गुवाहाटी: केंद्रीय मंत्री अमित शाह ने तेलंगाना की कांग्रेस सरकार पर उन अश्लील क्लिपों पर कोई कार्रवाई नहीं करने का आरोप लगाया है, जिनमें कथित तौर पर पूर्व प्रधानमंत्री एचडी देवेगौड़ा के पोते और एनडीए उम्मीदवार प्रज्वल रेवन्ना को कई महिलाओं का यौन उत्पीड़न (Amit Shah on Prajwal Sex Scandal) करते दिखाया गया है।
आज सुबह पत्रकारों से बात करते हुए, श्री शाह ने कहा कि इस मुद्दे पर भाजपा का रुख स्पष्ट है – कि वह “मातृशक्ति” (माताओं या महिलाओं) के साथ है।
“भाजपा का रुख स्पष्ट है कि हम देश की ‘मातृशक्ति’ के साथ खड़े हैं। मैं कांग्रेस से पूछना चाहता हूं कि सरकार किसकी है? सरकार कांग्रेस पार्टी की है। उन्होंने अब तक कोई कार्रवाई क्यों नहीं की? हमारे पास नहीं है।” इस पर कार्रवाई करने के लिए क्योंकि यह राज्य की कानून-व्यवस्था का मुद्दा है, राज्य सरकार को इस पर कार्रवाई करनी होगी,” उन्होंने कहा।
केंद्रीय मंत्री ने कहा कि भाजपा मामले की जांच के पक्ष में है और बताया कि उनका गठबंधन सहयोगी जद (एस) भी पार्टी की बैठक में एक कदम उठाने के लिए तैयार है।
“यह बहुत गंभीर है, हम इसे बर्दाश्त नहीं कर सकते। हम कांग्रेस से पूछना चाहते हैं कि सत्ता में होने के बावजूद सरकार ने अभी तक कार्रवाई क्यों नहीं की? प्रियंका (गांधी वाड्रा) जी को अपने मुख्यमंत्री और उपमुख्यमंत्री से पूछना चाहिए,” श्री ने कहा। शाह.
सुश्री गांधी ने पहले जद (एस) नेता से जुड़े सेक्स स्कैन को लेकर प्रधानमंत्री नरेंद्र मोदी की आलोचना की थी।
कर्नाटक के हासन निर्वाचन क्षेत्र से मौजूदा सांसद प्रज्वल मौजूदा लोकसभा चुनाव लड़ रहे हैं, लेकिन जद (एस) ने इस मामले से भाजपा को दूर रखने की मांग की है।
उन्होंने एक पुलिस शिकायत में अपने खिलाफ लगाए गए आरोपों को ”छेड़छाड़” बताया है।
उनके निर्वाचन क्षेत्र में मतदान के एक दिन बाद शनिवार को उनके कथित वीडियो सामने आए। रविवार को वह जर्मनी के लिए रवाना हो गए, जहां उनके खिलाफ जांच चल रही थी।
]]>
যোগী আদিত্যনাথ
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৫ সালে এসেছিলেন টুইটারে। এই ক’বছরে তিনি করেছে ১৪ হাজার ৬০০ টুইট৷ ১.৬৬ কোটি মানুষ টুইটারে তাঁকে ফলো করেছেন। যোগী নিজে ফলো করেন ৫০ জনকে। নিজের দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদেরই বেশি ফলো করেন তিনি।
অখিলেশ যাদব
উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৯ সাল থেকে টুইটারে রয়েছেন। সেই নিরিখে যোগীর তুলনায় করেছেন অনেক কম পোস্ট। প্রায় ১২ বছরে ৪ হাজার ৮৮১ টি টুইট করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান। ১.৫৩ কোটি মানুষ ফলো করেন তাঁকে। নিজে ফলো করেন ২৪ জনকে। ভারতীয় সেনা, নেভির পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রনেতারাও অখিলেশের পছন্দের তালিকায়।
মায়াবতী
ইনিও উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সাবেকি ঘরানার রাজনীতিবিদ হিসেবেই তিনি পরিচিত। সামাজিক মাধ্যমে এসেছেন অনেক পরে। ২০১২ এবং ২০১৭ সালের নির্বাচনের পরাস্ত হওয়ার পর টুইটারে পদার্পণ। ২০১৮ সালে প্রোফাইল তৈরি করেছেন। ফলো করেন মাত্র একটি অ্যাকাউন্ট। তাও টুইটার সাপোর্টের। তিন বছরে করেছেন ১ হাজার ২৪৯ টি টুইট। নেত্রীকে ফলো করেন ২৩ লক্ষ ব্যক্তি।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা
<
p style=”text-align: justify;”>দু’বছর আগেই টুইটারে অ্যাকাউন্ট করেছেন প্রিয়াঙ্কা। যদিও পরিসংখ্যানের নিরিখে ইতিমধ্যে পিছনে ফেলে দিয়েছেন মায়াবতীকে। বর্তমানে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৪৩ লক্ষ। নিজে ফলো করেন ১৯১ জনকে। নিজের দলের নামকরা নেতা-নেত্রীর সঙ্গে তিনি ফলো করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও। ১ হাজার ৮২০ টি টুইট করেছেন প্রিয়াঙ্কা।
]]>একইভাবে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে নিয়েও উদ্বেগ। তবে তাঁরা এখনও করোনা আক্রান্ত নন। কিন্তু কংগ্রেস ঘরে ঢুকেছে করোনা।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর করোনা হওয়ায় তাঁর সংস্পর্শে আশা বাকি কংগ্রেস নেতা নেত্রীরা চিন্তিত। তাঁরাও কোভিড টেস্ট করাচ্ছেন।
উত্তর প্রদেশ ভোটে কংগ্রেসের তরফে মূল প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা দায়িত্ব পেতেই কংগ্রেসে এসেছে অক্সিজেন। একের পর এক জনসভায় ভিড় প্রবল। শাসক বিজেপির তরফে বারবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করা হয়েছে। এর মাঝে করোনা পজিটিভ হওয়ায় প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে উদ্বেগ শুরু কংগ্রেস মহলে।
গতবছর করোনা আক্রান্ত হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরা। তখন প্রিয়াঙ্কার করোনা পরীক্ষা হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।। ফলে অসম, তামিলনাড়ু, কেরলের ভোট প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি।
]]>কংগ্রেসের ডাকা বি রোধী দলগুলির বৈঠকে টিএমসি অংশ নিচ্ছে না। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে টিএমসি অংশ নেবে না।
টিএমসি সূ্ত্রে খবর, সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও কংগ্রেসের সাথে সমন্বয় করা হবে না। সংসদ অধিবেশনে কংগ্রেসকে সহযোগিতা করবে না দলটি। তবে সাধারণ মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে দলটি অবশ্যই অন্যান্য বিরোধী দলকে সমর্থন করবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কারণেই টিএমসি অন্যান্য রাজ্যে মনোযোগ দিতে শুরু করেছে। অন্যান্য দলের বড় নেতাদের টেনে আনছে।
এর আগে, টিএমসি টেনে আনে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা নেত্রী তথা শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবকে। তিনি অসম সহ উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যতম নেত্রী। এখন টিএমসির রাজ্যসভা সাংসদ ও ত্রিপুরার দায়িত্বে। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ ও অশোক তানওয়ারকে টেনে নিয়েছে টিএমসি। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন মমতার শিবিরে। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস ছেড়ে টিএমসিতে সামিল। মেঘালয়ে বিরোধী আসনে টিএমসি। এটি সোনিয়া গান্ধীর জন্য একটি বড় ধাক্কা।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস বলতে কিছুই নেই। ত্রিপুরার পুর ভোটে টিএমসি নিজের অস্তিত্ব তৈরি করেছে। এ রাজ্যে বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ কয়েকজন সিনিয়র নেতাও টিএমসির পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন।
তবে বিশ্লেষণে উঠে আসছে, কংগ্রেসের ভারতব্যাপী অবস্থানকে ভাঙতে একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতদূর সফল হবেন। দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসকে ভাঙানো তাঁর পক্ষে সহজ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
]]>এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (priyanka gandhi) বলেন, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি। কৃষকদের পাশে থাকতে বা কৃষকদের প্রতি সমব্যথী হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নয়। আসলে পাঁচ রাজ্যে ক্ষমতা দখল করাকেই পাখির চোখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রিয়াঙ্কা এদিন স্পষ্ট বলেছেন, নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই মোদি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতে বিজেপির ভরাডুবি না হত তাহলে মোদি কখনওই কৃষি আইন বাতিলের কথা ভাবতেন না। উপনির্বাচনের ফলাফলেই মোদি বুঝে গিয়েছিলেন যে, গোটা পরিস্থিতি তাঁদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন রাজ্যের জনমত সমীক্ষাতেও বিজেপির (bjp) আসন টলমল সেটাও প্রকাশ্যে এসেছে। তাই পরবর্তী নির্বাচনে দিল্লির কুর্সি দখল করার লক্ষ্যেই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত।

প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, এই বিজেপি খুনিদের আশ্রয়দাতা দল হিসেবে পরিচিত হয়েছে। যে দলের নেতার ছেলে প্রকাশ্যেই কৃষকদের গাড়ির চাকায় পিষে মারে তাদেরকেই বিজেপি আড়াল করে। তাই ভোটের আগে ওরা দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে হাত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। তবে যা-ই করুক না কেন এতদিনে মানুষ বিজেপির প্রকৃত পরিচয়টা জেনে গিয়েছে।
অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (aravind kejriwal) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সেই আইন বাতিল করলেন কিন্তু এটা আরও আগে করলেই ভাল হত। প্রধানমন্ত্রী যদি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তটা কয়েক মাস আগে নিতেন তাহলে ৭০০ কৃষককে প্রাণ হারাতে হত না। পরিবারের রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে ওই সমস্ত কৃষক পরিবারকে পথে বসতে হত না। তাই শুধু ক্ষমা চেয়ে হাত ধুয়ে ফেললেই হবে না, প্রধানমন্ত্রী যদি প্রকৃতই মানবিক হন তাহলে মৃত কৃষক পরিবারের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসুন।

তবে প্রিয়াঙ্কা বা কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কৃষি আইন বাতিলের প্রেক্ষিতে মোদির সমালোচনা করলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। মোদির এই ঘোষণা যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে তা না বললেও চলে। কংগ্রেস নেতৃত্বও নিজেদের মধ্যে আলোচনায় মোদির এই কৌশলের কথা মেনে নিয়েছেন।
বিজেপি নেতৃত্বও ঠারেঠোরে এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের (uttetpradesh) ক্ষমতা বিজেপির হাতছাড়া হলে ২০২৪ সালে মোদির দিল্লির কুর্সিতে ফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু কৃষি আইন বাতিল করে বিপক্ষে চলে যাওয়া পরিস্থিতিকে অনেকটাই নিজের অনুকূলে আনতে সমর্থ হয়েছেন মোদি। এখন দেখা যাক আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কোন দল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তাহলেই পুরো পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
]]>এদিন অমরিন্দর জানিয়েছেন, তাঁর নতুন দলের নাম হবে ‘পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস’। এই রাজ্যে আর কয়েক মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন। পাঞ্জাবে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। আসন্ন নির্বাচনে পাঞ্জাবে কংগ্রেসকে বড় মাপের সমস্যায় ফেলতে পারে ক্যাপ্টেনের নতুন দল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিতে এদিন ক্যাপ্টেন সাত পাতার একটি চিঠি দেন সোনিয়া গান্ধীকে। ওই চিঠিতে তিনি রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন। ক্যাপ্টেন লিখেছেন, সোনিয়াজি আমি আপনার ছেলে-মেয়ের আচরণে গভীর মর্মাহত। আপনার ব্যবহারেও আমি দুঃখ পেয়েছি। একজন অস্থিরমতি লোক, যিনি পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রী রাষ্ট্রকাঠামোর সহযোগী তাকে আপনারা ভরসা করলেন। তার কথা মেনে নিলেন। এরপর আর আপনাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যায় না। পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রী রাষ্ট্রকাঠামোর সহযোগী বলতে ক্যাপ্টেন যে বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুকেই ইঙ্গিত করেছেন তা স্পষ্ট।
অমরিন্দরের কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে সিধুর বিশেষ অবদান রয়েছে। কারণ সিধু প্রথম থেকেই অমরিন্দরের ঘোরতর বিরোধী। সম্প্রতি সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন রাহুল। তারপরেই ক্যাপ্টেনের সঙ্গে সিধুর বিরোধ চরমে ওঠে। সেই বিরোধে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা সিধুর পাশে দাঁড়ান। তার ফলেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় অমরিন্দরকে। এদিনের চিঠিতে তিনি সে কথাই উল্লেখ করেছেন।
এদিন নতুন দলের নাম ঘোষণা করার পাশাপাশি অমরিন্দর বলেছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রাজ্যের ১১৭ টি আসনেই প্রার্থী দেবেন। এখন দেখার এই নির্বাচনে অমরিন্দর কংগ্রেস বা বিজেপির মত কোনও দলের সঙ্গে জোট করে কিনা।
]]>গত বিধানসভা ভোটের আগে বিহারে আরজেডি, কংগ্রেস ও বামেদের মহাজোট হয়। এই জোট সরকার গড়তে পারেনি। তবে কংগ্রেস জোটের তরফে লড়ে তেমন সফলতা পায়নি। মহাজোটের সিপিআই (এম এল) অভাবনীয় সফলতা পায়। দলনেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য দাবি করেন, কংগ্রেসকে বড়সড় আসন না ছেড়ে তাঁর দল ও বামেদের বেশি আসন বরাদ্দ করলে মহাজোট সরকার গড়ত। তখন থেকেই কংগ্রেস ও আরজেডির মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধীর নির্দেশে শুক্রবারই পাটনায় আসছেন কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার। সম্প্রতি সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। দল পরিবর্তনের পর এটাই তাঁর নিজ রাজ্যে কংগ্রেস নেতা হিসেবে আসা। বিহার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে কানহাইয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মতভেদ। অনেকেই কানহাইয়াকে মানতে পারছেন না। সূত্রের খবর, কানহাইয়ার সঙ্গে আসছেন হার্দিক প্যাটেল।
বিহারে দুটি আসন তারাপুর ও কুশেশ্বরস্থানে উপনির্বাচন। প্রদেশ কংগ্রেস জানিয়েছে, দুটি আসনেই একলা লড়াই করবে দল। বিহার কংগ্রেসের নেতা ভক্তচরণ দাস জানান, মহাজোট থেকে বেরিয়ে এসেছে কংগ্রেস। তিনি আরও জানান, আগামী লোকসভা ভোটেও রাজ্যে ৪০টি আসনে একলা লড়বে কংগ্রেস।
]]>রাজ্যে কংগ্রেস সরকার গড়লে ছাত্রীদের জন্য ঢালাও স্কুটি ও স্মার্টফোন দেওয়ার ঘোষণা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাজ্যে ৪০ শতাংশ প্রার্থী মহিলা হবেন এই ঘোষণার পরেই কিশোরী ও যুবতীদের জন্য বড়সড় দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটে লিখেছেন, কয়েকজন পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানায় পড়ার জন্য স্মার্টফোন দরকারি। আমি খুশি যে ঘোষণা সমিতির সহমতিতে ইউপি কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই রাজ্যে সরকার গড়লে ছাত্রীদের জন্য স্কুটি ও স্মার্টফোন দেওয়া হবে।
উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে একের পর এক ঘোষণার মিল পাওয়া যাচ্ছে। তিনিও বিধানসভা ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিলেন,রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য ট্যাব দেওয়া হবে। ট্যাব কেনার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। তবে অনেক্ষেত্রে এসেছে অভিযোগ।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গড়া রুখে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পর থেকেই দেশে বিজেপি বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা কে টি়এমসি তুলে ধরতে মরিয়া। যদিও নির্বাচন বিশ্লেষণ বলছে, কেরলে সিপিআইএমের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন তাঁর রাজ্যে বিজেপিকে শূন্য করেছেন।
উত্তর প্রদেশ বিজেপির সর্বপেক্ষা শক্তিশালী ঘাঁটি। এই রাজ্যে তাদের সরকারকে ফেলতে ফের বিরোধীদের জোট হবে নাকি কংগ্রেস একলা চলবে সেটি আলোচিত। তবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রচারে ঝড় তুলতে শুরু করেছেন।
]]>কংগ্রেস নেত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করেছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪১ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিলেন। বর্তমান সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪১ শতাংশ মহিলা সাংসদ আছেন। তাই ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কংগ্রেস বা প্রিয়াঙ্কা। বরং কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের দেখানো পথেই হেঁটেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছেন, পুরোসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ৫০ শতাংশ আসনে মহিলাদেরই প্রার্থী করে থাকে। চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রচুর মহিলা মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। তাই প্রিয়াঙ্কা যেটা করছেন তার মধ্যে নতুন কিছু নেই। বলা যেতে পারে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথই অনুসরণ করেছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন সে কথা জানতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেছেন, মমতাজি খুব ভালো কাজ করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও ওড়িশার শাসকদল বিজু জনতা দলও গত লোকসভা নির্বাচনে এক তৃতীয়াংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২১টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটিতে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল বিজেডি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই নারীদের ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। আমজনতার কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের কাছের মানুষ হিসেবেই পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও এখনও তিনি জেলা সফরে গিয়ে হুটহাট ঢুকে পড়েন গৃহস্থের হোঁশেলে। মা, মাসিমা সম্মোধন করে কথা বলেন মহিলারা মহিলাদের সঙ্গে। এমনকী চায়ের দোকানে ঢুকে তিনি দোকানদারকে সরিয়ে নিজের হাতে চা করেন।
পদস্থ সরকারি আধিকারিক-সহ সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের তিনি নিজের হাতে সেই চা পরিবেশন করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেন সেটাই যে প্রথম এ ব্যাপারে রাজনৈতিক মহল নিশ্চিত। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মমতাকে অনুসরণ করে এগুনোর চেষ্টা করছে। তাই ৪০ শতাংশ আসনের মহিলা প্রার্থী দিয়ে প্রিয়াঙ্কা যে আত্মসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন মমতার কাছে তা ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহল একবাক্যে জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ যা করেন গোটা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা অনেক পরে সেটা করেন।
অন্যদিকে বিজেপি অবশ্য কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে যথারীতি কটাক্ষ করেছে। বিজেপি দাবি করেছে, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় থাকে তখন মহিলাদের কথা তাদের মাথায় থাকে না। এখন ক্ষমতা পাওয়ার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের।
]]>প্রিয়াঙ্কা এদিন বলেন, মহিলারা মনে করলে সমস্ত পরিস্থিতিকে বদলে দিতে পারেন। এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। আইনশৃঙ্খলা বলে কোন বস্তু আছে বলে মনে হয় না। রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে খুন, ধর্ষণের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটে চলেছে। অথচ তার বিচার হচ্ছে না। একমাত্র মহিলারাই এই পরিস্থিতি বদলাতে পারেন। সে কারণেই কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে এবার ৪০ শতাংশ মহিলাকে টিকিট দেওয়া হবে। উন্নাও, হাথরসে মহিলাদের উপর যে ঘটনা ঘটেছে সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। মহিলাদের ক্ষমতায়ন হলে রাজ্যের পরিস্থিতি নিশ্চিতভাবেই আমূল বদলে যাবে।

প্রিয়াঙ্কা এদিন আরও জানান, প্রয়োজন হলে তিনি নিজেও উত্তরপ্রদেশ থেকে লড়তে পারেন। মেধা ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে মহিলাদের টিকিট বন্টন করা হবে বলেও জানান কংগ্রেস নেত্রী। প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, ৪০ শতাংশ মহিলাকে টিকিট দেওয়া কংগ্রেসের প্রাথমিক লক্ষ্য হলেও আগামী দিনে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে।
প্রিয়াঙ্কার এই সিদ্ধান্তকে অবশ্য ও রাজনৈতিক মহল চমক বলে মনে করছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের অবস্থা খুবই খারাপ। ২০১৯- এর লোকসভা নির্বাচনেই তার প্রমাণ মিলেছে। রাজ্যের চার শতাধিক আসনে প্রার্থী দেওয়ার মত সামর্থ্য নেই কংগ্রেসের। সে কারণেই এবার মহিলাদের উপর ভরসা করতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথের শাসনে উন্নাও থেকে শুরু করে হাথরস একের পরে এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই মহিলা মহলকে এভাবেই কাছে টানতে চাইছেন প্রিয়াঙ্কা। দলের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে প্রিয়াঙ্কার এই সিদ্ধান্ত আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে কতটা সাহায্য করবে তা এখন ভবিষ্যতই বলবে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৭৫টি জেলাতেই যাবেন প্রিয়াঙ্কা। উত্তরপ্রদেশে দলের প্রচার কর্মসূচির মূল দায়িত্ব থাকছে প্রিয়াঙ্কার উপর। দলের তরফে দায়িত্ব পেয়ে ইতিমধ্যেই প্রার্থী বাছাই, বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে জোট গঠন, নির্বাচনী রণকৌশল নির্ধারণ সবকিছুর কাজ শুরু করে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। উল্লেখ্য, ২০১৭-র সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪০৩ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ৭টি।
]]>নয়া দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকেই আসন্ন উত্তর প্রদেশ, গোয়া, পাঞ্জাব সহ বাকি বিধানসভা ও আগামী লোকসভা ভোটের রূপরেখা তৈরি হবে। তবে কংগ্রেসের প্রাথমিক নজর উত্তর প্রদেশের ভোট।
সূত্রের খবর, দলের সভাপতি হিসেবে পুনরায় রাহুল গান্ধী নির্বাচিত হতে চলেছেন। তবে নির্বাচনী লড়াইয়ের মুখ হবেন তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। ইতিমধ্যে সমর্থক ও সাংগঠনিক সর্বনিম্ন স্তর থেকে লাগাতার মেসেজ ঝড়ে অতিষ্ঠ কেন্দ্রীয় নেতারা। দাবি উঠেছে, প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে লড়াই করার।
উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের আগে প্রিয়াঙ্কা যেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নেমেছেন তাতে আশাবাদী কংগ্রেস সমর্থকরা। তবে অতি বড় কংগ্রেস সমর্থকও জানেন, এই রাজ্যে এখনই কংগ্রেসের সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই। তবে প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে কংগ্রেস লড়লে ফল ‘ভালো হবেই’।
উত্তর প্রদেশ সহ পশ্চিম ভারত জুড়ে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক আন্দোলন গোটা দেশেই ছড়িয়েছে। সাম্প্রতিক লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারার ঘটনায় প্রবল বিতর্কে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
কৃষক আন্দোলনের ধাক্কায় উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানায় বিজেপি ভোট সমর্থনে নেমেছে ধস। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী খোদ প্রধানমন্ত্রীবিদ্ধস্ত নীরবতা নিয়ে বারবার প্রশ্নে বিদ্ধ করেছেন। তাঁর গ্রেফতারিতে চাঙ্গা হয়েছে কংগ্রেস। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সংসদীয় এলাকা বারণসীতে প্রিয়াঙ্কার জনসভার ভিড়ে বিজেপি চিম্তিত।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কাছে দুটি প্রশ্ন আসছে, ভোটে লড়াইয়ের নীতি কী হবে? আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে পুরোপুরি কখন থেকে নামানো হবে ? সূত্রের খবর, ইন্দিরা নাতনি প্রিয়াঙ্কা হতে চলেছেন কংগ্রেসের পোস্টার গার্ল।
জমায়েত উপলক্ষে লখিমপুর খেরির দিকে পরপর কৃষক মিছিল ঘিরে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত। উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে মিছিল। এছাড়াও পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকেও কৃষকদের মিছিল আসতে শুরু করেছে।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, মঙ্গলবার লক্ষাধিক কৃষক জমায়েত হবে।গনসমাবেশ থেকে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলায় ধৃত আশিস মিশ্রর জেলের সাজা ও তার পিতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করার দাবি তোলা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে পদ থেকে সরানোর দাবি জানান সারা ভারত কৃষকসভার সাধারন সম্পাদক হান্নান মোল্লা। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদের দাবির পরেই উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠনগুলি একযোগে আক্রমণ শুরু করেছে।
গত ৩ অক্টোবর মোদী সরকারের আনা নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে লখিমপুর খেরিতে কৃষক সমাবেশ ছিল। অভিযোগ, সেই সমাবেশ থেকে কৃষকরা যখন ফিরছিলেন তখন তাদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র আশিস। এই ঘটনায় মোট মৃত ৯ জন। এদের মধ্যে চার জন কৃষক।
]]>স্বামী সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পর থেকেই নীরব মানেকা বরাবর শাশুড়ি ইন্দিরার প্রতিপক্ষ। সেই সুযোগে বিজেপির জাতীয়স্তরের নেত্রী, মন্ত্রী। পুত্র বরুণ একইভাবে মাতৃভক্ত। তিনিও বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ও সাংসদ।
সদ্য উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় দেশ উত্তাল। মোট ৯ জন মৃত। এদের ৪ জন কৃষক। কেন্দ্রের মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে জমায়েতে এই ঘটনা ঘটে। কৃষকদের উপর এমন নৃশংস হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া দিচ্ছিলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। পরপর টুইট করে বিজেপি নেতা, সরকারের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বরুণের সঙ্গে সুর মেলান মা মানেকা।
হেভিওয়েট মানেকা-বরুণের টুইটে আরও বিব্রত হয় উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার। একইভাবে কেন্দ্রের মোদী সরকারও বিব্রত হচ্ছে। এই অবস্থায় বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মানেকা গান্ধী ও বরুণ গান্ধীকে। তবে সাংসদ ও দলীয় সদস্য পদ এখনও আছে দুজনেরই।
গত কয়েকদিন ঘরেই লখনউ ও নয়াদিল্লির রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হতে পারেন মানেকা গান্ধী। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিলে বরুণও দলত্যাগ করবেন। এই গুঞ্জনের রেশ আরও জমাট হয়েছে দুজনকেই বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির পদ থেকে বহিষ্কার করায়।
মনে করা হচ্ছে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের আগেস কংগ্রেসের মঞ্চে দেখা যেতে পারে রাহুল-বরুণ-প্রিয়াঙ্কাকে। এখন গান্ধী পরিবারের দুই অভিভাবক সোনিয়া ও মানেকা। তাঁরা কী করবেন? কাটবে সেই গুমসুমি ভাব। যার সৃষ্টি রাজীব ও সঞ্জয়কে ঘিরে খোদ ইন্দিরা তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।
]]>এদিক মৃত কৃষকদের আত্মীয়দের অভিযোগ, হামলাকারী আশিস মিশ্রকে কেন গ্রেফতার করছে না রাজ্য সরকার। সারাভারত কৃষকসভা, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের আরও অভিযোগ, যোগী আদিত্যনাথ সবকিছু চাপা দিতে চাইছেন। যদিও তিনি জানান, লখিমপুর খেরির ঘটনায় কড়া তদন্ত হবে।
অভিযুক্ত হামলাকারী আশিস মিশ্রের পিতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র। তিনি লখিমপুর খেরির বিজেপি সাংসদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সহকারী মন্ত্রীর পদে রয়েছেন। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলে ছিল না আশিস। তবে যে গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন কৃষকরা সেটি তাঁর পুত্রের। চাপে পড়ে স্বীকার করেছেন মন্ত্রী।
গত ৩ অক্টোবর নেপাল সীমান্ত লাগোয়া লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রের মোদী সরকার যে কৃষি আইন এনেছে তার প্রতিবাদ চলছিল। জমায়েতের মধ্যে একটি গাড়ি প্রবল গতিতে ঢুকে পড়ে। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট, ওই গাড়ির ধাক্কায় কয়েকজন ছিটকে পড়ছেন। এই ঘটনায় মৃত মোট ৯ জন। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৪ জন কৃষক। এক সাংবাদিক। হামলাকারী গাড়ির তিনজন। আর একজন সাধারণ ব্যক্তি।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নীরব। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অভিযোগ, আইনের শাসন নেই উত্তর প্রদেশে। রাহুল গান্ধীকে সাথে নিয়ে তিনি দেখা করেন মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে।
]]>সংবাদ সংস্থা ANI জানাচ্ছে, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাতে পৌঁছান মৃত কৃষক লাভপ্রীত সিংয়ের বাড়িতে। মৃতের আত্মীয়রা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। কেন মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্র পুলিশি হেফাজতের বাইরে সেই প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের আত্মীয়রা।

দিনভর লখনউয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছিল। তীব্র চাপের মুখে অবশেষে রাহুল গান্ধীকে লখিমপুর খেরি যেতে অনুমতি দেয় উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার। বিমান বন্দরে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন পাঞ্জাব ও ছত্তিসগড় দুই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দুই রাজ্য সরকার লখিমপুর খেরিতে মৃতদের পরিবার পিছু ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।
লখিমপুর খেরিতে কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের জমায়েতে গাড়ি চালিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র। অভিযোগ গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষকদের খুন করা হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্রের পিতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র। অভিযোগ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পুরো ঘটনা চাপা দিতে মরিয়া চেষ্টা করছে।

লখিমপুর খেরিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৯ জন। তাদের পরিবার পিছু ৪৫ লক্ষ টাকা ও সরকারি চাকরির ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। তবে সারা ভারত কৃষক সভা ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের দাবি, হামলাকারী আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করতে হবে।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। ANI জানাচ্ছে, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত বিশাল সমর্থক বাহিনী নিয়ে লখিমপুর খেরি আসছেন। দেরাদুন থেকে ১ হাজার ট্রাক ভাড়া করেছে কংগ্রেস। এই বিশাল সংখ্যক কংগ্রেস সমর্থক ঢুকলে এলাকার পরিস্থিতি তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ হবে বলে আশঙ্কা।
]]>রাহুল গান্ধী লখনউ থেকে লখিমপুর খেরি যাওয়ার আগেই বিজেপিকে রাজনৈতিক চাপে ফেলে দেয় কংগ্রেস। ছত্তিসগড় ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা মৃত কৃষকদের পরিবার পিছু ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। দুটি রাজ্যই কংগ্রেসের দখলে। মৃত কৃষকদের পরিবার পিছু ৪৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছে যোগীর সরকার। করা হয়েছে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা।
ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল লখনউতে এসে বিমানবন্দরে ধরনা শুরু করেন। এতে আরও বিব্রত হয় উত্তর প্রদেশ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলের নিরাপত্তা নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ চিন্তিত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে পাঞ্জাবে সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া চরণজিত সিং চান্নি একইসঙ্গে কেন্দ্র ও যোগী প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন। পরে রাহুল গান্ধীর অনুরোধে দুই রাজ্য সরকার আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে।
লখিমপুর খেরিতে মৃত কৃষকদের পরিবার পিছু উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার ৪৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করছে। যদিও কংগ্রেস সহ বাকি বিরোধী দলগুলির প্রশ্ল গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষদের মেরে ফেলায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র আশিস এখনও কেন অধরা।
অভিযুক্ত আশিস মিশ্রর পিতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর দাবি, ঘটনার সময় আশিস ছিল না। তবে আশিস-ই দোষী, তাকে গ্রেফতার করতে হবে। এমনই অভিযোগ করেছেল সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা। কৃষক সংঠনগুলির পক্ষ থেকে প্রশ্ন, মন্ত্রীর পুত্রকে কেন গ্রেফতার করছেনা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
]]>উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়া ও মোট ৯ জনের মৃত্যুর জেরে গোটা দেশ উত্তাল। কানহাইয়া কুমার তাঁর বর্তমান দলনেতা রাহুল গান্ধী, দলনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সমর্থনে প্রশ্লবাণে মোদী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিজেপি সরকারকে যুক্তি জালে ঘিরতে শুরু করলেন।
ढोंगी जी जितनी ताक़त विपक्ष के नेताओं को पीडित परिवारों से मिलने से रोकने में लगा रहे, काश अंहकारी मंत्री के बिगड़ैल लाडले की कार रोकने में लगाते तो निर्दोष किसानों की जान नहीं जाती।
इनकी मनमानी देखिए, क्या अब अपने ही देश में जाने के लिए पासपोर्ट लगेगा??#Lakhimpur
— Kanhaiya Kumar (@kanhaiyakumar) October 4, 2021
কংগ্রেস নেতা কানহাইয়ার যুক্তি, সব বিষয়ে ‘বকওয়াস’ (অযৌক্তিক কথা) করা প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের মৃত্যুর পর নীরব। তাঁর নীরব থাকার রহস্য হয় তিনি কৃষকদের অন্ন খান না। বা তিনি বেইমানির কমিশন খান।
উত্তর প্রদেশের (UP) মু়খ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে কানহাইয়ার টুইট, ‘ঠোঙ্গি জী’ যতটা শক্তি দেখিয়ে বিরোধীদের আটকাচ্ছেন, ততটা শক্তি দিয়ে বিজেপির অহঙ্কারি মন্ত্রী ও তার গোল্লায় যাওয়া পুত্রের গাড়ি আটকাতেন তাহলে নির্দোষ কৃষকদের জীবন যেত না। নিজের দেশের কোথাও যেতে পাসপোর্ট লাগবে নাকি ? কানহাইয়া কুমারের টুইট রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কার টুইটের চেয়েও ঝড়ের গতিতে দেশ জুড়ে ছড়াতে শুরু করেছে। পরপর টুইটে আক্রমণ শুরু করেছেন কানহাইয়া।
हर बात पर बकवास करने वाले प्रचारमंत्री जी किसानों की मौत पर चुप हैं। उनकी चुप्पी का राज शायद ये तो नहीं कि वो किसानों का अन्न नहीं, बल्कि बेईमानों का कमीशन खाते हैं।
— Kanhaiya Kumar (@kanhaiyakumar) October 4, 2021
কৃষক একতা মঞ্চ, সারা ভারত কৃষক সভা (AIKS) ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (BKU) সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের দাবি, নিহতদের পকিবার পিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা সরকারি চাকরি দিয়ে এই ক্ষত মেটানো যাবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করতে হবে।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় কেন আশিস মিশ্রকে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি প্রশ্ন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র জানান, তাঁর পুত্র ঘটনাস্থলে ছিল না। এদিকে ভাইরাল ভিডিওতে উঠে এসেছে আশিস মিশ্রর গাড়ি কৃষকদের পিছন থেকে পিষে মারছে।
]]>রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, লখিমপুর খেরিতে ১৪৪ ধারা লাগু থাকায় নিয়মানুসারে ৫ জন গেলে পুলিশ আটকাতে পারে। আমরা তিনজন যাচ্ছিলাম। কেন আটকানো হয়েছে। বিরোধী দল হিসেবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
মঙ্গলবার দিনভর লখিমপুর খেরি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে ছিল। প্রথমে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন সারা ভারত কৃষকসভার নেতৃত্বরা। এতে হতচকিত হয়ে যায় যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। কী করে তারা ঢুকলেন তা নিয়ে রাজ্য পুলিশ প্রবল চাপের মুখে পড়ে। বাম কৃষক সংগঠনটির নেতৃত্বে লাগাতার কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় লক্ষাধিক কৃষক আন্দোলন করছেন। আন্দোলন চালাচ্ছে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন।
লখিমপুর খেরিতে কৃষক জমায়েতের উপর গাড়ি চালিয়ে অভিযুক্ত বিজেপির হেভিওয়েট নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের পুত্র আশিস। মৃত ৯ জন। এদের ৬ জনই কৃষক। আশিস মিশ্রকে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন কৃষকসভার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ হান্নান মোল্লা।
এই দাবির পরেই উত্তর প্রদেশ সরকার পুরো এলাকা পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখে। সেই ঘেরাও পেরিয়ে কৃষক সভার পরে পৌঁছে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধিরা। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দেন। বলেন, লখিমপুর খেরিতে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের মতো আন্দোলন করতে তৃ়ণমূল সাহায্য করবে। পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানায় এই দুটি জমি আন্দোলনের কারণে টিএমসি রাজনৈতিক মাইলেজ পেয়ে সরকার গড়েছে। লখিমপুর খেরির রক্তাক্ত ঘটনার পর সেখানে ঢুকতে পারেননি উত্তর প্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ও মায়াবতী।
]]>১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগে সীতাপুরে গান্ধী পরিবারের কন্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সীতাপুর গেস্ট হাউসকেই সাময়িক জেল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরপর নাটকীয় মুহূর্ত চলছে লখনউয়ের রাজনীতিতে। সেই ধাক্কা লাগছে দেশের সর্বত্র।
লখিমপুর খেরিতে কৃষকের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটমায় উত্তর প্রদেশ ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রবল বিতর্কে। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একটি ভাইরাল ভিডিও দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তুলোধনা করেন। ওই ভিডিও তিনি টুইট করেন। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি এসইউভি গাড়ি পিছন থেকে এসে কৃষকদের পিষে দিয়ে চলে গেল।

অভিযোগ, এই গাড়ি চালিয়ে কৃষকদের মেরেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রের পুত্র আশিস মিশ্র। মৃত ৯ জন। এদের মধ্যে ৬ জন কৃষক ও একজন সাংবাদিক। জানা গিয়েছে দুজন নাকি সেই গাড়ির আরোহী। ঘটনাস্থলে গুলি চলেছে। এক মৃত কৃষকের দেহে গুলির আঘাত রয়েছে। জানা গিয়েছে উত্তেজিত কৃষকরা ওই গাড়ি আগুন ধরান। পালাতে গিয়ে দুই আরোহী মারা যায়। তবে মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্র অধরা।

লখিমপুর খেরিতে এই ‘কৃষক গণহত্যা’র প্রতিবাদে অ-বিজেপি দলগুলি প্রবল সরব। কংগ্রেস শাসিত ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে লখনউ আসেন। তাঁকে বিমান বন্দরে আটকে দেয় উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিমান বন্দরেই বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিকে লখিমপুর খেরিতে যেতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন তৃ়ণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। সাংসদ সুস্মিতা দেব সহ বাকিদের আটকে দেয় পুলিশ। যদিও তারা দাবি করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লখিমপুর খেরি যেতে গিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব। তাঁকে সহ সমাজবাদী পার্টির নেতাদের আটকে দেয় পুলিশ। ভিডিও বার্তায় রাজ্যের বিজেপি সরকারের প্রবল সমালোচনা করেছেন অখিলেশ। সরব অপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী।
তবে যোগী সরকারের পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে লখিমপুর খেরিতে ঢুকেছেন বাম সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্ব। তাঁদের পৌঁছে যাওয়া নিয়ে তীব্র শোরগোল। কী করে এমন সম্ভব হলো এই বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির।
]]>