Russian – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 05 Dec 2021 14:25:54 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Russian – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 India-Russia Annual Summit: ঝটিকা সফরে আসছেন পুতিন, সোমবার বৈঠক মোদীর সঙ্গে https://ekolkata24.com/uncategorized/russian-president-putin-to-visit-india-on-monday-will-attend-21st-india-russia-annual-summit Sun, 05 Dec 2021 14:25:54 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13684 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: সোমবার এক ঝটিকা সফরে ভারতে আসছেন রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। সম্প্রতি লাদাখ, অরুণাচলের (ladakh and arunachal) সীমান্ত এলাকায় চিনের (chin) দাদাগিরি অনেকটাই বেড়েছে। সীমান্ত এলাকায় ক্রমশই বাড়ছে লালফৌজের (pla) সংখ্যা। শুধু ফৌজের সংখ্যা বাড়াই নয়, সীমান্তবর্তী এলাকায় রীতিমতো সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে বেজিং (beijing )। পাশাপাশি রয়েছে আফগানিস্তানের চলতি পরিস্থিতি। সবকিছু মিলিয়ে পুতিনের এই ভারত সফর কূটনৈতিক মহলের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই ঝটিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ভারত-রাশিয়া বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি চিন ও আফগানিস্তানের বিষয়টিও গুরুত্ব পেতে চলেছে। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, চলতি পরিস্থিতিতে পুতিনের এই ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য প্রায় দুই বছর পর মোদীও পুতিন মুখোমুখি হচ্ছেন। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ব্রিকস সম্মেলনের মঞ্চে এই দুই নেতার বৈঠক হয়েছিল। আফগানিস্তান পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে মোদীর সঙ্গে পুতিনের একাধিকবার টেলিফোনে কথা হলেও দু’বছর পর এই প্রথম তাঁরা মুখোমুখি হতে চলেছেন।

বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবার রাতেই দিল্লি এসে পৌঁছবেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ। আসছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সার্গে শোয়াগু। রাশিয়ার এই দুই মন্ত্রী বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে যেমন চিন ও আফগানিস্তানের মত আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তেমনই কথা হবে সন্ত্রাস দমন নিয়েও। কাশ্মীর সীমান্তে পাক জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও রুশ বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন রাজনাথ ও জয়শঙ্কর।

সোমবার ভোরে পুতিনের দিল্লি পৌঁছানোর কথা। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন পুতিন। বিকেল ৫টা নাগাদ এই বৈঠক হবে। ভারত ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করার পাশাপাশি সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় চিনের সাম্প্রতিক আগ্রাসন নিয়েও আলোচনা হবে। আলোচনা হবে চলতি আফগান পরিস্থিতি নিয়েও।

মোদীর সঙ্গে পুতিন প্রায় ঘন্টা ২ সময় কাটাবেন। এই বৈঠকে মোদী রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক ড্রোন প্রতিরোধকারী মিসাইল কেনার বিষয়েও আলোচনা করবেন। বৈঠক শেষে মোদী ও পুতিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনও করতে পারেন। রাত ৯ টা নাগাদ দিল্লি থেকে মস্কোর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন পুতিন।

]]>
Bengali theatre: রুশ সাহিত্যিকের হাত ধরে শুরু হয়েছিল বাঙালির নাটক যাত্রা https://ekolkata24.com/offbeat-news/pioneer-of-bengali-theatre-russian-writer-gerasim-stepanovich-lebedev Thu, 25 Nov 2021 16:19:17 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12397 Pioneer of Bengali theatre
বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতা: বাঙালির জন্য প্রথম বাংলা ভাষায় নাটক রচনা,থিয়েটার প্রতিষ্ঠা এবং সেই থিয়েটারে ভারতীয় তথা বাঙালিদের অবাধ প্রবেশের অধিকার যে ভদ্রলোক দিয়েছিলেন তিনি কোনও বাঙালি বা ভারতীয় নন তিনি একজন রুশ,যিনি ভারত ও বাংলাকে গভীরভাবে ভালবেসেছিলেন, ভদ্রলোকের নাম গেরাসিম স্টেপোনোভিচ লেবেদেফ,তিনিই প্রথম পশ্চিমি বাদ্যযন্ত্রে ভারতীয় সুর বাজিয়েছিলেন৷

লেবেদেফ কলকাতায় এসেছিলেন ১৭৮৭ সালের আগস্ট মাসে, তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইংরেজি নাটকের বাংলা অনুবাদ করে নাট্যমঞ্চে বাঙালি অভিনেতাদের দিয়ে প্রথম বাংলা নাটক অভিনয় করিয়েছিলেন আজকের এজরা স্ট্রিটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাঙালি থিয়েটার নাম ‘দি বেঙ্গলি থিয়েটার’৷ বাংলা নাটকের ইতিহাসের এই মাইলফলকের ঠিকানা ছিল তৎকালীন কলকাতার ২৫, ডোমতলা, বর্তমানে যা ৩৭, এজরা স্ট্রিট। সেই থিয়েটারে প্রায় ৩০০দর্শক বসতে পারতেন, প্রথমবার অভিনয়ের জন্য জোগাড় করেছিলেন তিনজন অভিনেত্রী দশজন অভিনেতা তারা সকলেই ছিলেন বাঙালি৷

বাঙালি সমাজে খবরটা ছড়িয়েছিল ঝড়ের বেগে,লেবেদেফ ক্যালকাটা গেজেটে বিজ্ঞাপন দিলেন ১৭৯৫ সালের ২৭নভেম্বর, শুক্রবার ‘The Disguise’ ( কাল্পনিক সংবদল) নামে একটি কমেডি অভিনীত হবে৷।আত্মকথায় লেবেদেফ বলেছেন উপস্থিত দর্শকের তুলনায় আসন আরও তিনগুণ থাকলেও ভরে যেত৷ কারা এসেছিলেন দর্শক হয়ে?.

pioneer of Bengali theatre

নিশ্চিতভাবে তারা এসেছিলেন শ্বেতাঙ্গসমাজে কিছুটা অবজ্ঞা পাওয়া এবং কৌতূহলের বশে সেইসব গন্যমান্য বাঙালি সেদিন ‘বেঙ্গলি থিয়েটারে’উপস্থিত হয়েছিলেন যারা সাহেবদের রঙ্গালয়ে প্রবেশের সাহস করতেন না,যদিও সেদিন প্রবেশমূল্য নিতান্ত কম ছিল না৷ লেবেদেফের আশঙ্কা ছিল বাংলা ভাষার এই নাটক ইংরেজরা বুঝবে না,সমালোচনা হবে!হল উল্টো,এমন কি অনেকেই সম্পূর্ণ নাটকটি দেখতে চাইলেন,স্বয়ং প্রধান বিচারপতি জন হাইড ঈস্ট,লেবেদেফকে চিঠি লিখে অনুরোধ করলেন ফলে ১৭৯৬সালের ২১মার্চ ক্যালকাটা গেজেটে আবার বিজ্ঞাপন দেওয়া হল,২৪মার্চ তৃতীয়বার বিজ্ঞাপন দিলেন লেবেদেফ৷মূল ইংরেজি নাটকটির ঘটনাস্থল স্পেন,মাদ্রিদ ও সেভিল শহর৷কিন্তু বাঙালি দর্শকদের কাছে দুটি নাম অপরিচিত হতে পারে মনে করে তিনি নাটকে কলকাতা ও লক্ষ্ণৌ শহরের নাম ব্যবহার করেছেন,এবং নাটকের চরিত্রদের নাম দিয়েছেন দেশীয়৷

যেমন ভোলানাথ(নায়ক),সুখময়,ভাগ্যবতী,রতনমণি,তিনকড়ি ও পাঁচকড়ি৷বাংলা ভাষায় ‘Disguise’-এর নাম ছিল ‘কাল্পনিক সংবদল’৷নাটকের বিদেশী স্বাদগন্ধ ছড়িয়ে দেশীয় রূপ দিতে লেবেদেফ যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন৷বাঙালি সমাজ এর আগে কোনও বাংলা নাটকের কোনও মঞ্চাভিনয় দেখেনি,তাই দৃশ্যসজ্জা,সাজপোষাক,নৃত্যগীত,অর্কেস্ট্রা বাদন,আলোকিত(অবশ্যই বাতির আলো) পাঠ্যপীঠ দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছিলেন৷যাই হোক লেবেদেফ কে আমরা শ্রদ্ধা করি,কারণ তিনি আমাদের জন্য প্রথমবার বাঙালি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিয়ে বাংলা নাটক রঙ্গমঞ্চে উপস্থাপিত করেছেন,কলকাতায় থাকার সময় এবং শহর থেকে চলে গিয়েও অনেক দুঃখ পেয়েছেন,বাংলা নাটক ও নাট্যমঞ্চের ইতিহাসে তিনি স্মরণীয়, বরণীয়,পাদপ্রদীপ৷ জন্মগ্রহন করেছিলেন ১৭৪৯সালে ইউক্রেনে,বাল্যকাল থেকে ছিল সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রের প্রতি অমোঘ টান৷ইতালিতে থাকার সময় দক্ষ বেহালা বাদক হয়ে উঠেছিলেন৷১৭৮৫সালের ১৫আগস্ট এসেছিলেন ভারতে,পৌঁছেছিলেন মাদ্রাজ শহরে৷কিন্তু মনের আশা পূর্ণ না হওয়ায় ওই শহর ছেড়ে ১৭৮৭সালে কলকাতায় এলেন,বেহালায় সুর তুলে আমাদের প্রিয় কলকাতায় জীবিকা অর্জন করতে লাগলেন৷শ্রোতার দল তাঁর গীতবাদ্যে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উঠেছিলেন৷দিনে দিনে তাঁর খ্যাতি তখন মধ্যগগনে৷

১৭৯০সালের ৯ এপ্রিল ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের সভায় গান গেয়ে ও বেহালা বাজিয়ে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন,ওই আসরে প্রতিটি টিকিটের দাম ছিল সিক্কা ১২টাকা, সেকালের হিসেবে গানশোনার দর্শনী যতেষ্ট মহার্ঘ্য ছিল বলতেই হয়৷পরিচয় হয়েছিল বাঙালি গোলোকনাথ দাসের সঙ্গে,তাঁর কাছেই লেবেদেফের বাংলা শিক্ষা,আর গোলোকনাথ দাস বন্ধুর কাছে শিখলেন সঙ্গীত৷তবে ইংরেজদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারেন নি রুশ লেবেদেফ,সেইজন্য ইংরেজ নাট্যকারের ‘Disguise’ এবং মলিয়রের ফরাসি নাটক ‘love is the doctor’ কে বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন৷ভাষা শিক্ষক গোলকনাথ দেশীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জোগাড় করেছিলেন৷সেই ইতিহাস আমাদের কারও জানা হয়ত অনেকের অজানা! তখন মাত্র দুটি রঙ্গমঞ্চ কলকাতায় একটি ‘দি বেঙ্গলি থিয়েটার’ অন্যটি ইংরেজদের ‘দি নিউ প্লে হাউস’।

শোনা যায়, লেবেদেফের জনপ্রিয়তায় ইংরেজরা ভয় পেয়েছিল। কিছু দিন পরেই তাঁর সেই তিনশো আসনবিশিষ্ট থিয়েটারে আকস্মিক ভাবে আগুন লেগে ছাই হয়ে যায় সব কিছু!তখন তিনি ‘Deserter’নামে একটি গীতিনাট্য অভিনয় করানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন৷লেবেদেফ সুবিচারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হলেন,কিন্তু শ্বেতাঙ্গ উকিলরা তাঁর হয়ে আদালতে লড়তে রাজি হন নি সরকারি সাহায্য থেকে তিনি বঞ্চিত হলেন কারন তিনি শুধু বাঙালিদের জন্য নাটক প্রযোজনা করেছিলেন৷অনেক বিপদ আর ঝড় এলো রুশ ভদ্রলোকের জীবনে,মিথ্যে ঋণের দায়ে গ্রেফতার হলেও কোনওক্রমে মুক্তি পেয়েছিলেন৷

অবশেষে ঋণগ্রস্ত লেবেদেফ ট্র্যাজেডির নায়কের মত তাঁর সাধের ‘দি বেঙ্গলি থিয়েটার’নীলামে বিক্রি করতে বাধ্য হলেন,এবং ওই ভাড়াবাড়ির মালিক জনৈক জগন্নাথ গাঙ্গুলি তাঁকে নানা ভাবে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেন,তিনি দেহ মনে অসুস্থ হয়ে পড়েন৷অবশেষে স্যার জন শোরের নিকট কাতর প্রার্থনা করে বড়লাটের নির্দেশে বিনা ভাড়ায় ‘লর্ড কারলো’নামে ইংল্যাণ্ডগামী জাহাজের এককোনে ঠাঁই পেয়ে এদেশ ছাড়লেন৷তারপরেও তাঁর জীবনে এসেছে অনেক বিপত্তি৷রুশ দেশের রাষ্ট্রদূত ওরোনজাওয়ের তৎপরতায় ফিরেছিলেন দেশে,সেখানে ভারতচন্দ্রের কাব্যের রুশ অনুবাদ করেছেন৷

শুধু এটুকু বলা যায় বাংলাকে গভীরভাবে ভালবেসেছিলেন লেবেদেফ,তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি বাঙালিকে বাংলা থিয়েটারে বাংলা ভাষায় নাটক দেখার অবাধ সুযোগ করে দিয়েছিলেন৷

তথ্যসূত্র : বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত,অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

]]>
আফগান সংকটমোচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত মিলছে https://ekolkata24.com/uncategorized/there-are-indications-of-russian-intervention-in-resolving-the-afghan-crisis Sun, 15 Aug 2021 16:34:08 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2471 নিউজ ডেস্ক: এক সময় আফগানিস্তান থেকে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ দূর করতেই তালিবান জঙ্গিদের জন্ম দিয়েছিল আমেরিকা৷ সেই তালিবানের সঙ্গে নিয়েই আমেরিকার ট্যুইন টাওয়ার ধ্বংস করেছিল ওসামা বিন লাদেনের আল কায়দা৷ তাই লাদেনের আশ্রয়দাতা আফগানিস্তান থেকে তালিবান উৎখাতে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ৷ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে কার্যত পরাস্ত আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করেছে আফগানিস্তান থেকে৷ বাইডেনের নির্দেশে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মাত্র একমাসের মধ্যে আফগানে ফের তালিবান শাসক কায়েম হল৷

সেই সেই আফগানিস্তানকে বাঁচাতে ত্রাতার ভূমিকা নিতে চলেছে প্রাক্তন কেজিবি প্রধান তথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ রবিবার তালিবানরা কাবুলের প্রেসিডেন্ট ভবনের দখল নেওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন ক্রেমলিনের কর্তারা৷ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আলোচনার জন্য রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা করছে। বিদেশ নীতি বিষয়ে রুশ সংসদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মানবিক বিপর্যয় রোধ করা এখন খুবই জরুরি। মনে করা হচ্ছে, আফগানিস্তানকে তালিবান শাসন মুক্ত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে ক্রেমলিন৷ ইতিমধ্যে সাবেক সোভিয়েত আফগান সীমান্ত যেটি এখন তাজিকিস্তানের অধীনে পড়ে, সেখানেই বিপুল পরিমান রুশ সেনা, সাঁজোয়া গাড়ি, ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছে রাশিয়া সরকার। তাদের সঙ্গে রয়েছে তাজিক সেনা ও আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সেনাকর্মীরা।

Russian intervention in resolving the Afghan crisis

নব্বই দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন অবলুপ্ত হয়। তখনই তাজিকিস্তান স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করে। এর পরেও তাজিকিস্তানে রুশ সেনার সবথেকে বড় সেনা ঘাঁটি রয়েছে। ক্রেমলিন কোনওদিনই আফগান সীমান্তকে অবহেলা করেনি। এবার তা করবে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷

ইইউর একজন মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে বলেছেন, আফগানিস্তানে মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে কিনা এবং মহিলাদের অধিকার মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তার ওপর নির্ভর করবে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে কিনা।
অন্যদিকে ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটিশ সংসদে গ্রীষ্মকালীন ছুটির মধ্যে এই সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার সংসদের জরুরি অধিবেশন ডেকেছেন।

আশির দশকে আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধের সুযোগে সে দেশে ঢুকেছিল ততকালীন সোভিয়েত লাল ফৌজ। তাদের সঙ্গে আফগান ধর্মীয় সংগঠনগুলির সংঘর্ষ হয়। তবে আফগানিস্তানের নিমন্ত্রণ নেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন।নব্বই দশকে সোভিয়েত পতনের পর আফগানিস্তান থেকে সরে যায় লাল ফৌজ। দেশটির দখল নিতে ধর্মীয় গেরিলা সংগঠনগুলি থেকে জন্ম নেয় তালিবান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতে আফগানিস্তানে তাদের জয় হয়, এটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে।

তালিবান জঙ্গি সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা, আমেরিকার টুইন টাওয়ার ধংস, আল কায়েদা সংগঠনের প্রধান লাদেনের আফগানিস্তানে আত্মগোপন সবমিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠায় এ দেশে। সম্প্রতি সেই সেনা সরতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে তালিবান ফের হামলা চালাচ্ছে। প্রায় অরক্ষিত আফগানিস্তানে এবার কি তালিবান নিধনে রুশ সেনা ঢুকবে?

]]>
লালফৌজ না থাকলেও আফগান সীমান্তে তালিবান নিধনে রুশ স্নাইপার ও মিসাইল প্রস্তুত https://ekolkata24.com/uncategorized/russian-snipers-and-missiles-are-ready-to-destroy-the-taliban-on-the-afghan-border Tue, 10 Aug 2021 10:41:38 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2164 বিশেষ প্রতিবেদন: সোভিয়েত বিলুপ্ত। নেই সেই দুরন্ত লালফৌজ যাদের ভয়ে হিটলার গোপন বাঙ্কারে আত্মহত্যা করেছিল। যাদের আক্রমণে আফগানিস্তানে উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলি গুটিয়ে গেছিল। তবে রাশিয়া আছে। সাবেক সোভিয়েত যুদ্ধনীতির পদ্ধতি রয়েছে। সেটাই আফগানিস্তানের মাটিতে ফের একবার প্রয়োগ করতে চান সোভিয়েত জমানার গুপ্তচর তথা কেজিবি এজেন্ট বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বিবিসি ও রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে, সাবেক সোভিয়েত আফগান সীমান্ত যেটি এখন তাজিকিস্তানের অধীনে পড়ে সেখানেই বিপুল পরিমান রুশ সেনা, সাঁজোয়া গাড়ি, ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছে রাশিয়া সরকার। তাদের সঙ্গে রয়েছে তাজিক সেনা ও আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সেনাকর্মীরা।

নব্বই দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন অবলুপ্ত হয়। তখনই তাজিকিস্তান স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করে। এর পরেও তাজিকিস্তানে রুশ সেনার সবথেকে বড় সেনা ঘাঁটি রয়েছে। ক্রেমলিন কোনওদিনই আফগান সীমান্তকে অবহেলা করেনি।

Russian missile Afghan border

বিবিসি জানাচ্ছে, আফগানিস্তানের একটার পর একটা প্রদেশ তালিবান দখলে চলে যাচ্ছে। সবকটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা তালিবান দখলে। তাজিকিস্তান সীমান্তের সত্তর শতাংশ জঙ্গি সংগঠনটির কব্জায়। আফগান সেনা, জনগণ বিভিন্ন এলাকায় লড়াই করলেও তালিবান হামলায় তারা টিকতে পারছেনা। রাজধানী শহর কাবুল ঘিরে এগিয়ে আসছে তালিবান।

আশির দশকে আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধের সুযোগে সে দেশে ঢুকেছিল ততকালীন সোভিয়েত লাল ফৌজ। তাদের সঙ্গে আফগান ধর্মীয় সংগঠনগুলির সংঘর্ষ হয়। তবে আফগানিস্তানের নিমন্ত্রণ নেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন।নব্বই দশকে সোভিয়েত পতনের পর আফগানিস্তান থেকে সরে যায় লাল ফৌজ। দেশটির দখল নিতে ধর্মীয় গেরিলা সংগঠনগুলি থেকে জন্ম নেয় তালিবান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতে আফগানিস্তানে তাদের জয় হয়, এটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে।

তালিবান জঙ্গি সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা, আমেরিকার টুইন টাওয়ার ধংস, আল কায়েদা সংগঠনের প্রধান লাদেনের আফগানিস্তানে আত্মগোপন সবমিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠায় এ দেশে। সম্প্রতি সেই সেনা সরতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে তালিবান ফের হামলা চালাচ্ছে। প্রায় অরক্ষিত আফগানিস্তানে এবার কি তালিবান নিধনে রুশ সেনা ঢুকবে?

আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, রাশিয়া আরও অপেক্ষা করতে পারে। কারণ কাবুল এখনও জঙ্গি কব্জান যায়নি। যদি তালিবান ফের আফগানিস্তানের সরকার কায়েম করে, তাহলেই ক্রেমলিন থেকে আসবে হামলার সংকেত। আপাতত আফগান সীমান্তে রুশ সেনার মহড়া চলছে। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভার সীমান্তের ওপারের থেকে দেখছে তালিবান জঙ্গিরা।

]]>