mullah baradar – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Wed, 15 Sep 2021 07:48:53 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png mullah baradar – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 উধাও বরাদর-আখুন্দজাদা: দুই তালিবান শীর্ষনেতার মৃত্যু সংবাদ ঘিরে জল্পনা https://ekolkata24.com/uncategorized/where-is-taliban-leaders-mullah-baradar-and-hibatullah-akhundzada-rumors-of-their-death-returns-again Wed, 15 Sep 2021 07:48:53 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4634 নিউজ ডেস্ক: ১৫ অগস্ট তালিবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে৷ হপ্তাখানের আগে নতুন সরকারও ঘোষণা করা হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত মন্ত্রিসভার সদস্যরা আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেনি৷ কবে এবং কীভাবে শপথ হবে, তা নিয়েই আফগান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব৷ এই পরিস্থিতির মধ্য এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সরকার ঘোষণার পর থেকেই কেন তালিবানের প্রথমসারির নেতার কোথাও উধাও হয়ে গেলেন৷ কেন তারা বিশ্ববাসীর সামনে আসছে না?

হিবতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে সুপ্রিম লিডার এবং মোল্লা আবদুল গনি বরাদারকে উপ -প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণার পর থেকেই এই দুই শীর্ষনেতাকে আর কোথাও দেখা যায়নি৷ তবে, দুদিন আগে বরাদার ৩৯ সেকেন্ডের একটি অডিও টেপের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ থাকার কথা জানিয়েছেন৷ এখন এই অডিও টেপকে কেন্দ্র করেই বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে৷

তালিবানদের উত্থান নিয়ে সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধারণত যে কোন দেশে সরকার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নেতারা বিশ্বের সামনে আসেন। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলে৷ কিন্তু, আফগানিস্তানে এটা হচ্ছে না। মানুষ জানতে চায় তালিবান নেতারা কোথায়? তাদের ঠিকানা কি এবং কেন তারা বিশ্বের কাছে তারা নজরে পড়ছেন না৷ তালিবান মুখপাত্ররাও এই সমস্ত প্রশ্ন এড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং উত্তর দিলেও তাতে কোন জোর নেই৷

এদিকে তালিবানের দ্বিতীয় শীর্ষনেতা মোল্লা বরাদরের মৃত্যু সংবাদ নিয়ে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে৷ মাত্র দুই দিন আগে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন মোল্লা বরাদারের একটি অডিও টেপ প্রকাশ করেন। সেই টেপে বরাদর বলেছেন- তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ও নিরাপদ। এখন এই টেপের মান এবং পটভূমি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তালিবান শাসনের একটি অংশ হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংঘর্ষে মোল্লা বরাদার নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জল্পনা রয়েছে। গত সপ্তাহে সরকার ঘোষণার ঠিক আগে তালিবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করা হয়। মোল্লার সহকারও বিবৃতি জারি করেছিলেন। অডিও টেপটি ছিল মাত্র ৩৯ সেকেন্ড দীর্ঘ।

অন্যদিকে, তালিবান শীর্ষনেতা হিবতুল্লাহ আখুন্দজাদা সম্পর্কে বলা হয়েছিল, আখুন্দজাদা শীঘ্রই বিশ্বের সামনে হাজির হবেন। ১৫দিন আগে দেওয়া বিবৃতি সত্ত্বেও, তিনি এখনও বেপাত্তা৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আখুন্দজাদা হয় নিহত হয়েছেন অথবা গুরুতর অসুস্থ। যদি তা না হয়, তবে এখন পর্যন্ত কেন তিনি সামনে এলেন না৷ কাতারের রাজধানী দোহাতেও তার হদিস নেই৷

আখুন্দজাদা ২০১৬ সালে তালিবানের নেতা হন। ৫ বছরে তার কোন বক্তব্য বের হয়নি। গত বছর জানা গিয়েছিল, আখুন্দজাদা খুব অসুস্থ ছিলেন এবং পেশোয়ারে মারা যান।

কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালিবানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মোল্লা বরাদর তালিবান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। এটা মনে করা হয়েছিল তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন৷ কিন্তু তা হয়নি। তাকে উপেক্ষা করে হাসান আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়।

এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এই মুহূর্তে তালিবানের ওপর সবচেয়ে বড় প্রভাব কাতারের৷ কাতারের বিদেশমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল রহমান আল থানি রবিবার কাবুলে পৌঁছেছেন। তালিবানদের দাবি, তারা কান্দাহারে হিবতুল্লাহ আখুন্দজাদার সঙ্গে দেখা করেছিলেন৷ কিন্তু, তার কোনও ছবি প্রকাশ হয়নি। সবকিছু দিলে তালিবান মুখপাত্র এই বৈঠকটি নিশ্চিত করেননি৷ যখন কাতার সফর সম্পর্কে সরকারী তথ্য দেওয়া হয়েছে৷

পাকিস্তানি সাংবাদিক আজাদ সাইদ৷ যিনি তালিবানকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, তিনি বলেন, অধিকাংশ তালিবান নেতা এবং বিশেষ করে হাক্কানি নেটওয়ার্কের লোকরা ওয়ান্টেড। তারা মনে করে যে, শত্রু (আমেরিকা) যে কোন সময় তাদের টার্গেট করতে পারে। এজন্যই তারা প্রকাশ্যে আসে না৷ ।

তবে, তালিবানরা এসব কিছু গোপন করতে বেশ পারদর্শী। তাদের শীর্ষনেতা ও প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরকে ২০১৩ সালের প্রথম দিকে মার্কিনরা হত্যা করে। তালিবানরা বছরের শেষের দিকে এই তথ্য প্রকাশ করে৷ প্রকৃতপক্ষে তালিবান নেতৃত্ব মনে করে, নেতাদের মৃত্যুর খবর সংগঠনটি ভেঙে দিতে পারে এবং তাদের সন্ত্রাসীরা অন্য গ্রুপে যোগ দিতে পারে। হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতাদের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে আমেরিকা। সব মিলিয়ে আফগানিস্তানের দখল নিলেও তালিবানরা বেশ চাপে রয়েছে, তা তাদের গতিবিধিতেই স্পষ্ট হচ্ছে৷

]]>