Manik Sarkar – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 27 Dec 2021 18:59:24 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Manik Sarkar – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bangladesh: অরণ্য সুন্দরী সাতছড়ি যেন জঙ্গিদের অস্ত্র খনি, পা ফেললেই ভারত সীমান্ত https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-unique-satchari-forest-militant-den Mon, 27 Dec 2021 15:41:53 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16823 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বারবার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। প্রতিবারই বিপুল পরিমান। অস্ত্র ভাণ্ডার দেখলেই স্পষ্ট হয় সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য এসব ব্যবহার করা হতো।বাংলাদেশের সাতছড়ি জাতীয় অরণ্য যেমন প্রকৃতির বিপুল বিস্ময় তেমনই এই এলাকা যেন অস্ত্র খনি!

সোমবার এই অরণ্য থেকে ১৫টি মর্টার শেল, ২৫টি বুস্টার ও ৫১০ রাউন্ড অটো মেশিনগানের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে বারে বারে এমন আগ্নেয়াস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার হচ্ছে। প্রতিবারই অস্ত্র সম্ভার দেখে চমকে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

সাতছড়ি অরণ্যের অন্দরে
গভীর এই সাতছড়ি সীমান্ত জঙ্গলের এমনও অনেক এলাকা আছে যেখানে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অদৃশ্য। কোনদিকে ভারত কোনদিকে বাংলাদেশ তা নির্নয় করা কঠিন। ভারতের দিকে ত্রিপুরা আর বাংলাদেশের দিকে পড়েছে সিলেট। সাতছড়ি অরণ্যের মূলনিবাসী উপজাতি জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা জাতির অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় ত্রিপুরা পল্লীর নামকরণ থেকেই স্পষ্ট।

বিরলতম প্রাণী ও উদ্ভিদ গবেষকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের সাতছড়ি অরণ্যাঞ্চল। পর্যটকরা আসেন অনবরত। তবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার বাইরে বৃহত্তর বনাঞ্চলে যাতায়াতে দুর্গমতার কারণে এখানেই সীমান্ত পারাপার হয় অতি সহজে। টিলা-জঙ্গল, নদী ঘেরা অদ্ভুত নীরবতা আর আলো আঁধারিময় সাতছড়িতে ছড়িয়ে আছে ভারত বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৈরি করা বহু বাংকার। মাটির তলায় পোঁতা আছে আগ্নেয়াস্ত্র।

চুপ যা টাইগার আসতাসে, বাঘের থাবা খাবা!

টাইগার?

এই নামটি পরিচিত সমগ্র পার্বত্য ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্যাঞ্চলে। বেশি কিছু কেউ বলবে না এখনও। ‘বাঘের থাবা’ খেতে কেউ চায় না।

সেই টাইগার কে?

অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF) একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। মূলত ত্রিপুরার হিন্দু আদিবাসী উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাদের সংগঠন ছড়িয়ে ছিল। দলনেতা রণজিত দেববর্মা পরে আত্মসমর্পণ করে। ত্রিপুরায় বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তৎকালীন মু়খ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের শাসনে টাইগার হয়ে যায় ঘুমন্ত বাঘ। তবে আতঙ্কটা রয়ে গিয়েছে- চুপ যা টাইগার আসতাসে, বাঘের থাবা খাবা!

টাইগারের প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল লিবারেশন!

পার্বত্য ত্রিপুরার উপজাতি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রভাবশালী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT)। সংগঠনটি ফের সক্রিয়। সম্প্রতি তাদের সাংগঠনিক কাঠামোর বড়সড় রদবদল করা হয়। একশ শতাংশ খ্রিষ্টানধর্মাবলম্বী নিয়ে পরিচালিত এনএলএফটি বাংলাদেশের জমিতে ফের ঘাঁটিগুলি পরিচালিত করছে। পুরনো নেতা বিশ্বমোহন দেববর্মার নীতি থেকে সরেছে এই সংগঠন।

তাৎপর্যপূর্ণ, সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আবার পারস্পরিক সংঘর্ষ এই নিয়েই ত্রিপুরার পার্বত্য এলাকা ও বাংলাদেশ সংলগ্ন অঞ্চলে এলাকা ভিত্তিক সমান্তরাল সরকার কায়েম করেছিল দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। এটিটিএফ ও এনএলএফটি এই দুই সংগঠনের নিরাপদ ঘাঁটি বাংলাদেশের জমিতে।

প্রতিবেশি দেশে জামাত ইসলামি ও বিএনপি জোট সরকারের আমলে ভারত বিরোধী তৎপরতা বেড়েছিল। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশ থেকে বৃহত্তর বেআইনি অস্ত্র চালান ষড়যন্ত্র (দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা) বানচাল হয়। অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা (এখন আলফা-স্বাধীনতা) প্রধান পরেশ বড়ুয়ার জন্য যাচ্ছিল সেই আগ্নেয়াস্ত্র। চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনার পর থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো।

বস্তুতপক্ষে ৮০-৯০ দশক থেকে ২০০০ সাল শুরুর কিছু পর পর্যন্ত ত্রিপুরা ছিল উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিচরণভূমি। ঠিক সেই সময়েই সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে ছিল নিরাপদ ঘাঁটি। ত্রিপুরায় সন্ত্রাসবাদ বা উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদ ঘুমিয়ে পড়েছিল গত বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। কড়া বাস্তব, বাম সরকার পতনের পর বিজেপি জোট সরকারের আমলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয়।

বাংলাদেশের মাটিতে যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয় তার দাবি করেছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি এখন বিরোধী নেতা। সম্প্রতি তিনি এনএলএফটির হামলায় দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃতুর পর একই দাবি করেন। ত্রিপুরার বিজেপি সরকারও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানায়।

ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় হতে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কি ফের পুরনো অবস্থান ফিরছে? এই প্রশ্ন বারবার উঠছে। রাজ্যটির তিনদিকে একেবারে গা ঘেঁষে থাকা বাংলাদেশ। সিলেটের সাতছড়ি অরণ্যে বারবার অস্ত্র উদ্ধার প্রমাণ করছে মানিকবাবুর দাবি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর এমন দাবিতে ঢাকা ও নয়াদিল্লি নড়ে চড়ে বসেছিল।

<

p style=”text-align: justify;”>বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সেই নীতি নিয়েই সাতছড়ির মতো সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বারবার অভিযান চলছে।

]]>
Tripura: ‘কল্পিত’ অভিযোগ টিকল না, BJP সরকারকে ধাক্কা দিয়ে মানিকের জামিন https://ekolkata24.com/uncategorized/cpim-top-leaders-with-ex-cm-manik-sarkar-gets-bails-for-protest-against-bjp-government-in-covid-condition Wed, 01 Dec 2021 08:00:15 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12978 News Desk: সকালে রাজপথ দিয়ে হাঁটছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ ত্রিপুরা (Tripura) সিপিআইএমের শীর্ষ নেতারা। আদালতের দিকে তাঁদের যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের গতিতে। কেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আদালতে? উঠতে শুরু করে প্রশ্ন।

তাৎক্ষণিকভাবে সিপিআইএম ফেনী পেজে জানানো হয়, জনগণের দাবি নিয়ে নিয়ে আন্দেলনের কারণে মামলা দায়ের করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। সেই মামলায় হাজিরা ও জামিন নিতে আদালতে যাচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে আদালত চত্বর ছিল সরগরম। মানিকবাবু সহ রাজ্য সিপিআইএমের তাবড় নেতারা ছিলেন অভিযুক্ত। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আদালতে হেঁটে উপস্থিতি নিয়ে শোরগোল ছড়ায়।

পরে আদালত প্রাঙ্গনের বাইরে এসে মানিক সরকার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে সব দিক বিবেচনা করে সম্মানীয় বিচারক জামিন দিয়েছেন। পুরো অভিযোগ ছিল কল্পিত।

সদ্য পুর ও নগর নির্বাচনে বিজেপি বিপুল জয় পেয়েছে ত্রিপুরার। ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগে বারবার বিদ্ধ হয়েছে বিজেপি জোট সরকার। তবে নির্বাচনে খড়কুটোর মত উড়ে গিয়েছে বিরোধী দল সিপিআইএম। তবে তারাই রাজ্যে ভোটের নিরিখে বিরোধী দল বলে দাবি করেছে সরকারপক্ষ।

ফল ঘোষণার পরে মঙ্গলবার মানিকবাবু কড়া সমালোচনা করেন রাজ্য সরকারের। এর পর বুধবার সকালে তাঁর আদালতে হাজিরা আরও শোরগোল ফেলে দেয়।

মানিকবাবু জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট আগরতলায় ১৬ দফা দাবি নিয়ে বিরোধী দল সিপিআইএম সমাবেশ আন্দোলন করেছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারের হাত গুটিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে জনগণ জড়ো হন। সিপিআইএমের তরফে সরকারের কাছে চিকিৎসা, আর্থিক সাহায্যের দাবি করা হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে সেই সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। কিন্তু সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের বিরুদ্ধে ছিল আন্দোলন।

মানিকবাবু জানান, সেই আন্দেলন থেকে সিপিআইএম নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করেই ছেড়ে দেয় পুলিশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগ পুরো কল্পিত। আদালত সব অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখেছে। সম্মানিত বিচারক সব দিক বুঝে জামিন দিয়েছেন।

মানিকবাবু বলেছেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন। জিরো পারফরম্যান্স। তাই এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল। আদালতেই এর মোকাবিলা হবে।

]]>
Tripura: মোদীর টুইটে ‘সুশাসন’ বেছে নেওয়ার ধন্যবাদ, হামলায় সন্ত্রস্ত ত্রিপুরা https://ekolkata24.com/uncategorized/tripura-post-poll-violence Mon, 29 Nov 2021 04:23:52 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12729 News Desk: পুর ও নগর পরিষদ-পঞ্চায়েক নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে ত্রিপুরার (Tripura) শাসকদল বিজেপি। প্রবল ভোট সন্ত্রাস ও রিগিং অভিযোগে নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট বারবার রাজ্যের বিজেপি সরকারকে নির্বিঘ্নে ভোট ব্যবস্থা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিল।

অভিযোগ, সেই নির্দেশ গিয়েছে ধুলোয় লুটিয়ে। ভোটে সন্ত্রাসের ভয়াবহ হামলা অব্যাহত ফল বের হওয়ার পরেও। রবিবার রাতভর চলেছে হামলা, বাড়ি ঘর ভাঙচুর। সর্বক্ষেত্রে হামলায় অভিযুক্ত বিজেপি।

পুর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন। তিনি লিখেছেন, ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ। তাঁরা সুশাসন বেছে নিয়েছেন।

Tripura post poll violence

সুশাসনের ভয়াবহ ছবি সোমবার সকাল হতেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। শুধু আগরতলা নয়, জেলায় জেলায়, এলাকাভিত্তিক হামলা চলছে। গাড়ি ভাঙচুর, বিরোধী দল সিপিআইএমের সমর্থকদের উপর হামলা অব্যাহত। তেমনই আক্রান্ত হচ্ছেন তৃ়ণমূল কংগ্রেস সমর্থক ও প্রার্থীরা। আক্রান্ত কংগ্রেসও।

ভোটের ফল ঘোষণার পর ত্রিপুরার মু়খ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানান, এই জয় জনগণের জয়। ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপির দাবি গণতন্ত্রের জয়। প্রধান বিরোধীদল সিপিআইএমের দাবি, গণতন্ত্র লুঠ হয়েছে। টিএমসি ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে। বিধানসভায় খেলা হবে বলে জানিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে ভোটের ফল প্রত্যাখান করা হয়েছে। তিপ্রা মথা ভোট সন্ত্রাস নিয়ে সরব।

রবিবার পুর ও নগর পঞ্চায়েত-পরিষদ ভোটের ফলাফলে বিজেপি কার্যত একতরফা জয়ী। ফলাফল বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনে ৯৯ শতাংশ জয়ী শাসকদল বিজেপি।

মোট ২০টি পৌর এলাকার ৩৩৪টি আসন। বিজেপি জয়ী ৩২৯টি। ৯৯ শতাংশ আসনে জয়!
তাৎপর্যপূর্ণ, ৭টি পুর ও নগর পঞ্চায়েতে নির্বাচন হয়নি। এই এলাকাগুলিতে বিরোধীদের উপর হামলার বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় জয়ী হয় বিজেপি।

আগরতলা পুরনিগম সহ যে ১৩টি নগর পঞ্চায়েক ও পরিষদের ভোট হয়েছিল তার ২২২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২১৭টি। বিরোধী সিপিআইএম পেয়েছে ৩টি। টিএমসি একটি। তিপ্রা মথা ১টি।

]]>
Tripura: বামেদের ঘাড়ে ‘হামলা’ মমতার, হাসি চওড়া মোদীর https://ekolkata24.com/uncategorized/tmc-established-their-name-in-next-tripura-assembly-election Sun, 28 Nov 2021 09:59:27 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12652 News Desk: ত্রিপুরা (Tripura) পুর ও নগর পঞ্চায়েত, পরিষদের ভোটের ফলে ‘ব্যাপক রিগিং’ ছাপ লাগলেও শাসক বিজেপির বিপুল জয় সর্বত্র। আর বিরোধী দল সিপিআইএমের করুণ অবস্থা। ত্রিপুরায় আরও একটি সমীকরণ তৈরি হলো। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উঠে আসা। বিরোধী দল না হয়েও কার্যত বিরোধীদলের ভূমিকা নিতে চলেছে মমতা শিবির।

পুর নির্বাচনের ফলাফলে দিশেহারা বাম শিবির। দুই দফায় রাজ্যে মোট ৩৫ বছর (১০+২৫) মধ্যে সর্বশেষ টানা ২৫ বছর সিপিআইএম ছিল সরকারে। গত বিধানসভা ভোটের পর বিরোধী আসনে তারা। দলটির দখলে আছে ১৬ জন বিধায়ক। এই শক্তি নিয়েও ফলাফলে তেমন কিছুই করতে পারেনি বিরোধীরা। ত্রিপুরায় ব্যাপক ভোট রিগিং হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিআইএমের।

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও ভোট সন্ত্রাস অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও সন্ত্রাস চলেছে ভোটে এমনই অভিযোগ। এরই মাঝে নিজেদের ভোট বাড়িয়ে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলা পুরনিগমে ব্যাপক ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগ এলেও এখানেই টিএমসি বিভিন্ন ওয়ার্ডে বামেদের তিননম্বরে পাঠিয়েছে। কোনও কোনও ওয়ার্ডে তারা সিপিআইএমের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেছে।

রাজ্যের অন্যান্য নগর পঞ্চায়েত ও পুর পরিষদের ভোটেও বিজেপির বিপুল জয়ের মাঝে টিএমসি যেমন আছে টিমটিম করে, তেমনই আছে সিপিআইএম। একাধিক আসনে বামেদের থেকে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সর্বত্র বিজেপি জয়ী। জয়ের এই খবরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাসি চওড়া। কারণ তাঁরই ঝড়ে গত বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরায় ভেঙে পড়েছিল বিরাট বাম দুর্গ।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে প্রচারে এসে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতা মানিক সরকার বলেছিলেন, তাঁর রাজ্যে বিজেপি সরকারের আমলে জনগণের নিদারুণ অভিজ্ঞতার কথা। ঠিক সেই সময়ে ত্রিপুরা ছিল দেশের বেকারত্ব তালিকায় শীর্ষে। পূর্ব বর্ধমানের সদর বর্ধমান শহরে সিপিআইএমের জনসভায় মানিকবাবুর ভাষণের পর রাজ্য জুড়ে প্রবল শোরগোল পড়েছিল।

বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে টিএমসি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার মানিকবাবুর সেই ভাষণকে হাতিয়ার করেছেন। প্রচারে এসেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তবে তিনি সাড়া পাননি।

ভোটে এ রাজ্যে সিপিআইএম শূন্য হয় বিধানসভায়।বিজেপির দাবি ত্রিপুরায় ডবল ইঞ্জিনের উন্নয়ন হয়েছে। এর পরেও বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়তে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেস টানা তিনবার সরকারে।

বঙ্গে বিজেপিকে রুখে দিয়ে ত্রিপুরায় ঝাঁপ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। সেই লক্ষ্যে তিনি সেমিফাইনাল ম্যাচে অস্তিত্ব জানিয়ে দিলেন। বিরাট ভোট ধাক্কা নিয়ে মানিক সরকার ও সিপিআইএম আসন্ন বিধানসভার ভোটে ঘুরে দাঁড়ানোর সূত্র খুঁজতে মরিয়া। 

]]>
Tripura: পুর নির্বাচনের পরেই BJP তে বড় ধসের ইঙ্গিত, সুদীপ সমীকরণে চাঞ্চল্য https://ekolkata24.com/uncategorized/tripura-bjp-may-expelled-sudip-roy-barman Wed, 24 Nov 2021 07:12:11 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12195 News Desk: সাংবাদিক বৈঠকে যেভাবে দল ও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ, তাতে ত্রিপুরা বিজেপি ক্ষুব্ধ। শাসক দলের তরফে জানানো হয়েছে ভোট মিটলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর পরেই প্রশ্ন সুদীপবাবু কি ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন?

ত্রিপুরায় টিএমসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সাংসদ সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, সুদীপ দা গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাঁর মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। যদিও আগরতলা থেকে কলকাতা ফিরে তিনি এই বিষয়ে নীরব। তবে জানিয়েছেন, পুর নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসের আশঙ্কা প্রবল।

এদিকে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বর্তমান হেভিওয়েট বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মণের দাবি, তিনি দলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র রুখতে চান। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে পুর ও নগর পঞ্চায়েত ভোটে যে হুলিগান তাণ্ডব চলছে তাতে সরকারের কী বক্তব্য? কোথায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ? তাৎপর্যপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর ও পুলিশ বিভাগ।

পুর ভোটের দিন রাস্তায় নেমে তাণ্ডবলীলা রুখবেন বলে জানিয়েছেন সুদীপবাবু। আর রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়, ভোটের দিন দলীয় কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। সুদীপবাবু যখন নিজেকে বিজেপির কার্যকর্তা বলে দাবি করেছেন তিনিও থাকবেন। তবে তাঁর মন্তব্য নিয়ে ভোটের পরেই সিদ্ধান্ত নেবে দল।

সুদীপবাবু কি টিএমসিতে আসছেন ? আগরতলা থেকে কলকাতা পর্যন্ত এই প্রশ্ন। সূত্রের খবর, বিপ্লব দেব বিরোধী বিধায়কদের নিয়েই দলত্যাগের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সুদীপ রায় বর্মণ। তবে তিনি পুর ভোট পর্যবেক্ষণ করেই সিদ্ধান্তে নেবেন।

পুর নির্বাচনে সন্ত্রাস উপেক্ষা করে আগরতলাবাসীকে ভালো কিছুর জন্য ভোট দিতে আহ্বান জানান সুদীপবাবু। এই মন্তব্য ঘিরেই রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। তিনি বলেন, আগে উৎসবের মেজাজে রাজ্যে ভোট হত। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে আগামী দিনে বিজেপির ভয়ঙ্কর অবস্থা হতে চলেছে।

সুদীপবাবুর এই উৎসবের মেজাজে ভোটের কথা বিরোধী দল সিপিআইএম লুফে নিয়েছে। বাম মহলের দাবি, ত্রিপুরায় টানা ২৫ বছর বামফ্রন্ট সরকারের আমলে নির্বিঘ্নে ভোট হতো তা স্বীকার করেছেন সুদীপবাবু।

ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মণের পুত্র সুদীপ রায়বর্মণ। তিনি দীর্ঘ সময় কংগ্রেসের বিধায়ক। টানা বাম আমলে দাপুটে কংগ্রেস নেতা। তবে গত বিধানসভা ভোটের আগে সুদীপবাবু সহ ততকালীন বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়করা টিএমসিতে যোগ দেন। রাজ্যে টিএমসি হয়েছিল ক্ষনিকের জন্য বিরোধী দল। এরপর বিধানসভা ভোটের আগে সুদীপবাবু সহ সেই বিধায়করা বিজেপিতে চলে যান। বিরোধী দল থেকে পরিবর্তনের ভোটে ত্রিপুরায় সরকার গড়ে বিজেপি। আর সিপিআইএম হয় প্রধান বিরোধী দল।

রাজ্যে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের আমলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন সুদীপবাবু। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিধানসভা ও বাইরে সরব ছিলেন তিনি। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

]]>
Tripura: ‘পশ্চিমবঙ্গে TMC সন্ত্রাসের ছবি ত্রিপুরায় দেখাচ্ছে BJP’ https://ekolkata24.com/uncategorized/opposition-party-cpim-slams-bjp-lead-government-for-political-violence-in-tripura Sun, 21 Nov 2021 16:47:53 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11987 News Desk: পশ্চিমবঙ্গে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস চালাচ্ছে, তেমনই ত্রিপুরায় বিজেপি একই পথ নিয়েছে। ত্রিপুরায় পুর ও নগর পঞ্চায়েত ভোটের আবহে রবিবার দিনভর রাজনৈতিক হামলার প্রেক্ষিতে এমনই অভিযোগ করলেন সিপিআইএম নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।

সুজনবাবুর আরও অভিযোগ দুই রাজ্যের দুই শাসক দলের বিরুদ্ধেই। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় সিপিআইএম প্রধান বিরোধী দল। কেন তাদের উপর হামলার সংবাদ চেপে যাচ্ছে কলকাতার সংবাদ মাধ্যম।

tripura

ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলা শিকেয় উঠেছে এমনই অভিযোগ করে বিবৃতি দিল বিরোধী দল সিপিআইএম। এই বিবৃতিতে তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে থানায় জেরা করার সময় হামলার কড়া নিন্দা জানানো হয়েছে।

বিবৃতি দিয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা করেছে সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি। বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন মু়খ্যমন্ত্রী মানিক সরকার নির্বাচনী জনসভায় বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন সরকার জনসমর্থন হারিয়ে হিংসার পথ নিয়েছে। আগামী বিধানসভা ভোটে পরাজয় নিশ্চিত।

দিনভর পূর্ব আগরতলা থানায় দফায় দফায় হামলা চালানো হয়। টিএমসি নেতারা থানাতেই আক্রান্ত হন। সাংবাদিকরা আক্রান্ত হন। অভিযোগ পুলিশের সামনেই হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। তবে পুলিশ বলছে ‘কিছু জানি না’। এমনকি রাজ্য পুলিশের কর্তারা পর্যন্ত নীরব।

ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের তরফেও শাসক বিজেপি কড়া নিন্দা করা হয়েছে। দলীয় প্রার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলেই অভিযোগ।

খুনের চেষ্টার অভিযোগে তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করার পর থেকে ত্রিপুরার ভোট উত্তাপ পশ্চিমবঙ্গে ছড়াতে শুরু করে। পরপর অভিযোগে বিদ্ধ হয়েও শাসক বিজেপি নীরব। তবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, সায়নী ঘোষ ত্রিপুরায় হাওয়া গরম করতে গেছেন।

]]>
Tripura: ‘ভোটে সন্ত্রাস’ নিরাপত্তা দিক সরকার, সুপ্রিমকোর্টে অস্বস্তিতে BJP https://ekolkata24.com/uncategorized/tripura-election-clash-supreme-court Thu, 11 Nov 2021 14:12:55 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=11020 News Desk: ত্রিপুরায় আসন্ন পুর নির্বাচনে রাজনৈতিক আক্রমণ ‘লাগামছাড়া’।বিরোধীদের এমনই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে নির্বিঘ্নে প্রচার ও নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম নির্দেশে প্রবল অস্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেবের আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সাংসদ আবেদনে বলেন, ত্রিপুরায় লাগামছাড়া রাজনৈতিক হামলা চলছে তৃণমূল প্রার্থী ও সমর্থকদের উপরে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট ত্রিপুরা সরকারকে ভোট নির্বিঘ্নে করার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি  ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, সরকারকে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচার চালানোর যথাযথ দায়িত্ব নিতে হবে। কাউকে প্রচারে বাধা দেওয়া যাবে না।

ত্রিপুরায় গত বিধানসভা ভোটে টানা ২৫ বছরের বাম শাসনের পতন হয়। সরকার গড়ে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট। ২০১৮ সাল সেই বিধানসভা ভোটের গণনার দিন থেকে প্রবল রাজনৈতিক হামলা শুরু হয়। দেশজুড়ে বারবার আলোচিত হয়েছে বিরোধী সিপিআইএম ও কংগ্রেসের উপর ত্রিপুরার রাজনৈতিক হামলা। এরপর লোকসভা, পঞ্চায়েত ভোটেও রাজনৈতিক সন্ত্রাস চালানোয় অভিযুক্ত হয়েছে বিজেপি।

আসন্ন পুর ও নগর পরিষদ ভোটে শতাধিক আসনে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় জিতেছে। অভিযোগ, বিরোধী দল সিপিআইএম সহ কংগ্রেস, টিএমসি কোনও দলই এই আসনগুলিতে প্রার্থী দিতে পারেনি।বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিয়েও তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএম নাম প্রত্যাহার করেছে।

পুর নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে আগরতলা পুর নিগমে। বিজেপি ও সিপিআইএমের মধ্যে বোর্ড দখলের লড়াই। তবে টিএমসি ও কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। ভোট ২৫ নভেম্বর। ২৮ নভেম্বর গণনা।

বিরোধী সিপিআইএমের অভিযোগ, পুর ও নগরপরিষদ ভোটে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। আক্রান্ত বাম সমর্থক ও প্রার্থীদের বাড়ি যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।

বিরোধী দলনেতা মানিকবাবু জানিয়েছেন, বিজেপি সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভোট সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গত নির্বাচনের আগে যে বাড়ি বাড়ি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি তা পূরণে ব্যর্থ। সরকার পতনের মুখে।

]]>
DYFI রাজ্য সম্মেলনে সাধারণ যাত্রী হয়ে আসছেন চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার https://ekolkata24.com/uncategorized/like-a-ordinary-passenger-ex-cm-of-tripura-manik-sarkar-coming-to-attend-dyfi-conference Fri, 01 Oct 2021 18:27:51 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6265 নিউজ ডেস্ক: সম্মেলন মঞ্চের প্রস্তুতি দেখনদারি। তবে দলটাই যে বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেছে। রাজ্যের কোনও লোকসভাতেই নেই। এমনই অবস্থায় সিপিআইএমের যুব সংগঠন ডিএয়াইএফআইয়ের (DYFI) ১৯ তম রাজ্য সম্মেলন হচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raiganj)।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ত্রিপুরার চারবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার (Manik Sarkar)। তিনি রায়গঞ্জে আসছেন এমন একটি ছবি প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে সিপিআইএম(CPIM) পলিটব্যুরো সদস্য মানিকবাবু তাঁর ‘যুব কমরেড’ দের আহ্বানে ট্রেনে আগরতলা থেকে রায়গঞ্জে আসছেন। সঙ্গে আছেন ত্রিপুরার বাম যুবকর্মীরা।

Manik sarkar

মানিক সরকারের এমন ছবি দেখে বাম সমর্থক তো বটেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে পড়েছে বিপুল সাড়া। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সরকারি সুবিধা অনুযায়ী আগরতলা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় আসতে পারতেন, কিন্তু দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে খোশগল্প করতে করতে ট্রেনে আসছেন এ দৃশ্য রীতিমতো বিরল।

শনিবার রায়গঞ্জের রেল ময়দানে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্মেলনে মানিক সরকার প্রধান বক্তা। তিনি এই মুহূর্তে ক্ষয়িষ্ণু বাম দলগুলির কাছে ‘আইকন’। আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে তাঁকে মুখ করেই ফের রাজ্যটি পুনর্দখলে ঝাঁপাবে সিপিআইএম।

DYFI

টানা ২৫ বছর ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট সরকার ছিল। গত বিধানসভা ভোটে সে রাজ্যে বাম সরকারের পতন হয়। কুড়ি বছরের টানা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার হন বিরোধী নেতা।

ডিওয়াইএফআই জানিয়েছে, সম্মেলনের লোগো উদ্বোধন করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা সব্যসাচী। তিনিও সম্মেলনের জন্য শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন।

DYFI

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছেন বাম যুব সংগঠনটির রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি (Minakshi Mukherjee)। গত বিধানসভা ভোটে তিনি নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার সিপিআইএম প্রার্থী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন। পরাজিত হলেও মীনাক্ষীর প্রচার নন্দীগ্রাম সহ রাজ্য জুড়ে প্রবল আলোড়ন ফেলেছিল।

]]>
মানিক, বাদল, জীতেন্দ্র, কার হাতে সিপিআইএমের ভার, প্রবল গুঞ্জন ত্রিপুরায় https://ekolkata24.com/uncategorized/who-will-be-the-next-state-secretary-of-tripura-cpim Thu, 16 Sep 2021 13:19:52 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4768 নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ত্রিপুরা সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস। করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর প্রয়াণ হয়। গৌতমবাবু এমন সময়ে প্রয়াত হলেন যখন ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট নিকটে এসে পড়েছে। বিরোধী দল সিপিআইএম কোমর বেঁধে নামছে ভোট ময়দানে। দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা টানা কুড়ি বছরের মুখ্যমন্ত্রী থাকা মানিক সরকার।

বৃহস্পতিবার কলকাতায় গৌতম দাসের প্রয়াত হতেই আগরতলার রাজনৈতিক মহলে শোক ছড়ায়। তাৎপর্যপূর্ণ, তিনি যে বছর সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক হন সেই ২০১৮ সালেই ত্রিপুরায় পতন হয় টানা ২৫ বছরের বাম শাসনের। ক্ষমতায় আসে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার। সিপিআইএম হয়ে যায় বিরোধী দল।

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক থাকাকালীন বারবার সরকারের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করেছেন গৌতমবাবু। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পরেই তাঁর মুখ আগরতলার সংবাদ মাধ্যমে বাম নেতাদের মধ্যে বেশি ভেসে উঠত। সোমবার তিনি প্রয়াত হওয়ার পর রাজ্য সম্পাদক পদে কে বসছেন ? এই প্রশ্ন যেমন বাম মহলে, তেমনই সরকারপক্ষ বিজেপিতেও। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেও ঘুরছে একই প্রশ্ন।

গুঞ্জন, বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে রাজ্য সম্পাদকের সাময়িক দায়িত্ব দিতে পারে সিপিআইএম। তিনি এক সময় এই দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে আরও দুটি মুখ বেছে রাখা হচ্ছে। প্রথমেই রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ ও দাপুটে নেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী ও দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরী। এর পরে নাম ভেসে আসছে প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার পবিত্র করের।

মানিক বাদল জীতেন্দ্র ত্রিপুরা সিপিআইএমের তিন জবরদস্ত মুখ। বলা হয়,বঙ্গ বাম যেমন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পর দ্বিতীয় কোনও মুখ তৈরি না করার খেসারত দিয়ে ভোট ময়দানে শূন্য হয়েছে, সেই ভুল করেনি ত্রিপুরার সিপিআইএম। তাদের তিন নেতা সবসময় সামনের সরিতে।

মানিক সরকারের পরিচিতি দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও। জীতেন্দ্র চৌধুরীর রাষ্ট্র জনপ্রিয়তা উপজাতি মহলে। সেখানে তিনি নতুন করে সংগঠন চাঙ্গা করছেন। আর প্রাক্তন পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলে পাঠিয়েছিল সরকার। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারের মুখ পুড়েছে। বাদলবাবু জনপ্রিয়। এর পরেই থাকছেন পবিত্র কর। বিধানসভা পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইবে দল।

]]>
বাংলাদেশে ঢুকে ট্রেনিং, ত্রিপুরা ফিরে আত্মসমর্পণ তিন জঙ্গির https://ekolkata24.com/uncategorized/nlft-militants-arrested-in-tripura Thu, 16 Sep 2021 05:25:52 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4727 আগরতলা: ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলাভাষী প্রধান ত্রিপুরায় উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। বু়ধবার বাংলাদেশ থেকে গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢোকা তিন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনায় স্পষ্ট, প্রতিবেশি দেশের সরকার যতবারই দাবি করুক, তাদের জমিতে ভারত বিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলির অস্তিত্ব বিলীন, আদৌ তা নয়।

ঢাকার দাবি ফের একবার ভুল প্রমাণ হলো। ত্রিপুরা তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা বা NLFT ফের সক্রিয়। সম্প্রতি এই সংগঠনের হামলায় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে গভীর বনাঞ্চলে ঢুকে পড়ে।

বুধবার তিন এনএলএফটি জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে। ধৃতদের নাম আলিন্দ্রা রিয়াং, অনিদা রিয়াং, কুমার রিয়াং। পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিরা সশস্ত্র ছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পিস্তল সহ চারটি গোলা।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে তারা ২০১৯ সালে এন এল এফ টি জঙ্গিগোষ্ঠী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। এরপর তারা বাংলাদেশে গিয়ে এনএলএফটি ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেয়। তারা

আরও জানিয়েছে, পরে তারা বুঝতে পারে ‘ত্রিপুরার স্বাধীনতা’র নামে তাদের সাথে প্রতারিত করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের জঙ্গি সংগঠনের মারাত্মকভাবে আর্থিক সংকট চলছে।

NLFT মূলত ত্রিপুরার উপজাতি এলাকায় তাদের সংগঠন ছড়িয়েছিল ১৯৯০ দশকে। সংগঠনটির সদস্যরা সঙ্গে রাখেন ধর্মীয় প্রতীক ‘ক্রুশ’। লক্ষ্য এক হলেও NLFT সংগঠনের প্রতিপক্ষ ATTF বা অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স। তবে তাদের শক্তি এখন নেই। কিন্তু NLFT তাদের সংগঠন চালিয়ে যাচ্ছে।

ত্রিপুরায় গত ২৫ বছরের বামফ্রন্ট জমানায় দুই মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেব ও মানিক সরকার দুটি জঙ্গি সংগঠনের বিষদাঁত ভেঙে দেন। রক্তাক্ত ত্রিপুরা হয় শান্ত। গত বিধানসভার ভোটে বাম সরকারের পতন হয়। নির্বাচনের আগে সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে ততকালীন মু়খ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের অভিযোগ ছিল প্রতিবেশি দেশের জমিতে সক্রিয় ত্রিপুরার জঙ্গি সংগঠনগুলি। এই মন্তব্যের জেরে নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্র ম

]]>
মানিকের সেই “মাইনাস জিরো পারফরম্যান্স বিজেপির” মন্তব্যে তীব্র শোরগোল https://ekolkata24.com/uncategorized/ex-cm-of-tripura-manik-sarkar-again-said-minus-zero-bjp-central-politics-became-hot Wed, 15 Sep 2021 07:31:17 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4631 নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পরিবেশ ত্রিপুরায় (Tripura)। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম। বিজেপি জোট সরকার তীব্র বিতর্কে। ‘মাইনাস জিরো বিজেপি’ এখন ত্রিপুরা ছাড়িয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছে।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে দলেরই পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার  (Manik Sarkar) সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ফের ‘মাইনাস জিরো বিজেপির পারফরম্যান্স’ মন্তব্য করেন। মানিকবাবুর সেই মন্তব্য সর্বপ্রথম প্রচার করে ekolkata24.com বাংলা ওয়েব সংবাদ মাধ্যম।

পডুন গত ৮ সেপ্টেম্বরের সেই খবর

দিল্লিতে মানিক সরকার ফের একই মন্তব্য করার পরেই দিল্লির রাজনীতি উত্তপ্ত। তাঁর ভাইরাল মন্তব্যটি নিয়ে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা সরব হতে শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়াবেন দ্রুত।

জানা গিয়েছে, বাম শাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন, কংগ্রেস শাসিত ছত্তিসগড়, পাঞ্জাব, ডিএমকে বাম কংগ্রেস জোট শাসিত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীরাও মোদী সরকারকে বিঁধতে তৈরি।

দিল্লিতে সর্বভারতীয় সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে মানিকবাবু জানান, রাজ্যটিতে আরএসএস ভয়ঙ্কর নীতির প্রয়োগশালা করার চেষ্টা করছে। ত্রিপুরা হলো আরএসএস বিজেপির রাজনৈতিক স্বৈরাচারী শাসনের গবেষণাগার।

গত ৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনা।সেদিন রাজনৈতিক আগুনে ত্রিপুরা জ্বলছিল। আগরতলা, উদয়পুর সহ এই রাজ্যের সর্বত্র বিরোধী দল সিপিআইএমের একের পর এক কার্যালয়ে আগুন ধরানো হয়। এমনকি আগরতলায় দলটির রাজ্য দফতর দশরথ দেব ভবন সহ দুটি সংবাদ প্রতিষ্ঠান দফতরে ভাঙচুর হয়। অভিযোগ প্রতিক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রেখে সরকারে থাকা বিজেপির সমর্থকরা হামলা চালায়। দলীয় পতাকা নিয়ে তাদের হামলার ছবি ও রাজপথে ভীত মানুষের পালানোর দৃশ্য দেশ জুড়ে ভাইরাল হয়েছে।

হামলার নেপথ্য কারণ হিসেবে উঠে এসেছে সম্প্রতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী নেতা মানিক সরকারের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিপিআইএম কর্মীদের আক্রমণ। নিজের বিধানসভা ধনপুরে যেতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন মানিকবাবু। তাঁর উগ্র মূর্তিতে উৎসাহী হয়ে বাম সমর্থকরা হামলা চলায় ঘেরাওকারী বিজেপি সমর্থকদের উপরে। রনে ভঙ্গ দেয় বিজেপি।

বাম সমর্থকদের হামলার প্রতিবাদে ত্রিপুরা জুড়ে ৮ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল প্রদেশ বিজেপি। অভিযোগ সেই সব মিছিলে বারবার হামলা চালায় সিপিআইএম সমর্থকরা। আচমকা দুপুরের পর থেকে বিজেপির সমর্থকরা উগ্রমূর্তি নেন। জ্বলতে থাকে ত্রিপুরা।

সন্ধে নাগাদ বিরোধী নেতা মানিক সরকার দাবি করেন, রাজ্যে শাসক দলের পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। তাদের পারফরম্যান্স ‘মাইনাস জিরো’।

]]>
Photo Gallery: জ্বলছে ত্রিপুরা-আগরতলায় আতঙ্ক https://ekolkata24.com/uncategorized/photo-gallery-tripura-agartala-panic-is-burning Wed, 08 Sep 2021 16:26:13 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4192 রাজনৈতিক হামলায় বিরোধী দল সিপিআইএম রাজ্য দফতর পুড়েছে। এমনই আগুন যে আসেপাশের কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ছড়ায়। অভিযোগ পুলিশ নির্বিকার। হামলায় অভিযুক্ত সরকারে থাকা বিজেপি সমর্থকরা। বু়ধবার ত্রিপুরায় একের পর এক জেলা সদর, মহকুমা ছাড়িয়ে তীব্র রাজনৈতিক উত্তাপে খোদ রাজধানী আগরতলা শহর যেন জ্বলন্তপুরী। আগুনে জ্বলছে ত্রিপুরা দেখুন ছবিতে

Political vandalism creats controversy in tripura Attack on cpim tripura state office at agaartala Attack on cpim tripura state office at agaartala Attack on cpim tripura state office at agaartala ]]>
জ্বলছে আগরতলা, মাইনাস জিরো পারফরম্যান্স বিজেপির, জনবিচ্ছিন্ন দল: মানিক সরকার https://ekolkata24.com/uncategorized/political-vandalism-creats-controversy-in-tripura Wed, 08 Sep 2021 16:16:15 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4182 নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হামলায় বিরোধী দল সিপিআইএম রাজ্য দফতর পুড়েছে। এমনই আগুন যে আসেপাশের কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ছড়ায়। অভিযোগ পুলিশ নির্বিকার। হামলায় অভিযুক্ত সরকারে থাকা বিজেপি সমর্থকরা। বু়ধবার ত্রিপুরায় একের পর এক জেলা সদর, মহকুমা ছাড়িয়ে তীব্র রাজনৈতিক উত্তাপে খোদ রাজধানী আগরতলা শহর যেন জ্বলন্তপুরী।

দলীয় রাজ্য দফতরে আগুন ধরানো ও জনজীবনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, মাইনাস জিরো পারফরম্যান্স বিজেপির, জনবিচ্ছিন্ন দল হয়ে গিয়েছে। তবে পুরো ঘটনায় বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ সম্পূর্ণ নীরব।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ত্রিপুরার রাজনৈতিক জ্বলন্ত পরিবেশ। ভয়াবহ পরিস্থিতি। রাজপথ দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন জনগণ। পরপর দোকান লুঠ হচ্ছে। একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে স্লোগান ‘জয় শ্রী রাম’, এই মাটিতেই হিসেব হবে। আতঙ্কিত আগরতলাবাসী। খোদ ত্রিপুরার রাজধানীতে এখন অগ্নিগর্ভ পরিবেশ। হামলায় অভিযুক্ত বিজেপি।

জ্বলছে ত্রিপুরা

Attack on cpim tripura state office at agaartala Attack on cpim tripura state office at agaartala Attack on cpim tripura state office at agaartala

পরিস্থিতি এমন যে আগরতলায় জনগণ প্রবল আতঙ্কিত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কনভয় সোমবার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ধনপুরে আটকেছিল বিজেপি সমর্থকরা। মানিকবাবু নিজে নেমে রুদ্রমূর্তি নেন। বাম সমর্থকরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপির সমর্থকদের উপরে। রণে ভঙ্গ দেয় বিজেপি। মাত্র একদিনের মধ্যেই মারের বদলা নিতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করল বিজেপি বলে অভিযোগ। আগরতলা জ্বলছে। বিশালগড়, উদয়পুর সহ রাজ্যের সর্বত্র হামলায় অভিযুক্ত বিজেপি। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই পরপর আগরতলায় একটার পর একটা দোকান ভাঙচুর করা হয়।

আগরতলায় সিপিআইএমের রাজ্য দফতরে হামলার পাশাপাশি কয়েকটি সংবাদপত্র দফতরেও হামলা হয়। সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির অভিযোগ, বিশালগড়ে তাদের দলীয় দফতরে হামলা করে আগুন ধরিয়েছে বিজেপির সমর্থকরা। প্রকাশ্যেই আগ্মেয়াস্ত্র নিয়ে আস্ফালন করছে হামলাকারীরা। এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

]]>
Tripura: ‘জয় শ্রী রাম’ বলে হামলা CPIM রাজ্য দফতরে, পরপর গাড়িতে আগুন https://ekolkata24.com/uncategorized/attack-on-cpim-tripura-state-office-at-agaartala Wed, 08 Sep 2021 13:57:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4166 আগরতলা: মাত্র একদিনের মধ্যেই মারের বদলা নিতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করল বিজেপি। আগরতলা জ্বলছে। সিপিআইএম রাজ্য দফতরে হামলায় অভিযুক্ত বিজেপি। রাজপথে থাকা একটার পর একটা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সরকারে থাকা দলটির সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

Attack on cpim tripura state office at agaartala

পরিস্থিতি এমন যে আগরতলায় জনগণ প্রবল আতঙ্কিত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কনভয় তাঁর বিধনসভা কেন্দ্র ধনপুরে আটকেছিল বিজেপি সমর্থকরা। মানিকবাবু নিজে নেমে রুদ্রমূর্তি নেন। বাম সমর্থকরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপির সমর্থকদের উপরে। রণে ভঙ্গ দেয় বিজেপি।

Attack on cpim tripura state office at agaartala

ঘটনার জেরে ত্রিপুরা সহ গোটা দেশে ছড়ায় চাঞ্চল্য। বুধবার আগরতলা, বিশালগড়, উদয়পুর সহ রাজ্যের সর্বত্র অগ্নিমূর্তি নেয় বিজেপি সমর্থকরা। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই পরপর আগরতলায় একটার পর একটা দোকান ভাঙচুর করা হয়। আগরতলায় সিপিআইএমের রাজ্য দফতরে হামলা হয়েছে।

Attack on cpim tripura state office at agaartala

 

সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির অভিযোগ, বিশালগড়ে তাদের দলীয় দফতরে হামলা করে আগুন ধরিয়েছে বিজেপির সমর্থকরা। আগরতলার পরিস্থিতি প্রবল উত্তপ্ত। প্রকাশ্যেই আগ্মেয়াস্ত্র নিয়ে আস্ফালন করছে হামলাকারীরা। এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

]]>
“ক্ষমতা দ্যাখাইতাস, তোমাদের ফ্যালাইয়া ফেরত যামু”, আগ্রাসী মানিকে উল্লসিত সুশান্ত, বঙ্গ বামে হেঁচকি https://ekolkata24.com/uncategorized/viral-video-showing-angry-image-of-ex-tripura-cm-manik-sarkar Tue, 07 Sep 2021 09:37:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4079 আগরতলা ও কলকাতা: এ কোন মানিক! যার প্রতিটা বাক্য থাকে সংযত সেই বর্ষিয়ান সিপিআইএম নেতা, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar) রাস্তায় নেমে সরকারপক্ষ বিজেপির উত্তেজিত সমর্থকদের ধমকে ঠান্ডা করছেন। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মানিক সরকার কে আক্রমনাত্মক ভঙ্গীমায়। তিনি বলছেন, “ক্ষমতা দ্যাখাইতাস, তোমাদের ফ্যালাইয়া ফেরত যামু”।

ত্রিপুরার বর্তমান বিরোধী নেতা মানিক সরকারের এমন রূপ কেউ আগে দেখেইনি। বাম মহলে হই হই রব।পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতারা রীতিমতো চমকে গেছেন তাঁদের ত্রিপুরার নেতা মানিক সরকারের আগ্রাসী রূপ দেখে। সিপিআইএম মহলে তীব্র আলোচিত হচ্ছে মানিক সরকারের অবস্থান।

Manik Sarkar

বঙ্গ বামেদের মুখ চুন। জেলা মহকুমার সমর্থকরা পর্যন্ত নেতাদের মুন্ডপাত করছেন। অনেকেরই যুক্তি বুদ্ধবাবুর নরম মুখ দিয়ে দলকে শূন্যতে নামানো ছাড়া কিছুই হয়নি। অথচ ত্রিপুরাতেও দল সরকারে নেই। তবে বিরোধী নেতা মানিক সরকার যেভাবে হামলাকারীদের দিকে তেড়ে গেছেন তা নজিরবিহিন ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এমন কেন করেনা নেতারা, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, মানিক সরকারের রূদ্র রূপ দেখে প্রবল উল্লসিত সিপিআইএমের আগ্রাসী নেতা সুশান্ত ঘোষ। ২০১১ সালে বাম সরকার পতনের পর বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে জড়িয়ে জেলে গিয়েছিলেন সুশান্তবাবু। তবে তিনি আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরেছেন। দল চাঙ্গা হলেও ভোটে সুশান্তবাবু হেরেছেন। সূত্রের খবর,আসন্ন দলীয় রাজ্য সম্মেলনে সুশান্তবাবুর হামলা হবে বুদ্ধদেব ঘনিষ্ট ‘নরম’নেতাদের উপর। আগেই ‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশবছর’ বইতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দূর্বল প্রশাসনিক কাজের প্রবল সমালোচনা করেছেন সুশান্ত ঘোষ।

ঘটনা সোমবারের। ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার নিজের কেন্দ্র ধনপুরে সভা করতে গিয়েছিলেন। তাঁর কনভয় আটকে দেয় বিজেপি। শুরু হয় হামলা। গাড়ি থেকে নেমে মানিক সরকার পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের বারবার বলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে। অভিযোগ, পুলিশ নীরব ভূমিকা নেয়। এর পরেই মানিকবাবু সরাসরি হামলাকারীদের দিকে আঙুল তুলে শাসানি দেন।

পাক্কা স্থানীয় বাচনে( সিলেটি উচ্চারণ ) মানিক সরকার বিজেপি সমর্থকদের বেশি বাড়াবাড়ি না করার হুঁশিয়ারি দেন। এদিকে মানিকবাবুকে ঘিরে রাখে বিজেপি সমর্থক ও পুলিশ। তাদের মাঝখান থেকে নেতাকে ছিনিয়ে আনেন বাম সমর্থকরা। মানিক সরকারের রুদ্র রূপ দেখে উত্তেজিত সিপিআইএম কর্মীরা দলীয় ঝাণ্ডার বাঁশ নিয়ে তেড়ে যান। সেই হামলায় বিজেপি সমর্থকরা জখম হন। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর ঘেরাও কেটে মানিক সরকারকে নিয়ে টানা ৫ কিলোমিটার মিছিল করে সিপিআইএম।

ধনপুরের সভা থেকে রাজ্য সরকার, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মানিকবাবু। তিনি চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। মানিকবাবুর অভিযোগ, কেউ একজন ফোন করে পুলিশকে নির্বিকার থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তাঁর লক্ষ্য সরকারের দুই শীর্ষ মন্ত্রীর দিকে তা স্পষ্ট।

মানিক সরকারের এমন রূপ দেখে পশ্চিমবঙ্গের সিপিআইএম মহলে প্রায় হেঁচকি তোলা পরিস্থিতি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমন ভূমিকা কেন যে রাজ্যের প্রাক্তন বাম মুখ্যমন্ত্রী নেননি তাও সমালোচনায় উঠে আসছে। রাজ্য বাম শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে হতাশার কয়েকটি বাক্য- ইস বাংলায় একজন মানিক সরকার নেই।

]]>
বিজেপির ‘হামলা’ রুখে বামেদের ‘আক্রমণ’, মানিকের দাবি কর্মীরা ‘হিরো-হিরোইন’ https://ekolkata24.com/uncategorized/after-attack-ex-cm-of-tripura-manik-sarkar-claimed-party-workers-were-hero-heroine Mon, 06 Sep 2021 17:19:00 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4049 নিউজ ডেস্ক: আপনারাই হিরো-হিরোইন! মানিক ভাষণে চমকে গিয়েছে ত্রিপুরা। সাম্প্রতিক অতীত তো বটেই, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এমন প্রথাভাঙা ভাষণ কবে দিয়েছেন বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা তথা ত্রিপুরার বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার (Manik Sarkar) তা নিয়ে তুুমুল চর্চা আগরতলার রাজনৈতিক মহলে। ত্রিপুরা সিপিআইএম রাজ্য দফতর দশরথ দেব ভবন সরগরম। শাসক বিজেপির সদর কার্যালয় কৃষ্ণনগরে গুঞ্জন মানিক সরকারের ভাষণ নিয়ে।

প্রথা ভাঙলেন মানিক। রাজনৈতিক ভাষণই হোক বা যে কোনও মন্তব্য ত্রিপুরার চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার মেপে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্যরীতি অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে মিলে যায়। গাম্ভীর্যপূর্ণ মন্তব্য করতেন জ্যোতিবাবু।

সোমবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ধনপুরে যেতে গিয়ে ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বিজেপি সমর্থকদের হামলার মুখে পড়েন। তাঁকে এলাকায় ঢুকতে না দিতে শাসক দলের সমর্থকরা বিক্ষিপ্ত হামলা চালায়। এর পরেই স্থানীয় সিপিআইএম সমর্থকরা তেড়ে যান হামলাকারীদের দিকে। দলীয় পতাকাকে লাঠি করে নিয়ে বিজেপি সমর্থকদের উপর চড়াও হয় বাম সমর্থকরা।

ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে সিপিআইএম সমর্থকরা প্রবল আস্ফালন করছে। তাদের হামলায় পালাচ্ছে মানিকবাবুকে ঘেরাও করা বিজেপির সমর্থকরা। সিপিআইএমের অভিযোগ, পুলিশকে জানিয়ে গেলেও তারা বিজেপির হামলার সময় নীরব ছিল।

বাম সমর্থকদের হামলায় বহু বিজেপি সমর্থক এলাকাছাড়া। ভিডিও দেখে হামলার সময় কারা ছিল তাদের চিহ্নিত করছে সিপিআইএম। বিজেপির অভিযোগ, পুরনো কায়দায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বামেরা।

মানিক সরকারের কনভয় আক্রান্ত, পাল্টা বাম কর্মীদের আক্রমণ সবমিলে ত্রিপুরা উত্তপ্ত। শুধু মানিকবাবুর কেন্দ্র ধনপুর নয়, আরও কয়েকটি এলাকায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছড়িয়েছে বলেই খবর।

ধনপুর থেকেই পরপর চরবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মানিক সরকার। গত বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের পতন হয়। সরকার গড়েছে বিজেপি আইপিএফটি জোট। মানিকবাবু জিতেছেন। তিনি বিরোধী দলনেতা।

সেই ধনপুরেই মানিক সরকার হামলার পরে সভা করেন। তিনি বাম কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা হিরো-হিরোইনের মতো ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁর ভাষণে এমন ধরণের শব্দের জেরে রাজনৈতিক হাওয়া গরম।
সম্প্রতি আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরায় সরকার হারিয়ে সিপিআইএম এখন পিঁপড়ের মতো অবস্থা।

]]>
ত্রিপুরার ‘কমরেড’দের মারকাটারি ইমেজে ‘হাই তোলা’ ভুলে গেলেন বঙ্গ বাম নেতৃত্ব https://ekolkata24.com/uncategorized/political-clash-between-cpim-and-bjp-at-ex-cm-constituency Mon, 06 Sep 2021 14:08:10 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4032 আগরতলা ও কলকাতা: ফোনটা আসতেই ঝিমুনি কাটল বঙ্গ বামেদের ‘লেনিনগ্রাদ’ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নিঝুম মুজফ্ফর আহমেদ ভবনে। বন্ধ হয়ে গেল হাই তোলা !

ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে ত্রিপুরার (Tripura) বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের (Manik Sarkar) কনভয় ঘিরে হামলার খবর। অভিযুক্ত বিজেপি। তবে সেইসব ভাইরাল ছবিতেই দেখা গিয়েছে, বাম সমর্থকরা তেড়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেছেন। বঙ্গ বাম নেতারা দেখলেন ত্রিপুরার ‘কমরেড’রা কেমন ‘রণংদেহী’ ইমেজ নিয়েছেন।

Read More: বারবার নিজ কেন্দ্রেই কেন আক্রান্ত মানিক সরকার, সিপিআইএমে ‘জমি’ হারানোর উদ্বেগ

পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সালে বামেরা সরকার থেকে চলে যেতেই নেতারা ঘরমুখো হন। ন্যুনতম শক্তিটুকু নেই। এমনই অবস্থা যে তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহসটুকু নেই। অভিযোগ, সরকার চলে যেতেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজেকে ‘ঘরবন্দি’ করে নেন। সেই ‘পলায়ন ভাইরাস’ গোটা বঙ্গ বামকে একেবারে গিলে নিয়েছে গত দশ বছরে। নেতৃত্বের দূর্বলতা দলীয় সমর্থনের বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় বিজেপিকে বেছে নেন। ফলাফল স্পষ্ট, রাজ্যে বামেরা শূন্য বিধানসভায়। বিজেপি প্রধান বিরোধী দল। তবে বিপুল শক্তি নিয়ে টানা তিনবার সরকার গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Manik Sarkar

ত্রিপুরায় সিপিআইএমের টানা ২৫ বছরের সরকার পতন হয় ২০১৮ সালে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যে এখন বিজেপি -আইপিএফটি জোট সরকার। বিরোধী বাম। অভিযোগ, গত চার বছরে রাজ্যে বিরোধীরা প্রবল আক্রান্ত। তবে প্রশাসন নির্বিকার। রাজনৈতিক হামলায় বিজেপি যে নিজের মুখ পোড়াচ্ছে তার সমালোচনা করেছেন বিজেপিরই গুরুত্বপূর্ণ বিধায়ক তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ।

Read More: ত্রিপুরা: মমতার টার্গেট কংগ্রেস ভোট! সন্তোষমোহন কন্যা সুস্মিতায় আপ্লুত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার

ত্রিপুরায় বারবার আক্রান্ত হয়েও বিরোধী দল সিপিআইএম বঙ্গ কমরেডদের ঘরবন্দি হয়ে ‘পলায়ন ভাইরাস’ জ্বরে আক্রান্ত হয়নি। সরকার হারিয়ে মানিকবাবু রাস্তায় নেমে গণআন্দোলনে অংশ নেন নিয়মিত। রাজ্য জুড়ে তাঁর দলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছেন। ফলাফল বলছে, বামেরা কোনও দেশব্যাপী ধর্মঘট বা বিক্ষোভ কর্মসূচি নিলে পশ্চিমবঙ্গে টিএমসির দাপটে তেমন প্রভাব পড়েনা। কিন্তু ত্রিপুরায় বিজেপির দাপট উড়িয়েই সম্পূর্ণ সফল হয়। দুপক্ষের সংঘর্ষ হতেই থাকে। তেমনই ঘটনার কেন্দ্র রাজ্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ সোনামুড়া মহকুমার ধনপুর।

Manik Sarkar

আরও পড়ুন: কান্তি-অশোক-সুশান্ত-তন্ময় ‘চতুরঙ্গ’ সর্বনাশা আঘাতের মুখে CPIM

সোমবার নিজ কেন্দ্রে যেতে গিয়ে ফের বাধার মুখে পড়েন মানিক সরকার। এর জেরে এলাকায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছড়ায়। এখান

থেকে টানা চারবার মুখ্যমন্ত্রী ও পরে বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিধায়ক মানিক সরকার। তিনি দেশের ‘গরীব মুখ্যমন্ত্রী’ তকমা পেয়েছিলেন। সোমবার নিজ কেন্দ্রে যেতে গিয়ে মানিকবাবুর কনভয় আক্রান্ত হওয়ার পরেই বাম কর্মীরা হামলা শুরু করেন।

সিপিআইএমের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মানিক সরকার বাধা কাটিয়ে ধনপুরেই সভা করেন। তিনি বলেন, ভয় পেও না। আমি আছি। এই ছবি দেখে চমকে গেছেন বঙ্গ বামেরা। যাঁরা বিলক্ষণ জানেন ত্রিপুরায় তাঁদেরই কমরেডরা একদা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে নেমেছিল।

]]>
বারবার নিজ কেন্দ্রেই কেন আক্রান্ত মানিক সরকার, সিপিআইএমে ‘জমি’ হারানোর উদ্বেগ https://ekolkata24.com/uncategorized/manik-sarkar-who-has-been-repeatedly-attacked-at-his-own-center Mon, 06 Sep 2021 11:07:42 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4012 নিউজ ডেস্ক: টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের আমলে যা স্বপ্নেও ভাবেনি ত্রিপুরাবাসী, গত বিধানসভা ভোটের পর তাই হচ্ছে বারবার। আক্রান্ত হচ্ছেন দেশের অন্যতম আলোচিত ‘গরীব’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar)। তাও আবার নিজ কেন্দ্র ধনপুরে। সোমবারেও তাঁর কনভয় ঘিরে হামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বিজেপি।

তবে ধনপুরের বিধায়ক তথা বর্তমান বিরোধী নেতা মানিক সরকারের কনভয়ে হামলার ঘটনা নরমভাবে নেয়নি সিপিআইএম। তাদের সমর্থকরা দলীয় পতাকার ডান্ডা নিয়ে পুলিশ, টিএসআর ও বিজেপি কর্মীদের দিকে তেড়ে যান। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পরেই ঘেরাও ছেড়ে রণে ভঙ্গ দেয় বিজেপি সমর্থকরা।

মানিক সরকার ধনপুরে রাজনৈতিক সভা করেন। তাঁর অভিযোগ,পরিস্থিতি ত্রিপুরায় খুবই খারাপ। বিজেপি জোট সরকার রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।
কেন মানিকবাবু বারবার তাঁর কেন্দ্রেই ঘেরাওয়ের মুখে পড়ছেন? এই প্রশ্ন তুঙ্গে। এর থেকেই আগরতলায় ত্রিপুরা সিপিআইএম রাজ্য দফতর দশরথ দেব ভবনে ছড়িয়েছে উদ্বেগ-ভয়। প্রশ্ন উঠছে তবে কি ধনপুরেও দল জমি হারাচ্ছে?

Manik Sarkar

ধনপুর মানিকবাবুর নিজের কেন্দ্র। এখান থেকে তিনি গত বাম বিপর্যয় বছরে সরকার হারালেও নিজে জয়ী হয়েছেন। ২০১৮ সালে রাজ্যে টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকার পরাজিত হয়। সরকার গড়ে বিজেপি আইপিএফটি জোট। বিপর্যয়ের দিনে মানিকবাবু গণনা কেন্দ্রেই আক্রান্ত হওয়ার মুখে ছিলেন। তখনও তিনি মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রতিমা ভৌমিকের সমর্থকরা তেড়ে এসেছিল। পরে জয়ী হন মানিকবাবু। তবে ততক্ষণে বামেরা বিদায় নিয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলে তাদের একমাত্র দুর্গ ত্রিপুরা থেকে।

ফল ঘোষণার পর থেকে ত্রিপুরায় রাজনৈতিক পরিবেশ রক্তাক্ত হতে থাকে। সেই ধারা এখনও চলছে। বিরোধী দল সিপিআইএমের সমর্থকরা বারবার হামলার মুখে পড়ছেন। বিধানসভায় না থাকলেও কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের উপর লাগাতার হামলা হচ্ছে। সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা আক্রান্ত হন। সর্বক্ষেত্রে অভিযুক্ত বিজেপি।

সরকার হারানোর পরে মানিকবাবু বেশ কয়েকবার ঘেরাও ও হামলার মুখে পড়েছেন। বিরোধী দললেতা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বিধানসভা অধিবেশন উত্তপ্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, রাজনৈতিক হামলা মেনে নেওয়া হবে না। তবুও বারবার হামলার ঘটনায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ যে দলীয় সমর্থকদের উপর নেই তা স্পষ্ট।

ত্রিপুরায় এখন দুটি সুপার হেভিওয়েট আসন একটি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কেন্দ্র বনমালীপুর অন্যটি বিরোধী নেতা চার বারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কেন্দ্র ধনপুর। বনমালীপুর শান্তিপূর্ণ, কিন্তু ধনপুর থাকে অশান্ত। বিশেষকরে মানিকবাবু তাঁর কেন্দ্রে যাওয়ার পরেই ঘেরাও হন বারবার। তবে সিপিআইএমের সমর্থকরাও পাল্টা তেড়ে যান।

ত্রিপুরা ভারতের একমাত্র রাজ্য, যেখানে স্বাধীনতার পর প্রথমবার বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। এই রাজ্যেই প্রথমবার বাম বনাম রামের রাজনৈতিক লড়াই হয়েছে। প্রথম দফায় বাম পরাজিত। পরবর্তী দফা চলে আসছে। ত্রিপুরায় নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের মুখ হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লড়াই এখানে দ্বিমুখী আর নয়, ত্রিমুখী।

]]>
শান্তি প্রতীক যীশু, ত্রিপুরায় BSF জওয়ান খুন করা NLFT জঙ্গিদের গলায় ক্রুশ লকেট থাকে https://ekolkata24.com/offbeat-news/nlft-militant-activities-in-tripura Tue, 03 Aug 2021 16:25:55 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=1815 বিশেষ প্রতিবেদন: উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর নাগাল্যান্ডের এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠী। এদের হামলায় বারবার রক্তাক্ত হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারত। নাগা জঙ্গিদের মতো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা বা NLFT গোষ্ঠীর সদস্যদের গলায় ক্রুশবিদ্ধ যীশুর লকেট ঝোলে। যিনি বিশ্বশান্তির চিরন্তন যুগপুরুষ।

মঙ্গলবার দীর্ঘ কয়েক দশক পর ফের ত্রিপুরায় গর্জে উঠেছে ‘স্বাধীন ত্রিপুরা’ দাবিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র পথ নেওয়া এনএলএফটির আগ্নেয়াস্ত্র। সংগঠনটির নব্বই শতাংশ সদস্য উপজাতি ও খ্রিষ্টান। এমনই জানাচ্ছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে নিয়ে তথ্য পরিবেশনকারী সংস্থা সাউথ এশিয়ান টেরোরিজম পোর্টাল। এই গবেষণা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কে পি এস গিল।

মঙ্গলবার ফের ত্রিপুরার মাটিতে ফের শোনা গেল এনএলএফটি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বন্দুক গর্জন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার লাগোয়া ত্রিপুরান ধলাই জেলার সীমান্তে এনএলএফটি জঙ্গিদের সঙ্গে টহলদারি করা বিএসএফ জওয়ানদের গুলি বিনিময় হয়। জঙ্গিদের গুলিতে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।
বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে গা ঘেঁষে দুই জওয়ানের রক্তাক্ত দেহের ছবি প্রকাশ করেছে ত্রিপুরার সংবাদমাধ্যম। বিএসএফ জানিয়েছে জঙ্গি হামলায় দুই জওয়ান এসআই ভুরু সিং এবং কনস্টেবল রাজ কুমার গুলিবিদ্ধ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনার কেন্দ্র ধলাই জেলার ছামনু থানার অধীন বিএসএফ-এর ৬৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের আরসি নাথ বিওপি।

হামলাকারীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএলএফটি গত বিধানসভা ভোটে বাম জমানার পতনের পর ফের সক্রিয়। যদিও ত্রিপুরার অপর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এটিটিএফ এখনও নিষ্ক্রিয়। ১৯৮৯ সালে জন্ম নেওয়া এনএলএফটি সংগঠনটির বেশকিছু সদস্য ধরা পড়েছে। তাদের জেরা করেই জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের জমিতে গোপন ঘাঁটির কথা।

Two BSF killed in militant ambush in Tripura

এক নজরে ত্রিপুরার বিচ্ছিন্নতাবাদ:
রাজন্য ত্রিপুরা অর্থাত ব্রিটিশ করদ রাজ্য ত্রিপুরার ভারত অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। আর ১৯৭২ সালে ত্রিপুরা পৃথক রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭২ সালে। এর পর থেকে ত্রিপুরার আদি বসবাসকারী উপজাতিদের মধ্যে আত্মসংকট বড় করে দেখা দেয়। শুরু হয় উপজাতি বনাম বাঙালি বিবাদ। উপজাতি আবেগ পুঁজি করে তৈরি হয় বিভিন্ন সংগঠন টিএনভি। যার দুই উত্তরসূরী এনএলএফটি ও এটিটিএফ।

তাৎপর্যপূর্ণ, দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন সশস্ত্র পথে ‘স্বাধীন ত্রিপুরা’ গঠনের ডাক দিয়ে সরকার ও বাঙালি বিদ্বেষী আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছিল। আবার দুই সংগঠন পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলাও চালিয়েছে বারবারে। উপজাতি ভাবাবেগের রক্তাক্ত এই সময়ে ত্রিপুরায় ঘটে যায় গণহত্যার কয়েকটা ঘটনা।

অশান্ত সেই ত্রিপুরায় শান্ত পরিস্থিতি কায়েম হয় সে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার বামফ্রন্ট শাসনে। মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেব ও মানিক সরকারের টানা ২৫ বছরের কড়া প্রশাসন উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদ কে ঠাণ্ডা করেছিল।

তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম জমানার পতনের পর থেকে ফের সক্রিয় হয়েছে এনএলএফটি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। বিশেষ সতর্ক থাকে দেশটির সীমান্তরক্ষী বিজিবি। তবে গোপনে ত্রিপুরার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি ফের সক্রিয় বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির দুর্গম বনাঞ্চলে। সীমান্তের কাছে তাদের হামলা এরই প্রমাণ।

]]>