project – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 13 Dec 2021 12:31:30 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png project – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 গঙ্গায় ডুব দিয়ে মোদী বললেন, বিশ্বনাথের ইচ্ছা ছাড়া বেনারসে একটা পাতাও নড়ে না https://ekolkata24.com/uncategorized/pm-inaugurates-first-phase-of-kashi-vishwanath-corridor-project Mon, 13 Dec 2021 12:31:30 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14688 নিউজ ডেস্ক, বারানসী: নরেন্দ্র মোদী মানেই নতুন কোনও চমক। সোমবার দুপুরে মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর (benaras)মানুষ এমনই এক চমকের সাক্ষী হলেন। এদিন বেনারসে কাশী বিশ্বনাথ করিডোরের (kashi viswanath coridor) উদ্বোধন করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের আগে গঙ্গায় (ganga) ডুব দিয়ে সকলকেই চমকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (biswanath temple) থেকে গঙ্গার তির পর্যন্ত যাওয়ার পথে যে সমস্ত মন্দির রয়েছে সেগুলিকে নতুন করে সারিয়ে এবং সাজিয়ে তোলা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ করিডোর।

আগামী বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। এই রাজ্যে হিন্দু ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। সেই ভোট বিজেপির বাক্সে আনতে চেষ্টার কসুর করছেন না মোদী। সেই লক্ষ্যেই এদিন তাঁর গঙ্গায় ডুব দেওয়া বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা আগেই ১১টা নাগাদ মন্দির শহর বেনারসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী যান কালভৈরব মন্দিরে। সেখানে মন্দিরে আরতি করার পর দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম সারেন। সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন খিড়কিয়া ঘাটে।

তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দিতে ঢোকেন বেলা ১২ টায়। পূজো দেওয়ার আগে মোদী গঙ্গায় ডুব দেন। তাঁর পরনে ছিল লাল পট্টবস্ত্র। এদিন গোটা দুনিয়া দেখল, দেশের প্রধানমন্ত্রী গঙ্গায় ডুব দিয়ে পুজোর ঘট মাথায় নিয়ে উঠছেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদীর গঙ্গায় ডুব দেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। গঙ্গায় ডুব দেওয়ার পর মোদী বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দিয়ে আরতি করেন। বিশ্বনাথ মন্দিরে প্রায় একঘন্টা সময় কাটান মোদী।

সোমবার সন্ধ্যায় বেনারসে গঙ্গা- আরতি দেখতেও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি নিজের হাতে গঙ্গারতিও করেন।

মোদীর সঙ্গে এদিন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডোর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিজেপি শাসিত ১২টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। বিহার ও নাগাল্যান্ডের উপমুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০০ বিশিষ্ট অতিথি উপস্থিত ছিলেন। মোদীর সফর ঘিরে বেনারস কার্যত দুর্গের চেহারা নেয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এই কাশী বিশ্বনাথ করিডোর প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিল মোদী। গঙ্গার পাড় থেকে বিশ্বনাথ মন্দির পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ বর্গফুট এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা।

এই করিডোর উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, কাশিতে একজনের সরকার। তিনি হলেন মহাদেব। তাঁর ইচ্ছাতেই এই করিডোর তৈরি হয়েছে। এদিন করিডোর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী যে হিন্দু ভোটব্যাংককে পাশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তা তিনি প্রতিটি পদক্ষেপেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। গঙ্গায় তিনি যখন ডুব দেন তখন তাঁর পরনে ছিল লাল রঙের পাঞ্জাবি। পুজো দেওয়ার পর তিনি যখন ভাষণ দিতে মঞ্চে ওঠেন তখন তাঁর গায়েছিল তসরের পাঞ্জাবি। কপালে ছিল চন্দনের তিলক। বিরোধীদের অভিযোগ, হিন্দু ভোট পেতে মরিয়া মোদী দ্রুত কাশি বিশ্বনাথ করিডোর উদ্বোধন করলেন। এখনও এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে অনেকটাই বাকি।

এদিন বিরোধীদেরও তোপ দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, যারা এই প্রকল্পে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন তাদের জানিয়ে রাখি আপনারা ভুল করছেন। কাশিতে একটা মানুষের সরকার, তিনি হলেন ডমরুধর। বিশ্বনাথের ইচ্ছাতেই এই করিডোর তৈরি হয়েছে। বিশ্বনাথের ইচ্ছা ছাড়া এখানে একটি পাতাও নড়ে না। তাই আমি নয়, আমার দল নয়, এই করিডোর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বয়ং বাবা বিশ্বনাথ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আজ থেকে আড়াইশো বছর আগে শেষবার কাশীর সংস্কার হয়েছিল। তারপর তাঁর সরকারই প্রথম কাশির সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ করল। করোনাজনিত পরিস্থিতিতেও যেভাবে বেনারসের উন্নয়নের কাজ হয়েছে তার জন্য তিনি এলাকার প্রত্যেক মানুষকে ধন্যবাদ জানান। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই প্রকল্পের নির্মাণ কর্মীদের। নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত থাকা শ্রমিকদের মাথায় তিনি পুষ্পবৃষ্টিও করেন।

]]>
Betti Bachao Betti Padao: মোদীর স্বপ্নের প্রকল্পে বরাদ্দের ৮০ শতাংশই খরচ হয় বিজ্ঞাপনে https://ekolkata24.com/uncategorized/about-80-per-cent-of-the-allocation-for-betti-bachao-betti-padao-project-is-spent-on-advertising Sat, 11 Dec 2021 16:59:44 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14503 স্বNews Desk, New Delhi: ক্ষমতায় এসে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ (Betti Bachao Betti Padao) প্রকল্প চালু করেছিলেন। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন এই প্রকল্প চালু করতে গিয়ে যত প্রচার করা হয়েছে আদতে কাজ হয়েছে তার নামমাত্র। অনেকেই এটাকে নিন্দুকের অপপ্রচার বলেছিলেন। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ যে এতটুকু ভুল নয় তার প্রমাণ মিলল মোদী সরকারের পেশ করা রিপোর্টেই। কেন্দ্রীয় নারী কল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

ওই সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে প্রথম তিন বছরে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল তার ৮০ শতাংশই খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপনী প্রচারে। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনের প্রচারের খরচ মেটানোর পর বাকি ২০ শতাংশ টাকা যাদের জন্য ওই প্রকল্প তাদের পিছনে খরচ করা হয়েছে। যে সংসদীয় বিষয়ক কমিটি ওই রিপোর্টে দিয়েছে তার মাথাতে আছেন বিজেপি সাংসদ হিনা গাভিট।

ওই কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প ৪৪৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিল মোদী সরকার। বরাদ্দকৃত টাকার ৭৮.৯১ শতাংশ টাকা ব্যয় করা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে। প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে অত্যন্ত ফলাও করে এই প্রকল্পটির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর ওই স্বপ্নের প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, দেশে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা এবং কন্যা ভ্রুণ হত্যার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলা। কিন্তু সংসদীয় কমিটির ওই রিপোর্টের পর সেই কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ ওই কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পাঁচ ভাগের চার ভাগে চলে গিয়েছে শুধু বিজ্ঞাপনী খরচ মেটাতে।

সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট বলছে, শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই বিজ্ঞাপনী খরচ বেড়েছে। তুলনায় কমেছে মূল কাজের খরচ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে সামান্য পরিমাণ অর্থ দিয়ে কিভাবে এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যেতে পারে? তবে সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি মোদী সরকারের কাছে। বিরোধীরা বরাবর অভিযোগ করেছেন, মোদী যত না কাজ করেন তার চেয়ে প্রচার করেন অনেক বেশি। তাঁর প্রচারের ঘনঘটা যে কোন মানুষকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে। এটা যে নিতান্তই বিরোধীদের অপপ্রচারে ছিল না সরকার নিজেই সে কথা স্বীকার করে নিল।

]]>