Offbeat – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 18 Dec 2021 16:06:30 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Offbeat – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 ভারতের দুনিয়াকে বোকাবাক্সে বন্দি করা শুরু দূরদর্শনের মাধ্যমেই https://ekolkata24.com/offbeat-news/doordarshan-started-on-15th-september-a-special-report Mon, 13 Dec 2021 18:45:21 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4676 বিশেষ প্রতিবেদন: ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ধাক্কায় সিনেমার পাশাপাশি টিভি দেখার প্রবণতা কমেছে। পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তের মতো সর্বত্রই এখন নেটফ্লিক্স, হটস্টার-এর রমরমা। আর দূরদর্শন? এমন বলে টিভিতেও কোনও চ্যানেল আছে জানেই না আজকের জেনারেশন। অথচ সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল ভারতের মানুষের পৃথিবীকে ঘরবন্দি করার প্রথম পদক্ষেপ। আজ সেই দূরদর্শনের জন্মদিন। 

১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লীতে একটি অস্থায়ী স্টুডিও বানিয়ে প্রথম পথ চলা শুরু হয়েছিল দূরদর্শনের। তখন এটি পরীক্ষার পর্যায়ে ছিল। এটির নামকরণ করা হয়েছিল টেলিভিশন ইন্ডিয়া। সেখান থেকে দিল্লিস্থিত টাওয়ারের মাত্র কয়েক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে খুব স্বল্প সময়ের জন্য আরম্ভ হয় প্রথম সম্প্রচার। পরে ১৯৭৫ সালে টেলিভিশন ইন্ডিয়ার নাম পরিবর্তন করে হয়েছিল দূরদর্শন।

১৯৬৫ সালে, দৈনিক প্রোগ্রামগুলি দূরদর্শন নিয়মিত প্রচার করতে শুরু করে। পাঁচ মিনিটের একটি নিউজ বুলেটিনও শুরু হয়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে টিভি সম্প্রচারের বৃদ্ধি খুব ধীর ছিল। ১৯৭৫ সালের মধ্যে কেবল সাতটি শহরেই সম্প্রচার শুরু করা সম্ভব হয়েছিল। ১৯৮২ সালে রঙিন টিভি বের হয় এবং এশিয়ান গেমসের সম্প্রচার তার জনপ্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি করে। এখানেই টিভির রূপান্তর ঘটেছিল।

নতুন প্রোগ্রাম শুরু হয়েছিল। ধীরে ধীরে প্রোগ্রামগুলি সকালে এবং তারপরে বিকেলে সম্প্রচার শুরু হয়। সপ্তাহে দু’বার চিত্রহার এবং রবিবার সন্ধায় রঙ্গোলি ও কৃষি দর্শনের জনপ্রিয়তার সাথে আজকের প্রোগ্রামগুলির কোনও মিল পাওয়া যায় না। ১৯৬৬ সালে শুরু হওয়া কৃষি দর্শন দেশে সবুজ বিপ্লব আনতেও ভূমিকা রেখেছে। আজ ২ টি জাতীয় এবং ১১ টি আঞ্চলিক চ্যানেল সহ দূরদর্শনের মোট ২১ টি চ্যানেল সম্প্রচারিত হয়। এটি ১৪ হাজার গ্রাউন্ড ট্রান্সমিটার এবং ৪৬ স্টুডিও সহ দেশের বৃহত্তম সম্প্রচারক। ঘটনা হল, যতই অন্যান্য মাধ্যমের রমরমা হোক এখনও ১৫ আগস্ট কিংবা ২৬ জানুয়ারির প্রোগ্রাম দেখতে গেলে ভরসা ডিডি।

১৯৫৯ সালে প্রারম্ভিক পর্যায়ে প্রথম সম্প্রচার শুরু হওয়ার পরে ১৯৬৫ সালে আকাশবাণীর একটি অংশ হিসেবে আরম্ভ হয় দূরদর্শনের নিয়মিত সম্প্রচার এবং ১৯৭২ সালে ভারতের টেলিভিশন পরিষেবা মুম্বই (তদানীন্তন “বম্বে”) এবং অমৃতসর পর্যন্ত পরিবর্ধিত হয়। এরপর ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি শহর দূরদর্শন পরিষেবার আওতাভুক্ত হয়। ১৯৭৫ সালের ৯ অগস্ট কলকাতায় প্রথমবারের জন্য স্থাপিত হয় “দূরদর্শন কেন্দ্র”। ১৯৭৬ সালে দূরদর্শনকে আকাশবাণী থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি স্বতন্ত্র এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিষেবায় রূপান্তরিত করা হয়। নয়াদিল্লিতে আকাশবাণী এবং দূরদর্শনের নিজস্ব কার্যালয়ে দু’জন পৃথক অধিকর্তা নিযুক্ত হন।

১৯৫৯ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওর স্টুডিওতে একটি ছোট ট্রান্সমিটার ও অস্থায়ী স্টুডিও নিয়ে কাজ শুরু করে দূরদর্শন। ৬ বছর পর, ১৯৬৫ সালে প্রতিমা পুরী প্রথম পাঁচ মিনিটের সংবাদ পাঠ করেন দূরদর্শনে।দূরদর্শন শুরু হয়েছিল গোটা পরিবারকে একসঙ্গে ধরে রাখার ভাবনা থেকে- সে সমাচার হোক অথবা সান্ধ্য শো, আঞ্চলিক এন্টারটেনমনেন্ট হোক কি জাতীয় প্রোগ্রাম অথবা স্পোর্টস।

<

p style=”text-align: justify;”>দুরদর্শনে সম্প্রচারিত বহু শো ক্লাসিকে পরিণত বয়েছে। ৮-এর দশকের শেষ থেকে ৯ এর দশের গোড়া পর্যন্ত মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল তু তু ম্যাঁয় ম্যাঁয়, মহাভারত, দেখ ভাই দেখ, উড়ান, ফৌজি, মালগুডি ডেজ-এর মত শো গুলি।

]]>
Ambivert: এই কাজ গুলো করলে জানবেন আপনি এমবিভার্ট https://ekolkata24.com/lifestyle/signs-that-you-may-be-an-ambivert Thu, 25 Nov 2021 12:06:14 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12358 Benefits of being an ambivert
বিশেষ প্রতিবেদন: আমাদের মাঝে কেউ অন্তর্মূখী আবার কেউ হয় বহির্মুখী অর্থাৎ খুব মিশুক হয়, কিন্তু এদের মাঝামাঝি আরেক ভাগ আছে যারা কখনো ইন্ট্রোভার্ট আবার কখনো এক্সট্রোভার্ট।এরা হচ্ছে এমবিভার্ট।

জীবনে চলার পথে সবচেয়ে বেশি সমস্যা এমবিভার্টদের হয়।যারা এমবিভার্ট তারা মাঝে মাঝে খুব হৈ চৈ করতে ভালোবাসে আবার মাঝে মাঝেই একা থাকতে ভালোবাসে।এরা সহজে সবার সাথে মিশে যায় কিন্তু তবুও এদের অনেক ফ্রেন্ড থাকেনা আবার এরা একদম একাও থাকেনা।গুটিকয়েক ফ্রেন্ড নিয়েই এরা থাকে।এদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো শত কষ্ট হলেও এরা মুখ ফুটে কিছু বলবেনা আপনাকে।বরং সেই কষ্ট সহ্য করেই হাসিমুখে থাকবে।তাই এদের মন খারাপ হলেও সেটা মুখে না বলা পর্যন্ত আপনি সেটা ধরতে পারবেননা।ওদের একটা আলাদা জগৎ থাকে।

নিজেদের চারপাশে এরা একটা দেয়াল বানিয়ে নেয়।সে জগতে আপনি চাইলেই প্রবেশ করতে পারবেন না।বরং সেখানে প্রবেশ করার চাবি হচ্ছে আপনার ভালোবাসা আর ভরসা করার মতো ভালো ব্যবহার।এমবিভার্টরা যাকে ভালোবাসে তাকে খুব মন দিয়ে ভালোবেসে ফেলে।আর তাই কষ্টও বেশি পায়।কিন্তু তবুও এরা আপনার খারাপ চাইবেনা কোনোদিন।এরা আপনার প্রতি ভরপুর ফিলিংস রেখেও আপনার থেকে নিদিষ্ট দূরত্ব চলবে,আপনি চাইলেও সেটা বুঝাতে পারবেন না।এদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় কেউই এদের বুঝতে পারেনা।কারণ যে মানুষটা ঠিক একটু আগেই অনেক খুশি ছিলো হঠাৎ করেই সে বদলে গিয়ে একা থাকতে চাইলে কেউই সেটা ভালোভাবে নিবেনা।তখন বেশিরভাগই তাদের ভুল বুঝে। কেউই বুঝেনা এখানে এদের কোনো হাত নাই। কেউ চাইলেও এদের এই চেঞ্জ হওয়া আটকাতে পারবেনা।এমবিভার্টরা মাঝে মাঝে নিজেদের ভীষণ একা ভাবে।কারণ মন খুলে কথা বলার মতো কেউ হয়তো নেই।এদেরকে শামুক বলা যায়।কারণ এরা বাহিরের দিকে শামুকের মতো শক্ত খোলস পরে থাকে কিন্তু এদের ভিতরটাও শামুকের শরীরের মতো নরম।

তাদের নিজেদের জগতে যদি আপনি একবার ঢুকে যেতে পারেন,তখন বুঝবেন সে আসলে আপনার চেনার চেয়েও কতটা অন্যরকম। তখন হয়তো আপনি তাকে আরও বেশি ভালোবেসে ফেলবেন।কিন্তু প্রবেশ করার অধিকার পেয়েও আপনি যদি তার সেই ভরসা-বিশ্বাস একবার ভেঙে ফেলেন তখন তার সেই জগৎ টা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।সে তখন ভীষণ একা হয়ে যায়।এমবিভার্টদের ঠকানো অনেক সহজ।

কারণ হাজারবার ঠকলেও এরা আপনার নামে একটা অভিযোগও করবেনা।কিন্তু সেই ঠকে যাওয়াই এদের ভীষণভাবে পালটে দেয়।

তখন তারা তাদের চারপাশের জগৎ টাকে আরও ধোঁয়াশা বানিয়ে ফেলে।একদল মানুষ তখন তাদের ভুল বুঝে,ভাবে এরা ভাব নেয়। কিন্তু এরা হাসিমুখে এটার পেছনে থাকা সত্যিটা লুকিয়ে সব মেনে নেয়।
আপনাকে না জানিয়েই এরা আপনাকে সারা জীবন ভালোবেসে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

আপনি হয়তো কোনোদিন জানতেও পারবেন না দূর থেকে কেউ একজন সবসময়ই আপনার ভালো চায়।আর তার জন্যই দিনশেষে এরা ভীষণ একা,ধোঁয়াশার রাজ্যে ডুবে থাকা একদল মানুষ যাদের আমরা বলি এমবিভার্ট।

]]>
Science: মানুষ কেন ধ্বংসাত্মক চিন্তা করে? জানালেন চিকিৎসক https://ekolkata24.com/offbeat-news/science-know-why-people-thought-about-destructive-things Sun, 24 Oct 2021 20:09:07 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9020 Special Correspondent: মস্তিষ্ক শরীরের সবচেয়ে গোপন কর্ণার । সেখানে লোকে ভাবে, কি ভাবতে পারে, তার বেশিরভাগ কেবল সেই মানুষটাই জানে, অন্য কেউ জানে না । ভদ্র সমাজে ভদ্র থাকতে চেষ্টা করে মানুষ। প্রিটেন্ড করতে হয় যে – সে গালি দিতে জানে না, অনেক ভদ্র তারা । কিন্তু মনে মনে সকলে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর গালিও দিতে পারে । মনের জিনিস তো মনেই, তার আবার ভালো মন্দ কি ! এবং দেয়ার পর ভালো ফিলও করে অনেকে ।

আসলে সবার মধ্যেই ভয়ংকর সব চিন্তা আসে মাঝে মাঝে । আবার ভুলেও যায় সময় সময় । মনে পড়লে বরং নিজেরাই মাঝে মাঝে সে সব চিন্তা কি করে এলো, ওটা ভেবে পায় না । মনে মনে হাসে লোকে, কারণ বাহির তাদের সে সব জানতে পারে না বলে ।

একদিকে এমন চিন্তা যেমন আসে, তেমনি নিজেদের ভেতর কখনো এ নিয়ে বিব্রত হয়, অবাক হয়, ক্রোধে পুড়তে থাকে এবং শেষে ভুলে যায় । কিন্তু কি করে এমন হয় ! কেন এমন হয় ! যে জিনিসটি নিয়ে চিন্তা করতে চায় না, সেটি কি করে লোকের মাথায় আসে । বিশেষ করে ভায়োলেন্ট চিন্তা ভাবনা মানুষ কেন করে ? সেই কথা জানালেন ইংল্যান্ডের চিকিৎসক ডা. অপূর্ব চৌধুরী

তাঁর মতে, ভয়ংকর চিন্তা ভাবনাগুলো দুটো পথে আমাদের মধ্যে আসে । একটা ইরোটিক পথে সেক্সচুয়ালি, আরেকটা ডেস্ট্রাক্টিভ ইমাজিনেশন । সেক্সে ফ্যান্টাসির ওয়াইল্ড পার্ট যত বেশি অদ্ভুদ, টিপিক্যাল নয়, ভয়ংকর এবং ট্যাবু, ততো বেশি সেটা মজা দেয়, ভালো লাগে এবং ভালো লাগা শেষে গিলটি ফিলিংসও দেয় । অদ্ভুদ একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বেশিরভাগ মানুষ এই জায়গাটি পার করে । একদিকে ভাবতে মজা, আরেকদিকে একই ভাবনা দেয় সাজা ।

একই সাথে ভায়োলেন্ট তাকে মজা দেয়, একই সাথে সেটাই আবার শরমিন্দার কারণ হয় । নিজের মধ্যে লজ্জায় পড়ে যায়। মনে মনে ভাবে, হায় হায়, কেউ যদি সে সব জেনে ফেলে । বার বার হতে থাকলে ভাবে সে হয়তো অসুস্থ চিন্তা করছে । যত বেশি ভাবতে থাকে সে খারাপ জিনিস ভাবছে, তত সে একদিকে সেটা দমাতে চেষ্টা করে, আরেকদিকে তার ভায়োলেন্ট চিন্তা আরো ভায়োলেন্ট হয়ে উঁকি দিয়ে আরো মজা দিতে থাকে ।’

তিনি বলছেন, এমন হলে কি করবেন ? প্রথমত : এমন চিন্তা স্বাভাবিক, এটি ধরে নিন । এমন সবার মধ্যে আছে, আপনি ব্যতিক্রম নন । কোনো চিন্তাই অস্বাভাবিক নয়, যতক্ষণ এটি কেবল চিন্তা । দুই : নিজেকে অসুস্থ ভাবার কিছু নেই, যতই সেটি ভায়োলেট কিংবা অদ্ভুদ হোক । চিন্তা তো চিন্তাই, যতক্ষণ পর্যন্ত চিন্তাটা ছিনতাই হয়ে কার্যকর না হবে ।

তিন : চিন্তাকে দমাতে নেই । আমাদের মস্তিষ্ক হলো জেনারেটর অফ থটস । এখানে চিন্তা আসতে থাকবে । চিন্তাকে থামাতে হলে আরেকটা চিন্তা দিয়ে সরাতে হয় । সেই ঘুরে ফিরে এক গর্ত থেকে আরেক গর্তে যাওয়াই হয় ।

চার : যাকে ভায়োলেন্ট ভাবছেন, সেটি আপনার মনে, বাস্তবে না । যত বেশি চেপে ধরবেন, ভায়োলেন্ট টি আরো ভায়োলেন্ট আকারে বের হতে চেষ্টা করবে । তারচেয়ে তাকে আসতে দিয়ে ডিসেন্সিটাইজেশন করা । একসময় আর সেটি আপনাকে টানবে না বা মজা হারিয়ে ফেলবেন ।

পাঁচ : এমন চিন্তা আসার কারণে দুশ্চিন্তা বা ডিপ্রেসেড হওয়ার কিছু নেই । এ গুলো মস্তিষ্কের রেন্ডম প্রসেজের একটি । সুস্থতা বা অসুস্থতা, কোনোটাই নয়, কেবল চলমান ।

ছয় : ধ্বংসাত্মক তখনই, যখন তা আপনার দৈনন্দিন স্বাভাবিক চিন্তা এবং জীবনযাপনকে ব্যাহত করবে । যেমন: OCD, PTSD, ক্রণিক ডিপ্রেশন, এমন সব সমস্যাগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন

]]>
বন্যাক্রান্তদের জীবনে পুজোর গন্ধ, আলোর খোঁজে একদল যুবক-যুবতী https://ekolkata24.com/offbeat-news/this-young-peoples-helping-people-who-are-heavily-effected-by-flood Wed, 06 Oct 2021 06:16:58 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6739 বিশেষ প্রতিবেদন: সবে করোনার ভ্রুকুটি কাটিয়ে ক্রমে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দেশ ও জাতি। কিন্তু একের পর এক নিম্নচাপের জাঁতাকলে বিদ্ধ বঙ্গবাসী। বাংলার সবচেয়ে বড়ো উৎসবের আগেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এবার উৎসব কিছুটা ছন্দহীন। কিন্তু তাতে কী! বাঙালির সবচেয়ে বড়ো উৎসব বলে কথা। এসব কী আর দমিয়ে রাখতে পারে উৎসবপ্রিয় বাঙালিকে। তাই অন্ধকারের মাঝেও আলোর খোঁজে ব্রতী একদল যুবক-যুবতী। উৎসবের আনন্দকে সমাজের প্রান্তিক শিশুদের সাথে ভাগ করে নিতে এগিয়ে এলো হাওড়া জেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমতার ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’।

ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে চিঁচুড়গেড়িয়া গ্রাম। আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের শিশুদের সাথে উৎসবের আনন্দকে ভাগ করে নিলেন অরুণ, তাপস, রাকেশরা। হাওড়া থেকে চিঁচুড়গেড়িয়া গ্রামে গিয়ে গ্রামের সকল শিশুকে নতুন জামাপ্যান্ট, শিক্ষাসামগ্রী ও চকোলেট উপহার দিলেন আমতার স্বেচ্ছাসেবীরা। পুজোয় নতুন জামা পেয়ে রীতিমতো খুশি প্রমিলা, রাজবীর৷ বুদ্ধেশ্বরা। সংগঠনের অন্যতম কর্তা পৃথ্বীশরাজ কুন্তী জানান, প্রতিবছরই আমরা উৎসবের আনন্দকে সমাজের প্রান্তিক শিশুদের সাথে ভাগ করে নিই। এবার আমরা জঙ্গলমহলের শিশুদের মাঝেই আমরা ‘আমাদের ছুটি ছুটি’ অনুষ্ঠিত করলাম। তিনি আরও জানান, এই গ্রাম এখনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। এখানেই গত আগস্ট মাস থেকে ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর পক্ষ থেকে একটি অবৈতনিক পাঠশালা ‘বর্ণ পরিচয়’ চালু করা হয়েছে।

Young peoples helping people who are heavily effected by flood

সম্প্রতি জঙ্গলমহলে শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছে তারা। পৃথ্বীশদের স্বপ্ন ছিল জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালানোর। ইচ্ছে থাকলেও উপায় সেভাবে হয়ে ওঠেনা। হঠাৎই একদিন মানস তার বন্ধু পঙ্কজের থেকে জানতে পারে তার গ্রামে শিক্ষার আলো এখনো সেভাবে প্রবেশ করেনি। আজও গ্রামের কচিকাঁচাদের অধিকাংশই স্কুলমুখো হয়না। খবর পেয়েই ওরা হাজির হয় ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে জঙ্গল লাগোয়া ছোট্ট একটি গ্রাম চিচুড়গেড়িয়া। ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্ভুক্ত এই গ্রামে ২৭ টি আদিবাসী পরিবারের বাস। সকলেই কোনোরকমে অন্ন সংস্থান করেন। গ্রামে নেই কোনো স্কুল, নেই অঙ্গণওয়াড়ি সেন্টার।

Young peoples helping people who are heavily effected by flood

একদিকে প্রতিকূল আর্থসামাজিক পরিকাঠামো, অন্যদিকে শালের জঙ্গল ও রাস্তা পেরিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে স্কুলে যেতে হয়। তাই গ্রামের ছেলেপুলেরা সেভাবে স্কুলমুখো হয়না। গ্রামের প্রথম গ্র‍্যাজুয়েট যুবক পঙ্কজ বাস্কে ও তাঁর স্ত্রী উত্তরা মুর্মু বেশকিছুদিন ধরেই নিজেদের গ্রামকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও উপায় আর হচ্ছেনা। গ্রামে গিয়ে এসব জানার পরই চিচুড়গেড়িয়ায় অবৈতনিক পাঠশালা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় হাওড়া জেলার আমতার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর সদস্যরা। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ভীম মুর্মু, রাগদা বাস্কে, সাগেন মান্ডিরা গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালাতে সাথে সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। কেউ নিজের ঝাড়ের বাঁশ দেন, কেউ স্বেচ্ছাশ্রম। সবুজ প্রকৃতির মাঝে গড়ে তোলা হয় অস্থায়ী চালা। সেখানেই এখন নিয়ম করে বসছে ‘বর্ণ পরিচয়’-এর আসর।

আপাতত শনি ও রবিবার পাঠের আসর বসছে। সকাল হলেই আরশু মান্ডি, সুখলাল হাঁসদা, কানাই মুর্মুরা ব্যাগ নিয়ে পাঠশালায় আসছে। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পাঠের আসর। তারপর কোনোদিন অ-আ আবার কখনও বা A-B-C-D -এর রব ওঠে শিশু পড়ুয়াদের গলায়। কখনও শুধু রং নিয়ে খাতায় আঁকিবুঁকি কাটে পল্লবী বাস্কে, ফুলমণি মান্ডি, বুদ্ধেশ্বর হাঁসদারা। কোনোদিন ওদের পড়ান গ্রামেরই পঙ্কজ দাদা, উত্তরা দিদি, আবার কোনোদিন হাওড়া থেকে আসেন রাকেশ, প্রসেনজিতরা। ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর কর্তা পৃথ্বীশরাজ কুন্তীর কথায়,”গ্রামে এসে সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে আমরা পাঠশালা তৈরির সিদ্ধান্ত নিই। আমরা আমাদের প্রস্তাব গ্রামের মানুষকে জানাই। তাঁরা একবাক্যে প্রস্তাব গ্রহণ করেন। আমাদের প্রস্তাব শুনেই গ্রামবাসীরা জায়গা ঠিক করে দেন। এমনকি বাঁশ-প্লাস্টিক দিয়ে নিজেরাই তৈরী করে ফেলেন নিজেদের শিশুদের জন্য শিক্ষার মন্দির। শুরু হয় ‘বর্ণপরিচয়’-এর পথচলা।”

জয়রাম মুর্মু, অমর হাঁসদারা নিজেরা পড়াশোনার সুযোগ না পেলেও নিজেদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে তাঁরা ভীষণভাবে উদ্যোগী। তাঁরা জানান, আগে কেউ কখনো আমাদের গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালানোর প্রস্তাব নিয়ে আসেনি। তাই আমরা প্রস্তাব পেয়ে আর দু-বার ভাবিনি। ইতিমধ্যেই হাওড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠশালার তিরিশ জন পড়ুয়ার বই, খাতা-সহ যাবতীয় শিক্ষাসামগ্রী দেওয়া থেকে শুরু করে পাঠশালা পরিচালনার সব দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ক্রীড়াসামগ্রী। শুধু পড়াশোনাই নয়, পাঠশালা প্রাঙ্গণে সবুজায়নের লক্ষ্যে নিজে হাতে গাছ বসানোর কাজও শুরু করেছে কচিকাঁচারা। পালিত হয়েছে রাখিবন্ধন, শিক্ষক দিবসের মতো বিভিন্ন বিশেষ তিথি। এভাবেই হাওড়ার একদল যুবকের নিরলস প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় পঙ্কজ বাস্কে, উত্তরা মুর্মুদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ চিচুড়গেড়িয়ার ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে বর্ণের পরিচয়।

]]>
পুজোয় ঘুরে আসুন শেরসাহের দেশে https://ekolkata24.com/offbeat-news/the-puja-special-offbeat-tour-to-sasaram Tue, 05 Oct 2021 13:43:04 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6681 বিশেষ প্রতিবেদন: পুজোর সময় কোথাও একটু অফবিট ট্যুরে যেতে চাইছেন।।চলে যান সসারাম। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার , ট্রেনে সময় লাগে প্রায় ৮ ঘন্টার কাছাকাছি ।

না কোন প্রসিদ্ধ টুরিস্ট স্পট এটি নয় । এটি বিহারের রোহতাস জেলার সাসারামের কিছু শহরকেন্দ্রিক ও শহর সংলগ্ন মনমুগ্ধকর স্থান ।

সাসারাম বিহারের এক লুকানো সম্পদ। এটা জলপ্রপাতের দেশ। শেরসাহের দেশ বললেও ভুল হয় না। চার চারটে প্রধান জলপ্রপাতের সাথে পরিচয় হবে । সীতাকুন্ড, মাঁঝেরকুন্ড, ধোঁয়াকুন্ড, আর তুতলা ভবানী জলপ্রপাত । আর জলপ্রপাত বলেই বর্ষামঙ্গল । বর্ষাতে নদীর জলে যৌবনে ভরপুর, ভয়ঙ্কর মনোরম সুন্দর । কিন্তু শীতে একদমই শুকনো, জলশূন্য । তাইতো বর্ষামঙ্গলের আদর্শ ঠিকানা বিহারের সাসারাম । বেশী দিনের ট্রিপ নয় । মিনিমাম দুদিন, ম্যাক্সিমাম তিনদিন (যাওয়া আসা নিয়ে) দিলেই আপনিও এই বর্ষামঙ্গলের শরিক হতে পারেন ।

প্রথমে আসি পাইলট বাবার মন্দির এবং ট্যুরিজম সেন্টারের কথায় । নতুন তৈরী হচ্ছে পাইলট বাবার আশ্রম মন্দির ট্যুরিজম । ২০১৩ থেকে কাজ শুরু হয়েছে । ২০২১ এ কমপ্লিট হবে । মূলত গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের আদলে তৈরী হচ্ছে । এছাড়া গৌতম বুদ্ধের মন্দির আর বিশালাকার শিব মূর্তি নিয়ে একটা জমজমাট প্যাকেজ হচ্ছে পাইলট বাবার আশ্রম মন্দির । সাসারাম ট্যুরিজম আসতে আসতে গড়ে উঠছে । এরপর চন্দনগিরি প্রাচীন শিব মন্দির এবং ত্রিনেত্র গুম্ফা । পাহাড়ের উপর এক প্রাচীন শিব মন্দির এবং পাহাড়ের মধ্যে এক গুহা – প্রকৃতির সৃষ্টি ।

এরপরই আসল সীতাকুন্ড, মাঁঝেরকুন্ড, ধোঁয়াকুন্ড অভিযান । স্টেশনের কাছ থেকেই একটা বড়ো গাড়ী সারাদিনের জন্য রিজার্ভ করে নিন । আমরা হয়তো সীতাকুন্ড, মাঁঝেরকুন্ড, ধোঁয়াকুণ্ডের নাম জানি না কিন্তু বিহারে সাসারাম এরিয়াতে এগুলো জনপ্রিয় পিকনিকের জায়গা । ছোটো গাড়ী, অটো নিয়ে কঠিন পাহাড়ী পথ যাওয়া সম্ভব নয় । বড়ো গাড়ীই ভরসা । আর দরকার একজন গাইডের । গাড়ীর ড্রাইভারই গাইডের কাজ করতে পারে ।

শুরু হলো পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ী ওঠা । রাস্তার কথা যত কম বলা যায় তত ভালো । সীতাকুন্ড পর্যন্ত গাড়ী যায় । তারপর আর যাওয়ার উপায় নেই । গাইডের সাহায্যে পাহাড়ী পাথরের রাস্তা ধরে ট্রেক । ২ থেকে ৩ কিমির মধ্যেই তিনটে জলপ্রপাত । প্রথমেই সীতাকুন্ড । তারপর মাঁঝেরকুন্ড এবং শেষে ধোঁয়াকুন্ড । একই নদীর জল থেকে সৃষ্ট । এবং নিচে নেমেছে “কাই” নদী নামে । বর্ষাকালে জলে ভরপুর । দেখে মনে হবে কোনো এক বিদেশ । ভাষায় বর্ণনা দেওয়া বৃথা । ছবি আর ভিডিওতেই বোঝা যায় এর সৌন্দর্য্য । যার জন্য আমার মনে হয় দুদিন সংসার, অফিস ছেড়ে দেখে আসি এই অজানা লুকানো প্রকৃতিকে । এরপর ধোঁয়াকুন্ড । সবচেয়ে সুন্দর ।
স্নান করা যাবে সীতাকুন্ড আর মাঁঝেরকুণ্ডে । ধোঁয়াকুণ্ডে এতো উঁচু থেকে জলরাশি পড়ছে প্রবল বেগে স্নান করার কোনো সুযোগ নেই । কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর এবং ভয়ংকর এই ধোঁয়াকুন্ড । দেখলেই মনে হবে আশা সার্থক।

এরপর চলুন ৫১ পীঠের এক পীঠ তাঁরা চন্ডী মন্দির দর্শনে । এখান থেকে গুপ্তধামও যাওয়া যায় । (এলবামে একটা ম্যাপও আছে তাঁরা চন্ডী মন্দির থেকে গুপ্তধাম যাওয়ার)৷

offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram offbeat tour to sasaram

৫১ পীঠের এক পীঠ মা তাঁরাচন্ডী মন্দির দর্শন করে চলুন তুতলা ভবানী জলপ্রপাত দেখতে । পাশেই মা তুতলা ভবানী মন্দির । দুটো বড়ো বড়ো পাহাড়ের মাঁঝে জলরাশি বিপুল বেগে পড়ছে । এও এক সুন্দর জলপ্রপাত । সবশেষে সাসারাম শহরের মধ্যে শেরসাহের সমাধি সৌধ দর্শন। তখন সূর্য প্রায় অস্ত যাওয়ার পথে । এবার তো ফেরার পালা ।

রাতে ফেরার ট্রেন । কিন্তু উত্তর ভারতের ট্রেন লাইন তো । সব ট্রেনই চার পাঁচ ঘন্টা লেটে চলে । কিন্তু দুদিনের ট্রিপে (একদিন পুরো ঘোরা) যা দেখবেন সারা জীবন মনে থাকবে। চারটে জলপ্রপাত, একটা শক্তিপীঠ, এক সমাধি সৌধ কিম্বা নির্মীয়মান পাইলট বাবার ট্যুরিজম কেন্দ্র ইত্যাদি হাতে গোনা শুধুই সংখ্যা মাত্র । সীতাকুন্ড, মাঁঝেরকুন্ড, ধোঁয়াকুন্ড এবং তুতলা ভবানী স্মৃতিতে সারা জীবন থেকে যাবে । হয়তো আবার পরের বর্ষাতে আবার ছুটে যাবেন সাসারাম এই কুণ্ডের টানে।

কিভাবে যাবেন? হাওড়া থেকে দিল্লি, বেনারস, মোগলসরাই (ওল্ড নেম) গামী যেকোনো ট্রেন সাসারাম স্টেশনে দাঁড়ায় । ঘন্টা দশেক সময় নেয় । স্টেশনে নেমেই প্রচুর গাড়ী পাবেন । বড়ো গাড়ী বুক করবেন । ফেরার ট্রেন গড়ে চার/পাঁচ ঘন্টা লেট থাকবেই ।

কোথায় থাকবেন? সাসারাম স্টেশনের পাশেই অনেক হোটেল আছে । এসি রুম ও আছে । যোগাযোগ : ০৬১৮৪/২২১২৭৭ । এছাড়াও আরো অনেক হোটেল আছে।

কি কি দেখবেন: ১) সীতাকুন্ড জলপ্রপাত/২) মাঁঝেরকুন্ড জলপ্রপাত ৩) ধোঁয়াকুন্ড জলপ্রপাত ৪) তুতলা ভবানী জলপ্রপাত এবং মা তুতলেশরী মন্দির ৫) ৫১ পীঠের এক পীঠ তাঁরা চন্ডী মন্দির ৬) শেরশাহ সুরির সমাধি সৌধ
৭) পাইলট বাবার মন্দির আশ্রম ট্যুরিজম সেন্টার
৮) চন্দনগিরি পুরানো শিব মন্দির এবং ত্রিনেত্র গুম্ফা
এছাড়াও যেতে পারেন গুপ্তধাম এবং কাসিস জলপ্রপাত৷ 

]]>
মিশর রহস্য: মরণের ওপারে যাওয়া যেত এই নৌকায় চড়েই https://ekolkata24.com/offbeat-news/egypts-epic-4600-year-old-pharaonic-boat Sat, 02 Oct 2021 16:08:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6355 বিশেষ প্রতিবেদন: ৪৬০০ বছরের সৌরনৌকা আজও অক্ষত। মিশরীয়রা বিশ্বাস করতো যে, এসব নৌকায় চড়ে তারা মৃত্যুর পরের জীবনে পাড়ি জমাবে। মিশরের ফারাও খুফুর বিখ্যাত পিরামিডের ভেতর কবর দেওয়ার কামরাগুলোর পাশেই একটি গর্তে মাটিচাপা ছিল এমনই একটি বিশাল নৌকা। চার হাজার ৬০০ বছরের পুরানো সেই নৌকা এখনও অক্ষত রয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌরনৌকার তকমা পেয়েছে এটি। ফেরাউন সম্রাটের সবচেয়ে প্রিয় ছিল এই সৌরনৌকাটি। সৌরনৌকাটি ফারাও কুফুর ব্যবহৃত ছিল বলে ধারণা করা হয়। প্রথম নৌকাটি ১৯৫৪ সালে আবিষ্কৃত হয়। গ্রেট পিরামিডের দক্ষিণ কোণে এটিকে পাওয়া যায়। এতগুলো বছর পেরিয়ে এসে অবশেষে এই নৌকার জায়গা হবে গ্র‍্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামে। যাতে দর্শনার্থীরা হাজারও বছরের পুরনো নৌকাটি দেখতে পারে। জানান যায়, গ্র‍্যান্ড জাদুঘর পর্যন্ত নৌকাটি টেনে নেয়ার জন্য একটি বিশেষ রিমোট-কন্ট্রোল গাড়ি বেলজিয়াম থেকে আমদানি করেছে মিশর।

মিশরীয়রা মৃত্যুর পর মৃতদেহ কিংবা মমির সঙ্গে তার ব্যবহৃত ও প্রিয় বিভিন্ন জিনিস সমাধি দিত। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের সম্রাট ছিলেন খুফু। তার এই সৌরনৌকাটি লম্বায় ৪২ মিটার (১৩৮ ফুট) এবং এর ওজন ২০ টন। এই নৌকাটিকে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও প্রাচীনতম কাঠের তৈরি নিদর্শন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ফারাও সম্রাট খুফুকে খ্রিস্টপূর্ব ২৫৬৬ সালে এখানে সমাহিত করা হয়।

4,600-year-old pharaonic boat

খুফু ছিলেন প্রাচীন মিশরের পুরাতন রাজত্বের সময়কালীন এক ফারাও। তিনি ২৫৮৯-২৫৬৬ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত রাজত্ব করেন। চতুর্থ রাজবংশের তিনি ছিলেন দ্বিতীয় ফারাও। সাধারণভাবে তাকে গিজার মহা পিরামিডের নির্মাতা হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে। এই বিশাল পিরামিডটিকে প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি বলে ধরা হয়ে থাকে। গিজার তিনটি পিরামিডের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো আর বড় এটি। মিশরের এল গিজা নামক স্থানের কাছে অবস্থিত গিজার মহা পিরামিড বা খুফুর পিরামিড।।১৪০ মিটার (৪৬০ ফুট) উঁচু পিরামিডে তিনটি প্রধান প্রকোষ্ঠ আছে। এর গ্র্যান্ড গ্যালারির দৈর্ঘ্য ৪৭ মিটার এবং উচ্চতায় ৮ মিটার। বিজ্ঞানীরা পিরামিডটির ভেতরে একটি ‘বড় শূন্যস্থানের’ সন্ধান পেয়েছেন।

ইতিহাসের তথ্য অনুসারে, এই পিরামিডটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগে। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর। এটি নির্মাণ করতে প্রায় লাখখানেক শ্রমিক খেটেছিল।

]]>
ছুটে আসছে ‘শব্দবাণ’, সাহস থাকলে জব্দ করুন https://ekolkata24.com/offbeat-news/a-tabloid-only-made-for-word-puzzle Sat, 18 Sep 2021 13:20:30 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4955 বিশেষ প্রতিবেদন: সংবাদপত্রের ভিতরের পাতা একটা ছোট্ট কোণ। শব্দছকের এতটাই প্রাপ্তি একটা সংবাদপত্রে। কিন্তু একটা পুরো পত্রিকা শব্দছকের জন্য। ভাবেননি বিশেষ কেউ। ভেবেছেন শুভজ্যোতি রায়। এবং শুধু ভাবা নয় করে দেখানোর সাহস দেখিয়েছেন তিনি।

যাদবপুর সন্তোষপুরের মন, মাথা জুড়ে সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ায় শব্দ এবং তা নিয়ে খেলা করতে করতে কেটেছে অনেকটা সময়। শুভজ্যোতির বলেছেন, তিনিই প্রথম শব্দছক নিয়ে কোনও কাগজ প্রকাশিত করলেন। দাবি খুব একটা ভুল নয়, কারণ এমন পাতার পাতার পর পাতা শব্দজব্দ , একটা পত্রিকা করার ভাবনা সাহস কেউ দেখায়নি।

tabloid only made for word puzzle

আপাতত তিনমাসে একবার প্রকাশিত হবে তাঁর শব্দবাণ নামক শব্দ ছকের ট্যাবলয়েড ৷ প্রথম সংস্করণ এল আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ৷ দাম ১০ টাকা ৷ চারপাতার এই ট্যাবলয়েডে একাধিক বিষয়ের উপর শব্দছক থাকছে ৷ তাছাড়া পাঠকদের জন্য প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাও থাকছে ৷ সেই প্রতিযোগীদের বিজয়ীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কারও ৷

তাঁর কথায়, “অনেকেই আছেন যারা অবসরে খবরের কাগজে রাজনীতি মার প্যাঁচ বোঝার পাশাপাশি শব্দের মার প্যাঁচ বোঝার চেষ্টা করেন। নিজের মগজাস্ত্রে শাণ দিয়ে নেন ৷ অনেকের এটা নেশাই ৷ তাদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ, যা জনপ্রিয় হবে বলেই আমি আশা করি৷ ভবিষ্যতে এই পত্রিকাকে আরও বড় করে আনতে চাই ৷ সাপ্তাহিক , ঠিকভাবে এগোলে দৈনিক করার ভাবনা আছে।”

এমন একটি পত্রিকা তৈরির কথা কীভাবে ভাবনায় এল ? শুভজ্যোতির বলেন, ” স্কুল-জীবন থেকে শব্দ নিয়ে খেলা করার অভ্যাস ৷ ১৯৯৮ সাল থেকে শব্দছক তৈরি করছি ৷ শুরুর দিকে বাবা আপত্তি করেছিলেন ৷ কিন্তু শুরুতেই নজরে পড়ে সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ৷ তারপর শুধুই এগিয়ে গিয়েছি।”

বহু দৈনিক সংবাদপত্রে শুভজ্যোতির শব্দছক প্রকাশিত হয় ৷ বিষয়ভিত্তিক শব্দছকও তিনি করেন ৷ ২০১৮ সালে তাঁর তৈরি শব্দছক ফ্যাশন ডিজাইনাররা ব্যবহার করেছেন পূজো ট্রেন্ড হিসাবে ৷ ব়্যাম্পে হেঁটেছিলেন মডেলরা । লকডাউনের সময় করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে শব্দছক তৈরি করেছিলেন ৷ এত চাহিদা যখন রয়েছে সেখান থেকেই আলাদা কিছু করার পরিকল্পনা করেন। যার ফল ‘শব্দবাণ’ ৷

]]>
একেকটার বয়স হাজার বছর! বাওবাবের পেটে থাকে জল https://ekolkata24.com/offbeat-news/amazing-baobab-tree-of-africa Sat, 04 Sep 2021 03:16:03 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3774 নিউজ ডেস্ক: বাঙালি পাঠককুল বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী সৃষ্টি ‘চাঁদের পাহাড়’ পড়ে বাওবাব গাছের নামটি জেনেছেন। সেই গাছের গুণাগুণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে। আসলে বাওবাব নিজেই একটি অদ্ভুত চরিত্র। এমন পেটমোটা গাছ যার পেটে রাখা থাকে জল।

দেখলে মনে হবে একটা বিরাট বোতল, কখনও মনে হয় বিরাট একটা হাঁড়ি, কেউ ভাবে গামলা। কারোর চোখে ওয়াটার ফিল্টার ! এমনই সব অদ্ভুত আকারের গাছ রয়েছে দুনিয়ায়। এদের রকম সকম আরও চমকে দেবে। এ গাছ যদিও আমাদের দেশের নয়। আফ্রিকার শুকনো মরু এলাকায় মিলবে। বাওবাব নামেই পরিচিতি। প্রকৃতির বিস্ময়। কারণ বাওবাবের কান্ড ও গুঁড়িতে হাজার হাজার লিটার জল মজুত করা থাকে। নিজের প্রয়োজন মতো এই জল খেয়ে সজীব থাকে বাওবাব গাছেরা।

Amazing baobab tree of Africa

আফ্রিকার বাওবাব গাছ মূলত শুকনো মরু এলাকায় হয়। সাহারা মরু সংলগ্ন দেশগুলি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকা, সুদান, দক্ষিণ সুদান, জিম্বাবোয়ে, সহ বিভিন্ন দেশে বাওবাব দেখা যাবে। আফ্রিকা মহাদেশে বাওবাব গাছের ব্যাপকতা বেশি।  মাথার দিকে ডালপালা শিকড়ের মতো ছড়ানো থাকায় অনেকে চমকে যান। ভাবতে থাকেন, গাছটার বোধহয় আকাশের দিকে গোড়া। উল্টো করে দাঁড়িয়ে আছে। তবে কাছে গেলে ভুল ভাঙে।

তবে বছরের নয় মাস এই বাওবাব গাছে কোনও পাতা থাকে না। কিন্তু জল থাকে বিস্তর। বাওবাব গাছ দুশো বছর বয়সী হওয়ার পরেই ফল ধরে। ফুল সাদা রঙের। গন্ধযুক্ত। তবে ফুল ফোটার এক দিনের মধ্যেই বিবর্ণ হয়ে যায়।

বাওবাব আফ্রিকার মরু অঞ্চলের মানুষের কাছে উপকারি এক গাছ।এই গাছের বাকল দিয়ে পোশাক ও শক্ত দড়ি তৈরি হয়। ফল খাওয়া যায়। এছাড়া এই গাছের পাতা থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি হয়। আফ্রিকার আদিবাসীরা প্রকৃতির তৈরি ওষুধের উপর নির্ভর করেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম পার করছেন।

হাজার হাজার লিটার জল দেহের মধ্যে সঞ্চয় করে রাখে বাওবাব। এই জল দিয়েই তার জীবন চলবে যতদিন না পুরো সঞ্চয় শেষ হচ্ছে। এর মাঝে প্রকৃতি থেকে জল সংগ্রহের কাজও চলবে। এই নিয়েই বেশ রয়েছে বাওবাব।

]]>