Mahua Das – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 13 Aug 2021 10:09:30 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Mahua Das – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 ‘মুসলিম কন্যা’ বিতর্কেই কি অপসারিত মহুয়া দাস? https://ekolkata24.com/uncategorized/mahua-das-removed-from-her-post Fri, 13 Aug 2021 10:09:30 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2355 নিউজ ডেস্ক: গত ২২ জুলাই এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়। যেহেতু করোনার কারণে এ বছর পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, তাই মূল্যায়ণ পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আসে। এ বছর পরীক্ষার যে ফলাফল, তা একাদশের ফাইনাল পরীক্ষার নম্বর, প্র্যাকটিকালের নম্বর ও মাধ্যমিকের নম্বর যোগ করে তৈরি হয় চূড়ান্ত ফল। রেজাল্ট ঘোষণা করার সময় প্রথম হওয়া রুমানা সুলতানার নামের বদলে ‘মুসলিম কন্যা’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস।

ফল প্রকাশের পরই দেখা যায় মুর্শিদাবাদের এক ছাত্রী প্রথম হয়েছেন। নাম রুমানা সুলতানা। রুমানার নাম ঘোষণা করতে গিয়ে সেদিন বার বার মহুয়া দাসের মুখে উঠে এসেছিল ‘মুসলিম কন্যা’ শব্দটি। মহুয়া দাস বলেছিলেন, “সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে একটা ইতিহাস সংসদে হয়েছে। সেটা একটু বলতে ইচ্ছা করছে। যিনি এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, তিনি একজন মুসলিম কন্যা। মুসলিম, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। একজন মুসলিম মেয়ে। তিনি এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।” ঠিক তিনবার মুসলিম কথাটি বলতে শোনা যায় তাঁকে। যা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়।

আরও পড়ুন রুমানা বিতর্কে মহুয়ার পাশে তসলিমা

এবার শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মহুয়া দাসকে। ভোটে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরেই ‘মুসলিম কন্যা’ ঘোষণা হওয়ায় আঙুল উঠেছিল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। ফলে প্রথম থেকেই বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি নবান্ন। যদিও সেদিনই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, “একজন ছাত্রী ভালো ফল করেছে তাঁর মেধার ভিত্তিতে। ধর্মের ভিত্তিতে নয়। উচ্চমাধ্যমিক সংসদের সভাপতি যা বলেছেন তাকে আমি সমর্থন করি না। অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। মেধা দিয়ে সবপথ অতিক্রম করা যায়। ধর্ম নিয়ে কিছু করা যায় না। ওই ছাত্রী মেধার ভিত্তিতে নিজেকে সবার সেরা করেছে। তাই এই ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত অনুচিত।” এবার এসবের মধ্যেই নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করল সংসদ। নব নির্বাচিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

]]>
রুমানা বিতর্কে মহুয়ার পাশে তসলিমা https://ekolkata24.com/uncategorized/taslima-nasrin-supports-mahua-in-rumana-debate Sat, 24 Jul 2021 09:14:39 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=1268 নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী রুমানা সুলতানার ধর্ম পরিচয় উল্লেখ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। একজন ছাত্রীর ধর্মীয় পরিচয়কে গুরুত্ব দেওয়ায় সমালোচনায় বিদ্ধ করা হয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে। তা নিয়ে সাফাইও দিয়েছেন মহুয়াদেবী। যদিও এই বিতর্কে মুহুয়া দাসের পাশেই দাঁড়ালেন বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

ধর্মের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব হয়েছেন তসলিমা নাসরিন। যা নিয়ে অনেক জটিলতা হয়েছে তাঁর জীবনে। তারপরেও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন তিনি। ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সময়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে লজ্জার লেখিকাকে। তবে রুমানা সুলতানার মুসলিম পরিচয় উল্লেখ করার ক্ষেত্রে ভুল কিছু দেখছেন না তিনি। যা নিয়ে সুবিস্তারে ব্যাখ্যা করে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

তসলিমার কথায়, “নিগেটিভ কথার বেলায় মুসলিম শব্দটি ব্যবহার করা চলতে পারে, পজিটিভ কথার বেলায় মুসলিম শব্দটির ব্যবহার চলতে পারে না! বলতে হবে ‘রুমানা সুলতানা পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে।’ যেন রুমানা সুলতানা নামটা শুনে বোঝা যাবে না সে হিন্দু না মুসলিম! মুসলিম শব্দটি পজিটিভ বাক্যে ব্যবহার হোক। এতে মুসলিমরাও অনুপ্রাণিত হবে সামনে এগোতে। আর মুসলিম বিরোধীদেরও কিছুটা বোধোদয় হবে।”

শনিবার নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে তিনি লিখেছেন-
মুসলিমরা নামাজ পড়ার জন্য রাস্তা ব্লক করে ট্রাফিক জ্যাম বাড়ায়, জনগণের অসুবিধে করে।
মুসলিমরা আত্মঘাতী বোমা হয়ে মানুষ খুন করে।
মুসলিমরা বোমাবাজি করে।
মুসলিমরা সন্ত্রাস করে।
মুসলিমরা বহুবিবাহ করে।
মুসলিমরা লাভ-জিহাদ করে।
মুসলিমরা আইন-বিরোধী ফতোয়া জারি করে। মানুষের মাথার মূল্য ধার্য করে।
মুসলিমরা মানবাধিকার বিরোধী।
মুসলিমরা নারীবিরোধী শরিয়া আইন বহাল রাখতে চায়।
মুসলিমদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়া যাবে না।
মুসলিমদের কাছে বাড়ি ভাড়া দেওয়া যাবে না।
এগুলো ঠিক আছে।

কিন্তু ‘একটি মুসলিম মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে পাস করেছে’ বললে ঠিক নেই।
তাহলে তো মনে হচ্ছে নিগেটিভ কথার বেলায় মুসলিম শব্দটি ব্যবহার করা চলতে পারে, পজিটিভ কথার বেলায় মুসলিম শব্দটির ব্যবহার চলতে পারে না!

বলতে হবে ‘রুমানা সুলতানা পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে।’ যেন রুমানা সুলতানা নামটা শুনে বোঝা যাবে না সে হিন্দু না মুসলিম!
মুসলিম শব্দটি পজিটিভ বাক্যে ব্যবহার হোক। এতে মুসলিমরাও অনুপ্রাণিত হবে সামনে এগোতে। আর মুসলিম বিরোধীদেরও কিছুটা বোধোদয় হবে।

আমি বলতে চাই একটি মুসলিম মেয়ে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে।
একটি মুসলিম মেয়ে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর সম্মান অর্জন করেছে।
একদল মুসলিম মেয়ে শরিয়া আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
একদল মুসলিম ছেলে নারীর সমানাধিকারের পক্ষে মিছিল করছে।
একদল মুসলিম মেয়ে ময়দানে গিয়ে তাদের হিজাব আর বোরখা খুলে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।
একটি মুসলিম নভোচারি মেয়ে মঙ্গলগ্রহে পাড়ি দিচ্ছে।
একটি মুসলিম মেয়ে ভরত নাট্যম নৃত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে।
একটি মুসলিম ছেলে ভালোবেসে এক হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করেছে, বলেছে তোমার ধর্ম তুমি পালন করবে, আমার ধর্ম আমি।

]]>