prices – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 01 Jan 2022 17:35:27 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png prices – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার খাবারের দাম বাড়ছে https://ekolkata24.com/business/food-prices-at-online-food-delivery-companies-are-rising Sat, 01 Jan 2022 16:59:05 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17526 নিউজ ডেস্ক: ২০২২-এর শুরুতে যেন আশার কোনও খবর নেই। বরং আসছে একের পর এক দুঃসংবাদ। আজকের দিনে তরুণ সম্প্রদায়ের অনেকেই বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি (food delivery ) সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের পছন্দ মত খাবার অর্ডার করেন।

কিন্তু চলতি বছরের প্রথম দিন থেকেই সেই খাবারের দাম ৫ শতাংশ বাড়ছে। কারণ মোদী সরকার (modi goverment) জানিয়ে দিয়েছে, ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির উপর থেকে তারা ৫ শতাংশ জিএসটি (gst) নেবে। স্বাভাবিকভাবেই এই ৫ শতাংশ জিএসটি সংস্থাগুলি ক্রেতাদের (customer) কাছ থেকেই আদায় করবে।

এতদিন খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে জিএসটি নেওয়া হত না। কিন্তু মোদী সরকার জানিয়ে দিয়েছে, অনলাইন ডেলিভারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে পরিষেবা নিতে গেলে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। আসলে সরকারের লক্ষ্য হল যেভাবেই হোক রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানো। বর্তমানে শুধুমাত্র জিএসটি নথিভূক্ত রেস্তোরাঁগুলি ক্রেতাদের কাছ থেকে জিএসটি আদায় করে সরকারকে জমা করে। কিন্তু এবার সুইগি, জোমাটোর মত যে সমস্ত সংস্থা অনলাইন ফুড ডেলিভারির কাজ করে থাকে তাদেরও ৫ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই তারা এই জিএসটি আদায় করবে ক্রেতাদের কাছ থেকে।

তবে শুধু ফুড ডেলিভারি সংস্থাই নয়, উবের, ওলার মত সংস্থার কাছ থেকেও এবার ৫ শতাংশ হারে জিএসটি আদায় করবে মোদী সরকার। ১ জানুয়ারি থেকেই এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। নতুন নিয়মে টু বা থ্রি হুইলার বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও ৫ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে গ্রাহকদের। ফলে ওলা, উবের বা টু হুইলার চাপতে গেলেও মানুষকে বেশি পয়সা গুনতে হবে।

একইসঙ্গে জিএসটি ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করতেও আইন সংশোধন করা হয়েছে। চলতি বছরেই এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। নতুন নিয়মে জিএসটি রিফান্ড দাবি করার ক্ষেত্রে আধার নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনওরকম আগাম নোটিস না দিয়েই জিএসটির আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে বলে জানা গিয়েছে।

]]>
Achhe din: ১৬ বছরের মধ্যে নভেম্বরে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছল পাইকারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি https://ekolkata24.com/business/achhe-din-wholesale-product-prices-hit-record-highs-in-november Tue, 14 Dec 2021 19:39:55 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14903 নিউজ ডেস্ক: আচ্ছে দিন (Achhe din)! গত ১৬ বছরের মধ্যে ২০২১- এর নভেম্বরে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছল পাইকারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। নভেম্বর (november) মাসে পাইকারি বাজারের (wholesale market) মূল্য সূচক বা হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স (wpi) বেড়েছে ১৪.২৩ শতাংশ। অক্টোবর মাসে যা ছিল ১২.৫৪ শতাংশ। গত ১৬ বছরের মধ্যে এটাই পাইকারি বাজারের সর্বোচ্চ মূল্য সূচক। মঙ্গলবার (Tuesday) কেন্দ্রই চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জানিয়েছে। নিন্দুকেরা বলছেন, এটাই মোদী সরকারের ‘আচ্ছে দিন’।

২০২১- এর এপ্রিল থেকেই পাইকারি বাজারের মূল্য বৃদ্ধির হার দুই অংকের সংখ্যায় ঘোরাফেরা করছিল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য ও মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, রাসায়নিক পণ্য, কয়লা, ভোজ্যতেল, ডিম, দুধ, সব ধরনের শাকসবজি ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণেই পাইকারি বাজারের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে জ্বালানি তেল ও শক্তি সম্পদের মূল্য বৃদ্ধির হার ছিল ৩৭.১৮ শতাংশ। নভেম্বরে ২ শতাংশ বেড়ে এই হার ৩৯.৮১ শতাংশ হয়েছে। নভেম্বর মাসে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে ১১.৯২ শতাংশ।
অ্যাকিউট রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান অ্যানালিটিক্যাল অফিসার সুমন চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্প্রতি জ্বালানি ও শক্তি ক্ষেত্রে ৫.৬ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। যার প্রভাব পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। এর ফলেই কয়লা থেকে বিভিন্ন ধরনের খনিজ সম্পদ, শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ, ডিম সবকিছুরই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। প্রতিটি কৃষিজাত পণ্যের দাম বাড়ার কারণে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
তবে সুমনবাবুর আশা, এই পরিস্থিতি খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, শীতের ফসল বাজারে আসলেই শাকসবজির দাম অনেকটাই কমবে। যদিও তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের অকাল বৃষ্টিতে কৃষি ও কৃষকের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে হারে পাইকারি বাজারে মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে তার ফলে আগামী দিনে খুচরা বাজারেও অবশ্যই দাম বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই বেশিরভাগ অর্থ খরচ করছেন। অত্যাবশ্যক নয় বা বিলাসবহুল পণ্য কেনার খরচ মানুষ অনেকটাই কমাতে বাধ্য হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যের কেনাকাটা কমার ফলে এধরনের শিল্প মার খাচ্ছে। যা দেশের অর্থনীতির পক্ষে আদৌ ভাল নয়।

]]>
Fuel Prices: আন্তর্জাতিক বাজারে কমছে জ্বালানির দাম https://ekolkata24.com/uncategorized/fuel-prices-are-falling-in-the-international-market Sun, 21 Nov 2021 11:18:23 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11964 News Desk: আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে। এক দিনের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দর সাড়ে ৩ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৭৫ ডলারে নেমে এসেছে। এ দর গত দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন (chin) সংরক্ষিত তেল (reserve oil) বাজারে ছাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দামের এই পতন।

শনিবার অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম আগের দিনের চেয়ে ২ ডলার ৭৩ সেন্ট বা ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৭৫ ডলার ৬৮ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। আর ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম একই হারে কমে ৭৮ ডলার ৪৬ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছিল,ওই সময় প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৪২ ডলার। করোনা (corona) ভাইরাস মহামারির মধ্যেও ক্রমাগত বেড়েছে তেলের দাম। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়।

Petrol pump india

১৬ অক্টোবর প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৮০ ডলার। ৮ নভেম্বর বেড়ে হয় ৮২.৫ ডলার। গত ২৭ অক্টোবর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৫.০৭ ডলারে ওঠে। এরপর থেকেই তা কমতে থাকে। তবে তেল রফতানিকারক দেশগুলি মনে করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (america) এই পদক্ষেপের দরকার ছিল না। কেননা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে এমনিতেই তেলের চাহিদা আবার কমে যাবে পাশাপাশি কমবে দামও। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, তেলের দর আরও বাড়বে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা হয়তো নাও হতে পারে।

এখন প্রশ্ন হল আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার কারণে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার (narendra modi) তেলের দর কমায় কিনা। সম্প্রতি দেশের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি পার করেছে। অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির ফলে মুখ পুড়েছে মোদী সরকারের। গত মাসে ১৩টি রাজ্যের বেশ কয়েকটি লোকসভা ও বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। এরই মধ্যে আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। যে কারণে উপনির্বাচনী ফলাফল দেখেই মোদী সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কিছুটা কমিয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিষোগ, মোদী সরকার এই দুই পেট্রোপণ্যের উপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে। সেই শুল্ক কিছুটা হ্রাস করলেই দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেকটাই কমতে পারে।

তেলের দামের এই আকস্মিক পতনে অনেকেই বিস্মিত। দাম কমার কারণ নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ মেনে নেওয়ার ফলেই দাম কমেছে। সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন তার মিত্রদের কাছে অনুরোধ করেছিল যাতে দেশগুলি তাদের সংরক্ষিত (রিজার্ভ) তেল বাজারে ছেড়ে দেয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে চিন এ কাজটিই করেছে। দীর্ঘ দিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। ট্রাম্পের পরাজয়ে সেই বাণিজ্যযুদ্ধ কিছুটা কমলেও তা একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি।

তাই চিন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অনুরোধ রাখবে তা প্রায় কেউই আশা করেনি। তবে চিনের এই সিদ্ধান্ত বাজারকে প্রভাবিত করেছে। সে কারণেই কমছে তেলের দর। জ্বালানি তেলের দাম কমার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তবে চিন বাইডেনের অনুরোধ রক্ষা করায় তেল উৎপাদক দেশগুলির সংগঠন ‘ওপেক’ উদ্বেগে পড়েছে। কেননা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল ব্যবহারকারী দেশ হল চিন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ওপেক এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। ওপেকের সদস্য এখন ১৫টি দেশ। তাদের মিত্র রাশিয়া।

উল্লেখ্য, প্রতিটি দেশই আপৎকালীন সময়ের জন্য বেশ কিছু পরিমাণ জ্বালানি তেল সংরক্ষিত রাখে। মূলত এটি শুরু হয়েছিল ১৯৭০ সালে যখন আরব দেশগুলি তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এরপর এ ধরনের অবস্থা হয়েছিল ২০১১ সালে, যখন ওপেক সদস্য লিবিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে যায়।

]]>
Petrol-Diesel: কেন্দ্রের পর ২২ টি রাজ্যেও কমল পেট্রোল-ডিজেলের দাম https://ekolkata24.com/uncategorized/petrol-and-diesel-prices-also-declined-in-22-states Sat, 06 Nov 2021 08:22:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10459 News Desk: দেওয়ালির রাতে পেট্রোল (Petrol) ও ডিজেলের (Diesel) উপর এক্সসাইজ শুল্ক কমিয়েছিল কেন্দ্র। মোদি সরকার ঘোষণা করেছিল, সরকারের তরফে এটা মানুষকে দেওয়ালির উপহার। পেট্রোলে লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেলের ১০ টাকা শুল্ক হ্রাস করার ফলে কিছুটা হলেও দাম কমেছিল এই দুই পেট্রোপণ্যের। এবার কেন্দ্রের দেখানো পথেই ২২টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর ভ্যাট অনেকটাই কমানোর সিদ্ধান্ত নিল।

পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অবশ্য দাম কমানোর রাস্তায় হাঁটেনি। বৃহস্পতিবার রাতে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর এক্সাইজ শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কাছে এক আবেদনে ভ্যাট কমানোর আর্জি জানিয়ে ছিল। কেন্দ্রের ওই আবেদনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিজেপি শাসিত ৯ রাজ্য পেট্রোল ডিজেলের ভ্যাট কিছুটা কমায়। ওই ৯ রাজ্যের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও ১৩ টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ভ্যাট কমানোর কারণে ওই সমস্ত রাজ্যগুলিতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেকটাই কমেছে।

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের প্রকাশিত তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমেছে ২২টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। পেট্রোল ও ডিজেলের সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে কেন্দ্রশাসিত লাদাখে। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে কর্নাটক ও পুদুচেরি। লাদাখে প্রতি লিটার পেট্রোলে ১৩:৪৩ টাকা এবং ডিজেলে ১৯.৬১ টাকা করে দাম কমেছে। ওড়িশা লিটারপ্রতি পেট্রল ও ডিজেলে তিন টাকা এবং মধ্যপ্রদেশ সরকার চার টাকা করে ভ্যাট কমানোর কথা ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, দিল্লি তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, কেরল, অন্ধপ্রদেশ, মেঘালয়, ঝাড়খন্ড ছত্রিশগড়, রাজস্থান এবং কেন্দ্রশাসিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভ্যাট কমানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে বিজেপি পথে নেমে পড়েছে। বিজেপির দাবি, অবিলম্বে অন্যান্য রাজ্যগুলির মত সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতেও পেট্রোল ও ডিজেলের উপর ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যদিকে বিজেপির একসময়ের শরিক শিবসেনা পেট্রোল ও ডিজেলের উপর শুল্ক কমানোর কড়া সমালোচনা করেছে।

শিবসেনার মুখপাত্র সামনায় লেখা হয়েছে, মোদি সরকার আসলে দেওয়াল লিখন পড়তে পেরেছে। পেট্রোল-ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি যে মানুষ আদৌ ভালোভাবে দেখছে না সেটা বিজেপি বুঝে গিয়েছে। সে কারণেই তারা উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে। ভোটবাক্সে গণরোষ টের পাওয়ার কারণেই বিজেপি সরকার বাধ্য হয়েই পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে।

]]>
উপনির্বাচনের ফলাফলের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবেই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমল: চিদম্বরম https://ekolkata24.com/uncategorized/petrol-and-diesel-prices-as-byproducts-of-by-election-results-chidambaram Thu, 04 Nov 2021 11:46:39 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10263 News Desk: ২৯টি বিধানসভা এবং তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবেই পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাস হল। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্তে এটাই প্রমাণ হল যে, মোদি সরকার মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর কারণেই পেট্রোপণ্যের দাম লাগামছাড়াভাবে বেড়ে চলেছে।

কংগ্রেস দিনের পর দিন এই অভিযোগ করেছে। সেই অভিযোগ যে কতটা সত্যি সেটা আজ সকলেই বুঝতে পারছেন। মোদি সরকারের লোভের কারণেই দেশে পেট্রোপণ্যের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাস করা সম্পর্কে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম (P Chidambaram)।

দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়েছে এটা ঠিক। কিন্তু সেটা কখনওই এতটা বাড়েনি যে, দেশের বাজারে পেট্রল, ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আসলে মোদি সরকার দিনে-দুপুরে মানুষের পকেট কাটছে। মোদি সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হল তাদের কয়েকজন শিল্পপতি বন্ধুর পকেট ভরানো। দেশের বাকি মানুষের কি হল তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। সে কারণেই তারা লাগামছাড়াভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছিল। উপনির্বাচনের ফলাফল এবং কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মোদি সরকার শেষ মুহূর্তে সামান্য দাম কমিয়ে চমক দেখাতে চাইছে।

পেট্রোল-ডিজেলের হঠাৎ করে দাম কমানো প্রসঙ্গে কংগ্রেস এদিন মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা (priyanka gandhi) গান্ধী বলেছেন, মোদি সরকার মন থেকে নয়, ভয় পেয়ে পেট্রোপণ্যের দাম কমিয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও Randeep Sing Surjawala)মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, চলতি বছরে মোদি সরকার প্রতি লিটার পেট্রোলে ২৮ টাকা এবং ডিজেলের দাম ২৬ টাকা বাড়িয়েছে। এখন তারা প্রতি লিটার পেট্রোলে ৫ টাকা এবং ডিজেলে ১০ টাকা দাম কমিয়ে দেওয়ালির উপহার বলে চিৎকার করছে। আসলে এটা মোদি সরকারের এক বড় জুমলা।

আরজেডি নেতা তথা দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ Lalu Prasad) যাদবও একই কথা বলেছেন। লালুর দাবি, পেট্রোল ডিজেলে লিটার প্রতি ৫০ টাকা করে দাম কমানো উচিত ছিল। কিন্তু মোদি সরকার সেটা করেনি। চমক দিতে লিটারপ্রতি মাত্র ৫ ও ১০ টাকা দাম কমিয়েছে। তবে আগামী কয়েক মাস পরে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলে মোদি সরকারের ফের পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দেবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যশবন্ত সিনহা (Yasbant Sinha)বলেছেন, পেট্রোপণ্যের দাম যতটা কমানো উচিত ছিল ততটা কমেনি। মোদি সরকার সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আদৌ চিন্তিত নয়। মোদি সরকার যদি সাধারণ মানুষের কথা ভাবতো তবে কখনওই এভাবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ত না। মোদি সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে মাটির কোনও যোগ নেই। যদি থাকতো তাহলে তাঁরা দেখতে পেতেন, পেট্রোল- ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।

]]>