ATK মোহনবাগানে স্বাগতম, হুয়ান ফেরেন্ডো 


#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #AmraSobujMaroon”।
এরপরেই ATK মোহনবাগান নিজেদের অফিসিয়াল টুইটারে পোস্ট করে নব নিযুক্ত স্প্যানিশ হেডকোচ হুয়ান ফেরান্ডোর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া,”আমি চাই আমরা আমাদের নিজস্ব ডিএনএ তৈরি করি’ – ATK মোহনবাগানের প্রধান কোচ হিসেবে @JuanFerrandoF-এর প্রথম কথা 
#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #AmraSobujMaroon #HeroISL”।
সঙ্গে নব নিযুক্ত সবুজ মেরুন হেডস্যার বলেন,”আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই ATK মোহনবাগান দলের কর্ণধার শ্রী সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে আমার কাজের প্রতি বিশ্বাস রাখার জন্য”। স্প্যানিশ হেডকোচ এও বলেন,”আজকের দিন থেকে আমি নিজের একশো দশ শতাংশ উজাড় করে দিতে চাই সমস্ত সমর্থকদের উদ্দ্যেশ্যে যাতে তারা আনন্দ পায় সেরা ছন্দময় ফুটবলের এবং আশা রাখি আমরা সকলে মিলে একসাথে উৎসবে মেতে উঠবো। সবুজ মেরুন দলের হেডকোচ হুয়ান ফেরান্ডো বলেন,”এমনভাবে এটিকে প্রাতিষ্ঠানিক আকার দিতে হবে যাতে ভারতের তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা নিঙড়ে দিতে পারে”। কিন্তু নব নিযুক্ত ATK মোহনবাগান হেডকোচের এমন প্রতিক্রিয়াতে সবুজ মেরুন সমর্থক এবং ফুটবল ভক্তরা রিপ্লাইং টুইট পোস্টে পাঁচমিশালি প্রতিক্রিয়া রেখেছে।
পাঁচমিশালি ওই রিপ্লাইং টুইট পোস্টে Rajeev Jalandhra’র পোস্ট, “মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল 100 বছরের পুরনো ঐতিহাসিক ফুটবল ক্লাব, তাদের শুধুমাত্র 100 বছরের পুরনো ঐতিহাসিক টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপে খেলা উচিত”।Rajeev Jalandhra’র ওই রিপ্লাইং পোস্টের জবাবে পাল্টা রিপ্লাইং Samrat Guha’র পোস্ট, “আইএসএল হল ভারতীয় জাতীয় ফুটবলের খরচ দিয়ে কিছু ধনী লোকের পকেট ভর্তি করা… অদ্ভুত এআইএফএফ সেগুলিকে কিছু ধনী লোকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে…কিভাবে তারা আই লীগকে বাদ দিয়ে আইএসএলকে প্রচার করতে পারে? আইএসএল চালু হওয়ার পর থেকে ভারতীয় ফুটবল ফিফা স্তরের কোনও উন্নতি দেখতে পাচ্ছেন না”। Rajeev Jalandhra এবং Samrat Guha’র রিপ্লাইং পোস্টের জবাব Arnab Sadhu
এই উত্তরে রিপ্লাইং পোস্ট করেছে,”হুবহু ! আপনি কাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন? লোকটি রাজস্থানের, সেখানে ফুটবলের অস্তিত্ব নেই”।
আবার faltugrafer’র রিপ্লাইং পোস্টে কটাক্ষ মূল টুইটের রিপ্লাইং পোস্ট দাতাদের উদ্দেশ্য করে, “শুধু কৌতূহলের বাইরে মন্তব্য বিভাগে এত নোনতা ভক্ত কেন?”faltugrafer’র রিপ্লাইং পোস্টের ওপর পাল্টা রিপ্লাইং পোস্ট Only Mohun Bagan টুইটার হ্যাণ্ডেলারের থেকে,”Check out #RemoveATK and #BreakTheMerger campaign(বিক্ষোভ প্রদর্শন)”।
Jayakrishna_CSKfan’র রিপ্লাইং পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে,ওই পোস্টে রিপ্লাইং,”



এই ধরনের ডিচ ক্লাবের জন্য কোন নতুন মন নেই..@atkmohunbaganfc 

#banATKMB #onlyATK (or) বা ( #onlyMohunBagan



”। এই রিপ্লাইং পোস্টের জবাবে Arnab Sadhu
রিপ্লাইং,”
”।
গত সোমবার নব নিযুক্ত ATK মোহনবাগান হেডকোচ হুয়ান ফেরান্ডোর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াকে ATK মোহনবাগান নিজেদের অফিসিয়াল টুইটারে পোস্টের পাল্টা প্রতিক্রিয়াতে Krishnan Iyar’র রিপ্লাইং পোস্ট, “অনুগ্রহ করে 22 স্ট্র্যান্ড অভিজাত ডিএনএর সাথে নিজেকে পরিচিত করুন। যে এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক।
#RemoveATK
#breakthemerger
গলি গলি মে শোর হ্যায়, ডিডি টুম্পাই চোর হ্যায়”।
Mumbai Pune Meriners হুয়ান ফেরান্ডো’র প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে রিপ্লাইং পোস্ট,”এই সত্ত্বার ডিএনএতে প্রচুর প্লাস্টিক রয়েছে #ATKMBisnotmyclub”।এর জবাবে Goutam Dass’র রিপ্লাইং পোস্ট,”#BoycottATKMBMatchDay #ATKMBisnotmyclub
#BreakTheMerger
#JoyMohunBagan
JIBONER RONG SOBUJ MAROON_J… হুয়ান ফেরান্ডোর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াকে ঢাল করে রিপ্লাইং পোস্ট, “
#BreakTheMerger বা #RemoveATK ভাইরাস”।
সব মিলিয়ে “পাঁচমিশালি” প্রতিক্রিয়া এসেছে ATKমোহনবাগানের নব নিযুক্ত হেডকোচ হুয়ান ফেরান্ডো’র প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতে।
একটানা ১০ দিনের বেশি ধরনা চলার পরও সরকারপক্ষ অবশ্য তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেনি। তাই সরকারের প্রতি হুমকি দিয়ে শুক্রবার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা বলেছেন, তাঁরা আগামী সপ্তাহে প্রতীকী অনশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লেও সরকার কোনও রকম ভাবে নরম মনোভাব দেখায়নি।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান প্রথমে জানিয়েছেন, সাংসদরা ক্ষমা চাইলে তিনি সাসপেনশন প্রত্যাহার করবেন। প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে বিরোধীরা। পরবর্তী ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সাংসদের প্রস্তাব দিয়েছেন, যদি দু’জন সাংসদ আলাদা করে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তবে তিনি সকলের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেবেন।
তবে বিরোধীরা ওই প্রস্তাবও উড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধীরা মনে করছে, এই প্রস্তাব দিয়ে সরকার আসলে বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরানোর চেষ্টা করছে। তাই সাসপেনশনের প্রতিবাদে আগামী সপ্তাহে অনশন শুরুর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত সাংসদরা যদি অনশন ধর্মঘটে বসেন তাতে সরকারের উপর চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি তাঁরা এটাও জানতে চাইছেন যে, বিরোধীরা একদিনের প্রতীকী অনশন করবেন নাকি, অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁদের এই অনশন চলবে।
]]>সরকারের এই লিখিত আশ্বাসের মধ্যে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়টিও রয়েছে। এরপরই শোনা যাচ্ছে প্রায় ১৫ মাস ধরে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলন থেকে সরে আসার পরিকল্পনা (Planning) করছেন কৃষক নেতারা।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষক সংগঠনগুলির কাছে কেন্দ্রের মোদি সরকার যে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হবে। ফসলের গোড়া পোড়ানোর জন্য কৃষকদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা করা হয়েছে সেগুলি তুলে নেওয়া হবে। গত এক বছরে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কৃষকদের বিরুদ্ধ যে সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে সেই মামলাগুলি যদি কেন্দ্র প্রত্যাহার বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় সেক্ষেত্রে কৃষক নেতারা আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন বলে সরকারকে পাল্টা আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০-র সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে তিন কৃষি আইন তৈরি হয়েছিল। সরকারের দাবি ছিল, ওই আইন কৃষকদের জীবনের মানোন্নয়ন করবে। কিন্তু কৃষকদের পাল্টা দাবি ছিল, তাদের বড় মাপের ক্ষতি করবে এই আইন। সে কারণেই তাঁরা এই আইন প্রত্যাহার করার জন্য প্রায় ১৫ মাস ধরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়েছেন। কৃষকদের সেই প্রবল আন্দোলনের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সাংবিধানিকভাবেই মোদি সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ছোট কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে তাঁদের ফসল বিক্রি করতে পারেন সে জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন কৃষক নেতারা।
]]>সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের ছবিতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে বসে সিধু স্লোগান দিচ্ছেন।
২৪ ঘন্টা আগে অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরঞ্জিৎ সিং চান্নির নির্বাচনী কেন্দ্র চামকাউর সাহিবে গিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন। রাঘব সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, চান্নি বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত। কেন তাঁর সঙ্গে বালি মাফিয়াদের এত ঘনিষ্ঠতা তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল পাঞ্জাবের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষকদের সমস্যার মত বিষয়গুলি নিয়ে চান্নি তথা কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেন
রবিবার দিল্লিতে আপ সরকারকে তারই পাল্টা জবাব দিয়েছেন সিধু। এদিন বিক্ষোভরত দিল্লির অতিথি শিক্ষকদের ওই সমাবেশে যোগ দিয়ে সিধু কেজরি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দিল্লির এডুকেশন মডেল হল ‘কন্টাক্ট মডেল’ অর্থাৎ চুক্তির ভিত্তিতে চলে। দিল্লির বেশিরভাগ স্কুলে শিক্ষা কর্মীদের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়।
কেজরি সরকারের শাসনে দিল্লিতে গত পাঁচ বছরে বেকারের সংখ্যা পাঁচগুণ বেড়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ও তাঁর সহযোগীরা পাঞ্জাব এ গিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এগুলো যে ভুয়ো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ওই সমস্ত প্রতিশ্রুতি যদি সত্য হত তাহলে তো কেজরিওয়াল আগে দিল্লিতেই সেই কাজগুলি করে দেখাতেন। যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেজরিওয়াল দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করেছেন তার কোনওটাই পূরণ করেননি। তার প্রমাণ এই অতিথি শিক্ষকরা।
কেজরিওয়ালের প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা করে তাঁরা সাত বছর অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সে কারণেই প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। কংগ্রেস এই শিক্ষকদের পাশেই থাকবে। কারণ তাঁদের দাবি-দাওয়াগুলি যথার্থ। কেজরি দিল্লিতে যে কাজ করতে পারেন না পাঞ্জাবে তার থেকে অনেক বেশি কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, এটা কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য!
]]>২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Season)। শুক্রবার পর্যন্ত এই অধিবেশনে রাজ্যসভায় (Rajya Shabha) মোট কাজের ৫২ শতাংশের বেশি সময় নষ্ট হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত সময় নষ্ট হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মূলত বিরোধীদের হই হট্টগোল, চিৎকার চেঁচামেচির কারণেই এই সময় নষ্ট হয়েছে। তবে আশার কথা, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের আশা, সংসদের বাকি কাজের দিনগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্মে হবে।
শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলের ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে ছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নায়ডু। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই বিরোধীরা অধিবেশন চালাতে প্রবল বাধা দিয়েছে।
রাজ্যসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে অধিবেশনের জন্য নির্ধারিত সময়ের ৫২ শতাংশ সময় কোনও কাজ হতে পারেনি। তবে বৃহস্পতিবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ওই দিন নির্ধারিত সময়ের থেকে রাজ্যসভা ৩৩ মিনিট বেশি চলেছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশন আধঘন্টা বেশি চলায় ওই সপ্তাহে রাজ্যসভার মোট কাজের সময়ের ৪৭.৭০ শতাংশ সময় কাজ হয়েছে। রাজ্যসভার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার মোট কাজের ৯৫ শতাংশ এবং শুক্রবার ১০০ শতাংশ সময় কাজ হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকার অবশ্য সংসদ অচল থাকার দায় বিরোধীদের ঘাড়েই চাপিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধীদের বাধা দানের ফলেই সংসদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকা জলে গিয়েছে। এই টাকা সাধারণ মানুষের পকেট থেকেই সরকার রাজস্ব হিসেবে সংগ্রহ করে। তাই বিরোধী দলের সাংসদদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, সরকার পক্ষ তাঁদের সংসদে কোনও কথাই বলতে দেয় না। সরকারপক্ষ তাঁদের কথা বলতে না দিয়ে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রতিবাদস্বরূপ তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করতে বাধ্য হন। তাঁদের এই আচরণের জন্য সরকারই দায়ী।
]]>হবু শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোনোর চেষ্টা করতেই পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ (lathi charge) করে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। যে কারণে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের একটি পরীক্ষা নিয়েছিল যোগী সরকার। ৬৯ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু ওই নিয়োগের পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন হবু শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে যথাযথ নিয়ম মেনে উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। ৬৯ হাজার শূন্যপদের সঙ্গে রাজ্যে নতুন করে তৈরি হওয়া আরও ২২ হাজার শূন্য পদে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
69000 शिक्षक भर्ती में पिछड़ों-दलितों का आरक्षण मारने वाले CM अब लाठियां बरसा रहे हैं।
लखनऊ में शांतिपूर्ण तरीके से कैंडल मार्च निकाल रहे 69000 शिक्षक भर्ती के अभ्यार्थियों पर पुलिस द्वारा बर्बर लाठीचार्ज दुखद एवं शर्मनाक!
युवा बेरोजगारों इंकलाब होगा, बाइस में बदलाव होगा। pic.twitter.com/t6H56O8ydX
— Samajwadi Party (@samajwadiparty) December 4, 2021
যথারীতি মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি সমালোচনা করেছে রাজ্যের অন্যতম দুই বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি। শিক্ষকদের মিছিলে লাঠি চালানোর ঘটনার সমালোচনা করে রাহুল রবিবার ট্যুইট করেন, চাকরির দাবিতে হবু শিক্ষকরা পথে নেমে ছিলেন। যোগী সরকার চাকরি দেওয়ার পরিবর্তে তাঁদের লাঠিপেটা করেছে। যাঁরা দেশ গড়ার কারিগর তাঁদের উপরে এভাবে লাঠি চালানোর ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মুখ্যমন্ত্রী যোগী দলিত ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। হবু শিক্ষকরা তো সামান্য একটা চাকরি চেয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষকদের সেই দাবিতে কর্ণপাত না করে যোগী আদিত্যনাথ পুলিশ দিয়ে তাঁদের পিটিয়েছেন। এই অমানবিক ঘটনার নিন্দা করার মত কোনও ভাষা নেই।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, যোগী সরকার মানুষকে একমুঠো ভাত দিতে পারে না, কিন্তু অকারণে লাঠিপেটা করতে পারে। হবু শিক্ষকরা ন্যায্য দাবিতেই পথে নেমেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা উচিত ছিল সরকারের। কিন্তু সেটা না করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী ব্রিটিশ শাসকদের মতো আচরণ করেছেন।
উল্লেখ্য, শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন হবু শিক্ষকরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গত ৫ মাসে শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সময় পেলেন না। সে কারণেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বসসভবনের উদ্দেশ্যে মোমবাতি মিছিল করে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁদের এই মিছিল ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু পুলিশ তাঁদের অকারণে লাঠিপেটা করেছে।
]]>দিল্লির তিন সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র (Narendra Modi) মোদির ঘোষণা অনুযায়ী তিন কৃষি আইন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলবে। একই সঙ্গে কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন এবং গত এক বছরে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব পুলিশি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে। পাশাপাশি এদিন এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, আজ নয়, ২৭ নভেম্বরই কৃষক আন্দোলনের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

১৯ নভেম্বর শুক্রবার গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কৃষক আন্দোলন জারি রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে রবিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল কৃষক সংগঠনগুলির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হল। আপাতত যাবতীয় আন্দোলন কর্মসূচি জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ।

মোদি (Narendra Modi) তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার পর প্রশ্ন ওঠে যে, দিল্লি সীমান্তে প্রায় এক বছর ধরে যে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা তাকি চলবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবারই বৈঠকে বসে সংযুক্ত কিষান মোর্চার অধীনে থাকা ৩২টি কৃষক সংগঠন। তবে শনিবার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই রবিবার দিল্লির সিংঘু সীমান্তে সকাল ১১টায় দ্বিতীয় দফার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এই বৈঠকেই আন্দোলনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে এই বৈঠক স্থগিত রাখা হয়। ২৭ নভেম্বর এই বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৭ তারিখের বৈঠক না হওয়া অবধি কৃষক আন্দোলনের যাবতীয় কর্মসূচি বহাল থাকবে। সেই সূচি মেনে ২২ নভেম্বর লখনউয়ে যে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল তাও নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ীই হবে।
কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, “সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তা যথারীতি পালন করা হবে। সেই কর্মসূচি মেনেই ২২ নভেম্বর লখনউয়ে মহাপঞ্চায়েত, ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সীমান্তে কৃষকদের বিশাল জমায়েত এবং ২৯ নভেম্বর থেকে সংসদ ভবন অবধি ট্রাক্টর মিছিলের যে পরিকল্পনা রয়েছে তা পালন করা হবে। ২৭ নভেম্বরের বৈঠকে ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

রবিবার সকালে কৃষক আন্দোলনের সংগঠক সংযুক্ত কিষান মোর্চা সিংঘু সীমান্তে (singhu border)মোদির ঘোষণা এবং তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এদিন বিস্তারিত কোনও আলোচনা হয়নি। এদিন নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা বলার পর কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল (balbar sing) বলেছেন, “আমরা কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে আমরা শুধু মুখের কথায় বিশ্বাস করছি না। আমরা দেখছি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কবে এই আইন বাতিল করা হয়। পাশাপাশি আমাদের আরও কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে। সেই দাবিগুলি আমরা খোলা চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। এছাড়াও আজ আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সংযুক্ত কিষান মোর্চার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিগুলি যেমন আছে তেমনই চলবে।”
শুক্রবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) সহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণা সত্ত্বেও, কৃষক সংগঠনগুলি অবশ্য এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। মোদির ঘোষণার পর রাকেশ টিকায়েতকে প্রশ্ন করা হয়, টিকরি, সিংঘু ও গাজীপুর সীমান্ত থেকে আন্দোলনকারীরা এখনও সরে যায়নি কেন? জবাবে টিকায়েত বলেন, সীমান্ত খালি করার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই তিন আইন বাতিলও হয়নি। আমরা শুধু মুখের ভরসা করতে পারছি না। এক বছর ধরে কৃষকরা এখানে আন্দোলন করছেন। শহিদ হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন কৃষক। এর দায় কে নেবে? এ সময় এক সাংবাদিক টিকায়েতকে প্রশ্ন করেন, আগে আপনি বলতেন বিল প্রত্যাহার না হলে বাড়ি ফিরবেন না ।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো গণমাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিল ফেরত নেওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে টিকায়েত বলেন, লক্ষাধিক কৃষক এখানে এক বছর ধরে ধর্নায় বসে থেকেছেন। কয়েক শো কৃষক শহিদ হয়েছেন। আন্দোলনে করার জন্য কৃষকদের ওপর আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। গত একবছরে কতকিছু ঘটেছে। সবকিছুর হিসাব বরাবর হলেই আমরা ফিরে যাবো। আমাদের আর কয়েকদিন দেরি হলে অসুবিধা কোথায়?
]]>সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে জি বাংলা চ্যানেলের বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে ক্রমাগত ভাবে হিন্দি গান জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পর্বে। এছাড়া তাদের আরো অভিযোগ বাংলা ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে করুণাময়ী রানী রাসমণি নামক ধারাবাহিকে। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এই পথ যদি না শেষ হয় নামক ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে করবা চৌত নামক প্রথা নাকি বাঙালি সমাজে প্রচলিত। এছাড়াও বাঙালি বৌ অবাঙালি বর এবং রাখিবন্ধন নামক ধারাবাহিকও এই তালিকায় আছে।
বাংলা পক্ষ আরো জানিয়েছে যে জনপ্রিয় ক্রিকেটার পরিচালিত দাদাগিরি নামক অনুষ্ঠান, ডান্স বাংলা ডান্স এবং সারেগামাপা নামক অনুষ্ঠানেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে হিন্দি গান বাজানো ও প্রচার চালানো হয়।
সংগঠনের তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলা শাখার সম্পাদক পিন্টু রায় সরাসরি বলেছেন আমরা কখনোই হিন্দি গান বা হিন্দি ভাষি কলাকুশলীদের বিরোধী নই আমরা কেবল বাঙালি সংস্কৃতির ওপর হিন্দি সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চ্যানেল গুলির যে প্রবনতা তার বিরোধী।

পাশাপাশি ভিস্তা বাংলার মাটিতে চলা ভিস্তা ডোমের রেল যাত্রায় নেই বাংলারই স্থান। তা নিয়েই এবার প্রতিবাদে নামে শিলিগুড়ি বাংলাপক্ষ। শিলিগুড়ি বাংলা পক্ষ আজ একাধিক কর্মসূচী পালন করে। প্রথমে সংগঠনের জেলা শাখার নেতৃত্বে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে বাংলা ভাষার সাইনবোর্ড ও অন্যান্য পরিষেবার দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গেই সম্প্রতি চালু হওয়া ভিস্তাডোম ট্রেনে পর্যটকদের যে যাত্রা পথের বিবরণ শোনানো হচ্ছে তা হিন্দি ও ইংরাজীতে, বাংলা ভাষা নেই বাংলার মাটিতেই। এর প্রতিবাদে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথের DRM কেও ডেপুটেশন দেওয়া হয় এবং অবিলম্বে বাংলা ভাষা যোগ করার দাবি জানানো হয়।
]]>শিলিগুড়ি বাংলা পক্ষ আজ একাধিক কর্মসূচী পালন করে। প্রথমে সংগঠনের জেলা শাখার নেতৃত্বে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে বাংলা ভাষার সাইনবোর্ড ও অন্যাশন্যে পরিষেবার দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গেই সম্প্রতি চালু হওয়া ভিস্তাডোম ট্রেনে পর্যটকদের যে যাত্রা পথের বিবরণ শোনানো হচ্ছে তা হিন্দি ও ইংরাজীতে, বাংলা ভাষা নেই বাংলার মাটিতেই। এর প্রতিবাদে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথের DRM কেও ডেপুটেশন দেওয়া হয় এবং অবিলম্বে বাংলা ভাষা যোগ করার দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের তরফে বহিরাগত রেল কর্মচারীদের মধ্যো বর্ণ পরিচয় বিলি করে, তাদের বাংলা ভাষা শিখে নেওয়ার কথা বলা হয়। কারণ সংবিধান অনুযায়ী বাঙালি নিজের মাটিতে বাংলায় সকল পরিষেবা পাবে এটাই সঠিক। এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্যএ রাজাদিত্যএ সরকার, কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যর সাগরিকা দাশগুপ্ত, সংগঠনের শিলিগুড়ি শাখার জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায় , জেলা কমিটির সদস্য আশিস সাহা সহ অন্যারন্যর নেতৃত্ব ও সদস্যররা।
এইদিন বাংলা বললে বাংলাদেশ চলে যাওয়ার কথা বলা হিন্দিভাষী বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আইনত ব্যথবস্থা গ্রহণের দাবিতেও শিলিগুড়ি থানায় আবেদন করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা উল্লেখ করা হয়। সেইসঙ্গে এই কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মুখার্জী হসপিটাল নামের ঐ বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেও ধন্যাবাদ জানানো হয়।
]]>তারা বলছেন, ‘জি বাংলা সহ নানা বাংলা চ্যানেলের বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে ক্রমাগত ভাবে হিন্দি গান জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পর্বে।’
অভিযোগ, বাংলা ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে “করুণাময়ী রানী রাসমণি” নামক ধারাবাহিকে। “এই পথ যদি না শেষ হয়” নামক ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে করবা চৌথ নামক প্রথা নাকি বাঙালি সমাজে প্রচলিত। এছাড়াও বাঙালি বৌ, অবাঙালি বর- এই কম্বিনেশন দেখানো হচ্ছে সর্বত্র, উল্টোটা নয় এবং “রাখিবন্ধন” নামক ধারাবাহিকও এই তালিকায় আছে।

এছাড়া জনপ্রিয় ক্রিকেটার পরিচালিত “দাদাগিরি” নামক অনুষ্ঠান, “ডান্স বাংলা ডান্স” এবং “সারেগামাপা” নামক অনুষ্ঠানেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে হিন্দি গান বাজানো ও প্রচার চালানো হয়।
সংগঠনের তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলা শাখার সম্পাদক পিন্টু রায় সরাসরি বলেছেন, “আমরা কখনোই হিন্দি গান বা হিন্দি ভাষি কলাকুশলীদের বিরোধী নই। আমরা কেবল বাঙালি সংস্কৃতির ওপর হিন্দি সংস্কৃতি (নিম্ন রুচির উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি) চাপিয়ে দেওয়ার চ্যানেল গুলির যে প্রবণতা তার বিরোধী।”
তিনি এও বলেন, “আমাদের জেলার অন্তর্গত রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিও তে এই সমস্ত ধারাবাহিক ও অনুষ্ঠান গুলির শুটিং হয় তাই ওখানে গিয়ে আমরা ডেপুটেশন প্রদান ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবো আগামী রবিবার ২১শে নভেম্বর সকাল ১১ টায়।” তিনি আরও বলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন এবং উপস্থিত থাকবে বাঙালি সুশীল সমাজ ও দর্শকদের সমর্থন।
]]>সন্দীপন জানিয়েছেন, “পেট্রোলের দাম আকাশছোঁয়া , বোনের বাড়িতে ফোঁটা নিতে বাইক বা গাড়ি ছেড়ে সাইকেলে পারি আপ ডাউন ৬০ কিলোমিটার রাস্তা। বিনাব্যায়ের মাধ্যম সাইকেলই হয়তো ভবিষ্যত , তাই ভাইয়ের সাথে সাথে সাইকেল কে ভাইফোঁটা দিয়েছে আমার বোনও, দীর্ঘজীবি হোক সাইকেল , পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা”।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় লিটারে ৫ টাকা ৮২ পয়সা কমে পেট্রোলের নতুন দাম হল ১০৪ টাকা ৬৭ পয়সা। লিটারে ১১ টাকা ৭৭ পয়সা কমল ডিজেলের দাম। কলকাতায় ডিজেলের দাম দাঁড়াল ৮৯ টাকা ৭৯ পয়সা।পেট্রোল-ডিজেলে ভ্যাট কমিয়েছে গুজরাত, অসম, ত্রিপুরা, কর্ণাটক, গোয়া, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ড, বিজেপি শাসিত এই সাত রাজ্য। পেট্রোল-ডিজেলে ভ্যাট কমিয়েছে সিকিম সরকারও।

অসম, ত্রিপুরা, কর্ণাটক এবং গোয়া প্রতি লিটার পেট্রোল এবং ডিজেলের ভ্যাট কমিয়েছে ৭ টাকা। প্রতি লিটার পেট্রোল-ডিজেলের ভ্যাট ১২ টাকা কমিয়েছে উত্তরপ্রদেশ।
দেশজুড়ে পেট্রোল, ডিজেলের নির্ভরতা কমাতে স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকরি জানিয়েছেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সমস্ত নতুন গাড়িতে ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন বাধ্যতামূলক করার দিকে এগোচ্ছে কেন্দ্র। এই নিয়ম যদি লাগু হয়, তবে দেশবাসী অনেকটাই স্বস্তি পাবে। তাঁরা পেট্রোল-ডিজেলের বদলে একটি বিকল্প জ্বালানী হাতে পাবে, যা দামে অনেক কম।
নীতিন গডকরি জানিয়েছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এই নতুন নিয়ম লাগু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। কেন্দ্র সরকার সমস্ত অটোমোবাইল কোম্পানিগুলিকে অনুরোধ করবে তারা যেন ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন ব্যবহার করেন। কেন্দ্র যদি এই নিয়ম অনিবার্য হিসেবে লাগু করে, তবে জ্বালানীর দাম ৬০ টাকা প্রতি লিটারে চলে আসবে। এরফলে মানুষের পকেটে চাপ অনেকটাই কমবে।
<
p style=”text-align: justify;”>সাধারণত এক লিটার ইথানল ৮০০ গ্রাম পেট্রোলের সমান কাজ করে। এছাড়া এই বিশেষ ইঞ্জিন বৈদ্যুতিক শক্তি তথা সিএনজি, বায়ো-এলএনজিকেও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। তাছাড়া এর দূষণও পেট্রোলের তুলনায় অনেকটাই কম। বলা হচ্ছে এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ দামি পেট্রোল ও ডিজেল থেকে মুক্তি পাবেন এবং যানবাহনের জ্বালানি প্রতি লিটারে মাত্র ৬০ টাকাই খরচ করতে হবে আমজনতাকে। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন নিয়ে নিয়মিত কথাবার্তা চলছে।
]]>জিন্দাল ফ্যাক্টরিতে বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের কাজের দাবিতে বাংলা পক্ষর পশ্চিম মেদিনীপুর শাখা বিক্ষোভ কর্মসূচী করে। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদের সদস্য কৌশিক মাইতি, ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস, অমিত সেন, সোয়েব আমিন, জেলা নেতৃত্ব অমিত দে সহ সায়ন মিত্র, আনোয়ার হোসেন ও অন্যান্যরা। বাঙালির স্বার্থের দাবিতে প্রতিবাদী সংগঠন দাবি তুলেছে, জিন্দাল ফ্যাক্টরি সহ বাংলার সমস্ত ফ্যাক্টরি, কোম্পানীতে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই।

সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমাদের মাটিতে শিল্প হয়েছে, কারখানার ধোঁয়া খাই৷ চাকরিও স্থানীয় মানুষের চাই। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিটা প্রতিনিধিকে অনুরোধ, জিন্দালের ফ্যাক্টরিতে বাঙালির কাজের ব্যবস্থা করুন। আপনারা তো বাংলার প্রতিনিধি, বিহার-ইউপির না।”
কৌশিক মাইতি বলেন, “বাংলা জুড়ে বাংলা পক্ষ বাঙালির চাকরি ও কাজের দাবিতে লড়ছে। জিন্দাল কর্তৃপক্ষকে ধিক্কার। তারা এখানে ব্যবসা করলেও ভূমিপুত্রিদের বঞ্চিত করে বিহার-ইউপি থেকে লোক আনা হচ্ছে। স্থানীয় বাঙালিদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। বাংলা পক্ষ মানবে না, বাঙালি মানবে না।”
ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস স্থানীয় সমস্ত ভূমিপুত্রদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হলে তবেই বাঙালির অধিকার আদায় হবে।
সিপিআইএমের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষকসভার নেতৃত্বে আন্দোলন বিরাট ভূমিকা নিয়েছে। রাজ্যের সর্বত্র চলছে রেল রোকো। বাঁকুড়ায়। ওন্দা স্টেশনে রেল রোকো কর্মসূচি পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কৃষকসভার বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায় ও জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তরুণ সরকার সহ অন্যান্যরা।
তবে কৃষষ আন্দোলনে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা জানানো হয়। হামলার কড়া নিন্দা করেছে সিপিআইএম পলিটব্যুরো। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক মনোভাব ও রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনাও করেছে সিপিআইএম। উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের পিষে মারার নায়ককে আড়াল করতে সে রাজ্যে বিজেপি সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন বাম নেতারা। এক ঘন্টার অবরোধে খড়্গপুর-আদ্রা শাখায় রেল চলাচল ব্যাপক বিঘ্নিত হয়। সমস্যায় পড়েন সাধারণ রেলযাত্রীরা।
]]>দিনটি ছিল ১৯০৫ সাল বাংলার ৩০ আশ্বিন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে হলো রাখিবন্ধন উৎসব যা ছিল সম্প্রীতি – ভ্রাতৃত্বের বার্তাবাহক। গাওয়া হলো- ” বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল—পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান ॥”
রাখির সঙ্গে বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস জড়িয়ে অনেক আঙ্গিকে। সেখানে ধর্ম যেমন রয়েছে, আছে ইতিহাসের ছোঁয়া, আছে আবেগ। পুরাণ প্রসঙ্গও সেই কাহিনী বলে। মহাভারতের শিশুপাল বধ হত্যায় শ্রীকৃষ্ণের রক্তাক্ত হাতে ওড়না বেঁধে দিয়েছিলেন দ্রৌপদী। ভাইকে রক্ষায় বোনের সেই বাঁধন দেশজুড়ে পালিত হয় রাখি বন্ধন উদযাপনে।
বঙ্গভঙ্গ আইনে যখন ভাগ হচ্ছে দুই বাংলা, সেই অশান্ত মূহুর্তকে সম্প্রীতির বন্ধনে বেঁধেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আশ্বিনের সেই শুভক্ষণ তৎকালীন সময়ে স্থানও পেয়েছিল পঞ্জিকাতে। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমার সঙ্গে অবশ্য এ রাখি বন্ধনের যোগ প্রায় নেই। যা আছে তা ভ্রাতৃত্বের এবং সম্প্রীতির। রাখি ‘পূর্ণিমার’ সঙ্গে যোগ না থাকলেও রাখি বন্ধন বলতেই উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গ। ফিরে আসে বঙ্গভঙ্গের সেই অস্থির সময়। লর্ড কার্জন তখন ভাইসরয়। ইংরেজরা দেশ ছাড়ার আগে বাংলা ভাগ করে যাবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৯০৪ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানান হতেই দেশজুড়ে উঠল বিরোধিতার রব। বাংলা তখন জ্বলছে। রবীন্দ্রনাথের কলমে একের পর গর্জে উঠছে একের পর এক স্বদেশী কবিতা-গান। লিখলেন- “ধর্ম আমার মাথায় রেখে/ চলব সিধে রাস্তা দেখে/ বিপদ যদি এসে পড়ে/ সরব না, ঘরের কোণে সরব না, দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না/আমি ভয় করব না ভয় করব না॥”
দিনটি ছিল ১৬ অক্টোবর ১৯০৫। বঙ্গভঙ্গের আইনের বিরুদ্ধে সকলকে একযোগে করে রুখে দাঁড়াতে শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রী ভূপেন্দ্রনাথ বসু, শ্রী সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রী হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, শ্রী রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, শ্রী বিপিনচন্দ্র পাল ডাক দিয়েছিলেন ঐক্যবন্ধনের। শহরজুড়ে বিলি হয়েছিল প্রচারপত্র। ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর, ৩০শে আশ্বিন বাঙালির ঐক্যবন্ধনের দিন ঘোষিত হয়েছিল। সকলের হাতে রাখি পরিয়ে সংযম গ্রহণের ডাক দিয়েছিলেন। প্রচারপত্রে বলা হয়েছিল,”ঐ দিন সমস্ত বাংলাদেশের কোথাও কোন গৃহে রন্ধন হইবে না। আমরা বাঙালিরা সেদিন উষ্ণ দ্রব্য ভোজন করিব না। বন-ভোজনের পারণের ন্যায় চিড়া মুড়কী, ফলাদি আহার করিয়া থাকিব৷ কেবল শিশুর জন্য দুগ্ধ জ্বাল দিতে অন্যত্র অগ্নি জ্বালিব চুল্লি জ্বালিব না। ঐ দিনকেই প্রতি বৎসর বাঙালির রাখি বন্ধনের দিন করিয়া স্মরণীয় করিয়া রাখিব।”
রানী চন্দ সম্পাদিত ‘ঘরোয়া’-তে ‘রবিকাকা’র সেই লড়াইকে ব্যক্ত করেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর কথায়, “রবিকাকা একদিন বললেন, রাখিবন্ধন-উৎসব করতে হবে আমাদের, সবার হাতে রাখি পরাতে হবে। ঠিক হল সকালবেলা সবাই গঙ্গায় স্নান করে সবার হাতে রাখি পরাব। এই সামনেই জগন্নাথ ঘাট, সেখানে যাব— রবিকাকা বললেন, সবাই হেঁটে যাব, গাড়িঘোড়া নয়। গঙ্গাস্নানের উদ্দেশ্যে, রাস্তার দুধারে বাড়ির ছাদ থেকে আরম্ভ করে ফুটপাথ অবধি লোক দাঁড়িয়ে গেছে— মেয়েরা খৈ ছড়াচ্ছে, শাঁক বাজাচ্ছে, মহা ধুমধাম – যেন একটা শোভাযাত্রা দিমুও ছিল সঙ্গে, গান গাইতে গাইতে রাস্তা দিয়ে মিছিল চলল— বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল—পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান ॥” রবীন্দ্রনাথের সেই ডাক উপেক্ষা করতে পারেনি কেউ।
অবন ঠাকুরের কথায়, “ঘাটে সকাল থেকে লোকে লোকারণ্য, রবিকাকাকে দেখবার জন্য আমাদের চার দিকে ভিড় জমে গেল। স্নান সারা হল— সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল এক গাদা রাখি। সবাই এ ওঁর হাতে রাখি পরালুম। অন্যরা যারা কাছাকাছি ছিল তাদেরও রাখি পরানো হল। হাতের কাছে ছেলেমেয়ে যাকে পাওয়া যাচ্ছে, কেউ বাদ পড়ছে না, সবাইকে রাখি পরানো হচ্ছে। গঙ্গার ঘাটে সে এক ব্যাপার। পাথুরেঘাটা দিয়ে আসছি, দেখি বীরু মল্লিকের আস্তাবলে কতকগুলো সহিসকে হাতে রাখি পরিয়ে দিলেন রবিকাকা। রাখি পরিয়ে আবার কোলাকুলি, সহিসগুলো তো হতভম্ব। হঠাৎই রবিকাকার খেয়াল গেল চিৎপুরের বড়ো মসজিদে গিয়ে সবাইকে রাখি পরাবেন। হুকুম হল, চলো সব। রওনা হলুম সবাই। গেলুম মসজিদের ভিতরে, মৌলবীদের হাতে রাখি পরিয়ে দিলুম। ওরা একটু হাসলে মাত্র।”
রবীন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি থেকে জানা যায় এই রাখি উৎসবের মন্ত্র বাতলে দিয়েছিলেন ক্ষেত্রমোহন কথক ঠাকুর। শুধু তাই নয়, এই রাখিবন্ধন উৎসবকে সেই সময় পঞ্জিকাতেও স্থান দিয়েছিলেন ক্ষেত্রমোহন। যদিও পরবর্তীতে সময়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই দিন মুছে যায়। তবু শ্রাবণের রাখি উৎসবেই বারবার ফিরে আসে রবিপ্রসঙ্গ। কারণ ভাই-বোনের সম্পর্কের বাইরেও সমাজকে একসুতোয় বাঁধার উৎসবই যেন রাখিবন্ধন।
প্রসঙ্গত, ১৯০৫ সালের ৩০ শে আশ্বিন ছিল ১৬ অক্টোবর, কিন্তু ২০২১ সালে এ ৩০ শে আশ্বিন ১৭ অক্টোবর।
আরও পড়ুন #BharatBandah: ত্রিপুরায় বনধে সফল মানিক, বাংলায় বিফল সূর্য-সেলিম
পরে একটি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে থাকা ওই ব্যক্তির (মৃত) উপর লাফাচ্ছেন অসম পুলিশের এক চিত্রগ্রাহক। পরে অবশ্য ওই চিত্রগ্রাহককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল বাংলাপক্ষ।

বাঙালি হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই তারা সাড়া বাংলা জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাপক্ষের সদস্যরা। গান্ধী জন্ম জয়ন্তীতেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার চিনার পার্ক সংলগ্ন সলুয়া বাজারে একটি পথসভা ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে তারা। সংগঠনের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ পরিষদের সদস্য অমিত সেন ও উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, জেলা কমিটির সদস্য সায়ন মিত্র এবং অন্যান্য সদস্যরা। কর্মসূচিটি পালন করা হয় সলুয়া বাজারে অবস্থিত ভারতীয় সেনার আসাম রেজিমেন্টের ট্রানজিট শিবিরের সামনে। উক্ত সভা থেকে তারা বাঙালি হত্যার বিরুদ্ধে সুবিচার চেয়ে আওয়াজ তোলে।
]]>আরও পড়ুন পুজোয় আসছে গোলন্দাজ, তার আগেই নগেন্দ্রপ্রসাদের নামে লিগ চালুর দাবি তুললেন মোহনবাগান কর্তা
এবার ‘এটিকে মোহনবাগান ফুটবল ক্লাব’-এর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, এটিকে মোহনবাগান ‘মোহনবাগান’ এবং ‘এটিকে’র ইউনাইটেড ক্লাব নয়। ১৮৮৯ সালেই প্রতিষ্টা হয়েছিল ক্লাবের। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক ক্লাব মোহনবাগানের ঐতিহ্যই বহন করছে এটিকে মোহনবাগান।

দিনকয়েক আগেই মোহনবাগান জনতার বিক্ষোভের ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিখ্যাত ফুটবল প্রেজেন্টার জো মরিসন। TEN Sports, TEN Action+, SONY SIX সহ বিভিন্ন চ্যানেলে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর জনপ্রিয় শো C2K (কাউন্টডাউন টু কিকঅফ) বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় তাঁকে। তিনিই সবুজ-মেরুন জনতার বিক্ষোভের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘What a photo.’ তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিক্ষোভেরই সুফল পেলেন সমর্থকরা। এরপরেই নতুন উদ্যমে সমর্থকরা জানিয়েছেন, ‘যতদিন না এটিকের নাম মায়ের নামের সামনে থেকে সরবে, ততদিন আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবো।
What a photo: pic.twitter.com/3RfVQxmdmm
— Joe Morrison (@joefooty) September 27, 2021
বিক্ষোভের সূত্রপাত্র গতবছর মোহনবাগান এবং এটিকে মার্জ করায়। যদিও সেই বিক্ষোভ খানিক কমলেও কয়েকদিন আগে থেকেই আবার পথে নেমেছেন মোহনবাগান জনতা। বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এটিকের বোর্ড মেম্বার উৎসব পারেখের একটি মন্তব্যে। চলতি বছরে এটিকে-মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলছে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বেও পৌঁছেছিল। যদিও ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে ‘এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান’এর কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের। কিন্তু এএফসি কাপে খেলা সম্ভব হয়েছে গত বছর কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে ‘মোহনবাগান’ আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়।
একটি সাক্ষাৎকারে পারেখ হঠাৎই বলে বসেন, ‘মোহনবাগানের নিজেদের ক্ষমতায় এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা নেই। ওদের কখনও পরিকল্পনাতেও ছিল না যে মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলতে পারবে। মোহনাবাগন তো নিজস্ব গায়ের জোরে আজ পর্যন্ত খেলল না। এতদিন সেই কারণেই এএফসি কাপে খেলেনি তারা। এটিকে আসাতেই সেই সুযোগ পেয়েছে তারা। ফলে মোহনবাগান সমর্থকদের এটিকে মোহনবাগানকেই সমর্থন করা উচিত। মোহনবাগান এখন অতীত।’

এটিকের নামও এভাবেই মিলিয়ে যাক, এমনটাই চাইছেন মোহনবাগান জনতা।
পারেখ-কান্ডের পরেই মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের পক্ষ থেকে এটিকে-মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশীষ দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু জানিয়ে দেন, সমর্থকদের আবেগকে গুরুত্ব দিতেই হবে। উৎসব পারেখের বক্তব্য অপমান করেছে মোহনবাগানের শতাব্দীপ্রাচীন আবেগকে। তারপরেই এটিকের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয় মোহনবাগান ক্লাবে সভ্য-সমর্থকদের কাছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, উৎসব পারেখের বক্তব্যকে সমর্থন করেন না তাঁরা। যদিও তাতেও কমছে না সবুজ-মেরুন সমর্থকদের রাগ।
প্রসঙ্গত, গত বছরও এটিকে-মোহনবাগানের নতুন জার্সিতে তিনটি স্টার থাকা এবং ক্রমাগত তাদের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বলে উল্লেখ করায় ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। তাদের ক্রমাগত আন্দোলনের পরে তিন স্টার সরিয়ে নিয়েছে ক্লাব অফিসিয়ালরা। ঝামেলা বেড়েছিল আইএসএলের একটি প্রোমোশনাল ভিডিওকে ঘিরেও। ওই ভিডিওতে দেখা যায় এটিকের অন্যতম কর্ণধার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সবুজ-মেরুন জনতার বিক্ষোভে সেই ভিডিওটিও সরিয়ে নিয়েছিল আইএসএল কর্তৃপক্ষ।
]]>CBSE বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী সিলেবাস হওয়ায় এর রাজ্যর বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা প্রবল সমস্যায় পড়ে। একই সঙ্গে প্রচুর অর্থ খরচ করে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভর্তি হতে হয়। যা সাধারণ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সম্ভব হয় না। প্রান্তিক পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা NEET প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখাই ছেড়ে দিয়েছে। তাদের হয়েই পথে নামা হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
বাংলাপক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, “আমরা চাই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বিধানসভায় বিল এনে বাংলার মাটিতে NEET বাতিল করে দিন। তিনি বলুন NEET নার্সিংও বাংলায় চালু হতে দেব না। বাংলার সব বাঙালি শুনতে চায়, অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বাংলাপক্ষ তাদের হয়ে লড়ছে। সর্বভারতীয় স্তরে সমস্ত অহিন্দি জাতি এক হয়ে লড়ছে। আমরা NEET ধ্বংস করবোই।”
সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “NEET চালুর আগের বছর যেখানে ডাক্তারি আসনে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে ৭৫%-ই ছিল বাংলা মাধ্যমের, সেখানে NEET চালু হওয়ার বছর বাংলা মাধ্যম থেকে মাত্র ৭% পড়ুয়া ডাক্তারি আসনে ভর্তির সুযোগ পায়। NEET বাংলার জেলার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী বাঙালী পড়ুয়াদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ধ্বংস করছে। এই NEET বাংলা সহ সকল অহিন্দি রাজ্যের রাজ্য-বোর্ড ধ্বংসের চক্রান্ত।” বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস, মনন মন্ডল, অমিত সেন সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বও এই সভায় উপস্থিত থেকে অবিলম্বে NEET বাতিলের দাবি জানান। এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর দায়িত্বে ছিলেন কলকাতার সম্পাদক অরিন্দম চ্যাটার্জী।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে রাজ্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় জেলা থেকে চিকিৎসক হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। তার ফলে আগামী দিনে জেলার হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়ার তীব্র সংকট তৈরি হবে। এছাড়াও রাজ্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের ডাক্তারি পরার সুযোগ কমের আরেকটি কারণ পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোমেসাইল-বি নীতি। এর ফলে যে কেউ খুব সহজে তার অভিভাবকরা পশ্চিমবঙ্গে কর্মসূত্রে বসবাস করছেন এমন সার্টিফিকেট নিয়ে এসে ভর্তি হয়ে যান। কিন্তু অন্য রাজ্যে ডোমেসাইল-বি নীতি চালু না থাকার ফলে সেইসব রাজ্যের বাংলার ছেলেমেয়েরা ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে রাজ্যের মেডিকেল কলেজে ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে ডোমেসাইল-বি নীতি বাতিল করার দাবিও তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু সরকার সেই রাজ্যে মেডিকেল NEET বাতিল করার জন্য বিধানসভায় বিল পাস করেছে। অন্য কিছু রাজ্যও এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।
]]>আরও পড়ুন মধ্যমেধা নাকি গবেষণার অভাব? ওয়েব সিরিজে জেলা পুলিশ কমিশনার পদ সৃষ্টি করলেন অঞ্জন দত্ত
এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরেই দেখা গিয়েছে বীরত্বের টুকরো টুকরো ছবিও। তালিবানি ফতোয়া উপেক্ষা করে মহিলা অ্যাঙ্করকে দিয়ে প্রাইম-টাইম শো শুরু করেছে আফগানি নিউজ চ্যানেল। রাজপথে দাড়িয়ে তালিবানি বন্দুকধারীদের প্রশ্ন করেছে মহিলা সাংবাদিকরা। যেখানে গত কয়েকদিন ধরেই মহিলাদের অন্ধকূপে ঠেলে দেওয়ার মতো একাধিক ফতোয়া জারি করেছে তালিবানি সরকার, সেখানে এই কয়েক টুকরো ছবিই হয়ে উঠেছে ‘বেয়নেটের ডগায় ফুলের’ মতো তাৎপর্যপূর্ণ।

শামসিয়া হাসানি, আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা গ্রাফিতি শিল্পী।
এবার সেই দলেই যুক্ত হলেন শামসিয়া হাসানি। ২১ বছরের এই তরুণী কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্রী। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে, তিনি আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা গ্রাফিতি শিল্পী। অবশ্য ‘যুক্ত হলেন’ কথাটা এক্ষেত্রে কতটা খাটবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ বহুদিন ধরেই নিজের গ্রাফিতিতে, ডিজাইনে, ছবিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এই তরুণী। তাঁর সৃষ্টিতে ফুঁটে উঠছে আফগানিস্তানের মহিলা সুরক্ষা, তাদের জীবন, তালিবানিরাজ প্রভৃতি বিষয়। তালিবানিরাজ কায়েম হওয়ার পর থেকেই আফগানভূমে বিপন্ন হয়ে পড়েছিল শিল্প-সংস্কৃতি। সেখানে ‘প্রথম মহিলা গ্রাফিতি শিল্পী হয়ে যিনি এই বেড়াজাল ভেঙেছেন, তিনি তালিবানি ফতোয়ার পরোয়া করবেনই বা কেন?

পিয়ানো হাতে দাঁড়িয়ে এক আফগান কিশোরী, পেছনে সশস্ত্র তালিবানদের দল।

বন্দুক হাতে উদ্যত তালিবানের সামনে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে এক কিশোরী।

আফগান কিশোরীর হাতের ফুলের টব ফেলে দিয়েছে বন্দুকধারী তালিবান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা শামসিয়ার প্রতিটি ছবি দেখলেই বোঝা যায় তাঁর অর্থ। আপাতদৃষ্টিতে প্রায় প্রত্যেকেরই সেই অর্থ বোধগম্য হলেও তার গভীরতা অতল। তাঁর ছবির কোনওটিতে এক আফগান কিশোরীর হাতের ফুলের টব ফেলে দিয়েছে বন্দুকধারী তালিবান, কোনওটিতে পিয়ানো আঁকড়ে ধরে থাকা কিশোরীকে ঘিরে ধরেছে হিংস্র তালিবানদের দল। প্রত্যেকটি ছবিই যেন বলছেন বন্দুকের সামনে, হিংস্রতার সামনে হেরে যাচ্ছে শিল্প, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা। পরক্ষনেই তিনি আঁকছেন হাতে ফুল নিয়ে কামানদাগা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক তরুণী। যেন তালিবানি বন্দুকবাজদের চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করছেন নির্ভীক তরুণীরা।
আরও পড়ুন পঞ্জশিরের পর জালালাবাদ, বাড়ছে তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সুর
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর। দুই বন্ধুর সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে মাথায় গুলি করা হয়েছিল মালাল ইউসুফজাইকে। মালালা ছিলেন দেশের মহিলাদের সুরক্ষা, শিক্ষা নিয়ে সোচ্চারে কথা বলা একজন। সেকারণেই বছর পনেরোর মালালাকে সরানোর চেষ্টা চালিয়েছিল তেহরিক-ই-তালিবানের পাকিস্তানি শাখা। বেঁচে ফেরার পর মালালা হয়ে ওঠেন ইয়ুথ আইকন, পান ‘নোবেল পিস প্রাইজ’ও। প্রত্যেকটি ইভেন্টে তাঁর বক্তব্যে শোনা যায় ধর্মান্ধতা, কুসংস্কারতা, হিংস্রতার (পড়ুন ‘তালিবান’দের) কবলে পড়লে মহিলাদের কি অবস্থা হয়। শামসিয়ার ছবি যেন মালালার বক্তব্যগুলিরই শৈল্পিকরুপ।

হাতে ফুল নিয়ে কামানদাগা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক তরুণী।

যুদ্ধ-বিমানের সামনে কাগজের প্লেন ওড়াচ্ছে এক আফগান কিশোরী।
শামসিয়া অন্যান্য কিছু সিরিজের ছবিগুলি ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা মিলবে আরেকটি জিনিসের। হিংস্রতা, ধর্মান্ধতা, যন্ত্রনার বিপরীতে যা অনেক বেশি শক্তিশালী, ‘আশা’। শামসিরার ছবিতে দেখা মিলবে যুদ্ধ বিমানের সামনেও কাগজের প্লেন (স্বাধীনতা, আনন্দ, আবেগের প্রতীক) ওড়াচ্ছে এক কিশোরী। মালালার মতো তিনিই দিনের শেষে দেখেন স্বাধীন, সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তানের ছবি। যেই ছবি তালিবানদের কবলে না পড়ে, আফগানিস্তানের বাসিন্দা না হয়ে, রবি ঠাকুরের কাবুলিওয়ালার গল্পে-ছবিতে সে দেশকে চিনে আপনি, আমি প্রত্যেকে দেখছি, দেখার চেষ্টা করছি।
]]>