population – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Wed, 08 Dec 2021 08:38:14 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png population – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 World Inequality: মোদী সরকারের জমানায় ভারতে আর্থিক ও লিঙ্গ বৈষম্য চরম আকার নিয়েছে https://ekolkata24.com/business/world-inequality-india-among-most-unequal-nations-top-1-of-population-holds-22-of-national-income-report Wed, 08 Dec 2021 08:38:14 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14094 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে ‘আচ্ছে দিনের’ স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আচ্ছে দিন তো দূর অস্ত, বরং ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের (world inequality lab) সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে ভারত এক দরিদ্র এবং চরম অসাম্যের (inequality) দেশ। এই দেশের অধিকাংশ সম্পদ রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ ধনী মানুষের (rich people) হাতে।

ফ্রান্সের প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিক্সের (Paris school of economics) অন্তর্গত ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব সম্প্রতি ভারতের দারিদ্র অর্থনৈতিক এবং লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

এই রিপোর্টের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, যে সমস্ত দেশে এখনও চরম অসাম্য রয়েছে ভারত তার মধ্যে অন্যতম। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারতের ১ শতাংশ মানুষের হাতে জাতীয় আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ সম্পদ সঞ্চিত রয়েছে। সম্প্রতি দেশের আর্থিক উদারীকরণ এবং অর্থনৈতিক সংস্কারে ধনিক শ্রেণীর এই ১ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। এই ১ শতাংশ মানুষের আয়ের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে, অন্যদিকে গোটা দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই আয় কমেছে।

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেশের নিচের সারির অর্ধেকেরও বেশি মানুষের হাতে দেশের মোট সম্পদের মাত্র ১৩.১ শতাংশ রয়েছে। অর্থাৎ গত এক দশকে ভারতের ধনী যেমন আরও ধনী হয়েছে তেমনি দরিদ্র মানুষের দারিদ্র আরও বেড়েছে।

ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ভারতে লিঙ্গ বৈষম্যও যথেষ্ট উদ্বেগের। কারণ দেশের মোট আয়ে মহিলা শ্রমিকদের অংশ মাত্র ১৮ শতাংশ, যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে মহিলাদের অংশ গড়ে মাত্র ১৫ শতাংশ। একমাত্র এই হার চিনে কিছুটা বেশি। চিনে জাতীয় আয়ে মহিলাদের অংশ ২১ শতাংশ। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতি ও কেন্দ্রের মোদী সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার দেশে আর্থিক বৈষম্য বাড়িয়ে তুলেছে। সরকার যদি অবিলম্বে তাদের এই নীতি না বদলায় তবে দেশে এক চরম আর্থিক বৈষম্য তৈরি হবে। এই অবস্থা গোটা দেশের আর্থিক পরিকাঠামোর এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক। ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস্থার ডাফলোর মত বিশেষজ্ঞ।

]]>
দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মুসলিমদের দায়ী করা উচিত নয়: মণিশঙ্কর আইয়ার https://ekolkata24.com/uncategorized/muslims-should-not-be-blamed-for-population-growth-mani-shankar-aiyar Tue, 16 Nov 2021 15:10:17 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11521 News Desk, New Delhi: মুঘলরা কখনও ধর্মের নামে নৃশংসতা করেনি। তারা এদেশে এসে আমাদের সংস্কৃতিকেই গ্রহণ করেছিল। মুঘল সম্রাট আকবরকে (akbar) আমরা নিজেদের মানুষ বলেই মনে করি। সে কারণেই আমরা কখনও আকবরের নামে থাকা রাস্তার নাম পরিবর্তন করে মহারানা প্রতাপের (maharana pratap) নামে করার কথা ভাবিনি।

একই সঙ্গে এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জানালেন দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কখনওই মুসলিম সম্প্রদায় দায়ী নয়। এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার (manishankar aiyar) যথারীতি মণিশঙ্করের এই মন্তব্যে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

এক অনুষ্ঠানে এই কংগ্রেস নেতা মুঘল সাম্রাজ্যের ভূয়শী প্রশংসা করেন। মণিশঙ্কর বলেন, ভারত এমন একটি দেশ যেখানে মুসলমানরা এসে দীর্ঘদিন আধিপত্য করে গিয়েছে। কিন্তু ভারত কখনও মুসলিম দেশ হয়ে ওঠেনি। মুঘল ও ব্রিটিশদের (british) মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল এই যে, মুঘলরা ভারতকে নিজেদের দেশ বলেই মনে করত। কিন্তু ব্রিটিশরা কখনওই তা করতো না। প্রথম মুঘল (mughal) সম্রাট বাবরের (babar) প্রশংসা করে মণিশঙ্কর বলেন, বাবর তাঁর ছেলে হুমায়ুনকে (humayun) একটি চিঠিতে জানিয়েছিলেন, তিনি যেন কখনও ভারতের মানুষের ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ না করেন। সে কারণেই আকবরের শাসনকালে ভারতে ধর্মের কোনও বৈষম্য ছিল না। ধর্মের নামে মুঘলরা কখনও নৃশংসতা চালায়নি।

Mani Shankar Aiyar

দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মুসলিমদের কখনও দায়ী করা যায় না বলেও মণিশঙ্কর মন্তব্য করেন। এ ব্যাপারে তিনি রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ১৮৭২ সালে দেশে ৭২ শতাংশ হিন্দু এবং ২৪ শতাংশ মুসলিম ছিলেন। এই অনুপাতটা আজও প্রায় একই রয়ে গিয়েছে। তাই দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মুসলিমদের দিকে আঙুল তোলা একেবারেই ঠিক নয়।

<

p style=”text-align: justify;”>একই সঙ্গে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মণিশঙ্কর। তিনি বলেন, বর্তমানে কেন্দ্র ক্ষমতাসীন দল শুধুমাত্র দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের কথা ভাবে। কারণ তাঁরা মনে করেন এই ৮০ শতাংশ মানুষই প্রকৃত ভারতীয়। বাকিরা এদেশের কেউ নয়। তাই ভারতের উন্নয়নেও তাদের কোনও ভূমিকা নেই। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কথা ভাবার দায়ও ভারতের নয়। স্বাভাবিকভাবেই মণিশঙ্কর এই মন্তব্যের পর বিজেপি কংগ্রেস নেতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে। গেরুয়া দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের মন্তব্য করে মণিশঙ্কর দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে অসম্মান করেছেন। তাই তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।

]]>
জনসংখ্যার সংকট দূর করতে তৃতীয় সন্তানের পথে বেজিং https://ekolkata24.com/uncategorized/china-population-why-did-beijing-opt-for-a-three-child-policy-when-it-could-scrap-birth-caps-altogether Sun, 22 Aug 2021 09:55:02 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2946 নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিক সাফল্যের লক্ষ্যে সন্তান নীতি বদলাচ্ছে চিন৷ এক সন্তান নীতি থেকে সরে তিন সন্তান গ্রহণের অনুমতি দেওয়ার পথে হাঁটছে বেজিং৷ চিনের দাবি, আশির দশকে চালু হওয়া এক সন্তান নীতির ফলে ৪০ কোটি অতিরিক্ত সন্তান জন্মগ্রহণ ঠেকানো গিয়েছে৷ কিন্তু, তার আগে থেকেই দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যা ছিল নিম্নমুখী।

বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, চিনে ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে প্রতিজন মায়ের সন্তান সংখ্যা ছয় থেকে কমে তিনে নেমে আসে। দেশে এক সন্তান নীতি চালু করার পর এই সংখ্যা আরও কমতে থাকে।

২০২০ সালে চিনে ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ছিল মোট জনসংখ্যার ১৮.৭ শতাংশ, যা ২০১০ সালের তুলনায় ৫.৪৪ শতাংশ বেশি। একইভাবে ২০২০ সালে চিনে কর্মক্ষম নাগরিকের সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৩.৩ শতাংশ। দশ বছর আগেও এই সংখ্যাটি ছিল ৭০ শতাংশের কিছু বেশি।

মাঝে দুই সন্তান নীতি প্রণয়ন করা হলেও, তা এই ধারাকে তেমন একটা প্রভাবিত করতে পারেনি। পাশাপাশি, চিনা সমাজে মহিলারা সন্তানবিমুখ হতে শুরু করেন। সব মিলিয়ে চিনে বর্তমানে সন্তান জন্মের হার কমছে।
এই সমস্যা শুধু চিনের একার নয়। জাপান বা জার্মানির মতো দেশেও রয়েছে এই পরিস্থিতি৷ যেখানে ক্রমেই কমে আসছে কর্মক্ষম জনবল। কিন্তু সেই দেশগুলির জন্য তা এত বড় সমস্যা নয়।

China population

জাপান বা জার্মানির অর্থনীতি মূলত প্রযুক্তি, বিদেশি লগ্নি ও কারখানায় অর্থায়নের পরিচালিত হয়ে থাকে। কিন্তু চিনের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে শ্রমনির্ভর পণ্য প্রস্তুতকারী শিল্প ও কৃষির উপর। যার ফলে দেশে কর্মক্ষম জনগণের প্রাধান্য তুলনামূলক বেশি।

গত সপ্তাহে চিনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অফ দ্যা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস জানায়, সন্তান ধারণ বিষয়ে যে সমস্ত কড়াকড়ি আগে চালু ছিল, তা তারা তুলে নিচ্ছে। পাশাপাশি জরিমানা আর থাকছে না৷ দেওয়া হচ্ছে মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগও৷ এছাড়াও শিক্ষা, গৃহায়ণ, কর ও নিয়োগ বিষয়ক নীতিতে বদল আনার প্রস্তাব আলোচিত হচ্ছে৷ যা ‘পরিবারের ওপর চাপ কমাবে’ বলে জানাচ্ছে বেজিং।

এই বদলের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসছে দেশে সন্তানসম্ভবা মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দেওয়া ও সহকর্মীদের তাদের প্রতি আচরণের বিষয়টি। চিনের কর্মক্ষম জনসংখ্যায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব উচ্চহারে থাকলেও কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিকস্তরে উচ্চ নেতৃত্বের পদে মহিলাদের অভাব লক্ষণীয়।

পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র এইসব উচ্চ মর্যাদার পদে ৮.৪ শতাংশ মহিলা রয়েছেন। পাশাপাশি আগামী কয়েক দশকে যে সমস্ত তরুণ নেতৃত্বকে ক্ষমতায় দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তার মধ্যেও ১১ শতাংশ মহিলা।

]]>