Report – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 02 Jan 2022 16:06:54 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Report – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Covid 19 positive: লিওনেল মেসির কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট ঘিরে বিতর্ক https://ekolkata24.com/sports-news/controversy-over-lionel-messis-covid-19-positive-report Sun, 02 Jan 2022 16:06:54 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17681 সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী লিওনেল মেসি সহ প্যারিস সেন্ট-জার্মেই দলের চারজন খেলোয়াড়ের সোমবার রাতে কোভিড-১৯ (COVID 19) টেস্ট করা হয়। ওই টেস্ট রিপোর্টে মেসি সহ চার ফুটবলারের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফরাসি কাপ খেলার আগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে পিএসজি ক্লাব জানায়,একজন কর্মী সদস্যেরও COVID-19 ছিল। ওই দিন আর কারোরই নাম ছিল না। তবে রবিবার ক্লাবের মেডিকেল নিউজে এক নতুন বিবৃতিতে জানানো হয়, লিওনেল মেসি, লেফট ব্যাক জুয়ান বার্নাট, ব্যাকআপ গোলরক্ষক সার্জিও রিকো এবং ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার নাথান বিতুমাজালা কোভিড-১৯ পজিটিভ।

এমন খবরে স্বভাবতই হতাশ হয়ে পড়ে মেসি ভক্তরা। তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর, লিওনেল মেসি পরের ম্যাচ লিওনের বিপক্ষে খেলা খেলতে পারবেন।

অসমর্থিত সূত্রে এও খবর, লিও মেসি খ্রীস্টমাসের আগেই কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় তিনি সুস্থ বোধ করায় প্যারিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। অসমর্থিত সূত্রের দাবি, রবিবার মোটেও লিওনেল মেসির কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়নি, কিন্তু মেসির ক্লাব লিওনেল মেসির কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এমন খবর রবিবার সামনে এনেছে।

]]>
ISL: “বাগানে” কুঁড়ি এলেও ফুল ফুটল না https://ekolkata24.com/sports-news/mohun-bagan-bangalore-match-report-in-isl Thu, 16 Dec 2021 18:05:07 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15180 Sports desk: বৃ্হস্পতিবার এটিকে মোহনবাগান চলতি আইএসএলের (ISL) ৬ নম্বর খেলায় জেতা ম্যাচ ড্র করলো বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে, ৩-৩ গোলে।

নিজের ৫০ তম আইএসএল ম্যাচে অফ ফর্ম থেকে ছন্দে ফিরে এসে পেনাল্টি থেকে গোল ফিজিয়ান স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ’র। সবুজ মেরুন সমর্থকরা “জয় শ্রী কৃষ্ণা🙏🙏🙏☝💪” ধ্বনিতে আবেগের বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাসে গা ভাসিয়ে দিলেও রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মুখ পানসে হয়ে গেল প্রিয় দলের হার দেখে মেরিনার্সদের। আসলে ৭২ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের ফুলের বাগানের ফুল মাঠে মাড়িয়ে দিয়ে গোল বেঙ্গালুরু এফসির কঙ্গোনিজ ফুটবলার প্রিন্স ইবারার। ১৩ মিনিটে শুভাশিস বোস,৩৮ মিনিটে হুগো বৌমাস এবং ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রয় কৃষ্ণ’র গোল “বাগানে” ফুল ফুটিয়ে তুলেছিল, কিন্তু ডিফেন্সিভ ল্যাপস ৭২ মিনিটে ইবারার গোল “বাগানে” ফুল ফুটেও! ফুটলো না।

হতাশ সবুজ মেরুন সমর্থকরা বুঝে গিয়েছে চলতি আইএসএল মরসুম তাদের জন্য না। এদিন প্রিয় দলের ডিফেন্সিভ ল্যাপস দেখে সমর্থকরা কপাল চাপড়াচ্ছে আর মেনে নিয়েছে “ভাগ্য এবার প্রচুর খারাপ আছে”।

বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিলেন না সুসাইরাজ,লেনি রদ্রিগেজ, ডেভিড উইলিয়ামস, যা নিয়ে এটিকে মোহনবাগান হেডস্যার আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ফুটবল বোধ নিয়ে সবুজ মেরুন সমর্থকরা অসন্তুষ্ট। মিডিও নিনগোম্বা সিং’কে প্রথম একাদশ কেন,রির্জাভ বেঞ্চেও বসতে দেওয়ার জায়গা দেয় নি হাবাস। চলতি আইএসএলে জামশেদপুর এফসি’র বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকেই দলের টিম নির্বাচন নিয়ে হাবাস নিজেই বিভ্রান্তির শিকার,এমনটাই মত সমর্থকদের একাংশের।

আইএসএলে শেষ জয়ের মুখ দেখেছিল এটিকে মোহনবাগান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে, ম্যাচের ২৩ মিনিটেই হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচের রঙ সবুজ মেরুন, ৩-০ গোলে জিতে। টানা তিন ডার্বি ম্যাচে জয়ের ধারাবাহিতা ধরে রেখে। নিজেদের প্রথম এনকাউন্টারে কেরালা ব্লাসার্সের বিরুদ্ধেও দাপুটে জয়,৪-২ গোলের। ব্যস ওই পর্যন্তই।

এরপর মুম্বই সিটি এফসি’র কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে ৫-১ গোল হজম সবুজ-মেরুন শিবিরের, হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচ জয়ের আফটার এফেক্ট। জামশেদপুর এফসি ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের টিমকে।এই হার আইএসএলের লিগ টেবিলে সবুজ মেরুন শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা, লিগ টেবিলে ৪ নম্বর পজিশন হারায়। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দু’বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে এটিকে মোহনবাগান।

৬ ম্যাচে প্রথম দুই ম্যাচে জয় চলতি আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের, দুই ড্র ম্যাচ, হারের মুখ ২ ম্যাচে,লিগ টেবিলে ছ’নম্বরে। হতাশ সবুজ মেরুন সমর্থকরা।

চলতি আইএসএলের ১১ তম রাউন্ডে এটিকে মোহনবাগানের হাতে পড়ে রয়েছে চার ম্যাচ। এই চার ম্যাচ ২১ ডিসেম্বর নর্থইস্ট ইউনাইটেড, ২৯ ডিসেম্বর এফসি গোয়া, হায়দরাবাদ এফসি ৫ জানুয়ারি, ৮ জানুয়ারি ওডিশা এফসি।এই চার ম্যাচ থেকে জয় পেলেই এটিকে মোহনবাগান আবার আইএসএলের লিগ টেবিলের চার নম্বরে উঠে আসবে।আর এই উঠে আসার বেনিফিট তোলার দরজা খুলতে পারলে চলতি আইএসএলের ফাইনালে যাওয়ার একটা সুক্ষ রেখাপথ তৈরি হতে পারে।

কেননা আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচের আগের দিন নিজের দলের পড়তি গ্রাফরেখা প্রসঙ্গে ২০১৯ আইএসেএলে চেন্নাইন এফসি’র পিছিয়ে থেকে ফাইনালে গিয়ে সেকেন্ড পজিশন উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। তাই ATKMB হেডকোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে নিয়ে সবুজ মেরুন সমর্থকদের অন্য অংশ এখনও আশাবাদী প্রিয় দল জয় পাবে এবং লিগ টেবিলে ৪ নম্বরে উঠে পাল্টা লড়াই ছুঁড়ে দেবে টুর্নামেন্টে অন্য টিমগুলোকে।

]]>
Lakhimpur : লখিমপুরের কৃষক হত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত, বলছে সিটের রিপোর্টে https://ekolkata24.com/uncategorized/killing-of-a-farmer-in-lakhimpur-was-premeditated-says-the-sit-report Tue, 14 Dec 2021 09:25:10 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14798 নিউজ ডেস্ক, লখনউ: আর মাস দু’য়েকের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) । সেই নির্বাচনের আগে লখিমপুর (Lakhimpur) খেরির ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (Special Investigation team) বা সিটের রিপোর্টে বড় ধাক্কা খেল যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার।

অক্টোবর মাসে লখিমপুর (Lakhimpur) খেরিতে এক বিজেপি নেতার ছেলের গাড়ির চাকায় চার কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্ত করছিল সিট। মঙ্গলবার সিটের পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, লখিমপুরের ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। মঙ্গলবারই সিট লখিমপুরের ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্ট থেকেই চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে এসেছে। এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে চাপে ফেলে দিল।

উল্লেখ্য, লখিমপুরের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস এবং তার কয়েকজন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যদিও মন্ত্রীপুত্র ও তার বন্ধুদের দাবি, লখিমপুরের ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। তবে ঘটনার দিন তাঁরা কোথায় ছিলেন সে প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর মেলেনি। অন্যদিকে কৃষকরা পাল্টা জানিয়েছেন, লখিমপুরে যে গাড়ি কৃষকদের পিষে দিয়েছে সেই গাড়িতেই ছিলেন আশিস।

উল্লেখ্য, মোদি সরকারের আনা তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। অভিযোগ, কৃষকদের ওই নিরীহ অবস্থান বিক্ষোভে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিসের গাড়ি চার কৃষককে পিষে দেয়। এমনকী, গাড়ির ভিতর থেকে কয়েক রাউন্ড গুলিও

চালানো হয়। মুহুর্তের মধ্যে গোটা এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। লখিমপুর খেরির ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করতে প্রথম থেকেই গড়িমসি করছিল বিজেপি সরকারের পুলিশ। শেষ পর্যন্ত দেশ জুড়ে প্রবল সমালোচনা এবং সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে আশিসকে গ্রেফতার করে যোগীর পুলিশ।
কৃষকদের ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ দমন করতে যোগী সরকার লখিমপুরের ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে।

সেই তদন্তকারী দলের রিপোর্টেই জানানো হয়েছে লখিমপুরের কৃষক মৃত্যুর ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই কৃষকদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল সেদিন। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্টও যোগী সরকারকে চাপে ফেলেছে। কারণ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাইসেন্সড আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই গুলি চালিয়েছিল অভিযুক্তরা। তবে সেদিনের ঘটনায় কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি। কৃষকরা একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন, মন্ত্রীর ছেলে ও তাঁর সঙ্গীরাই গুলি চালিয়েছিল। যদিও মন্ত্রীর ছেলে ও তার বন্ধু অঙ্কিত কেউই গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেননি। তবে ফরেনসিক রিপোর্টে এটাই প্রমাণ হল যে, কৃষকরাই সঠিক কথা বলেছেন। তদন্তকারী অফিসার দিবাকর বিদ্যারামের রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হল, লখিমপুরের ঘটনা ছিল একেবারেই পূর্বপরিকল্পিত।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দাবি করেছিল, লখিমপুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয়কে বরখাস্ত করতে হবে। কিন্তু তাদের সেই দাবিতে কর্ণপাত করেনি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সিটের এই রিপোর্ট বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যা বিধানসভা নির্বাচনের আগে অবশ্যই যোগী সরকারকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে।

]]>
উচ্চতায় ‘খাটো’ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মানুষরা https://ekolkata24.com/offbeat-news/people-of-netherlands-hight-became-short-who-are-tallest-in-this-world Fri, 10 Dec 2021 16:10:28 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5345 বিশেষ প্রতিবেদন: নেদারল্যান্ডসের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জাতি। কিন্তু তাদের উচ্চতা এবার ক্রমে কমছে। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক গবেষনা। স্ট্যাটিস্টিকস নেদারল্যান্ডস, মিউনিসিপ্যাল হেলথ সার্ভিস এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউ ফর পাবলিক হেলথ এই দুটি দল একসঙ্গে একটি গবেষণা করেছে। তাতেই এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বিংশ শতাব্দী থেকে পরবর্তী গত ১০০ বছর ধরে ওলন্দাজদের উচ্চতা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার দেখা যাচ্ছে সেই উচ্চতা বেশ কিছুটা কমতে শুরু করেছে সেখানকার মানুষের। নারী পুরুষ নির্বিশেষে কমছে উচ্চতা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে উচ্চতা কমতে শুরু করে ২০০০ সালের পর থেকে। বলা হচ্ছে, ২০০১ সালে জন্ম নেওয়া বেশিরভাগ পুরুষের উচ্চতা ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া পুরুষদের থেকে এক সেন্টিমিটার কম। মহিলাদের ক্ষেত্রেও একইভাবে কমেছে উচ্চতা। মেয়েরা খর্বকায় হয়েছে ১.৪ সেন্টিমিটার।

জানা গিয়েছে , নেদারল্যান্ডসের মানুষের উচ্চতা বাড়তে বাড়তে ১৯৮০ সালে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ওই সময়ে জন্ম নেওয়া ডাচ পুরুষদের গড় উচ্চতা ছিল ১৮৩.৯ সেন্টিমিটার। এঁরা ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়া পুরুষদের থেকে ৮.৩ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা ছিলেন। ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া মহিলাদের গড় উচ্চতা ছিল ১৭০.৭ সেন্টিমিটার। এঁরা ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়া মহিলাদের থেকে ৫.৩ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা ছিলেন। তথ্য বলছে, ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়াল মহিলাদের উচ্চতা ছিল ১৬৫.৪ সেন্টিমিটার। এবার যোগ বিয়োগ করে নিন।

People of Netherlands hight became short

 

এই গবেষণা করার জন্য ১৯ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭ লক্ষ ১৯ হাজার ব্যক্তির তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। তারা তাদের উচ্চতা জানান গবেষকদের। এরপর বিশ্লেষণটি করা হয় ১৯ বছর বয়সীদের গড় উচ্চতাকে মান হিসেবে ব্যবহার করে , কারণ ওই বয়সে একটি মানুষের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়। তারপরই মেলে এই তথ্য।

কিন্তু এই উচ্চতা কমে যাওয়ার কারণ কী? প্রাথমিক ভাবে বলা হিয়েছিল, খাটো জনগোষ্ঠী থেকে আসা অভিবাসীর সঙ্গে ডাচদের মিলনের ফল এমন উচ্চতা কমে যাওয়া, কিন্তু পরে দেখা যায় বাবা-মা উভয়েরই জন্ম নেদারল্যান্ডসেই এমন পুরুষ , মহিলার উচ্চতাও কমছে। যারা গত চার পাঁচ প্রজন্ম ধরে ওই দেশেরই বাসিন্দা কমছে তাঁদের উচ্চতাও। বলা হচ্ছে, উদ্ভিদভিত্তিক খাবার বেশি খাওয়ায় তাদের উচ্চতা কমে যেতে পারে। প্রাকৃতিক প্রভাবও সম্ভবত পড়েছে শরীরে।

<

p style=”text-align: justify;”>তবে উচ্চতা খানিক কমলেও এখনও ওলন্দাজরাই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ। গবেষকদের দাবি এমনটাই। তথ্য এও বলছে যে, দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে বড় ধরনের ফারাক রয়েছে। উত্তর নেদারল্যান্ডসের বাসিন্দারা দক্ষিণের মানুষের তুলনায় তিন থেকে সাড়ে তিন সেন্টিমিটার বেশি লম্বা।

]]>
Helicopter Crashed: রাওয়াতের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট যেন সরকার গোপন না করে: প্রাক্তন সেনাপ্রধান https://ekolkata24.com/uncategorized/helicopter-crashed-general-bipin-rawats-death-investigation-report-should-be-open Wed, 08 Dec 2021 17:36:11 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14154 News Desk: বুধবার দুপুরে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে ওড়া একটি এমআই-১৭ভি ৫ হেলিকপ্টার (Helicopter Crashed) ভেঙে পড়ে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রাক্তন সেনা কর্তারা মতামত ব্যক্ত করেছেন।

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা কর্নেল রাজেন্দ্র ভাদুড়ি বলেছেন, এমআই-১৭ভি হেলিকপ্টারটি যথেষ্ট অত্যাধুনিক ও উন্নতমানের তারপরেও এই কপ্টার কীভাবে ভেঙে পড়ল তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। সাধারণত ওড়ার আগে প্রতিটি কপ্টারের সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা হয়। তার উপর যদি কোনও ভিআইপি ব্যক্তি কপ্টারে সফর করেন তাহলে সেই পরীক্ষা আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে করা হয়। কিন্তু তারপরেও কীভাবে রাওয়াতকে নিয়ে ওড়া কপ্টারটি ভেঙে পড়ল তা জানা দরকার।

তিনি বলেন, সাধারণত নানা কারণে একটি বিমান বা কপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে। যার মধ্যে রয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি, দৃশ্যমানতা অভাব, আবহাওয়ার পরিবর্তন প্রভৃতি। তবে ওড়ার আগে পাইলটদের আবহাওয়া সম্পর্কে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়। এদিন তামিলনাড়ুর আবহাওয়া আদৌ খারাপ ছিল না। তাই কী কারণে রাওয়াতকে নিয়ে ওড়া কপ্টারটি ভেঙে পড়ল তা জানতে উপযুক্ত তদন্ত হওয়া দরকার।

নাশকতার গন্ধ
প্রাক্তন সেনা কর্তা কর্নেল সব্যসাচী বাগচি এদিন দুর্ঘটনা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার তৈরি এই এমআই-১৭ কপ্টারটি অত্যন্ত উন্নতমানের। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও এই কপ্টার উড়তে পারে। তাই কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা বোঝা যাচ্ছে না। যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হয় ততক্ষণ জানা যাবে না দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এই ধরনের দুর্ঘটনার পিছনে নাশকতার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারত পাক সীমান্তের অভ্যন্তরে ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর ঘটনা বেড়েছে। এক্ষেত্রে ড্রোনের মাধ্যমে এই কপ্টারটির উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা দরকার। এদিনের দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করেন কর্নেল বাগচি।

তদন্তের অপেক্ষা
চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন গ্রুপ ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা আর কে দাস। ক্যাপ্টেন দাস বলেছেন, দুর্ঘটনা কখনও বলেকয়ে আসে না এটা ঠিক। যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের কোন ত্রুটি যে কোনও কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে প্রাকৃতিক কারণেও। সাধারণত যখন কোনও কপ্টার আকাশে ওড়ে তখন সব পরিস্থিতির উপর পাইলটরা কড়া নজর রাখেন। যদি আবহওয়া প্রতিকূল থাকতো তাহলে পাইলট কোনওভাবেই একজন ভিআইপি ব্যক্তিকে নিয়ে ওড়ার ঝুঁকি নিতেন না। তাই আজকের দুর্ঘটনা কী কারনে সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। যদি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তবে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। খুবই আশ্চর্যের। কারণ ওড়ার অনুমতি দেওয়ার আগে বিমান বা কপ্টার সম্পূর্ণ পরীক্ষা করে দেখা হয়। বিশেষ করে ভিআইপি থাকলে তো কথাই নেই। তাই কি কারণে এই দুর্ঘটনা তা জানতে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

টাকার অভাব বললে হবে না
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার প্রবীর সান্যাল বলেছেন, রাশিয়ার তৈরি এই এমআই-১৭ কপ্টারটি যথেষ্ট আধুনিক মানের। তবে সময় আরও অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আরও অত্যাধুনিক ও উন্নত মানের কপ্টার বাজারে এসেছে। সেনাবাহিনীর উচিত এ ধরনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিমান বা কপ্টার ব্যবহার করা। এটা মনে রাখতে হবে যে, সেনাবাহিনীর সদস্যদের সব সময় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে হয়। তাই তাঁরা যাতে সর্বাধুনিক জিনিসপত্র পান সে বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। কিন্তু যখনই কোনও অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র বা বিমান কেনার কথা ওঠে তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় টাকা নেই। অথচ বিভিন্ন সরকারি ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে খোলামকুচির টাকা খরচ করা হয়। এটা ঠিক নয়। যারা দেশের প্রতিরক্ষার কাজ করছেন সবার আগে তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার।

কেন আগুন ?
কপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ব্রিগেডিয়ার পৃথ্বীরঞ্জন দাস বলেছেন, এমআই-১৭-এর মত অত্যাধুনিক কপ্টার কেন দুর্ঘটনার মুখে পড়ল সবার আগে সেটা তদন্ত করে দেখা দরকার। কারণ এই অত্যাধুনিক কপ্টারটি মরুঝড় বা সমুদ্র উপকূলের ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে অনায়াসে উড়তে পারে। এমনকি, আলো কমে এলেও এই কপ্টারের উড়তে কোনও সমস্যা হয় না। এদিনের কপ্টার দুর্ঘটনার পিছনে নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি ছিল একথা মানতে রাজি নন পৃথ্বীরঞ্জন।

তিনি বলেন, সুলুর থেকে ওয়েলিংটন মাত্র ২০ মিনিটের যাত্রাপথ। তাই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের কপ্টারের সঙ্গে আর কোনও কপ্টার ওড়েনি। দ্বিতীয় কোনও কপ্টার না থাকার বিষয়টিকে নিরাপত্তার গাফিলতি বলে মানতে রাজি নন তিনি। বরং তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, বিমানটিতে কেন আগুন ধরল তা জানা দরকার। আগুন এর পিছনে কোনও নাশকতা আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পৃথ্বীরঞ্জন।

রিপোর্ট প্রকাশ করুক সরকার
বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান শঙ্কর রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ঠিক কোথায় ভুল বা ত্রুটি হয়েছিল, কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল সবকিছুই প্রকাশ্যে আনা উচিত। কারণ চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের মত একজন ব্যক্তির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ যদি প্রকাশ করা না হয় তাহলে হাজারো প্রশ্ন উঠবে। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াবেন। সেটা কখনওই কাম্য নয়। সেনার পক্ষেও সেটা ভাল হবে না। সরকার যদি এই দুর্ঘটনার কারণ গোপন রাখে তবে মানুষের মনে সন্দেহের উদ্রেক হবে। তাই আমি মনে করি, সেনার সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের উচিত যত শীঘ্র সম্ভব এই দুর্ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশ করা। যত শীঘ্র সম্ভব বললেও প্রাক্তন সেনাপ্রধান নির্দিষ্ট করে কোনও সময়সীমার কথা বলতে চাননি। তবে প্রাক্তন সেনা প্রধান শঙ্কর রায়চৌধুরী আশা করছেন, কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা সহজেই জানা যাবে।

]]>
World Inequality: মোদী সরকারের জমানায় ভারতে আর্থিক ও লিঙ্গ বৈষম্য চরম আকার নিয়েছে https://ekolkata24.com/business/world-inequality-india-among-most-unequal-nations-top-1-of-population-holds-22-of-national-income-report Wed, 08 Dec 2021 08:38:14 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14094 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে ‘আচ্ছে দিনের’ স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আচ্ছে দিন তো দূর অস্ত, বরং ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের (world inequality lab) সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে ভারত এক দরিদ্র এবং চরম অসাম্যের (inequality) দেশ। এই দেশের অধিকাংশ সম্পদ রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ ধনী মানুষের (rich people) হাতে।

ফ্রান্সের প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিক্সের (Paris school of economics) অন্তর্গত ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব সম্প্রতি ভারতের দারিদ্র অর্থনৈতিক এবং লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

এই রিপোর্টের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, যে সমস্ত দেশে এখনও চরম অসাম্য রয়েছে ভারত তার মধ্যে অন্যতম। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারতের ১ শতাংশ মানুষের হাতে জাতীয় আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ সম্পদ সঞ্চিত রয়েছে। সম্প্রতি দেশের আর্থিক উদারীকরণ এবং অর্থনৈতিক সংস্কারে ধনিক শ্রেণীর এই ১ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। এই ১ শতাংশ মানুষের আয়ের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে, অন্যদিকে গোটা দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই আয় কমেছে।

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেশের নিচের সারির অর্ধেকেরও বেশি মানুষের হাতে দেশের মোট সম্পদের মাত্র ১৩.১ শতাংশ রয়েছে। অর্থাৎ গত এক দশকে ভারতের ধনী যেমন আরও ধনী হয়েছে তেমনি দরিদ্র মানুষের দারিদ্র আরও বেড়েছে।

ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ভারতে লিঙ্গ বৈষম্যও যথেষ্ট উদ্বেগের। কারণ দেশের মোট আয়ে মহিলা শ্রমিকদের অংশ মাত্র ১৮ শতাংশ, যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে মহিলাদের অংশ গড়ে মাত্র ১৫ শতাংশ। একমাত্র এই হার চিনে কিছুটা বেশি। চিনে জাতীয় আয়ে মহিলাদের অংশ ২১ শতাংশ। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতি ও কেন্দ্রের মোদী সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার দেশে আর্থিক বৈষম্য বাড়িয়ে তুলেছে। সরকার যদি অবিলম্বে তাদের এই নীতি না বদলায় তবে দেশে এক চরম আর্থিক বৈষম্য তৈরি হবে। এই অবস্থা গোটা দেশের আর্থিক পরিকাঠামোর এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক। ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস্থার ডাফলোর মত বিশেষজ্ঞ।

]]>
Kolkata-City of Joy: হাওড়া ব্রিজের ‘বড়দা’ শোনায় পুরনো শহরের গল্প https://ekolkata24.com/offbeat-news/kolkata-city-of-joy-special-report-on-bally-bridge-in-kolkata Mon, 06 Dec 2021 17:26:55 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13856 Kolkata: হাওড়া ব্রিজের থেকে বয়সে ১১ বছরের বড় নব্বইয়ের দোরগোড়ায়.. দাঁড়িয়ে নিশব্দ। গল্প শোনায় পুরোনো ব্রিজ।

২৯ ডিসেম্বর তার জন্মদিন। এক সময়ে নামডাক থাকলেও এখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়া, ৯০ বছরের এই ‘বৃদ্ধ’ কার্যত নিঃসঙ্গ। আর তাই তার জন্মদিন পালন তো দূর, গায়ে জমে থাকা ময়লা সাফ করারও কাউকে পাওয়া যায় না বঞ্চনার শিকার এই বৃদ্ধের পরিচয় ‘ওয়েলিংডন ব্রিজ’, যাকে সকলে চেনেন বালি ব্রিজ নামে। বিদেশি নাম ছেড়ে এক সময়ে তার নাম রাখা হয়েছিল বিবেকানন্দ সেতু। ১৯৩১ সালে ২৯ ডিসেম্বর গঙ্গার উপরে উদ্বোধন হয়েছিল এই রেল ও সড়ক ব্রিজের।

ইতিহাস বলছে, গুজরাতের কচ্ছ এলাকার বাসিন্দা, রেলের ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী রায়বাহাদুর জগমল রাজা এই সেতু তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন ১৯২৬ সালে। এই কাজের জন্য কচ্ছ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল মিস্ত্রিদের। ব্রিজের ভিত তৈরি করতে গঙ্গার নীচে ১০০ ফুট গভীর পাতকুয়ো খোঁড়া হয়েছিল। তার উপরে স্তম্ভ বানিয়ে স্টিল ও কংক্রিট ব্যবহার করে রেল ও সড়ক ব্রিজটি তৈরি হয়। খরচ হয়েছিল প্রায় এক কোটি টাকা।

রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন এই ব্রিজের নীচে রয়েছে ৭৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৮ মিটার প্রস্থের লোহার কাঠামো। ব্রিজের সাতটি স্তম্ভের উপর রয়েছে সাতটি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট, আর তার উপর পাতা রয়েছে ঢেউ খেলানো ট্র্যাপ প্লেট। এর উপরেই কংক্রিট করা অংশ দিয়ে বালি ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে গাড়ি চলাচল করে। দুই রাস্তার মাঝে রয়েছে শিয়ালদহ-ডানকুনি শাখার রেললাইন। ভারতীয় রেলের ইতিহাসেও এই ব্রিজের গুরুত্ব রয়েছে। জানা যায়, এই ব্রিজের উপর দিয়েই প্রথম বার হুগলি নদী পারাপার করেছিল ট্রেন— হাওড়া থেকে শিয়ালদহগামী জগমল রাজা হাওড়া এক্সপ্রেস।

বয়সের হিসেবে বালি ব্রিজ হাওড়া সেতুর থেকেও ১১ বছরের বড়। কিন্তু হাওড়া শহরের দুই প্রান্তে গঙ্গার উপরে থাকা এই দুই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে বিশাল বৈপরীত্য। প্রতি বছরই প্রতিষ্ঠা দিবসে এবং বছরের বিশেষ দিনে রঙিন আলোয় সেজে ওঠে হাওড়া সেতু। সেখানে বালি ব্রিজে অধিকাংশ দিন আলোই জ্বলে না। দীর্ঘ দিন ধরে এই আলোর সমস্যার সমাধানে পূর্ত দফতর এখন এলইডি আলো লাগালেও স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই বেশ কিছু আলো বন্ধ থাকে। আবার ব্রিজের রাস্তা খারাপ হয়ে গেলে তা কে সারাবে, তা নিয়ে রেল ও রাজ্যের চাপান-উতোরেই বছর ঘুরে যায়।

দুই সেতুর বৈপরীত্যের এখানেই শেষ নয়! গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া রুখতে হাওড়া সেতুর রেলিংয়ের উপর লাগানো হচ্ছে লোহার তারের জাল, নজরদারির জন্য রয়েছে সিসি ক্যামেরা, পুলিশের ক্যাম্প, কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের টহলদারি। পান-গুটখার পিক থেকে হাওড়া সেতুকে বাঁচাতেও তৎপর প্রশাসন। সেখানে বালি ব্রিজের দিন কাটে একা, অবহেলায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, বালি ব্রিজের আইনশৃঙ্খলার দিকটা বালি ও বেলঘরিয়া, বরাহনগর থানা ভাগাভাগি করে দেখে। মেরামতির দায়িত্বও রেল ও পূর্ত দফতরের হাতে। কিন্তু তবু দিনের পর দিন চুরি হয়ে যাচ্ছে সেতুর মূল স্টিলের কাঠামো রক্ষা করার লোহার ঢাকনা। ফুটপাত থেকে শুরু করে ব্রিজের সর্বত্র পান-গুটখার পিকে রাঙানো। রেলিংয়ে জমে চাপ চাপ ধুলো। নেই সিসি ক্যামেরা, পুলিশের স্থায়ী ক্যাম্প। অরক্ষিত ব্রিজের রেলিং। ধুলোভর্তি গালিপিটের কারণে বর্ষায় জল থইথই করে ব্রিজের উপরে।

বালি ব্রিজের দুই প্রান্তে রয়েছে চারটি ঘর, তার পাশ দিয়ে নেমে গিয়েছে ব্রিজের নীচে যাওয়ার চারটি সিঁড়ি। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, ব্রিজ তৈরির পরে ওই ঘর থেকেই টোল আদায় করা হত। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই ঘর-সিঁড়ি সবই আজ ভগ্নপ্রায়। ঘরগুলির গায়ে ঝোপের আড়ালে আজ চাপা পড়ে রয়েছে ‘বৃদ্ধ সেতুর জন্মদিনের তারিখ ও ব্রিটিশদের দেওয়া নামের ফলক। ব্রিজের কাঠামোয় রায়বাহাদুর জগমল রাজার নামাঙ্কিত ফলকটিও আজ ধুলোয় চাপা পড়েছে। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, ব্রিজের দু’পাশের ওই ঘরগুলি ব্যবহার করে অনায়াসেই রেস্তরাঁ থেকে পুলিশ ক্যাম্প— অনেক কিছুই তৈরি করা যেত। কিন্তু সে সবে কেউই উদ্যোগ দেখায়নি।

]]>
Jaleshwar Temple: জলের নীচে মহেশ্বর, পূন্যতীর্থ জলেশ্বর https://ekolkata24.com/offbeat-news/special-report-on-north-24-parganas-jaleshwar-temple Tue, 30 Nov 2021 09:23:55 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12865 বিশেষ প্রতিবেদন: সারাবছর মন্দির সংলগ্ন বিরাট জলাশয়ে  (Jaleshwar) মহাদেব থাকেন, আর চৈত্র সংক্রান্তিতে সন্ন্যাসীরা তাকে জল থেকে তুলে আনেন৷ একদম সঠিক৷ আপনি সারাবছর পুকুরে খুঁজলেও পাবেন না মহেশ্বরকে৷ চৈত্র সংক্রান্তিতে অনেক সন্ন্যাসী মিলে তোলেন মহাদেবকে৷ ধুমধাম করে পুজো হয় বাবার৷ চড়কের মেলা বসে৷ এক অদ্ভূদ সুন্দর পরিবেশ৷

সন্ন্যাসীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখলে, গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য৷ সাথে গ্রাম্য মেলা৷ পাঁপড় ভাজা হোক বা জিলিপি৷ হাজার হাজার মানুষ এই দিন নিজের মানত পূরণ করেন৷ আপনাদের তাক লাগবে দেখলে৷ সবচেয়ে বেশী মানত হয় দণ্ডি কাটার৷ কত মহিলা কত যুবক দেখবেন, পুন্যপুকুরে স্নান করে দণ্ডি কেটে হয় মন্দিরে যাচ্ছেন বা মন্দির প্রদক্ষিণ করছেন৷ আমি দেখে অবাক হয়েছিলাম ৷ কত যুবকের চাকরী পাবার বাসনা পূরণ হয়েছে , অনেকে সন্তানলাভ করেছেন৷ সবাই নিজের মানত এইদিন পূরণ করেন৷ পাশের একটা গাছে বেঁধে যান ঢিল৷ গাছটা আমফানে পড়ে গেলেও , তার ডালে কত মানসিক , কত মানুষের অপূর্ণ বাসনার আশার ঢিল গুলো বাঁধা আছে৷

পুজোর পর বাবা আবার জলে চলে যান৷ সারাবছর এই পুকুরে তার বাস৷ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এই পরিবেশে আছে ছোট্ট একটি পার্ক৷( পার্কের প্রবেশমূল্য ২০ টাকা) বড় মাঠ৷ পিকনিক করবার জায়গা, গেস্টরুম , শৌচাগার থেকে স্নান করে পোশাক পরিবর্তন সবরকম ব্যবস্থা আছে৷ উচ্চস্বরে ডি জে বক্স বাজনো এখানে নিষিদ্ধ ৷

আশেপাশে, লুচি তরকারি , ফুচকা , আইসক্রিম, টুকটাক খাবার পেয়ে যাবেন৷ বাড়ি থেকে কিছু করে আনলে , মাঠে বসে খাবার সুন্দর জায়গা আছে৷ জলের সমস্যা নেই ৷ সারাদিন সুন্দর ভাবে কাটানোর জন্য বেশ ভালো জায়গা৷ সাথে ভোলেনাথের আশীবার্দ পরম প্রাপ্তি ৷ মন্দিরের পা দিলেই মন শান্ত হয়ে যেতে বাধ্য৷ যেকোন দিন পুজো দেওয়া যায়৷ আর পার্ক খোলা থাকে সকাল সকাল থেকে বিকাল চারটেয় অবধি৷ যদিও খুব ছোট্ট পার্ক কিন্তু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন৷

উঃ ২৪ পরগণার বনগাঁ লাইনের , গোবরডাঙা স্টেশনে নেমে টোটো রিজার্ভ করে যাওয়া যায় অথবা দুটো অটো পাল্টে যাওয়া যায়৷ অথবা হাবড়া নেমে বনগাঁগামী বাস ধরলে, জলেশ্বর মোড়ে নেমে, টোটো ধরে সোজা মন্দির৷ মন্দির পথের সবুজ গ্রাম আপনাদের মন কাঁড়বেই৷ শহরের কোলাহলের থেকে দুর কাটানো যেতেই পারে শিবশম্ভূর পায়ের কাছে কিছুক্ষণ ৷

আশ্চর্যের বিষয় আপনি সারাবছরের কোনদিন মহাদেব কে জলে খুঁজেই পাবেন না৷ অনেকে অনেকবার চেষ্টা করেছেন৷ পাবেন শুধু চৈত্র সংক্রান্তিতে৷

]]>
26/11 Mumbai attack: জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা শরীর, নাগপাশে তুকারাম ধরলেন কাসভকে https://ekolkata24.com/offbeat-news/special-report-on-tukaram-omble-in-the-26-11-mumbai-attacks Fri, 26 Nov 2021 09:12:01 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12455 26/11 Mumbai attacks
বিশেষ প্রতিবেদন: সেদিন রাত্রের শিফটে ডিউটি ছিল তুকারাম ওম্বলের (Tukaram Omble)। হালকা মেজাজে ভাবছিলেন কদিন পরেই শীতের আমেজ আসবে,মুম্বাই সেজে উঠবে উৎসবের মেজাজে। বান্দ্রা জুহু অন্ধেরি সব জায়গা উঠবে ঝলমলিয়ে। ছেলে মেয়েরা ধরেছে শীতের ছুটিতে কোথাও একটা যাবে। হাসি পেলো তুকারামের , পুলিশের আবার ছুটি। কোনো উৎসবেই তাদের ছুটি চাওয়া পাপ। গণপতি উৎসব,দেওয়ালি, হোলি কিছুতেই মেলেনা ছুটি। তবু পরিবারের মানুষেরা চায় তাকে।এবার একটা চেষ্টা করবে ছুটি নেবার।

ভাবতে ভাবতে মনটা পিছন ফিরে চলে গেলো। সেই কবে আর্মিতে যোগ দেবার পর থেকেই ছুটি বলে কিছু নেই জীবনে। তারপর কতদিন পেরিয়ে গেছে, খালি ডিউটি আর এদিক ওদিক ছুটে বেড়ানো। বাড়ি থেকে কতো দূরে থাকতে হতো সেই সৈনিক জীবনে। কিন্তু সেই জীবনে একটা রোমাঞ্চ ছিলো। দেশরক্ষার গর্ব গর্বিত করতো। ঝুঁকি নিতে বেশ লাগতো। দেশপ্রেমটা তার মধ্যে চিরকালই বেশি। আর্মি থেকে অবসরের পর যোগ দেন মুম্বাই পুলিশের সব ইনস্পেক্টর পদে। ঘর থেকে ডিউটি। নিরুপদ্রব জীবন, এতেই অভ্যস্ত হয়েছেন এখন। তাও মাঝে মাঝে আর্মির সেই দিন গুলো মনে পড়লে রক্ত গরম হয়, জীবন চায় আবার অভিযান করতে। আবার তারপর মনে হয় এই বেশ, পরিবারকে সময় দেওয়া যাচ্ছে।

ভাবনার ছেদ পড়ল ইনস্পেক্টর ইন চার্জের উত্তেজিত কন্ঠে। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এ জঙ্গী হানা হয়েছে। বহু মানুষ হতাহত। জঙ্গিরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে অ্যান্টি টেরোরিস্ট শাখার অফিসার হেমন্ত কারকারে, এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট বিজয় সালাসকার কে। তাদের কোয়ালিস গাড়ি নিয়ে জঙ্গীরা এদিকেই আসছে। অফিসার দ্রুত পজিশন নিতে বললেন সবাইকে। রক্ত গরম হয়ে উঠলো ওম্বলের। ফোর্সকে রেডি হতে বলে লাঠি হাতে বেরিয়ে পড়লেন রাস্তায়।

এদিকে ইসলামিক ফিদায়ে জঙ্গি গোষ্ঠীর দুই সদস্য আজমল কাসব ও ইসমাইল খান শিবাজি টার্মিনাস এ হামলা চালিয়ে প্রচুর মানুষকে হত্যা করে বাইরে বেরিয়ে এলো। চারদিকে আতঙ্কিত মানুষের ছোটাছুটি, চিৎকার। বেশ মজা লাগলো তাদের। ভারতীয় গুলোর রক্ত দেখা পবিত্র কর্তব্য। আবার কয়েক রাউন্ড গুলি করলো জনগনকে লক্ষ্য করে। চিৎকার আরো বাড়লো। দেখা গেলো একটা টয়োটা গাড়ি আসছে লাল বাতি লাগানো। পজিশন নিলো তারা। গাড়ি থেকে সালাস্কার,হেমন্ত কারকারে প্রমুখ নামতেই গুলিবর্ষণ শুরু করলো। ঝাঁঝরা হয়ে গেলো অফিসাররা। গাড়িটার দখল নিলো কাসব। গাড়ি ছুটলো তাজ হোটেল লক্ষ্য করে। ততক্ষণে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ। হঠাৎ গাড়ির চাকা বার্স্ট করলো। তারা একটা অন্য গাড়ি দখল করে ছুটলো। মুম্বাই পুলিশের অসহায় আত্মসমর্পণ আর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এর বহর দেখে মজা করতে লাগল তারা।

সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে রাস্তায় নাকা চেকিং করছে পুলিশ।সমস্ত গাড়িতে তল্লাশি চলছে। চৌপট্টি এলাকায় ডবল ব্যারিকেড করেছে পুলিশ। দেখা গেলো তীর বেগে ছুটে আসছে একটি স্কোডা গাড়ি। আটকাতেই গাড়ি থেকে ছুটে এলো গুলির ঝাঁক। পুলিশও গুলি চালালো। এক জঙ্গি ঝাঁঝরা হয়ে গেল। অপরজনের কাঁধে গুলি লাগলো। সে চালাচ্ছিল গাড়ি। দ্রুত ইউ টার্ন নিলো গাড়ি। ঝাঁপিয়ে পড়লেন তুকারাম। একে জ্যান্ত ধরবো। শরীরে ফুটছে আর্মি রক্ত। দেশপ্রেমের আদর্শ উত্তাল সমুদ্রের মতো উথাল পাথাল করছে। কানে বাজছে সেই মিলিটারি কমান্ডারের আদেশ, “দেশকি শত্রুও কো হাম নেহি ছোড়েঙ্গে। দেশ হামারে মা হ্যায়। মিট্টিমে মিলা দুঙ্গা দেশ কি শত্রুও কো।”

তুকারাম হাতের লাঠি দিয়ে সজোরে ঘা দিলেন গাড়ির দরজায়। এক হ্যাঁচকা টানে খুলে ফেললেন গেট।টেনে ধরলেন তার বন্দুকের নল। ঝাঁপিয়ে পড়লেন জঙ্গির ওপর। জঙ্গি গুলি শুরু করলো। বুকে পরপর ঢুকে যাচ্ছে বুলেট।রক্তে ভিজছে তার ইউনিফর্ম। আর লৌহকঠিন দুই হাত পেঁচিয়ে ফেলেছে জঙ্গীর গলা। প্রাণপণে আঁকড়ে ধরেছেন তাকে। আঁকড়ে ধরলেন কাসবকে। অক্টোপাসের নাগপাশ ছাড়াতে পারলনা সে। অন্য পুলিশরা ধরে ফেলল কাসব কে। বন্ধন আলগা হোল তুকারামের। দু হাত প্রসারিত করে শুয়ে পড়লেন দেশের মাটির ওপর। ভলকে ভলকে রক্ত ভাসিয়ে দিলো তার জামা। আকাঙ্ক্ষিত ছুটি মিলল তাঁর। দিনটা সরি রাতটা ছিল এই ২৬/১১। সালটা ২০০৮। শহীদ হলেন তুকারাম ওম্বলে।

তাঁর অসম সাহসী এই লড়াই সেদিন ধরিয়ে দিয়েছিলো মুম্বই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি কাসব কে। তার থেকে জানা গিয়েছিলো তার পাকিস্তানি পরিচয়। আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের মুখোস খুলে দেবার অকাট্য প্রমান পেয়েছিল ভারত। সরকার সম্মান জানিয়েছিল এই বীর শহীদকে। প্রজান্তন্ত্র দিবসে তাঁকে মরণোত্তর অশোক চক্র সম্মান দেওয়া হয়েছিলো। তিনি প্রমান করেছিলেন দেশদ্রোহীদের থেকে দেশপ্রেমিকদের ক্ষমতা অনেক বেশী।

]]>
Rabi Ghosh: বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন বাবা, ফিরে আসেন অভিনেতা হয়ে https://ekolkata24.com/offbeat-news/special-report-about-actor-rabi-ghosh Wed, 24 Nov 2021 08:42:29 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12204 বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতা: স্কুলে পড়ার সময় থেকেই নাটকে অভিনয়ের হাতেখড়ি। তারপর যখন কলেজে ভর্তি হলেন তখন বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুললেন ‘বন্ধুমন’ নামে একটি নাটকের দল। মহড়া দিতেন আশুতোষ কলেজের ছাদে। কিন্তু, বাবা জীতেন্দ্রনাথ তা একেবারেই পছন্দ করতেন না। প্রায়ই স্ত্রী জ্যোৎস্না রানীকে বলতেন, “ অভিনয় কইরা সময় নষ্ট করে ক্যান ? তোমার পোলারে কয়া দিও ওই চেহারায় অভিনয় হয় না। সে ছিলো দুর্গাদাস বাঁড়ুজ্যে, হিরোর মতন চেহারা।”

অভিনয়ের এমনই পোকা ছিলেন যে বাড়ি থেকে তাকে বের পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছিলো। তবে মায়ের সমর্থন ছিলো পুরোপুরি। তাই তিনি সামনে এগুতে পেরেছিলেন। ভাগ্যিস মা-র সমর্থন ছিলো নইলে বাংলা চলচ্চিত্র এতো শক্তিশালী চরিত্র – অভিনেতা পেতো না। মহড়া সেরে গভীর রাতে বাড়ি ফিরতেন , চুপি চুপি , যাতে বাবা টের না পান । জীবনের কী সমাপতন ! মঞ্চে অভিনয়ের ঠিক পাঁচদিন আগে বাবা চলে গেলেন । মায়ের কাছে বললেন ছেলে‚ তাঁর দলের অনেক দেনা-কর্জ । শো বাতিল হলে মুশকিল । কালাশৌচের মধ্যেই প্রথম মঞ্চাবির্ভাব । অভিনয়ের প্রতি এই নিখাদ নিবেদন বজায় ছিল জীবনের শেষদিন অবধি । তখন তিনি প্রতিষ্ঠিত । আচমকা মৃত্যু ছোট বোন তপতীর । তার কয়েক ঘণ্টা পরে মঞ্চে বেদম হাসির নাটক ” কনে বিভ্রাট ” দেখে কেউ আঁচও করতে পারেনি সদ্য বোনকে হারানো রবি ঘোষের মনের মধ্যে কী ঝড় বয়ে যাচ্ছে — সে যেন ছিল নিজের সঙ্গে নিজের প্রতি হাস্যকর অভিনয় ! তিনি অভিনেতা নয়, কমেডিয়ান নয় বরং চরিত্রাভিনেতা হিসেবে নিজেকে সব সময় পরিচয় দিতেন। বলতেন যেকোনো চরিত্রই ফুটিয়ে তোলা একজন চরিত্রাভিনেতার কাজ।

রবি ঘোষ তাঁর অভিনয়ের গুরু বলে মানতেন চার্লি চ্যাপলিনকে। যে চ্যাপলিন বলেছিলেন, “Actors search for rejection. If they don’t get it they reject themselves.” এখন আর কমেডিয়ানদের যুগ নেই। সারা বছরে হয়তো গুটিকয়েক কমেডি ছবি মুক্তি পায়। একটিও বক্স-অফিস সাফল্য নয়। অনেকবছর আগে অনীক দত্তের ‘ ভূতের ভবিষ্যৎ ’ রমরমিয়ে চলেছিল বটে। তাও হাতেগুনে ওই একটিই। এখনকার কমেডি বাংলা ছবি জোর করে কাতুকুতু দিয়ে লোক হাসায়। কিন্তু রবি ঘোষকে কেউ ভোলেনি। ‘দ্য রিয়্যাল হিরো’ – কে ভুলে যাওয়া সহজ নয়। শুধু বডি – বডি করে না কাটিয়ে পড়াশোনাও করেছেন নিজের মতো। তাঁর পড়াশোনা, বিশ্বের বিভিন্ন ছবি দেখা কত সমৃদ্ধ, সবকিছুই বোঝা যাবে রবি ঘোষের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার শুনলে বা পড়লে । ভাগ্যিস তিনি অভিনয়ে এলেন ! নাহলে এই ক্ষুদ্র জীবন নতুন দর্শনের ভ্রমণে ঘুরতে পারতেন না।

Special report about actor Ravi Ghosh

বিশ্বখ্যাত পরিচালক – অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন বলেছিলেন, “ To truly laugh, you must be able to take your pain, and play with it.” তারপর আরও বলেছিলেন, “ Life is a tragedy when seen in close-up, but a comedy in long-shot.” — এই অমোঘ সমস্ত কথাগুলির সঙ্গে দৃশ্যত মানিয়ে যায় আমাদের প্রত্যেকের পছন্দের এক অভিনেতার নাম — তিনি হলেন রবি ঘোষ ! পুরো নাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষদস্তিদার । আক্ষরিক ও ব্যবহারিক দু দিক দিয়েই মধ্যবিত্ত বাঙালির পক্ষে খুব ভারী নাম । সংক্ষেপ করে নিয়েছিলেন । বাদ পড়েছিল ইন্দ্র‚ নাথ ও দস্তিদার । যেটুকু ছিল সেটুকু ছোট‚ উচ্চারণেও সুবিধে — ছোট হলেও সে নামের ওজন ও অভিঘাত দুইই বড় সাঙ্ঘাতিক । কয়েক দশক ধরে বাংলা ছবিতে সে নামের ‘ কী দাপট ‘ ! জন্ম পূর্ববঙ্গে ১৯৩১-এর ২৪ নভেম্বর ! আজ সেই উপলক্ষে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলী !

আপাদমস্তক দক্ষিণ কলকাতার মহিম হালদার স্ট্রিটের বাসিন্দা । পড়তেন ভবানীপুরের সাউথ সাবার্বান স্কুলে । তারপর আশুতোষ কলেজ । বিজ্ঞান শাখায় পড়ছেন । বাবার আশা‚ ভবিষ্যতে ভদ্রস্থ চাকরি বাঁধা । কিন্তু ছেলেও মন বন্ধক দিয়ে দিয়েছেন থিয়েটারের কাছে । সেই সময় মাস্‌ল ফুলিয়ে, ছাতি চওড়া করে সিনেমায় ‘হিরো’ হওয়ার চল ছিল না। সুন্দর মুখ আর শক্তিশালী অভিনয়েই প্রত্যেকে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নিজের জাত চেনাতেন। তিনি একলব্য হলে তাঁর দ্রোণাচার্য উৎপল দত্ত । কলেজে পড়তে পড়তে শরীরচর্চা করতেন । পাখির চোখ — মঞ্চে অভিনয় ।

অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় ১৯৫৯ সালে তার ‘আহ্বান’ চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রবিকে যুক্ত করেন। কিন্তু, রবির জীবনের মোড় ঘুরে যায় তপন সিনহার ‘গল্প হলেও সত্যি’- তে অভিনয়ের পর। ছবিতে এক চাকরের ভূমিকায় অভিনয় করলেও তিনি হয়ে উঠেছিলেন মূল চরিত্র। তপন সিনহার ‘ গল্প হলেও সত্যি ‘ – তে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি সবার নজরে আসেন। যদিও পূর্বেই মঞ্চে উৎপল দত্তের ‘অঙ্গার’ নাটকে তাঁর অনবদ্য অভিনয় দেখেছিলেন পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় এবং বড় পর্দায় প্রথম সুযোগ দেন তিনি — ১৯৫৯ সালে ‘ আহ্বান ‘ ছবি । নায়ক অনিল চট্টোপাধ্যায়‚ নায়িকা সন্ধ্যা রায়‚ সঙ্গে নবাগত রবি ঘোষ । ১৯৬৮ সালে সত্যজিৎ রায় নির্মিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ চরিত্রে তার অভিনয় চলচ্চিত্রজগতে একটি মাইলফলক। বাঘা চরিত্রে অভিনয় করে অভিনয় শিল্পটিকেই এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।

‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘অভিযান’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’ ছবিগুলিতে একের পর চুটিয়ে অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা রবি ঘোষ। নায়কোচিত চেহারা না হলেও সে যুগের বাংলা ছবির সমস্ত পরিচালকের প্রিয়পাত্র ছিলেন রবি। তাঁর হাত ধরেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কত কত সফল অভিনেতা ও অভিনেত্রী এসেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে ! ১৯৫৩ সালে কলকাতা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চাকরি শুরু করলেও ১৯৬১-তে সেই পাট চুকিয়ে পাকাপাকি ভাবে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন রবি ঘোষ। অভিনয়ের সঙ্গে এতটাই একাত্ম হতেন যে যখনই কোনো নতুন মুখের দরকার পড়েছে তখনই এগিয়ে এসেছেন। ‘আকাশ কুসুম’-এর জন্য মৃণাল সেনের কাছে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে, ‘মহানগর’এর জন্য জয়া ভাদুড়িকে, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’- র জন্য সত্যজিত রায়ের কাছে শমিত ভঞ্জ ও শুভেন্দুকে নিয়ে গিয়েছেন।

সিনেমা দেখেন কিন্তু রবি ঘোষকে পছন্দ করেন না – এমন তো হতেই পারে না। ‘ বাঘা বাইন ’ আসলে রবি ঘোষ বরিশালের বাঙাল , যদিও বড় হয়েছেন কলকাতায়। জীবনের বড় অংশ জুড়েই আছে তাঁর সিনেমার গুরু সত্যজিৎ রায়, নাটকের গুরু উৎপল দত্ত ও কমলকুমার মজুমদার। চকলেটের লোভ দেখিয়ে জয়া ভাদুরিকে নায়িকা হতে রাজি করিয়েছিলেন রবি ঘোষ। বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে তিনি সবচেয়ে পরিচিত তার হাস্যরসাত্মক চরিত্র রূপায়নের জন্য। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি বাংলা নাট্যমঞ্চ এবং টেলিভিশন তথা ছোট পর্দায় অভিনয় করেছেন। রবি ঘোষের অভিনয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্যই ছিল হাস্যরসের মাধ্যমে সামাজিক রূঢ় বাস্তবিক ঘটনাগুলিকে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করা। অভিনয়ের আন্তরিকতা ও সংবেদনশীলতা তাঁর প্রতিটি চরিত্রকে নতুন আঙ্গিকে হাজির করেছিল। আজীবন বাংলা ছবির ‘কমেডিয়ান’ তকমা পেলেও তিনি ছিলেন এক অসাধারণ চরিত্র অভিনেতা !

অথচ পর্দায় যতই তিনি একজন কমেডিয়ান অভিনেতা হোন না কেন, বাস্তবে ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন সম্পূর্ণ বিপরীত। যিনি সময় পেলেই ‘রামকৃষ্ণ কথামৃত’ পড়তেন। পরচর্চা পরনিন্দা একবারে না-পসন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন সাঙ্ঘাতিক সিরিয়াস । প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী অনুভা গুপ্ত প্রয়াত হয়েছিলেন ১৯৭২-এ । তার ১০ বছর পরে বিয়ে বৈশাখী দেবীকে । এক বন্ধুর বাড়িতে প্রথম আলাপ । প্রথম দর্শনে বৈশাখী দেবী নাকি খুব হেসেছিলেন তাঁকে দেখে । পরে নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন বৈশাখী দেবী । আলাপের মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে বিয়ে । যখনই মজার সংলাপ শোনার আব্দার করতেন উল্টোদিক থেকে জবাব আসতো — কেন ! আমি কি জোকার ?

বাইরের কেউ না থাকলে কাজের লোকেদের, ড্রাইভার গণেশকে বসিয়ে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ শোনাতেন। যে জন্য বহুবার বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন, জীবনের শেষ মুহূর্তটি পর্যন্ত তাতেই নিবিষ্ট করেছিলেন, তার নাম ‘অভিনয়’। বরিশালের এ হেন কুলীন বাবুটি হলেন রবি ঘোষ।

পাঁচের দশকে (১৯৫০-’৫১) ‘সাংবাদিক’ নাটক দিয়ে পথ চলা শুরু। উৎপল দত্তের পরিচালনায় এই নাটকে মাত্র তিরিশ সেকেন্ডের অভিনয় দেখে সে দিন মৃণাল সেন বুঝেছিলেন রবি ঘোষ কত বড় অভিনেতা। সাউথ সাবারবান মেন স্কুল – এ পড়াকালীন নাটকের মহড়া দিতেন বন্ধুদের ছাদে। সহপাঠী অভিনেতা তরুণ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে থাকতেন। ভবানীপুর আশুতোষ কলেজের নৈশ বিভাগে বি কম- পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চায় মন দেন। কলেজই বন্ধুত্ব হয় সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এঁরই পরামর্শে পৌঁছে যান উৎপল দত্তের নাটকের দল ‘লিটল থিয়েটার গ্রুপে’। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ — উৎপল দত্তের পরিচালনায় মিনার্ভা থিয়েটারে লিটল থিয়েটার গ্রুপ নিবেদিত ‘অঙ্গার’ নাটকের প্রথম শো।

সেদিন থেকে শেষ শো পর্যন্ত অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই নাটকের জন্য ‘উল্টোরথ’ পুরস্কার পান। নাছোড় অভিনেতা-পুত্রের অভিনয় দেখার দিন ঠিক করেছিলেন শেষ পর্যন্ত বাবা জীতেন্দ্রনাথ। কিন্তু বিখ্যাত ‘অঙ্গার’ নাটকে ছেলের অভিনয় আর দেখা হয়নি। ২৫ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। ‘অঙ্গার’ নাটকে সনাতনের ভূমিকায় একজন ছোটোখাটো চেহারার মানুষ খনি থেকে উঠে উচ্চ স্বরে বলে উঠেছিলেন ‘ আমি একজন ভূতপূর্ব লোক ’ ‑ যাঁরা সেই কন্ঠস্বর শুনেছিলেন তাঁরা আজীবন ভুলতে পারেননি।

ওঁর জীবনের অন্যতম প্রেরণা ছিলেন স্ত্রী অনুভাদেবী। অনুভা যখন একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, তখন রবি ঘোষ একজন স্ট্রাগলিং অভিনেতা। অথচ কী সুন্দর ভাবে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ‘অঙ্গার’ নাটকের অভিনয় দেখে পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় ‘কিছুক্ষণ’ ও তপন সিংহ ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’র জন্য ডাকেন। আর থেমে থাকতে হয়নি। তপন সিংহ তো রবিকে শুধু কমেডিয়ান হিসাবে দেখতেন না, দেখতেন চরিত্রাভিনেতা হিসাবে। তাঁর কথায়, “গোটা ভারতবর্ষে রবির মতো অসামান্য ক্ষমতাসম্পন্ন চরিত্রাভিনেতা বাস্তবিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ” ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’র পরেই প্রস্তাব আসে সত্যজিত রায়ের ‘অভিযান’-এর জন্য।

‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’ ছবি করার সময় থেকে অনুভাদেবীর সঙ্গে সম্পর্কের শুরু। সেই সময় রবি ঘোষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অনুভাদেবীর সেবায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। নানা টানাপোড়েনের মধ্যে বিয়ে করলেও ১৯৭২-এ স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন রবি ঘোষ। প্রায় বছর দেড়েক অভিনয় জগত থেকে সরে ছিলেন। ফিরে আসেন ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’- এর মাধ্যমে। এর এক দশক পরে, ১৯৮২-তে বৈশাখীদেবীকে বিয়ে করেন। ৪৭ নম্বর মহিম হালদার স্ট্রিটের বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন গলফ গ্রিনের ফ্ল্যাটে।

সময়ের ব্যাপারে খুব পাংচুয়াল ছিলেন রবি ঘোষ। ‘ঠগিনী’ শ্যুটিং-এ একদিন নির্দিষ্ট সময় পার করে ফ্লোরে এলেন। লাঞ্চের সময় জানালেন, মাকে দাহ করে এলেন, তাই দেরি। কর্তব্যপরায়ণ, দিলখোলা, আড্ডাবাজ, খাদ্যরসিক, বহুমুখী প্রতিভাধর অভিনেতা ছিলেন রবি ঘোষ। শুধু তা-ই নয়, রবি ঘোষ ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ। এখানে তাঁর সম্পর্কে তাপস সেনের মূল্যায়নটি মনে রাখার মতো। তাঁর কথায়, “ বহু মানুষের নানা সমস্যায় রবি যে সাহায্য করেছিল তা তাদের সূত্রেই জানতে পারি। শুধু বড় শিল্পী নয়, তিনি ছিলেন একজন খাঁটি মানুষ। ” লোকে বলতো, ‘রবি ঘোষ মানেই একাই একশো’। পরিচালক তপন সিংহ তাই বলেছিলেন, “গোটা ভারতবর্ষে রবির মতো অসামান্য ক্ষমতাসম্পন্ন চরিত্রাভিনেতা বাস্তবিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। রবি ঘোষকে আমি সেই অর্থে কখনও কমেডিয়ান হিসেবে দেখিনি।” ” ওই চেহারার চোখদুটোই কথা বলে ! ” যেমনটি বলেছিলেন সত্যজিৎ রায়।

রবির অভিনয় সম্পর্কে একটা খাঁটি কথা বলেছিলেন উত্তমকুমার : “ আমরা হয়তো জাঁকিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছি, আর রবি হয়তো কয়েক সেকেন্ড থেকে এমন একটা কিছু করবে যে ও গোটা দৃশ্যটা টেনে নিয়ে বেরিয়ে যাবে, লোকে হেসে গড়িয়ে পড়বে ”। আর বলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন,“ সব অভিনেতা, সব শিল্পী সব সময় আমার কাছে একশোয় একশো পায় না। রবি পেয়েছিল। ”

ওপরের দুটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি একে একে তিনি সত্যজিৎ রায়ের অভিযান (১৯৬২), মহাপুরুষ (১৯৬৫), অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৭০), হীরক রাজার দেশে (১৯৮০), গুপী বাঘা ফিরে এলো (১৯৯১), আগন্তুক (১৯৯১) প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি ‘নিধিরাম সর্দার’ নামে একটি চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেন। ১৯৭০ সালে তিনি ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও অংশ নেন। গৌতম ঘোষ পরিচালিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘পদ্মা নদীর মাঝি’-তেও অভিনয় করেন রবি ঘোষ।
এসবের বাইরে রবি ঘোষ অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘বসন্ত বিলাপ’(১৯৭৩), ‘পদি পিসির বার্মি বাক্স’ (১৯৭২), ‘ধন্যি মেয়ে’ (১৯৭১), ‘বালিকা বধূ’ (১৯৬৭), ‘কাল তুমি আলেয়া’(১৯৬৬),
‘স্বপ্ন নিয়ে’(১৯৬৬), ‘মোমের আলো’ (১৯৬৪), হাঁসুলীবাঁকের উপকথা (১৯৬২) প্রভৃতি।
প্রায় অর্ধশত বছরের অভিনয় জীবনে তিনি প্রায় একশর মতো ছবিতে কাজ করেছেন।

‘অভিযান’-এ ট্যাক্সি ক্লিনার, ‘জন অরণ্য’- এ ‘মিস্টার মিত্র’, ‘গল্প হলেও সত্যি’- তে ধনঞ্জয়, ‘পদ্মা। কলম ধরেছিলেন রবি। লিখেছিলেন দশটি কৌতুক নকশা। ১৯৯৭-এর বইমেলায় প্রকাশিত হল তাঁর ‘হাসতে যাদের মানা’। বইমেলার ইতিহাসে স্মরণীয় ১৯৯৭। সে বছরই বিধ্বংসী আগুনে মেলা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। তিনদিনের মাথায় ফের শুরু হয়েছিল মেলা। কিন্তু সেই বইমেলা বাঙালির জীবনে আরও একটি বিষাদময় ঘটনার জন্য স্মরণীয়। তাঁর বই প্রকাশিত হল, আর তিনিও চলে গেলেন। মেলা চলাকালীনই ৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই প্রয়াত হলেন রবি ঘোষ। তাঁকে হারিয়ে তাঁর সঙ্গী ‘গুপী গাইন’ তপেন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ শনিবার জুটি ছিলাম, রবিবার একা হয়ে গেলাম। ”

]]>
বিজেপি-শাসিত রাজ্যে পুলিশে ভরসা নেই সাধারণ মানুষের: রিপোর্ট https://ekolkata24.com/uncategorized/people-dont-trust-police-in-bjp-ruled-state-report Fri, 19 Nov 2021 16:26:42 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11780 News Desk: দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ পুলিশের (police) উপর কতটা ভরসা ও আস্থা রাখে সে ব্যাপারে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালানো হয়। ইন্ডিয়ান পুলিশ ফাউন্ডেশন (indian police foundation) নামে একটি স্বাধীন সংগঠন এই সমীক্ষাটি চালায়। সেই সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মানুষ পুলিশের উপর কোনও রকম আস্থাই রাখে না। পুলিশকে তারা কোনওভাবেই বিশ্বাস করে না। এই সমীক্ষায় একেবারেই বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণাংশের রাজ্যগুলিতে।

সমীক্ষা বলছে, দক্ষিণ ভারত ও উত্তর পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির মানুষ পুলিশের উপর যথেষ্ট আস্থাবান। দেশের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা কতটা স্মার্ট তা জানতে ‘স্মার্ট পুলিশিং ইন্ডেক্স ২০২১’ প্রকাশ করা হয়েছে। আইপিএফ-এর তৈরি করা ইনডেক্সে দেখা গিয়েছে, পুলিশের উপর ভরসা রয়েছে এমন প্রথম পাঁচ রাজ্য হল অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অসম, কেরল ও সিকিম।

custodial deaths

অন্যদিকে তালিকার একেবারে নিচের দিকে রয়েছে যথাক্রমে বিহার (bihar), উত্তরপ্রদেশ (utterpradesh), ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড ও পাঞ্জাব। এই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। আইপিএফ নামে এই সংগঠনটি ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষের মতামত নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। এই সমীক্ষায় প্রতিটি রাজ্যকে ১০-এর মধ্যে নম্বর দেওয়া হয়েছে। দশ নম্বরের মধ্যে ৮.১ এক পেয়ে প্রথম স্থানটি দখল করেছে অন্ধপ্রদেশ। বিহার ও উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে যথাক্রমে ৫.৭৪ ও ৫.৮১ নম্বর। পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্ত নম্বর ৬.৬৬।

যে কোনও সমস্যায় পুলিশ মানুষকে কতটা সাহায্য করে এই প্রশ্নের উত্তরে দেখা গিয়েছে, সর্বশেষ স্থানটি দখল করেছে উত্তরপ্রদেশ। নিরপেক্ষ পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে সবথেকে পিছনের রাজ্যটি হল উত্তরপ্রদেশ। বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নেও যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ একেবারেই কম নম্বর পেয়েছে। এই সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই পুলিশের উপর মানুষের ভরসা সবচেয়ে কম।

শনিবারই উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রধানের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে এই সমীক্ষা রিপোর্ট নিশ্চিতভাবেই মোদিকে চাপে রাখবে। কারণ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই পুলিশের উপর মানুষের আস্থা, ভরসা, ও বিশ্বাস সবচেয়ে কম।

]]>
দেব সেনাপতির কাজ ভুলে বাংলার কার্তিক হয়েছেন সন্তান লাভের প্রতীক https://ekolkata24.com/uncategorized/special-report-on-the-history-of-kartik-pujo Wed, 17 Nov 2021 08:41:17 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11588 বিশেষ প্রতিবেদন: আমাদের শাস্ত্রজ্ঞান হীনতার আরেক চরম নিদর্শন বঙ্গের কার্তিক পুজো । বঙ্গ দেশে বিভিন্ন পুরাণ ও তন্ত্রে গণেশের মতোই সমাদৃত কার্তিক মজার পাত্রে পরিণত হয়েছেন । দেব সেনাপতি হয়ে গিয়েছেন সন্তান লাভের প্রতীক।

গণেশ যেমন সিদ্ধি প্রদায়ক তেমনই কার্তিক বল বীর্য্য প্রদায়ক । বল হীণের নিকট জগৎ অভিশাপ । কারণ ধরিত্রী বীরভোগ্য । এ চিরকালীন নিয়ম । ষণ্মুখ , সুব্রহ্মণ্য, কুমার , শক্তিহস্ত , ময়ূরবাহন ইত্যাদি বিভিন্ন নামে তিঁনি পরিচিত পুজিত । তাঁর ছয় অক্ষর মন্ত্র অতি প্রসিদ্ধ । ভগবতী ললিতার মতোই কার্তিক এর পঞ্চদশী মন্ত্র অত্যন্ত সম্মানিত ও সমাদৃত । তিঁনি শত্রু বিনাশকারী । মঙ্গল গ্রহের অধিষ্ঠাতা । মঙ্গল গ্রহের গ্রহ দোষ প্রশমন কারী । শত্রু মারণের জন্য তাঁর মন্ত্রের বিশেষ প্রয়োগ আছে যা ঠিক ভাবে প্রযুক্ত হলে বিফল হয় না । এমনও বিশ্বাস আছে যে কার্তিকের মন্ত্র সঠিক প্রয়োগ হলে যেকোনো দুর্দশা কেটে যাবেই কারণ তাঁর শক্তি অস্ত্র অব্যর্থ । এই শক্তি অস্ত্র টি সমস্ত দুর্দশা কে বিণস্ট করে। প্রারব্ধ কে আটকে দেয় কার্তিকের মন্ত্র এক জন্মের জন্য । এমনিই একটি দুর্দশা অপত্যহীনতা । তার প্রতিকার ও তিনিই করেন ।

Special report on the history of Kartik Pujo

এগুলো তাঁর সগুন রূপের প্রয়োগ । আবার নির্গুণ রূপে তিঁনি ব্রহ্ম স্বরূপ। মোক্ষ প্রদানকারী । কার্তিকের মন্ত্রের ছয় লক্ষ জ্পের পুরশ্চরন আত্ম জ্ঞান প্রদান করে ।

এইসব দূরে সরিয়ে রেখে বঙ্গে কার্তিক হয়ে গিয়েছেন সন্তান লাভের মেশিন । তাঁকে দরজার সামনে ফেলে দিলেই সন্তান লাভ নিশ্চিত । আজকাল আর কেউ সন্তান হীনতার অপেক্ষা করে না । লুচি আলুর দম খাবার জন্য কার্তিক ফেললেই হলো । সে এক মাস কারো বিয়ে হলেও হবে । মন্ত্রের অবস্থা ও তথৈবচ । পুজোর আসনে যাঁরা তাঁরা ও পুজো বিষয়ে প্রায় কিছুই জানেন না ।

<

p style=”text-align: justify;”>এই যেখানে অবস্থা সেইখানে বল বীর্য্য লাভ আশা করা যায় না । তাই এই অবস্থার উন্নতি ভীষণ প্রয়োজন । অত্যন্ত শক্তিশালী দেবতার এই প্রকার অপমান কুফল ডেকে আনে ।

]]>
Birsa Munda: যাক যদি যায় প্রাণ, মুন্ডাদের কাছে বিরসা আজও ভগবান https://ekolkata24.com/offbeat-news/special-report-on-birsa-munda Mon, 15 Nov 2021 05:45:26 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11344 বিশেষ প্রতিবেদন: ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচার-অবিচারের ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আদিবাসী মুন্ডাদের সংগঠিত করে মুন্ডা বিদ্রোহের সূচনা করেন। বিদ্রোহীদের কাছে তিনি বিরসা ভগবান নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি বিরসা মুন্ড, ভারতের রাঁচি অঞ্চলের একজন মুন্ডা আদিবাসী এবং সমাজ সংস্কারক।

বর্তমানের রাঁচি জেলার উলিহাটুতে ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর বিরসা জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় মুন্ডা সমাজে যে বারে জন্মাত সে বারের নামে নাম রাখার নীতি ছিল। বৃহস্পতিবারের দিনে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন। তাই বাবা সুগানা ও মা করমি ছেলের নাম রেখেছিলেন বিরসা।

১৮৯৫ সালের দিকে বিরসা ভাবল চুপ করে থাকল হবে না। মুণ্ডাদের আদি সমাজ ও কুসংস্কার বাদ দিয়ে নতুন ধর্ম দেখতে হবে। তখন বিরসা মুন্ডার বয়স ছিল ২০ বছর। মুন্ডাদের জাগ্রত করতে, বিরসা গ্রামে গ্রামে প্রচার করেন। বিরসা বলল আমি বিরসা নই আমি ধরতি আবা। আমি মুন্ডাদের মরতে ও মারতে শেখাবো। এই খবর পৌঁছে গেলো রাঁচির ডেপুটি কমিশনারের কাছে। কমিশনার বিরসা মুন্ডা কে ধরার হুকুম দিলেন শেষে মুন্ডা গ্রেপ্তার হলো। বিচারে দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলো।

Birsa Munda

হাজারীবাগ জেল থেকে বিরসা মুন্ডা ১৮৯৭ সালের ৩০ নভেম্বর মুক্তি পান। বিরসা আবার নতুন করে মুন্ডাদের জাগ্রত করার চেষ্টা করলেন। এবার সব মুন্ডারা একের পর এক দায়িত্ব নিলেন। শুরু হলো বিদ্রোহের প্রস্তুতি। সভা হতে লাগল মুন্ডা এলাকার গ্রামে গ্রামে। তামাড় ও খুঁটির পর্বতমালা থেকে কিছু দূরে ডোম্বা বা সাইকোর বনে ঢাকা উপত্যকা ডোম্বারি এলাকায় বিরসা তার প্রধান ঘাঁটি বানিয়ে বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৮৯৮ সালের ফেব্রয়ারি মাস থেকে ১৮৯৯ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডোম্বারি পাহাড়ে বিরসাইতরা সভা করে। এ সভায় বিরসা ব্রিটিশ রাজের লাল নিশান দেখিয়ে মুন্ডাদের বলে, ‘দিকুদের সঙ্গে যুদ্ধ হবে। এই নিশানের মতো লাল রক্ত বইবে মাটিতে।’

১৮৯৯ সালের বড় দিনে ইংরেজরা খুশিতে মেতে উঠেন। এই সময়টায় ছিল বিরসা মুন্ডার লক্ষ্য। সিংভূম ও রাঁচির ছয়টি থানায় মুন্ডারা মিশনগুলোয় আক্রমণ করে। বেশ কিছু ইংরেজ সাহেব ও চৌকিদার আহত ও নিহত হন। ইংরেজদের মাথার টনক নড়ে যায়। ১৯০০ সালের ৬ জানুয়ারি মাসে বিদ্রোহীরা এক জার্মান জঙ্গল চৌকিদার ও তার চাকরকে হত্যা করেন। ডেপুটি কামশনার বিরসাকে ধরার জন্য সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। সৈলরাকাব পাহাড়ে অভিযান চালায় ইংরেজ বাহিনী। চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় পাহাড়টি। স্ট্রিটফিল্ড বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান করেন, কিন্তু বিদ্রোহীরা তার এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি। শুরু হয় এক অসম যুদ্ধ। একদিকে চলে ঝাঁকে ঝাঁকে বন্দুকের গুলি, অন্যদিকে মুন্ডাদের তীর। সেখান থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যান বিরসা মুন্ডা ও তার সঙ্গীরা।

১৯০০ সালের ফেরুয়ারির ১৩ তারিখে বিরসা সেনত্রা জঙ্গলে ঘুমাচ্ছিলেন। বিশ্বাসঘাতকতার কারণে বিরসা মুন্ডা কে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারে বিরসা মুন্ডা ও তার দুই সঙ্গীর ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়, ১২ জনের দ্বীপান্তর ও ৭৩ জনের দীর্ঘ কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়। জেলেই বিরসা মুন্ডাকে খাবারের নাম করে খাবারে বিষ প্রয়োগ করেছিল। যার কারনে বিরসা মুন্ডাকে অসুস্থ্য হতে হয় ও পরে তার জেলেই মৃত্যু হয়। তারিখটি ছিল ৯ জুন ১৯০০ সালে। বিরসার মৃত্যুর কারণ হিসেবে কলেরা বলা হলেও বিরসার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তার মৃত্যুর পূর্ব লক্ষণের সঙ্গে কলেরা রোগের মিল পাওয়া যায়নি। অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তার মনে করেন বিরসাকে অর্সেনিক বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল।

<

p style=”text-align: justify;”>আদিবাসীদের কাছে আজও বিরসা ভগবান হয়ে বেঁচে আছেন। বিরসা দেখিয়ে গেছেন অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে।

]]>
আঞ্চলিক দলগুলির আয়ের ৫৫ শতাংশ এসেছে অজানা উৎস থেকে: রিপোর্ট https://ekolkata24.com/uncategorized/55-of-regional-parties-income-comes-from-unknown-sources-report Fri, 12 Nov 2021 17:56:29 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11092 নিউজ ডেস্ক: ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশের ২৫টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক (regional political party) দল ৮০৩.২৪ কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করেছে। সংগ্রহীত টাকার মধ্যে ৪৪৫.৭ কোটি টাকা এসেছে অজানা কোনও উৎস থেকে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর-এর (adr report) রিপোর্টে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক দলগুলির নির্বাচনী বন্ডের প্রায় ৯৫ শতাংশ অনুদানের উৎস অজানা। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ২৫টি আঞ্চলিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে অজানা উৎস থেকে ৪৪৫.৭ কোটি টাকা পেয়েছে। শুধুমাত্র নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলি সংগ্রহ করেছে ৪২৬.২৩৩ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে দেখলে আঞ্চলিক দলগুলির ৯৫.৬ ১ শতাংশ টাকা এসেছে অজানা উৎস থেকে। ওই অর্থ বছরে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মাত্র ৪.৯৭ শতাংশ টাকা এসেছে স্বচ্ছ অনুদানের মাধ্যমে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলি ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে যে আয় করেছে তার মধ্যে ৭০.৯৮ শতাংশ টাকা এসেছে অজানা উৎস থেকে।

অজানা উৎস থেকে সর্বাধিক আয় করেছে দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজনৈতিক দল। এই সমস্ত দলগুলির মধ্যে রয়েছে ডিএমকে (dmk), জেডিএস (jds), টিডিপি (tdp), টিআরএস(trs), এমনকী ওড়িশার শাসকদল বিজেডিও (bjd) রয়েছে। অজানা উৎস থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা সংগ্রহ করেছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। তারা অজানা উৎস থেকে ৮৯.১৫৮ কোটি টাকা পেয়েছে। টাকা প্রাপ্তির নিরিখে পরের স্থানগুলিতে রয়েছে যথাক্রমে টিডিপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি, বিজেডি এবং ডিএমকে।

ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ২৩টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সংগৃহীত অনুদানের ৫৪.২ শতাংশ অর্থ এসেছিল অজানা উৎস থেকে। অর্থাৎ ২০১৯-২০, অর্থবর্ষে অজানা উৎস থেকে আয় কিছুটা বেড়েছে।

একই সঙ্গে ওই রিপোর্টে এডিআর-এর পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলির সব ধরনের অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি যেন আয়কর দফতরকে জানানো হয়। অডিট রিপোর্টে এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে দাতাদের নাম উল্লেখ করতে হবে।

]]>
করোনার জেরে দেশে আত্মহত্যা ১০ শতাংশ বেড়েছে: NCRB Report https://ekolkata24.com/uncategorized/corona-related-suicides-have-risen-10-percent-in-the-country-ncrb-report Fri, 29 Oct 2021 10:36:06 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9601 News Desk: করোনার জেরে ২০২০ সালে দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। আত্মঘাতীদের মধ্যে পড়ুয়া এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। করোনা মহামারীজনিত অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পারার কারণেই এরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) এক পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য মিলেছে।

বৃহস্পতিবার এনসিআরবির এই রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। গত বছর সারাদেশে আত্মঘাতী হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫২জন। ১৯৬৭ সালের পর এটাই আত্মহত্যার সর্বোচ্চ সংখ্যা। ২০১৯ সালের তুলনায় আত্মহত্যার সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এনসিআরবির রেকর্ড বলছে, ২০২০ সালে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১১.৩ জন আত্মঘাতী হয়েছেন। বিগত ১০ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ।

প্রশ্ন হল, কেন আত্মহত্যার সংখ্যা এতটা বাড়ল।
এনসিআরবির রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোগপতি, পড়ুয়া এবং পেশাদার ব্যক্তিরাই আত্মঘাতী হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনাজনিত কারণে স্কুল-কলেজ গত দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা অনেকেই হতাশায় ভুগছেন। সেই হতাশা থেকেই তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

পাশাপাশি লকডাউনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় চলছে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু ভারতের প্রায় তিন কোটি পড়ুয়ার অনলাইন ক্লাস করার মত তেমন কোনও মোবাইল বা অন্যান্য পরিকাঠামো নেই। তাই পড়াশোনা করতে না পেরে তারা হতাশ হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে প্রতিবছর ৭ থেকে ৮ শতাংশ পড়ুয়া আত্মহননের পথে হাঁটে। ২০২০ সালে সেটাই ২১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাশাপাশি ২০২০ সালে বেতনভোগী ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬.৫ শতাংশ মানুষ আত্মঘাতী হয়েছেন। দৈনিক মজুরদের মধ্যে ১৫.৭ শতাংশ মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। ওই রিপোর্টে থেকে আরও জানা গিয়েছে, করোনার জেরে বেতনভোগীদের থেকেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। ফলে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদকদের ২৬.১ শতাংশ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ আত্মহত্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার জেরে দীর্ঘদিনের লকডাউনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বহু ক্ষুদ্র উদ্যোগপতির। ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তাঁরা। ঋণ মেটাতে না পেরেই তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। একই কথা প্রযোজ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও।

]]>
Jatin Das: ইংরেজ হঠাতে প্রাণ দিলেন যতীন, শেষ যাত্রায় কাঁধ খাটলেন সুভাষ https://ekolkata24.com/offbeat-news/special-report-on-freedom-fighter-jatin-das Wed, 27 Oct 2021 07:04:39 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9321 Special Correspondent: সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর দেহ কাঁধে করে শ্মশানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যতীন হলো এযুগের দধীচি, অত্যাচারী ইংরেজ সরকারকে পরাজিত করবার জন্য নিজের অস্থি দিয়ে গেল।’

১৯২১, মাত্র ১৭ বছর বয়স তখন, তখনই দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তাঁর হাতে দক্ষিণ কলকাতা কংগ্রেস কমিটি গঠন ও পরিচালনার ভার দিয়েছিলেন – তিনি যতীন্দ্রনাথ দাস, সকলের যতীন দাস, কলেজের পড়া বন্ধ করে যোগ দিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। ১৯২৩ সালে তাঁর সাথে কাশীর শচীন সান‍্যালের পরিচয় হয়। ১৯২৪ সালে স্বদেশী ডাকাতির অভিযোগে শচীন সান‍্যালের সাথে গ্রেপ্তার হন যতীন দাস। ঢাকা জেলে থাকাকালীন জেল সুপারের সাথে একদিন তাঁর তর্ক-ঝগড়া হতে হতে হাতাহাতি শুরু হয়। এই নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে যতীন দাস অনশন শুরু করেন, যা চলে ২২ দিন ধরে। শেষে জেল সুপার ক্ষমা চাইলে তিনি অনশন তুলে নেন।

১৯২৮ সালের কলকাতা কংগ্রেসের দু-তিন মাস আগে যতীন দাসের জেল মুক্তি হয়। ১৯২৮ সালে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সর্বাধিনায়ক সুভাষচন্দ্র বসু বি.ভি দলে যতীন দাসকে বিশেষ দায়িত্ব দেন। কলকাতা সম্মেলনের শেষে যতীন দাস ও ভগৎ সিং এলাহাবাদ ও লাহোর যান নতুন ধরনের বোমা তৈরি করতে। কাজ হয়ে যাবার পরে যতীন দাস বাংলায় ফিরে আসেন। ১৯২৯ সালের মে মাসে ডায়মণ্ড হারবারের কাউন্সিল নির্বাচনের সময় সুভাষচন্দ্র বসু বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হিসাবে প্রচারে সমস্ত গ্রাম ঘুরতে থাকেন। মগরাহাট, মন্দিরবাজার, সরিষা, ডায়মণ্ড হারবার সদর, কুলপী, করঞ্জলি প্রভৃতি জায়গায়ে প্রচারে সুভাষচন্দ্র বসুর সাথে সারাক্ষণ থাকতেন তাঁর প্রিয় যতীন দাস।

১৯২৯ সালের ৬ জুন দিল্লীর এ‍্যাসেমব্লি হলে ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত বোমা ফেলে ব্রিটিশ শাসন আইনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ করে গ্রেপ্তার হন। সেইসূত্রে ১৯২৯ সালের ১৪ জুন কলকাতার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন যতীন দাস, ১৬ জুন তিনি লাহোর জেলে আসেন। শুরু হয় ভগৎ সিং, রাজগুরু, শুকদেব সহ যতীন দাসের মামলা। এই মামলাই পরে ‘থার্ড লাহোর কন্সপিরেসি কেস’-এ পরিণত হয়।

যতীন দাস তখন ব্রিটিশ আইন আদালতকে পা দিয়ে চূর্ণ করে চলে গেছেন অনেক দূরে। ১৩ জুলাই থেকে ইংরেজ বিরোধী যে বিস্ময়কর অনশনের শুরু ১৩ সেপ্টেম্বর ৬৩ দিনের মাথায় বেলা ১:০৫ মিনিটে হ’ল তার চির সমাপ্তি। যতীন দাসের অমরদেহ এল কলকাতায় নেতাজীর কাঁধে চড়ে।

]]>
Aryan Khan: জেরার মুখে ভাঙলেন আরিয়ান খান, স্বীকার করলেন মাদকাসক্তির কথা https://ekolkata24.com/entertainment/aryan-khan-confesses-to-taking-drugs-for-4-years-report Mon, 04 Oct 2021 19:08:29 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6589 বায়োস্কোপ ডেস্ক: শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের সুমুদ্র সৈকতে এক বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে (Aryan Khan)। ছদ্মবেশে মাদক সরবরাহকারীর সুত্র ধরেই শনিবার ক্রুজে তল্লাশী চালায় এনসিবি।

কোর্টে হাজির করার পর একদিনের জেল হেফাজতে রাখা হয় তাকে। সোমবার মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবনের সাথে জড়িত থেকেছেন আরিয়ান খান। এনসিবি কর্তিপক্ষের জেরার মুখে মুখ খুললেন স্টার কিডও। আরিয়ান স্বীকার করেছেন, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে দুবাই ও ব্রিটেনে থাকাকালীন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেও মাদদ্রব্য অর্ডার করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

সূত্র মাধ্যমে এও জানা গেছে যে, এদিন এনসিবি কর্তৃপক্ষ শাহরুখ খানের সাথে কথা বলার অনুমতি দেয় আরিয়ানকে। টলিফোন মাধ্যমে দু মিনিট মতো তাদের কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। টুস কাণ্ডে শাহরুখ খানের ছেলে ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছে মুনমুন ধামেচা, মোহাক জয়সওয়াল, নূপুর সারিকা, ইজমিত সিংহ, আরবাজ মার্চেন্ট ও বিক্রান্ত চকার। ক্রুজ থেকে এনসিবি অধিকারীকরা ২১ গ্রাম চরস, ৫ গ্রাম এমডি, ২২ টি এসটিসি পিল এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ মাদক। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে শার্টের সেলাই বা জুতোর হিলের নীচ থেকে। মাদকদ্রব্য ছাড়াও পার্টি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা নগদ।

শনিবার রাতেই গ্রেফতারির পর থেকে একের পর এক চমক দেখা যাচ্ছে মুম্বাই ক্রুজ কাণ্ডে। জেজে হাসপাতাল থেকে নারকটিকস ব্যুরোর নির্দেশ মতো মেডিকেল টেস্ট করা হয় আরিয়ান খানের। সূত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ নজরদারি করার পর এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। বলিউডের অন্য কোন ক্ষেত্রের সাথে এই ঘটনার যোগাযোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে এনসিবি কর্তৃপক্ষ।

]]>
সাত বছরে সর্বাধিক কংগ্রেস নেতা-বিধায়ক-সাংসদের বিজেপি যোগ: রিপোর্ট https://ekolkata24.com/uncategorized/congress-lost-highest-number-of-leaders-to-other-parties-since-2014-report Sat, 11 Sep 2021 14:19:08 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4387 নিউজ ডেস্ক: গত সাত বছরে দল বদলের খেলায় চরম সংকটে পড়েছে কংগ্রেস (Congress)৷ সমস্ত রাজনৈতিক দলের মধ্যে সব থেকে বেশি কংগ্রেস নেতা-বিধায়ক দলত্যাগ করেছে৷ তারা প্রত্যেকের ‘হাত’ সঙ্গ থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছে৷ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশে অনুষ্ঠিত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের সময় সর্বাধিক সংখ্যক নেতা কংগ্রেস পার্টি ত্যাগ করেছেন।

ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷ সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কংগ্রেসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রার্থী দলত্যাগ করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করছেন।

রিপোর্টে অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময়ে ২২২ জন প্রার্থী (২০ শতাংশ) কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করেছেন। এটিই সব থেকে বেশি প্রার্থীর সংখ্যা। যদিও ওই সময়কালের মধ্যে ১৫৩ জন (১৪ শতাংশ) প্রার্থী নির্বাচনে লড়তে এবং অন্য একটি দলে যোগ দিতে বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) ত্যাগ করেছেন।

ইলেকশন ওয়াচের বিশ্লেষণ অনুসারে, রাজনৈতিক দলত্যাগকারী ১১৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে কমপক্ষে ২৫৩ জন (২২ শতাংশ) ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগদান করেছেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২১সালের মধ্যে মোট ১১৩৩ জন প্রার্থীর ২৫৩ জন (২২ শতাংশ) বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরপরেই কংগ্রেসে যোগদানকারী প্রার্থীদের সংখ্যা এবং তারপর বিএসপিতে যোগ দেন ৬৫ জন (৬ শতাংশ) প্রার্থী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একটি দল ত্যাগকারী সর্বাধিক ১৭৭ জন (৩৫ শতাংশ) এমপি, বিধায়ক কংগ্রেসের ছিলেন৷ যারা ২০১৪-২০২১ সালের বর্তমান সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন।

এডিআর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত সাত বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময়ে ১৭৭ জন (৩৫ শতাংশ) সংসদ সদস্য ও বিধায়ক, যা সর্বোচ্চ সংখ্যক, কংগ্রেসকে ছেড়ে অন্য একটি দলে যোগ দেন। অন্যদিকে, ৩৩ জন (৭ শতাংশ) সাংসদ-বিধায়ক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এবং অন্য দলে যোগ দিতে বিজেপি ত্যাগ করেছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সাত বছরের মধ্যে রাজনৈতিক দল বদলকারী ৫০০ সাংসদ/বিধায়কের মধ্যে ১৭৩ (৩৫ শতাংশ) বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তারপরে ৬১ জন (১২ শতাংশ) সাংসদ-বিধায়ক কংগ্রেসে শামিল হয়েছেন। ৩১ জন (৬ শতাংশ) সাংসদ-বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস ১১৩৩ জন প্রার্থী এবং ৫০০ সাংসদ-বিধায়কের দেওয়া নিজেস্ব হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে৷ যারা ২০১৪ সালের পর থেকে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের সময় দল বদল করে পুনরায় ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন৷

]]>
NASA Report: কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলসহ দেশের ১২টি শহর নিশ্চিহ্ন হবে https://ekolkata24.com/uncategorized/mumbai-chennai-kolkata-among-cities-that-may-be-submerged-by-2050report Thu, 12 Aug 2021 15:01:28 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2306 নিউজ ডেস্ক: গলছে বরফ! গঙ্গায় তলিয়ে যাবে কলকাতার খিদিরপুর! এমনই আতঙ্কের কথা শোনাল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ শুধু কলকাতার খিদিরপুর এলাকীয় নয়, নাসার সতর্কবার্তার তালিকায় রয়েছে মুম্বই, চেন্নাই, কোচিসহ ভারতের একডজন শহর৷ সর্তকবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই ১২টি শহর শিগগির জলের তিন ফুট গভীরে চলে যাবে৷

বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)। আর নাসা সেই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে৷ নাসার সেই রিপোর্ট রীতিমতো চিন্তার কারণ ভারতের কাছে৷ তাতে বলা হয়েছে, ভারতের ১২টি উপকূলীয় শহর এবং বন্দর এক থেকে তিন ফুট জলের তলায় চলে যাবে। এই শহরগুলির মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই, দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রধান শহর চেন্নাই। এছাড়া কেরলের কোচি, অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখপত্তনম এবং পশ্চিমবঙ্গের খিদিরপুর বন্দর এলাকা এই তালিকায় রয়েছে।

বিশ্বে পরিবেশ দূষণ, উষ্ণায়নসহ বিভিন্ন কারণে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। এশিয়ায় জলস্তর বৃদ্ধির পরিমাণ অন্য জায়গার তুলনায় বেশি। আইপিসিসি’র মতে, আগে একশ বছরে যে পরিবর্তন হত, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি ছয় থেকে নয় বছরে তা হবে। এই শতাব্দী জুড়ে উপকূলে জলস্তর বাড়বে৷ ব্যাপক ভাঙন দেখা দেবে৷ অনেক শহর জলের তলায় চলে যাবে। এককথায় পরিস্থিতি খুব একটা সুখের নয়।

Mumbai, Chennai to Submerge Due to Rising Sea-Levels by 2050

কী করে ঠেকানো যাবে এই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎকে? পরিবেশবিজ্ঞানী পুনর্বসু চৌধুরী অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের মিশন থেকে সম্প্রতি ফিরেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টা সেখান থেকেই সব চেয়ে ভাল বোঝা যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যান্টার্কটিকায় তাপমাত্রা ছিল রেকর্ড ১৮ ডিগ্রি। তখনও তিনি সেখানে ছিলেন।

একটি সংবাদমাধ্যমকে পুনর্বসু জানিয়েছেন, ”জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নানারকম আলোচনা হয়। প্যারিস কনভেনশন থেকে শুরু করে নানা জায়গায় বহু সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু পরিবেশকে তখনই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, যখন ব্যক্তিপর্যায়ে কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে। আমাদের বর্তমান জীবনযাত্রায় কার্বন নিঃসরণের হার কমানো অসম্ভব।” তাঁর মতে, ”গাড়ি, এসিসহ বিভিন্ন জিনিসের ব্যবহার বা অভ্যাস বদল না করলে, শুধু জাতীয় বা আন্তর্জাতিকস্তরে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না।”

পরিস্থিতি কতটা খারাপ তা বোঝাতে একটা উদাহরণ যথেষ্ট। শিল্পবিপ্লবের সময় কার্বন নিঃসরণের যে পরিমাণ ছিল, এখন তা দ্বিগুণেরও বেশি। ফলে মানুষকে বাঁচতে গেলে, বিশ্বকে বাঁচাতে হলে প্রত্যককে উদ্যোগী হতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন পুনর্বসু।

দীর্ঘদিন সরকারি পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন অমিতাভ রায়। পরিকল্পনা কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত এই কর্তার মতে, ”আমরা প্রায়ই শপথ নিই যে, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ফেলব৷ বাস্তবে তা হয় না। খাতায়-কলমে অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়৷ আমরা অনেক প্রতিজ্ঞা করি৷ অনেক চুক্তিতে সই করি৷ বাস্তবে তার প্রয়োগ করা হয় না বলেই আইপিসিসি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা সত্যি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।”

অমিতাভবাবু একটি সংবাদমাধম্যকে আরও জানিয়েছেন, ”এর আগে রাষ্ট্রসংঘ সব দেশের জন্য মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বেঁধে দিয়েছিল। ২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হত৷ তাতে ১৫ দফা বিষয় ঠিক করা হয়ছিল। ২০১৫ সালে মূল্যায়নের সময় দেখা গেল, তার রূপায়ণ হয়নি।” অমিতাভবাবু বলছেন, ”এরপর ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল ঠিক করল জাতিসংঘ। সেটাও পূরণ হবে এমন আশা কম। তখন হয়ত আবার ১৫ বছরের জন্য অন্য নামে কোনও লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করা হবে। জলবায়ু পরিবর্ত রোধ করার কাজটাও এভাবেই হচ্ছে।”

ফলে পরিস্থিতি খুব সুখের নয়। আইপিসিসি রিপোর্ট বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিকস্তরেও নানা পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টি বেশি হবে৷ আবার কোথাও বৃষ্টি হবে না। খরা দেখা দেবে। কোথাও প্রচুর বরফ পড়তে পারে। ২০০৬-১৮ সালের মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর নিয়ে যে সমীক্ষা করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, গোটা বিশ্বে প্রতি বছর জলস্তরের গড় বৃদ্ধি হয়েছে ৩.৭ মিলিমিটার। ফলে এখন থেকেই সতর্ক হয়ে পরিবর্তন রোধ করার চেষ্টা না করলে, ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর হতে বাধ্য। কারণ, পরিবর্তন রোধ করার কাজ রাতারাতি হয় না। তাতে অনেক সময় লাগে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে ব্যক্তি থেকে সরকার প্রতিটি পর্যায়ে উদ্যোগ দরকার।

]]>