movement – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 28 Nov 2021 09:33:34 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png movement – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Environment: কেড়ে নেওয়া যাবে না হাওড়ার ফুসফুস, ডুমুরজলা বাঁচাতে এবার মানব বন্ধন https://ekolkata24.com/uncategorized/environment-human-bond-movement-to-save-dumurjala Sun, 28 Nov 2021 09:33:34 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12644 নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: খেলনগরীর তলায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে হাওড়ার ফুসফুসকে। ডুমুরজলা নিয়ে এমনই প্রতিবাদে নেমেছিল হাওড়ার মাঠ প্রেমীরা। আগে হয়েছিল মিছিল , এবার হবে মানব বন্ধন। তাঁরা বলছেন , জানেন লড়াই অসম। তবু হাওড়ার ফুসফুস বাঁচাতে তাঁরা লড়াই করবেন। কেড়ে নেওয়া যাবে না হাওড়াবাসীর অক্সিজেনের ভান্ডার। তাই এবার হাওড়া ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে বিকেল চারটের সময় মাঠপ্রেমীরা গড়বেন মানব বন্ধন। সৌজন্যে সেভ ডুমুরজলা জয়েন্ট ফোরাম। হবে মাঠ বাঁচানোর দাবিতে প্রতিবাদ।

সংগঠনের এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘অনেকদিন ধরে মুষ্টিমেয় মানুষের লড়াই দেখে চলেছি। কি আশ্চর্য রকম চুপ নেতা মন্ত্রী আমলারা! হাওড়া শহর নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আনাচে কানাচে এখনও বাংলা ভাষা শোনা যায়, এই অনেক। কিন্তু রবীন্দ্র সরোবর আর ডুমুরজলার মধ্যে আয়তন ছাড়া তফাৎ বিশেষ নেই। যেকোনো ওয়েটল্যান্ড ইকোসিস্টেম শহরের ফুসফুসের কাজ করে।

Human bond movement to save Dumurjala

ডুমুরজলা হাওড়ার বৃষ্টির অতিরিক্ত জলের আধার হিসেবে কাজ করে। কিছু পরিযায়ী পাখির বিশ্রামের জায়গাও বটে। অনেক পুরনো গাছের বাসস্থান। যেখানে সমতলের ফরেস্ট কাভার হওয়া উচিত তার ভৌগলিক ক্ষেত্রের ৩৩ শতাংশ, পাহাড়ি এলাকায় ৪৫ শতাংশ; সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ফরেস্ট কাভার ১৯ শতাংশ, ভারতের ২১ শতাংশ। হাওড়ার ফরেস্ট কাভার অবশ্যই কলকাতার থেকে অনেক বেশি। কিন্তু সেটা আরবান হাওড়া না। এবং তার ঘনত্বও বেশি না। গত পাঁচ বছরে ফরেস্ট কাভার আরো কমেছে। শহরের বড়ো গাছ প্রচুর কাটা পড়ছে। আজ এই মুহূর্তে হাওড়ার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩৪৫। নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে সেই আশ্চর্যের।’

তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘হিডকো একদিকে নিউটাউনে আরবান ফরেস্ট গড়ে তুলতে চাইছে, অন্যদিকে শহর হাওড়ার ইকোসিস্টেম শেষ করে দিচ্ছে। শুধু তো প্রাকৃতিক পরিবেশ না। মানুষের সামান্যতম বিনোদন, কমিউনিটির স্পিরিট সবকিছু প্রশ্নের মুখে। হাওড়া নিয়ে কোনো খবর হয় না। একটা সীমান্ত শহরের মত ধীরে ধীরে ক্ষয়ে চলেছে। শিল্পশহর বলেও আর তেমন পরিচয় নেই। বেশ মজার ব্যাপার। অনিচ্ছুকের ৪০০ একরের অজুহাতে শিল্প ধ্বংস করে আসা ক্ষমতার গভর্নেন্স এর উদাহরণ ৫৫ একরের এমন গুরুত্বপূর্ণ ইকোসিস্টেম ধ্বংস করে খেল নগরী! জানি অসম যুদ্ধ। তবু এক্সপ্রেশন এর এই আপাত স্বাধীন পরিসরটুকু ব্যবহার করেই ফেললাম।’

প্রসঙ্গত, ডুমুরজলা থাক ডুমুরজলাতেই এই দাবিতে গণ কনভেনশন হয়েছিল হাওড়ার ডুমুরজলায়। হাওড়ার ফুসফুস নামে পরিচিত এই ডুমুরজলা মাঠ। প্রতিদিন বহু মানুষ এখানে আসেন মর্নিং ওয়াকে, ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল খেলতে । সাধারণ মানুষের দাবী, সেখানে প্রায় ৫৫ একর জমিতে স্পোর্টস কমপ্লেক্স গঠিত হলে থাকবে না মানুষের অবাধ যাতায়াত। পাশাপাশি ধ্বংস হবে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রও।

গত রবিবার সকালে ডুমুরজলা মাঠের সবুজায়নকে রক্ষা করতে বহু ক্রীড়াপ্রেমী স্থানীয় মানুষ, ও পরিবেশপ্রেমী অংশগ্রহণ করেছিলেন এই গণকনভেনশনে । এই গণকনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ১৯৯৫ সালে সাফ গেমস সোনাজয়ী দলের অন্যতম সদস্য রঞ্জন দে , বিশিষ্ট আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সহ বহু সাধারণ মানুষ ।

]]>
কৃষি আইনের বাতিলের পর আসামে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের হুংকার https://ekolkata24.com/uncategorized/anti-caa-movement-in-assam-roared-after-the-repeal-of-the-agriculture-act Fri, 19 Nov 2021 18:36:42 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11783 নিউজ ডেস্ক, গুয়াহাটি: বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ ) বিরোধী দল সংগঠন যেন ফের অক্সিজেন পেয়েছে। এই আইন বাতিলের দাবিতে হুংকার দিচ্ছে বিভিন্ন দল সংগঠন।শুধু তাই নয় ,কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন থেকে অসমে এই সংগঠনগুলি অনেকটা শিক্ষা নিতে চাইছে। কিন্তু এই আইন বিরোধী শক্তির মধ্যে অনেক নেতা ইতিমধ্যে শাসক দল বিজেপিতে অমিল হয়েছেন।

কংগ্রেস ,অখিল গগৈ নেতৃত্বাধীন রাইজর দল ,সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু ), অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ইতিমধ্যে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ফলে সিএএ বিরোধী শক্তি আবার জাগ্রত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে।

anti-CAA movement in Assam roared

গোটা দেশের সঙ্গে বিতর্কিত সিএএ আইন বাতিলের দাবি আসামেও উঠছে। উল্লেখ্য, সংসদে এই আইনটি পাশ হলেও সিএএর রুলফ্রেম প্রস্তুত করেনি সরকার। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আসুর নেতারা। সংগঠনটির সভাপতি দীপাংকর নাথ বলেন ,কৃষি আইন থেকে আমরা শিক্ষা নেওয়া উচিত এতে প্রমান হলো যে একটি বিষয়কে নিয়ে যদি আমরা আন্দোলন করি তাহলে ফল বৃথা হয় না। সেইসঙ্গে কৃষি আইনের মতো সিএএ বাতিল করা উচিত। তবে আগামীতে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন ফের করা হবে।

তিনি বলেন ,করোনা মহামারীর জন্য এই আন্দোলন স্থিমিত ছিল। কেননা বিতর্কিত এই আইনকে আসামের মানুষ কোনওদিন মানবে না। তাই সর্বাত্মক এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠার প্রয়োজনীয়তা এসে গেছে বলেও ওই আসুর নেতা দাবি করেন। বলেন ,আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কাছে সরকার শীরনত করতেই হবে।গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করলে সিএএ বাতিল হবেই।

বিধায়ক অখিল গগৈ এদিন বলেন ,আগামীদিনে সিএএ আইন বাতিলের বিজয় উৎসব অসমের মানুষ পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।এনিয়ে অপসবিহীন আন্দোলন করলে সরকার বাতিল করতে বাধ্য হতো। তাই অসমবাসীকে বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন অখিল। তিনি বলেন ,সমগ্র প্রক্রিয়াকে বিপথে পরিচালিত করা হয়েছে।এমনকি আমাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।

অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা বলেন ,এ নিয়ে মানুষের মনে এখনও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। অসমের জাতীয় জীবনকে বাঁচাতে এই আইনের বিরোধিতা করতেই হবে। তবে বাস্তবে এই আইনের বিরুদ্ধে এক কাট্ঠা করাটা সম্ভব হবে ,সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

]]>
Ajit Kumar Guha: ভাষা আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক এই বাঙালি https://ekolkata24.com/offbeat-news/the-symbol-of-the-language-movement-is-this-bengali-ajit-kumar-guha Sat, 13 Nov 2021 16:25:25 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11215 বিশেষ প্রতিবেদন: শান্তিনিকেতনে থাকার সময় তিনি রবীন্দ্রসাহিত্যে ব্যুৎপত্তিলাভ করেন। পরর্বর্তীকালে এ বিষয়ে তিনি প্রজ্ঞাবান ও মননশীল প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা, সোনার তরী ও গীতাঞ্জলি এবং কালিদাসের মেঘদূত-এর মত গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন ও এগুলির জন্য মূল্যবান ভূমিকা লেখেন।

এছাড়াও সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তিনি বহু প্রবন্ধ রচনা করেন। অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার জন্য অজিতকুমার যেমন শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন; আবার এই একই কারণে সরকারের রোষানলে পড়ে তিনি ১৯৪৮ সালে প্রথম কারাবরণ করেন। ভাষা আন্দোলনের একজন বলিষ্ঠ সংগঠক হিসেবে তাঁকে ফের ১৯৫২ সালে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৫৪ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক মাস পর তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ সময় কারাবাস করার কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর কারাজীবনের সঙ্গী ছিলেন আবুল হাশিম, অলি আহাদ, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী প্রমুখ।

একজন কৃতী সাতিহ্য সমালোচক হিসেবে সর্বমহলে অজিতকুমার গুহ ছিলেন সমাদৃত। সম্পাদনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্তের অধিকারী। মেঘদূত, কৃষ্ণকান্তের উইল, গীতবিতান, গীতাঞ্জলি, সঞ্চয়িতা— এই পাঁচটি গ্রন্থ তিনি সম্পাদনা করেন। তাঁর প্রকাশিত গল্প, প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথার সংখ্যা অনেক। ‘কায়কোবাদ: কাব্য সৃষ্টির পটভূমিকা, ‘নজরুল কাব্যে পুরাণ’ ‘রবীন্দ্রকথা’, ‘রবীন্দ্র কাব্যে পরবর্তী পরিবর্তন’, ‘রবীন্দ্রনাথ ও পদ্মা’ শীর্ষক প্রবন্ধগুলো পাঠ করে বাংলা সাহিত্যে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ উপকৃত হচ্ছে। অধ্যাপক অজিতকুমার গুহ ও আনিসুজ্জামান রচিত ও সংকলিত নতুন বাংলা রচনা আজও ছাত্রছাত্রীদের কাছে অতি মূল্যবান গ্রন্থ।

তিনি প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও চিন্তা-চেতনায় অরাজনৈতিক ছিলেন না বলেই ১৯৬৮ সালে জগন্নাথ কলেজ প্রাদেশিকীকরণ করা হলে পদত্যাগ করে কয়েক মাস বেকার জীবন যাপন করেন। এমতাবস্থায় অনেকটা অনন্যোপায় হয়ে প্রথমে টিঅ্যান্ডটি কলেজের উপাধ্যক্ষ, জুবিলী স্কুলে অবস্থিত নৈশ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে স্বল্পকালীন দায়িত্ব পালন করেন।

অজিতকুমার কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নৃপেন্দ্রমোহন গুহ। ১৯৩০ সালে তিনি কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই. এ (১৯৩২) ও বি. এ (১৯৩৪)। ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে বাংলায় এম. এ (১৯৩৯) পাস করেন। পরে তিনি বি.টি পরীক্ষায়ও প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হন।

১৯৪২ সালে ঢাকার প্রিয়নাথ হাইস্কুলে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে অজিতকুমার কর্মজীবন শুরু করেন। প্রায় ছয় বছর এই স্কুলে শিক্ষকতা করার পর তিনি ১৯৪৮ সালে জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও পরে বিভাগীয় প্রধান হন। তিনি ১৯৬৮ সালের ৩১ জুলাই এখান থেকে অবসর নেন। এর মধ্যে ১৯৫৭-৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। জগন্নাথ কলেজ ছেড়ে তিনি ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন।

১৯৬৯ সালের ১ বৈশাখ রমনা বটমূলে বাংলা ভাষা সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পর্কে দেওয়া বক্তব্যকে শাসকগোষ্ঠী সামরিক আইনের ১৯ ধারা লঙ্ঘন বলে অভিযুক্ত করে ২৭ এপ্রিল উপ-আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসকের পক্ষে মেজর মমতাজ মালিক অজিতকুমার গুহকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনাও তিনি সাহসের সঙ্গেই মোকাবিলা করেন।

অতঃপর কয়েকজন উদারমনা শিক্ষকের প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে একটি বিশেষ পদে যোগদানের বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত হলে তিনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঢাকা ছাড়তে সম্মত হন। চট্টগ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর সকালে কুমিল্লায় এসে রাতে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।

অজিতকুমার গুহকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান লিখেছেন, ‘মানুষের জীবন গ্লানিমুক্ত হোক, ভাষা তার স্বাভাবিক স্থান অধিকার করুক, গড়ে উঠুক সুস্থ সাহিত্য, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে দেশ অব্যাহতি লাভ করুক—এই ছিল তাঁর কামনা। জনপ্রিয় শিক্ষকরূপে, সচেতন নাগরিকরূপে, উৎসাহী সংস্কৃতিসেবীরূপে এই প্রেরণা তিনি দিয়ে গেছেন আমাদের। এই সত্যনিষ্ঠ আদর্শপ্রিয় মানুষের সেই দান আমাদের চিত্তে স্থায়ী হয়ে রইল।’

ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক অজিতকুমার গুহকে ভাষা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ‘ভাষাসৈনিক সম্মাননা পদক’ ও তমদ্দুন মজলিস ‘মাতৃভাষা পদক-২০০৪’-এ ভূষিত করেছে। মহান ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্যে বাংলাদেশ সরকার অধ্যাপক অজিত কুমার গুহকে মরণোত্তর ২১ শে পদকে ভূষিত করেন।

]]>
সরকার চলতে পারলে কৃষক আন্দোলনও পাঁচ বছর চলবে: টিকায়েত https://ekolkata24.com/uncategorized/if-the-government-can-last-for-five-years-then-the-peasant-movement-will-also-last-for-five-years-tikayet Fri, 05 Nov 2021 11:55:51 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10375 News Desk: কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি ( modi) সরকার যদি পাঁচ বছর চলতে পারে তবে কৃষক আন্দোলনও পাঁচ বছর চলবে। তাৎপর্যপূর্ণ এই মন্তব্য করলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত (rakesh tikayat)। নরেন্দ্র মোদি সরকারের তৈরি তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে তিনটি জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। দিল্লি হরিয়ানা (delhi hariyana) সীমান্তবর্তী গাজীপুর, সিংঘু এবং টিকরি এই তিন জায়গায় প্রায় এক বছর ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন।

এই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে মোদি সরকার শেষবার আলোচনায় বসে ছিল চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি। কিন্তু ওই আলোচনায় কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। তারপর প্রায় ১০ মাস গড়িয়ে গিয়েছে। মোদি সরকার কৃষকদের সঙ্গে আর কোনও রকম আলোচনায় বসেনি। এরই মধ্যে সংযুক্ত কিষান মোর্চা মোদি সরকারকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। ওই দিনই কৃষক আন্দোলনের এক বছর পূর্ণ হবে। সংযুক্ত কিষান মোর্চা মোদি সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২৬ নভেম্বরের মধ্যে তিন কৃষি আইন নিয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে সরকার দেখবে কৃষকদের শক্তি কত।

কিষান মোর্চার ওই হুমকির পরেও মোদি সরকারের টনক নড়েনি। এই প্রেক্ষিতে টিকায়েতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সরকার তো তাদের সঙ্গে কোনও কথাই বলছে না। তাহলে তাঁদের এই আন্দোলন কত দিন চলবে? এই প্রশ্নের উত্তরে টিকায়েত বলেন, কেন্দ্রের মোদি সরকার যদি পাঁচ বছর চলতে পারে তবে তাদের এই আন্দোলনও পাঁচ বছর চলবে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই তিন কৃষি আইন নিয়ে খুব সম্ভবত মোদি সরকার শীঘ্রই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। কারণ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ২৯টি বিধানসভা ও ৩টি লোকসভা আসনে অত্যন্ত হতাশজনক ফল করেছে বিজেপি। আগামী বছরের গোড়াতেই আরও পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। যার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হল উত্তরপ্রদেশ। এই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মোদি সরকার কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে হয়তো একটা সমঝোতা করবে।

কারণ সম্প্রতি হওয়া বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনে কৃষি আইন নিয়ে মানুষের ক্ষোভ উপচে পড়েছে ভোটের বাক্সে। যার ফলশ্রুতিতে বিজেপিকে ধরাশায়ী হতে হয়েছে।

]]>
রাস্তা আটকে চিরকাল আন্দোলন করা যায় না, কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলল সুপ্রিম কোর্ট https://ekolkata24.com/uncategorized/the-movement-cannot-be-blocked-by-the-road-the-supreme-court-said-for-the-farmers Thu, 21 Oct 2021 16:56:25 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8604 নিউজ ডেস্ক: কৃষকদের (farmers) প্রতিবাদ করার অধিকার নিশ্চয়ই আছে। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য কখনওই তাঁরা রাস্তা আটকে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে পারেন না। কারণ এভাবে রাস্তা আটকে রাখলে আরও বহু মানুষের সমস্যা হয়। নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের যে আন্দোলন চলছে তা নিয়েই বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রায় এক বছর ধরে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। কৃষকদের এই অবস্থান বিক্ষোভের কারণে সিঙ্ঘু, টিকরি-সহ একাধিক বর্ডার আটকে রয়েছে। এভাবে প্রায় একবছর রাস্তা আটকে আন্দোলন চলায় এলাকার বাসিন্দারা চরম সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ। যে কারণে সম্প্রতি নয়ডার এক বাসিন্দা কৃষকদের এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করে একটি মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করল সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ।

এর আগে অগাস্ট মাসের একটি মামলার শুনানিতে একই কথা বলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সে সময়ে আদালত জানিয়েছিল, রাস্তা আটকে কখনওই কোন আন্দোলন করা যাবে না। কারণ রাস্তা আটকে আন্দোলন করলে মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়।

এদিন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কৃষকদের পরিষ্কার জানিয়েছে, আমজনতাকে বিপাকে ফেলে ককনওই দিনের পর দিন রাস্তা আটকে রাখা যায় না। নিজেদের আন্দোলন সম্পর্কে কৃষকদের অবস্থান জানানোর জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেছে, এখন থেকেই সমস্যা সমাধানের কোনও উপায় বের করতে হবে।শুধু কৃষক নয়, যে কোনও মানুষেরই আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু আন্দোলন করার মানে এই নয়, অন্য মানুষের অসুবিধে তৈরি করা। রাস্তা বন্ধ করে এভাবে দিনের পর দিন আন্দোলন করা যাবে না।

বেঞ্চের এক বিচারপতি বলেন, সমস্যা সমাধান আইনি পথে হতে পারে। আন্দোলন বা সংসদীয় বিতর্কের মাধ্যমেও সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু দিনের পর দিন জাতীয় সড়ক বন্ধ করে রেখে এটা কী ধরনের আন্দোলন হচ্ছে? বেঞ্চের এদিনের মন্তব্যে গোটা দেশেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

]]>
লখিমপুরে কৃষক হত্যার প্রতিবাদে বাংলায় রেল রোকো আন্দোলন https://ekolkata24.com/uncategorized/rail-rocco-movement-in-bengal-in-protest-of-the-killing-of-farmers-in-lakhimpur Mon, 18 Oct 2021 10:23:12 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8108 অনলাইন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষক হত্যা, কৃষি ও কৃষক বিরোধী তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে রেল রোকো চলছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আহ্বানে এই কর্মসূচিতে নেমেছে রাজ্যে বাম কৃষক সংগঠনগুলি।

সিপিআইএমের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষকসভার নেতৃত্বে আন্দোলন বিরাট ভূমিকা নিয়েছে। রাজ্যের সর্বত্র চলছে রেল রোকো। বাঁকুড়ায়। ওন্দা স্টেশনে রেল রোকো কর্মসূচি পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কৃষকসভার বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায় ও জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তরুণ সরকার সহ অন্যান্যরা। 

তবে কৃষষ আন্দোলনে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা জানানো হয়। হামলার কড়া নিন্দা করেছে সিপিআইএম পলিটব্যুরো। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক মনোভাব ও রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনাও করেছে সিপিআইএম। উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের পিষে মারার নায়ককে আড়াল করতে সে রাজ্যে বিজেপি সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন বাম নেতারা। এক ঘন্টার অবরোধে খড়্গপুর-আদ্রা শাখায় রেল চলাচল ব্যাপক বিঘ্নিত হয়। সমস্যায় পড়েন সাধারণ রেলযাত্রীরা।

]]>
বিজেপির হাত থেকে বাংলা বাঁচাতে পথে নামল বাংলাপক্ষ https://ekolkata24.com/uncategorized/bangla-pakkha-started-a-movement-to-save-bengal-from-the-hands-of-the-bjp Sun, 29 Aug 2021 15:00:13 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3428 নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তারপর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ‘বাংলা মানেই কলকাতা, উত্তরবঙ্গ বঞ্চনার শিকার’ বলে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করার দাবি তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। একইভাবে জঙ্গলমহলকেও আলাদা রাজ্য ঘোষণার দাবি তুলেছে পদ্মশিবির। 

তার প্রতিবাদে এবার পথে নামল বাংলাপক্ষ (Bangla Pakkha)। সংগঠনের হুগলি জেলা কমিটির উদ্যোগে বাইক মিছিল করে বিজেপির বাংলা ভাগের চক্রান্তের প্রতিবাদ জানায় তারা। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে উত্তরপাড়া গৌরি সিনেমা সংলগ্ন এলাকায় প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার জুড়ে মিছিল করে সংগঠনের সদস্যরা।

Bangla Pakkha started a movement to save Bengal

মিছিলে প্রায় ৮০ টি বাইক অংশগ্রহণ করে। গোটা হুগলি শিল্পাঞ্চল জুড়ে এই প্রতিবাদ মিছিলে বাঙালির সমর্থন এবং অংশগ্ৰহনে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

বাংলাপক্ষ হুগলি জেলার সম্পাদক দর্পণ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কমিটির সদস্য মনন মণ্ডল, কৌশিক মাইতি, অমিত সেন, বাংলা পক্ষ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী এবং বাংলাপক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।

অধ্যাপক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা ভাগের চক্রান্ত দীর্ঘদিনের। বাঙালিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে এই চক্রান্তে মদত দিচ্ছে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপি। বাংলাপক্ষ এই চক্রান্তকে সফল হতে দেবে না।” কৌশিক মাইতি বলেন, “শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বাংলা পক্ষ এবং বাঙালি জাতি বাংলা ভাগের চক্রান্ত ব্যার্থ করবে।”

]]>