mahalaya – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 05 Oct 2021 19:47:52 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png mahalaya – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 মহালয়া কি শুভ? সবাই ‘শুভ মহালয়া’ বলে কেন? https://ekolkata24.com/uncategorized/is-mahalaya-good-why-does-everyone-say-shubh-mahalaya Tue, 05 Oct 2021 19:47:52 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6726 অনুভব খাসনবীশ: মহালয়ার (mahalaya) দিন থেকেই শুরু হয়ে গেল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের ‘কাউন্টডাউন’! সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়াল উপচে পড়ল ‘শুভ মহালয়ার’ শুভেচ্ছা বার্তায়। মহালয়া কি সত্যিই ‘শুভ’ দিন? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে।

হিন্দু রীতি অনুসারে মহালয়া হল—প্রয়াত তথা শ্রদ্ধেয় প্রিয় পূর্বপুরুষদের জলদান বা তর্পণ করার সর্বশ্রেষ্ঠ তিথি। তাঁদের স্মৃতি স্মরণ করার দিন। তপর্ন মন্ত্রে বলা হয়ে থাকে, “যে বান্ধবা অবান্ধবা বা, যে অন্য জন্মনি বান্ধবাঃ। তে তৃপ্তিং অখিলাং যান্ত, যে চ অস্মৎ তোয়-কাঙ্খিণঃ।” অর্থাৎ বন্ধু ছিলেন অথবা জন্মজন্মান্তরে বন্ধু ছিলেন তাঁদের জলের প্রত্যাশা তৃপ্তিলাভ করুক। কিন্তু শ্রাদ্ধের দিনকে ‘শুভ’ বলা যায় কি না, প্রশ্ন তা নিয়েই। আবার তর্পণ শব্দটির ব্যুৎপত্তি হয়েছে তৃপ ধাতুর থেকে। তৃপ + অনট, অর্থাৎ তৃপ্তিসাধন। যা অশুভ না ভাবা কাম্য।

দিনটিকে ‘শুভ’ হিসেবে ধরা হবে কি না, তার নির্দিষ্ট কোনও উল্লেখ বা শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। পণ্ডিতদের মতে, পঞ্জিকায় কোনও দিনকেই আলাদা করে ‘শুভ’ বলা নেই। এই ঘটনা নিয়ে মহাভারতের একটি জনপ্রিয় আখ্যান রয়েছে। ‘মহাভারত’ অনুসারে, দাতা কর্ণের মৃত্যুর পর তাঁর আত্মা স্বর্গে অবস্থান কালে তাঁকে সোনা এবং বিভিন্ন রত্নদ্রব্য খাদ্য হিসাবে দেওয়া হয়। বিস্মিত কর্ণ যমরাজকে (মতান্তরে দেবরাজ ইন্দ্রকে) জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর প্রতি ওই রকম ব্যবহারের কারণ কী?

যমরাজ বললেন, — ‘হে কর্ণ, তুমি জীবনভোর শুধু শক্তির আরাধনা করে গেছ। কখনও নিজের পূর্বপুরুষের কথা ভাবনি, তাঁদের প্রয়াত আত্মাকে খাদ্য-পানীয় দাওনি। তাই পুণ্যফলে তুমি স্বর্গে আসতে পারলেও খাদ্য-পানীয় পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হওনি। সেই জন্যেই তোমার প্রতি এই ব্যবহার।

কর্ণ বললেন— “হে ধর্মরাজ! এতে আমার দোষ কোথায়? জন্ম মুহূর্তেই আমার মা আমাকে ত্যাগ করেন। সূত বংশজাত অধিরথ ও তাঁর স্ত্রী আমাকে প্রতিপালন করেন। তার পর আমার শৌর্য দেখে দুযোর্ধন আমাকে আশ্রয় দেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ আরম্ভের আগের দিন প্রথমে কৃষ্ণ ও তার পরে মাতা কুন্তী এসে আমার জন্ম ও বংশ পরিচয় জানিয়ে দেন।” কর্ণ স্বীকার করেন, তিনি পিতৃপুরুষ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। সেই কারণে তিনি পিতৃপুরুষকে অন্ন এবং জল দান থেকে বিরত ছিলেন।

কর্ণকে এক পক্ষকাল সময় দেওয়া হয় মর্ত্যলোকে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জল দান করে পিতৃপুরুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য। এই সময়কাল ছিল পিতৃপক্ষ, ১৬ দিন। যমের (বা ইন্দ্রের) নির্দেশে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপ্রতিপদ তিথিতে কর্ণ আবার মর্ত্যে ফিরে এসে এক পক্ষ কাল থেকে পিতৃপুরুষকে তিল-জল দান করে পাপস্খলন করলেন। এই বিশেষ পক্ষকাল সময়কে শাস্ত্রে পিতৃপক্ষ বলা হয়েছে। পিতৃপক্ষের শেষ দিন হল মহালয়া।

হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে দান করা জলে তাঁদের তৃষ্ণা নিবারণ হয়। যাঁরা পূর্বপুরুষের বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে সক্ষম হন না। তাঁরা পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষকে জল দান করতে পারেন। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে মহালয়ার পর প্রতিপদে যে বোধন হয় সে সময়ও সংকল্প করে দুর্গা পূজা করা যায়। একে বলে প্রতিপদ কল্পরম্ভা। সর্বশেষে একটিই কথা বলা যায়, মহালয়া শুভ না অশুভ তা নিয়ে তর্ক চললেও, ‘হ্যাপি’ কখনোই নয়।

]]>
সাহসী পদক্ষেপ: বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী চণ্ডীপাঠ ইংরেজিতে https://ekolkata24.com/offbeat-news/mahalaya-mahisasuramardini-in-english Tue, 05 Oct 2021 13:02:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6673 বিশেষ প্রতিবেদন: রাত কাটলেই মহালয়া (Mahalaya)। ভোরের মহিষাসুরমর্দিনী (mahisasuramardini) অনুষ্ঠান নিয়ে বাঙালির প্রচুর আবেগ। সেই আবেগ ঠেলে ফেলে দিয়েছিল উত্তম কুমারকেও, যিনি বাঙালির মহানায়ক। তাকেও গ্রহণ করেনি বাঙালি। এবার সেই মহালয়ায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ( Birendra Krishna Bhadra) বিখ্যাত চণ্ডীপাঠকেই ইংরেজিতে অনুবাদ করে পাঠ করবেন এক বাঙালি। তিনি সুপ্রিয় সেনগুপ্ত।

তিনি স্পষ্ট বলছেন , তিনি ভয় পান না। চেষ্টাটা করতে চান। জানেন একটা আবেগ কাজ করে এই মহালয়াকে কেন্দ্র করে। তবুও তিনি এই মহালয় বানিয়েছেন ইংরাজিতে। এটা তাঁর সুপ্রিয়বাবুর স্বপ্ন ছিল, যা এখন বাস্তব। প্রতিবছর তিনি এই চণ্ডীপাঠকে নানা রূপে সাজান এবং আরও সুন্দর করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই কাজটা প্রথম পরিবেশন করতে তাঁকে প্রচুর গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে। চেষ্টাটা ছাড়েননি।

Mahalaya mahisasuramardini in English

তাঁর এক বন্ধু অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন , “আমরা এই মহালয়াটার প্রতি একটু বেশি দুর্বল কেন তার একটা গৌড়চন্দ্রিকা করা প্রয়োজন। আমরা যখন ছোট ছিলাম এই সবে স্নাতকের ছাত্র সেই সময় আমাদের পাড়ার পুজো মণ্ডপে সুপ্রিয় দা প্রথমবার চণ্ডী পাঠ করল। মাইকে সবাই শুনলো। এমনকি বাড়ির অন্দর পর্যন্ত সেই কণ্ঠস্বর পৌছলো মাইকের দৌলতে। ফলে সারা পাড়ায় ওই পাঠ একটা সারা ফেলেছিল।

জেঠিমা, মানে সুপ্রিয়দার মা ছেলের এমন সাফল্যে আরও অনেক বড় স্বপ্ন চোখে বুনে তুলতেন। জেঠিমা বলতেন, দেখো মহালয়া সকলের জন্য। যে সব ছেলে-মেয়েরা বিদেশে চলে গিয়েছে সেখানে সংসার পেতেছে তাঁরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের মহালয়া শোনাতে চান বা সম্পর্কে তাঁদের জানাতে চান অথচ তাঁদের ছেলেমেয়েরা বাংলা বোঝেন না জানেন না, তাই মহালয়া হোক ইংরাজিতে কারণ ইংরাজি প্রথম আন্তর্জাতিক ভাষা। জেঠিমা মনে করতেন যে ইংরাজিতে মহালয়া হলে বিশ্বের প্রচুর মানুষের কাছে পৌছবে মহালয়া। জেঠিমা বেঁচে থাকাকালীন সুপ্রিয় দা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা শুরু করল সেই কাজ।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ” কিন্তু দেশটা ভারত তাই ভালো কিছুর উৎসাহ তো পাওয়া দূরস্থান বরঞ্চ কি ভাবে বিষয়টা জনসমক্ষে না এসে পড়ে তার চেষ্টা হল প্রায় তিনগুন উৎসাহে। মানে সে কপিরাইট থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন বিষয়ে। কে বাঁধা দেননি। ওই যে বললাম আজ এই বয়েসে আর ভয় পাইনা। তা যাইহোক এই মঙ্গলময়ের মঙ্গল যাত্রায় আর অমঙ্গলের ফেনা নাই তুললাম, কাজ যখন সম্পূর্ণ রূপে শেষ হল সুপ্রিয় দা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মানে যখন এই ইংরাজি মহালয়া জনসমক্ষে পরিবেশন করার অনুমতি পেল তখন জেঠিমা অর্থাৎ সুপ্রিয়-দার মা আর এই পৃথিবীতে নেই।

তা আমরা বিশ্বাস করি যে জেঠিমা যেখানেই থাকুন তিনি এই ইংরাজি মহালয়া দেখছেন, শুনছেন ও উপভোগ করছেন।” ইংরেজি এই মহালয়া প্রকাশ পাবে ইউটিউবে ‘Karigori Kobiyal’ চ্যানেলটিতে

]]>
দেবীপক্ষে TRP যুদ্ধে বাজিমাত করতে চ্যানেলের তুরুপের তাস একঝাঁক জনপ্রিয় মুখ https://ekolkata24.com/entertainment/preparations-for-the-mahalaya-program-of-bangla-entertainment-channel Thu, 30 Sep 2021 13:34:32 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6129 বায়োস্কোপ ডেস্ক: আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন পরেই মহালয়া। ভোরের বীরেন্দ্র কৃষ্ণর পাশাপাশি বাংলা বিভিন্ন চ্যানেল গুলোয় মহালয়া অনুষ্ঠান বাঙালির চিরাচরিত। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মধ্যে রীতিমতো রেষারেষি চলে মহালয়ার সকালের বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে। বিশেষ করে অল্পবয়েসী দর্শকদের মাঝে মহিষাসুরমর্দিনী দেখার উত্তেজনা সবচেয়ে বেশি। জি বাংলা, স্টার জলসা থেকে কালারস বাংলা তাই মহালয়ার ভোরে নিয়ে আসছে এক রাশ নতুন চমক। 

দুর্গা পুজোয় এবছর কাদের দেখা যাবে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে তা নিয়ে টলি পাড়ায় বেশ শোরগোল পড়ে গেছে। দেবী দুর্গার চরিত্রে দেখা যাবে কোয়েল মল্লিক, শুভশ্রী গাঙ্গুলি থেকে ‘রাণী রাসমণি’ খ্যাত দিতিপ্রিয়া রায়। প্রসঙ্গত, দিতিপ্রিয়াকে দুর্গা চরিত্রে দেখা যাবে দ্বিতীয়বারের জন্য। এই নিয়ে অভিনেত্রী উচ্ছাসও প্রকাশ করেছেন মিডিয়ার কাছে। তার ভক্তরাও টিভি পর্দার রাণী রাসমণিকে দূর্গা রূপে দেখতে বেশ আগ্রহী।

Mimi

উল্লেখ্য, তিনি বেশ কিছু বছর ধরে অপর একটি বেসরকারি চ্যানেলে অভিনয় করেছেন রাণী রাসমণির চরিত্রে যা তাকে অত্যন্ত অল্প বয়সেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। অভিনেতা গাজি আব্দুর নূরের সাথে পর্দায় তার মেলবন্ধন প্রশংসা পেয়েছিল সমালোচকদের কাছেও। মহালয়ার ভোরে দ্বীতিপ্রিয়াকে দুর্গা রূপে দেখা যাবে স্টার জলসার পর্দায়।

এছাড়াও, জি বাংলায় মহালয়ার অনুষ্ঠানে দুর্গা রূপে দেখা যাবে শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে। আগের বছর ওই চ্যানেলেই দুর্গা চরিত্রে দেখা গেছিল দ্বীতিপ্রিয়াকে। শুভশ্রী এর আগেও বহুবার দুর্গা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিভিন্ন চ্যানেলে মহিষাসুরমর্দীনি অনুষ্ঠানে। অপরদিকে, মহালয়ার ভোরে কোয়েলকে দুর্গা রূপে দেখা যাবে কালারস বাংলার পর্দায়। তিনি দুর্গা চরিত্রে মহালয়ার অনুষ্ঠানে বাকি দুজনের চেয়ে প্রবীণা। তবে, চমক শুধু দুর্গা চরিত্রে অভিনেত্রীদের ভূমিকা নিয়েই নয়, মহালয়ার গানের অনুষ্ঠানে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে শোভন গাঙ্গুলি ও ইমন চক্রবর্তীকেও। এখন দেবীপক্ষের প্রাক্কালে টি.আর.পি. যুদ্ধে কে বাজিমাত করবে তা সময় বলে দেবে।

]]>