আরও পড়ুন গেরিলা কায়দায় পঞ্জশিরকে তালিবান মুক্ত করতে মাসুদ বাহিনীর লড়াই
আবার সংবাদ মাধ্যমেই আসছে মাসুদ বাহিনীর ভিডিও বার্তা-লড়াই এখনও শেষ হয়নি। তালিকা জঙ্গি বিরোধী আফগান রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের দাবি, পার্বত্যাঞ্চলে তাদের শক্তি অটুট। এর মাঝেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পঞ্জশির। টোলো নিউজ সূত্র জানা গিয়েছে, বিদ্যুত ব্যবস্থা চালু না হলেও পঞ্জশিরে খুলেছে রাস্তা। চালু হয়েছে বন্ধ হয়ে যাওয়া টেলিকম পরিষেবাও।
আরও পড়ুন তালিবানদের পঞ্জশির দখলের নেপথ্যে কি পাক বাহিনী?
আরও পড়ুন ২৫০০ বছরের অজেয় পঞ্জশিরের পতন, উড়ল তালিবান পতাকা
যদিও জঙ্গি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে জানায় আফগান রেজিস্ট্যান্স ফোর্স। পঞ্জশিরের পরিস্থিতি এখনও তীব্র সংঘাতময়। এখানেই একমাত্র তালিবান বিরোধী শক্তি সংগঠিত। তবে ক্রমাগত হামলায় তারা পিছু হটে যায়। পঞ্জশিরের সিংহ প্রয়াত আহমেদ শাহ মাসুদের বাড়ি দখল করে তালিবান। তাঁর পুত্র আহমেদ মাসুদ সরে গিয়েছেন পার্বত্য এলাকায়। শুধু তিনিই নন, তালিবানদের সঙ্গে সংঘাতের জেরে প্রায় ৯০% মানুষ পঞ্জশির ছেড়েছেন।

আহমদ মাসুদ, সোভিয়েত বিরোধী প্রতিরোধ আহমদ শাহ মাসুদ এর পুত্র
পঞ্জশিরের রাস্তার বিভিন্ন দিকে তাকালে এখন দেখা মেলে সশস্ত্র তালিবান যেদ্ধাদের৷ পঞ্জশির ঘিরে যখন রেজিস্টেন্স ফোর্সের পাহারা চলত, সে সময় সেখানকার মানুষ নিরাপদ মনে করতেন নিজেদেরকে৷ কিন্তু তালিবানদের পঞ্জশির দখলের পর সেখান থেকে সাধারণ মানুষ পালাতে শুরু করেন৷ যদিও এই জঙ্গি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে জানায় আফগান রেজিস্ট্যান্স ফোর্স। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর, মানুষের বাহিনী কাবুলের তালিবান সরকারকে কোনওভাবেই মেনে নেবে না বলেই জানিয়েছে।
]]>আরও পড়ুন আফগানিস্তান: রাষ্ট্রসংঘের মানবিক বিষয়ক মহাসচিবের সঙ্গে তালিবান প্রতিনিধি দলের বৈঠক
দীর্ঘদিন ধরে পঞ্জশির তালিবানদের দখলমুক্ত ছিল। অবশেষে তা দখল করেছে আফগানিস্তানি জঙ্গি সংগঠন। তারপরেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামিদ ফায়েজের তদারকিতে কয়েক হাজার পাক সেনা পঞ্জশিরে মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে তালিবানকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।
আরও পড়ুন High Alert: ভারত-আফগানিস্তান সীমান্তে স্যাটেলাইট বিমানঘাঁটি সক্রিয় করল পাকিস্তান
আরও পড়ুন শরিয়তি আইনে চলা আফগানিস্তান থেকে উইঘুর মুসলিমদের চিনে পাঠাবে তালিবান
এর আগে একাধিক নিহত তালিবানি যোদ্ধার কাছ থেকে পাকিস্তানি সেনার পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছিল নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। পাকিস্তানি সেনার ‘নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রি’ (এনএলআই) এবং এলিট ‘স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ’ (এসএসজি) কমান্ডোরাই তালিবানিদের হয়ে লড়ছেন বলে জানিয়েছে বহু সংবাদমাধ্যাম। একই অভিযোগ করেছন নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা আহমেদ মাসুদও।
আরও পড়ুন Afgan Updates: পঞ্জশির দখল পেতে তালিবান হয়ে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর ড্রোন হামলা
পঞ্জশির বরাবর তালিবান বিরোধী এলাকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই এলাকার শাসক আহমেদ মাসুদ (Ahmed Masud) এখনও লড়াই চালাচ্ছেন। তাঁর আফগান রেজিস্টেন্স বাহিনি রবিবার রাতে প্রবল প্রত্যাঘাতে তালিবান জঙ্গিদের ছিন্নভিন্ন করে দেয়।কিন্তু সোমবার সকালেই মাসুদ বাহিনীর কমান্ডার ও মুখপাত্রের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হয়। এর পর আহমেদ মাসুদের তরফে গেরিলা হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পঞ্জশিরের বড় অংশ এখন তালিবান জঙ্গি কবলিত। তবে গেরিলা হামলা চলছেই।
কাবুল থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জশির দখলে তালিবান প্রথম সাফল্য পেল। আশঙ্কা পঞ্জশিরের শাসক আহমেদ মাসুদ ও অপসারিত আফগান সরকারের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ যে কোনও মুহূর্তে মারা যেতে পারেন। আফগান রেজিস্টেন্স ফোর্স জানিয়েছে লড়াই চলবে।
]]>বলা হচ্ছে, পাকিস্তানি বিমান বাহিনী পঞ্জশিরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই ড্রোন হামলায় পঞ্জশির মুখপাত্র ফাহিম দশতি নিহত হয়েছেন। ফাহিম আহমেদ মাসুদের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর চালানো ড্রোন হামলায় মাসুদ পরিবারের সদস্যরাও নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে গুল হায়দার খান, মুনিব আমিরি এবং জেনারেল উডাদ। প্রকৃতপক্ষে, তালিবান দাবি করেছে, তারা পুরো আফগানিস্তান দখল করেছে।
সামানগান প্রদেশের প্রাক্তন সাংসদ জিয়া আরিয়ানজাদো বলেন, ‘পাকিস্তানি বিমান বাহিনী ড্রোনের সাহায্যে বোমা হামলা করেছে। এতে স্মার্ট বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। তালিবান এবং প্রতিরোধ বাহিনী তাদের নিজস্ব দাবী এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তালিবানরা পঞ্জশির দখল করার দাবি করলেও পঞ্জশির প্রতিরোধ ফ্রন্ট দাবি করে যে তারা বর্তমানে নিজেদের দখলে রয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে পঞ্জশির প্রদেশ ছাড়া পুরো আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের বাড়িতেও হেলিকপ্টার হামলা হয়েছে। তবে সেই সময় সালেহ সেখানে ছিলেন না। সালেহকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সালেহ একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে লিখেছেন, তালিবান পাকিস্তান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে৷ অর্থাৎ তালিবান পাকিস্তানের পুতুল৷ কিন্তু তা বেশি দিন চলবে না। তারা এখনও এলাকা দখল করে আছে, কিন্তু আমাদের অতীত আমাদের বলে, জমি দখল করে মানুষের হৃদয় জয় করা হয় না, জনগণকে জেতা যায় না৷
]]>আরও পড়ুন তালিবান উৎখাতে আফগান নাগরিকদের ভরসা ‘রিয়েল হিরো’ আমরুল্লাহ সালেহ
এবার পঞ্জশির দখলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করল তালিবানরা। রাজধানী কাবুলের খুব কাছেই এই উপত্যকাটি৷ এখানে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের বসবাস৷ এলাকাটি এতটাই বিপজ্জনক যে, ১৯৮০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তালিবানদের কব্জায় আসেনি এই উপত্যকাটি। এবার সেই উপত্যকার দখল নিতে মরিয়া তালিবানরা। অন্যদিকে, তালিবানদের রুখতে তৈরি নর্দান অ্যালায়েন্সও।

দিনকয়েক আগেই বিখ্যাত তালিবান-বিরোধী নেতা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ অস্ত্র সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। জানিয়েছিলেন যে তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি তাদের আছে, কিন্তু তার জন্য আমেরিকার সাহায্য দরকার। আহমেদ মাসুদ বলেন, “আমি পঞ্জশির উপত্যকা থেকে লিখছি, আমার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করার জন্য আমি প্রস্তুত। মুজাহিদিন যোদ্ধারা আবারও তালিবানদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।”
আশরফ গনি জমানার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহও রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। আফগান বাহিনীর একটা অংশও যোগ দিয়েছে তাঁদের সঙ্গে। এই বাহিনীর সামনে পড়ে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েক বার পিছু হটেছে তালিবান। সেই পঞ্জশির দখলে এ বার সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে তালিবানরা। সম্প্রতি তালিবানের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, ‘পঞ্জশিরের স্থানীয় প্রশাসন শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করছে রাজি হয়নি। তাই ইসলামিক আমিরশাহির শতাধিক মুজাহিদিন সদস্য পঞ্জশির দখলের জন্য যাচ্ছে।’

অন্যদিকে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকেরা পঞ্জশিরে জড়ো হচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। প্রয়াত আহমেদ শাহ মাসুদের স্বপ্ন পূরনে মরিয়া তাঁরা। আহমেদ মাসুদও এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পূর্বতন আফগান সরকারের বহু সেনা পঞ্জশিরে এসেছেন। তালিবানদের মোকাবিলা করার জন্য নর্দান অ্যালায়েন্স এবং অন্যান্যরা তৈরি।’’
আফগানিস্তানের পঞ্জশির এলাকার ভৌগোলিক কাঠামো এমন যে, কোন সেনাবাহিনী এই এলাকায় প্রবেশ করার সাহস দেখাতে পারে না। চারদিকে উঁচু পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই অঞ্চলের মাঝখানে সমতল ভূমি রয়েছে। সেখানকার গোলকধাঁধা সবার জন্য সহজ হয় না৷ কার্যত গোটা দেশ দখলের পর এই এলাকায় বাধা পেয়েছে বিপজ্জনক তালিবানরা। এবার আগামী কয়েকদিনে তারা এই এলাকা দখল করতে পারে, না নর্দান অ্যালায়েন্স নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম রাখে সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
]]>
আরও পড়ুন পঞ্জশির: আফগান এই উপত্যকা এখনও তালিবানরা দখল করতে পারেনি
এবার তালিবানের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত জালালাবাদেও শোনা গেল প্রতিরোধের সুর। আর সেই প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন মহিলারা। একসময় নিজেদের হাতে থাকা জালালাবাদে বুধবার সকালেই প্রতিরোধের মুখে পড়ে তালিবান। আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা হাতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ।

জুলাই মাসের শুরুতে যখন তালিবান আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে আক্রমণ শুরু করে, তখন তারা প্রতিরোধ ছাড়াই অনেক জায়গা জিতে নেয়। বলা হচ্ছে, আফগান ন্যাশনাল আর্মির সৈন্যদের মধ্যে খবর ছড়িয়েছিল যে, শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা তালিবানদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। যোগাযোগের অভাব এবং অস্ত্রের অভাবও সৈন্যদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল। এই কারণে আফগান সেনাবাহিনীর জওয়ানরা অনেক এলাকায় একটিও গুলি খরচ না করে তালিবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু পঞ্জশিরের পর জালালাবাদেও প্রতিরোধের মুখে পড়ল তালিবানরা। যদিও সেনাবাহিনী নয়, প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন সাধারণ মানুষরাই।
তালিবান বিরোধী এই গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদ্য-প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির ‘ডেপুটি’ আমরুল্লা সালেহ। তিনি বুধবারই ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। তিনি টুইট করে বলেন, আমি কোনও অবস্থাতেই তালিবান জঙ্গিদের কাছে মাথা নত করব না। আমি কখনই আমাদের নায়ক কমান্ডার, কিংবদন্তি এবং গাইডের আহমেদ শাহ মাসুদের চেতনা এবং উত্তরাধিকারকে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। আমার কথা শোনার লক্ষ লক্ষ মানুষকে আমি হতাশ করব না। আমি কখনই তালিবানদের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকব না। কখনও না।
উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানের এই এলাকা দিয়েই কাবুল থেকে মাজার-শরিফের পথ গিয়েছে। বিরোধী জোটের এই প্রত্যাঘাতের ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে তালিবানের অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেল বলেই কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন। বিশেষ করে জালালাবাদকে এতদিন তালিবানদের শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করা হচ্ছিল। ক্ষমতা দখলের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেখানে বিক্ষোভের মুখে তালিবানরা।
]]>রাজধানী কাবুলের খুব কাছেই এই উপত্যকাটি৷ এখানে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের বসবাস৷ এলাকাটি এতটাই বিপজ্জনক যে, ১৯৮০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তালিবানদের কব্জায় আসেনি এই উপত্যকাটি৷ শুধু তাই নয়, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীও এই এলাকায় শুধুমাত্র বিমান হামলা চালিয়েছে৷ তারা কখনও কোনও পদাদিক বাহিনী পাঠানোর সাহস দেখাতে পারেনি৷
মনে করা হচ্ছে আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেহ এই এলাকায় লুকিয়ে আছেন
আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও এই এলাকার বাসিন্দা। রবিবার তিনি টুইট করে বলেন, আমি কোনও অবস্থাতেই তালিবান জঙ্গিদের কাছে মাথা নত করব না। আমি কখনই আমাদের নায়ক কমান্ডার, কিংবদন্তি এবং গাইডের আহমেদ শাহ মাসুদের চেতনা এবং উত্তরাধিকারকে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। আমার কথা শোনার লক্ষ লক্ষ মানুষকে আমি হতাশ করব না। আমি কখনই তালিবানদের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকব না। কখনও না।
An anti-Taliban coalition seems to be forming, including Vice President @AmrullahSaleh2 and Ahmad Massoud, son of Ahmad Shah Massoud – they are in Panjsher, about three hours drive from Kabul #Afghanistan pic.twitter.com/EbuF1UXlNY
— Yalda Hakim (@SkyYaldaHakim) August 16, 2021
তালিবান আজ পর্যন্ত পঞ্জশির দখল করতে পারেনি
জুলাই মাসের শুরুতে যখন তালিবান আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে আক্রমণ শুরু করে, তখন তারা প্রতিরোধ ছাড়াই অনেক জায়গা জিতে নেয়। বলা হচ্ছে, আফগান ন্যাশনাল আর্মির সৈন্যদের মধ্যে খবর ছড়িয়েছিল যে, শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা তালিবানদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। যোগাযোগের অভাব এবং অস্ত্রের অভাবও সৈন্যদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল। এই কারণে আফগান সেনাবাহিনীর জওয়ানরা অনেক এলাকায় একটিও গুলি খরচ না করে তালিবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তবে, পঞ্জশির একমাত্র প্রদেশ যা এখনও তালিবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে৷
সোভিয়েত সেনাবাহিনীও ঢুকতে পারেনি
উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানের এই উপত্যকাটি ১৯৭০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন বা ১৯৯০ এর দশকে তালিবানদের দখলে ছিল না। আহমদ শাহ মাসুদ৷ যাকে শের-ই-পঞ্জশির বলা হয়৷ তিনি ছিলেন এই অঞ্চলের সর্বশ্রেষ্ঠ সেনাপতি। এলাকার ভৌগোলিক কাঠামো এমন যে, কোন সেনাবাহিনী এই এলাকায় প্রবেশ করার সাহস দেখাতে পারে না। চারদিকে উঁচু পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই অঞ্চলের মাঝখানে সমতল ভূমি রয়েছে। সেখানকার গোলকধাঁধা সবার জন্য সহজ হয় না৷

আহমদ মাসুদ, সোভিয়েত বিরোধী প্রতিরোধ আহমদ শাহ মাসুদ এর নিহত বীর আহমদ শাহ মাসুদের পুত্র
আফগানদের নায়ক ছিলেন আহমেদ শাহ মাসুদ
১৯৯০ -এর দশকে তালিবানদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আহমেদ শাহ মাসুদ দারুণ প্রতিপত্তি অর্জন করেছিলেন। ভারতও তাদের সাহায্য করে আসছে। বলা হয়ে থাকে যে, একবার যখন তালিবানদের হামলায় আহমদ শাহ মাসুদ মারাত্মকভাবে আহত হন, তখন তাঁকে ভারত সরকার এয়ারলিফ্ট করে তাজিকিস্তানের ফারখোর এয়ারবেসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায়। এখানই ভারতের প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে৷ ভারত বিশেষ করে নর্দান অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করার জন্য এই সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছিল।