শশীর ছবিটিতে আপত্তিকর কিছু ছিল না। কিন্তু শশীর দেওয়া ছবির ক্যাপশন নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। সমালোচনার জেরে ওই ক্যাপশনের জন্য শশী দুঃখ প্রকাশ করল বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দার ঝড় থামছে না।
এদিন অধিবেশন শুরুর আগে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি সেলফি পোস্ট করেছিলেন শশী। সেলফিতে দেখা গিয়েছে, বাংলার দুই সাংসদ নুসরত (Nusrat Jahan) জাহান ও মিমি চক্রবর্তীকে (Mimi Chajraborty)। একই সঙ্গে দেখা গিয়েছে পাঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদ প্রীনিত কৌর, এনসিপি সংসদ সুপ্রিয়া সুলে এবং কংগ্রেসের দক্ষিণ ভারতীয় আরও দুই মহিলা সাংসদকে। ৬ মহিলা সংসদকে নিয়ে তোলা ওই সেলফির নিচে ক্যাপশনে শশী লিখেছেন, ‘কে বলে লোকসভা কাজের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা নয়!’
Who says the Lok Sabha isn’t an attractive place to work? With six of my fellow MPs this morning: @supriya_sule @preneet_kaur @ThamizhachiTh @mimichakraborty @nusratchirps @JothimaniMP pic.twitter.com/JNFRC2QIq1
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) November 29, 2021
শশীর এই ক্যাপশন নিয়েই তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। নেটিজেনরা অনেকেই বলেছেন, এটা স্পষ্টতই যৌন উত্তেজক পোস্ট এবং মহিলাদের পক্ষে অত্যন্ত সম্মানহানিকর। নেটিজেনদের ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শশী বলেন, তাঁর ছবির ক্যাপশনে কিছু মানুষ অসন্তুষ্ট হওয়ায় তিনি অত্যন্ত দুঃখিত কিন্তু। তবে সংসদে এমন বন্ধুদের সঙ্গে থাকতে পেরে তিনি অত্যন্ত খুশি। শশী আরও জানিয়েছেন, এই ছবিটি তুলেছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি। তবে তাঁকে ছবিটি পোস্ট করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন মিমি। মজা করার জন্যই তাঁরা সবাই মিলে এই ছবিটি তুলেছিলেন।
নেটিজেনরা অবশ্য বেশিরভাগই শশীর এই পোস্টকে রুচিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী করুণা নন্দী বলেছেন, এ ধরনের পোস্টের মাধ্যমে শশী রাজনৈতিক নেতাদের ছোট করেছেন। আসলে এটাই হল শশীর ২০২১-এর ফোকাস। শশী ক্ষমা চাওয়ার পর করুণা আবারও লেখেন, এ ধরনের মন্তব্যে রাজনীতিতে আসা এবং যাঁরা আসতে চান সেই সব মহিলাদের অসম্মান করা হয়েছে। এটা হয়তো তারুরের কাছে আকর্ষণীয় বলে মনে হতে পারে, কিন্তু মহিলাদের কাছে কখনওই সম্মানের নয়।
]]>সম্প্রতি দুর্গাপুজোয় সিঁদুর খেলা নিয়েও নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো মন্তব্য করা, তাকে নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। সোমবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা নায়িকার একটি মন্তব্যে আবারও বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোষ্টের মাধ্যমে বন্ধুত্ব নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন নায়িকা। তিনি বলেছেন, জীবনে এগিয়ে চলতে শিখলে বন্ধুত্বের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসে। তার সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্টের পর অনেকেই সন্দেহ করছেন যে নুসরত হয়ত তার অভিনেত্রী বন্ধু মিমি চক্রবর্তীর সাথে তার সম্পর্কের কথাই বলতে চেয়েছেন।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্টে নুসরাত লিখেছেন, “জীবনে যখনই তুমি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবে, তখনই দেখবে ধীরে ধীরে তুমি আশপাশের বন্ধুদের হারিয়ে ফেলেছ। ঠিক এই কারণেই বাসের ১০ টা সিট হলেও বুগতির সিট মাত্র দুটো।” অভিনেত্রীর এই পোস্টের পর এই জড় জল্পনা শুরু হয়েছে যে তিনি নিশ্চয়ই এমন মন্তব্য করে তার এবং মিমির সম্পর্কের অবনতির কথা বোঝাতে চেয়েছেন।
অনেকের মতে, জীবনের এই পর্যায়ে নুসরাতের জীবনে গুরুত্ব কমেছে বান্ধবী মিমি চক্রবর্তীর। এখন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেক্তি তার স্বামী যশ দাশগুপ্ত আর সন্তান। সম্প্রতি পুজোয় স্বামী যশ দাশগুপ্তের সাথে দেখা গেলেও বান্ধবী মিমির সাথে তাকে দেখা যায়নি।
কদিন আগেই যশকে স্বামী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন নুসরত। তারপর থেকেই নুসরাত ও যশ দাশগুপ্তের প্রেম আর বিয়ের গুজব জোরালো হয়ে উঠেছে। স্বামী ছেলেকে নিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায়ে যে এগিয়ে চলতে চান নায়িকা, তা বোঝা গেলো নুসরাতের এদিনের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে।
]]>রবিবার ছিল যশ দাশগুপ্তের জন্মদিন। সেদিন রাতে অভিনেতা ও অভিনেত্রী একটি রোমান্টিক ডিনারে যান একসাথে। ইনস্টাগ্রামে সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছেন নায়িকা। যশ দাশগুপ্তের জন্য জন্মদিনের কেকের একটি ঝলক শেয়ার করেছেন নুসরাত জাহান। সেই কেকের ওপর অভিনেতাকে স্বামী এবং বাবা হিসাবে উল্লেখ করা ছিল। কেকে শুভ জন্মদিন এর পাশাপাশি লেখা ছিল ‘স্বামী’ ও ‘পিতা’ এই দুই শব্দ। নুসরাত জাহানের ইনস্টাগ্রাম আপডেটগুলি ইন্টারনেটে উত্তেজনা ছড়ায় কারণ এই প্রথম তিনি যশ দাশগুপ্তকে তার “স্বামী” হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। এটির মাধ্যমেই প্রথম দম্পতির বিবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে দেখা গেছে। নুসরতের ইনস্টাগ্রাম আপডেটগুলিও শিশুর বাবা সম্পর্কে জল্পনা – কল্পনার সমাধান করতে হাজির হয়েছিল।
নুসরাত ও যশের প্রেম ও গোপন সম্পর্ক নিয়ে টলিউডে গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। শোনা যায়, তাদের সম্পর্কের কারণেই বিয়ের ছয় মাসের মধ্যেই বিয়ে ভেঙে যায় অভিনেত্রীর। নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাদের সম্পর্কের জল্পনা আরো গুরুতর হয়। নুসরাতের প্রাক্তন স্বামী এই নিয়ে একাধিকবার মুখ খুললেও অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে এ বিষয়ে বিশেষ মন্তব্য করতে আগে কখনো শোনা যায়নি। এই বিষয়ে অবশ্য অভিনেত্রী একবার বলেছিলেন যে তার ও তার প্রাক্তন স্বামীর আদতেও বিয়ে হয়নি কখনোই। এর পরে এইদিন যশ দাশগুপ্তকে স্বামী হিসেবে সম্বোধন করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। জল্পনা শুরু হয়ে যায় তাদের কবে এবং কিভাবে বিয়ে হয়েছে, বা আদৌও বিয়ে হয়েছে কিনা। প্রসঙ্গত, SOS কলকাতা নামে একটি ছবিতে শেষবার তাদের একসাথে অভিনয় করতে দেখা যায়
]]>টলিপাড়াতে নতুন গুঞ্জন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে একই ছাদের তলায় থাকতে শুরু করেছেন যশরত। নিজেদের মুখে সেই বিষয়ে কেউ কোনো কথা না বললেও সেই ইঙ্গি পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের ইন্সটাগ্রাম খুললে৷ না দুজনেই নিজেদের কোনো ছবি একসাথে দেয়নি। যশের সাথে নুসরতের নেট মাধ্যমে ছবি না পাওয়া গেলেও সম্প্রতি যশের চারপেয়ে সারমেয়র সাথে হামেশাই নতুন নতুন ছবি পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে নুসরতকে।
সকলেই জানেন যশ একজন পশুপ্রেমী। তার কাছে এক সন্তান সম সারমেয়। নাম তার হ্যাপি। আর এই হ্যাপির সাথে বেশ হ্যাপি নুসরত। এই সারমেয়র প্রতি ভালোবাসা জাহির করতে দেখা যাচ্ছে নুসরতকে। গত সপ্তাহে হ্যাপির সাথে একটি ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল নুসরতকে, আর আবার আরো একবার হ্যাপির সাথে ছবি পোস্ট করলেন নায়িকা। যশের সারমেয়র সাথে একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করে নুসরত ক্যাপশনে লিখেছেন, মিষ্টি। সত্যি এই ছবিটা বেশ মিষ্টি।
এই ছবিটিতে দেখা গেল যশের সারমেয় হ্যাপ আদুরে দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নুসরতের দিকে। অন্যদিকে নুসরতের চোখ বন্ধ, সে নিজের থুতনি ঠেকিয়ে আছে হ্যাপির মুখে। ভালোবাসামাখা এই মিষ্টি ছবিটি নিজের ইনস্টাগ্রামের করেছেন নুসরত। শোনা যায় গর্ভবতীদের প্রতি একটু বেশি অনুভূতিশীল হয় সারমেয়রা। আর তাই যেন হ্যাপিকে কাছে পেয়ে খুশি অভিনেত্রী। আরো বেশি করে নুসরতকে ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলছে।
]]>