Pandemic – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 07 Jan 2022 10:38:26 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Pandemic – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Covid19: শেষ সাত দিনে ৭১ শতাংশ সংক্রমণ, করোনা যেন মরণহীন রক্তবীজ https://ekolkata24.com/uncategorized/covid-infection-spread-71-percents-across-the-globe Fri, 07 Jan 2022 09:35:13 +0000 https://ekolkata24.com/?p=18292 ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনার (Covid) সংক্রমণ বেড়েছে ৭১ শতাংশ। চলতি বছরে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে করোনার সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে। এর মূল কারণ করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন।মরণহী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান শুক্রবার আরো একবার বলেছেন, ওমিক্রন প্রাণঘাতী নয় এটা ঠিক। কিন্তু এই ভাইরাসকে অবহেলা করলে তার জন্য অনেক বড় মাশুল গুনতে হবে। ইতিমধ্যেই তার প্রমাণও সকলেই পেয়েছে। প্রায় গোটা দুনিয়াকে ঘরবন্দি করে ফেলেছে ওমিক্রন। 

বিশ্বের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রতিটি প্রান্তে করোনার সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে। তবে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনের সংক্রমণে মৃত্যুহার অনেকটাই কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনায় নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় ১০ শতাংশ কমেছে। তবে ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ছুঁই ছুঁই। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজারের কোঠায়।

এদিনই জানা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘন্টায় আমেরিকায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭.২৮ লাখ। মৃতের সংখ্যা ১৮৪৩। ব্রাজিল, উরুগুয়ে, বলিভিয়ার মত দেশেও সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

একই পরিস্থিতি ইউরোপের ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডের মত একাধিক দেশে। সব দেশেই সংক্রমণ রাতারাতি বেড়ে চলেছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২.৫৯ লাখ মানুষ। মৃতের সংখ্যা ২০৪। ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২.২৯ লাখ। মৃতের সংখ্যা ২০৩। জার্মানিতে ৫৯ হাজার ১১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদেশের মৃতের সংখ্যা কিছুটা বেশি। জার্মানিতে ২৪ ঘন্টায় ২৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, তাসমানিয়াতেও রীতিমতো করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় ২৪ ঘন্টায় বেশ কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদেশে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কম।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েও পূর্ব পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। পশ্চিমের একাধিক দেশ মনে করছে, আগামী দিনে করোনাকে নিয়ে সকলকেই পথ চলতে হবে। তাই এখন থেকেই মানসিকতার বদল প্রয়োজন। দীর্ঘদিন তো আর ঘরবন্দি থাকা যায় না।

অন্যদিকে পূর্বের দেশগুলি বলেছে, যেভাবেই হোক না কেন সবার আগে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে আরও অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন, জাপান-সহ একাধিক দেশ কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই সব দেশে।

]]>
Omicron: আতঙ্কের কিছু নেই, ওমিক্রন মানুষের বন্ধু হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক https://ekolkata24.com/uncategorized/omicron-may-help-us-said-by-expert Tue, 04 Jan 2022 09:19:19 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17938 সম্প্রতি গোটা বিশ্বকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের (Omicron) আতঙ্ক। এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস কি ডেল্টার মত, নাকি তার থেকেও ভয়ঙ্কর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষজ্ঞদের কাছে এখনও ওমিক্রনের চরিত্র স্পষ্ট নয়। স্বাভাবিকভাবেই ওমিক্রন নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এবার ওমিক্রন নিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করলেন ইজরায়েলের চিকিৎসক আফসাইন এমরানি।

ইজরায়েলের এই বিখ্যাত চিকিৎসক ওমিক্রন সম্পর্কে যে কথা বলেছেন তা মানুষকে ভরসা জোগাতে পারে। বলা যেতে পারে ওমিক্রন কোনও আতঙ্ক বা সঙ্কটের কারণ নয় বরং ওমিক্রন মানুষের বন্ধু হতে চলেছে।

চিকিৎসক এমরানির দাবি, ওমিক্রন হল একটি প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও সংস্থাই এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারেনি। ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না। রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয় না। এমনকী, রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন হয় খুব কম। বরং ওমিক্রন মানুষের মধ্যে গড়ে তুলতে পারে গণপ্রতিরোধ ক্ষমতা।

এমরানির দাবি, আগামী ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রনের মাধ্যমে গোটা বিশ্বেই টিকাকরণ হয়ে যাবে। তাই ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং প্রকৃতির কাছে মানুষের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। ওমিক্রন নামে এই ভাইরাস মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ নয় বরং আশীর্বাদ।

ইজরায়েলের এই বিশিষ্ট চিকিৎসকের বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের বহু চিকিৎসকও সহমত পোষণ করেছেন। তাঁরা বলছেন ডেল্টা প্রজাতির ছিল ওমিক্রনের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তদের সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশির মত সাধারণ উপসর্গ থাকছে।

তবে শুধু ভারতীয় চিকিৎসকরা নন একই কথা বলছেন বিদেশের চিকিৎসকরাও। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের দাবি, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশির মত উপসর্গ থাকছে। আক্রান্তদের কারও শারীরিক পরিস্থিতি জটিল পর্যায়ে যায়নি। তবে সকল এটাও স্বীকার করেছেন যে, ওমিক্রন অন্য প্রজাতিরগুলির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক কিন্তু ভয়ঙ্করতার দিক থেকে দেখতে গেলে ডেল্টার তুলনায় অনেকটাই কম।

কলকাতার বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমাদের এখানে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমেছে। তাই আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় গেলেই বোঝা যাবে ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে কিনা। যদি অক্সিজেনের পরিমাণ না কমে তাহলে এটা বলা যেতেই পারে যে, আগামী দিনে ওমিক্রনের মাধ্যমে অনেকেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন। কারণ ওমিক্রনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে একটা ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ মানুষ টিকা পেয়েছেন। ফলে একটা হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে, যা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।

]]>
Vaishno Devi: অতিমারি পরিস্থিতি সত্বেও কেন প্রবেশে অনুমতি? মর্মান্তিক মৃত্যুর পর উঠছে প্রশ্ন https://ekolkata24.com/uncategorized/vaishno-devi-incident-arise-questions Sun, 02 Jan 2022 06:11:56 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17606 বর্ষবরণের রাতেই জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবীর (Vaishno Devi) মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ১২ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। শনিবারই মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির কারণেই এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী তা জানতে ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের এক তদন্তকারী দল (investigation team) গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।

তবে বিভিন্ন মহল থেকে বছরের প্রথম দিনের এই ঘটনার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকে আঙুল উঠেছে। সকলেই অভিযোগ করেছেন, গোটা দেশজুড়ে করোনা (corona) ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। জম্মু-কাশ্মীরও তার ব্যতিক্রম নয়। এমনকী, ভূস্বর্গেও ছড়িয়েছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। প্রশ্ন হল তার পরেও কিভাবে বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটি ৫০ হাজার ভক্তকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দিল? সাধারণত বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের ৩৫ হাজার পুণ্যার্থীকে যথাযথ জায়গা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু অতিরিক্ত এই পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি কিভাবে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ?

শুধু তাই নয়, মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল নিতান্তই ঢিলেঢালা। সে কারণেই দুই দল মানুষ যখন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে তখন মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে কাউকেই সেই বিবাদ মেটানোর জন্য এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষ গতকালের ঘটনার জন্য দুই দলের ঝগড়াকে দায়ী করলেও এটা মেনে নেওয়া যায় না।

সকলেই অভিযোগ করছেন, করোনাজনিত কারণে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ সংক্রমণ ছড়ানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। রাজ্য প্রশাসন ও কেন্দ্রের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এটা কিভাবে করা যেতে পারে?

উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি শনিবারের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান হলেন রাজ্যের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহা। লেফটেন্যান্ট জেনারেল তদন্ত উপর বিশেষ নজর রাখছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনায় যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তারা কেউই পারবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

]]>
Modi on Corona: এখনই লকডাউন নয়, স্পষ্ট ইঙ্গিত মোদীর https://ekolkata24.com/uncategorized/india-will-fight-covid-19-pandemic-with-full-caution-says-pm-narendra-modi Sun, 02 Jan 2022 04:41:39 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17570 শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি (PM-KISAN Scheme) কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের দশম কিস্তির অনুদান দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে করোনা মহামারীর মধ্যেও দেশের লড়াই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। উন্নয়নের ধারাকে আরও গতি দিতে হবে আমাদের। করোনা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে আমাদের, কিন্তু উন্নয়নের গতিকে রুখতে পারবে না।’ নতুন বছর ২০২২ সালের প্রথম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতি ৮% এর বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে রেকর্ড বিদেশি বিনিয়োগেরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জাতীয় কোষাগারে বিদেশি মূদ্রার পরিমাণ বেড়েছে, জিএসটি সংগ্রহও বেড়েছে।

তিনি এদিন বলেন, ‘ভারত সবরকম সাবধানতা বজায় রেখে, সতর্কতার সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়বে ও জাতীয় স্বার্থ পূরণ করবে।’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন (Lock Down) নয়, সচেতনতাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে ভারত সরকার। কারণ, এর আগে করোনার ২টি ঢেউয়ের ক্ষেত্রেই কড়া বিধিনিষেধের ফলে দেশের অর্থনীতির ভালো ক্ষতি হয়েছে। একসময় দেশের জিডিপি বাড়ার বদলে ২৩.৯% পর্যন্ত সংকুচিত হয়েছে। এরপর আরও একটি লকডাউনের মার অর্থনীতি সইতে পারবে না।

তাছাড়া, এখনই লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার। কারণ, করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়ছে ঠিকই কিন্তু তার ভয়াবহতা অনেক কম। তাই বিধিনিষেধ নিয়ে একটু ধীরে চলারই পক্ষে কেন্দ্র।

]]>
Covid19 India: ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যেও বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো উচিত, বললেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ https://ekolkata24.com/uncategorized/covid19-india-despite-omicron-school-should-open-said-expert Sat, 01 Jan 2022 17:14:21 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17531 News Desk: করোনা (Covid19) রুখতে টিকাকরণই (vaccination) প্রধান ভরসা। সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি স্কুল পড়ুয়াদের টিকাকরণ। সরকার ঘোষণা করেছে, ২০২২-এর শুরু থেকেই নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির (class nine to twelve) পঠন-পাঠন শুরু হবে। কিন্তু একেবারেই খুদে অর্থাৎ ১৫ বছরের কম বয়সি পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি।

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল (school) বন্ধ আছে। তাই অনেক অভিভাবকই (guardians) দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অভিভাবকরা চাইছেন দ্রুত স্কুল খুলুক। কিন্তু বাচ্চাদের টিকা না থাকায় স্কুল খোলার বিষয়টি অন্ধকারেই রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দেশের অন্যতম পরিচিত ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গগনদীপ কাং বলেছেন, সংক্রমণ বৃদ্ধি বা ওমিক্রন পরিস্থিতির মধ্যেও বাচ্চাদের অবশ্যই স্কুলে পাঠানো উচিত। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই ভাইরাস বিশেষজ্ঞ বলেছেন, করোনা এখনও পর্যন্ত বাচ্চাদের তেমনভাবে কাবু করতে পারেনি। তাই সার্সকোভ বা করোনার নতুন ভেরিয়েন্টের সঙ্গে মিশলে বাচ্চাদের মধ্যে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠবে। এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে আরও নতুন ভেরিয়েন্ট আসবে। বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়াবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন হয়তো সংক্রামক কিন্তু বিপজ্জনক বা মারাত্মক নয়।

ওই ভাইরাস বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, আমি মনে করি বাচ্চাদের অবশ্যই স্কুল পাঠানো উচিত। কারণ গোটা বিশ্ব জুড়ে একটাই ছবি দেখা যাচ্ছে যে, করোনা বা ওমিক্রন বাচ্চাদের সেভাবে কাবু করতে পারছে না। বরং বাচ্চাদের দীর্ঘদিন বাড়িতে আটকে রাখলে তাদের মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাদের পঠন-পাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ভবিষ্যতের পক্ষেও ভাল নয়। বাচ্চারা স্কুল গেলে কোন বড় মাপের সমস্যা হবে তা নয়।

এদিন বুস্টার ডোজ নিয়েও মুখ খুলেছেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেছেন, কোন ভ্যাকসিনকে বুস্টার ডোজ হিসাবে ব্যবহার করা উচিত সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।

]]>
Corona Effect: ব্যাপক মার খেয়েছে দেশের পর্যটন শিল্প, জানাল কেন্দ্র https://ekolkata24.com/uncategorized/tourism-dependent-economies-are-among-those-harmed-the-most-by-the-corona-pandemic Mon, 06 Dec 2021 11:48:55 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13797 News Desk, New Delhi:করোনা মহামারী পর্যটনের (Tourism) ওপর কতটা প্রভাব ফেলেছে সে বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)।

সোমবার কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রীর কাছে সৌগত রায় জানতে চান করোনাজনিত (corona pandemic ) কারণে পর্যটকের সংখ্যা কি কমেছে? বিশেষত বিদেশি পর্যযটক? যদি কমে থাকে তবে বিগত বছরগুলির তুলনায় কতটা কমেছে? দেশের পর্যটন ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে সরকার কি কোন বিশেষ প্যাকেজ (Stumulating Package) দেওয়ার কথা ভাবছে? দেশে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র কি কোন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে?

সৌগত রায়ের এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে এক কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৫৫ জন পর্যটক এসেছিলেন। কিন্তু করোনাজনিত কারণে ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটি কমে হয় ২৭ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৬৬ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ১২ জন বিদেশি পর্যটক এসেছেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫ লক্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই জবাব থেকে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, করোনাজনিত পরিস্থিতি দেশের পর্যটন ব্যবস্থায় বড় মাপের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখজনকভাবে কমায় কমেছে সরকারের আয়।

পর্যটন মন্ত্রী আরও জানান, পর্যটন ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে সরকার একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। যার মধ্যে কিছু আর্থিক ব্যবস্থা রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে অন্যান্য ব্যবস্থাও। যে সমস্ত ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনাজনিত কারণে যে সমস্ত ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিকে সাহায্য করতে ২০২১-এর ২৮ জুন কেন্দ্র বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই এই প্যাকেজের মধ্যে পর্যটন ব্যবস্থার জন্যও বিশেষ অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যটন ব্যবস্থাকে সহজ ও স্বাভাবিক করতে হোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলির জন্য করোনাজনিত বিধি নিষেধেও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।

বিদেশি পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই ভারতে আসতে পারেন তার জন্য স্বরাষ্ট্র ও বিদেশমন্ত্রকও বিধি নিষেধের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শিথিলতা দিয়েছে। বিদেশি পর্যটকরা যাতে ভারতে আসতে পারেন তার জন্য যে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা ছিল তাও ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা যাতে মনে করলে এদেশে আসতে পারেন তার জন্য ই-ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ই-ভিসার মেয়াদ ছিল এক মাস।

পাশাপাশি দেশের যে সমস্ত মানুষ নিয়মিত এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ঘুরতে গিয়ে থাকেন তাদের জন্যও বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। পর্যটনে উৎসাহ দিতে সরকার চালু করেছে ‘দেখো আপনা দেশ’ নামে একটি প্রকল্প। পর্যটনের জন্য মানুষকে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও প্রচার চালানোর ব্যবস্থা করেছে সরকার।

]]>
প্যানডেমিকে জন্ম নেওয়া শিশুরা মধ্যমেধার? বলছে চাঞ্চল্যকর গবেষণা https://ekolkata24.com/offbeat-news/children-born-in-pandemic-are-low-in-iq-says-report Mon, 06 Dec 2021 09:35:44 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2373 নিউজ ডেস্ক: গত বছর থেকেই ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা সংক্রমণ। ফলে প্রায় দেড় বছর ধরে আমূল পাল্টে গিয়েছে সকলের জীবন। যার প্রভাব পড়ছে আট থেকে আশি সকলের উপরে। আমেরিকার এক সংস্থার গবেষণা বলছে, এই প্যানডেমিকের প্রভাব সব চেয়ে বেশি পড়েছে শিশুদের উপরে। যার প্রভাব শুধু মানসিক নয়, শারিরীকও। শরীরের আভ্যন্তরীন এবং বাহ্যিক, দুই বৃদ্ধিতেই প্রভাব ফেলেছে প্যানডেমিক।

আরও পড়ুন শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৭ উপায়, মেনে দেখুন ম্যাজিক

যারা এই সময়টায় জন্ম নিয়েছে তাদের IQ লেভেল প্যানডেমিকের আগে জন্মানো বাচ্চাদের থেকে কম। কারণ জন্মের পরই প্রথম কয়েক বছর বাচ্চাদের জ্ঞান বিকশিত হয়। এই পর্যায়ে বাইরের জগতের সঙ্গে মেলামেশা অত্যন্ত জরুরি বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। কিন্তু করোনার জেরে সেই জিনিসটাই বন্ধ। ফলে বাড়ির চার দেওয়ালই হয়ে উঠেছে বাচ্চার জগত। যা সরাসরি প্রভাব ফেলছে তার মস্তিষ্কে, মানসিকতায়।

Babies are Big Business - SmallBizDaily

প্যানডেমিকের আগে জন্ম নেওয়া ৩ মাস থেকে ৩ বছরের বাচ্চাদের উপরে একটি সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাদের ন্যূনতম IQ (Intelligence Quotient) স্কোর আসছে ১০০-র কাছাকাছি। কিন্তু করোনাকালে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তা ৭৮ পেরোচ্ছে না।

আরও পড়ুন যশের ছেলেকে আদরে ভরিয়ে দিলেন নুসরত!

যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের ৬৭২ জন শিশুর উপর এই সমীক্ষাটি চালানো হয়। যাদের মধ্যে ১৮৮ জনের জন্ম হয়েছে ২০২০ সালের জুলাই মাসের পর। ৩০৮ জনের জন্ম হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এবং ১৭৬ জনের জন্ম হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সিয়ান দেওনি বলছেন, প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে বাড়িতে বন্দী থাকায় এবং বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকায় বাচ্চাদের কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট অনেকটাই কম। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যতদিন না বাচ্চা প্রাপ্তবয়স্ক হচ্ছে, ততদিন এই IQ স্কোর কম হও য়ার বিষয়টি বোঝা যাবে না। অর্থাৎ, করোনার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে চলেছে তাদের ওপর।

]]>
অনলাইন নয়, অন সাইকেলে ক্লাস তিলাবনীর কমলাকান্ত স্যারের https://ekolkata24.com/offbeat-news/unique-education-in-pandemic-situation-at-tilaboni-bankura Wed, 01 Dec 2021 12:30:01 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4509 তিমিরকান্তি পতি বাঁকুড়া: সাইকেল নিয়েই ক্লাস করাচ্ছেন স্যার। এমন ধরা অন সাইকেল ক্লাস চলছে বাঁকুড়ার (Bankura) তিলবনীতে (Tilaboni forest)।কেমন সেই ক্লাস?

চলতি করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ সমস্ত ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরফে ‘অনলাইন ক্লাসে’র মাধ্যমে পড়াশনার কাজ চালিয়ে যাওয়া হলেও গ্রামীণ খেটে খাওয়া পরিবার গুলির ছেলে মেয়েরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এই অবস্থায় নিজের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন বাঁকুড়ার হীড়বাঁধের তিলাবনী হাই স্কুলের শারিরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক কমলাকান্ত হেমব্রম।

kamala kanta Hembram

গরীব ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে বাড়িতে বসে ‘ছুটি’ কাটাতে মন চায় চায়নি এই শিক্ষকের। খাতড়ার কদমবেড়া গ্রাম থেকে সাইকেল চালিয়ে প্রায় প্রতিদিন তিনি পৌঁছে যাচ্ছেন হীড়বাঁধের বেলকানালী, কাজলভোবা, বাউরীডিহা, তিরশুলিয়া, চিতরুঘুটু সহ বেশ কিছু গ্রামে। মূলতঃ এই গ্রাম গুলির ছাত্র ছাত্রীরাই তিলাবনী হাই স্কুলে পড়াশুনা করে। গ্রামের পৌঁছেই একজায়গায় সব ছাত্র ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে তুলে দিচ্ছেন প্রশ্নপত্র। সঙ্গে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কাগজ, কলম সহ অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী। পরের সপ্তাহে সেই উত্তর পত্র সংগ্রহ করে ভুল ভ্রান্তি ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নতুন প্রশ্নপত্র তুলে দিচ্ছেন তাদের হাতে। এইভাবে বিশেষ ‘টাস্কে’র মাধ্যমে পড়াশুনার মধ্যে ছাত্র ছাত্রীদের রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই শিক্ষক।

kamala kanta Hembram

হীড়বাঁধের তিলাবনী হাই স্কুলে ৪৫০ জন ছাত্র ছাত্রী। যার একটা বড় অংশ খেটে খাওয়া পরিবার থেকে উঠে আসা প্রথম প্রজন্মের সন্তান যারা হাই স্কুলমুখী হয়েছে। কমলাকান্ত হেমব্রম ইন্দাসের শাসপুর হাই স্কুল থেকে বদলি নিয়ে ২০০৭ সালে এখানে আসেন। তখন থেকেই গ্রামের এই ছাত্র ছাত্রীরাই তাঁর কাছে সব। তাদের পড়াশুনার সার্বিক উন্নয়নে সদা সচেষ্ট থেকেছেন।

কমল স্যারের এই উদ্যোগে খুশি গ্রামের ছাত্র ছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলেই। এবিষয়ে শিক্ষক কমলাকান্ত হেমব্রম বলেন, অনলাইন ক্লাস করানোর সুযোগ নেই। স্কুল বন্ধ, তাই ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনাও লাটে উঠতে বসেছিল। তাই আর বাড়িতে বসে থাকতে পারিনি। বারবার ছুটে আছে এদের কাছে।

]]>