People – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 18 Dec 2021 16:06:30 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png People – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Omicron: দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ https://ekolkata24.com/uncategorized/omicron-the-number-of-infected-people-in-the-country-has-increased-to-33 Sat, 11 Dec 2021 15:55:45 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14494 নিউজ ডেস্ক: সারাদেশেই ওমিক্রন (omicron) ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে (maharastra) নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। যার মধ্যে একটি সাড়ে তিন বছরের শিশুও আছে।

একই সঙ্গে শনিবার গুজরাতে (gujrat) আরও দু’জনের এবং দিল্লিতে একজনের ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ফলে গোটা দেশে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩। যার অর্ধেকেরও বেশি ১৭ জন মহারাষ্ট্রের।

মহারাষ্ট্রের আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন মুম্বই শহরের বাসিন্দা। ওই তিনজন সম্প্রতি ব্রিটেন, তানজানিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেছেন। অপর চারজন মুম্বইয়ের পিম্পিরি এলাকার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে চারজন করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। একজন নিয়েছেন একটি ডোজ। অপরজন অবশ্য করোনার টিকা নেননি। বৃহনমুম্বই কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তানজানিয়া থেকে দেশে ফেরা ওই ব্যক্তি ধারাভি বস্তির বাসিন্দা।

ওই ব্যক্তির শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। তাই ওই ব্যক্তি বস্তির কতজন মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন সেটাই সবচেয়ে বড় চিন্তা। তবে বস্তির মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আগেই ওই ব্যক্তিকে সনাক্তকরণ করা গিয়েছে বলে পুরসভা জানিয়েছে। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মুম্বইয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং ১১ ও ১২ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে কোনও ধরনের বড় জমায়েত করা যাবে না বলে পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে।

দিল্লিতে এদিন খোঁজ মিলল ওমিক্রন আক্রান্ত আরও একজনের। ফলে দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। ওই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে জিম্বাবোয়ে থেকে দেশে ফেরেন। জিম্বাবোয়ে যাওয়ার আগে ওই ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকাও গিয়েছিলেন বলে খবর। তবে দিল্লির ওই ব্যক্তি টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন। টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও যেভাবে মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন সেটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়।

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট থেকে বাঁচতে প্রত্যেকেই যেন করোনাজনিত বিধিনিষেধ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে মেনে চলেন। মানুষকে অযথা ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে কেউ বাইরে থেকে দেশে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর নজর রাখার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

]]>
উচ্চতায় ‘খাটো’ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মানুষরা https://ekolkata24.com/offbeat-news/people-of-netherlands-hight-became-short-who-are-tallest-in-this-world Fri, 10 Dec 2021 16:10:28 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5345 বিশেষ প্রতিবেদন: নেদারল্যান্ডসের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জাতি। কিন্তু তাদের উচ্চতা এবার ক্রমে কমছে। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক গবেষনা। স্ট্যাটিস্টিকস নেদারল্যান্ডস, মিউনিসিপ্যাল হেলথ সার্ভিস এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউ ফর পাবলিক হেলথ এই দুটি দল একসঙ্গে একটি গবেষণা করেছে। তাতেই এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বিংশ শতাব্দী থেকে পরবর্তী গত ১০০ বছর ধরে ওলন্দাজদের উচ্চতা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার দেখা যাচ্ছে সেই উচ্চতা বেশ কিছুটা কমতে শুরু করেছে সেখানকার মানুষের। নারী পুরুষ নির্বিশেষে কমছে উচ্চতা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে উচ্চতা কমতে শুরু করে ২০০০ সালের পর থেকে। বলা হচ্ছে, ২০০১ সালে জন্ম নেওয়া বেশিরভাগ পুরুষের উচ্চতা ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া পুরুষদের থেকে এক সেন্টিমিটার কম। মহিলাদের ক্ষেত্রেও একইভাবে কমেছে উচ্চতা। মেয়েরা খর্বকায় হয়েছে ১.৪ সেন্টিমিটার।

জানা গিয়েছে , নেদারল্যান্ডসের মানুষের উচ্চতা বাড়তে বাড়তে ১৯৮০ সালে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ওই সময়ে জন্ম নেওয়া ডাচ পুরুষদের গড় উচ্চতা ছিল ১৮৩.৯ সেন্টিমিটার। এঁরা ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়া পুরুষদের থেকে ৮.৩ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা ছিলেন। ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া মহিলাদের গড় উচ্চতা ছিল ১৭০.৭ সেন্টিমিটার। এঁরা ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়া মহিলাদের থেকে ৫.৩ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা ছিলেন। তথ্য বলছে, ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়াল মহিলাদের উচ্চতা ছিল ১৬৫.৪ সেন্টিমিটার। এবার যোগ বিয়োগ করে নিন।

People of Netherlands hight became short

 

এই গবেষণা করার জন্য ১৯ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭ লক্ষ ১৯ হাজার ব্যক্তির তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। তারা তাদের উচ্চতা জানান গবেষকদের। এরপর বিশ্লেষণটি করা হয় ১৯ বছর বয়সীদের গড় উচ্চতাকে মান হিসেবে ব্যবহার করে , কারণ ওই বয়সে একটি মানুষের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়। তারপরই মেলে এই তথ্য।

কিন্তু এই উচ্চতা কমে যাওয়ার কারণ কী? প্রাথমিক ভাবে বলা হিয়েছিল, খাটো জনগোষ্ঠী থেকে আসা অভিবাসীর সঙ্গে ডাচদের মিলনের ফল এমন উচ্চতা কমে যাওয়া, কিন্তু পরে দেখা যায় বাবা-মা উভয়েরই জন্ম নেদারল্যান্ডসেই এমন পুরুষ , মহিলার উচ্চতাও কমছে। যারা গত চার পাঁচ প্রজন্ম ধরে ওই দেশেরই বাসিন্দা কমছে তাঁদের উচ্চতাও। বলা হচ্ছে, উদ্ভিদভিত্তিক খাবার বেশি খাওয়ায় তাদের উচ্চতা কমে যেতে পারে। প্রাকৃতিক প্রভাবও সম্ভবত পড়েছে শরীরে।

<

p style=”text-align: justify;”>তবে উচ্চতা খানিক কমলেও এখনও ওলন্দাজরাই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ। গবেষকদের দাবি এমনটাই। তথ্য এও বলছে যে, দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে বড় ধরনের ফারাক রয়েছে। উত্তর নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দারা দক্ষিণের মানুষের তুলনায় তিন থেকে সাড়ে তিন সেন্টিমিটার বেশি লম্বা।

]]>
এক রাতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন এই স্টেশন মাস্টার https://ekolkata24.com/offbeat-news/this-station-master-saved-the-lives-of-thousands-of-people-in-one-night Sat, 04 Dec 2021 14:38:11 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13521 বিশেষ প্রতিবেদন: কোনওদিন শুনেছেন সময় হবার আগেই একটা মেল ট্রেনকে স্টেশন থেকে জোর করে রওয়ানা করিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুনবেন না। এমন কাজটি করিয়েছিলেন খোদ ডেপুটি স্টেশন সুপার। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই কাজ মারাত্মক ভুল কিন্তু এই কাজের জন্য রেল তাকে শাস্তি না দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল, ভোপাল প্লাটফর্মে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখা হয় তার নাম। তিনি গোলাম দস্তাগীর, সেন্ট্রাল রেলের এক পদস্থ কর্মচারী। তাঁর জন্যই বেঁচে গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষের প্রাণ।

ঘটনা ১৯৮৪ সালের। ২ ডিসেম্বরের মাঝরাত , রোজকার মতন রাত দশটায় স্টেশনের ডিউটিতে এসেছিলেন গুলাম । জমে থাকা কিছু ফাইল দেখতে দেখতে কখন যে রাত একটা বেজে গেছে খেয়াল করেননি । প্লাটফর্মে গোরখপুর মুম্বই এক্সপ্রেস এসে দাঁড়াতে আড়ামোড়া ভেঙে অফিসের বাইরে এলেন । প্লাটফর্মে পা রাখতেই চোখ দুটো তার তীব্র জ্বালা করে উঠলো, গলা এমন শুকিয়ে গেল যেন দমবন্ধ হয়ে যাবে । তখনও উনি জানতে পারেননি স্টেশন মাস্টার সহ তেইশজন রেলকর্মী ইতিমধ্যেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে।

কিছু একটা ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটেছে আন্দাজ করে উনি সঙ্গে সঙ্গেই খবরটা জানালেন মধ্য রেলের কন্ট্রোল রুমে, দুদিকের বিদিশা আর ইটারসি স্টেশনে খবর দেন কোন ট্রেন যেন সেখান থেকে ছেড়ে এদিকে না আসে !

এবারে তার নজর গেলো এক্সপ্রেস ট্রেনটার দিকে । কেবিনে সিগন্যাল সবুজ করতে বলে ছুটে গেলেন ইঞ্জিনের দিকে । ড্রাইভার কে বললেন এখুনি ট্রেন ছাড়ার জন্য । বিস্মিত চালক যখন বললো ছাড়ার সময় আসতে এখনও পনেরো মিনিট বাকি, উনি দায়িত্ব নিয়ে লগবুকে লিখে দিলেন । হাজারের ওপর যাত্রী নিয়ে নিরাপদে বেরিয়ে গেল এক্সপ্রেস ট্রেনটি । বেঁচে গেল সেই ট্রেন সহ আরও কয়েকটি ট্রেনের যাত্রীদের প্রাণ।

পঁয়ত্রিশ বছর আগে সেই রাতেই ভূপালের ‘Union Carbide’ কারখানার স্টোরেজ ট্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিল প্রায় ৩০ টন বিষাক্ত ‘methyl isocyanate’ বা মিক গ্যাস। যার প্রভাবে সেরাতে ছয়লক্ষ মানুষের স্বাভাবিক জীবনটাই গেলো বদলে । হাজার হাজার মানুষ যারা মারা গেলো সেদিন তারা তো একদিক দিয়ে বেঁচে গেলো, বাকিরা কেউ বিকলাঙ্গ কেউ অন্ধ কেউ ভয়ঙ্কর ফুসফুস বা চর্মরোগ নিয়ে দগ্ধে দগ্ধে বেঁচে ছিল বাকি জীবন।
ট্রেনটা ছেড়ে যাবার পরও সেরাতে তার বউ বাচ্চার হাল দেখতে কোয়ার্টারে ফিরে যাননি গোলাম দস্তাগীর। চারিদিকে ফোন করে ডাক্তার ও এম্বুলেন্স আনিয়েছেন বিষাক্ত গ্যাসের ছোবলে যারা প্লাটফর্মে ছটফট করছিল তাদের জন্য । সারারাত নাকে রুমাল বেঁধে আচ্ছন্ন সহকর্মীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছেন, যোগাযোগ রেখেছেন আশেপাশের সব স্টেশনের সঙ্গে।

রাত কেটে সকাল হয়, মনে পড়ে পরিবারের কথা। ক্লান্ত আচ্ছন্ন গুলাম দস্তাগীর কোনক্রমে শরীরটা টানতে টানতে পৌঁছান রেল কোয়ার্টারে । গ্যাসের ছোবল ততক্ষণে কেড়ে নিয়েছে তার এক পুত্রকে, আরেকজনের সারা শরীরে ছড়িয়েছে সংক্রমণ । সারারাত গ্যাসের প্রত্যক্ষ স্পর্শে থাকার দরুন গোলাম সাহেবেরও শ্বাসনালী হয়েছিল ভীষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত । বাকি জীবনটা তাঁকে বাড়ি আর হাসপাতাল করেই কাটাতে হয়েছিল । ২০০৩ সালে দুনিয়া থেকে কিছুটা অভিমান নিয়েই বিদায় নেন এই মানুষটি ।

মৃত্যুর কারণ হিসাবে সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছিল “suffering from diseases caused as a direct result of exposure to MIC (Methyl Isocyanate) gas.”

]]>
বিজেপি-শাসিত রাজ্যে পুলিশে ভরসা নেই সাধারণ মানুষের: রিপোর্ট https://ekolkata24.com/uncategorized/people-dont-trust-police-in-bjp-ruled-state-report Fri, 19 Nov 2021 16:26:42 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11780 News Desk: দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ পুলিশের (police) উপর কতটা ভরসা ও আস্থা রাখে সে ব্যাপারে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালানো হয়। ইন্ডিয়ান পুলিশ ফাউন্ডেশন (indian police foundation) নামে একটি স্বাধীন সংগঠন এই সমীক্ষাটি চালায়। সেই সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মানুষ পুলিশের উপর কোনও রকম আস্থাই রাখে না। পুলিশকে তারা কোনওভাবেই বিশ্বাস করে না। এই সমীক্ষায় একেবারেই বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণাংশের রাজ্যগুলিতে।

সমীক্ষা বলছে, দক্ষিণ ভারত ও উত্তর পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির মানুষ পুলিশের উপর যথেষ্ট আস্থাবান। দেশের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা কতটা স্মার্ট তা জানতে ‘স্মার্ট পুলিশিং ইন্ডেক্স ২০২১’ প্রকাশ করা হয়েছে। আইপিএফ-এর তৈরি করা ইনডেক্সে দেখা গিয়েছে, পুলিশের উপর ভরসা রয়েছে এমন প্রথম পাঁচ রাজ্য হল অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অসম, কেরল ও সিকিম।

custodial deaths

অন্যদিকে তালিকার একেবারে নিচের দিকে রয়েছে যথাক্রমে বিহার (bihar), উত্তরপ্রদেশ (utterpradesh), ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড ও পাঞ্জাব। এই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। আইপিএফ নামে এই সংগঠনটি ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষের মতামত নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। এই সমীক্ষায় প্রতিটি রাজ্যকে ১০-এর মধ্যে নম্বর দেওয়া হয়েছে। দশ নম্বরের মধ্যে ৮.১ এক পেয়ে প্রথম স্থানটি দখল করেছে অন্ধপ্রদেশ। বিহার ও উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে যথাক্রমে ৫.৭৪ ও ৫.৮১ নম্বর। পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্ত নম্বর ৬.৬৬।

যে কোনও সমস্যায় পুলিশ মানুষকে কতটা সাহায্য করে এই প্রশ্নের উত্তরে দেখা গিয়েছে, সর্বশেষ স্থানটি দখল করেছে উত্তরপ্রদেশ। নিরপেক্ষ পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে সবথেকে পিছনের রাজ্যটি হল উত্তরপ্রদেশ। বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নেও যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ একেবারেই কম নম্বর পেয়েছে। এই সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই পুলিশের উপর মানুষের ভরসা সবচেয়ে কম।

শনিবারই উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রধানের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে এই সমীক্ষা রিপোর্ট নিশ্চিতভাবেই মোদিকে চাপে রাখবে। কারণ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই পুলিশের উপর মানুষের আস্থা, ভরসা, ও বিশ্বাস সবচেয়ে কম।

]]>
২০২৪ সালের মধ্যে কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে এই রোগে https://ekolkata24.com/lifestyle/by-2024-billions-of-people-could-be-affected-by-diabetes Mon, 15 Nov 2021 08:27:46 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11358 বিশেষ প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে বর্তমানে ৪২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তার মধ্যে ৭৭০ লক্ষ মানুষ ভারতেই রয়েছে, যারা ডায়াবেটিসের শিকার। এই রোগটি যথেষ্ট দুরারোগ্য একটি ব্যাধি, যার শিকার হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।

এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৭৬% মানুষ ডায়াবেটিক রোগী হয়ে যাবেন। এই কথা মাথায় রেখে ‘ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস মান্থ-২০২১’ নাম একটি থিমের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ভারতকে বিশ্বের দরবারে ‘ডায়াবেটিক কেয়ার ক্যাপিটাল’ হিসেবে তুলে ধরার কথাও ভাবা হচ্ছে। ২০২১ আরও একটি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য, এ বছর ইন্স্যুলিন আবিষ্কারের শতবর্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেই দিনটি পালিত হল নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালে।

চিকিৎসকরা বলছেন, প্রচুর ডায়াবেটিক রোগী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এটাও দেখা গেছে, অতিমারির সময়ে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রচুর মানুষকে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য ইন্স্যুলিনের ব্যবহার শুরু করতে হয়েছে। এমনও ভাবা হচ্ছে কোবিড-১৯ সরাসরি প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলে আঘাত হানছে।

billions of people could be affected by diabetes

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নারায়ন মেমোরিয়াল হাসপাতালের সিইও শ্রীমতি সুপর্ণা সেনগুপ্ত জানাচ্ছেন, “লকডাউনের সময় আমরা HBA1c-এর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে দেখেছি। অপরিমিত এক্সারসাইজ, বাইরে বেরোনোর বাধা, সুষম আহার পর্যাপ্ত পরিমানে না পাওয়া, মানসিক স্ট্রেস টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যা তৈরী করেছে। এই পরিস্থিতি আমাদের এশিয়ান-ইন্ডিয়ান দেশের মানুষের ক্ষেত্রে প্রি- ডায়াবেটিক স্টেজ থেকে T2DM এ রূপান্তরিত হয়েছে দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৫০%, যা যথেষ্ট ভয়ের ব্যাপার আগামী দিনে ডায়াবেটিস রোগী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে”।

এমডি, ডিএনবি, এমএনএএমএস, ডিএম (পিজিআই), এমআরসিপি ডাঃ সুজিত ভট্টাচার্য্য জানান, “বিগত ১০০ বছর ধরে ইনস্যুলিন ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে জীবনদায়ী ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাণীর অগ্ন্যাশয়ের নির্যাস থেকে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে মানব দেহে ব্যবহারের উপযোগী ইনস্যুলিন তৈরী করা হয়। যত দিন এগিয়েছে তত উন্নত প্রযুক্তিতে এই ওষুধ উৎপন্ন হয়েছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য”।

এমডি ডিএম ডাঃ ঈপ্সিতা ঘোষ বলেন, “প্যানডেমিকের বাড় বাড়ন্তে পোস্ট প্র্যান্ডিয়াল ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল প্রায় ৪৮% বেড়ে গেছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচার, অনিয়মিত এক্সারসাইজ, ফাস্ট ফুড বা অর্ডার দেওয়া খাবার খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি এই গ্লুকোজ লেভেল বৃদ্ধির অন্যতম কারন। মাত্র ১৮.৭% মানুষ সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলেছেন প্যানডেমিকের সময়। কিন্তু আমাদের প্রত্যেককে সচেতন করতে হবে এই ডায়াবেটিস অসুখটি সম্বন্ধে যাতে মানুষ এর থেকে দূরে থাকতে পারে এবং জীবনকে আরও স্থায়িত্ব দিতে পারে”।

<

p style=”text-align: justify;”>উল্লেখ্য, নারায়ন মেমোরিয়াল হাসপাতাল বৃহত্তর কলকাতার অন্যতম একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল যেখানে বিশ্ব মানের পরিষেবা দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। ২০০ বেড সম্বলিত এই হাসপাতালে স্বনামধন্য চিকিৎসক দ্বারা ২৪x৭ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। এমার্জেন্সি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারে ৪৮টি আইসিইউ বেড সহ নেগেটিভ প্রেসার যুক্ত ৫ টি অপারেশন থিয়েটার এবং যথেষ্ট উন্নতমানের গ্যাজেট রয়েছে এই হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার করার জন্য। এই হাসপাতালের বিশেষত্ব হল মাদার এন্ড চাইল্ড কেয়ার, রেসপিরেটরি মেডিসিন, নিউরোলজি, অর্থোপেডিক্স, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, ওপিডি ফেসিলিটি, ৩৬০ ডিগ্রি ডায়াগনিস্টিক সার্ভিস এবং ২৪x৭ অপারেশনাল ফার্মাসি।

]]>
Utter Pradesh: সামনে এল যোগী রাজ্যের চরম দারিদ্র্যের ছবি https://ekolkata24.com/uncategorized/people-collect-residual-oil-from-earthen-lamps-after-diwali-celebration-in-ayodhya Sun, 07 Nov 2021 10:37:03 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10630 News Desk: ফের একবার সামনে এল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের (Utter Pradesh) মানুষের চরম দারিদ্র্যের ছবি। দু’দিন আগে দীপাবলি উপলক্ষে অযোধ্যায় ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে ছিল যোগী (Yogi Adityanath) সরকার। আলোকোজ্জ্বল অযোধ্যাকে দেখে পঞ্চমুখে প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কথায় বলে প্রদীপের নিচেই অন্ধকার। অযোধ্যায় প্রদীপের আলো নিভে যেতেই এক চরম দারিদ্রের ছবি সামনে এল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ওই ১২ লক্ষ প্রদীপ নিভে যাওয়ার পর প্রদীপের অবশিষ্ট তেল সংগ্রহ করতে শুরু করেছে বহু মহিলা ও শিশু। বাড়িতে রান্নার জন্যই তারা ওই তেল সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছে।

সূর্যপ্রতাপ সিং (Suryapratap Singh) নামে উত্তর প্রদেশের এক অবসরপ্রাপ্ত পদস্থ সরকারি কর্তা ওই ভিডিয়োটি টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে গরিব মানুষের সঙ্গে তামাশা করেছে যোগী সরকার। ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালাতে যোগী সরকার ৩৬ হাজার লিটার সরষের তেল পুড়িয়েছে। অথচ এই রাজ্যের ৩০ শতাংশ মানুষ দু’বেলা পেটপুরে খেতে পান না। অস্বাভাবিক দামের কারণে তেল কিনতে না পেরে রাজ্যের বহু পরিবার রান্না করতে পারছে না। অথচ যোগী সরকার সেই মহার্ঘ তেল পুড়িয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে মানুষের সঙ্গে রসিকতা করছে।

ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, সরযু নদীর তীরে বহু মহিলা ও শিশু দলবেঁধে নিভে যাওয়া প্রদীপ থেকে তেল সংগ্রহ করে বোতলে ভরছে। সূর্যপ্রতাপ বলেছেন, এই তেল নিম্নমানের ভেজাল যুক্ত হতে পারে। তাই মানুষকে তিনি অনুরোধ করছেন, তাঁরা যেন ওই তেল ব্যবহার না করেন। এই বিপুল পরিমাণ তেলের পিছনে বড়সড় কোন ভেজাল চক্র থাকতে পারে বলেও এই প্রাক্তন আমলার আশঙ্কা।

সূর্যপ্রতাপ অভিযোগ করেছেন, উত্তরপ্রদেশের অর্ধেক শিশু দুধ খেতে পায় না। ৩০ শতাংশ মানুষ দু’বেলা পেটপুরে রুটি পায় না।

সূর্যপ্রতাপের ওই টুইটি প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা অনেকেই যোগী সরকারকে কটাক্ষ করেছেন। একজন বলেছেন, যোগী আদিত্যনাথ যদি দিওয়ালিতে প্রত্যেক দরিদ্র পরিবারকে হাফ লিটার তেল দিতেন তবে তাঁরা সেই তেল দিয়ে উৎসবের মরসুমে একটু ভালমন্দ রান্না করে খেতে পারতেন। শুধু গিনেস বুকে নাম তোলার জন্য না ছুটে, যোগী যদি মানুষকে একটুখ সাহায্য করতেন তাহলে নিশ্চিতভাবেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতেন।

]]>
Science: মানুষ কেন ধ্বংসাত্মক চিন্তা করে? জানালেন চিকিৎসক https://ekolkata24.com/offbeat-news/science-know-why-people-thought-about-destructive-things Sun, 24 Oct 2021 20:09:07 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9020 Special Correspondent: মস্তিষ্ক শরীরের সবচেয়ে গোপন কর্ণার । সেখানে লোকে ভাবে, কি ভাবতে পারে, তার বেশিরভাগ কেবল সেই মানুষটাই জানে, অন্য কেউ জানে না । ভদ্র সমাজে ভদ্র থাকতে চেষ্টা করে মানুষ। প্রিটেন্ড করতে হয় যে – সে গালি দিতে জানে না, অনেক ভদ্র তারা । কিন্তু মনে মনে সকলে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর গালিও দিতে পারে । মনের জিনিস তো মনেই, তার আবার ভালো মন্দ কি ! এবং দেয়ার পর ভালো ফিলও করে অনেকে ।

আসলে সবার মধ্যেই ভয়ংকর সব চিন্তা আসে মাঝে মাঝে । আবার ভুলেও যায় সময় সময় । মনে পড়লে বরং নিজেরাই মাঝে মাঝে সে সব চিন্তা কি করে এলো, ওটা ভেবে পায় না । মনে মনে হাসে লোকে, কারণ বাহির তাদের সে সব জানতে পারে না বলে ।

একদিকে এমন চিন্তা যেমন আসে, তেমনি নিজেদের ভেতর কখনো এ নিয়ে বিব্রত হয়, অবাক হয়, ক্রোধে পুড়তে থাকে এবং শেষে ভুলে যায় । কিন্তু কি করে এমন হয় ! কেন এমন হয় ! যে জিনিসটি নিয়ে চিন্তা করতে চায় না, সেটি কি করে লোকের মাথায় আসে । বিশেষ করে ভায়োলেন্ট চিন্তা ভাবনা মানুষ কেন করে ? সেই কথা জানালেন ইংল্যান্ডের চিকিৎসক ডা. অপূর্ব চৌধুরী

তাঁর মতে, ভয়ংকর চিন্তা ভাবনাগুলো দুটো পথে আমাদের মধ্যে আসে । একটা ইরোটিক পথে সেক্সচুয়ালি, আরেকটা ডেস্ট্রাক্টিভ ইমাজিনেশন । সেক্সে ফ্যান্টাসির ওয়াইল্ড পার্ট যত বেশি অদ্ভুদ, টিপিক্যাল নয়, ভয়ংকর এবং ট্যাবু, ততো বেশি সেটা মজা দেয়, ভালো লাগে এবং ভালো লাগা শেষে গিলটি ফিলিংসও দেয় । অদ্ভুদ একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বেশিরভাগ মানুষ এই জায়গাটি পার করে । একদিকে ভাবতে মজা, আরেকদিকে একই ভাবনা দেয় সাজা ।

একই সাথে ভায়োলেন্ট তাকে মজা দেয়, একই সাথে সেটাই আবার শরমিন্দার কারণ হয় । নিজের মধ্যে লজ্জায় পড়ে যায়। মনে মনে ভাবে, হায় হায়, কেউ যদি সে সব জেনে ফেলে । বার বার হতে থাকলে ভাবে সে হয়তো অসুস্থ চিন্তা করছে । যত বেশি ভাবতে থাকে সে খারাপ জিনিস ভাবছে, তত সে একদিকে সেটা দমাতে চেষ্টা করে, আরেকদিকে তার ভায়োলেন্ট চিন্তা আরো ভায়োলেন্ট হয়ে উঁকি দিয়ে আরো মজা দিতে থাকে ।’

তিনি বলছেন, এমন হলে কি করবেন ? প্রথমত : এমন চিন্তা স্বাভাবিক, এটি ধরে নিন । এমন সবার মধ্যে আছে, আপনি ব্যতিক্রম নন । কোনো চিন্তাই অস্বাভাবিক নয়, যতক্ষণ এটি কেবল চিন্তা । দুই : নিজেকে অসুস্থ ভাবার কিছু নেই, যতই সেটি ভায়োলেট কিংবা অদ্ভুদ হোক । চিন্তা তো চিন্তাই, যতক্ষণ পর্যন্ত চিন্তাটা ছিনতাই হয়ে কার্যকর না হবে ।

তিন : চিন্তাকে দমাতে নেই । আমাদের মস্তিষ্ক হলো জেনারেটর অফ থটস । এখানে চিন্তা আসতে থাকবে । চিন্তাকে থামাতে হলে আরেকটা চিন্তা দিয়ে সরাতে হয় । সেই ঘুরে ফিরে এক গর্ত থেকে আরেক গর্তে যাওয়াই হয় ।

চার : যাকে ভায়োলেন্ট ভাবছেন, সেটি আপনার মনে, বাস্তবে না । যত বেশি চেপে ধরবেন, ভায়োলেন্ট টি আরো ভায়োলেন্ট আকারে বের হতে চেষ্টা করবে । তারচেয়ে তাকে আসতে দিয়ে ডিসেন্সিটাইজেশন করা । একসময় আর সেটি আপনাকে টানবে না বা মজা হারিয়ে ফেলবেন ।

পাঁচ : এমন চিন্তা আসার কারণে দুশ্চিন্তা বা ডিপ্রেসেড হওয়ার কিছু নেই । এ গুলো মস্তিষ্কের রেন্ডম প্রসেজের একটি । সুস্থতা বা অসুস্থতা, কোনোটাই নয়, কেবল চলমান ।

ছয় : ধ্বংসাত্মক তখনই, যখন তা আপনার দৈনন্দিন স্বাভাবিক চিন্তা এবং জীবনযাপনকে ব্যাহত করবে । যেমন: OCD, PTSD, ক্রণিক ডিপ্রেশন, এমন সব সমস্যাগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন

]]>
ঐতিহাসিক দিন: ১০০ কোটি মানুষকে টিকা দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ার দাবি প্রধানমন্ত্রীর https://ekolkata24.com/uncategorized/historic-day-the-prime-minister-demanded-to-set-a-new-record-by-vaccinating-100-crore-people Thu, 21 Oct 2021 11:10:50 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8564 নিউজ ডেস্ক: ​কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, করোনার টিকাকরণে রেকর্ড গড়েছে ভারত। ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত গোটা দেশে ১০০ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি।

অর্থাৎ গত নয় মাসে ১০০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। গোটা বিশ্বের ক্ষেত্রে এটা রেকর্ড। কোউইন অ্যাপের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার ২০ অক্টোবর রাত পর্যন্ত দেশের মোট ৯৯.৭ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ টিকার প্রথম ডোজটি পেয়েছেন। ৩১ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন টিকার দুটি ডোজ। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে টিকাকরণে গতি আনতে মানুষকে আরও উৎসাহিত করার জন্য নিরন্তর প্রচার চালানো হবে। গ্রামগুলিতে দ্রুত ১০০ শতাংশ মানুযকে টিকা দেওয়া সরকারের লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, চিনের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ১০০ কোটি মানুষকে টিকা দিয়ে এক নতুন রেকর্ড গড়ল ভারত। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্য তুলে ধরতে কেন্দ্রের তরফে যথারীতি বৃহস্পতিবারই লালকেল্লায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একইসঙ্গে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য সকাল থেকেই টুইটু করে দেশের গবেষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বেশ কিছু দেশও ভারতের এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে।

অন্যদিকে টিকাকরণের এই সাফল্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাফল্য হিসেবে তুলে ধরতে সকাল থেকেই আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। উল্লেখ্য, ৬ অগাস্ট পর্যন্ত গোটা দেশে ৫০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর ৭৬ দিনের মধ্যে আরও ৫০ কোটি মানুষকে টিকা দিয়ে ১০০ কোটির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। টিকাকরণের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, ভারত এক নতুন ইতিহাস করলো। আমরা দেখলাম বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। ১৩০ কোটি মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই ১০০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হল। এজন্য চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ যারা এই কর্মযজ্ঞে সামিল ছিলেন তাদের সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ বলেছেন, টিকাকরণের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করতে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মত নেতা থাকার কারণেই ভারত আজ টিকাকরণে বিশ্বের শীর্ষ স্থান দখল করেছে। আজকের দিনটি ভারতের কাছে ঐতিহাসিক ও গর্বের দিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতা থাকার কারণেই ভারতের দক্ষতা ও ক্ষমতা আজ সারা বিশ্বের দরবারে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল

]]>