origin – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 24 Oct 2021 10:19:15 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png origin – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 বাংলা ভাষার উৎস সংস্কৃত নয়, দাবি ভাষাবিদের https://ekolkata24.com/offbeat-news/sanskrit-is-not-the-origin-of-bengali Sun, 24 Oct 2021 10:19:15 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8957 Special Correspondent: সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষা এসেছে। এটাই জেনে এসেছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু ভাষাবিদ সমীন্দ্র ঘোষের গবেষণা অন্য কথা বলছে। তাঁর দাবী, বাংলা ভাষার উৎস সংস্কৃত নয়।

তিনি বলছেন, ” সংস্কৃত ভাষা অখণ্ড বাংলায় এসেছে গুপ্তযুগে। সংস্কৃত আসার আগে বাংলায় অধিবাসী ছিল; তারা রীতিমতো বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতো, যাতায়াত করতো, হিসাব রাখতো ইত্যাদি মিলিয়ে বলা যায় সভ্য ছিল, প্রজ্ঞাবান ছিল। এসবই প্রত্নতাত্ত্বিক, নৃতাত্বিকভাবে প্রমাণিত।”

এরপর তিনি বলেছেন , “তাহলে, প্রশ্ন থাকছে সেইসময়ে বাংলার অধিবাসী কি বোবা কালা ছিল? নাকি অং বং চং হুঃ হাঃ হিঃ ব্রুৎ ব্রাৎ ইত্যাদি শব্দে কথা বলতো? অথবা,আকার ইঙ্গিতে কথা বলতো কি?লিখতে পারতো না ?’ তাঁর কথায়, “

আমরা দেখেছি যে, ভাষাতত্ত্বের ভিত্তিতে : ১) এই অং বং চং হুঃ হাঃ হিঃ ব্রুৎ ব্রাৎ শব্দ তো সংস্কৃতে এখনও আছে।
২) বৈদিকরা লিখতেও পারতো না। ৩) কাজকর্ম, বস্তু সামগ্রী ব্যবহারের দ্বারা ও তাকে চিহ্নিত করতে শব্দ তৈরি হয়।

৪) বৈদিকরা তথা আর্যভাষীরা তথা আর্যভাষা সংস্কার ক’রে সংস্কৃত ভাষা ব্যবহারকারীরা ছিল বর্বর, যাযাবর; তাদের জীবনযাপনের জন্য বস্তু সামগ্রী বেশি ব্যবহার করতো না; তাই তাদের বস্তু চিহ্নিতকরনের শব্দ কম ছিল এবং হিন্দুকুশ পেরোনোর পরে যত শব্দ তাদের ভাষায় যুক্ত হয়েছে, সেসবই এই ভূমির অধিবাসীদের শব্দ। এটাই নিশ্চিৎ প্রমাণ। অশ্ব, লৌহ তারা জানতো; তামা তো জানতো না; আম তো এই সেদিন, প্রায় হাজার বছর আগে জানলাম আমরা; তো, সংস্কৃতে আম্র এল কোত্থেকে? তেমনি, বহু সহস্র শব্দই ওরা নিয়েছে স্থানীয় অধিবাসীদের থেকেই।

৫) সেইসব স্থানীয় শব্দ ওদের ব্যাকরণ রীতি অনুযায়ী ওদের ছাঁচে ঢেলে প্রচার করেছে। আর আমাদের বিশ্বাস করানো হয়েছে, বাংলা ভাষা সংস্কৃত জাত। ৬) চর্যাপদের ভাষায় “বাঙ্গালী” শব্দটি আছে। “বাঙালী”, লাঙল, লিঙ্গ ইত্যাদি অস্ট্রিক জাত শব্দ। বলেছেন ভাষাচার্য ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। ৭) আরও জানছি যে, বঙ্গা বা বোঙ্গা উচ্চারণ বিপর্যয়ে গঙ্গা। আসল বানান বোঙাঁ। এই বঙ্গা থেকেই বঙ্গালী > বাঙ্গালী > বাঙালী > বাঙালি। বঙ্গালা > বাঙ্গালা > বাঙালা> বাঙলা > বাংলা। ৮) চর্যাপদে যেসব শব্দ আছে তার কিছুই সংস্কৃত জাত নয়। এবং আরবী, ফার্সি, তুর্কি জাত নয়।

কারণ, আরবী ফার্সি তুর্কি ভাষা বাংলা অঞ্চলে ঢুকতে শুরু করেছে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। এসবই তথ্যগত। তাই, এটা বলাই যায় যে, বাংলা ভাষা সংস্কৃত জাত নয় এবং বাংলা ভাষা সংস্কৃত ভাষার কাছে ঋণী নয়; বরং সংস্কৃত ভাষা বাংলার আদি ভাষার কাছে ঋণী। এবং বাংলা ভাষার সমস্ত বা সিংহভাগ শব্দ আরবী ফার্সি তুর্কি নয়, বরং সেসব থেকে উদ্ভূত এবং স্বকীয়।”

]]>