লাল-হলুদ জার্সিতে জবি জাস্টিনের উত্থান। আলেজান্দ্রো মেনেন্দেজ গার্সিয়ার আমলে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ক্লাব বদল। চলে গিয়েছিলেন এটিকে-তে। লোপেস হাবাস তাঁকে দলে নিলেও সুযোগ পাননি খুব বেশি। এরপর আইএসএল- এর একাধিক ক্লাবে নাম লিখিয়েছিলেন জবি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ছাড়া কোনো দলের প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতে পারেননি প্রথম একাদশে৷ এখন রয়েছেন চেন্নাইয়ান এফসিতে। সেখানেও একই হাল৷ সাইড লাইনের ধারেই কাটাতে হচ্ছে বেশি সময়৷ ভারতীয় ফুটবল মানচিত্র থেকে একপ্রকার হারিয়েই গিয়েছেন তিনি। সেই জবি জাস্টিনকেই এবার আনতে চাইছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কথা বেশ কিছুটা এগিয়েছে বলেই গুঞ্জন ভারতীয় ফুটবল মহলে।
শোনা যাচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ মারিও রিভেরা চাইছে আক্রমণ ভাগকে মজবুত করতে। একজন বল বাড়ানোর লোক এবং একজন স্ট্রাইকারের কথা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে খবর। ড্যানিয়েল চিমার বিদায় নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, বিদেশি স্ট্রাইকার নিয়েও ভাবছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ব্রাজিল থেকে একজন স্ট্রাইকারকে আনা হতে পারে। ইতিমধ্যে কথা বার্তাও এগিয়েছে। তবে এখনই কিছু নিশ্চিত নয়।
অন্যদিকে অন্তবর্তী কোচ রেনেডি সিং চাইছেন অভিজ্ঞ এক ডিফেন্ডার। সুযোগ পেয়ে প্রতি মুহূর্তে তা কাজে লাগাচ্ছে৷ আদিল খান। তাঁর সঙ্গে আনাসের খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সম্প্রতি। চোটের কারণে আনাসও ছিটকে গিয়েছিলেন মাঠের বাইরে। তবে আনাসের আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন অনেকে। আপাতত শিকে ছিঁড়তে পারে জবির ভাগ্যে।
]]>অসমর্থিত সুত্রে খবর,গত রাতের পর থেকে জবি জাস্টিনের রেড এন্ড গোল্ড বিগ্রেডের জার্সি পরার সম্ভাবনা কয়েক ধাপ বেড়ে গিয়েছে। লোনে এসসি ইস্টবেঙ্গল আসতে পারেন চেন্নাইন এফসি’র ফুটবলার জবি জাস্টিন।
২০১৭-১৮ আই লিগ ফুটবল মরসুমে জবি জাস্টিন লাল হলুদ জার্সি গায়ে ৩৯ ম্যাচে ১৬ গোল করেন। ২৮ আগস্ট ২০১৮ জাস্টিন রেলওয়ের বিরুদ্ধে ২০১৭-১৮ কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন ম্যাচে ক্লাবের হয়ে প্রথম মাঠে নামেন। খেলার ৩ মিনিটে তিনি গোল করে রেড অ্যান্ড গোল্ড ব্রিগেডকে প্রথম দিকে এগিয়ে দেন এবং ওই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ৩-০ ব্যবধানে খেলা জিতে নেয়।
২ জানুয়ারী ২০১৮’তে জবি জাস্টিন ২০১৭-১৮ আই লিগে ইন্ডিয়ান অ্যারোসের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তার পেশাদার ফুটবলার হিসেবে অভিষেক হয়। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর স্ট্রাইকার উইলিস প্লাজার ইনজুরি জাস্টিনের জন্য প্রথম একাদশের দরজা খুলে দিয়েছিল। চার্চিল ব্রাদার্স এবং মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচে গোল করে জবি জাস্টিন কোচ খালিদ জামিলের আস্থাভাজন হয়ে ওঠে। মরসুমে জবি জাস্টিন মোট ৯ ম্যাচ খেলেন লাল হলুদ জার্সিতে।
২০১৮-১৯ ফুটবল মরসুমেও জবি জাস্টিন লাল হলুদ জার্সি গায়ে শিলং লাজং’র বিপক্ষে জোড়া গোল করেন এবং দল ১-৩ ব্যবধানে জয় পায়।
জাস্টিন ১২টি গোল (আটটি গোল এবং চারটি অ্যাসিস্ট) করেন, যা মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের মোট গোলের (২৩) ৫০ শতাংশেরও বেশি। উভয় ডার্বি ম্যাচেই জবি জাস্টিন গোল করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ জবি জাস্টিনকে আইজল এফসি’র বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ চলাকালীন আইজলের করিম নুরাইনের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সাসপেনশন দেওয়া হয়েছিল। জাস্টিন দ্বিতীয়ার্ধের ট্যাকলের পর নুরাইনের গায়ে থুতু ফেলার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, যখন নাইজেরিয়ান ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার বোর্জা গোমেজের সাথে লড়াইয়ের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। ৫ মার্চ ২০১৯’এ AIFF’র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ৬ ম্যাচের সাসপেনশন সহ জাস্টিনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করে।
আইএসএলে এসসি ইস্টবেঙ্গল এখনও জয় পায়নি,১১ তম রাউন্ডের শেষে।জয়ের খোঁজে নিজেদের বিশ্বস্ত সৈনিককে নিয়ে আসার একটা সম্ভাবনা উকি দিচ্ছে। এখন দেখার আইএসএলের দ্বিতীয় পর্যায়ের ফিক্সারে লাল হলুদ শিবিরের পরের ম্যাচ জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে, ওই ম্যাচে আদৌ জবি জাস্টিনকে লাল হলুদ জার্সি পড়ে মাঠে দেখা যায় কিনা।
]]>প্রথমার্ধে শুধুই দুদলের সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী ম্যাচ উপহার।এসসি ইস্টবেঙ্গলের গোটা প্রথমার্ধের খেলার নির্যাস ৬ মিনিটে হীরা মণ্ডলের ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া বা পায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।৮ মিনিটে সৌরভ দাসের ডান পায়ের শট বক্সের অনেক ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া।১০ মিনিটে হীরা মণ্ডলের পাস থেকে ড্যানিয়েল চিমা চুকুউর হেডার সেভ হওয়া। ১৩ এবং ২১ মিনিটে চিমা চুকুউ ফের গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে না পারা।চিমা চুকুউ’র পাস থেকে বিকাস জাইরুর বা পায়ের শট বক্সের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া। ১৯ মিনিটে লাল হলুদ ডিফেন্ডার লৌরেনকো চোটের জন্য মাঠ ছাড়ে,বদলি হিসেবে মাঠে নামে অঙ্কিত মুখার্জী। ৩৬ মিনিটে মুম্বই সিটি এফসি’র ডিফেন্সিভ হাফ থেকে চিমা চুকুউ ফ্রিকিক পায়।৪০ মিনিটে হ্যান্ডবল হাওকিপের।
অন্যদিকে মুম্বই সিটি এফসিও গোল নষ্টের প্রতিযোগিতায় কম যায়নি,এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে। ৯ মিনিটে ভিঙ্গনেসের পাস থেকে আঙ্গুলোর হেডার লাল হলুদ বক্সের ভিতর সেভ হয়ে যায়।২৩ মিনিটে আহমেদ জাহৌহ ডান পায়ের শট ৩৫ গজেরও বেশি দূর থেকে বাম দিকে মিস করেন।৩৩ মিনিটে রেনিয়ার ফার্নান্ডেজ ফ্রিকিক পায় ডান দিকের উইং থেকে।৩৯ মিনিটে রালতের ডান পায়ের শট বা দিক ঘেঁষে বক্সের বাইরে চলে যায়।৪৬ মিনিটে আহমেদ জাহৌহ ফের গোলের সুযোগ পায়,কিন্তু রেনিয়ার ফার্নান্ডেজের কাছ থেকে পাওয়া বলকে জাহৌহ ডান পায়ে শট নিলেও, বল বক্সের অনেক ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
গোটা প্রথমার্ধে এমন ছন্নছাড়া ফুটবল চলতি আইএসএলে লিগের সেকেন্ড বয় মুম্বই সিটি এফসি বনাম লাস্ট বয় এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে। প্রথমার্ধ গোলশূন্যতে শেষ হয়।
বিরতির পর ৬৭ মিনিট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও দলই গোলের লকগেট খুলতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে, সঙ্গে গোলের সুযোগও হাতছাড়া করতে থাকে একের পর এক। গোল করার তাগিদ থাকলেও ৭১ মিনিটেও ম্যাচের ফলাফল ছিল গোলশূন্য।
পালা করে মুম্বই সিটি এফসির আঙ্গুলো,রেনিয়ার ফার্নান্ডেজ, মুর্তাদা ফল, ক্যাসিও গ্যাব্রিয়েল,আহমেদ জাহৌহ কেউই গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারে নি।
অন্যদিকে, ৫০ মিনিটে হাওকিপ,৫৯ মিনিটে ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ গোলের সুযোগ পেলেও মুম্বই’র রুক্ষণ বক্সের ভিতর আটোসাটো হওয়াতে তা কোনও বিপদ ঘটাতে পারেনি।
ম্যাচের ৮৪ মিনিট কেটে গেলেও গোল কানা দু’দল। ম্যাচের বয়স যত গড়িয়েছে অফসাইডের ফাঁদ, কর্ণার থেকে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করা,চিমা চুকুউর হ্যান্ডবল সমান তালে চলেছে, রেফারির শেষ বাঁশি বেজে ওঠা পর্যন্ত। ১১ জানুয়ারি লাল হলুদ শিবিরের পরের ম্যাচ জামশেদপুর এফসি’র বিরুদ্ধে।
]]>এই চিমা অবশ্য সেই নন। এনার নাম ড্যানিয়াল চিমা চুকু। বয়স খুব বেশি নয়; ৩০। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ছিলেন প্রতিশ্রুতিবান এক ফুটবলার। করেছেন প্রচুর বল। চিনা লীগে খেলেছেন বহু ম্যাচ। অর্থাৎ এশিয়ান ফুটবল সম্পর্কে রয়েছে সম্যক ধারণা। আইএসএল-এর চলতি মরশুমে তাঁকেই বেছে নিয়েছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তারা। সর্মথকরা আশা করেছিলেন এই চিমাও ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে বওয়াবে গোলের বন্যা।
এ সবই যেন এখন কোনও গল্প কথা। বল রিসিভ করতেই যেন ভুলে গিয়েছেন এই চিমা। নয়টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে। করেছেন মাত্র দু’টি গোল। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়েও তাঁর নেওয়া শট কাঁপাতে পারেনি প্রতিপক্ষের জাল। তাই ক্লাবে চিমার ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। সমর্থকরাও বীতশ্রদ্ধ।
আর কিছুক্ষণ পরেই মুম্বই সিটি এফসি বিরুদ্ধে খেলতে নামবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তার আগে শোনা যাচ্ছে একটি জল্পনা। লাল হলুদ জার্সিতে আজই নাকি শেষ ম্যাচ। এরপর বাজবে বিদায় ঘন্টা৷ শুক্রবার দুপুরে পাওয়া সূত্রের খবর, ড্যানিয়েল চিমার বিদায় নিশ্চিত৷ আর হয়তো দেখা যাবে না মশাল বাহিনীর দলে৷
]]>এসসি ইস্টবেঙ্গলকে বিদায় জানিয়েছেন হাইপ্রোফাইল কোচ মানালো দিয়াজ৷ আপাতত অন্তবর্তী কোচের ভূমিকায় রেনেডি সিং। তাঁর তত্তাবধানে খেলা প্রথম ম্যাচে আশার আলো দেখছেন লাল-হলুদ সমর্থকদের কেউ কেউ। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পয়েন্ট ভাগাভাগি করলেও আগের তুলনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ফুটবল খেলতে পেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। সামনে এবার মুম্বই সিটি এফসি।
চোট এবং নির্বাসনের জন্য একাধিক বিদেশিকে পাচ্ছেন না সিং। আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ নির্বাসিত। চোটের তালিকায় টমিস্লাভ মার্সেলাও সদ্য নাম লিখিয়েছেন। তাই ভারতীয় ব্রিগেডের ওপরেই আস্থা রাখতে হবে রেনেডিকে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামার আগে তিনি বলেছেন, ‘হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আমরা যতটা খেলেছিলাম তাতে এটা বুঝতে পেরেছি যে আমরাও ভাল খেলতে পারি। সমস্যা একটা রয়েছে। পায়ে বল থাকার সময় আরও একটু আত্মবিশ্বাসী হতে হবে আমাদের।’
‘আইএসএল-এর অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ মুম্বই। তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল৷ আমাদের একটা টিম হিসেবে মাঠে খেলতে হবে। মুম্বই নিজের মতো খেলতে শুরু করলে মুশকিল। তখন আমাদেরকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে।’ ন’টা ম্যাচ খেলে হয়ে গিয়েছি ইস্টবেঙ্গলের। এখনও লিগের লাস্টবয়। জয় আসেনি একটি ম্যাচেও। ড্র ৫ ম্যাচে। হার ৪ ম্যাচে। প্রাপ্ত পয়েন্ট পাঁচ।
]]>৫৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল প্রাথমিক সেট-পিস এড়ায় কিন্তু রোশনের বাঁ দিক থেকে একটি চূড়ান্ত ক্রস সৌরভ দাস ক্লিপ করে, লাল হলুদ গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে,আর সৌরভের ক্লিপ করা বল এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়াতেই ১-১ গোলের সমতায় ফিরে আসে বেঙ্গালুরু এফসি।
৬৬ মিনিটে রোশন সিং’র সেট পিস থেকে বেঙ্গালুরুর ফুটবলার প্রিন্স ইবারার হেডার গোলপোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৭২ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর ডানপায়ের জোরালো শট বক্সে আটকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ছেত্রী মাঠে নামেন, প্রতীকের বদলে।
এদিন ম্যাচে প্রিন্স ইবারা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। সেম্বোই হাওকিপ যিনি এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ২৮ মিনিটে গোলের লিড দিয়েছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। বক্সের লবে সম্পূর্ণভাবে মিস করেন, কারণ হাওকিপ প্রথমবার ট্যাপ ইন করার চেষ্টা করেছিলেন।
৫ মিনিট ইনজুরি টাইমেও স্কোরলাইন ১-১ গোলে ড্র থেকে মাঠ ছাড়ে দুই দল। লিগ টেবিলে নতুন বছরেও তিন পয়েন্ট না পেয়ে,লাস্ট বয় হয়ে থাকলো এসসি ইস্টবেঙ্গল।
]]>জানা গিয়েছে, লোনে বিকল্প অপশনে ২০২১-২২ আইএসএল মরসুমের জন্য অজয় ছেত্রীর সঙ্গে পাকা চুক্তি হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের। ২০১৮-১৯ আইএসএলে মরসুমে অজয় ছেত্রী মিডফ্লিডার হিসেবে বেঙ্গালুরু এফসি জার্সি গায়ে চেন্নাইন এফসি’র বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচ খেলেন। ওই মরসুমে তিনি দলের চূড়ান্ত লিগ ম্যাচে জামশেদপুর এফসি’র বিপক্ষেও ছিলেন। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে সুযোগ পাচ্ছিলেন না দলে।
পরের মরসুমে জানুয়ারি ফিফা ট্রান্সফার উইন্ডো দিয়ে লোনে হায়দরাবাদ এফসিতে যান, ছেত্রী। হায়দরাবাদের হয়েও মিডফ্লিডে নিজের জাত চেনান পারফর্ম করে।এরপর ফের বেঙ্গালুরু এফসি’তে ফিরে আসলেও টানা সাত ম্যাচ স্কোয়াডের বাইরে বসে থেকেই কাটাতে হয়।
ফের একবার জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডো দিয়ে লোনে এসেছেন মিডফ্লিডার অজয় ছেত্রী। অন্তবর্তীকালীন হেডকোচ রেনেডি সিং এবং মারিও রিভেরা কিভাবে তরুণ এই প্রতিভাবান ফুটবলারের কাছ থেকে সেরাটা নিঙড়ে বের করে আনতে পারে তা নিয়ে কৌতুহল থাকবে ভারতীয় ফুটবল মহলে।
]]>চলতি টুর্নামেন্টের ১১ তম রাউন্ডে এসসি ইস্টবেঙ্গল ৮ ম্যাচ খেলে ফেললেও জয়ের মুখ দেখেনি। নতুন স্প্যানিয়ার্ড হেডকোচের জমানাতে প্রিয় দল জয়ের সরণীতে হাটবে এমন প্রত্যাশার চাপ বিষয়ে অবগত লাল হলুদ শিবিরের ফুটবলারেরা তা এসসি ইস্টবেঙ্গলের করা সংক্ষিপ্ত সময়ের টুইট ভিডিওতে পরিষ্কার।
ওই টুইট ভিডিওতে ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ নতুন বছরে লাল হলুদ সমর্থকদের শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন,”নতুন বছরে আরোও ভালো অর্জনের অপেক্ষায় আছি”।
গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য ওই টুইট ভিডিও বার্তায় বলেন,”টিমের জন্য আমাদের সকলের একই লক্ষ্য লিগের যতটা ওপরে শেষ করতে পারি,যত ভাল পারফর্ম করতে পারি”। নিজের ইনজুরি প্রসঙ্গে এসসি ইস্টবেঙ্গলের এক নম্বর গোলকিপার বলেন,” ব্যক্তিগত ভাবে আমি চাই ইনজুরির কারণে আমাকে মাঠের বাইরে যেতে না হয় আমাকে,কেননা ওটা খুবই বাজে অভিঞ্জতা, এখান থেকে চেষ্টা করবো সব ম্যাচ খেলার”। গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য লাল হলুদ সমর্থকদের আশ্বস্ত করে এও বলেন,”লিগে যত ওপরে শেষ করতে পারবো, চেষ্টা থাকবে সেমিফাইনালে যাওয়ার”।
লাল হলুদ ফুটবলার অমরজিৎ সিং ওই টুইটের ভিডিও বার্তায় বলেছেন,”এক শতাংশ নিজের যদি উন্নতি করতে পারি,তা আমার জন্যে ভাল হবে।কেননা প্রতিটি দিন আমার কাছে একটা নতুন বছর”।
লাল হলুদের আর এক ফুটবলার আদিল খান “নতুন বছরে সমর্থকদের সমর্থন প্রত্যাশা করে” ওই টুইট ভিডিওতে বলেন,”আমরা ভাল পারফরম্যান্স দিয়ে সকলকে উপহার দিতে চাই লিগ টেবিলে অনেক পয়েন্ট অর্জন করে”।
“নতুন বছরের শুভেচ্ছা” বার্তায় টুইট ভিডিওতে অ্যান্টোনিও পেরোসেভিচের কথায়,”ভাল রেজাল্ট সঙ্গে প্রথম পজিশন”।
২০২২ নতুন বছরের শুভেচ্ছা দিতে গিয়ে ওই টুইট ভিডিওতে লাল হলুদ ফুটবলার ড্যারেন সিডোল বলেন,”আমাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে, যাতে দলের সমর্থকরা গর্বিত বোধ অনুভব করে”।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তায় মোট কথা লাল হলুদ বিগ্রেডের ফুটবলারেরা বুঝে গিয়েছে, আগামী দিনে ফুটবলের বাজারে নিজেদের বাজার দর ধরে রাখতে গেলে মারণ ঝাঁপটা দিতেই হবে। এমন ‘ডু অর ডাই’ সিচুয়েশনে লিগ টেবিলে যতটা ভাল পজিশনে দৌড় শেষ করা যায়, এর ওপর দাঁড়িয়েই পেশাদার ফুটবলার হিসেবে দর কষাকষির রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে থাকবে।
]]>ওই টুইট পোস্ট হল,”
𝐀𝐍𝐍𝐎𝐔𝐍𝐂𝐄𝐌𝐄𝐍𝐓
আমরা 2021-22 হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের বাকি মরসুমের জন্য মারিও রিভেরাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দিতে চাই”।
ইতিপূর্বে, স্প্যানিয়ার্ড রিভেরা ইস্টবেঙ্গলকে আই-লিগের দুই মরসুমে দ্বিতীয় স্থান অর্জনের পথ দেখিয়েছিলেন। রিভেরা, একজন উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী, মাত্র সাত ম্যাচে দলকে দ্বিতীয় অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন বিগত আই লিগে ইস্টবেঙ্গলকে।
এসসি ইস্ট বেঙ্গলের সিইও কর্নেল শিবাজি সমাদ্দার বলেছেন,”তাকে আমাদের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে পেরে আমরা খুশি। মারিও আগে ইস্টবেঙ্গলের অংশ ছিল এবং ভারতীয় ফুটবলে তার অভিজ্ঞতা বাকি মরসুমে দলের জন্য উপকারী হবে”।
রিভেরা ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্দেজের সাথে ২০১৮-১৯ ফুটবল মরসুমে ৩২ টি গেমের জন্য ডেপুটি হিসাবে কাজ করেছেন। ওই অভিঞ্জতা থেকেই চলতি আইএসএলে মারিও রিভেরার নিযুক্তি হেডকোচ হিসেবে। রিভেরা আইএসএলে কোভিড-১৯ প্রটোকল অনুসারে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন সময়কালের মধ্য দিয়ে যাবেন এবং তার পরে দায়িত্ব নেবে। এই সময়কালে এসসি ইস্টবেঙ্গলের অন্তবর্তীকালীন হেডকোচ হিসেবে আগেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেনেডি সিং’কে।
𝐀𝐍𝐍𝐎𝐔𝐍𝐂𝐄𝐌𝐄𝐍𝐓
We would like to announce the appointment of Mario Rivera as the head coach for the remainder of the 2021-22 Hero Indian Super League season.
For more, read: https://t.co/qumwRU0Pb6#WelcomeMario #WeAreSCEB #JoyEastBengal pic.twitter.com/8O2k2r81R2
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) January 1, 2022
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ATK মোহনবাগান লিগ টেবিলে ৮ ম্যাচ খেলে তিন নম্বরে লিগ টেবিলে।আর লাল হলুদ শিবির সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে লিগ টেবিলে লাস্ট বয়। দু’ম্যাচে হার, দু’ম্যাচে ড্র করেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। টানা তিন ডার্বি ম্যাচ জিততে পারেনি লাল হলুদ বিগ্রেড। গত আইএসএলের দুই ডার্বি ম্যাচ এবং চলতি আইএসএলের প্রথম ডার্বি ম্যাচ গত বছর নভেম্বরের ২৭ তারিখ হয়, যার ফলাফল ৩-০ গোলে জেতে ATK মোহনবাগান, এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। এই ডার্বি ম্যাচ ছিল ১১ তম রাউন্ডে লাল হলুদ শিবিরের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচ।
চলতি টুর্নামেন্টের ফিরতি ডার্বি ম্যাচ নতুন এই বছরের ২৯ জানুয়ারি, গোয়ার ফতোদরা স্টেডিয়ামে। হায়দ্রাবাদ এফসির বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করেছে। এই নতুন বছরে হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচ খেলার আগে ১১ তম রাউন্ডে লাল হলুদ শিবিরের পরের ম্যাচ ৪ জানুয়ারি, বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে, বাম্বোলিম্ব স্টেডিয়ামে।
]]>রেড এবং গোল্ড ব্রিগেড চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তাদের দ্বিতীয় মরসুমে এখনও একটি ম্যাচও জিততে পারেনি এবং লিগ টেবিলে লাস্ট বয়,১১ তম স্থানে,৮ ম্যাচ খেলে।
এসসি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “হোসে মানুয়েল দিয়াজ এবং তার ডেপুটি অ্যাঞ্জেল পুয়েব্লা গার্সিয়া ব্যক্তিগত কারণে আলাদা হতে পারস্পরিকভাবে সম্মত হয়েছেন”।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,”প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং এসসি ইস্ট বেঙ্গল সহকারী কোচ রেনেডি সিং অন্তর্বর্তী প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন”।
এসসি ইস্টবেঙ্গল সিইও কর্নেল শিবাজি সমাদ্দার বলেন, “চলতি মরসুমে দলকে তাদের অবদান এবং সমর্থনের জন্য আমরা হোস এবং অ্যাঞ্জেলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি তাদের উভয়ের ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য শুভ কামনা করি”।
𝐂𝐥𝐮𝐛 𝐬𝐭𝐚𝐭𝐞𝐦𝐞𝐧𝐭
SC East Bengal confirms that Jose Manuel Diaz and his deputy Angel Puebla Garcia have mutually agreed to part ways due to personal reasons.
Former India captain and our assistant coach Renedy Singh has taken over charge as interim head coach. pic.twitter.com/umt5MrJSDt
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) December 28, 2021
এসসি ইস্টবেঙ্গল চলতি আইএসএল ২০২১-২২ মরসুমে চারটি ড্র করেছে এবং চারটি ম্যাচ হেরেছে। হায়দ্রাবাদ এফসির বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র শেষ হয়েছে।
লাল হলুদ শিবিরের পরের ম্যাচ ৪ জানুয়ারী, ২০২২ বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন হেডকোচের দায়িত্বতে থাকা রেনেডি সিং’র কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ এসসি ইস্টবেঙ্গলকে চলতি আইএসএলে প্রথম জয়ের মুখ দেখানো।
]]>৬১ মিনিটে সুহের ভিপি’র শট পোস্টে লেগে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যেতেই নর্থইস্ট ইউনাইট ১-০ গোলের লিড নেয়।প্রথম গোলের ৬ মিনিট পরে প্যাট্রিক ফ্লটম্যানের ফ্রি-কিক থেকে হেডকোচ খালিদ জামিলের দল গোলের ব্যবধান২-০ করে নেয়, হোসে মানুয়েল দিয়াজের দলের বিপক্ষে।
৯০ মিনিটের খেলায় সুহের ভিপি এবং প্যাট্রিক ফ্লটম্যানের গোলের লিড ধরে রাখে। খেলা অতিরিক্ত ৫ মিনিটের জন্য গড়ায়। অতিরিক্ত সময়ে লাল হলুদ ফুটবলার অ্যান্তোনিও পেরোসেভিচকে কার্ড দেখায় রেফারি, ১০ জনের হয়ে যায় টিম। আইএসএলের ১১ তম রাউন্ডে এখন জয়ের মুখ দেখেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ২৩ ডিসেম্বর হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়াজের ছেলেদের। ১১ তম রাউন্ডে আর তিন ম্যাচ বাকি।
এদিন নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট হাতছাড়া এসসি ইস্টবেঙ্গলের, আর কবে “তিন পয়েন্ট” পাবে প্রিয় দল? ফ্যালফ্যাল করে বুক ফাটা অশ্রু শুধুই সম্বল এখন লাল হলুদ সমর্থকদের।
]]>৬ ম্যাচ খেলে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি হোসে মানুয়েল দিয়াজের এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই ছয় ম্যাচে তিন ম্যাচে ড্র,তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখে হতাশ লাল হলুদ সমর্থকরা। সমর্থকদের মধ্যে এখন আকুতি একটাই! “প্রিয় দল কবে তিন পয়েন্ট পাবে”?
টানা তিন ডার্বি ম্যাচে পরাজয়ের মুখ দেখেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ATK মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। রুক্ষণ আর মাঝমাঠের মিসিং লিঙ্ক গোটা দলকে ভোগাচ্ছে পয়েন্ট দখলের লড়াইতে। এগিয়ে থেকেও গোল হজম করা, জেতা ম্যাচ বিপক্ষের সঙ্গে ড্র কিংবা হার এটাই এখন লাল হলুদ সমর্থকদের ললাটে লিখন।
লাগাতার ছয় ম্যাচে টিম কম্বিনেশনে ফের বদল। সঙ্গে হেডকোচ দিয়াজের কেরালা ব্লাসার্স ম্যাচের আগে বিস্ফোরক বয়ান,”শুধু ফিটনেস নয়। ফিজিক্যাল, টেকনিক্যাল,ট্যাকটিক্যাল- সবকিছু নিয়েই ভাবতে হবে। কোনও দিক দিয়েই আমরা ভাল জায়গায় নেই”। প্রতি ম্যাচে বিপক্ষের শক্তি, তাদের পারফরম্যান্সের নিরিখে টিম কম্বিনেশনে বদল ঘটলেও, বিপক্ষ দল যখন বল পায়ে আক্রমণে তখন চারের বিরুদ্ধে এক পজিশনেও লাল হলুদ শিবিরের ডিফেন্স জুড়ে গেল গেল রব।
নিস্পৃহ ড্যানিয়েল চিমা, চিমা ওকোরি নামের সামান্য ছোঁয়াও অমিল।ভরসা পেরোসেভিচ।হাওকিপ থাকলেও পেরোসেভিচের সঙ্গে তালমেলে খুঁত।
ছয় ম্যাচ হয়ে গেল আইএসএলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফরোয়ার্ড সিদ্ধান্ত সিরোকদার ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয়েছে প্রথম একাদশে সুযোগের অপেক্ষায়।
কেরালা ব্লাসার্সের বিরুদ্ধে ড্র করে হোসে মানুয়েল দিয়াজের প্রথম প্রতিক্রিয়া, “আমাদের পারফরম্যান্স আমাদের জেতাতে যথেষ্ট ভাল নয়”। আবার গত ম্যাচে অধিনায়ক টমিস্লাভ মির্সেলা ম্যাচ শেষে সেটপিস মুভে দলের আরও বেশি উন্নতি করার ওপরে বয়ান দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে আবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্মসমিতি আইএসএলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান শ্রী সিমেন্টকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ক্লাবের সাধারণ সচিব কল্যাণ মজুমদার ওই চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে।
লাল হলুদ সমর্থকদের আকুতি চিঠি চালাচালি করতে করতে আইএসএলের ১১ তম রাউন্ড শেষের পথে,হাতে আর চার ম্যাচ পড়ে রয়েছে,১৭ ডিসেম্বর নর্থইস্ট ইউনাইটেড, ২৩ ডিসেম্বর হায়দরাবাদ এফসি,৪ জানুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসি এবং ৭ জানুয়ারি মুম্বই সিটি এফসি।
যদিও বাংলার সন্তোষ ট্রফি টুর্নামেন্টে কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য এখনও আশাবাদী জয়ের রাস্তায় ফিরতে পারে ইস্টবেঙ্গল, যদি ডিফেন্স আর মাঝমাঠের মিসিং লিঙ্ক জুড়ে দিতে পারে।
যদিও নাছোড়বান্দা আবেগের আকুতি কোনও পরিসংখ্যান কিংবা স্ট্যাটিস্টিককে ঘেঁষতে না দিয়ে প্রিয় দল “কবে তিন পয়েন্ট পাবে”?
]]>অন্যদিকে, কেরালা ব্লাস্টার্সের প্রথম একাদশে তিন পরিবর্তন এদিনের ম্যাচে লাল হলুদ শিবিরের বিপক্ষে; গোলকিপিং’এ প্রভসুখান গিল এবং প্রসাহ্ন কে, এবং সন্দীপ সিং।
ম্যাচের শেষ মুহুর্তে এসসি ইস্টবেঙ্গল গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও গোলের লিড নিতে পারেনি। ৮৯ মিনিটে লাল হলুদ শিবিরের কাছে গোলের সুবর্ণ সুযোগ! ডেরভিসেভিচের থ্রু বল পেরোসেভিচকে গোলরক্ষক গিলের সাথে একের বিরুদ্ধে এক পজিশনে বক্সের ভিতরে,
কিন্তু গিল বক্সের মধ্যে এসে কেরালা ব্লাস্টার্সকে বিপদ থেকে দূরে রাখে। ম্যাচের ফুলটাইম স্কোরলাইন SCEB 1-1 KBFC।
রবিবার খেলার প্রথমার্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১-১ কেরালা ব্লাসার্স ড্র রেখে মাঠ ছাড়ে। ফাস্ট হাফে অফসাইডের কারণে লাল হলুদের গোল বাতিল, ফলে কিছুটা হলেও টেনশন ছড়িয়ে পড়ে মাঠে। তর্ক বিতর্কতে ক্ষণিকের জন্য রেফারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ফুটবলারেরা। এরপরেই ৩৭ মিনিটে গোলের লিড নেয় এসসি ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক টমিস্লাভ মির্সেলার হেডারের গোলে, রাজু গায়কওয়াডের ছোড়া লম্বা থ্রু বল থেকে। তবে গোলের লিড ৬ মিনিট ধরে রেখেছিল দিয়াজের ছেলেরা।
৪৪ মিনিটে, আলভারো ভাজকুয়েজের গোলে সমতায় ফিরে আসে কেরালা ব্লাসার্স। এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে পারেনি, লাল হলুদ শিবির। এসসি ইস্টবেঙ্গল প্রথম গোল দেওয়ার আগে ব্যাক টু ব্যাক দুটি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। হাড্ডাহাড্ডি বল দখলের লড়াইতে দুই দলই গোলের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের ফাস্ট হাফে,কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।
বাঙালি গোলকিপার শঙ্কর রায় লাল হলুদের হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিন কাঠির নীচে দাঁড়িয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের ফুটবলারদের শটের বিরুদ্ধ স্রোতের লাইনে এসে দুরন্ত পারফরম্যান্সের ছাপ রাখে প্রথমার্ধের নিরিখে।সেম্বোই হাওকিপ কড়া ট্যাকলের জন্য হলুদ কার্ড দেখে। প্রথমার্ধের শেষের দিকে আন্তোনিও পেরোসেভিচের শটে দুর্দান্ত সেভ করেন গোলকিপার প্রভসুখান গিল কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে। কোন অ্যাক্সেস দেয়নি গিল পেরোসেভিচের শটকে।
দ্বিতীয়ার্ধে, খেলা শুর হয়। ৬০ মিনিট কেটে গেলেও গোলের লকগেট কোন দলই খুলতে পারেনি, একটা ঝিমিয়ে পড়া ফুটবল ম্যাচ প্রদর্শন চলছে দুই দলের মধ্যে। এই গাছাড়া মনোভাব দুই দলের কাছেই অ্যালার্মিং ছিল।
ঠিক এই সময়ে টুইস্ট ম্যাচের ৬৫ মিনিটে, লালরিনলিয়ানা একটি স্লাইডিং চ্যালেঞ্জ কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। ঝিমিয়ে পড়া ম্যাচ জেগে ওঠে।৭০ মিনিটে ম্যাচে টানটান উত্তেজনা! দুরন্তভাবে রুক্ষণ সামলাতে দেখা যায় টমিস্লাভ মির্সেলাকে,পুইটিয়া-
আলভারো ভাজকুয়েজের যুগলবন্দী বিপদ ঘন্টা বাজিয়ে দেয় রেড এন্ড গোল্ড বক্সে,কিন্তু মির্সেলা সতর্ক থাকায় বিপদ ক্লিয়ার করে দেয়। স্কোরলাইন এখনও SCEB 1-1 KBFC।
৬৮ মিনিটে দিয়াজের তিন পরিবর্তন। চিমা চুকুউ, লালরিনলিয়ানা এবং অমরজিৎ সিং কিয়ামের বদলি আঙ্গুসানা, বিকাশ জাইরু এবং আমির ডারভিসেভিক মাঠে নামে। ৮১ মিনিটে এসসি ইস্টবেঙ্গলের পাল্টা বল পায়ে আক্রমণ। আন্তোনিও পেরোসেভিচের দুর্বল শট গিল ঠেকিয়ে দেয় অনায়াসে।
৮৬ মিনিটে হঠাৎ করেই ইন্দ্রপতনে হৃৎপিন্ডে একটা ঝাঁকুনি! কেরালা ব্লাস্টার্সের আদ্রিয়ান লুনার ক্রসে সাবস্টিটিউট হোর্হে ডিয়াজ হেড করেন, কিন্তু বল এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে ঢুকে যাওয়ার আগেই রেফারি ফাউলের জন্য বাঁশি বাজিয়ে দেয়।
চলতি আইএসএলে তিন পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্যে নেমে ষষ্ঠ ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১-১ গোলে ড্র করলো কেরালা ব্লাসার্সের বিপক্ষে। আর লাল হলুদ সমর্থকদের বুক ফাঁটা কান্নার আওয়াজ প্রিয় দলের জন্য আরও চওড়া হয়ে উঠলো।
]]>এখন পর্যন্ত একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি লাল হলুদ শিবির আইএসএলে। ম্যাচে তিন পয়েন্টই দিয়াজের টার্গেট কথায় পরিষ্কার ম্যাচের আগে প্রেস মিটে।স্প্যানিশ কোচের কথায়,’সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি দরকার।’
এসসি ইস্টবেঙ্গল হেডকোচ হোসে মানুয়েল দিয়াজের বিস্ফোরক বয়ান প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে, “শুধু ফিটনেস নয়। ফিজিক্যাল, টেকনিক্যাল, ট্যাকটিক্যাল—সব কিছু নিয়েই ভাবতে হবে আমাদের। কোনও দিক দিয়েই আমরা এখন ভাল জায়গায় নেই।”
দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস প্রসঙ্গে আপডেট দিতে গিয়ে দিয়াজ বলেন, “নতুন করে কারও কোনও চোট হয়নি। জ্যাকিচন্দ ও ড্যারেন সিডোলের চোট রয়েছে। জ্যাকি সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে এখনও পুরো ট্রেনিং সেসন করার মতো অবস্থায় নেই। ড্যারেনের হ্যামস্ট্রিং সমস্যা রয়েছে। ওকে সময় দিতে হবে। এই ধরনের চোটগুলো নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। “
প্রতিপক্ষ কেরলা ব্লাস্টার্স নিয়ে দিয়াজ জল মাপতে গিয়ে বলেছেন, “ওরা সঙ্ঘবদ্ধ দল। ওদের দলে লড়াকু ফুটবলাররা রয়েছেন। ওদের হারানো কঠিন। ৯০ মিনিট ধরে ওরা ভাল ফুটবল খেলতে পারে। ম্যাচটা আমাদের পক্ষে বেশ কঠিন হতে চলেছে।”
হতাশা ঝড়ে পড়ে খানিকটা লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচের মুখে। দিয়াজের কথায়, “আমরা মাত্র ৫ টা ম্যাচ খেলেছি। তবে অনেক গোল খেয়েছি আমরা। কয়েকটা ম্যাচ আমরা জেতার জায়গায় ছিলাম। এখন আমাদের লক্ষ্য তিন পয়েন্ট পাওয়া।”
লাল হলুদ সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে গিয়ে স্প্যানিশ কোচ বলেন, “গোলকিপার অরিন্দমের চোট রয়েছে,তবে রিকভারি স্টেজে রয়েছে। তিন পয়েন্ট আমাদের লক্ষ্য, সমর্থকদের আবেগ বুঝতে পারছি, তবে আমাদের উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। “
অন্যদিকে, কেরালা ব্লাস্টার্সের কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ প্রি ম্যাচ প্রেস মিটে বলেন,”সমস্ত ম্যাচই বিভিন্ন রকমের হয়। কোন ম্যাচ কোথায় শুরু হবে আর কোথায় শেষ হবে, কেউ জানে না। আমাদের সবসময়ই ফোকাসড থাকতে হবে, প্রতি মুহূর্তে মনোনিবেশ করতে হবে। আমরা বিভিন্ন ধরনের আক্রমণ ও রক্ষণের স্টাইল নিয়ে চর্চা করেছি। বিভিন্ন প্রতিপক্ষের জ্ন্য সেগুলো প্রয়োগ করছি।”
এসসি ইস্টবেঙ্গল প্রসঙ্গে ইভান ভুকোমানোভিচের পরিষ্কার কথা, প্রতিপক্ষ ভাল দল। ওরা লিগ টেবলে যে জায়গায় রয়েছে, ওই জায়গায় ওদের থাকার কথা নয়। তবে এটাই ফুটবল। আমরা একটা ভাল দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি এবং এটা আমাদের কঠিনতম ম্যাচ হতে চলেছে।” লাল হলুদ সমর্থকরা এবং অফিসিয়ালরা এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে। ইতিমধ্যে ক্লাবের সাধারণ সচিব কল্যাণ মজুমদার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে, দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের ইস্যুতে।
]]>প্রসঙ্গত, ১ ডিসেম্বর ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষের চিঠির উত্তরে লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ক্লাব কর্তৃপক্ষের চিঠি টিমের টেকনিক্যাল কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটির এখনও কোন সিদ্ধান্ত তারা জানতে পারেনি।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ আজকের এই চিঠির লিখিত বয়ানে দাবি করেছে,”মরসুমের শুরুতেই দলগঠনের বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করার বার্তা দিয়ে লগ্নিকারী সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়।কিন্তু তখন তারা জানায়,ইতিমধ্যেই তাদের দল গঠন সম্পূর্ণ।”
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাধারণ সচিব কল্যাণ মজুমদারের স্বাক্ষর করা এই চিঠির বয়ানে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে,”বিতর্ক নয়,আমরা সবাই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য চাই। বর্তমানে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ক্লাবের সদ্য-সমর্থকরা প্রচণ্ড রুপে চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন। আমরা সবাই চাই নতুন করে দলের সুগঠন ও বিন্যাস, যাতে করে পারফরম্যান্সের উন্নতিসাধন হয়।”
এদিনের কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজ থেকে পারিজাত মৈত্রকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নতুন ‘মিডিয়া ম্যানেজার ‘ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি আইএসএলের পঞ্চম ম্যাচে দুরন্ত লড়েও এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-৪ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এফসি গোয়া ম্যাচ জিতে যায়।
এরপরেই আজকে ফের ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাধারণ সচিব কল্যাণ মজুমদারের স্বাক্ষর করা এই চিঠির বয়ানে জল কোন দিকে গড়ায় পদ্মা পাঁড়ের ক্লাবের নজর এখন সকলের।
]]>ঠিক এই সময়ে ম্যাচের স্রোতের প্রতিকূলে ২৬ মিনিটে আন্তোনিও পেরোসেভিচ বক্সের বাইরে থেকে একটি স্ক্রীমার স্কোর করেন, যা পোস্টে আঘাত করে এবং জালে লেগে যায়। ১-১ গোলের সমতায় ফিরে আসে এসসি ইস্টবেঙ্গল, এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে।
তবে এই স্কোরলাইন বেশিক্ষণ অটুট ছিলনা।৩২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ১-২ এফসি গোয়াকে গোলের লিড এনে দেয় জর্জি ওর্টিজ। ৩৭ মিনিটে আমির ডারভিসেভিচের ফ্রি-কিক থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গল ২-২ গোলের সমতায় ফিরে আসে, এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। চলতি আইএসএলে আমির ডারভিসেভিচ এটাই প্রথম গোল। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে এফসি গোয়াকে গোলের লিড দেন আন্তোনিও পেরোসেভিচ। হাফ টাইমে এসসি ইস্টবেঙ্গল ২-৩ এফসি গোয়া। প্রথমার্ধে মোট ৫ গোল,রেফারির ম্যাচ বিরতির বাঁশি।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হয়।৪৬ মিনিটে এসসি ইস্টবেঙ্গল দুটি পরিবর্তন করে। চিমা এবং আদিল খান মাঠে নামে অমরজিত সিং এবং অধিনায়ক টমিস্লাভ মৃসেলার বদলে।৫৯ মিনিটে লাল হলুদের হয়ে আন্তোনিও পেরোসেভিচের করা দ্বিতীয় গোলে এসসি ইস্টবেঙ্গল গোলের সমতায় ফিরে আসে, SCEB 3-3 FCG। এফসি গোয়ার প্রতিভাবান গোলকিপার ধীরাজ মোইরাংথেম ভারতীয় ফুটবলের সম্পদ, কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচে নাস্তানাবুদ হলেও নিজের ফোকাসড ধরে রেখেছে।
৬৭ মিনিটে এফসি গোয়ার মাঝমাঠের ওপর থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের দুরন্ত পাল্টা আক্রমণ। লাল হলুদের চিমা চুকুউ’র কাছে গোলের সুবর্ণ সুযোগ, কিন্তু ইভান গঞ্জালেজ সঠিক সময়ে শেষ মুহুর্তে বল ক্লিয়ার করে।ম্যাচের ৭৪ মিনিটে সাভিয়র গামার গোলপোস্ট লক্ষ্য করে ফ্লিক লাল হলুদ গোলকিপার সুভম সেনের গ্লাভসে বন্দী হয়।
৭৯ মিনিটে এফসি গোয়া এগিয়ে যায়। নোগুয়েরা আলবার্তোর করা গোলে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-৪ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এফসি গোয়া ম্যাচ জিতে যায়।নোগুয়েরা আলবার্তোর জোড়া গোল ১৪ এবং ৭৯ মিনিটে।
]]>আরও পড়ুন ATK-নাম মোছার দাবিতে এবার বিক্ষোভের পথে সবুজ-মেরুন জনতা
বিদেশী নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন রবি ফাউলার। ঠিক ছিল তিনি দু’জন কিংবা তিনজন ফ্রি প্লেয়ারকে (বিদেশি) নিয়ে আসবেন। তবে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ ব্রাইট এনোবাখারেকে কভেন্ট্রি সিটি থেকে লিয়েনে নিতে চাইছে। এফসি গোয়ার হয়ে গত মরশুমে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি ঈশান পাণ্ডিতিয়া, যদিও বেশিরভাগ ম্যাচেই শেষ মুহুর্তে নেমে গোল পেয়েছিলেন। তাকেও চাইছে ইস্টবেঙ্গল।
সেপ্টেম্বরের শেষে ফাউলারের দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথাও পাকা হয়ে গিয়েছিল। যদিও তারপরেই ফাউলারকেই ছেঁটে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। ফাউলারের জায়গায় নতুন হেডস্যার হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব সামলানো মানেলো দিয়াজ। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট জানিয়ে দেয়, দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী মরশুমে লাল-হলুদের কোচের পদে আর থাকছেন না রবি ফাউলার।
এর মধ্যেই বিদেশি বাছাই প্রায় চূড়ান্ত ইস্টবেঙ্গলে। ৪৮ ঘন্টা আগেই নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেছে ইস্টবেঙ্গল। তাঁর সম্মতিতেই প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে লাল হলুদের ছয় বিদেশি। দু’জন ক্রোয়েশিয়ান, একজন নাইজেরীয়, একজন স্লোভাক, একজন ডাচ ফুটবলার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্য নির্বাচিত দলে।
চুক্তি অনুযায়ী চলতি সরশুমেও দল গড়ার দায়িত্ব ইনভেস্টরদের। তবে ক্লাব কর্তারা ফুটবলার বাছাইয়ের কাজে প্রয়োজনে সবরকম সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছিলেন বিনিয়োগকারী সংস্থাকে। দেবব্রত সরকার (নীতু) জানিয়ে দিয়ে ছিলেন, ‘আমাদের তরফেও ফুটবলারদের একটি তালিকা তৈরি করা রয়েছে। দল গড়ার দায়িত্ব বিনিয়োগকারীদের হলেও ওরা যদি আমাদের থেকে কোনওরকম সাহায্য চায়, আমরা প্রস্তুত আছি।’ প্রায় শেষ মূহুর্তে দল গড়তে হলেও দ্বিতীয় আইএসএলে বাজিমাত করতে চাইছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
]]>
আরও পড়ুন কলকাতা লিগে নেই ইস্ট-মোহন, বাংলার ফুটবল বাঁচাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ আইএফএ কর্তারা
তারপরেই আইএসএলেরই আরেক গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংকে দলে নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ফলে এএফসি কাপের প্রথম তিন ম্যাচে অ্যান্তোনীয় হাবাসের দলে জায়গা হয় নি অরিন্দমের। দলের শেষ প্রহরীর দায়িত্ব সামলেছেন অমরিন্দর। ফলে দল ছেড়েছিলেন অরিন্দম। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এসসি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) পথেই পা বাড়ালেন তিনি।
আরও পড়ুন শুভ ঘোষ-আদিল খানকে দলে নিয়ে চমক দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল
আরও পড়ুন মোহনবাগানেই আছি জানিয়ে দিলেন প্রবীর দাস
মোহনবাগান ছাড়ার পর থেকেই তাঁর ভবিষ্যতের দল নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। তাঁর ভবিষ্যতের ক্লাব হিসেবে উঠে এসেছিল একাধিক নাম। শোনা গিয়েছিল তিনি কেরালা ব্লাস্টার্স কিংবা মুম্বই সিটি এফসিতেও যেতে পারেন। অন্যদিকে অরিন্দম মোহনবাগান ছাড়ার পরেই তাঁকে সই করাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শ্রী সিমেন্ট তাঁর সঙ্গে একবছরের চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল অরিন্দমের পক্ষ থেকে। চুক্তির অঙ্ক নিয়েও দুপক্ষের মধ্যে মতভেদ ছিল। অবশেষে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন তিনি।
Big Breaking : Arindam Bhattacharya has signed for SC East Bengal.
Welcome HOME Arindam
#JoyEastBengal #SCeastBengal #EBRP pic.twitter.com/SRLGpXFFtM
— EAST BENGAL the REAL POWER (EBRP)
(@EBRPFC) September 6, 2021
কয়েকদিন আগেই কার্যত পয়েন্ট অফ নো রিটার্নের ইঙ্গিত দিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে স্পোর্টিং রাইট ফিরিয়ে দিয়েছিল লগ্নিকারী সংস্থা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের চুক্তি নিয়ে সমস্যা মিটে গিয়েছে। আর তার পরেই দল গড়ার কাজে নেমে পড়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। দলবদলের ব্যাপারে লাল-হলুদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, সেই নিষেধাজ্ঞাও তারা তুলে নিয়েছে।
#teamaikya #ChhilamAchiThakbo #WeAreSCEB #JoyEastBengal #IndianFootball #TorchBearers pic.twitter.com/MY915qY3PF
— 𝐋𝐚𝐥 𝐇𝐨𝐥𝐮𝐝 𝐀𝐢𝐤𝐲𝐚 (@EB_LHA) September 6, 2021
মহম্মদ রফিক, শঙ্কর রায়, মির্শাদ, জেজে, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়রা গত মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। সাইড ব্যাকে খেলা হীরা মণ্ডলকেও সই করিয়েছে দল। শুভ ঘোষ-আদিল খান-রোমিও ফার্নান্দেজরাও ইতিমধ্যে সই করে ফেলেছেন। এবার অরিন্দমকে দলে নিয়ে চমক দিল শতাব্দীপ্রাচীন ইস্টবেঙল (East Bengal)।
]]>
আরও পড়ুন শুভ ঘোষ-আদিল খানকে দলে নিয়ে চমক দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল
দুই প্রধানকে এবার কলকাতা লিগে খেলতে দেখা যাবে না। সেই ঘটনা জানাতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গেলেন ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। রবিবার ছিল এটিকে মোহনবাগানের খেলা। প্রতিপক্ষ রঞ্জন ভট্টাচার্যের জর্জ টেলিগ্রাফ। কল্যাণী স্টেডিয়ামে জর্জের ফুটবলার-সহ কোচ, কর্তারা উপস্থিত থাকলেও দল নামায়নি এটিকে-মোহনবাগান। আজ, মঙ্গলবার কল্যাণীতে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের। যথারীতি তারাও টিম নামায়নি। জর্জের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ঘরোয়া লিগে ছোট দলের ফুটবলাররা প্রস্তুতি নেয় বড় ম্যাচে খেলবে বলে। মোহনবাগান, এসসি ইস্টবেঙ্গল, মহামেডানের মতো দলগুলোর বিপক্ষে খেললে খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়ে। সেটাই এবার সম্ভব হল না।”
কলকাতা লিগে এবার দেখা যাবে না এই চিরপরিচিত দৃশ্য।
মোহনবাগান পৌঁছে গিয়েছে এএফসি কাপের মূলপর্বে। তার উপর জাতীয় দলের হয়ে নেপালে খেলতে চলে গিয়েছেন পাঁচজন ফুটবলার। সেপ্টেম্বরে মূলপর্বের খেলা হওয়ায় দেশেও ফিরে গিয়েছেন দলের অনেক ফুটবলার। ফলে কলকাতা লিগে দল নামাবে না বলে অনেক আগেই আইএফএকে জানিয়েছিল ক্লাব। সৃঞ্জয় বোস জানিয়েছেন, “আগেই বলেছিলাম, আবার শনিবার মেল করে আমরা জানিয়েছিলাম, আমাদের পক্ষে ঘরোয়া লিগে খেলা এবার সম্ভব নয়। এটাতো দেশের সম্মানের প্রশ্ন। তাই আমরা আইএফএ-র সহযোগিতা চেয়েছি। তাছাড়া এবার কোভিড পরিস্থিতির দরুন সেভাবে প্র্যাকটিসও হয়নি।”

বল দখলের লড়াইয়ে কাতসুমি-সৌমিক।
অন্যদিকে সবে চুক্তি সমস্যা মেটার পর দলগঠনে নেমেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ফলে প্র্যাকটিস ছাড়া দল নামাতে রাজি নন তারাও। লাল-হলুদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বরের আগে তাঁদের পক্ষে কলকাতা লিগে দল নামানো অসম্ভব। তারপর খেলতে তাঁদের আপত্তি নেই। যদিও কলকাতা লিগ চলাকালীনই হয়তো আইএসএলেরও খেলা পড়ে যাবে, ফলে আইএফএ কর্তারা ইস্টবেঙ্গলের মাঠে না নামার বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে বাংলার ফুটবলের এই তথৈবচ অবস্থার কথা জানিয়ে বিহিত চাইতেই নবান্ন যাচ্ছেন আইএফএ কর্তারা।
]]>চুক্তিজট কাটার পর ইস্টবেঙ্গলের নজর আপাতত নতুন মরশুমের দল গঠনে। চুক্তি অনুযায়ী চলতি সরশুমেও দল গড়ার দায়িত্ব ইনভেস্টরদের। তবে ক্লাব কর্তারা ফুটবলার বাছাইয়ের কাজে প্রয়োজনে সবরকম সাহায্য করবেন বিনিয়োগকারী সংস্থাকে। দেবব্রত সরকার (নীতু) জানিয়েছেন, ‘আমাদের তরফেও ফুটবলারদের একটি তালিকা তৈরি করা রয়েছে। দল গড়ার দায়িত্ব বিনিয়োগকারীদের হলেও ওরা যদি আমাদের থেকে কোনওরকম সাহায্য চায়, আমরা প্রস্তুত আছি।’ প্রায় শেষ মূহুর্তে দল গড়তে হলেও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছেন লাল-হলুদ অফিশিয়ালদের তালিকায়। যাদের নিয়েই দ্বিতীয় আইএসএলে বাজিমাত করতে চাইছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।

শুভ ঘোষ।

আদিল খান।
কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে গত বছর মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ জিতেছিলেন শুভ ঘোষ। পরের মরসুমে এটিকে মোহনবাগানে যোগ দিলেও হাবাসের দলে জায়গা হচ্ছিল না এই বঙ্গতনয়ের। পরে কেরলে চলে আসেন এই বাঙালি স্ট্রাইকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভর এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার খবর জানিয়েছে কেরল ব্লাস্টার্স। যদিও এখনও এসসি ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে সরকারী ভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। ইস্টবেঙ্গল সই করিয়েছে আদিল খানকেও। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের আশা, আদিল খান আসায় ডিপ ডিফেন্সের সমস্যা অনেকটাই মিটবে।
আরও পড়ুন দেখে নিন আইএসএল জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গলের নজরে রয়েছেন কোন ফুটবলাররা
রবি ফাউলার দু’জন কিংবা তিনজন ফ্রি প্লেয়ারকে (বিদেশি) নিয়ে আসবেন। তবে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ ব্রাইট এনোবাখারেকে কভেন্ট্রি সিটি থেকে লিয়েনে নিতে চাইছে। এফসি গোয়ার হয়ে গত মরশুমে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি ঈশান পাণ্ডিতিয়া, যদিও বেশিরভাগ ম্যাচেই শেষ মুহুর্তে নেমে গোল পেয়েছিলেন। তাকেও চাইছে ইস্টবেঙ্গল।
]]>