Myanmar – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 28 Dec 2021 07:12:18 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Myanmar – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Myanmar: শিশুকন্যাদের বেঁধে নির্মম প্রহার বর্মী সেনার, নিখোঁজদের মৃত্যু আশঙ্কা https://ekolkata24.com/uncategorized/myanmar-military-junta-arrested-a-number-of-chin-and-burmese-women Thu, 23 Dec 2021 09:17:54 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15971 News Desk: আকাশে চিলের মতো চক্কর কাটছে বর্মী সেনার হেলিকপ্টার। নিচে যে যেখানে পারছেন মাথা গুঁজে জীবন রক্ষা করছেন। মায়ানমারে গণহত্যার পরপর সংবাদ আসছে। পরিস্থিতি ক্রমে আরও রক্তাক্ত হওয়ার আশঙ্কা। এরই মাঝে ভয়াবহ ছবি প্রকাশ হয়েছে। একের পর এক মহিলা, শিশুকন্যা বন্দি। তাদের মুখে রক্তের দাগ। নির্মম আঘাত যে হয়েছে তা স্পষ্ট।

বিভিন্ন সূত্রে kolkata24x7.in এর কাছে এসেছে মায়ানমারে সামরিক অভিযানের কিছু ছবি। ভারত ও মায়ানমার সীমান্তের সাগাইং রাজ্যের। মিজোরাম সংলগ্ন এলাকাটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকে বিদ্রোহ শুরু করেছে।

এই এলাকায় বর্মী সেনার অভিযানে বন্দি হন চিন ও মিজো জাতির অনেকে। বেশিরভাগই মহিলা ও শিশুকন্যা। বিশেষ সূত্রে kolkata24x7.in জানতে পেরেছে ধৃতদের অনেকেই স্থানীয় চিনল্যান্ড ফোর্সের চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। বন্দি মহিলা ও কন্যাদের ছবিতে স্পষ্ট তাদের উপর আমানুষিক নির্যাতন চলেছে। সূত্রের খবর, অনেক বন্দি শিশুকন্যা নিখোঁজ। তাদের খুন করা হয়েছে বলেই আশঙ্কা।

মায়ানমারের সাগাইং প্রদেশে বিদ্রোহী চিন জাতির ক্ষমতা। বর্মী সেনার বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র প্রতিরোধ চলছে। চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্সের এই প্রত্যাঘাতে বর্মী সেনার অনেক সদস্য ধৃত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ভারি আগ্নেয়াস্ত্র সম্ভার।

সেনা শাসনের বিরোধিতায় মায়ানমার রক্তাক্ত। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী সেনার উপর হামলা শুরু করায় আরও জটিল পরিস্থিতি। বিবিসি জানাচ্ছে, গণহত্যার একের পর এক ছবি ও তথ্য বেরিয়ে আসছে মায়ানমার থেকে। যারা কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছেন তাদের অনেকেই গোপনে নির্যাতন ও খুনের ভিডিও তুলেছেন। সেই ছবির ভিত্তিতে স্পষ্ট বর্মী সেনার নির্মমতা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারে রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থান হয়। জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত আউং সান সু কি-এর দলকে ফের ক্ষমতা না দিয়ে সরকারের পতন ঘটান বর্মী সেনার প্রধান জেনারেল মিং অন হ্লাইং। তিনিই এখন মায়ানমারের সামরিক সরকারের সর্বেসর্বা।

]]>
Myanmar: ভারত সীমান্ত প্রদেশে বর্মী সেনার ‘গণহত্যা’, মাটি খুঁড়লেই দেহ https://ekolkata24.com/uncategorized/army-involbed-in-myanmar-mass-killings Mon, 20 Dec 2021 06:39:06 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15515 News Desk: মায়ানমারে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে দেশটির সামরিক সরকার। এই ভয়াবহ ঘটনার কেন্দ্র দেশটির সাগাইং প্রদেশ। বিবিসি জানাচ্ছে সাগাইং প্রদেশের সাগাইং জেলায় ‘গণহত্যা’ চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও কোনওরকমে বেঁচে যাওয়া কয়েকজনের বিবরণে উঠে এসেছে মৃতদেহগুলি মাটির তলায় চাপা দেয় সেনা। দু চার হাত মাটি খুঁড়লেই দেহ মিলছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি এই জেলায়।

সাগাইং প্রদেশটি ভারত সীমান্ত লাগোয়া। তবে এই প্রদেশের সাগাইং জেলাটি সীমান্ত থেকে দূরে। এখানেই অন্তত ৪০ জনকে খুন করেছে বর্মী সেনা। সাগাইং প্রদেশের সাগাইং জেলাটি বর্মী সেনার বিরোধী গোষ্ঠী শক্তিশালী।

বিবিসি জানাচ্ছে, প্রত্যক্ষদর্শী এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা বলেছেন এলাকাবাসীদের জড়ো করে তাদের মধ্য থেকে পুরুষদের আলাদা করে হত্যা করে বর্মী সেনা। এদের মধ্যে অনেকের বয়স মাত্র ১৭ বছর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে জানা যায় যে, নিহতদের বেশিরভাগকে প্রথমে নির্যাতন করা হয়েছিল। তারপর তাদের খুন করে অগভীর কবরে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

মায়ানমারের সাগাইং জেলায় বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কানি শহর। এখানে চারটি আলাদা ঘটনায় জুলাই মাসে এই গণহত্যাকাণ্ড হয়েছিল।

বেঁচে যাওয়া কয়েকজন ভয়াবহ নির্যাতন ও খুনের বর্ণনা দিয়েছেন। কয়েকজন গোপনে মোবাইলে গণহত্যার ছবি রেকর্ড করেন। সেই ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে বিবিসি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

মায়ানমারে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশটির জনগণ প্রবল বিদ্রোহে সামিল হয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচিত আউং সান সু কি-এর সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে উৎখাত করা হয়। ক্ষমতা দখল করেন বর্মী সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। তিনিই এখন মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান।

]]>
Myanmar: ‘গণহত্যা চলছে’, বর্মী সেনার ভয়ে সীমান্ত গ্রাম থেকে হাজারো অনুপ্রবেশ https://ekolkata24.com/uncategorized/mass-killing-and-clashes-in-myanmar Sat, 18 Dec 2021 15:03:57 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15356 News Desk: একের পর এক প্রদেশে বিদ্রোহ। গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিদ্রোহী জনতা বনাম মায়ানমারের (Myanmar) সামরিক সরকারের সংঘাত তীব্র। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ভারত ও থাইল্যান্ডের দিকে ঢুকছেন হাজার হাজার বর্মী জনতা।

মায়ানমারে রক্তাক্ত পরিস্থিতি শুরু গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। দেশটির নির্বাচিত আউং সান সু কি- এর সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং। তিনিই এখন সামরিক সরকারের প্রধান। সু কি বন্দি। আর গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামে সেনার গুলিতে হাজারের বেশি নিহত।

mass killing and clashes in myanmar

মাস খানেক ধরে রক্তাক্ত ভারত সীমান্ত লাগোয়া কাচিন (Kachin) ও চিন (Chin) প্রদেশে। একইভাবে রক্তাক্ত হচ্ছে থাইল্যান্ডের লাগোয়া মায়ানমারের কারেন প্রদেশও।

(১) ভারতের দিকে:
মায়াননারের পূর্ব দিকে কাচিন ও চিন প্রদেশের বিদ্রোহী চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স ও কাচিন আর্মি। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে বর্মী সেনার। শতাধিক নিহত। জঙ্গল, নদী পেরিয়ে ভারতের দিকে মিজোরাম, নাগাল্যান্ডে ঢুকছেন বর্মীরা। দুই রাজ্য সরকার কড়া নজরে রেখেছে সীমান্ত এলাকা।

mass killing and clashes in myanmar

(২) থাইল্যান্ডের দিকে:
মায়ানমারে পশ্চিম ও দক্ষিণ অংশে আছে কারেন প্রদেশ। এখানে বর্মী সেনার বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়িত কেএনএলএ গোষ্ঠী। সীমান্তবর্তী এই এলাকায় বর্মী সেনার অভিযানে বহু মানুষ নিহত। হাজারে হাজারে বর্মী প্রতিবেশি থাইল্যান্ডে ঢুকতে শুরু করেছেন। আশ্রয়প্রার্থীদের খাদ্য পৌঁছে দিতে থাই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে কিছু এনজিও।

<

p style=”text-align: justify;”>বর্মী সেনা ও মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠিদের মধ্যে সংঘর্ষে দু তরফে বাড়ছে মৃত্যু। মায়ানমারে ফের ‘গণহত্যা চলছে’। এতে জড়িত সেনাবাহিনী। পলাতক বর্মীরা ভিনদেশে ঢুকে এমনই দাবি করছেন

]]>
Surgical Strike: মায়ানমারে ঢুকে নাগা জঙ্গিদের কচুকাটা করার নীল নকশা ছিল রাওয়াতের https://ekolkata24.com/uncategorized/surgical-strike-general-bipin-rawat-and-2015-indian-counter-insurgency-operation-in-myanmar Wed, 08 Dec 2021 13:30:25 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14131 News Desk: বিচ্ছিন্নতাবাদী নাগা গোষ্ঠীগুলিকে কব্জা করতে কেন্দ্র সরকারের ঘুম উড়ে যায়। সাম্প্রতিক রক্তাক্ত নাগাল্যান্ড থেকে সশস্ত্র সংগঠন নাগা আর্মির হুমকি দিয়েছে ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাতের। তবে তাদেরই কাছে আতঙ্কের আর এক নাম বিপিন রাওয়াত।

তামিলনাডুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত মৃত। বায়ু সেনা জানিয়েছে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১৪ জন মারা গেছেন কপ্টার দুর্ঘটনায়।

প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নামের সঙ্গেও সার্জিক্যাল স্ট্রা়ইক শব্দটি জুড়ে গেছিল। সেই ঘটনা তেমন আলোচিত নয়। প্রতিবেশি দেশ মায়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে সেদেশে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদ্র ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন লেফটেনেন্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াত।

২০১৫ সালের সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল ভয়ঙ্কর নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং) এর দম্ভে আঘাত। অভিযানের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বিপিন রাওয়াত।

নাগা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠী ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় রাজি হয়নি। সংগঠনের প্রধান নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলনের পুরোধা এস এস খাপলাং। ‘নাগালিম’ (বৃহত্তর স্বশাসিত নাগাল্যান্ড) গঠনের জন্য সশস্ত্র পথ বেছে নেওয়া খাপলাং এর বাহিনী বারবার নাশকতা ও হামলা চালিয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলে। তবে খাপলাং প্রয়াত হওয়ার পর সংগঠনটিতে ভাঙন ধরেছে।

প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াত উত্তর পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে অভিযানে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। যার অন্যতম মায়ানমারে ঢুকে খাপলাংপন্থী নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি ধংসের নীল নকশা তৈরি।

২০১৫ সালে মনিপুরের চান্দেল জেলায় সেনা কনভয়ে হামলা হয়। সেই হামলায় ১৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর পরেই ভারতীয় সেনা প্রত্যাঘাত করে। তৎকালীন লেফটেনেন্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতের পরিকল্পনা অনুসারে সেনার প্রায় ৭০ জন কমান্ডো অভিযানে অংশ নেয়। মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে সেদেশের জমিতে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘিরে নিয়ে প্রায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেই অভিযানে ৩৮ জন নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়।

সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সেনার প্রবেশে ক্ষোভ জানায় ততকালীন মায়নমার সরকার। কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেয় ভারত সরকার।

]]>
Bangladesh: বঙ্গোপসাগরে বর্মী নৌবাহিনীর হামলা, মৎস্যজীবীদের অপহরণ https://ekolkata24.com/uncategorized/myanmar-navy-accused-for-bangladeshi-fishermen-kidnapped Sat, 20 Nov 2021 11:07:01 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11839 News Desk: বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরছিলেন বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা। তাদের ঘিরে ধরে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্মী নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বিখ্যাত সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে (নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ)।

মায়ানমারে সেনা শাসন শুরুর পর বর্মী সেনার বিরুদ্ধে গণহত্যার লাগাতার অভিযোগ উঠেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকার সরিয়ে দিয়ে ফের ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনা। বন্দি হয়েছেন অপসারিত সরকারের নেত্রী আউং সান সু কি। এবার বর্মী সেনার বিরুদ্ধে প্রতিবেশি বাংলাদেশের নাগরিকদের অপহরণের অভিযোগ উঠল।

জানা গিয়েছে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে ২২ মৎস্যজীবী সহ বাংলাদেশি চারটি ট্রলার মায়ানমারের নৌবাহিনী আটক করে। দুই দফায় চারটি ট্রলার জোর করে নিয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ। স্থানীয় জেলেরা জানান, সকালে দ্বীপের পূর্বদিকে বর্মী নৌবাহিনীর সেনারা এসে বন্দুক তুলে ভয় দেখা। তারা ট্রলারসহ জেলেদের তুলে নিয়ে যায়। কিছু পরে ফের হানা দেয় তারা।

Myanmar army

বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের অপহরণের সংবাদ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের স্থানীয় প্রশাসন মারফত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও উপকূলরক্ষীরা পেয়েছেন।সেন্টমার্টিন দ্বীপের উপকূলরক্ষীরা জানান, মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর এসেছে। তারা রোহিঙ্গা নাকি বাংলাদেশি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

]]>
Secret File: ফের গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি চিন-মায়ানমারের ক্যাম্পে জঙ্গি প্রশিক্ষণ https://ekolkata24.com/uncategorized/china-and-mayanmar-based-militant-den-using-for-anti-indian-propaganda Wed, 17 Nov 2021 09:02:01 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11593 News Desk: গোপন সূত্রের ভিত্তিতে মণিপুরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার দিনেই ১৩.১১.২১ তারিখে kolkata24x7.in প্রকাশ করেছিল প্রতিবেশি মায়ানমারের ঘাঁটিতে ভারত বিরোধী জঙ্গি কর্মতৎপরতার সংবাদ।গোয়েন্দা রিপোর্টে এই একই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে চিন ও মায়ানমারের মাটি থেকেই জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজ চলেছে।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির হামলায় বারবার উঠে এসেছে চিনের মদতে মায়ানমারের কাচিন ও চিন প্রদেশে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। গত ১৩ নভেম্বর হামলার পরেই এই দাবি আরও জোরালো হয়েছে।

china and mayanmar based militant

পড়ুন:  Manipur: সেনা কনভয়ে হামলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ হয় উত্তর মায়ানমারে

মায়ানমার সীমান্তে মণিপুরের চূড়াচন্দ্রপুরে অসম রাইফেলসের কনভয়ের উপর জঙ্গি হামলায় এক কর্নেল-সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে মণিপুর পিপলস লিবারেশন আর্মি (manipur peoples libaration army) ও নাগা পিপলস ফন্ট নামে আরও একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন।

গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মণিপুর সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলেরের বিভিন্ন সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মূল ডেরা মায়ানমারের অভ্যন্তরে। এবারে হামলা চালানো পিপলস লিবারেশন আর্মিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে চিনে সেনা। মায়ানমারের ঘন জঙ্গল এলাকার গোপন শিবিরে হয়েছিল ট্রেনিং।

china and mayanmar based militant

গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, হামলাকারীদের অত্যাধুনিক অস্ত্রও তুলে দিয়েছে চিন। এই দাবির স্বপক্ষে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা বিভাগ মণিপুর সীমানার কাছে অবস্থিত ওই সমস্ত জঙ্গি শিবিরের ছবি ড্রোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করছে। সেই ফুটেজই স্পষ্ট শিবিরে চিনের সেনাবাহিনীর একাধিক সদস্য ছিল।

মনে করা হচ্ছে,আন্তর্জাতিক সীমান্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকা নিয়ে বিরোধের জেরে চিন ভারতের উপ ক্ষুব্ধ। একইসঙ্গে তাইওয়ান (tiwan) ও তিব্বতের (tibet) প্রশ্নে ভারতের অবস্থানে চিনের ক্ষোভ আরও বেড়েছে।

গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু চিন নয় দীর্ঘ সময় ধরে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর মদতে চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে উস্কানি দেওয়ার কাদের। বর্তমানে মায়ানমারে সেনা শাসন। আর ভারত সংলগ্ন এলাকায় বর্মী সেনা সবথেকে বেশি সশস্ত্র হামলার মুখে পড়েছে।

<

p style=”text-align: justify;”>ভারতের পক্ষ থেকে মায়ানমারের সেনা সরকারকে সাফ জানানো হয়, সে দেশের উরতাগা অঞ্চলে বেশকিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যেন অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

]]>
Manipur: সেনা কনভয়ে হামলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ হয় উত্তর মায়ানমারে https://ekolkata24.com/uncategorized/ne-militants-training-base-camp-going-on-myanmar-kachin-province Sat, 13 Nov 2021 12:52:13 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11187 বিশেষ প্রতিবেদন: ২০১৫ সালের মতো ভয়াবহ হামলা ২০২১ সালে। সেবার ৪ জুন ছিল রক্তাক্ত। এবার ১৩ নভেম্বর। সেবার মনিপুরের চান্দেল জেলায় সেনা কনভয়ে হামলা চালায় উত্তর পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির যৌথ সংগঠন UNLFW (United National Liberation Front of Western South East Asia)। মৃত্যু হয় ১৮ জওয়ানের। এবার হামলা হয়েছে চূড়াচন্দ্রপুরে। মৃত অসম রাইফেলসের কম্যান্ডিং অফিসার তাঁর স্ত্রী পুত্র ও জওয়ান সহ মোট ৫ জন।

এবারের হামলাকারী কারা ? সন্দেহের আঙুল অবশ্যই নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর দিকে। তবে সন্দেহের তালিকায় থাকছে পিপলস লিবারেশন আর্মি মনিপুর গোষ্ঠী (পিএলএ মনিপুর) তবে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হামলা চালাক, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ভারতের সেনাবাহিনী। উত্তর পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি পৃথক স্বশাসিত এলাকার দাবিতে হামলা চালায়। এবারের হামলার কারণও সেই রোষ। এই হামলার পরিকল্পনা সংগঠিত হয় মায়ানমারের উত্তর অংশের কাচিন প্রদেশে। এখানেই ভারত বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির ঘাঁটি।

Ne-militants-training-base

গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মায়ানমারে সেনা শাসন চলছে। এই দুটি প্রদেশের সরকার সেনা শাসনের বিরোধী। তাদের গণ মিলিশিয়া বনাম বর্মী সেনার সংঘর্ষের রক্তাক্ত পরিস্থিতির মাঝে গোয়েন্দা বিভাগ আশা করেছিল আপাতত হামলা বন্ধ হবে। তবে সেটি হলনা।

সূত্রের খবর, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দিল্লিতে গিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর লক্ষ্য দুটি প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী অসমের আলফা (স্বাধীনতা) ও নাগাল্যান্ডের এনসিএন (খাপলাং) কে আলোচনায় টেনে আনা।

এই দুটি সংগঠনের পর বোড়ো ও বাকি সংগঠনগুলির নাম আসে। তবে নাশকতার নিরিখে বাকিরাও কম যায় না। যেমন পিএলএ মনিপুর। ১৯৭৮ সাল থেকে এরা পৃথক সরকারের জন্য সংঘর্ষের পথ নিয়েছে।

উত্তর পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে তারা আগ্রাসী ভূমিকা নেয়। পিএলএ সেই কারণেই রক্তাক্ত করল মনিপুরকে বলে মনে করা হচ্ছে।

মায়ানমারের বেস ক্যাম্প থেকে ভারত সীমান্ত পার করা স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির কাছে ‘জলভাত’। বারবার হামলার পরে এমনটা প্রমানিত। অভিযোগ, সীমান্ত সুরক্ষার নামে বহু গালভরা শব্দ শোনানো হচ্ছে সরকারের তরফে। তবে বাস্তবে, ভৌগোলিক কারণ, দুর্গমতা সবমিলে মায়ানমারের সঙ্গে ভারত সীমান্তের সব এলাকা সুরক্ষিত নয় তা স্পষ্ট।

<

p style=”text-align: justify;”>সেই কারণেই মায়ানমার থেকে অরুণাচল প্রদেশ নাগাল্যান্ড, মনিপুর বা মিজেরামে ঢুকে পড়ে সেদেশে ট্রেনিং নেওয়া ভারত সরকার বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি।

]]>
Myanmar: বর্মী সেনার বিমান হামলা, বিদ্রোহী চিন প্রদেশে বিশ্বযুদ্ধের ভয়াল স্মৃতি https://ekolkata24.com/uncategorized/myanmar-military-attack-started-on-rebel-force-controlled-chinland-states Fri, 29 Oct 2021 15:55:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9642 News Desk: আশঙ্কা মিলিয়েই মায়ানমারের সামরিক সরকারের নির্দেশে শুরু হয়েছে বর্মী সেনার হামলা। বিশেষ সূত্র থেকে www.ekolkata24.com সরাসরি মায়ানমার থেকে সেই ভয়াবহ হামলার ছবি সংগ্রহ করেছে।

Myanmar military attack started on rebel force controlled chinland statesবিমান হামলা শুরু করেছে বর্মী সেনা। জ্বলছে চিন প্রদেশের বহু এলাকা। চার্চ, মন্দিরের উপরে বৃষ্টির মতো বোমা ফেলা হয়েছে। বহু এলাকায় বোমা মেরেছে বর্মী সেনা। সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও হতাহত অনেকে বলেই খবর আসছে।

Myanmar military attack started on rebel force controlled chinland states

রাষ্ট্রসংঘ আগেই আশঙ্কা করেছিল মায়ানমারে সেনা প্রধান তথা সামরিক সরকারের সুপ্রিমো মিন অং হ্লাইং রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন। সেই লক্ষ্যেই সেনা শাসন বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের দখলে থাকা দুটি রাজ্য চিন ও কাচিনে হামলা শুরু হয়েছে শুক্রবার বিকেলের পর থেকে।

Myanmar military attack started on rebel force controlled chinland states

মায়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে ফের সরকার ধরে রাখে নোবেল জয়ী নেত্রী আউং সান সু কি নেতৃত্বে চলা এনএলডি। সেনা সমর্থিত দল তেমন কিছু করতে পারেনি। সরকার গড়ার আগেই জেনারেল হ্লাইং অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানে বন্দি হন ততকালীন দেশটির সর্বময় নেত্রী সু কি সহ সরকারের মন্ত্রীরা।

Myanmar military attack started on rebel force controlled chinland states

মায়ানমারে বর্তমান সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অন হ্লাইং, বন্দি সু কি বিচারের মুহূর্তে আদালতে

অভ্যুত্থানের পর থেকেই গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় মায়ানমারে। আন্দোলন রুখতে বর্মী সেনা গুলি চালায়। হাজারের বেশি মৃত। হাজার হাজার গণতন্ত্রীপন্থীরা বন্দি হয়েছেন। মায়ানমারের সামরিক সরকারের অধীনতা মানতে নারাজ বরাবরের বিদ্রোহী দুটি প্রদেশ চিন ও কাচিন। দুই প্রাদেশিক সরকার তাদের মিলিশিয়া বাহিনী নিয়ে সেনা শাসনের বিরোধিতা শুরু করেছে। অভিযোগ, বর্মী সেনা গণহত্যা শুরু করেছে।

রাষ্ট্রসংঘ সম্প্রতি জানায়, মায়ানমারে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে চলেছে। ভারত সীমাল্ত লাগোয়া মিজেরাম, মনিপুর ও নাগাল্যান্ডের লাগোয়া চিন ও কাচিন প্রদেশে সেনা বনাম বিদ্রোহী চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স ও কাচিন আর্মির সংঘর্ষ চলছে।

]]>
Myanmar: মাস্ক পরা সু কি’র চিন্তিত মুখ দেখল বিশ্ব, আমৃত্যু জেল আশঙ্কা https://ekolkata24.com/uncategorized/suu-kyi-testifies-against-myanmar-juntas-incitement-charges Wed, 27 Oct 2021 08:29:58 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9331 News Desk: সামরিক সরকারের আদলতে হাজিরা দিলেন মায়ানমারের গণতন্ত্রীকামী নেত্রী আউং সান সু কি। নোবেল জয়ী নেত্রীর সরকারকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে উৎখাত করেছে বর্মী সেনা। চলছে সামরিক সরকার। সেই থেকে অত্যন্ত গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছে সু কি সহ অপসারিত সরকারের বাকিদেরকে। বন্দি প্রেসিডেন্টও।

বিবিসি জানাচ্ছে, টানা কয়েকমাস বিশ্বের নজর থেকে সু কি-কে সরিয়ে রাখার পর মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করায় সামরিক সরকার। সবই চলছে ঠান্ডা মাথার সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে মায়ানমারে ক্ষমতা ফের দখল করার পর সেনাবাহিনী সু কির বিরুদ্ধে করোনার বিধিনিষেধ লংঘন, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

হাজিরার সময় আদালতে মাস্কে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন সু কি। দেখা গিয়েছে তাঁর চিন্তিত চোখ। আশঙ্কা সু কি জীবদ্দশায় আর বন্দিত্ব কাটাতে পারবেন না। দেশদ্রোহ মামলায় তাঁকে আমৃত্যু জেলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

তবে সেনা সরকার জানিয়েছে সু কি আইনি উপদেষ্টা রাখতে পারবেন আদালতে। তাঁর আইনজীবীও সেনা অনুমোদিত ব্যক্তি ! তিনি জানান, আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমান দাখিল করেছেন সু কি। তথ্য বিচার করেই রায় দেবে আদালত।

বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন, সু কি মুক্তি পাবেন কি? মায়ানমারে সামরিক সরকার হয়ত তাঁকে আর প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কর্মসূচচিত নামতে দেবে না। দোষী প্রমানিত হলে অন্তত ১৫ বছরের জেল হবে সু কির।

]]>
Mayanmar: Chin-Kachin সেনার মুখোমুখি হচ্ছে বর্মী বাহিনী, গণহত্যার প্রবল আশঙ্কা https://ekolkata24.com/uncategorized/mayanmar-facing-civil-war-near-indian-bordering-states-chin-and-kachin Sun, 24 Oct 2021 09:32:42 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8944 News Desk: টানা ৪৮ ঘন্টা ঘরে মুখোমুখি মায়ানমারের সামরিক সরকারের সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী পরিচালিত দেশটির চিন ও কাচিন প্রদেশের নিজস্ব বাহিনী।

রাষ্ট্রসংঘ আশঙ্কা করছে মায়ানমারের সেনা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নির্দেশে বর্মী সেমা ফের গণহত্যা চালাতে প্রস্তুত। যদিও www.ekolkata24.com বিশেষ সূত্র থেকে মিজোরাম, মনিপুর ও নাগাল্যান্ড সীমান্ত লাগোয়া মায়ানমারের কিছু এলাকায় প্রতিরোধ ব্যবস্থার ছবি সংগ্রহ করেছে।

myanmar

দুই সেনার মুখোমুখি
বর্মী সেনা (Myanmar Army) বনাম চিন (Chin) ও কাচিন (Kachin) বাহিনীর সংঘর্ষ যে কোনও সময় বাঁধতে পারে। বহু বর্মী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দিকে ঢুকেছেন, আরও আসছেন। পরিস্থিতি কেমন সেটা জানতে আগে চোখ রাখুন এলাকার মানচিত্রে।

myanmar 2

মানচিত্র
আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপারের ঘটনাবলী কেমন তা তুলে ধরছি আমরা। ফেব্রুয়ারি মাসে রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানে মায়ানমারে নির্বাচিত এনএলডি (NLD) সরকারকে উৎখাত করা হয়। সেই থেকে বন্দি মায়ানমারের সর্বচ্চো নেত্রী সু কি ও তাঁর সরকারের প্রেসিডেন্ট সহ বহু মন্ত্রী নেতারা। বর্মী জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন। সেনা বাহিনীর গুলিতে মৃত এক হাজারের বেশি। শয়ে শয়ে বন্দি। দেশটির দুটি প্রদেশ চিন (Chin) ও কাচিন (Kachin) এর প্রাদেশিক সরকার বর্মী সেনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

myanmar 3

 

বিবিসি জানাচ্ছে, মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি আরও রক্তাক্ত হতে পারে। কাচিন আর্মি ও চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স প্রত্যাঘাতের জন্য তৈরি। বোমা মেরে বিভিন্ন এলাকার সেতু ভেঙে দিয়েছে তারা।

myanmar 4

বর্মী সেনার ট্যাংক বহর দুটি প্রদেশেই প্রবেশ করতে শুরু করেছে। কয়েকটি এলাকায় হচ্ছে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ।

myanmar 5

সীমান্তের এপারে মিজেরাম সরকার উদ্বিগ্ন। মিজোরামের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় ঢুকে পড়া বর্মীরা শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন।

myanmar
আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল হ্লাইংয়ের নির্দেশ এলেই শুরু হবে চূড়ান্ত অভিযান। গণতন্ত্রী গোষ্ঠী বিশেষ করে মায়ানমার সরকারের বিরোধী সশস্ত্র চিন আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

]]>
Myanmar: ফের গণহত্যার আশঙ্কা, ট্যাংক নিয়ে ঘিরছে বর্মী সেনা https://ekolkata24.com/uncategorized/massive-mobilisation-of-forces-by-the-myanmar-military-government-in-the-chin-state-bordering-mizoram Sat, 23 Oct 2021 12:17:06 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8853 নিউজ ডেস্ক: রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানের পর রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে মায়ানমারের সামরিক সরকার। গণতন্ত্রের পক্ষে থাকা জনগণের উপর হামলা চলছেই। হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফের একবার সেনা অভিযানের পথে মায়ানমারের সেনা প্রধান জেনারেল মিন অন হ্লাইং।

বিবিসি জানাচ্ছে, উত্তর মায়ানমারের বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রসংঘের মায়ানমার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ টম অ্যান্ডুস জানিয়েছেন, বর্মী সেনা মোতায়েন করা হয়েছে দেশটির দুর্গম উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। হাজার হাজার সেনা এবং ভারী অস্ত্র নিয়ে হামলার আশঙ্কা থাকছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, জেনারেল হ্লাইংয়ের নির্দেশ এলেই শুরু হবে চূড়ান্ত অভিযান। গণতন্ত্রী গোষ্ঠী বিশেষ করে মায়ানমার সরকারের বিরোধী সশস্ত্র চিন আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

বর্মী সেনার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘর্ষের পথেই গিয়েছে চিন (Chin) ও কাচিন (Kachin) দুই প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সম্প্রতি সেখানে আক্রমণ করেছিল বর্মী সেনা। বহু মানুষ পালিয়ে ভারতের দিকে ঢুকে পড়েন। নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও মনিপুরের সীমান্তে পলাতক বর্মীরা আশ্রয় নিয়েছেন।

এএফপি জানিয়েছে, মায়ানমারে বর্মী সেনার রক্তক্ষয়ী অভিযানে হাজারের বেশি অসামরিক নাগরিক নিহত। ৮ হাজারের বেশি গ্রেফতার। দেশটির উৎখাত হওয়া সরকারের সর্বময় নেত্রী আউং সান সু কি ও প্রেসিডেন্ট সহ মন্ত্রিসভার অনেকেই বন্দি।

]]>
Myanmar: ঘরে-বাইরে চাপে পড়ে পাঁচ হাজার গণতন্ত্রকামীকে মুক্তি দিচ্ছে জুন্টা প্রশাসন https://ekolkata24.com/uncategorized/myanmar-jantu-administration-is-releasing-5000-democrats-under-pressure-from-home-and-abroad Mon, 18 Oct 2021 11:57:37 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8134 নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাতারাতি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে মায়ানমারের (Myanmar) শাসনভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল সে দেশের সেনাবাহিনী। ওই ঘটনার পরেই গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয় মায়ানমার। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ।

সাধারণ মানুষের ওই বিক্ষোভ দমনে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করে সামরিক প্রশাসন। গত আট মাসে সেনাবাহিনীর গুলিতে মায়ানমারে হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বন্দি করা হয় বেশ কয়েক হাজার মানুষকে। শেষ পর্যন্ত বন্দিদের মধ্যে ৫৬৩৬ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুন্টা প্রশাসন।

সোমবার দুপুরে মায়ানমার সেনা প্রশাসনের প্রধান মিন আউং হ্লাইং বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে কারা মুক্তি পেতে চলেছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি। কবে এবং কিভাবে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে সে বিষয়েও কিছু বলেননি মিন।

ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়েছিল মায়ানমার সেনা। কাউন্সিলর আং সান সুচি ও গণতান্ত্রিক সরকারের বেশির ভাগ প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঘটনার জেরে লাখ লাখ মানুষ নেমেছিলেন পথে। আন্তর্জাতিক মহলও মায়ানমারের সামরিক শাসকদের কড়া নিন্দা করে। মায়ানমারে পুনরায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সেনাশাসকদের অনুরোধ জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি জুন্টা প্রশাসন। শেষপর্যন্ত ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে জুন্টা প্রশাসন গণতন্ত্রকামী বন্দীদের মুক্তি দিতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কূটনৈতিক মহল মনে করছে, মায়ানমার সেনা আধিকারিকদের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। পাশাপাশি বেশ কিছু আর্থিক বিধিনিষেধও মায়ানমারের উপর জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে দেশের ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় সেনার সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহী বাহিনীর। সবদিক থেকেই প্রবল চাপের মুখে পড়েছে জুন্টা প্রশাসন। তাই উৎসবের অজুহাত দেখিয়ে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনাশাসক।

তবে পাঁচ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিলেই যে সমস্যা মিটবে তা নয়। গণতন্ত্রকামী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, যে সমস্ত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সকলকেই মুক্তি দিতে হবে অবিলম্বে। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে। তবেই তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরে দাঁড়াবেন। অন্যথায় সামরিক প্রশাসনকে আরও বৃহত্তর আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

]]>
Bangladesh Border: আন্তর্জাতিক সীমান্তে গুলি চালানোর হুঁশিয়ারি বাংলাদেশের https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-foreign-ministe-has-said-shots-could-be-fired-at-myanmar-frontier Tue, 05 Oct 2021 12:32:55 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6660 নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেচাল দেখলেই সরাসরি গুলি চালানোর হঁশিয়ারি দিল বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। তীব্র আলোড়ন ছড়াতে শুরু করেছে। প্রতিবেশি দেশের সরকারকে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়ায় কূটনৈতিক বিতর্ক বড় আকার নিতে চলল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় মানব পাচার, মাদক চোরাচালান, আগ্নেয়াস্ত্র পাচার রুখতে বাংলাদেশ সরকার কড়া ভূমিকা নিতে চলেছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মঙ্গলবার সিলেটে এক অনুষ্ঠান থেকে প্রতিবেশি মায়ামমারের সামরিক সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে গুলি চালাব।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান হয়। এখানে ছিলেন ভারতের হাইকিশনার বিক্রম দেরাইস্বামী। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানান,  আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কখনও গুলি চালাব না। এখন থেকে গুলি চালাব।

bangladesh army

বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি দেশ ভারত ও মায়ানমারের আন্তর্জাতিক সীমান্ত। এর মধ্যে মায়ানমারের সঙ্গে ২৭০ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত। বাকি ৯৪ শতাংশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত ভারতের সঙ্গে।

বাংলাদেশ সরকারের দাবি, মায়ানমার থেকে সীমান্তবর্তী চট্টগ্রাম বিভাগ দিয়ে মাদক, মানব পাচার ও অস্ত্র চোরাচালান হয়। বারবার সেদেশের সরকারকে জানিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া ভূমিকা নেবে ঢাকা।

মায়ানমার এখন সামরিক শাসনে। বাংলাদেশ সরকারের ‘গুলি চালানো’ হুঁশিয়ারির পর বর্মী সেনা পরিচালিত সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অন হ্লাইং ( Min Aung Hlaing ) কী প্রতিক্রিয়া দেন তার দিকে তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল। তাঁর হুকুমেই চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের নির্বাচিত সরকারের সর্বচ্চো নেত্রী আউং সান সু কি সহ মন্ত্রীদের বন্দি করা হয়। সামরিক অভ্যুত্থানের পর বর্মী সেনা ক্ষমতা দখল করেছে।

অন্যদিকে সু কি আমলেই মায়ানমারে হয়েছে রোহিঙ্গা গণহত্যা। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে ঢুকেছেন। তাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার সরকারকে বারবার বলেছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা শিবিরে মাদক, অস্ত্রের চোরাচালান হচ্ছে বিস্তর। সম্প্রতি রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ খুন হন। এর জেরে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত।

]]>
Myanmar: রোহিঙ্গা নেতা খুনে জড়িত বর্মী সেনা সরকার, বিস্ফোরক দাবি জঙ্গি সংগঠনের https://ekolkata24.com/uncategorized/myanmar-government-involved-in-rohinga-leader-murder-case-claimed-arsa-militant-group Sat, 02 Oct 2021 12:51:50 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6331 নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে খুন হয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। তাঁর খুনে জড়িত মায়ানমারের (Myanmar) বর্তমান সামরিক সরকার। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে পাকিস্তান মদতপুষ্ট রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরসা (ARSA)। বিবৃতি দিয়েছে এই সংগঠনটি।

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সক্রিয়। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কুতুপালং রোঙিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে খুন হওয়া মুহিবুল্লাহর পরিবারের অভিযোগ, আরসা জঙ্গিরা গুলি করেছিল। যদিও বাংলাদেশ সরকার এখনও তদন্ত চালাচ্ছে কিন্তু কোনও সংগঠনের নাম বলেনি।

মুহিবুল্লাহ কে খুনের পর আরসা জঙ্গি সংগঠনের মুখপাত্র মৌলভি শোয়েব জানায়, মায়ানমার সরকারের এজেন্টরাই মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত। আরসার দাবি, এই খুনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

মৃত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর আন্তর্জাতিক পরিচিত ছিল। তিনি বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফের মায়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘ ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

অভিযোগ, মায়ানমার সরকার কোনওভাবেই রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চায় না। তাই মুহিবুল্লাহর মতো নেতাকে সরিয়ে দিতে জঙ্গি সংগঠন আরসা কে কাজে লাগিয়েছে মায়ানমারে সেনা সরকার।

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলির মধ্যে আরসা জঙ্গি ও কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়। মুহিবুল্লাহ খুনের তদন্তে উঠে এসেছে রাত নামলেই শরণার্থী শিবিরগুলিতে তাদের গতিবিধির কথা।

কয়েকবছর আগে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে (পূর্বতন আরকান) রক্তাক্ত গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর তৎকালীন আউং সান সু কি নেতৃত্বে চলা সরকার দমন নীতি নেয়। সেনা অভিযানে গণহত্যা শুরু হয়। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা পাহাড়ি পথে ও বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ঢুকে পড়েন। তাদের জন্য বৃহত্তম শরণার্থী শিবির চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ঢাকার অভিযোগ, বারবার শরণার্থী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু মায়ানমার সরকার উদ্যোগ নেয়না।

]]>
Bangladesh: রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এলোপাথাড়ি গুলি, তীব্র আতঙ্ক https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-rohingya-leader-has-killed-by-unknown-gunmens-at-coxs-bazar-camp Thu, 30 Sep 2021 07:40:53 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6088 নিউজ ডেস্ক: রাতে হয়েছে হামলা। সেই হামলার পর বৃহস্পতিবার সকালেও তীব্র আতঙ্ক বাংলাদেশের (Bangladesh) তথা বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। গুলি করে খুন করা হয়েছে রোহিঙ্গা নেতাকে। ঘটনার কেন্দ্র কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং ক্যাম্প। মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গার এখন আশ্রয়স্থল এই এলাকা।

বিবিসি জানাচ্ছে, কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে খুন হয়েছেন,রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গা নেতাকে খুব কাছে থেকে গুলি করা হয়। তাঁর স্ত্রী জানান, বুধবার রাতে কুতুপালং শিবিরে তাদের ক্যাম্পে চার পাঁচজন এসেছিল। তারাই গুলি করেছে।

Rohingya leader has killed

২০১৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ভাষণ দিতে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতের জন্য হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত ছিলেন।

জানা গিয়েছে, মহিবুল্লাহর সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস। এই সংগঠনটি মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ (পূর্বতন আরাকান) থেকে সেনাবাহিনীর হামলায় উচ্ছেদ হওয়া রোহিঙ্গাদের অধিকারের দাবিতে কাজ করত। কারা খুন করেছে সেটাই রহস্যময়। কারণ, কক্সবাজারের পুলিশ এখনও কিছু জানায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা রোহিঙ্গা নেতার পরিচিত।

]]>
Exclusive ছবি: মিজোরাম সীমান্ত রক্তাক্ত, ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের পথে মায়ানমার https://ekolkata24.com/uncategorized/exclusive-photos-of-anti-myanmar-military-government-fightets-near-mizoram-birdet Thu, 23 Sep 2021 08:39:51 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5368 বিশেষ প্রতিবেদন: গণতন্ত্র নাকি সামরিক শাসন এই প্রশ্নেই ফের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের পথে মায়ানমার। এর ফলে ভারত সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ। হাজার হাজার বর্মী ঢুকতে শুরু করেছেন মিজোরামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।

কী অবস্থা এই সীমান্তের? www.ekolkata24x7.com উত্তর পূর্বভারতের একেবারে দুর্গম বিপদসংকুল আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার কিছু ছবি প্রকাশ করল। এই ছবি পাঠিয়েছে মায়ানমারের বর্তমান সামরিক সরকার বিরোধী গোষ্ঠি চিন ডিফেন্স ফোর্স।

Myanmar army

হামলার মুখে বর্মী সেনা

চিন জাতির প্রতিরোধ:
চিন প্রদেশের নাম এসেছে চিন জাতি থেকে। তারা মায়ানমারে দুটি প্রদেশ চিন ও কাচিনে থাকেন। মায়ানমারের চিন প্রদেশ ভারত লাগোয়া। আর কাচিন প্রদেশটি ভারত ও চিন দেশ উভয়ের নিকটস্থ।

myanmar border

মিজোরাম মায়ানমার সীমান্ত চেকপোস্ট

গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেছেন বর্তমান সেনা শাসক মিন অং হ্লাইং। ঠান্ডা মাথার সেনাপ্রধান তিনি। একের পর এক মামলায় জড়িয়ে সু কি কে বাকি জীবন জেলে রাখতে মরিয়া সামরিক সরকার।

Chin defense force

চিন গোষ্ঠীর অস্ত্র

মায়ানমারে সেনা শাসনের প্রতিবাদে সর্বাত্মক আহ্বান জানানো হয় সম্প্রতি। দেশটির নোবেলজয়ী বন্দি নেত্রী আউং সান সু কি (রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিতর্কিত অবস্থান)। তাঁকে রক্ষা করতে ও গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে অপসারিত সরকারের কয়েকজন আত্মগোপনকারী নেতা দিচ্ছেন সেনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন নেতৃত্ব।

Chin defense force

চিন গোষ্ঠীর হামলা প্রস্তুতি

গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে গণআন্দোলনে মায়ানমারের রাজধানী নেপিদ সহ বিভিন্ন প্রান্তে শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবে সর্বাধিক রক্তাক্ত পরিস্থিতি মায়ানমারের চিন প্রদেশ।

অতি আগ্রাসী অঞ্চল বলে কুখ্যাত চিন প্রদেশ। এখানকার চিন জাতির মধ্যে বর্মী সেনা শাসনের তীব্র বিরোধিতা থেকে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী বসে নেই। চলছে গুলি।  আন্তর্জাতিক সীমান্তের এদিকে মিজোরামের দুটি জেলা সাইহা ও লুংগলেই। সংঘর্ষের মাঝেই দুর্গম বন নদী পেরিয়ে মিজোরামের দিকে আসছেন মায়ানমারের চিন জাতির ঘরছাড়া, দেশহীন শরণার্থীরা।

Chin province

চিন ডিফেন্স ফোর্স চিহ্ন

পরিস্থিতি ভয়াবহ প্রতিবেশি দেশ মায়ানমারে। সে দেশের সামরিক সরকার বিরোধী গণতন্ত্রীদের সংঘর্ষ আর ‘গান্ধীগিরি’ পথ নিচ্ছে না। বরং এর উল্টো ছবিটা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। মায়ানমারে চিন প্রদেশ সরকার তাদের চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স নামিয়েছে। তাদেরই পাঠানো ছবিতে স্পষ্ট, গত কয়েকদিনে কীরকম অবস্থা সীমান্তের ওপারে।

Chin defense force

নদী পেরিয়ে মায়ানমার থেকে মিজোরামে আসছেন বর্মীরা।

মায়ানমারের চিন প্রদেশের থান্টলাং এলাকায় বর্মি সেনা ও সেদেশের গণতন্ত্রপন্থী মিলিশিয়াদের সংঘর্ষ চলছেই। গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, বর্মী সেনার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে যাচ্ছে মায়ানমারের দুর্গম এলাকায় সক্রিয় সরকার বিরোধী মিলিশিয়া চিন ডিফেন্স ফোর্স। তাদের দাবি, গত কয়েক দিনের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন মিলিশিয়া মৃত।
পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ চিন প্রদেশের থান্টলাংয়ে। বর্মী সেনারা থান্টলাং এলাকা বারবার হামলা চালায়। এর পরেই ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে আসতে শুরু করেন স্থানীয় চিন জাতির বাসিন্দারা। এমনই জানাচ্ছে উত্তর পূর্বের সংবাদমাধ্যমগুলি।

]]>
ওপারে বাড়ি জ্বলছে, রাস্তায় মৃতদেহ বর্মী সেনার ভয়ে হাজার হাজার শরণার্থী মিজোরামে https://ekolkata24.com/uncategorized/myanmar-democratic-force-versus-military-clashes-near-indian-border Thu, 23 Sep 2021 06:48:10 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5351 নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে মায়ানমার। দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত, প্রধান নেত্রী আউং সান সু কি-কে বন্দি করার প্রতিবাদে বর্মী সেনার বিরুদ্ধে সংঘর্ষে নেমেছে গণতন্ত্রী মিলিশিয়া বাহিনী। দু তরফের সংঘর্ষে রক্তাক্ত মায়ানমারের চিন প্রদেশ।

বর্মী সেনার অভিযানে ঠিক কতজনের মৃত্যু তার হিসেব নেই। তবে প্রানভয়ে মায়ানমারের দিক থেকে ভারতে ঢুকে পড়া হাজার হাজার বর্মীর একটাই কথা, বাড়ি জ্বলছে রাস্তায় পড়ে বহু দেহ। বিবিসি, গার্ডিয়ানের এমন খবর।

মিজোরাম সরকার চিন্তিত। আইজলের সংবাদমাধ্যমের খবর, ভীত বর্মীরা মায়ানমারে চিন প্রদেশের বাসিন্দা। এই এলাকাটি আন্তর্জাতিক সীমান্তের মিজেরাম রাজ্য ঘেঁষা। ফলে হাজার হাজার বর্মীরা এখন মিজোরামের মাটিতে শরণার্থী। মিজোরাম সরকার কড়া চোখে রাখলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। এদের মধ্যে অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার বর্মী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিজোরামে ঢুকে পড়েছেন।

মায়ানমারের চিন প্রদেশের থান্টলাং এলাকায় বার্মি সেনা ও সেদেশের গণতন্ত্রপন্থি মিলিশিয়াদের সংঘর্ষ চলছেই। গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, বর্মী সেনার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে যাচ্ছে মায়ানমারের দুর্গম এলাকায় সক্রিয় সরকার বিরোধী মিলিশিয়া চিন ডিফেন্স ফোর্স। তাদের দাবি, গত কয়েক দিনের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন মিলিশিয়া মৃত।

পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ চিন প্রদেশের থান্টলাংয়ে। বার্মী সেনারা থান্টলাং এলাকা বারবার হামলা চলায়। এর পরেই ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে আসতে শুরু করেন স্থানীয় চিন জাতির বাসিন্দারা। এমনই জানাচ্ছে উত্তর পূর্বের সংবাদমাধ্যমগুলি।

মায়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক রিগিং করে জিতেছেন সু কি এমন অভিযোগ তুলে দেশটির সেনাবাহিনী রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারকে অপসারিত করে। চলতি বছর  ১ ফেব্রুয়ারি বন্দি করা হয় সু কি সহ সরকারের সবাইকে। সেনা শাসন শুরু হয়। মায়ানমারের ক্ষমতা এখন সেনা বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নিয়ন্ত্রণে। গণতন্ত্র ফেরাতে তীব্র আন্দোলনে এর পর থেকে রক্তাক্ত হচ্ছে মায়ানমার।

]]>