Poet – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 17 Sep 2021 17:53:23 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Poet – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 ইঞ্জিনিয়ার থেকে কবি: দেরীতে শুরু করেও পৌঁছেছিলেন সাফল্যের শিখরে https://ekolkata24.com/offbeat-news/a-engineer-became-a-successful-poet-jatindranath-sengupta Fri, 17 Sep 2021 17:37:34 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4867 বিশেষ প্রতিবেদন: ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। রীতিমত চাকরি করতেন। সেই মানুষটার মধ্যেই কোথাও যেন লুকিয়ে ছিল অন্য এক শিল্প সত্বা। ইঞ্জিনিয়ার থেকে হয়ে গেলেন বিখ্যাত কবি। তিনি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত।

১৯১১, শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন যতীন্দ্রনাথ। প্রথমে নদীয়া জেলাবোর্ড ও পরে কাশিমবাজার রাজ-এস্টেটের ওভারসিয়ার হন। চাকরির পাশাপাশি তিনি সাহিত্য চর্চাও শুরু করেন খুব অল্পকালের মধ্যেই কবি হিসেবে খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করেন। সমাজ ও সমকাল তাঁর কাব্যের বিষয়বস্ত্ত। ভাষার মধ্যে তর্ক, কটাক্ষ ও প্রচ্ছন্ন পরিহাস তাঁর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

দর্শন ও বিজ্ঞান উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই তিনি ছিলেন দুঃখবাদী, আর এই দুঃখবাদ তাঁর কাব্যের মূল সুর। প্রকৃতি ছলনাময়ী, জীবন দুঃখময়, সুখ অনিত্য ও ক্ষণিকের এই দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি জগৎ-সংসারকে দেখেছেন। কোনোরূপ ভাববাদের বশবর্তী হয়ে নয়, বরং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বাস্তব পর্যবেক্ষণ থেকে তিনি দুঃখ ও নৈরাশ্যের চিত্র এঁকেছেন।

তাঁর প্রকাশিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গুলির মধ্যে অন্যতম মরীচিকা (১৯২৩), মরুশিখা (১৯২৭), মরুমায়া (১৯৩০), সায়ম (১৯৪০), ত্রিযামা (১৯৪৮), নিশান্তিকা (১৯৫৭) এবং কবিতা-সংকলন অনুপূর্বা (১৯৪৬)। যতীন্দ্রনাথের মতে মানুষের জীবনের প্রথমার্ধ অবিরত দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে নিদারুণ দুঃখ-কষ্টে অতিবাহিত হয়, দ্বিতীয়ার্থে অপরাধ জরা-ব্যাধি ভারাক্রান্ত অবসন্নতা নেমে আসায় রাত্রির অন্ধকার-সদৃশ অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটে।

প্রেম, প্রকৃতি বা ঈশ্বর মানবজীবনের দুঃখের দহনজ্বালা ও নৈরাশ্যের অবসন্নতা দূর করতে পারে না। তাঁর বিশ্বাস ছিল ঈশ্বর স্বয়ং দুঃখময়, ঈশ্বরের বার্তা মানুষের জন্য কোনও কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। জগৎ যেমন তেমনই থাকে; প্রেম বলে কিছু নেই, চেতনাই জড়কে সচল করে।

যতীন্দ্রনাথের ভাষা আবেগমুক্ত ও যুক্তিসিদ্ধ। তিনি সরাসরি বিষয়ের প্রকাশ ঘটান। তবে অন্ত্যপর্বের কাব্যগুলিতে তাঁর রোম্যান্টিক বিহবলতা ও চাঞ্চল্য প্রকাশ পায়।

মহাত্মা গান্ধীর জীবনদর্শন ও রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর জীবনদৃষ্টিতে মানবতাবাদ ও দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের প্রতি গভীর মমতা লক্ষণীয়। শেষ বয়সে তিনি ম্যাকবেথ, ওথেলো, হ্যামলেট, কুমারসম্ভব ইত্যাদি অনুবাদ করেন। ১৯৪৯ সালে ‘বিপ্রতীপ গুপ্ত’ ছদ্মনামে তিনি স্মৃতিকথা নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন।

]]>
সঞ্চারী ভৌমিকের কবিতা https://ekolkata24.com/uncategorized/poems-of-sanchari-bhowmik Sun, 05 Sep 2021 05:44:29 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3874 ছিন্নমূলের কান্না

দিন শেষ হয়েছে, ফুরিয়ে সময়
কেউ নামেনি পথে, খোঁজেনি ঠিকানা।
শেষ ট্রেনে ফিরেছে কেউ, কেউ বা গিয়েছে ক্যাম্পে
এখানে কোনও মানুষ নেই, নম্বরে হয় পরিচয়।
মনে পড়ে রবিঠাকুর; ‘রক্তকরবী’র সংখ্যামালা!

দুঃখের ভার বহন করে না কেউ; এখানে বিশু নেই নন্দিনী
আজও ভাঙেনি বাঁধ, আসেনি রঞ্জনও।
অপেক্ষা দীর্ঘ হয় কেবল; কেউ রাখেনি খোঁজ
৪৭, ৭১ আরও কত স্মৃতি–

এখনও তো লেগে পিঠে শুকনো রক্তের গন্ধ!
এখনও তো লেগে গায়ে ‘রিফিউজি’ শব্দ!

বিচ্ছেদ

যা কিছু নিয়ে যাচ্ছি–
শরতের আকাশ, অপুর স্বপ্ন আর একবুক নিশ্চিন্দিপুর

সারাজীবনে কেবল নেশা একটা–
আলোর মতো মানুষ জমানো
অথচ
জীবন এনে দাঁড় করিয়েছে খাদের কিনারে
জোনাকি ছাড়া নেই কোনও আলোর উৎস
কোনও এক অশরীরী বলে চলেছে আলগোছে–
‘চুপ কেন? লেখো আরও একটা মৃত্যু লেখো!’

ধক্ করে ওঠে বুক, স্পষ্ট তার হাঁকড়পাঁকড়
কুণ্ডলীপাকানো সাপের মতো হঠাৎই অদৃশ্য হয় পথ!

থমথমে মন নিয়ে জেনেছি-
শোকের মাঝে বসে যে বাউল দোতারা বাজায় তার ঠিকানা থাকে না।

]]>
অমিতকুমার বিশ্বাসের কবিতা https://ekolkata24.com/uncategorized/poems-of-amit-kr-biswas Sun, 05 Sep 2021 05:32:06 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3871 কবি

কোন শাপে স্বর্গচ্যুত হল সে?
কোন শাপে দিবারাত্রি সে খুঁজে বেড়ায়
প্রতীকের ধুম্র-মায়াজাল?

ঘরে আধপোড়া বউ। তাঁর শতছিন্ন আঁচলে একমুষ্টি খুদ ফেলে বাউল বিকেলের পথে হেঁটে চলে যাও তুমি কোন নক্ষত্রপুরুষ! গ্রহ থেকে গ্রহে দীর্ঘ হয়ে আসে তোমার ছায়া। আকাশগঙ্গায় ভাসিয়ে দাও কত দুর্বোধ্য লিপি। বৃষ্টির ফোঁটায়
সে-সব লিপি গড়ে তোলে কোনো নতুন জনপদ।

কোন শাপে মাথায় তোমার ঘুর্ণায়মান কাঁটার মুকুট?
ছন্দের কুয়াশায় তুমি দিকভ্রষ্ট নাবিক
কেন ভেসে আছ উত্তাল সামুদ্রিক ঢেউয়ের ফণায়?

ওই দেখো শব্দের আড়ালে সমস্ত জীবন পুড়িয়ে
মহানির্বাণের পথে একাকী হেঁটে যাচ্ছেন
আদিকবি লুইপা

বেতালকথা

রোহিণী নদীর তীরে অসমাপ্ত চিতার পাশে রোজ
তুমি ঘুমিয়ে পড়ো। তোমার ঘুমন্ত শরীর কাঁধে খোলা তরবারি হাতে নক্ষত্র, তারার আলোয় হেঁটে যাই আমি এক ছায়াপথ থেকে আরেক ছায়াপথে।
কোন এক জেলেনীর বাঘে খাওয়া ছেলের গল্প শোনাতে-শোনাতে তোমার চোখে এসে পড়ে শুকতারার মৃদু আলো। আলো ফুটতেই রোহিণী নদীর তীরে অসমাপ্ত চিতার পাশে তোমার পুর্নযাত্রার আয়োজন…

]]>