Modi govt – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 05 Dec 2021 16:51:10 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Modi govt – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Rahul Gandhi: জওয়ান-জনতা কেউই আর মোদী সরকারের আমলে দেশের মাটিতেও নিরাপদ নন https://ekolkata24.com/uncategorized/rahul-gandhi-slams-modi-govt-over-nagaland-civilians-deaths Sun, 05 Dec 2021 16:51:10 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13708 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান (Army) হোক বা দেশের সাধারণ নাগরিক (Common People) কেউই আর নিজের দেশের মাটিতেও নিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়। সব দেখেও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry) নীরব দর্শক হয়ে বসে আছে। কোনও সভ্য দেশের (Civilized Government) সরকার যে এভাবে পথ চলতে পারে তার নরেন্দ্র মোদী সরকারকে না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না। নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।

নাগাল্যান্ডের ঘটনা সম্পর্কে জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। শনিবারের এই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক জওয়ান আছেন। আহতদের মধ্যে যেমন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আছেন, তেমনই আছেন একাধিক জওয়ান।

এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে রাহুল টুইট করেন, নাগাল্যান্ডের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল মোদী সরকারকে তার জবাব দিতে হবে। কী করছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক? দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য কেউই আর দেশের মাটিতে নিরাপদ নয়।

রাহুল ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি তুলেছেন মমতা। অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই ঘটনার পিছনে প্রকৃত সত্যটা কী তার সামনে আনার দাবিও জানিয়েছেন গগৈ।

অন্যদিকে নাগাল্যান্ডের ঘটনায় শোক জ্ঞাপন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শাহ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত চালাবে। মৃতদের পরিবার অবশ্যই উপযুক্ত বিচার পাবে।

জানা গিয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই নাগাল্যান্ড- মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ চলছিল। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শনিবার রাতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায় সেনা। সেই অভিযানেই সীমান্ত সংলগ্ন তিরু গ্রামে সেনাবাহিনী সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে গুলি চালালে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ১২ জন গ্রামবাসী একজন জওয়ান। জখম হয়েছেন বহু মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটি মিনিট্রাকে করে গ্রামবাসীরা ওটিং গ্রাম থেকে খনির কাজ করে ফিরছিলেন। সে সময় রাতের অন্ধকারে জঙ্গি সন্দেহে ওই মিনিট্রাকটি লক্ষ্য করেই গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।

গতকালের এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও ভুল স্বীকার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার রাতের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই অভিযান হয়েছিল। কিভাবে এটা ঘটল তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। শনিবার রাতের ঘটনায় বেশ কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছেন বলে সেনাবাহিনীর দাবি।

]]>
বিএসএফের আওতা বাড়িয়ে মোদি সরকার রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে: ফিরহাদ হাকিম https://ekolkata24.com/uncategorized/modi-govt-interfering-in-state-rights-by-increasing-bsf-coverage-firhad-hakim Thu, 14 Oct 2021 10:29:45 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7607 নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং পাঞ্জাবে আন্তর্জাতিক সীমানার অভ্যন্তরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের এর আওতা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।

কেন্দ্রীয় সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় কেন্দ্রশাসিত জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ এবং বাংলা পাঞ্জাব, অসম ও রাজস্থানে আন্তর্জাতিক সীমানার অভ্যন্তরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা বিএসএফ-এর আওতায় থাকবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব সরকার। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন।

কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার পশ্চিমবঙ্গ, অসম, পাঞ্জাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিএসএফ প্রয়োজনে যেকোনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে। শুধু গ্রেফতার নয়, চালাতে পারবে তল্লাশি অভিযান এবং যেকোন জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই একতরফা সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অস্বীকার করছে। আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের বিষয়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের কাজেও হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। এটা অন্যায় ও অনৈতিক। মোদি সরকার অগণতান্ত্রিক উপায়ে দেশ চালাতে চাইছে। মোদি সরকার যে স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে চলে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সেটাই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আর্জি জানাচ্ছি। মোদি সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে নেমে লড়াই করব।

ফিরহাদ সুরে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণঞ্জিৎ সিং চান্নি। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। তাই কেন্দ্রকে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি, সম্প্রতি কাশ্মীর সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে বেশ কয়েকবার ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে জঙ্গিরা। এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিএসএফ-এর আওতাধীন এলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মনে করছে, বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে জঙ্গিদের এ ধরনের কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

সে কারণেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে এমন ৩ রাজ্য বাংলা, অসম ও পাঞ্জাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে নিন্দনীয় বলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব সরকার। দুই রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে মোদি সরকার সরাসরি পেরে উঠতে না পেরে ঘুরিয়ে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। এটা কখনওই মানা যায় না।

]]>