partition – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 10 Dec 2021 11:33:07 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png partition – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 East Bengal Club: বিভাজনের রাজনীতির প্রতিবাদে মশাল জ্বালিয়েছিল লাল-হলুদ তাবু https://ekolkata24.com/sports-news/east-bengal-club-lit-the-torch-in-protest-of-the-politics-of-partition Fri, 10 Dec 2021 11:33:07 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14342 East Bengal Club
Sports desk: হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সকলের আলাদা আলাদা উপাসনা স্থান থাকে। ফুটবলের প্রতিটি ক্লাব প্রতিষ্ঠান হল এক একটি উপাসনা স্থান। এই উপাসনার স্থান ফুটবল ক্লাব৷ প্রতিষ্ঠান সকলকে একত্রিত করে। এখানে কোনো ধর্মের বিভাজন নেই। সবার একটাই লক্ষ্য “মায়ের সম্মান রক্ষা করা”। এমন আবহে রাষ্ট্রসংঘ প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর আন্তজার্তিক ফুটবল দিবস পালন করে থাকে লক্ষ্য একটাই, জীবনের একটি অবলম্বন এবং সুন্দর খেলা উদযাপনের কামনায় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ফুটবলকে সম্মান জানাতে এই দিবস পালন করে থাকে।

কিন্তু ফুটবল খেলার মাঠে “বিভাজনের রাজনীতির” অনুপ্রবেশ মহান এই খেলার গরিমাকে কলুষিত করার চেষ্টা করেও মুখ থুবড়ে পড়ে প্রতিবাদের পথে হেঁটে। বিশেষত ব্রিটিশ শাসিত ভারতে বাংলা, বাঙালি এবং ফুটবল যখন মুক্তি আন্দোলনের বহ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত করে তুলছে, ওই সময়ে ফুটবল খেলার বল গড়ানোর মাঠে বিভেদের কাঁটা বিছিয়ে দেওয়া হয় সুচতুর কৌশলে। প্রথমবার কলকাতা ময়দানে ব্রিটিশ ভারতে প্রতিবাদে মশাল হাতে নিয়ে প্রতিরোধের পথে হাটে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠান শিরদাঁড়া সোজা রেখে।

চল্লিশের দশকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের খেলোয়াড় আব্দুল কাদের বক্স এর এই কথাগুলো আজও প্রাসঙ্গিক।শুধু প্রতিষ্ঠান কেনো, পৃথিবীর সমস্ত মাতৃভূমির সম্মান রক্ষার্থে এই চিন্তাধারা যদি কার্যক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়, তাহলে হয়তো পৃথিবী থেকে এই জাতি বিদ্বেষ, এই সাম্প্রদায়িক হানাহানি দূর হবে, নয়তো নয়।

সালটা ১৯৪০, বাংলা জুড়ে তখন সাম্প্রদায়িক হানাহানি চলছে। মুসলিম লীগের সাথে জড়িত কয়েকজন মহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রিটিশ শাসিত আই. এফ. এ. কলকাতা লীগে মহামেডান ক্লাবের খেলা স্থগিত করে দিয়েছিল। তার আগের বছরই ব্রিটিশ শাসিত আই. এফ. এ.’র অন্যায়ের প্রতিবাদে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, মহামেডান এবং কালীঘাট জোট বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। আই. এফ. এ. তাদের সাসপেন্ড করলে ওই ত্রয়ী ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠান দমে না গিয়ে বি. এফ. এ. নামে আলাদা সংস্থা তৈরি করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলো ব্রিটিশ শাসিত আই. এফ. এ’কে।

অবশেষে আই. এফ. এ. ক্ষমা চেয়ে তাদের দোষ স্বীকার করতে বাধ্য হয়৷ ১৯৪০ এর এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যখন কোনো ক্লাব সামান্য প্রতিবাদটুকু দেখানোর সাহস পায়নি, ওই সময়ে দাঁড়িয়ে গর্জে উঠেছিলো ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ক্লাব প্রেসিডেন্ট নলিনী রঞ্জন সরকার দীপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, “খেলার মাঠে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ তৈরি করার অপচেষ্টা তারা মানবেন না, মহামেডান স্পোর্টিং’কে খেলায় নিতে হবেই, আর যতক্ষণ না সেটা হচ্ছে সর্বাত্মক তারা আন্দোলন গড়ে তুলবেন।”

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের লাগাতার প্রতিবাদে পিছু শেষ অবধি পিছু হঠল আই. এফ. এ। লিগে সব দলের যখন প্রায় ৮ টা থেকে ১০টি করে খেলা হয়ে গিয়েছে, তখন তারা বাধ্য হল মহামেডান স্পোর্টিং’কে লিগে অন্তর্ভুক্তি করতে। জয় হলো ফুটবলের, জয় হলো মনুষ্যত্বের, জয় হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির। মুখ থুবড়ে পড়লো বিভাজনের ঘৃণ্য চক্রান্ত। দেরিতে শুরু করেও সমস্ত খেলা খেলে ওই বছর মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লীগ চ্যাম্পিয়নের শিরোপা অর্জন করে।

ফুটবল মাঠ হোক বা দেশের ভূমি – সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিই পারে সব কিছুকে রক্ষা করতে, সমস্ত বাঁধা-বিঘ্ন দূর করে বিজয়ীর শিরোপা ছিনিয়ে আনতে৷

]]>
হিন্দু দেবীর ‘গুণে’ মোহিত হয়ে ফিরে গিয়েছিল পাক সেনা https://ekolkata24.com/offbeat-news/pakistan-army-left-sardar-house-after-eating-durga-puja-bhog-at-the-time-of-partition Tue, 28 Sep 2021 03:51:45 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5786 বিশেষ প্রতিবেদন: সীমান্তের পুজো, মানেনি দুই বাংলার ভাগ বাটোয়ারা। এপারের কলকাতা থেকে ওপারের খুলনায় জমিদারি এবং পারিবারিক দুর্গোৎসব মহাসমারোহে সামলাতে কাঁটাতারের সীমা তাঁরা পেরোতেন কাগজপত্র ছাড়াই। সরকারি বিশেষ অনুমতি ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের বিতর্কিত মার্শাল ল-এর জের পড়েছিল পুজোতে। সর্দার পরিবারের বিশ্বাস, দেবীর অশেষ কৃপা। তাই সেনার কু-নজরে পরেও রক্ষা পেয়েছে পরিবার এবং পুজো।

খুলনা থেকে এপারে পুজো স্থানান্তকরণ ১৯৫৬ সালে। তারপর থেকে নলিনী সরকার স্ট্রিটের ৭ নম্বর বাড়িতে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে দুর্গাপুজো। বাড়ির নাম ‘সুখতারা’। কলকাতার এক সরু গলিতে এক প্রাসাদের স্বমহিমায় অবস্থান বললেও ভুল হবে না। সেখানেই পূজিতা কাঁটাতারের বেড়াকে বুড়ো আঙুল দেখানো সর্দার পরিবারের দেবী দুর্গা। পরিবারের প্রবীণ সদস্য সুশান্ত সর্দার বলেন, ‘ওপার বাংলায় আমাদের বাড়ি ছিল শ্রীপুর গ্রামে। পরিবারের অনেকেই আবার কলকাতাতেও থাকতেন।

পুজোর সময়ে এপার থেকেই সবাই খুলনায় যেত। কিন্তু ১৯৪২ সালের পর থেকে সমস্যা হতে শুরু করে। দেশভাগের পর খুলনা হল পূর্ব পাকিস্তান। ইছামতীর জলেও ভাগবাটোয়ারা। কিন্তু আমাদের বিশেষ অনুমতি ছিল। ওপারের আমাদের নিজস্ব ঘাট ছিল। সেখানে সহজেই আমাদের পরিবার যেতে পারত। পুজোর সময়েও তাই সমস্যা হত না।’ সময় যত এগিয়েছে ভারত-পাক সমস্যা বেড়েছে। জন্মলগ্ন থেকেই সে দেশ সেক্যুলার নয় বরং মুসলিম রাষ্ট্রের পক্ষে ছিল। পঞ্চাশের দশক থেকে এই দাবি প্রকট হতে শুরু করে। কড়া নজর পড়ে হিন্দুদের পরিবারে।

Pakistan army left sardar house after eating durga puja

সেই সময় সর্দার পরিবারের জমিদারির পতাকা দেখে পাক সেনার সন্দেহ আরও বেড়ে গিয়েছিল বলে জানালেন সুশান্তবাবু। তিনি বলেন , ‘ওঁরা ভাবত বাড়িতে পাকিস্তান সরকার বিরোধী কোনও কার্যকলাপ হয়। ১৯৫৬ সাল , মার্শাল ল লাগু করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে পাক সরকার। সেখানে হিন্দুদের স্থান নেই। পুজোর সময়েই হানা দিল তৎকালীন সে দেশের আয়ুব খানের সেনা। বহুক্ষণ বাড়ি তল্লাশি করেও কিছু না পেয়ে মায়ের প্রসাদ খেয়ে চলে গিয়েছিল।’

এরপরেই পরিবারের তৎকালীন সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন আর খুলনায় পুজো করা সম্ভব নয়। সুশান্তবাবু বলেন , ‘বিশেষ অনুমতিও তখন আর কাজ করছিল না। বীভৎস রকম পরীক্ষা দিতে হত। পরিবারের মেয়ে বউদের নাকা চেকিং হত। সেটাই স্বাভাবিক। কলকাতায় নতুন জমি কেনা হল। নতুন বাড়ি তৈরি করে শুরু হল পুজো। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আর কোনও সমস্যা হয়নি।’

সমস্যা অনেক দূর, কিন্তু আজও বাড়ির প্রবীণদের স্মৃতিতে স্পষ্ট পাক সেনার হানা। মনে মনে বারবারই বলে ওঠেন, ‘যা সব দিন গিয়েছে! ভালোই হয়েছে, তা গিয়েছে।’

]]>