Netaji – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 13 Dec 2021 15:20:23 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Netaji – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Netaji is alive or dead: নেতাজী জীবিত না মৃত, ৮ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে কেন্দ্রকে নির্দেশ হাইকোর্টের https://ekolkata24.com/uncategorized/netaji-is-alive-or-dead-the-high-court-directed-the-center-to-inform-within-6-weeks Mon, 13 Dec 2021 15:20:23 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14696 News Desk: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) জীবিত আছেন নাকি, তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা ৮ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রকে জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ জারি করে।

নেতাজী জীবিত আছেন নাকি তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা জানতে চেয়ে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বেঞ্চ তার নির্দেশে দেশে ব্যবহৃত টাকায় নেতাজির ছবি ব্যবহার করা যাবে কিনা তাও হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রকে জানাতে বলেছে।

সোমবার আবেদনকারীর আইনজীবী রবীন্দ্রনারায়ণ দত্ত আদালতে বলেন, নেতাজীর অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করতে কেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে একাধিক কমিশন গঠন করেছে। ওই কমিশনের জন্য সরকারের বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। কিন্তু এখনও প্রকৃত সত্য সামনে আসেনি। অযথা সরকারি অর্থের অপচয় না করে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করুক কেন্দ্রীয় সরকার। আদালত এ বিষয়ে নির্দেশ জারি করুক বলে আইনজীবী রবীন্দ্রনারায়ণ দত্ত দাবি করেন।

আইনজীবী দত্ত বলেন, নেতাজী দেশের জন্য যা করেছেন তা মানুষ কোনওদিন ভুলবে না। তাই ভারতীয় মুদ্রায় নেতাজির ছবি ছাপানোর জন্য ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবে উৎসাহ দেখিয়েছে আরবিআই। কিন্তু এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। সেই তথ্যও আদালতকে জানাক সরকার।

আবেদনকারীর আইনজীবীর এই বক্তব্যের পর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নেতাজীর অন্তর্ধানের বিষয়ে সরকার তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করুক। একইসঙ্গে নেতাজির ছবি দেশের টাকায় ছাপা হবে কিনা তাও জানানোর জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা দিয়ে এই দুই প্রশ্নের উত্তর জানাতে হবে হাইকোর্টকে। উল্লেখ্য, নেতাজীর অন্তর্ধানের বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু ফাইল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর বেঁচে থাকা বা মৃত্যু হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও ফাইল প্রকাশ করা হয়নি।

১৯৪৫ সালে তাইহোকু বিমান বন্দরে দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে অসংখ্য প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। সেই জট এখনও কাটানো যায়নি। এরইমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

]]>
Subhash chandra Bose: নেতাজীর ছবি মুদ্রায় আনতে সরকারের অবস্থান কী? জবাব চাইল বিচারপতি বেঞ্চ https://ekolkata24.com/uncategorized/subhash-chandra-bose-photo-rbi-indian-currency Mon, 13 Dec 2021 08:18:17 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14638 News Desk: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhash chandra Bose) ছবি গান্ধীজীর মতো ভারতীয় মুদ্রায় ছাপানো হোক। নেতাজীর অন্তর্ধান নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লিখিতভাবে কলকাতা হাইকোর্ট কে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান। জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্যে বাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

নেতাজির সহযোগী হরেন্দ্রনাথ বাগচী কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী রবীন্দ্রনারায়ণ দত্ত আদালতে জানান, দেশের জন্য নেতাজীর অবদান কে গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে ভারতীয় মুদ্রায় তাঁর ছবি ছাপানোর প্রস্তাব রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া হয়েছে। উৎসাহিত হয়েছে আরবি। সেই তথ্য আদালতে জমা করা হয়েছে।

পাশাপাশি নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সময়ে কমিশন গঠন করেছে। সেই কমিশন গঠনের ফলে সরকারি তহবিল নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার অন্তর্ধান রহস্যের প্রকৃত উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। সরকারি তহবিলের অপব্যবহার না করে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করুক কেন্দ্রীয় সরকার। আদালতের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন।

আবেদনকারীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি প্রকাশক ও বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে স্পষ্ট হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে নেতাজির অন্তর্ধান সম্পর্কে তাদের প্রকৃত অবস্থান।

]]>
মহাত্মা গান্ধী-নেতাজির আত্মত্যাগকে অসম্মান করবেন না, কঙ্গনাকে তোপ বরুণের https://ekolkata24.com/uncategorized/do-not-disrespect-mahatma-gandhi-netajis-self-sacrifice-kangana-to-varun Thu, 11 Nov 2021 16:23:57 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=11059 News Desk, New Delhi: সদ্য পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে (Kangana Ranawat) তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun gandhi)। কঙ্গনা একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেছিলেন, দেশ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পায়নি। ওটা ছিল আমাদের ভিক্ষা। আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছি ২০১৪ সালে।

বিতর্কিত মন্তব্য করে এর আগেও একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন কঙ্গনা। এবারও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ফের এক বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি। এই মন্তব্যের জন্য দেশজুড়ে সমালোচিত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। এবার এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির তরুণ সাংসদ বরুণ গান্ধী।

বৃহস্পতিবার টুইটারে কঙ্গনার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বরুণ। সেখানেই তিনি লিখেছেন, দয়া করে কখনও মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) ও নেতাজির (Netaji) আত্মত্যাগ ও তপস্যাকে ছোট করবেন না। মহাত্মাজীর হত্যাকারীকে সম্মান দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এবার আপনি রানি লক্ষ্মীবাঈ (lakhsmibi) থেকে শুরু করে ভগৎ সিং (bhagat sing), মঙ্গল পান্ডে (mangal pandey), চন্দ্রশেখর (chandrashekhar azad) আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মবলিদানকে অসম্মান করলেন। এটা কি আপনার পাগলামি নাকি, বিশ্বাসঘাতকতা? বরুণের এই টুইটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা সকলেই লাইক করেছেন।

একই সঙ্গে কঙ্গনারও কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, অভিনেত্রী কঙ্গনা বরাবরই বিজেপির প্রতি কিছুটা দুর্বল। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। কঙ্গনা সেই সময়কেই দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা বলে ইঙ্গিত করেছিলেন। কঙ্গনার সেই বক্তব্যকেই তীব্র ভাষায় খণ্ডন করলেন বরুণ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বরুণ গেরুয়া শিবিরের লাইনের বাইরে গিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন। কয়েক মাস আগে গডসের জন্মদিন পালন করারও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। লখিমপুর খেরিতে ৪ কৃষককে পিষে মারার ঘটনাতেও তোপ দেখেছিলেন তিনি। এভাবে দলের লাইনের বাইরে গিয়ে কথা বলায় সম্প্রতি বরুণ ও তাঁর মা মানেকা গান্ধীকে বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে।

]]>
কালের গহ্বরে হারিয়ে গিয়েছে নেতাজীর স্মৃতিধন্য পরিবারের দুর্গোৎসব https://ekolkata24.com/offbeat-news/the-lost-history-of-netaji-subhas-boses-aunts-house Mon, 04 Oct 2021 11:18:50 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6546 বিশেষ প্রতিবেদন: কাশির ঠাটারিবাজারের কাছেই চৌখাম্বার বসু পরিবার। সেই বাড়িতেই একসময় মহাধুমধাম করে দুর্গোৎসব হতো। এই বাড়ির উঠোনে আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে এক সুদৃঢ় বালকের পা পড়তো। তখন কে জানত যে সেই বালক হবেন আগামীর দেশনায়ক। কালের গহ্বরে আজ সবই গিয়েছে হারিয়ে।

উত্তর কলকাতা দত্ত বাড়ির ছয় মেয়ে। প্রভাবতী, গুনবতী, রূপবতী ,সত্যবতী, ঊষাবতী এবং নিশাবতী। প্রভাবতীর বিয়ে হয় কটকের জানকীনাথ বসুর সঙ্গে। রূপবতীর বিয়ে হয় উপেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে। নিয়তির খেলায় মারা যান রূপবতী। রেখে যান সন্তানদের। তাদের সামলাবে কে? সেই সময়ের রীতি মেনে দিদির সংসার রক্ষায় এগিয়ে আসেন ঊষাবতী। দুই মাসির বিয়ে একই বাড়িতে। সেই সূত্রেই গাঁথা হয়ে গিয়েছিল সুভাষের সঙ্গে এই বসু পরিবারের যোগ। সেই বাড়িতেই একসময় মহাধুমধামে হতো দুর্গোৎসব।

বিশাল বড় ঠাকুরদালান থেকে শুরু করে সিংহাসনে দেবী মূর্তি সঙ্গে ঢাক ঢোল বাদ্যির বিশাল আয়োজন ছিল। প্রকাণ্ড এক রুপোর পাত বসানো কাঠের সিংহাসন। এর মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকতেন মহিষাসুরমর্দিনী, তার বামদিকে দেবী সরস্বতী ,কুমার কার্তিক, হনুমান ও শ্রীরামচন্দ্র এবং নারায়ন শিলা। ডানদিকে দেবী লক্ষী, সিদ্ধিদাতা গণেশ, মহাদেবের মূর্তি এবং আরেকটি ছোট ধাতুর ছোট সিংহাসন। মায়ের গায়ের রং সোনালী, গা ভরতি সোনার গয়না, অশ্বরূপী সিংহ এবং সিংহাসন এর সামনে ২ টি লম্ফ।সব মিলিয়ে এক বিশাল আয়োজন হত।

the lost history of netaji subhas bose's aunts house

সেই বাড়ির এক জ্ঞাতি রণবিজয় বসু জানিয়েছেন , “আমি ওই বাড়ির পুজো দেখতে গিয়েছিলাম ১৯৯৯ সালে। আসলে আমার মায়ের দাদুর মা ছিলেন ঊষাবতী দেবী, যিনি নেতাজির মাসি। সেই সূত্রেই ওই বাড়ির পুজোয় গিয়েছিলাম। সেই স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল।”

তিনি বলেন, “সন্ধ্যা আরতির দৃশ্য আজও স্পষ্ট। প্রত্যেক ভগবানকে উৎসর্গ করে সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো এক একটি আসন। প্রতিটি লাল কাপড়ে মোড়া। আসনের পিছনে একটি করে রুপোর গারু ও বাটি আসনের সামনে রুপোর থালা। তাতে সাজানো ছিল ফল, বরফি, নানাবিধ খাদ্যসামগ্রী। ধূপ , ধুনোর গন্ধে ভরে উঠত সারা চত্বর।”

দশমীর দৃশ্য ছিল দেখার মতো। সবকটি মূর্তিকে সিংহাসন থেকে বার করে আনা হত। প্রমাণ আকারের দুইটি রুপোর পেট মোড়া বল্লম ঠাকুরদালানে থামে হেলান দিয়ে দাঁড় করানো থাকত। সেগুলো বিসর্জনের সময় বহন করতেন বাড়ির সদস্যরাই। আসলে বাড়ির মেয়েকে বাড়ি পাঠানোর জন্য সুরক্ষা বলয় তৈরি করা। বসত নহবত। পরে আসত ব্যান্ড পার্টি, ট্রাম্পেট, বিউগেল, ড্রাম, ঝুনঝুনি, সঙ্গে সানাই। সামনাসামনি না দেখলে ভাষায় বোঝানো মুশকিল সেই দৃশ্য। এরপর লাল কাপড়ে মোড়া সাজানো পালকি এসে হাজির হতো উঠোনে। এক এক করে মূর্তিগুলি পালকিতে ঢুকিয়ে এমনভাবে বসানো হত যেন মা ও তাঁর সন্তানরা পালকির ভিতরে আরাম করে হেলান দিয়ে বসলেন। এরপর শুরু হত বিসর্জন যাত্রা। প্রথমে বল্লমধারিরা, তারপর ব্যান্ড পার্টি, তারপর পালকিবাহক এবং সব শেষে অগুনতি মানুষের ঢল। ঠাকুর এসে থামত দশাশ্বমেধ ঘাটে। তখনও ওড়ানো হল একজোড়া নীলকন্ঠ পাখি। সাত পাক করে ঘুরিয়ে বিসর্জন। সবাই চেঁচিয়ে বলতেন শুভ বিজয়া।কথিত রয়েছে এই বাড়িতে সুভাষ বোস কিছুদিন ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে থেকেওছিলেন।

২০০০ সালের পরেও বেশ কিছু বছর এভাবেই চলেছে পুজো। তারপর আর কিছুই রক্ষা করা যায়নি। বাড়ি ক্রম অবনতি হওয়ার ফলে ভেঙে পড়ছিল। বাড়িই রাখা দায়, তো পুজো। সে সবকিছুই এখন হারিয়ে গিয়েছে। সুভাষ স্মৃতির সঙ্গে হারিয়েছে শিউলির সুবাস…

]]>
রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ-নেতাজীর সঙ্গে তুলনা সৌরভের, দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া https://ekolkata24.com/offbeat-news/netizen-compares-sourav-with-swamiji-rabindranath-netaji Tue, 28 Sep 2021 08:23:27 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5816 নিউজ ডেস্ক: শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহসিকতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। আর প্রশাসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক এই কায়দাতেই বিধানসভা ভোটের আগে বিরোধীদের বিঁধেছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। অনেকে বাঙালিই রাজনীতির ছোঁয়াচ এড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে বলেন শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাহসিকতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। আর খেলায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সত্যিই কি রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ-সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে একাসনে বসানো যায় বাঙালির স্পোর্টস আইকনকে? এই নিয়েই এবার জোর তরজা সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই পোস্টেই দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া।

ঘটনার সূত্রপাত একটি পরিচিত ফেসবুক গ্রুপে, যার মেম্বার সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার। সুতনু দে নামের জনৈক নেটনাগরিক একটি পোস্ট করেন বাঙালির আইকনদের নিয়ে। চারটি ছবির ওই কোলাজে প্রথম ছবিটিই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বাকি তিনজন হলেন স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সুভাষচন্দ্র বসু। তিনজনই শুধু বাঙালির নন, গোটা দেশের পূজিত। রক্তমাংসের মানুষ হলেও যারা মহাপুরুষ, প্রাতঃস্মরণীয়। অন্যদিকে খেলার দুনিয়ায় বাঙালিকে এক অন্য ছবি দেখিয়েছেন সৌরভ। ক্রিকেটার বা জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে অফুরন্ত কৃতিত্বই শুধু না, বেহালার ছেলের লর্ডসের ব্যালকনিতে খালি গায়ে জামা ঘোরানো বা দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে পায়ের ওপর পা তুলে বিশ্বের ক্রিকেট শাসন করতে দেখেও রোমাঞ্চিত হয় বাঙালিরা। কিন্তু তারপরেও তাকে কোনওভাবেই কি ওপরের তিনজনের সঙ্গে বসানো যায়? এই নিয়েই দ্বিধাবিভক্ত নেটদুনিয়া।

অনেকেই জানিয়েছেন, সৌরভ নিজের জায়গায় সেরা। দেশকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন। বেটিং করে অস্তাচলে চলে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটের আকাশে নতুন সুর্যোদয় ঘটিয়েছেন। ফলে তাঁকে মহাপুরুষদের সঙ্গে তুলনা করাই যায়। যদিও বেশীরভাগ নেটিজেনই ভিন্নমত পোষন করেছেন। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে বাঙালির তিন আদর্শের সঙ্গে তুলনা করাকে একেবারেই ভালো চোখে নেননি তাঁরা। রীতিমতো একহাত নিয়েছেন পোস্টদাতাকে। বিধানসভা ভোটের আগে গুঞ্জন উঠেছিল ভারতীয় জনতা পার্টিতে যাচ্ছেন সৌরভ, যা ভালোভাবে নেননি তাঁর বহু অনুগামীই। তা শেষে সত্যি না হলেও বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ায় সৌরভ যথেষ্ট ঘনিষ্ট অমিত শাহ’র পুত্র জয় শাহের (বিসিসিআই সচিব)। ফলে শুধু খেলার রেকর্ডে নয়, প্রতিনিয়ত সৌরভকে কাঁটাছেড়া করা হচ্ছে রাজনৈতিক আঙ্গিকেও। পোস্টের বিরোধীতা বাড়ার সেটাও অন্যতম কারণ।

]]>