গুগল (Google) সার্চে গিয়ে ‘কুইক লোন’, ‘ইনস্ট্যান্ট লোন’ প্রভৃতি লিখে সার্চ দিলেই এই অ্যাপগুলি একের পর এক বেরিয়ে আসে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank) এক সতর্কবার্তায় জানাল ঋণ প্রদানকারী এই ধরনের অ্যাপগুলির মধ্যে ৬০০টিরও বেশি অ্যাপ অবৈধ।
আরবিআই এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ঋণ দিয়ে থাকে এরকম ১১০০-রও বেশি অ্যাপ আছে। যার মধ্যে ৬০০-রও বেশি অবৈধ। এই সমস্ত অ্যাপগুলি কোনও রকম রীতিনীতির ধার ধারে না। দেশে ডিজিটাল লেনদেন যত বাড়ছে, ততোই সামনে আসছে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা। প্রতিদিনই বহু মানুষ ঠকে যাচ্ছেন। খোয়াচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
সতর্কবার্তায় আরবি বলেছে, অনেকেই নিজেদের আধার, প্যান কার্ডের তথ্যও এই সমস্ত অ্যাপের মাধ্যমে জালিয়াতদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা খতিয়ে দেখতে রিজার্ভ ব্যাংক একটি বিশেষ কমিটি কমিটি তৈরি করেছিল। সেই কমিটির রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ঋণ প্রদানকারী পরিচিত অ্যাপগুলির মধ্যে ৬০০-রও বেশি অ্যাপ অবৈধ। তবে আরবিআই সংশ্লিষ্ট অ্যাপগুলির নাম জানায়নি।
আরবিআই-এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতের মোট ৮১ টি অ্যাপ স্টোর থেকে এই বিপজ্জনক অ্যাপগুলি ডাউনলোড করা হয়ে থাকে। আরবিআইয়ের সমীক্ষা বলছে, বহু ক্ষেত্রেই গ্রাহকরা নিজেদের অজ্ঞাতসারে বা না জেনেই তাঁদের অনেক গোপন ও ব্যক্তিগত তথ্য জালিয়াতদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এই সমস্ত ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলির বেশিরভাগ সংস্থাই রিজার্ভ ব্যাংকের অনুমোদন প্রাপ্ত নয়।
]]>আরও পড়ুন NASA Report: কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলসহ দেশের ১২টি শহর নিশ্চিহ্ন হবে
তিন বছর আগে, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস নাগাদ একটি সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, কলকাতা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করতে, জমা জলের সমস্যা থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে এবং সর্বোপরি কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের (কেএমসি) সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভারত এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ADB) ১০০ মিলিয়ন ডলার (১০ কোটি ডলার) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ৪০০ মিলিয়ন ডলারের কলকাতা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (Kolkata Environmental Improvement Investment Program) অধীনে তৃতীয় এবং চূড়ান্ত কিস্তি হিসেবে এই টাকা দেওয়া হয়েছিল।

ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, এটি কমপক্ষে ৩০০০ টি পরিবারে কেএমসির নির্বাচিত পেরিফেরাল এলাকায় ড্রেনেজ পরিষেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে। এবং কমপক্ষে ১০০০০০ পরিবারের জন্য স্যুয়েজ ব্যবস্থা উন্নত করবে।
ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সমীর কুমার খারে এবং এডিবি’র ইন্ডিয়া রেসিডেন্ট মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেনিচি ইয়োকোয়ামা চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন। ভারতীয় টাকায় সেই টাকার অঙ্কটা ৭,৩৭,৬৬,০৫,০০০। এই বিপুল পরিমান টাকা পাওয়ার পরেও বারবার কেন একই অবস্থা হচ্ছে কলকাতার? তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপুল জনমতে জিতে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। অথচ এখনও এই জল-যন্ত্রনা কেন কমেনি শহরবাসীর? এই প্রশ্নগুলিতেই এখন রাজ্যের শাসকদলকে কোনঠাসা করতে চাইছে বিরোধীরা।
That’s 100 million dollars for you! https://t.co/lnWsmiJCJE pic.twitter.com/NIa6rGkXuV
— Dr.Indranil Khan (@IndranilKhan) September 23, 2021
জাতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির ২০১৮ সালের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাওয়ার খবর শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন ডঃ ইন্দ্রনীল খাঁও। কলকাতার রাস্তায় জমা জলের একটি ছবি দেখিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, “আপনাদের ১০০ মিলিয়ন ডলার”।
]]>