Proteas – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 21 Dec 2021 14:35:46 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Proteas – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে বাইশ গজের লড়াইয়ের আগে টিম ইন্ডিয়ার ঘরোয়া বিবাদ প্রকাশ্যে https://ekolkata24.com/sports-news/feud-between-team-india-was-public-before-the-fight-against-the-proteas Tue, 21 Dec 2021 14:35:46 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15732 Sports desk: সাড়ে চার বছর পর বিগত টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে এসে নিজের পারফরম্যান্স জোরে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। “ক্রিকেটের ভগবান” সচীন তেন্ডুলকর বিশ্বকাপে অশ্বিনের ডেলিভারিতে নতুনত্ব’র ছোঁয়া দেখে ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে। নিজের আন্তজার্তিক ক্রিকেট কেরিয়ারের ব্যাডপ্যাচ নিয়ে ইতিমধ্যেই “বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি”তে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছেন ভারতের অভিঞ্জ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।এবার প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ রবি শাস্ত্রীকে নিয়েও বোমা ফাটালেন অশ্বিন।

রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে অশ্বিনের বোমা’র তীব্রতায় ভারতীয় ক্রিকেট মহল এখন উথালপাতাল। বিস্ফোরক রবিচন্দ্রন অশ্বিন রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়ায় বলেন,প্রাক্তন হেডকোচ রবি শাস্ত্রীর মন্তব্যের পরে এবং কীভাবে তিনি তার কেরিয়ারে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তারপরে ঘূর্ণিঝড়ের মাঝখানে তিনি বাদ বোধ করেছিলেন। অনেকবার খেলাকে বিদায় বলার কথাও ভেবেছিলেন।

প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৯’এ সিডনি টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরে তৎকালীন হেডকোচ রবি শাস্ত্রী কুলদীপ যাদবকে বিদেশে ভারতের টপ স্পিনার হিসাবে নাম করেছিলেন।

এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অশ্বিন রবি শাস্ত্রীকে নিশানা করে বিস্ফোরক ঢঙে বলেন, তিনি কুলদীপের জন্য সত্যিই খুশি ছিলেন কারণ তিনি জানতেন অস্ট্রেলিয়ায় স্পিনার হিসাবে পাঁচ উইকেট নেওয়া কতটা কঠিন ছিল কিন্তু শাস্ত্রীর মন্তব্য তাকে ‘সম্পূর্ণ হতাশ’ করে দিয়েছে।

প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ শাস্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে অশ্বিন আরও বলেন, “রবি ভাইয়ের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে, আমরা সবাই করি এবং আমি মনে করি আমরা সবকিছু বলার পরেও আমাদের কথা ফিরিয়ে নিতে পারি। তখন অবশ্য আমি খুব বিষণ্ণ বোধ করছিলাম। সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলাম”।

অকপট এবং খোলা মনের মানুষ তথা ভারতের অভিজ্ঞ স্পিনার এই প্রসঙ্গে এও বলেন, “আমরা সবাই কথা বলি যে আমাদের সতীর্থদের সাফল্য উপভোগ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কুলদীপের জন্য খুশি, আমি অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ উইকেট পাইনি কিন্তু, পেয়েছে(কুলদীপ যাদব)। আমি জানি এটা কত বড় অর্জন। এমনকি যখন আমি ভাল বোলিং করেছি, আমি এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারিনি, তাই আমি তার জন্য সত্যিই খুশি। আর অস্ট্রেলিয়ায় জয়টা খুবই আনন্দের উপলক্ষ”।

অশ্বিন বলেন, “আমি যদি তার সুখ এবং দলের সাফল্যের ভাগীদার হতে চাই, তাহলে আমার মনে হওয়া উচিত যে আমি এর অংশ। আমি যদি মনে করি যে আমাকে অপমান করা হচ্ছে, তাহলে আমি কীভাবে একটি দল বা সতীর্থের সাফল্য উপভোগ করতে নিজেকে ওপরে তুলতে পারি?”

অশ্বিন অবশ্য ভারতীয় দলের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর আয়োজিত পার্টিতে যোগ দেন। এই পার্টিতে যোগ দেওয়ার প্রেক্ষাপট নিয়ে বলতে গিয়ে অকপট ভঙ্গিতে অশ্বিন বলেন, “ম্যাচের পর আমি আমার রুমে ফিরে গিয়েছিলাম এবং তারপর আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলেছিলাম, আমি আমার ব্যক্তিগত হতাশা পিছনে ফেলে যেতে পেরেছি। আমি ওই দলের অংশ হয়েছিলাম কারণ আমরা বড় সিরিজ জিতেছি”।

ওই সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচের কথা উল্লেখ করে ৩৫ বছর বয়সী রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, বারবার ইনজুরির কারণে তিনি “অনেক ব্যথা নিয়ে” খেলছেন এবং তিনি উভয় ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এমন পারফরম্যান্সের পরেও শাস্ত্রীর মন্তব্য অশ্বিনের কাছে প্রতিক্রিয়া, হতাশাজনক।

প্রসঙ্গক্রমে অশ্বিন বলেন, ‘প্রথম টেস্ট এখনও আমার স্মৃতিতে আছে। প্রথম ইনিংসে আমরা কম স্কোরে অলআউট হয়েছিলাম। এরপর প্রথম চার উইকেটের মধ্যে তিনটি নিয়েছিলাম। এবং তারপর চতুর্থ ইনিংসে যখন পিচ সম্পূর্ণ সমতল ছিল, আমি গুরুতর চোটের পরেও ৫০ ওভারের বেশি বল করেছি এবং তিনটি উইকেট নিয়েছিলাম”। তিনি এও বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম যে আমি অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে দলের জন্য ভালো কিছু করেছি, কিন্তু আমি শুনতে পেলাম ‘নাথান লিয়ন ছয় উইকেট এবং অশ্বিন তিনটি’।

ওই সময়ে আন্তজার্তিক ক্রিকেটে নিজের ব্যাডপ্যাচের প্রসঙ্গ টেনে অশ্বিন বোমা ফাটাতে গিয়ে বলেন, “আমি ইতিমধ্যেই আমার চোটের কারণে হতাশ ছিলাম কারণ আমি বোলিং’র দিক থেকে ভাল ছন্দে ছিলাম না। এই সময়ে আমি কারো সাথে কোন তুলনা চাইনি কিন্তু ওই প্রতিক্রিয়ার পর (লিওনের সাথে তুলনা করুন) এবং তারপর সিডনি মনে হলো আমি দলের জন্য কোন ভূমিকা পালন করিনি”।

অশ্বিন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে বলেন,”২০১৮ এবং ২০২০ এর মধ্যে, আমি বেশ কয়েকবার গেমটি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেছি। আমি অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছিল না। চোটের পর যত বেশি চেষ্টা করেছি, ফলাফল তত খারাপ হয়েছে”।

অশ্বিন স্বীকারোক্তিতে বলেন, “বিশেষত চোট পাওয়ার পর, আমি ছয় বল করার পর হাঁফিয়ে উঠতাম এবং সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করতাম। তাই ওভারের প্রতিটি বলের পর আমি মানিয়ে নিতাম। কখনো কখনো ছোট লাফ দিয়ে বল করতাম আবার কখনো ক্রিজের কোণ থেকে কিন্তু যখন কাজ হতো না, তখন ভাবতাম বিরতি নেওয়া উচিত”। নিজের আক্ষেপ গোপন না রেখে অশ্বিনের প্রতিক্রিয়া,” বিদেশ সফরে চোট পেয়ে ক্রিকেট মহলে সহানুভূতি প্রকাশ না করায় হতাশাও ছিল তার মধ্যে”।

ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন দেশে এবং বিদেশে ভারতের সেরা বোলার। আন্তজার্তিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত অশ্বিন ৪২৭ টি টেস্ট উইকেট নিয়েছেন। অনিল কুম্বলে এবং কপিল দেবের পর লাল বলের ফর্ম্যাটে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি।

প্রসঙ্গত, টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার স্পিনার মুত্থাইয়া মুরলিধরন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। টেস্টে ৮০০ উইকেট নিয়েছেন মুরলিধরন। মুরলিধরনের এই রেকর্ডের ধারেকাছে কোনও বোলার নেই। নিজের চোট আঘাত প্রসঙ্গে অশ্বিন আগেই স্বীকার করে বলেছেন,”মুরলিধরনের সাথে কথোপকথন করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমি যখন ইনজুরিতে পড়েছিলাম, তিনি আমাকে ডেকেছিলেন এবং আমাকে এই ধরনের আঘাত এড়াতে পরামর্শ দেন।

]]>
ইতিহাসের চাকায় টিম ইন্ডিয়ার ট্র্যাক রেকর্ড প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জিং https://ekolkata24.com/sports-news/team-indias-track-record-in-the-wheel-of-history-is-challenging-against-the-proteas Tue, 21 Dec 2021 08:47:28 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15678 Sports desk: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর কোহলিকে ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে পরে অনেক বিতর্ক হয়েছে। ভারতীয় দল বর্তমানে তিন টেস্ট ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে। এই সফর টিম ইন্ডিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতীয় দলের রেকর্ডই স্পষ্ট বলে দিচ্ছে।
বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, তবে বিরাটের আগে অন্যান্য ভারত অধিনায়কের সময় টিম ইন্ডিয়া দক্ষিণ আফ্রিকায় কেমন পারফরম্যান্স করেছিল ওই দিকেও একবার নজর ঘোরানোর দরকার।

১৯৯২-৯৩’র দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মহম্মদ আজহারউদ্দিন অধিনায়কত্বতে টিম ইন্ডিয়াতে খেলছিলেন বড় বড় খেলোয়াড়রা। টিমে ছিলেন কপিল দেব, সচীন তেন্ডুলকর, অনিল কুম্বলে, রবি শাস্ত্রীর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা। এটাই ছিল ভারতের প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। চার ম্যাচে ভারত ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গিয়েছিল। বাকি তিনটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হয়েছে।

ওই সফর ছিল অজয় ​​জাদেজার অভিষেক সিরিজ, যিনি পরে ভারতের কিংবদন্তি খেলোয়াড় হয়েছিলেন। সিরিজের দুই টেস্ট ম্যাচ ড্র হওয়ার পর, প্রোটিয়ার্সরা তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে ৯ উইকেটে পরাজিত করে এবং চতুর্থ টেস্ট ম্যাচটিও ড্র হয়। ভারত সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হারে।

১৯৯৬-৯৭’তে সচীন তেন্ডুলকরের নেতৃত্বে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল। তিন ম্যাচের ওই সিরিজে ভারতীয় দল ২-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়। কেপটাউন ও ডারবানে ভারতীয় দলকে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ম্যাচ ড্র করতে সফল হয় ভারতীয় দল। ওই ম্যাচে ম্যাচ সেরা হন রাহুল দ্রাবিড়।

২০০১-০২’এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকায় মাত্র দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল। এই সিরিজেই অভিষেক হয় বীরেন্দ্র সেহবাগের।

ভারত প্রথম টেস্ট ম্যাচে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার জয়ের স্বাদ নিতে চেয়েছিল, কিন্তু তা হতে পারেনি। প্রথম টেস্টে ভারতকে ৯ উইকেটে শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। দুই ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয় টেস্ট ড্র করে ভারত ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায়।

১৯৯২ সালের পর প্রথমবার, ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে একটি ম্যাচ জিতেছিল রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে। জোহানেসবার্গে প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২৩ রানে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এর পর সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে প্রোটিয়ার্সরা দুর্দান্তভাবে ফিরে আসে এবং ভারতীয় দলও সিরিজ বাঁচাতে পারেনি। সিরিজের ফরসালা ২-১ ব্যবধানে হয়, সিরিজ হেরেছিল ভারত।

২০১০-১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম টেস্ট ম্যাচে এম এস ধোনির অধিনায়কত্বে ইনিংস পরাজয়ের পর, টিম ইন্ডিয়া প্রত্যাবর্তন করে এবং ডারবানে দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জয় পায়। ওই ম্যাচ ভারত ৮৭ রানে জিতেছিল। ওই ম্যাচে ভিভিএস লক্ষ্মণ প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ বিবেচিত হন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ভারতীয় দল।

আবারও ২০১৩-১৪ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেলেও ফলাফল বদলায়নি। দুই ম্যাচের ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ড্র এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ধোনির নেতৃত্বে আবারও সিরিজ জিততে পারেনি ভারত।

২০১৭-১৮ সালে বিরাট কোহলি যখন প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন, তখন সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কারণ সেখানকার রেকর্ডগুলি সত্যিই টিম ইন্ডিয়ার জন্য ভাল ছিল না। এই সফরেও বিরাট কোহলির কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা ছিল। স্বাধীনতা ট্রফি নামে খেলা ওই সিরিজে ভারতীয় দল মাত্র একটি টেস্টে জয় পেয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতীয় দলকে পরাজিত করে। ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায়।

সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে সিরিজ জয় হাতছাড়াই থেকেছে ভারতীয় দলের কাছে। কোনও ভারতীয় অধিনায়ক প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সিরিজ জয় করতে পারেনি। এবার দেখার বিষয় হবে শত বিতর্কের পর, টিম ইন্ডিয়া কি এই সব ভুলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিততে পারবে? একমাত্র তিন টেস্ট প্লেয়িং দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয়ের রেকর্ডের অধিকারি, “বিরাট” ভারত টিম ইন্ডিয়ার পুরনো ট্র‍্যাক রেকর্ড মুছে ফেলতে পারবে আসন্ন টেস্ট সিরিজে, যা ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে, সেঞ্চুরিয়নে সুপারস্পোর্টস পার্কে।

]]>
Dinesh Karthik: প্রোটিয়ার্সদের বোলিং লাইন আপ টিম ইন্ডিয়ার কাছে চ্যালেঞ্জিং https://ekolkata24.com/sports-news/proteas-bowling-line-up-challenging-for-team-india-former-cricketer-dinesh-karthik Wed, 08 Dec 2021 08:19:35 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14090 Sports desk: ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করার পর, ভারত সেঞ্চুরিয়নে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সফরকারী দলের প্রস্তুতি এবং সম্ভাবনা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) বলেছেন যে “এটি ভারতের জন্য সেরা সুযোগ” প্রোটিয়াদের তাদের ঘরে হারানোর।
কার্তিক এই নিয়ে বলেছেন,”অবশ্যই, শতভাগ, ভারতের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের কন্ডিশনে মোকাবেলা করার এটাই সেরা সুযোগ এবং সম্ভবত এটি জিততে এবং বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে জিতে যেতে পারে। আমি বলছি কারণ ভারতের একটি শক্তিশালী ফাস্ট বোলিং লাইনআপ রয়েছে এবং তাদের কাছে খুব ভালো সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি খুব ভালো ব্যাটিং লাইনআপ রয়েছে”। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার সাইমন ডলের সঙ্গে একটি চ্যাটারে দীনেশ কার্তিক একথা বলেছেন।

কার্তিক দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণেরও প্রশংসা করে বলেছেন, তাদের ব্যাটিং লাইনআপ “অরক্ষিত” এবং তারা কিছু খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল।

প্রসঙ্গত, শেষবার যখন ভারত ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছিল, তারা প্রতিটি খেলায় কঠিন লড়াই করেছিল। কিন্তু তিন টেস্টে মাত্র একটি খেলায় জিতেছিল।ভারত কখনও দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি।

দীনেশ কার্তিক চ্যাটারে বলেছেন “অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার খুব ভালো বোলিং লাইন আপ রয়েছে, বিশেষ করে ফাস্ট বোলাররা- (কাগিডো) রাবাদা, (অ্যানরিচ) নর্টজে, (ডোয়াইন) প্রিটোরিয়াস এবং তাদের পছন্দ। তবে যখন তাদের ব্যাটিংয়ের কথা আসে তখন এটি বেশ দুর্বল, তারা ফায়ার করার জন্য এক বা দুইজন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীল। তাদের বাকিদের কাছে ভারতের মতো উচ্চমানের বোলিং লাইন আপ পরিচালনা করার মতো অভিজ্ঞতা বা উপায় নেই। সুতরাং, অবশ্যই, এই পর্যায়ে আমার অর্থ ভারতে থাকবে।”

প্রাক্তন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক আরও বলেছেন, বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলের ব্যাটসম্যানরা কীভাবে শীর্ষ শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিং’র বিরুদ্ধে যাবে তা দেখা আকর্ষণীয় হবে।

ওই চ্যাটারে দীনেশ কার্তিক প্রোটিয়ার্সদের বোলিং লাইন আপ নিয়ে নিজের মত রেখে বলেছেন, “আমি মনে করি যে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার সময় চ্যালেঞ্জ ধরে কারণ তাদের আত্মবিশ্বাস বেশি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটিং কীভাবে রূপ নেয় তা দেখা সত্যিই আকর্ষণীয় হবে, এটি একটি বড় বিষয়। ভারত যদি পার্টনারশিপ সেলাই করার উপায় খুঁজে পায়(ব্যাটিং জুটি গঠন ম্যাচে) এবং প্রতিবার যখন কেউ ব্যাট করতে যায় তখন দুয়েকটি শতরান করে, তবে আমি মনে করি ভারত অস্ট্রেলিয়ায় যা অসাধারণভাবে করেছে, তা করার পথে ভাল হবে।”

ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যাবে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজে কেবলমাত্র তিনটে দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা প্রোটিয়ার্সদের হারাতে পেরেছে।

]]>