RAB – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 08 Jan 2022 08:19:56 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png RAB – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bangladesh: কলকাতায় ধৃত বাংলাদেশি ‘খুনি’ নূর, জেল থেকে ভোট করায় https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-narayanganj-seven-murder-main-culprit-nur-hossain-mobile-network-in-dhaka-jail Sat, 08 Jan 2022 08:19:56 +0000 https://ekolkata24.com/?p=18404 বাংলাদেশে (Bangladesh) সেনাবাহিনী ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের অফিসারদের একাংশকে হাত করে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার মূল চক্রী নুর হোসেন ধরা পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। ইন্টারপোল তদন্তে তাকে বাগুইআটির কাছে গোপন ডেরা থেকে গ্রেফতার করে ফের আ়ইনি প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে পাঠায় ভারত সরকার। ফাঁসির আসামী নুর জেলের কনডেম সেল থেকে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে।

বন্দি নুর হোসেনের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে। সে জেল থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক দিয়ে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ভোট করানোর তালিম দিচ্ছিল। ঢাকার গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কনডেম সেলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে মোবাইল।

নুর হোসেনের ফাঁসির সাজা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী করার আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এমন অবস্থায় নির্বিকার এই আন্তর্জাতিক অপরাধী। ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৫ জানুয়ারি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ (সংশোধনাগার) এর কনডেম সেল থেকে তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ।

জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে নূর হোসেনসহ তিনজন বন্দি রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির আসামি প্রাক্তন কাউন্সিলর নূর হোসেন। সে কনডেম সেলে বসে গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে। ওই কনডেম সেল থেকে একটি মিনি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিল নুর হোসেন। সে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (পুর নিগম) এর প্রাক্তন কাউন্সিলর।

আলোচিত সাত খুন মামলা
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ কেঁপে গিয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার সহ সাতজনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে।

অভিযোগ ছিল প্রকাশ্যে এই সাতজনকে অপহর়ন করিয়েছিল নূর হোসেন। এতে জড়িত সেনাবাহিনী ও ব়্যাব বাহিনীর কিছু সদস্য অফিসার। মৃতদের আত্মীয়দের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই মামলার মোড় নেয় নূর পলাতক হওয়ার পর। চাপের মুখে বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের সাহায্য নেয়। নূর হোসেনকে কলকাতার কাছে বাগুইআটি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের কিছু অফিসারদের মদতে ভয়াবহ এই সাত খুন মামলায় বিশ্বজোড়া চাঞ্চল্য ছড়ায়। ধৃত নূরকে কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়েছে।

নূর হোসেনের অপরাধ জালের বিস্তার কনডেমড সেল পর্যন্ত ছড়ানো। এতেই চমক। যার ফাঁসি হবে সে কী করে প্রভাব খাটিয়ে কনডেমড সেল পর্যন্ত মোবাইল নিতে পারে, জেলের রক্ষীদের মধ্যে কে তার ঘনিষ্ঠ এই নিয়ে প্রশাসনের কড়া সমালোচনা চলছে।

তদন্তে উঠে এসেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারি। সেখানকার দুটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভাই-ভাইপোকে জেতাতে মরিয়া নূর। জেলের কনডেম সেলে বসেই মোবাইল ফোনে ভোট কীভাবে হবে তার তালিম দিয়ে যাচ্ছিল নূর হোসেন।

]]>
Bangladesh: ফের আন্তর্জাতিক সীমাম্তে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার বাংলাদেশে https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-rohinga-arms-smugller-captured-near-myanmar-border Fri, 07 Jan 2022 06:17:42 +0000 https://ekolkata24.com/?p=18248 আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় আবারও বিপুল আইনসভা উদ্ধার করল বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বাহিনী। এবার মায়ানমার সীমাম্তের কাছাকাছি এলাকার গভীর বনাঞ্চলে অভিযান চলেছে। চলতি মাসেই ভারত সীমাম্তের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র সম্ভার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশোর ব়্যাব বাহিনীর অভিযান সংঘটিত হয় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত। ঘটনাস্থল চট্টগ্রাম বিভাগের পার্বত্য চট্টগ্রামের জঙ্গল বেষ্টিত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা।

বিখ্যাত পর্যটনস্খল এই এলাকা বান্দরবান জেলার অন্তর্গত। প্রকৃতির সৌন্দর্যের আড়ালে দুর্গম সীমান্ত অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয় বরাবর। গোপনে খবর পেয়ে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গহীন অরণ্যে র‍্যাবের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।

র‌্যাব বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধৃত চারজনই রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে পরে।

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ লাগোয়া। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের শরণার্থী। তাদের মধ্যে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি অতি সক্রিয়। বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়িতে স্থানীয় উপজাতিদের মধ্যে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি সক্রিয় তাদের সঙ্গেও বিভিন্ন রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর সংযোগ আছে।

গত মাসে ভারত সীমান্তের সিলেটের হবিগঞ্জের সাতছড়ি অরণ্যে অভিযানে বিপুল পরিমান গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের জঙ্গি দমন শাখা সিটিটিসি। সেই ঘটনার পর এবার চট্টগ্রামের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হলো।

এই এলাকাটি মায়ানমারের লাগোয়া হলেও, পার্বত্য পথে ভারতের দিকে ত্রিপুরা ও মিজোরামের কাছাকাছি। বিভিন্ন ভারত বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির গোপন শিবির ছড়িয়ে আছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে।

]]>
Bangladesh: অরণ্য সুন্দরী সাতছড়ি যেন জঙ্গিদের অস্ত্র খনি, পা ফেললেই ভারত সীমান্ত https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-unique-satchari-forest-militant-den Mon, 27 Dec 2021 15:41:53 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16823 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বারবার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। প্রতিবারই বিপুল পরিমান। অস্ত্র ভাণ্ডার দেখলেই স্পষ্ট হয় সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য এসব ব্যবহার করা হতো।বাংলাদেশের সাতছড়ি জাতীয় অরণ্য যেমন প্রকৃতির বিপুল বিস্ময় তেমনই এই এলাকা যেন অস্ত্র খনি!

সোমবার এই অরণ্য থেকে ১৫টি মর্টার শেল, ২৫টি বুস্টার ও ৫১০ রাউন্ড অটো মেশিনগানের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে বারে বারে এমন আগ্নেয়াস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার হচ্ছে। প্রতিবারই অস্ত্র সম্ভার দেখে চমকে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

সাতছড়ি অরণ্যের অন্দরে
গভীর এই সাতছড়ি সীমান্ত জঙ্গলের এমনও অনেক এলাকা আছে যেখানে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অদৃশ্য। কোনদিকে ভারত কোনদিকে বাংলাদেশ তা নির্নয় করা কঠিন। ভারতের দিকে ত্রিপুরা আর বাংলাদেশের দিকে পড়েছে সিলেট। সাতছড়ি অরণ্যের মূলনিবাসী উপজাতি জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা জাতির অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় ত্রিপুরা পল্লীর নামকরণ থেকেই স্পষ্ট।

বিরলতম প্রাণী ও উদ্ভিদ গবেষকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের সাতছড়ি অরণ্যাঞ্চল। পর্যটকরা আসেন অনবরত। তবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার বাইরে বৃহত্তর বনাঞ্চলে যাতায়াতে দুর্গমতার কারণে এখানেই সীমান্ত পারাপার হয় অতি সহজে। টিলা-জঙ্গল, নদী ঘেরা অদ্ভুত নীরবতা আর আলো আঁধারিময় সাতছড়িতে ছড়িয়ে আছে ভারত বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৈরি করা বহু বাংকার। মাটির তলায় পোঁতা আছে আগ্নেয়াস্ত্র।

চুপ যা টাইগার আসতাসে, বাঘের থাবা খাবা!

টাইগার?

এই নামটি পরিচিত সমগ্র পার্বত্য ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্যাঞ্চলে। বেশি কিছু কেউ বলবে না এখনও। ‘বাঘের থাবা’ খেতে কেউ চায় না।

সেই টাইগার কে?

অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF) একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। মূলত ত্রিপুরার হিন্দু আদিবাসী উপজাতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাদের সংগঠন ছড়িয়ে ছিল। দলনেতা রণজিত দেববর্মা পরে আত্মসমর্পণ করে। ত্রিপুরায় বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তৎকালীন মু়খ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের শাসনে টাইগার হয়ে যায় ঘুমন্ত বাঘ। তবে আতঙ্কটা রয়ে গিয়েছে- চুপ যা টাইগার আসতাসে, বাঘের থাবা খাবা!

টাইগারের প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল লিবারেশন!

পার্বত্য ত্রিপুরার উপজাতি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রভাবশালী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT)। সংগঠনটি ফের সক্রিয়। সম্প্রতি তাদের সাংগঠনিক কাঠামোর বড়সড় রদবদল করা হয়। একশ শতাংশ খ্রিষ্টানধর্মাবলম্বী নিয়ে পরিচালিত এনএলএফটি বাংলাদেশের জমিতে ফের ঘাঁটিগুলি পরিচালিত করছে। পুরনো নেতা বিশ্বমোহন দেববর্মার নীতি থেকে সরেছে এই সংগঠন।

তাৎপর্যপূর্ণ, সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আবার পারস্পরিক সংঘর্ষ এই নিয়েই ত্রিপুরার পার্বত্য এলাকা ও বাংলাদেশ সংলগ্ন অঞ্চলে এলাকা ভিত্তিক সমান্তরাল সরকার কায়েম করেছিল দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। এটিটিএফ ও এনএলএফটি এই দুই সংগঠনের নিরাপদ ঘাঁটি বাংলাদেশের জমিতে।

প্রতিবেশি দেশে জামাত ইসলামি ও বিএনপি জোট সরকারের আমলে ভারত বিরোধী তৎপরতা বেড়েছিল। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশ থেকে বৃহত্তর বেআইনি অস্ত্র চালান ষড়যন্ত্র (দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা) বানচাল হয়। অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা (এখন আলফা-স্বাধীনতা) প্রধান পরেশ বড়ুয়ার জন্য যাচ্ছিল সেই আগ্নেয়াস্ত্র। চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনার পর থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো।

বস্তুতপক্ষে ৮০-৯০ দশক থেকে ২০০০ সাল শুরুর কিছু পর পর্যন্ত ত্রিপুরা ছিল উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিচরণভূমি। ঠিক সেই সময়েই সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে ছিল নিরাপদ ঘাঁটি। ত্রিপুরায় সন্ত্রাসবাদ বা উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদ ঘুমিয়ে পড়েছিল গত বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। কড়া বাস্তব, বাম সরকার পতনের পর বিজেপি জোট সরকারের আমলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয়।

বাংলাদেশের মাটিতে যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সক্রিয় তার দাবি করেছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি এখন বিরোধী নেতা। সম্প্রতি তিনি এনএলএফটির হামলায় দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃতুর পর একই দাবি করেন। ত্রিপুরার বিজেপি সরকারও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানায়।

ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় হতে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কি ফের পুরনো অবস্থান ফিরছে? এই প্রশ্ন বারবার উঠছে। রাজ্যটির তিনদিকে একেবারে গা ঘেঁষে থাকা বাংলাদেশ। সিলেটের সাতছড়ি অরণ্যে বারবার অস্ত্র উদ্ধার প্রমাণ করছে মানিকবাবুর দাবি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর এমন দাবিতে ঢাকা ও নয়াদিল্লি নড়ে চড়ে বসেছিল।

<

p style=”text-align: justify;”>বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সেই নীতি নিয়েই সাতছড়ির মতো সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বারবার অভিযান চলছে।

]]>
Bangladesh: ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডেরায় অভিযান, প্রচুর মর্টার শেল উদ্ধার https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-rab-opetation-indian-militant-den-satchari-forest Mon, 27 Dec 2021 10:51:06 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16780 News Desk: ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্যে অভিযান চালিয়েছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (RAB) বাহিনী। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মর্টার শেল, গুলি। বাংলাদেশের জমিতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিভিন্ন ডেরা ও বাংকারে এর আগেও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সংলগ্ন। আন্তর্জাতিক সীমান্তের এই অরণ্যাঞ্চলের ভিতর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি আগেও ধংস করা হয়েছে।

সোমবার ভোর রাত থেকে  সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালায় ব়্যাব-৯ বাহিনীর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) ইউনিট। অভিযানে ১৫টি মর্টার শেল ও ছয় বাক্স গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।  কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ডিআইজি মহম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে অভিযান শুরু হয়। এখনও একটি জায়গায় অভিযানে আরও আগ্নেয়াস্ত্র মিলবে। 

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির ঘাঁটি বাংলাদেশের এই বনাঞ্চল। এমনই বিস্ফোরক দাবি আগেই করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর দাবির পর প্রবল আলোড়ন ছড়িয়েছিল ঢাকা ও নয়াদিল্লিতে। পরে বাংলাদেশ সরকার জানায়, প্রতিবেশি ভারতের কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে রেয়াত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাদের এই অস্ত্র ভাণ্ডার ?
মনে করা হচ্ছে এবারেও উদ্ধার  করা মর্টার সেল, গুলি, একসময় বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে ত্রিপুরা ও অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। ত্রিপুরার দুটি সশস্ত্র সংগঠন এটিটিএফ ও এনএলঅফটির একসময়ের ঘাঁটি ছিল বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ। এখানকার চুনারুঘাটের সাতছড়ি অরণ্যে অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা (বর্তমান আলফা-স্বাধীনতা) গোষ্ঠীরও ঘাঁটি ছিল।

(১) ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযানে  ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান এবং প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেট সহ বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‍্যাব।

(২) ২০১৪ সালের ১৬-১৭ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফায় প্রথম পর্যায়ে উদ্যানে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেডিও উদ্ধার করা হয়। এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

(৩) ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়ি অরণ্যে অভিযান চালিয়ে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।

(৪) ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।

(৫) ২০২০ সালের ২ মার্চ অভিযান চালিয়ে ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট গোলা উদ্ধার করে বিজিবি। 

(৬) ২০২১ সালের ১৩ আগস্ট হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন একটি ব্রিজের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় নয়টি একনলা বন্দুক, তিনটি পিস্তল ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে বিজিবি।

]]>
Bangladesh: ফের বড়সড় অস্ত্র ভাণ্ডারের খোঁজ ত্রিপুরা সীমান্তে, অভিযানে RAB https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-militant-den-satchari-forest-near-tripura-border Mon, 27 Dec 2021 07:39:05 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16762 News Desk: ভারত সরকার বিরোধী উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের একদা মুক্তাঞ্চল বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সাতছড়ি অরণ্যে ফের উদ্ধার বড়সড় আগ্নেয়াস্ত্র সম্ভার। রকেট লঞ্চার, গোলা উদ্ধার হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাদেয়া সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গভীর বনাঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (RAB) বাহিনী। এই এলাকা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সংলগ্ন।

সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার অন্তর্গত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের অভিযান ঘিরে চাঞ্চল্য। এর আগেও একই এলাকা থেকে বারবার মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র ভাণ্ডার।

 

বাংলাদেশের সরকারের দাবি, সীমান্তের এই জঙ্গলে একসময় উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ডেরা ছিল। বিশেষত ত্রিপুরার দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এনএলএফটি ও এটিটিএফের ঘাঁটি ছিল বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্যাঞ্চল। সেই সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জমিয়ে রাখা আগ্নেয়াস্ত্রের সম্ভার এখনও মজুত রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে অভিযান চালায় র‌্যাব-৯ এর কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সিটিটিসি’র ডিসি আব্দুল মান্নান জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সিটিটিসির অভিযানে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে।

হবিগঞ্জের সাতছড়ি থেকে গত পাঁচ মাসে র‍্যাব মোট চার দফা অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে এবং বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

<

p style=”text-align: justify;”>ত্রিপুরার লাগোয়া বাংলাদেশের সাতছড়ি অরণ্যে বি়ভিন্ন সময়ে বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার হয়েছে। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির ঘাঁটি বাংলাদেশের এই বনাঞ্চল। এমনই বিস্ফোরক দাবি আগেই করেন ত্রিপুরীর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর দাবির পর প্রবল আলোড়ন ছড়িয়েছিল ঢাকা ও নয়াদিল্লিতে। পরে বাংলাদেশ সরকার জানায়, প্রতিবেশি ভারতের কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে রেয়াত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

]]>
Bangladesh: কলকাতায় এনে টর্চার সেলে নির্যাতন, ঢাকার মানব পাচারকারীদের স্বীকারোক্তি https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh_human_trafficking_kolkata_torcher_cell Tue, 21 Dec 2021 15:16:03 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15742 News Desk: সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করা তারপর সেফ হাউসে রেখে নির্যাতন করা। বিশেষত মহিলাদের যৌন নির্যাতন করার ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল করার হুমকি এসবই বিবরণ দিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানব পাচারকারীদের চক্র। ঢাকার মিরপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (RAB) বাহিনী।

মানবপাচার চক্রের চক্রের দলপতি রেজাউল হক ওরফে সেলিম। তার দুই সহযোগী মহম্মদ বুলবুল আহমেদ মলি­ক ও নিরঞ্জন পাল। ধৃতদের জেরা করে কলকাতা ও দিল্লির টর্চার সেলের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন।

কলকাতায় কারা এই চক্রে জড়িত?
ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে কলকাতার রাজিব খান, মানিক ও দিল্লির রবিন সিং এই চক্রের এজেন্ট। গত কয়েক বছর ধরে এই চক্রটি সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানব পাচার করে আসছে।

তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও অষ্ট্রেলিয়ার পাঠানোর কথা বলে চাকরি প্রার্থীদের গোপনে ভারতে আনা হতো। কলকাতা ও দিল্লির টর্চার সেলে চলত অকথ্য নির্যাতন। সেই নির্যাতনের ভিডিও ভিকটিমদের আত্মীয়দের কাছে পাঠিয়ে আদায় করা হতো লাখ লাখ টাকা।

মুক্তিপণের ব্যবসা
ঢাকার মিরপুর থেকে ধৃত মানব পাচারকারীদের কাছে নকল পাসপোর্ট, ভিসা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের বলা হতো, ভারত থেকে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া সুবিধা তাই কলকাতা ও দিল্লি যেতে হবে। ভারতে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমদের প্রথমে সেফ হাউসে রাখা হতো। তারপর তাদের ওপর চলত অমানবিক নির্যাতন। এসব নির্যাতন চিত্রের ভিডিওধারণ করে বাংলাদেশে থাকা ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠাত চক্রটি। পরিবারকে তারা এসব ভিডিও দেখিয়ে বলত, মুক্তিপণ না দিলে ভিকটিমকে মেরে ফেলবে। প্রিয়জনকে বাঁচাতে সর্বস্ব বিক্রি করে চক্রটির সদস্যদের হাতে টাকা তুলে দিতেন আত্নীয়রা।

মঙ্গলবার র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে ভারত পাচার করে চক্রটি। কলকাতায় আটক থাকেন জাহাঙ্গীর। কলকাতার টর্চার সেলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তার পরিবারকে চাপ দিয়ে অর্থ আদায় করে পাচারকারী চক্রটি। দেশে এসে জাহাঙ্গীর চক্রটির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার দেওয়া তথ্য ও অভিযোগ যাচাই করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই চক্রের মূলহোতা সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

]]>
Bangladesh: নাগাল্যান্ড ইস্যু টেনে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রশ্নে কূটনৈতিক চাপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে https://ekolkata24.com/uncategorized/us-banglafesh-diplomatic-fight-on-human-rights-violation-issue Sun, 12 Dec 2021 06:12:26 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14535 News Desk: বাংলাদেশে (Bangladesh) মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে এবার এসে পড়ল ভারতে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া নাগাল্যান্ডে গুলিতে মৃত খনি শ্রমিকদের ঘটনা। জঙ্গি সন্দেহে অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়।

নাগাল্যান্ডের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে ভারতের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পারে। প্রতিবেশি দেশের নাগাল্যান্ড রাজ্যে কী ঘটেছে ও কেন ঘটেছে তার সদুত্তর সে দেশ থেকে চাক মার্কিন বিদেশ দফতর।

শুরু হয়ে গিয়েছে শেখ হাসিনা ও জো বাইডেন সরকারের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই। ঢাকা-ওয়াশিংটন কূটনৈতিক সংঘাতে গরম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ইস্যু।

সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ ও রাজস্ব দফতরের তরফে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত করেছেন দেশটির অন্যতম নিরাপত্তা বাহিনী ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (RAB) একাধিক প্রাক্তন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ করে বাতিল করা হয়েছে বর্তমান পুলিশ প্রধান সহ ব়্যাব বাহিনীর মোট ৭ শীর্ষ প্রাক্তন কর্তার ভিসা। তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনওভাবেই প্রবেশ করতে পারবেন না বলেই জানানো হয়।

বাংলাদেশে তদন্তের নামে গুমখুন, অপহরণ করার ইস্যু নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মানবাধিকার সংগঠনগুলি শেখ হাসিনার সরকারকে অভিযুক্ত করে আসছে। তবে সরকারের দাবি দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা হয়।

মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে এবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আগেই। আগামী ১৬ ডিসেম্বর হবে এই অনুষ্ঠান। আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধান। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আসছেন। এর মাঝে মার্কিনি নিষেধাজ্ঞার ধাক্কায় বিড়ম্বিত শেখ হাসিনার সরকার।

তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ঢাকা। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, র‌্যাব এবং এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দুঃখজনক। যে কোনো অভিযোগ তথ্যভিত্তিক হওয়া উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও প্রতিবছর ৬ লাখ লোক নিখোঁজ হন।

শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, বাংলাদেশ সরকারের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে। তার কাছে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ঢাকার প্রতিক্রিয়া ওয়াশিংটনে পাঠানো হবে বলেই জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।

ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব) বাহিনীর ভূমিকা বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে আলোচিত। অপরাধ ও জঙ্গি দমনের পাশাপাশি নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় এই সশস্ত্র বাহিনীকে। বিশেষ ক্ষেত্রে তদন্তে অংশ নেয় এই বাহিনী। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, যাঁদের নামে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, আমি তো মনে করি তাঁদের নামে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা বস্তুনিষ্ঠ নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বোধ হয় অতিরঞ্জিত কোনো খবর পেয়ে, সেটার ওপর ভিত্তি করে এটা করেছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় যাদের নাম:
১. র‍্যাবের প্রাক্তন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
২. ব়্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
৩. ব়্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মহম্মদ আজাদ
৪. ব়্যাবের প্রাক্তনঅতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার
৫. ব়্যাবের প্রাক্তন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মহ. জাহাঙ্গীর আলম
৬. ব়্যাবের প্রাক্রন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মহ. আনোয়ার লতিফ খান।

]]>
Bangladesh: ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’, পুলিশ প্রধান সহ বাহিনী কর্তাদের মার্কিনি নিষেধাজ্ঞা, বিব্রত হাসিনা https://ekolkata24.com/uncategorized/us-government-issued-no-visa-notice-against-top-security-officials-of-bangladesh-hasina-government Sat, 11 Dec 2021 08:05:52 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14414 News Desk: মার্কিনি চাপে বিড়ন্বিত শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আগেই বাংলাদেশে (Bangladesh) মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চাঞ্চল্য। পুলিশ প্রধান ও জঙ্গি দমনে বারবার আলোচিত ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের ৬ শীর্ষ বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অভিযোগ, এরা সবাই মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত।

নিষেধাজ্ঞায় নাম রয়েছে যাদের তারা কোনওভাবেই ভিসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না বলে জানানো হয়। এর জেরে বাংলাদেশ প্রশাসনিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন রাজস্ব এবং বিদেশ বিভাগ।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় যাদের নাম:
১. র‍্যাবের প্রাক্তন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
২. ব়্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
৩. ব়্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মহম্মদ আজাদ
৪. ব়্যাবের প্রাক্তনঅতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার
৫. ব়্যাবের প্রাক্তন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মহ. জাহাঙ্গীর আলম
৬. ব়্যাবের প্রাক্রন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মহ. আনোয়ার লতিফ খান।

ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (ব়্যাব) বাহিনীর ভূমিকা বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে আলোচিত। অপরাধ ও জঙ্গি দমনের পাশাপাশি নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় এই সশস্ত্র বাহিনীকে। বিশেষ ক্ষেত্রে তদন্তে অংশ নেয় এই বাহিনী। তবে এই বাহিনী বারবার অভিযুক্ত হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বারবার বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। প্রতিবারই শেখ হাসিনার সরকার জবাবে জানিয়েছে বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থানের প্রেক্ষিতেও একই অবস্থান শেখ হাসিনার সরকারের।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, যাঁদের নামে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, আমি তো মনে করি তাঁদের নামে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা বস্তুনিষ্ঠ নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বোধ হয় অতিরঞ্জিত কোনো খবর পেয়ে, সেটার ওপর ভিত্তি করে এটা করেছে।

ব়্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মহম্মদ বলেন, আমরা কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন করি না। সব সময় মানবাধিকার রক্ষা করি।  তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, খুন করে ধর্ষণ করে মাদক ব্যবসা চালায়, দেশ এবং জনগণের স্বার্থেই আমরা তাদের আইনের আওতায় আনি। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তাহলে দেশের স্বার্থে এই মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে আমাদের আপত্তি নেই।

]]>
Bangladesh: ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে খুন, ১৩ জনের ফাঁসির সাজা https://ekolkata24.com/uncategorized/bangldesh-aminbazar-six-students-murder-case-verdict Thu, 02 Dec 2021 08:48:45 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13152

News Desk: গণহত্যার চরম শাস্তি। ছয় ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে খুনের মামলায় দোষীদের ফাঁসির সাজা বাংলাদেশে (Bangladesh)। তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে সাজাপ্রাপ্তদের। সাম্প্রতিক সময়ে একসঙ্গে এতজনকে মৃত্যুদন্ডের সাজা দেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে নেই, তেমন অন্য কোনও দেশেও ঘটেনি।

বিবিসি জানাচ্ছে, ২০১১ সালে শবে বরাতের রাতে ঢাকার আমিনবাজারে ছয় জন ছাত্রকে গণপ্রহারে খুন করা হয়। সেই মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।ওই মামলায় ২৫ জনকে নির্দোষ বলে খালাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

২০১১ সালের ১৭ই জুলাই শবে বরাতের রাতে ঢাকার অদূরে সাভারের আমিনবাজারে ওই ছয় জন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

প্রথমে বলা হয়েছিল যে ডাকাত সন্দেহে ছাত্রদের গণপ্রহার করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার তদন্তে প্রথমে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হশ্র।   পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।তদন্ত শেষে কমিটি নিহত ছাত্রদের নিরাপরাধ বলে মতামত দেয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে খুনের মামলায় এরপর তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ২০১২ সালে সিআইডি থেকে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন তদন্তের ভার নেয়।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে এই ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করা হয়।

]]>
ঢাকায় জঙ্গি দমন অভিযান, বিস্ফোরক সহ ধৃত JMB নেতা উজ্জ্বল মাস্টার https://ekolkata24.com/uncategorized/top-jmb-leader-arrested-in-dhaka Thu, 09 Sep 2021 06:44:09 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4221 নিউজ ডেস্ক: ভোর থেকে অভিযান চলছিল। বেলা গড়াতেই বাংলাদেশ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) অভিযানে গুঁড়িয়ে গেল জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের ডেরা। ধরা পড়েছে জঙ্গি নেতা উজ্জ্বল মাস্টার। তার আসল নাম ইমদাদুল হক।

ঘটনার কেন্দ্র ঢাকার বসিলা। এখানেই জঙ্গি বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বসিলা ব্রিজের কাছে একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখে র‍্যাব।

ব়্যাবের সংবাদমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র‍্যাব জেএমবির একজন শীর্ষ নেতাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সেখান থেকে পিস্তল, গুলি, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও রাসায়নিক দ্রব্য পেয়েছি। আনুমানিক তিন লাখ টাকাও পেয়েছি। বেশ কিছু জিহাদি বই ছিল সেখানে। আটক ব্যক্তির নাম ইমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টার। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

জেএমবি সংগঠনে উজ্জ্বল মাস্টারের কী ভূমিকা, কোন পদে আছে—এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা

]]>
ভোররাতে JMB জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই, নাশকতা বানচাল https://ekolkata24.com/uncategorized/after-gun-fire-jmb-militants-arrested-by-rapid-action-battalion-of-bangladesh Sat, 04 Sep 2021 03:41:31 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3780 নিউজ ডেস্ক: তখনও অন্ধকার কাটেনি। জঙ্গি দমন অভিযান শুরু করল বাংলাদেশ ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। শুরু হলো গুলির লড়াই। বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি জেএমবি জঙ্গিরা। ধরা পড়েছে। ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় জঙ্গি দমন অভিযান ষেষ হয়েছে। চার জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়েছে।

র‍্যাব বলছে, অভিযানের পর একটি বিদেশি রিভলবার, গুলি, ম্যাগজিন, আটটি ককটেল ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

অভিযানের পর ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গিদের তৎপরতা ও অবস্থানের কথা জেনে সেই ঘাঁটি ঘিরে নেওয়া হয়। জঙ্গিরা গুলি চালায়। র‍্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির পর চার জেএমবি সদস্যকে আটক করা হয়। বাংলাদেশে জেএমবি এখন দূর্বল। তবে সংগঠনটি ভারতে সক্রিয়। জেএমবি ছেড়ে বেরিয়ে আসা নব্য জেএমবি বাংলাদেশে পরপর নাশকতা ঘটিয়েছে।

]]>