longest period – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 29 Oct 2021 05:23:02 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png longest period – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 ক্রিকেট খেলতে গিয়েই চাকরি হারিয়েছিলেন সর্বাধিক সময় টেস্ট খেলা ক্রিকেটার https://ekolkata24.com/offbeat-news/emglish-rhodes-wthe-longest-period-test-cricketer Fri, 29 Oct 2021 05:23:02 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9569 Special Correspondent, Kolkata: সবথেকে বেশীদিন টেস্ট খেলার রেকর্ড আছে তাঁর। ১৮৯৮ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত টেস্ট খেলেন। তাঁর টেস্টে অভিষেক হয় ভিক্টর ট্রাম্পারের সাথে, যা ডব্লু জি গ্রেসের জীবনের শেষ টেস্ট। ৫৩ বছর বয়সে যখন রিটায়ার নিচ্ছেন তখনও বল হাতে চরম কৃপণ। সেই তাঁকেই ক্রিকেট খেলার জন্য হারাতে হয়েছিল চাকরি। এক ভয়ঙ্কর ভুল করেছিলেন যে উইলফ্রেড রোডস।

ইংলিশ রোডসের জন্ম ইয়র্কশায়ারের কার্কহিটনে, ১৮৭৭ সালে। টেস্ট ক্রিকেটের জন্মও সে বছরই। বাবার নাম ছিল আলফ্রেড রোডস, কার্কহিটন ক্রিকেট দলের দ্বিতীয় একাদশের ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। সন্তান উইলফ্রেডকেও ক্রিকেটার হতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, কিনে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের সরঞ্জামও। উইলফ্রেডের বয়স যখন ১৬ বছর, তখন ক্রিকেটটাকে গুরুত্বের সাথে খেলতে শুরু করেন, কিছুদিনের মধ্যে ঢুকেও যান কার্কহিটনের দ্বিতীয় একাদশে। সেই সাথে একটা চাকরি নিতে হয় স্থানীয় রেলওয়েতে। ভালোই সামলাচ্ছিলেন দু’দিক। কিন্তু একদিন সঠিক সময়ে মাঠে পৌঁছানোর জন্য রেলের ঘণ্টা বাজাতে ভুলে যান, ফলে চাকরিটা হারাতে হয় তাঁকে।

এটাই শাপে বর হয়েছিল তাঁর। একটা খামারে কাজ নেন তিনি, ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগ দিতে সক্ষম হন। এদিকে মাঠের খেলায় ক্রমেই উন্নতি করছিলেন, যার ফলে কার্কহিটনের প্রথম একাদশে ঢুকে যান। শুরু হয় উইলফ্রেড রোডসের উত্থান।

পেশাদার ক্রিকেট জীবন শুরু হয় স্কটল্যান্ডের গালা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে। সে সময় ব্যাটিংয়ে ওপেন করতেন তিনি, ডান হাতে ব্যাট করতেন। আর বল করতেন বাঁ হাতে, মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন। প্রথম মৌসুমে নেন ৯২ উইকেট। সে সময় নিজের বলের কার্যকারিতা লক্ষ্য করে পেস বোলিং থেকে স্পিনে সরে আসেন। পরের মৌসুমে উইকেট কম পেয়েছিলেন বটে, তবে গড়ের চেহারাটা ভালো হয়েছিল আগের চেয়ে। এরপর আর গালা ক্রিকেট ক্লাবে থাকার মানে হয় না। এমসিসির একজন সদস্যের পরামর্শে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে খেলার জন্য চলে আসেন ইংল্যান্ডে।

Emglish Rhodes

চেষ্টা করেন ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে।খেলার। কিন্তু অর্থ সমস্যার কারণে তারা ফিরিয়ে দেয় উইলফ্রেডকে। বাধ্য হয়ে উইলফ্রেড যান ইয়র্কশায়ারের দরজায়। সে সময় ববি পিলের বদলি হিসেবে একজন বাঁহাতি স্পিনার খুঁজছিল ইয়র্কশায়ার। একটা ট্রায়াল ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে যান উইলফ্রেড। কিন্তু সেই ম্যাচে তার পারফরম্যান্স হলো জঘন্য। ফলাফল, ইয়র্কশায়ার নিতে রাজি হলো না তাকে।

উইলফ্রেডের কপাল খোলে ১৮৯৮ সালে। হেডিংলি’র নেটে বল করার জন্য ডাকা হলো তাকে, সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে গেলেন কিছু প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার। সেই বছরেরই ১২ মে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হলো তার। সুযোগ পেয়েই চমক দেখালেন, প্রথম ম্যাচেই তুলে নিলেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন, ৪৫ রানের বিনিময়ে নিলেন ১৩ উইকেট। মৌসুম শেষ করলেন ১৫৪ উইকেট নিয়ে, যে কারণে ১৮৯৯ সালে যে পাঁচজন ‘উইজডেন ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হলেন, তাদের একজনের নাম উইলফ্রেড রোডস। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।

৫৮ টি টেস্টে ২৩২৫ রান (২ টি শতরান সহ) ও ১২৭ টি উইকেট তাঁর নামে আছে। সর্বোচ্চ ১৭৯ ও সেরা বোলিং ৮/৬৮। ৩২ বছরের প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারে ম্যাচে ৫৮ খানা শতরান সহ ৩৮,৯৬৯ রান করেন। সর্বোচ্চ ২৬৭ অপরাজিত। ১৯৭ খানা অর্ধশতরান ও করেন তিনি। বল হাতে প্রথম শ্রেণির খেলায় ৪২০৪ টি উইকেট পান যা এখনো প্রথম শ্রেণিতে সর্বোচ্চ। ২৮৭ বার প্রথম শ্রেণিতে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন তিনি। ম্যাচে ১০ উইকেট নেন ৬৮ বার। সেরা বোলিং ২৪ রানে ৯ উইকেট। ক্যাচ ধরেছেন ৭৬৪টা, যা সপ্তম সর্বোচ্চ। ৩০,০০০ রান আর ২,০০০ উইকেটের যে এলিট ক্লাব আছে, তার সংখ্যা মাত্র ৪ জন। একজন উইলফ্রেড রোডস, বাকি তিনজন জর্জ হার্স্ট, ফ্রাঙ্ক উলি এবং ডব্লিউ জি গ্রেস। সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও তার দখলে, খেলেছেন ১,১১০ ম্যাচ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রাঙ্ক উলি, তিনি খেলেছেন ৯৭৮ ম্যাচ। এবং রোডস হচ্ছেন ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের এক মৌসুমে ১০০০ রান করেছেন এবং ১০০ উইকেট নিয়েছেন ১৬ বার!

ভারতে কোয়াড্রাঙ্গুলার খেলেছেন, খেলেছেন মঈন-উদ্-দৌল্লাতে। ভিজির দলেও খেলেছেন। ক্রিকেটের এত গুলো রেকর্ড যাঁর পকেটে তিনি ঢাকা পড়েছেন টি২০ ক্রিকেটের আড়ালে।

]]>