NLFT – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 27 Dec 2021 18:59:24 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png NLFT – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bangladesh: অরণ্য সুন্দরী সাতছড়ি যেন জঙ্গিদের অস্ত্র খনি, পা ফেললেই ভারত সীমান্ত https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-unique-satchari-forest-militant-den Mon, 27 Dec 2021 15:41:53 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16823 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বারবার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। প্রতিবারই বিপুল পরিমান। অস্ত্র ভাণ্ডার দেখলেই স্পষ্ট হয় সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য এসব ব্যবহার করা হতো।বাংলাদেশের সাতছড়ি জাতীয় অরণ্য যেমন প্রকৃতির বিপুল বিস্ময় তেমনই এই এলাকা যেন অস্ত্র খনি!

সোমবার এই অরণ্য থেকে ১৫টি মর্টার শেল, ২৫টি বুস্টার ও ৫১০ রাউন্ড অটো মেশিনগানের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে বারে বারে এমন আগ্নেয়াস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার হচ্ছে। প্রতিবারই অস্ত্র সম্ভার দেখে চমকে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

সাতছড়ি অরণ্যের অন্দরে
গভীর এই সাতছড়ি সীমান্ত জঙ্গলের এমনও অনেক এলাকা আছে যেখানে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অদৃশ্য। কোনদিকে ভারত কোনদিকে বাংলাদেশ তা নির্নয় করা কঠিন। ভারতের দিকে ত্রিপুরা আর বাংলাদেশের দিকে পড়েছে সিলেট। সাতছড়ি অরণ্যের মূলনিবাসী উপজাতি জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা জাতির অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় ত্রিপুরা পল্লীর নামকরণ থেকেই স্পষ্ট।

বিরলতম প্রাণী ও উদ্ভিদ গবেষকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের সাতছড়ি অরণ্যাঞ্চল। পর্যটকরা আসেন অনবরত। তবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার বাইরে বৃহত্তর বনাঞ্চলে যাতায়াতে দুর্গমতার কারণে এখানেই সীমান্ত পারাপার হয় অতি সহজে। টিলা-জঙ্গল, নদী ঘেরা অদ্ভুত নীরবতা আর আলো আঁধারিময় সাতছড়িতে ছড়িয়ে আছে ভারত বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৈরি করা বহু বাংকার। মাটির তলায় পোঁতা আছে আগ্নেয়াস্ত্র।

চুপ যা টাইগার আসতাসে, বাঘের থাবা খাবা!

টাইগার?

এই নামটি পরিচিত সমগ্র পার্বত্য ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্যাঞ্চলে। বেশি কিছু কেউ বলবে না এখনও। ‘বাঘের থাবা’ খেতে কেউ চায় না।

সেই টাইগার কে?

অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF) একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। মূলত ত্রিপুরার হিন্দু আদিবাসী উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাদের সংগঠন ছড়িয়ে ছিল। দলনেতা রণজিত দেববর্মা পরে আত্মসমর্পণ করে। ত্রিপুরায় বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তৎকালীন মু়খ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের শাসনে টাইগার হয়ে যায় ঘুমন্ত বাঘ। তবে আতঙ্কটা রয়ে গিয়েছে- চুপ যা টাইগার আসতাসে, বাঘের থাবা খাবা!

টাইগারের প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল লিবারেশন!

পার্বত্য ত্রিপুরার উপজাতি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রভাবশালী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT)। সংগঠনটি ফের সক্রিয়। সম্প্রতি তাদের সাংগঠনিক কাঠামোর বড়সড় রদবদল করা হয়। একশ শতাংশ খ্রিষ্টানধর্মাবলম্বী নিয়ে পরিচালিত এনএলএফটি বাংলাদেশের জমিতে ফের ঘাঁটিগুলি পরিচালিত করছে। পুরনো নেতা বিশ্বমোহন দেববর্মার নীতি থেকে সরেছে এই সংগঠন।

তাৎপর্যপূর্ণ, সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আবার পারস্পরিক সংঘর্ষ এই নিয়েই ত্রিপুরার পার্বত্য এলাকা ও বাংলাদেশ সংলগ্ন অঞ্চলে এলাকা ভিত্তিক সমান্তরাল সরকার কায়েম করেছিল দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। এটিটিএফ ও এনএলএফটি এই দুই সংগঠনের নিরাপদ ঘাঁটি বাংলাদেশের জমিতে।

প্রতিবেশি দেশে জামাত ইসলামি ও বিএনপি জোট সরকারের আমলে ভারত বিরোধী তৎপরতা বেড়েছিল। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশ থেকে বৃহত্তর বেআইনি অস্ত্র চালান ষড়যন্ত্র (দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা) বানচাল হয়। অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা (এখন আলফা-স্বাধীনতা) প্রধান পরেশ বড়ুয়ার জন্য যাচ্ছিল সেই আগ্নেয়াস্ত্র। চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনার পর থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো।

বস্তুতপক্ষে ৮০-৯০ দশক থেকে ২০০০ সাল শুরুর কিছু পর পর্যন্ত ত্রিপুরা ছিল উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিচরণভূমি। ঠিক সেই সময়েই সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে ছিল নিরাপদ ঘাঁটি। ত্রিপুরায় সন্ত্রাসবাদ বা উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদ ঘুমিয়ে পড়েছিল গত বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। কড়া বাস্তব, বাম সরকার পতনের পর বিজেপি জোট সরকারের আমলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয়।

বাংলাদেশের মাটিতে যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয় তার দাবি করেছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি এখন বিরোধী নেতা। সম্প্রতি তিনি এনএলএফটির হামলায় দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃতুর পর একই দাবি করেন। ত্রিপুরার বিজেপি সরকারও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানায়।

ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় হতে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কি ফের পুরনো অবস্থান ফিরছে? এই প্রশ্ন বারবার উঠছে। রাজ্যটির তিনদিকে একেবারে গা ঘেঁষে থাকা বাংলাদেশ। সিলেটের সাতছড়ি অরণ্যে বারবার অস্ত্র উদ্ধার প্রমাণ করছে মানিকবাবুর দাবি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর এমন দাবিতে ঢাকা ও নয়াদিল্লি নড়ে চড়ে বসেছিল।

<

p style=”text-align: justify;”>বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সেই নীতি নিয়েই সাতছড়ির মতো সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বারবার অভিযান চলছে।

]]>
Bangladesh: ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডেরায় অভিযান, প্রচুর মর্টার শেল উদ্ধার https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-rab-opetation-indian-militant-den-satchari-forest Mon, 27 Dec 2021 10:51:06 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16780 News Desk: ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্যে অভিযান চালিয়েছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (RAB) বাহিনী। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মর্টার শেল, গুলি। বাংলাদেশের জমিতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিভিন্ন ডেরা ও বাংকারে এর আগেও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সংলগ্ন। আন্তর্জাতিক সীমান্তের এই অরণ্যাঞ্চলের ভিতর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি আগেও ধংস করা হয়েছে।

সোমবার ভোর রাত থেকে  সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালায় ব়্যাব-৯ বাহিনীর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) ইউনিট। অভিযানে ১৫টি মর্টার শেল ও ছয় বাক্স গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।  কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ডিআইজি মহম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে অভিযান শুরু হয়। এখনও একটি জায়গায় অভিযানে আরও আগ্নেয়াস্ত্র মিলবে। 

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির ঘাঁটি বাংলাদেশের এই বনাঞ্চল। এমনই বিস্ফোরক দাবি আগেই করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর দাবির পর প্রবল আলোড়ন ছড়িয়েছিল ঢাকা ও নয়াদিল্লিতে। পরে বাংলাদেশ সরকার জানায়, প্রতিবেশি ভারতের কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে রেয়াত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাদের এই অস্ত্র ভাণ্ডার ?
মনে করা হচ্ছে এবারেও উদ্ধার  করা মর্টার সেল, গুলি, একসময় বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে ত্রিপুরা ও অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। ত্রিপুরার দুটি সশস্ত্র সংগঠন এটিটিএফ ও এনএলঅফটির একসময়ের ঘাঁটি ছিল বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ। এখানকার চুনারুঘাটের সাতছড়ি অরণ্যে অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা (বর্তমান আলফা-স্বাধীনতা) গোষ্ঠীরও ঘাঁটি ছিল।

(১) ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযানে  ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান এবং প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেট সহ বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‍্যাব।

(২) ২০১৪ সালের ১৬-১৭ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফায় প্রথম পর্যায়ে উদ্যানে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেডিও উদ্ধার করা হয়। এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

(৩) ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়ি অরণ্যে অভিযান চালিয়ে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।

(৪) ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।

(৫) ২০২০ সালের ২ মার্চ অভিযান চালিয়ে ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট গোলা উদ্ধার করে বিজিবি। 

(৬) ২০২১ সালের ১৩ আগস্ট হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন একটি ব্রিজের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় নয়টি একনলা বন্দুক, তিনটি পিস্তল ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে বিজিবি।

]]>
Bangladesh: ফের বড়সড় অস্ত্র ভাণ্ডারের খোঁজ ত্রিপুরা সীমান্তে, অভিযানে RAB https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-militant-den-satchari-forest-near-tripura-border Mon, 27 Dec 2021 07:39:05 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16762 News Desk: ভারত সরকার বিরোধী উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের একদা মুক্তাঞ্চল বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সাতছড়ি অরণ্যে ফের উদ্ধার বড়সড় আগ্নেয়াস্ত্র সম্ভার। রকেট লঞ্চার, গোলা উদ্ধার হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাদেয়া সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গভীর বনাঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (RAB) বাহিনী। এই এলাকা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সংলগ্ন।

সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার অন্তর্গত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের অভিযান ঘিরে চাঞ্চল্য। এর আগেও একই এলাকা থেকে বারবার মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র ভাণ্ডার।

 

বাংলাদেশের সরকারের দাবি, সীমান্তের এই জঙ্গলে একসময় উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ডেরা ছিল। বিশেষত ত্রিপুরার দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এনএলএফটি ও এটিটিএফের ঘাঁটি ছিল বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্যাঞ্চল। সেই সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জমিয়ে রাখা আগ্নেয়াস্ত্রের সম্ভার এখনও মজুত রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে অভিযান চালায় র‌্যাব-৯ এর কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সিটিটিসি’র ডিসি আব্দুল মান্নান জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সিটিটিসির অভিযানে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে।

হবিগঞ্জের সাতছড়ি থেকে গত পাঁচ মাসে র‍্যাব মোট চার দফা অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে এবং বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

<

p style=”text-align: justify;”>ত্রিপুরার লাগোয়া বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্যে বি়ভিন্ন সময়ে বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার হয়েছে। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির ঘাঁটি বাংলাদেশের এই বনাঞ্চল। এমনই বিস্ফোরক দাবি আগেই করেন ত্রিপুরীর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর দাবির পর প্রবল আলোড়ন ছড়িয়েছিল ঢাকা ও নয়াদিল্লিতে। পরে বাংলাদেশ সরকার জানায়, প্রতিবেশি ভারতের কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে রেয়াত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

]]>
Tripura: শেখ হাসিনা সরকারের অলক্ষ্যে ভারত বিরোধী ‘জঙ্গি শিবির চলছে’ বাংলাদেশে https://ekolkata24.com/uncategorized/nlft-militant-exposed-traing-camp-location-in-bangladesh Sat, 02 Oct 2021 19:00:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6372 নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। প্রতি শিবিরে ৩০ থেকে ৪০ জন জঙ্গি রয়েছে। এ কে ৪৭, গ্রেনেড ছোঁড়া, এছাড়াও আরও নাশকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এমনই চাঞ্চল্যকর বয়ান দিল ত্রিপুরার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএলএফটি (NLFT) এর আত্মসমর্পণকারী চার জঙ্গি।

আরও পড়ুন : শান্তি প্রতীক যীশু, ত্রিপুরায় BSF জওয়ান খুন করা NLFT জঙ্গিদের গলায় ক্রুশ লকেট থাকে

ধরা দেওয়া চার জঙ্গিদের নাম দোবারাম রিয়াং, শৈলেন্দ্র রিয়াং, শুভলাল ত্রিপুরা, সমপ্রল দেববর্মা। তারা জানায়, বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি, পানছড়ি এলাকায় দুর্গম বনাঞ্চলে একটার পর একটা জঙ্গি শিবির চলছে। তবে একদা রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করা এনএলএফটি এখন আর্থিক সংকটে পড়েছে। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের বয়ানে তাও উঠে এসেছে।

NLFT Militant

একটি পিস্তল, একটি গ্রেনেড, একটি রাইফেল, চারটি বুলেট সহ বাংলাদেশি বেআইনি ৮০০ টাকা ত্রিপুরা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে জঙ্গিরা। তারা জানায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল। রাজ্যে তখন বিজেপি জোট সরকার চলে এসেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঢুকে ট্রেনিং, ত্রিপুরা ফিরে আত্মসমর্পণ তিন জঙ্গির

ন্যাশনাল লিবাকেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT) এই সংগঠনটি ‘স্বাধীন ত্রিপুরা’ দাবিতে নাশকতার পথ নিয়েছে সেই নব্বই দশক থেকে। তবে টানা ২৫ বছর বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সংগঠনটির বিষদাঁত উপড়ে দিয়েছিলেন পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁর পরাজয় হয়। আগামী নির্বাচনের আগেই ত্রিপুরায় ফের সক্রিয় হয়েছে এনএলএফটি।

NLFT Militant camp

ত্রিপুরার সংবাদ মাধ্যমের সামনে জঙ্গিরা জানায়, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত টপকে ত্রিপুরায় তারা ফিরেছে। তাদের নির্বিঘ্নে ভারতে ঢুকে পড়ায় বিএসএফের (BSF) পাহারা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একইভাবে প্রশ্ন উঠছে প্রতিবেশি দেশের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) ভূমিকা নিয়েও।

যদিও আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জানিয়েছে, সে দেশের মাটিতে কোনও ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠনের ঠাঁই নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মানিক সরকার জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের জমিতে সক্রিয় ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠন। এর পরেই ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলা আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে।

মায়ানমার, ভারত ও বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় ভারতের কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির চলে।এই এলাকাটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ। সেখানে সক্রিয় সেদেশের কিছু পার্বত্য সশস্ত্র গোষ্ঠী।

সম্প্রতি ত্রিপুরার লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্তরেখার কাছেই এনএলএফটি জঙ্গিদের সঙ্গে বিএসএফের গুলি বিনিময় হয়। তাতে দুই বিএসএফ জওয়ান মারা যান।

]]>
বাংলাদেশে ঢুকে ট্রেনিং, ত্রিপুরা ফিরে আত্মসমর্পণ তিন জঙ্গির https://ekolkata24.com/uncategorized/nlft-militants-arrested-in-tripura Thu, 16 Sep 2021 05:25:52 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4727 আগরতলা: ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলাভাষী প্রধান ত্রিপুরায় উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। বু়ধবার বাংলাদেশ থেকে গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢোকা তিন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনায় স্পষ্ট, প্রতিবেশি দেশের সরকার যতবারই দাবি করুক, তাদের জমিতে ভারত বিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলির অস্তিত্ব বিলীন, আদৌ তা নয়।

ঢাকার দাবি ফের একবার ভুল প্রমাণ হলো। ত্রিপুরা তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা বা NLFT ফের সক্রিয়। সম্প্রতি এই সংগঠনের হামলায় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে গভীর বনাঞ্চলে ঢুকে পড়ে।

বুধবার তিন এনএলএফটি জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে। ধৃতদের নাম আলিন্দ্রা রিয়াং, অনিদা রিয়াং, কুমার রিয়াং। পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিরা সশস্ত্র ছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পিস্তল সহ চারটি গোলা।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে তারা ২০১৯ সালে এন এল এফ টি জঙ্গিগোষ্ঠী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। এরপর তারা বাংলাদেশে গিয়ে এনএলএফটি ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেয়। তারা

আরও জানিয়েছে, পরে তারা বুঝতে পারে ‘ত্রিপুরার স্বাধীনতা’র নামে তাদের সাথে প্রতারিত করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের জঙ্গি সংগঠনের মারাত্মকভাবে আর্থিক সংকট চলছে।

NLFT মূলত ত্রিপুরার উপজাতি এলাকায় তাদের সংগঠন ছড়িয়েছিল ১৯৯০ দশকে। সংগঠনটির সদস্যরা সঙ্গে রাখেন ধর্মীয় প্রতীক ‘ক্রুশ’। লক্ষ্য এক হলেও NLFT সংগঠনের প্রতিপক্ষ ATTF বা অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স। তবে তাদের শক্তি এখন নেই। কিন্তু NLFT তাদের সংগঠন চালিয়ে যাচ্ছে।

ত্রিপুরায় গত ২৫ বছরের বামফ্রন্ট জমানায় দুই মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেব ও মানিক সরকার দুটি জঙ্গি সংগঠনের বিষদাঁত ভেঙে দেন। রক্তাক্ত ত্রিপুরা হয় শান্ত। গত বিধানসভার ভোটে বাম সরকারের পতন হয়। নির্বাচনের আগে সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে ততকালীন মু়খ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের অভিযোগ ছিল প্রতিবেশি দেশের জমিতে সক্রিয় ত্রিপুরার জঙ্গি সংগঠনগুলি। এই মন্তব্যের জেরে নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্র ম

]]>
শান্তি প্রতীক যীশু, ত্রিপুরায় BSF জওয়ান খুন করা NLFT জঙ্গিদের গলায় ক্রুশ লকেট থাকে https://ekolkata24.com/offbeat-news/nlft-militant-activities-in-tripura Tue, 03 Aug 2021 16:25:55 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=1815 বিশেষ প্রতিবেদন: উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর নাগাল্যান্ডের এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠী। এদের হামলায় বারবার রক্তাক্ত হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারত। নাগা জঙ্গিদের মতো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা বা NLFT গোষ্ঠীর সদস্যদের গলায় ক্রুশবিদ্ধ যীশুর লকেট ঝোলে। যিনি বিশ্বশান্তির চিরন্তন যুগপুরুষ।

মঙ্গলবার দীর্ঘ কয়েক দশক পর ফের ত্রিপুরায় গর্জে উঠেছে ‘স্বাধীন ত্রিপুরা’ দাবিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র পথ নেওয়া এনএলএফটির আগ্নেয়াস্ত্র। সংগঠনটির নব্বই শতাংশ সদস্য উপজাতি ও খ্রিষ্টান। এমনই জানাচ্ছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে নিয়ে তথ্য পরিবেশনকারী সংস্থা সাউথ এশিয়ান টেরোরিজম পোর্টাল। এই গবেষণা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কে পি এস গিল।

মঙ্গলবার ফের ত্রিপুরার মাটিতে ফের শোনা গেল এনএলএফটি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বন্দুক গর্জন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার লাগোয়া ত্রিপুরান ধলাই জেলার সীমান্তে এনএলএফটি জঙ্গিদের সঙ্গে টহলদারি করা বিএসএফ জওয়ানদের গুলি বিনিময় হয়। জঙ্গিদের গুলিতে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।
বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে গা ঘেঁষে দুই জওয়ানের রক্তাক্ত দেহের ছবি প্রকাশ করেছে ত্রিপুরার সংবাদমাধ্যম। বিএসএফ জানিয়েছে জঙ্গি হামলায় দুই জওয়ান এসআই ভুরু সিং এবং কনস্টেবল রাজ কুমার গুলিবিদ্ধ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনার কেন্দ্র ধলাই জেলার ছামনু থানার অধীন বিএসএফ-এর ৬৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের আরসি নাথ বিওপি।

হামলাকারীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএলএফটি গত বিধানসভা ভোটে বাম জমানার পতনের পর ফের সক্রিয়। যদিও ত্রিপুরার অপর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এটিটিএফ এখনও নিষ্ক্রিয়। ১৯৮৯ সালে জন্ম নেওয়া এনএলএফটি সংগঠনটির বেশকিছু সদস্য ধরা পড়েছে। তাদের জেরা করেই জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের জমিতে গোপন ঘাঁটির কথা।

Two BSF killed in militant ambush in Tripura

এক নজরে ত্রিপুরার বিচ্ছিন্নতাবাদ:
রাজন্য ত্রিপুরা অর্থাত ব্রিটিশ করদ রাজ্য ত্রিপুরার ভারত অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। আর ১৯৭২ সালে ত্রিপুরা পৃথক রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭২ সালে। এর পর থেকে ত্রিপুরার আদি বসবাসকারী উপজাতিদের মধ্যে আত্মসংকট বড় করে দেখা দেয়। শুরু হয় উপজাতি বনাম বাঙালি বিবাদ। উপজাতি আবেগ পুঁজি করে তৈরি হয় বিভিন্ন সংগঠন টিএনভি। যার দুই উত্তরসূরী এনএলএফটি ও এটিটিএফ।

তাৎপর্যপূর্ণ, দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন সশস্ত্র পথে ‘স্বাধীন ত্রিপুরা’ গঠনের ডাক দিয়ে সরকার ও বাঙালি বিদ্বেষী আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছিল। আবার দুই সংগঠন পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলাও চালিয়েছে বারবারে। উপজাতি ভাবাবেগের রক্তাক্ত এই সময়ে ত্রিপুরায় ঘটে যায় গণহত্যার কয়েকটা ঘটনা।

অশান্ত সেই ত্রিপুরায় শান্ত পরিস্থিতি কায়েম হয় সে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার বামফ্রন্ট শাসনে। মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেব ও মানিক সরকারের টানা ২৫ বছরের কড়া প্রশাসন উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদ কে ঠাণ্ডা করেছিল।

তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম জমানার পতনের পর থেকে ফের সক্রিয় হয়েছে এনএলএফটি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। বিশেষ সতর্ক থাকে দেশটির সীমান্তরক্ষী বিজিবি। তবে গোপনে ত্রিপুরার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি ফের সক্রিয় বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির দুর্গম বনাঞ্চলে। সীমান্তের কাছে তাদের হামলা এরই প্রমাণ।

]]>