ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসার পর থেকে, প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ভারতীয় ক্রিকেটকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন ভূমিকার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে।
অনিল কুম্বলে এবং রবি শাস্ত্রীর মতো দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়, এমএস ধোনি ২০২১’র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলের পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন।
এক টক শো’তে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় “শচীন স্পষ্টতই কিছুটা আলাদা। তিনি এই সমস্ত কিছুর সাথে জড়িত হতে চান না। আমি নিশ্চিত যে ভারতীয় ক্রিকেটে শচীনের কোনোভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে, এটি এর চেয়ে ভাল খবর হতে পারে না। কোন উপায়ে এই নিয়ে স্পষ্টতই কাজ করা দরকার”।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “কারণ চারিদিকে দ্বন্দ্ব অনেক বেশি। ঠিক বা ভুল, আপনি যা কিছু করেন এবং আপনার কাছে ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দটি থাকে তা জানালা দিয়ে লাফিয়ে উঠতে থাকে, যার মধ্যে কিছু আমি সত্যিই অবাস্তব বলে মনে করি। তাই আপনাকে সেরাটি দেখতে হবে সেরা প্রতিভাকে খেলার সাথে জড়িত রাখার উপায় হিসেবে। এবং এক পর্যায়ে শচীনও ভারতীয় ক্রিকেটে জড়িত হওয়ার একটি উপায় খুঁজে পাবেন”।
বর্তমানে তেন্ডুলকর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (IPL) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পরামর্শদাতা হিসেবে রয়েছেন। এই অবস্থানে শচীন তেন্ডুলকর ভারতীয় দলের সঙ্গে জড়িত হলে “স্বার্থের সংঘাত”র ইস্যুতে বিতর্কে নাম জড়াতে পারে মাস্টার ব্লাস্টারের; এক্ষেত্রে একটা সম্ভাবনা উকি দিচ্ছে শচীনের কাছে বিকল্প রোডম্যাপ হিসেবে, তা হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর পদে ইস্তফা দিয়ে তবেই ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের সাথে কাজ করার রাস্তা মসৃণের।
]]>এই দুই ক্রিকেটারের আয় কোটি টাকা। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন যে, কোটি টাকা আয় করা এই ক্রিকেটারেরা সরকারি চাকরিও (government jobs) করেন। শুধু তাইই নয়, আরও কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা তাদের খেলার পাশাপাশি এই সরকারি কর্মী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের ওই সমস্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে অজানা কিছু তথ্য তুলে ধরছি৷

Yuzvendra Chahal
খুব অল্প সময়েই যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra Chahal) বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের একটা বড় নাম করে নিয়েছেন। নিজের স্পিনের জাদুতে চাহাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। তবে খুব কম লোকই জানেন যে, এই পরিচয় ছাড়াও চাহাল আয়কর বিভাগে ইন্সপেক্টর পদে রয়েছেন।

Umesh Yadav
উমেশ যাদব (Umesh Yadav) আন্তজার্তিক ক্রিকেটে অনেকবার টিম ইন্ডিয়াকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যদিও ছোটবেলা থেকেই উমেশের ইচ্ছে ছিল পুলিশ অথবা আর্মিতে চাকরি করার৷ কিন্তু তা হতে পারেনি। যদিও তাকে ২০১৭ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে সহকারী ম্যানেজার পদ চাকরি দেওয়া হয়েছিল।

Kapil Dev
ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব (Kapil dev)। এই অলরাউন্ডারের এতবড় অবদানের কারণে তাঁকে ২০০৮ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেলের পদ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও কপিল দেবকে ২০১৮ সালে হরিয়ানা স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর হিসাবেও নিযুক্ত করা হয়েছিল।

Joginder Sharma
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল৷ ওই চ্যাম্পিয়নশিপে যোগিন্দর শর্মা (Joginder Sharma) শেষ ওভার করেছিলেন এবং দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। তবে তিনি বেশি দিন ভারতীয় দলের অংশ হয়ে থাকতে পারেননি এবং বাদ পড়েছিলেন স্কোয়াড থেকে। কিন্তু এখন যোগিন্দর হরিয়ানা পুলিশের ডিএসপি পদে কর্মরত।

Harbhajan Singh
টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল স্পিন বোলারদের তালিকায় হরভজন সিং (Harbhajan Singh) এর নাম আসবে। ভাজ্জি টেস্টে ৭০০ টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন এবং এই অবদানের জন্য তাঁকে পাঞ্জাব পুলিশে ডিএসপি করা হয়েছে।

Harbhajan Singh
বিশ্বের সফলতম ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথমেই উঠে আসে সচিন তেন্ডুলকারের (Sachin Tendulkar) নাম। সচিনকে তার সাফল্যের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা সম্মানিত করে এবং ২০১০ সালে সচিনকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল।

Lt. Col. MS Dhoni
টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে সফল অধিনায়ক এমএস ধোনি (Lt. Col. MS Dhoni) ছোটবেলা থেকেই সেনাবাহিনীতে যেতে চেয়েছিলেন৷ ভারতীয় ক্রিকেট দলকে আন্তজার্তিক ক্রিকেটের শিখরে নিয়ে যাওয়ার পরে ধোনির স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। ২০১৫ সালে ধোনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসাবে নিযুক্ত হন। অবসর সময়ে প্রায়শই ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং কমব্যাট মুভমেন্টে দেখা যায় মাহিকে।
]]>সোমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচে ভারত জিতলো ৩৭২ রানে। দেশের মাটিতে টানা ১৪ টি টেস্ট ম্যাচ জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজ জিতে। প্রথম টেস্ট কানপুরে ড্র হয়েছিল।
এই উপলক্ষ্যে কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের অভিনন্দন বার্তায় সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে,”#TeamIndia-এর জন্য কী জয়। অভিনন্দন! 
একটি বিশেষ টেস্ট ম্যাচ যেখানে ৪টি ইনিংসেই উইকেট তুলে নিয়েছে ভারতীয়রা! 
#INDvNZ”।”
ভারতীয় স্পিনার অশ্বিন প্রথম ইনিংসে ৪, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪, মোট ৮ উইকেট শিকার ধরেছে।সিরাজ ৩,অক্ষর ২,জয়ন্ত যাদব ১ উইকেট নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে। কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ন্ত যাদব ৪, অক্ষর ১ উইকেট নিয়েছে।
সিরিজ জয়ের পর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিসিসিআই নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করেছে, “
মানসিকতা হল ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং শীর্ষে থাকা: #TeamIndia Captain @imVkohli।”
প্রথম ইনিংসে ভারতীয় ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৩১১ বলে ১৫০ রান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৮ বলে
৬২ রান করে।
সিরিজ জয়ের আনন্দে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের প্রতিক্রিয়া সামাজিক মাধ্যমে,”সমস্ত ঘাম, বেদনা, প্রচেষ্টা এই মধুর, মধুর বিজয়ে পরিণত হয়। কি একটি দলীয় প্রচেষ্টা! ভারতের জন্য শ্বেতাঙ্গদের ডন করতে সবসময় গর্বিত। এখন, উদযাপনের সময়
!”
ঘরের মাটিতে সিরিজ জিতে টিম ইন্ডিয়া এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে উড়ে যাবে কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রনে’র বাড়বাড়ন্তের মাঝে।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে পূর্ব নির্ধারিত ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে চার টেস্ট,দুটি ওডিআই এবং চারটি টি টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ খেলার কথা ছিল। কিন্তু করোনার নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রণের’ (Omicron) ভয়াল আতঙ্কে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড(বিসিসিআই) আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকাতে ভারতের ক্রীড়াসূচিতে কাটছাঁট ঘটিয়েছে।
শনিবার বিসিসিআই’র বার্ষিক সাধারণ সভায় এই ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া তিন টেস্ট, তিন ওডিআই, তবে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পরবর্তী তারিখে অনুষ্ঠিত হবে, যা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিসিসিআই’র জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হল ভারতীয় ‘A’ দলের চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর রয়েছে, প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন তারা ব্যস্ত।
অসমর্থিত সূত্রে খবর, ম্যাচ ভেন্যুতে দর্শক প্রবেশের ওপরে নিষেদ্ধাঞ্জা আরোপিত হতে পারে, জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার প্রশ্নে। কেননা করোনার ‘ওমিক্রন’ প্রজাতির সংক্রমণ আতঙ্কে।
সচিন তেন্ডুলকর ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুকুন্দ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা বলেন, এই হাসপাতালের উপর শুধু করিমগঞ্জবাসী নির্ভর করেন তা নয়, প্রতিবেশি মিজোরাম, ত্রিপুরা থেকেও দীর্ঘ যাত্রা করে রোগীরা আসেন। সচিন ফাউন্ডেশনের দেওয়া অত্যাধুনিক চিকিৎসা সামগ্রীর সাহায্যে সদ্যেজাত ও বিভিন্ন বয়সের রোগীদের চোখ পরীক্ষা আরও নিখুঁত করা সম্ভব হবে।
করিমগঞ্জ অসমের বরাক উপত্যকার একটি জেলা। বাঙালি অধ্যুষিত এই জেলার মুকুন্দ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামোর উপর ভরসা বহু মানুষের। কিছু বিশেষ পরীক্ষার জন্য এখান থেকে রোগীদের ৩৬০ কিলোমিটার দূরে গুয়াহাটি যেতে হয়। সচিন তেন্ডুলকর ফাউন্ডেশনের দেওয়া চিকিৎসা সামগ্রী, ক্যামেরা সেই ঝক্কি থেকে রোগীদের মুক্তি দিল।
]]>এই নিয়ে ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) নিজের অভিমত মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়াতে তুলে ধরে বলেন, “নিউজিল্যান্ড ডিসিপ্লিন বোলিং করেছে সঙ্গে ফ্লিড সেটিং ভীষণ ভাল ছিল। ফলে সহজে স্ট্রাইক রোটেশন করা যাচ্ছিল না এবং বাউন্ডারি আসছিল না। সেই কারণে আমাদের ব্যাটসম্যানরা বিগ ওয়ান (বড় শট) খেলতে শুরু করে।”
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত প্রথম একাদশে দুই পরিবর্তন করে, দলে ইশান কিশান এবং শার্দূল ঠাকুরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দেশের ক্রিকেট মহল দ্বিধা বিভক্ত এই দুই পরিবর্তন নিয়ে। কেউ বলছেন এটা পরীক্ষামূলক পরিবর্তন ছিল, আবার কারুর মতে এটা ফোর্স চেঞ্জ ছিল। মাস্টার ব্লাস্টারের মতে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে দুই পরিবর্তন ‘ফোর্স চেঞ্জ’ ছিল। নিজের মতের স্বপক্ষে কারণ ব্যাখায় বলেন,”সূর্যর ব্যাক প্রবলেম ছিল। ফলে রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে ইশান দলে আসে।ইশান ওপেনার হিসেবে ভাল। কেননা, দুটো আইপিএলের ম্যাচে এবং বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ইশান কিশান ‘এক্সক্লুসিভ স্ট্যাট’ দিয়েছিল। আমার কাছে এই পরিবর্তন প্রত্যাশিত ছিল।
ক্রিকেটের ভগবান বলেন,” কেউ আনফিট হলে ইশান আসবে এটাই স্বাভাবিক, তাই আমি মোটেও সারপ্রাইজ হইনি, প্রথম একাদশে ইশান কিশানের নাম দেখে।”
যেভাবে বিগ ওয়ান(বড় শট) নিতে গিয়ে কিউইদের বিপক্ষে কেএল রাহুল,রোহিত শর্মা,বিরাট কোহলি, ঋষভ পহ্ন আউট হয়েছে ওই আউট হওয়ার পরিবেশ এবং পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে গিয়ে সচিন তেন্ডুলকর বলেন,
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইশান কিশানের ব্যাটিং ছাড়াও কেএল রাহুল,রোহিত শর্মা,বিরাট কোহলি এমনকি ঋষভ পহ্নের ব্যাটিং’র দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে কেএল রাহুল ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ আউট, রোহিত এনং বিরাট লঙ অনে ক্যাচ আউট হয়েছিল। মুচকি হেসে সচিন এই প্রসঙ্গে বলেন,” প্রতিবার ওপর দিয়ে মারতে গেলে নির্ভুল হতে হয়, না হলে মূল্য চোকাতে হয়।”
সচিন বিষয়টাকে আরও সহজভাবে বোঝাতে গিয়ে বলেন,”এই আউটের কারণ হিসেবে আমি (সচিন) বলবো সিঙ্গলস সহজে আসছিল না।নিউজিল্যান্ড ডিসিপ্লিন বোলিং করার পাশাপাশি ফ্লিড সেটিং ভীষণ ভাল করেছিল। ফলে সহজে যেভাবে স্ট্রাইক রোটেট করা হয়ে থাকে তা হচ্ছিল না, বাউন্ডারি পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই কারণে আমাদের ব্যাটসম্যানরা বারে বারে বড় শট নেওয়ার ঝুঁকি নিতে শুরু করে। আর বড় শট যখন ক্লিক না করে তখন, উইকেট হারিয়ে যায়।”
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের হারের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে সচিন তেন্ডুলকর যেভাবে নিখুঁত ভাবে ম্যাচ বিশ্লেষণ করেছেন মঙ্গলবার, তা এককথায় বাইশ গজে ডানহাতে ব্যাট ছাড়াও শুধু দুরন্ত তাই’ই নয়, এক্সক্লুসিভ।
]]>এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়মসন টসে জিতে বোলিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতকে বল হাতে মাঠে নামতে হয়। আর দুবাইতে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের সেকেন্ড ইনিংসে ডিউ (শিশির) ফ্যাক্টর বিশেষ ভাবে পারফরম্যান্সে ছাপ ফেলছে, বিশেষত, যারা দ্বিতীয় ইনিংসে টিমের বোলারেরা( স্পিনার এবং সিমার) বল করতে আসছে।
এই ডিউ (শিশির) ফ্যাক্টর নিয়ে সচীন তেন্ডুলকরের বিস্ফোরক দাবি, “হ্যাঁ, এটা ক্রিকেটের একটা উপাদান। ডিউ (শিশির) ফ্যাক্টর নিয়ে আমি আগেও অনেকবার বলেছি, আমি আইসিসি’কেও আগে বলেছি এটা (ডিউ ফ্যাক্টর) বিগ ডিস advantage, যারা প্রথমে ব্যাট করবে।”
ক্রিকেটের ঈশ্বর বলেন, “এরফলে প্রতিযোগিতার তুল্যমূল্য বিচার করা যায় না। কারণ বল পরবর্তী সময়ে ভিজে যায়, স্পিনারেরা বল গ্রিপ করতে পারেনা তারা যেভাবে বল গ্রিপ করতে চাইছে। সিমারদেও কিছুটা ডিস Advantage হয়ে থাকে। “
সচীনকে এও বলতে শোনা গিয়েছে,”এই ব্যালেন্সড করতে হবে এবং আইসিসি’কে এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আমি আগেও বলেছি, কিন্তু আমি জানি না কি হবে? আমি আশায় আছি এই বিষয়টা(আইসিসি)ঠিক করা হবে।”
]]>আন্তজার্তিক এই ট্যাক্স জালিয়াতি চক্রকে প্রকাশ্যে এনেছেন কিছু সাংবাদিক, প্যান্ডোরা বক্সের মাধ্যমে। এই জালিয়াতি কান্ডে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। প্যান্ডোরা বক্সের তালিকার তথ্য থেকে নাম উঠে এসেছে কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচীন তেন্ডুলকরের। স্বভাবতই মাস্টার ব্লাস্টারের নাম এই জালিয়াতি তালিকায় উঠে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও জোর চর্চ্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে প্যান্ডোরা বক্স ট্যাক্স ফাঁকি কান্ডে সচীন তেন্ডুলকর যথেষ্ট অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন। লিটল মাস্টারের আইনজীবী এই প্রসঙ্গে বলেন, “ক্রিকেট খেলোয়াড়ের বিনিয়োগ বৈধ এবং কর কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা করা হয়েছে।” তবে ট্যাক্স ফাঁকি কান্ডের তথ্য থেকে উঠে এসেছে যে, সচীন তেন্ডুলকর তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি তেন্ডুলকর এবং শ্বশুর আনন্দ মেহতার সঙ্গে সচীনকে বিভিআই-ভিত্তিক কোম্পানি বিও এবং পরিচালক হিসাবে নাম দেওয়া হয়েছে সাস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, সচীন তেন্ডুলকর ফাউন্ডেশনের সিইও মৃন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “লিবারেলাইজড রেমিট্যান্স স্কিম (এলআরএস) স্কীমের অধীনে কর প্রদান করা হয়েছে তহবিলে তেন্ডুলকরের নির্দেশ মতো বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং তার করের যথাযথ হিসাব ও ঘোষণা করা হয়েছে।”
নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে সকল সময়েই সচীন তেন্ডুলকর সতর্ক। তাই আজ পর্যন্ত আন্তজার্তিক মদ প্রস্তুতকারী সংস্থা মাস্টার ব্লাস্টারের কাছে ব্র্যান্ড অয়্যাম্বাসেডার হওয়ার প্রস্তাব আনলেও সচীন তা ফিরিয়ে দিয়েছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনিই যে রোল মডেল তা নির্দ্ধিধায় বলাই যায়। সেই সচীন তেন্ডুলকরের নাম ট্যাক্স ফাঁকি কান্ডের তালিকায় উঠে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশ জুড়ে।
]]>ইনজামাম, যিনি পাকিস্তানের ১৯৯২সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। গত তিন দিন ধরে বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। সবার আগে প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। সোমবার ইনজির মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে জানা যায় তিনি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন এবং অস্ত্রোপচারের জন্য তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ইনজামামের শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল, কিন্তু পর্যবেক্ষণে ছিলেন। ইনজামাম-উল-হকের শারিরীক অসুস্থতার খবর চাউর হতেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় একের পর এক ট্যুইট বার্তা ভাইরাল হয়ে ওঠে।
ক্রিকেটের ভগবান শচীন তেণ্ডুলকর ইনজামাম-উল-হকের শারিরীক অসুস্থতার খবর পেতেই ট্যুইটে তার দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করে ট্যুইট করে লেখেন, “আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি @ইনজামাম 08। আপনি সবসময় শান্ত কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক, এবং মাঠে একজন যোদ্ধা।
Wishing you a speedy recovery @Inzamam08. You've always been calm yet competitive, and a fighter on the field.
I hope and pray that you'll come out stronger from this situation as well. Get well soon.
— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) September 28, 2021
৫১ বছর বয়সী ইনজামাম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, ৩৭৫ ম্যাচে ১১৭০১ রান এবং টেস্টে ১১৯ ম্যাচে ৮৮২৯ রান নিয়ে পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যাটসম্যান। দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়কদের মধ্যেও ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে প্রথমে পাকিস্তানে ব্যাটিং পরামর্শদাতা এবং তারপর ২০০১- ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক হিসেবে ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ইনজামামকে। আফগানিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবেও ইনজামাম-উল-হক কাজ করেছেন।
]]>