Naxalbari movement – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 05 Nov 2021 12:08:10 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Naxalbari movement – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 নকশাল নেতা সরোজ দত্তর ‘মার্ডার’ দেখা উত্তমকুমারকে ফোন করলেন, কে তিনি? https://ekolkata24.com/uncategorized/naxal-leader-saroj-dutta-murder-case Fri, 05 Nov 2021 09:40:31 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10353 News Desk: কে তিনি? উত্তমকুমার জীবদ্দশায় যাঁদের কাছে ‘মুখ খুলেছিলেন’ তাঁরাও কোনও এক অজানা আশঙ্কায় নীরব ছিলেন। কারণ সে মন্ত্রী আর জবরদস্ত তার কাজকর্ম।

মহানায়কের জীবনে এমন সন্ধিক্ষণ আর আসেনি। তিনি বম্বে (মুম্বই) চলে গিয়ে কিছুটা ধাতস্থ হতে চেয়েছিলেন। সেই সময় একটি ফোন এসেছিল, হাসি হাসি গলায় উত্তমকুমারকে কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিটি। সিনেমায় বহু ভিলেনকে সরাসরি কুপোকাত করে দেওয়া উত্তমকুমার বুঝেছিলেন বেশি বলা ভালো না।

এই ঘটনার পিছনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অতিবামপন্থী নেতা, কবি ও সাংবাদিক সরোজ দত্তর মার্ডার মুহূর্ত। কলকাতাতেই ১৯৭১ সালের ৫ই আগস্টের ভোরে কিংবদন্তি এই রাজনীতিককে খুন করা হয়। কানাঘুষোয় শোনা যায় ঘটনাচক্র বা দুর্ঘটনাচক্রে সরোজ দত্তকে খুনের মুহূর্তটি দেখে ফেলেছিলেন মর্নিং ওয়াক করতে আসা উত্তম কুমার। এর পরেই কেউ তাঁকে বলেছিল ‘উত্তমদা আপনি কিছুই দেখেননি’।

চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার সাড়া জাগানো সিনেমা আতঙ্ক মুক্তি পায় ১৯৮৬ সালে। সেখানে সত্তর দশকে পাড়া পাড়ায় যে মস্তানি ও খুন চলছিল তারই জ্বলন্ত মুহূর্ত ধরা আছে। এক ছাত্র অপর ছাত্রকে খুন করছে এই মুহূর্ত দেখে ফেলা বৃদ্ধ শিক্ষককে পরিচ্ছন্ন হুমকি দেয় খুনি ‘মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি’। এই সংলাপেই ধরা আছে ভয়াবহ সময়টির আতঙ্কিত জনজীবন।

তপন সিনহার আতঙ্ক সিনেমার সংলাপটির চিন্তা এসেছিল উত্তমকুমারকে দেওয়া টেলিফোনে হুমকি থেকেই তাতে নিশ্চিত অনেকেই। সেই ফোন যিনি করেন তিনি সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের পছন্দের এক তরুণ নেতা। এও শোনা যায় উত্তমকুমার সহ বাংলা চলচ্চিত্রের প্রায় সবাই তাঁর ঘনিষ্ঠ। ফলে ফোনটা এসেছিল হুকুমদারি মার্কা গলায় নয়, নেহাতই উত্তম গুণমুগ্ধ হয়েই একটি আবদার। তবে সেই ফোন যে আসলে হুঁশিয়ারি তাও স্পষ্ট ছিল।

তবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মহলে উত্তমকুমার কিছুটা বলেছিলেন সেই ফোন করা ব্যক্তির বিষয়ে। তাঁর সেই ভীত গলায় আলোচনার রেশ ধরেই পরবর্তী কালে সময় ও তারিখ মিলিয়ে জানা যায় সেদিন ভোরে নকশালপন্থী নেতা সরোজ দত্তকে খুনের মুহর্তে কাকতালীয়ভাবে হাজির হয়েছিলেন মর্নিংওয়াক করা উত্তমকুমার। এর পরেই খুব পরিচিত একজন তাঁকে বলেন, ‘উত্তমদা আপনি কিছুই দেখেননি।’

নকশালবাড়ি আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা সরোজ দত্ত অন্যান্যদের মতো আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁকে ১৯৭১ সালের ৪ আগস্টের শেষ রাতে পুলিশ এসে অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে তাঁকে আর কোথাও কেউ দেখেনি। সেই থেকেই তিনি আজও পর্যন্ত পুলিশের খাতায় ‘নিখোঁজ’। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু অনেক রহস্য অনাবৃত থেকে গেল।

]]>
Subrata Mukherjee: হেফাজতে চারু মজুমদারে মৃত্যু, পুলিশমন্ত্রী ছিলেন সুব্রত https://ekolkata24.com/uncategorized/subrata-mukherjee-always-silent-on-charu-majumdar-dearth-mystery Fri, 05 Nov 2021 08:29:08 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10346 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বিতর্কিত ২৮ জুলাই। ১৯৭২ সালের দিনটিতে মৃত্যু হয়েছিল সশস্ত্র নকশালপন্থী আন্দোলনের স্রষ্টা চারু মজুমদারের। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিস্তর বিবাদ বিতর্ক রয়েছে। তবে সরকার কর্তৃক ঘোষণা করা হয়েছিল মৃত্যুর কারণ ‘হৃদরোগ’। নকশালপন্থী নেতা ও দলগুলির অভিযোগ, ‘তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) অধীনস্থ পুলিশ বিভাগ অজানা কারণে চারুবাবুর মৃত্যুর কারণ গোপন করেছিল’।

নকশালবাড়ি আন্দোলনের সরাসরি সমর্থক বিভিন্ন অতিবামপন্থী সংগঠনগুলির আরও অভিযোগ, দেশের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা আন্তর্জাতিক পরিচিতি পাওয়া ‘সিএম’ (চারু মজুমদার) কে পুলিশি হেফাজতে মেরে ফেলা হয়েছিল। তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সরকারের আমলেই চারুবাবুর গ্রেফতারি ও হেফাজতে মৃত্যুর বিতর্ক এখনও চলছে।

ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম অধ্যায় দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি কৃষক অভ্যুত্থান। সশস্ত্র সংগ্রামের তত্ত্বে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন সিপিআইএম থেকে বহিষ্কৃত কমিউনিস্ট নেতা চারু মজুমদার ও সমদর্শী নেতারা।

১৯৬৭ সালে সরাসরি নকশালবাড়িতে সশস্ত্র কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, রক্তাক্ত পরিস্থিতির জেরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হাওয়া আরও গরম হয়েছিল। সেই আন্দোলনের ফলে গোটা দেশে অতি বাম রাজনৈতিক তত্ত্বের পালে হাওয়া লাগে। এই আন্দোলনের মূল নেতা চারু মজুমদার অসুস্থ হয়েও গোপনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাঁকে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করে সরকার। নকশাল আন্দোলন তীব্র আকার নেয়। অবশেষে তাঁকে ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই কলকাতার গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

চারু মজুমদারের গ্রেফতারের পরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ছিল তাঁর শারিরীক অবস্থা কেমন? শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত চারবাবু বন্দি হলেও তিনি আইনত চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠতে থাকে। তবে নিরুত্তর ছিলেন রাজ্যের ততকালীন পুলিশমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

অভিযোগ উঠছিল, চারু মজুমদারকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার ছক করেছে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনিও নীরবতার পথ নিয়েছিলেন। চাপে পড়ে অসুস্থ চারুবাবুর চিকিৎসা শুরু হয় হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৭২ সালের ২৮ জুলাই তিনি প্রয়াত হন।

এই ইস্যুটি রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জীবনভর তাড়া করেছে। তিনিও বিষয়টি নিয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট করেননি। ফলে বিতর্ক থেকেই গিয়েছে। সুব্রতবাবুর প্রয়াণে এই বিতর্কের সরাসরি জবাব দেওয়ার কেউ নেই। নকশালপন্থীদের অভিযোগ অনুসারে ‘রহস্যাবৃত’ থাকল চারু মজুমদারের মৃত্যুর কারণ।

]]>