুষ ও মহিলা) বেশ কয়েকটি একাডেমিক এবং শারীরিক পরীক্ষায় পরাজিত করেছিলেন। ২৫ বছর বয়সে, তিনি ১৫৪ জন কর্মকর্তার সর্বদলীয় দলের নেতৃত্ব দেন ২০১৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে যেখানে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যারাক ওবামার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

Mitali Madhumita

৩. মিতালী মধুমিতা
মিতালি ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম মহিলা অফিসার হিসেবে সম্মানজনক বিশেষ সেনা পদক পেয়েছেন। সেনাবাহিনীতে চাকরি করে মারা যাওয়া এবং সঙ্কটে ব্যতিক্রমী সাহস দেখানো অফিসারদের বীরত্বের এই সম্মান দেওয়া হয়। ২০১০ সালে কাবুল দূতাবাসে হামলায় বেশ কয়েকজন আহত অসামরিক নাগরিক এবং সেনা কর্মীকে বাঁচিয়ে মিতালি তার জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন।

Gunjan Saxena

৪. গুঞ্জন সাক্সেনা
ফ্লাইট অফিসার গুঞ্জন সাক্সেনা এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শ্রীবিদ্যা কারগিল যুদ্ধের সময় যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে প্রথম মহিলা পাইলট হয়েছিলেন। তারা তাদের চিতা হেলিকপ্টারগুলি শত্রু লাইনের খুব কাছাকাছি উড়েছিলেন এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আহত সৈন্যদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছিলেন।

Sophia Qureshi

৫. সোফিয়া কুরেশি
আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়ায় ৪০ জন সদস্যের সেনা দলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম মহিলা কর্মকর্তা হওয়ার সময় তিনি ইতিমধ্যেই অভাবনীয় কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়. তিনি অংশগ্রহণকারী সব দেশ জুড়ে একমাত্র নারী কমান্ডার ছিলেন যার মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া এবং চিন।

Deepika Misra

৬. দীপিকা মিশ্র
তিনি হেলিকপ্টার এরোব্যাটিক দলের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রথম IAF মহিলা পাইলট হয়েছিলেন, এবং তিনি সারা বিশ্বের একমাত্র চারটি হেলিকপ্টার মিলিটারি ডিসপ্লে টিমের মধ্যে একজন।

Nivedita Choudhary

৭. নিবেদিতা চৌধুরী
মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার জন্য তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীতে প্রথম মহিলা কর্মকর্তা হন। মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় তিনি মোট এক ঘন্টা কাটিয়েছিলেন।

]]>