science – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 18 Dec 2021 16:06:30 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png science – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 সব জিনিসের সঙ্গে আটকে যায়, নিজের টিউবে আটকায় না সুপার গ্লু, জেনে নিন কারণ https://ekolkata24.com/offbeat-news/know-the-use-of-super-glue Sun, 07 Nov 2021 07:44:08 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10595 News Desk, Kolkata: মাত্র এক বর্গইঞ্চি জায়গায় সুপার গ্লুর ঠুনকো প্রলেপ এক টনের বেশি ওজন ধরে রাখতে পারে। ‘সায়ানোঅ্যাক্রিলেট’ নামের এক রাসায়নিক তরল থাকার কারণেই গ্লু এই অবিশ্বাস্য শক্তি অর্জন করতে পেরেছে। এটি জল ছাড়া কোনও কিছু জোড়া লাগাতে পারে না।

টিউবের ভেতর বায়ু ও জলশূন্য অবস্থায় একে ঢুকিয়ে ভালোভাবে মুখ আটকে দেওয়া হয়। তাই জলের অনুপস্থিতিতে গ্লু টিউবের ভেতরের গায়ের সঙ্গে জোড়া লাগতে পারে না। কিন্তু টিউব থেকে বের হলেই শুরু হয় তার তেলেসমাতি। বাইরের বাতাসের মধ্যে থাকা জলীয়বাষ্পের সঙ্গে মিশে নিজ অ্যাকশন শুরু করে দেয় দ্রুত। হালকা প্রলেপ বেশি কার্যকর, কারণ সামান্য জলীয়বাষ্প লাগে, কাজ হয় চটপট। একটু ফুঁ দিলে আরও তাড়াতাড়ি কাজ হয়। সামান্য আঠা বের করেই টিউবের মুখটা খুব দ্রুত বন্ধ করে দিলে ভেতরে বাতাস ঢুকতে পারে না। ফলে, সে টিউবের ভেতরের গায়ে জোড়া লাগে না। কিন্তু সাধারণ আঠার কার্যক্রমটা ভিন্ন। ওর মধ্যে জলথাকে বলে সে কৌটা বা টিউবের ভেতরের গায়ে জোড়া লাগে না। কোনো ছেঁড়া কাগজে মেশানোর পর জল শুকিয়ে গেলে জোড়া লাগে।

প্রচণ্ড শক্তিশালী আঠা সুপার গ্লু অসাবধানতাবশত ত্বকে লেগে গেলে ভয় পাবেন না। অযথা টানাটানি করতে গিয়ে ত্বকের ক্ষতি না করে কয়েকটি সাধারণ উপায় মেনে খুব সহজেই দূর করতে পারেন সুপার গ্লু।
একটি বাটিতে কুসুম গরম জল নিন। আঠা লেগে যাওয়া অংশ ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন জলে। জদিন আঙুলে না লেগে শরীরের অন্য কোথায় লাগে তাহলে গরম তোয়ালে ভিজিয়ে চেপে ধরে রাখুন। এবার আঠাযুক্ত ত্বকে লবণ ঘষে নিন। ১ মিনিট জোরে জোরে ঘষার পর দেখবেন উঠতে শুরু করেছে সুপার গ্লু। আরও ২ মিনিট গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন ত্বক। খুব সহজেই উঠে আসবে আঠা। ৬ থেকে ৭ ফোঁটা লিকুইড ডিশ ক্লিনার এক কাপ জলে মিশিয়ে নিন। আঠা লেগে যাওয়া ত্বক ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এক পাশ থেকে আঠা উঠতে শুরু করলে টেনে উঠিয়ে ফেলুন। অলিভ অয়েলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ঘষে ঘষে উঠিয়ে ফেলুন ত্বকে লেগে যাওয়া সুপার গ্লু।

]]>
নিজেকে নিজে কেন কাতুকুতু দেওয়া যায় না, কারণ জানেন? https://ekolkata24.com/offbeat-news/why-anyone-couldnt-tickle-him-or-herself Sun, 31 Oct 2021 09:37:44 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9807 Special Correspondent, Kolkata: কাতুকুতুর কুলপি খায়নি বা অন্যকে খাওয়ায়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু এটা কী কখনও ভেবে দেখেছেন নিজেকে কাতুকুতু দিকে কিন্তু তা অনুভূত হয় না।

নিজেকে কখনও সুড়সুড়ি দিয়ে দেখেছেন? নাহ্‌, কিচ্ছু হওয়ার না। এর কারণ হলো, আমাদের পেছনে সেরেবেলাম আছে, যেটা শরীরের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে। যখন নিজেকে সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবেন, সেরেবেলাম মহাশয় আগেই বুঝে যাবেন এবং মস্কিষ্ককে বলে দেবেন, ওই যে আসিতেছে। আর তাতেই মস্কিষ্ক সুড়সুড়ির হুঁশ হারিয়ে চুপ হয়ে যাবে। কিছুই টের পেতে দেবে না। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে, মস্তিষ্ক এমন আচরণ করে কেন? আসলে, এটা করে ইন্দ্রিয়জনিত বা সংবেদন অপচয় রোধের জন্য।

আমাদের ব্রেন কিন্তু অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলোকে ফিল্টার করে ফেলে। এতে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে কাজে লাগানো যায়। নিজের হাতের ছোঁয়া ব্রেন অতটা প্রয়োজনীয় মনে করে না। তাই আমাদের মন এই অনুভূতিতে সচেতন হওয়ার আগেই ব্রেন এই তথ্যকে প্রত্যাখ্যান করে দেয়। তবে, এদিক-ওদিক থেকে সুড়সুড়ি এলে সেরেবেলাম আগে থেকে বুঝতে পারে না, তাই প্রতিরোধও করতে পারে না।

তাহলে শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশে কাতুকুতু বেশি লাগে কেন? সাধারণত, শরীরের যে অংশগুলিতে হাড় থাকে না বা তুলনামূলক কোমল হয়, সেই অংশগুলিতে কাতুকুতুর অনুভূতি বেশি হয়, যেমন-পেটের পাশে বা নিচে অথবা পায়ের পাতার নিচে। বিজ্ঞানীদের মতে, এর পিছনে কাজ করে *মানুষের আত্মরক্ষার তাগিদ*। পায়ের পাতার নিচ, পেটের পাশ, ঘাড় এসব জায়গা খুব সংবেদনশীল। সামান্য আঘাতে অসামান্য পরিণতি ঘটতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে এসব অংশকে রক্ষা করার জন্য সুড়সুড়ির অনুভূতি সতর্কসংকেত হিসেবে কাজ করে।

তবে সাবধান, কাতুকুতু ডোজ বুঝে ওষুধ খাওয়ানোর মতো বুঝেশুনে প্রয়োগ করতে হবে। ওভারডোজ হয়ে গেলে মহা সমস্যা, দেখা গেলো যার উপর প্রয়োগ করলেন সে রেগেমেগে অবস্থা খারাপ। আর জানেন তো, সব ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। তাই যেকোনো সময় প্রতিপক্ষ পালানোর চেষ্টা না করে আপনাকেই পাল্টা আক্রমণ করে বসতে পারে। তাই কাতুকুতুর যুদ্ধে আত্মরক্ষার টেকনিক শিখেই মাঠে নামবেন।

]]>
বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহীই ছিলেন না ভারতের পরমাণু শক্তির কারিগর https://ekolkata24.com/offbeat-news/indias-nuclear-power-maker-wahomi-j-bhabhas-not-interested-in-science Sat, 30 Oct 2021 11:59:49 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9729 Special Correspondent, Kolkata: ভারতের এত বড় বিজ্ঞানী, অথচ তা‍ঁর বিজ্ঞানে কোনও আগ্রহই ছিল না। ছোট থেকেই কবিতা লেখার আগ্রহ ছিল। পৃথিবীর বুকে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন পরিবর্তনকে নিয়েই তিনি কবিতা লিখতেন। রং-তুলি নিয়ে ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন। এছাড়াও রীতিমত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের চর্চা করতেন প্রতিদিন। তাঁর গলায় সুরের খেলা শুনেই প্রতিবেশীরা মুগ্ধ হয়ে যেতেন।

সঙ্গীতের প্রতি ভালবাসা শৈশব থেকেই ছিল। তা আরো পরিণত হয় হোমির মাসি কুমা পান্ডের প্রভাবে। তাঁর কাছে বেঠোফেন, মোৎসার্ট, বাখ, হাইডন, শুবার্ট প্রমুখের গ্রামোফোন রেকর্ডের সংগ্রহ ছিল প্রচুর। হোমি ছোট ভাই জামশেদের সাথে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা সঙ্গীত শুনতেন। হোমির পিসি চমৎকার পিয়ানো বাজাতেন। পিসির কাছে পিয়ানো শিখেছিলেন হোমি। কিন্তু পড়াশোনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার কারণে অন্যসবকিছু গৌণ হয়ে পড়ে।

১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ অক্টোবর হোমি ভাবা একটি ঐতিহ্যশীল এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। হোমির বাবা জাহাঙ্গীর হরমুসজি ভাবা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এম. এ. এবং লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেন। টাটা শিল্পগোষ্ঠীর আইন উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। সেই সুবাদে টাটা গ্রুপের অনেকগুলো কোম্পানির পরিচালনা পরিষদেও ছিলেন তিনি। পাশ্চাত্য সঙ্গীত ও চিত্রকলার প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল জাহাঙ্গীর ভাবার। হোমির পিতামহ ডক্টর কর্নেল হরমুসজি ভাবাও লন্ডন থেকে এম. এ. ও ডি. লিট. প্রাপ্ত। মহীশুর রাজ্যের শিক্ষাবিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল ছিলেন তিনি। শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর অবদানের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে বিশেষ সম্মান প্রদান করেন। হোমির মা মেহেরবাঈ ফ্রামজি পান্ডে ছিলেন ভিকাজি ফ্রামজি পান্ডের কন্যা এবং বিখ্যাত সমাজসেবী, ব্রিটিশ ভারতের প্রথম ব্যারোনেট স্যার দিনশ পেটিটের নাতনি। টাটা শিল্পগোষ্ঠীর সাথে পারিবারিকভাবে আত্মীয়তা ছিল হোমির পরিবারের। হোমির পিসির সাথে বিয়ে হয়েছিল টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদ টাটার বড় ছেলে স্যার দোরাব টাটার।

homi jehangir bhabha

তবে তাঁর বাবা আইনজীবী হলেও বিজ্ঞানের প্রতি ভালই ঝোঁক ছিল। বাড়িতে বিজ্ঞানের অনেক বই দিয়ে একটা লাইব্রেরী তৈরি করেছিলেন। স্কুলের পড়া শেষ করে ভাবা ভাবতে শুরু করলেন, বিজ্ঞান আমার কোথায় কাজে লাগলো? তখন তাঁর বাবা তাঁকে পাঠিয়ে দিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে। যদিও খুব বেশি দিন তিনি এই নিরস জগতে কলকব্জা নাড়াচাড়া করে কাটাতে পারলেন না। চলে এলেন পদার্থবিদ্যার ছায়াতলে।

এই পদার্থবিদ্যা তাঁকে পুরোপুরি পরিবর্তন করে দিল। তাঁর মনে হয়েছিল, আর সাহিত্য, আঁকা বা সঙ্গীত নয়, পদার্থবিদ্যার মধ্যেই লুকিয়ে আছে তাঁর আসল অভীষ্ট। উল্লেখযোগ্য পদার্থবিদ ডিরাকের মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং ঘন্টার পর ঘন্টা তাঁর বিভিন্ন বই পড়ে সময় কাটিয়ে দিতেন। ১৯৩৪ সালে তিনি পদার্থবিদ্যায় ডিগ্রি অর্জন করলেন।

ছোটো বেলায় তাঁর ঘুম খুব কম হতো, এই নিয়ে তাঁর বাবা মা খুব চিন্তিত ছিলেন। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাঁদেরকে বলেন যে, এই নিয়া চিন্তার কোনো কারণ নেই, তাঁদের ছেলে জন্মেছে একটি অতি সক্রিয় মস্তিষ্ক নিয়ে, যা “সুপার অ্যাক্টিভ ব্রেন” নামে পরিচিত। যার ভিতর অনবরত চিন্তার স্রোত প্রবাহিত হয়।

১৯৩৬ সালে কোপেনহাগেন বোর ইনস্টিটিউটে ডব্লিউ নাইট বোরের সহযোগিতায় ‘ক্যাসকেড থিওরি অব কসমিক রে শাওয়ার’ নামে নতুন একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। এ তত্ত্ব আবিষ্কারের ফলেই গোটা ইউরোপে পরিচিতি পেয়ে যান ভাবা। আবিষ্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ পরের বছর জিতে নেন অ্যাডামস পুরস্কার। ১৯৪১ সালে ইংল্যান্ডে রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন ভারতীয় এই পরমাণুবিজ্ঞানী। ১৯৪৫ সালে মূলত তাঁর প্রচেষ্টায়ই মুম্বইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ’ নামের একটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র।

লন্ডনে পড়াশোনা চলাকালীন তিনি নিউটন স্টুডেন্টশীপ পান। সেখানে তাঁর থিসিস জমা দেওয়ার পর তাকে পিএইচডি উপাধি দেওয়া হয়। সেই সাথে “১৮৫১ এক্সিবিশন স্টুডেন্টশিপ” বৃত্তি দেওয়া হয়। পান ‘রাউজ বল ট্রাভেলিং স্টুডেন্টশীপ’। ১৯৫৪ তে তিনি পদ্মভূষণ এ সম্মানিত হন। কোপেনহেগেনে থাকা কালীন তিনি ড.ডাব্লিউ হাইটলার এর সহযোগিতায় তিনি “Cascade Theory Of Cosmic Ray Shower” তত্ত্ব আবিষ্কার করেন যা ছিল তাঁর বৈজ্ঞানিক প্রতিভার প্রথম স্ফুরণ।

তিনি একাধারে ছিলেন একজন বিজ্ঞানী, সংগঠক, চিত্র শিল্পী, সুনির্মল গানের শ্রোতা। জীবন সঙ্গী হিসেবে বিজ্ঞানকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। একদিন এক সহপাঠীকে ডিটেকটিভ বই পড়তে দেখে বলেছিলেন, “বিজ্ঞানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ডিটেকটিভ বই আর কি হতে পারে।”

ভারতের একজন প্রসিদ্ধ নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানী, প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপক এবং টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন জাহাঙ্গীর। তাছাড়া তাঁকে ‘ভারতের নিউক্লীয় প্রোগ্রামের জনক’ বলা হয়। তিনি ভারতের দুটি প্রসিদ্ধ শিক্ষা তথা গবেষণা প্রতিষ্ঠান টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান (TIFR) এবং ট্রম্বে এটমিক এনার্জি (AEET) প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপক ছিলেন(যা বর্তমানে তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে); উভয় প্রতিষ্ঠানই নিউক্লিয়ার অস্ত্রে ভারতের অগ্রগতিতে ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। যেখানে জাহাঙ্গীর স্বয়ং তত্ত্বাবধায়করূপে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করতেন।

বয়স ত্রিশ হবার আগেই হোমি ভাবা নিজের যোগ্যতায় বিশ্ববিজ্ঞানীদের সভায় আসন করে নিয়েছেন। তখন কেমব্রিজে বিশ্বসেরা পদার্থবিজ্ঞানীদের অনেকেই কাজ করছিলেন। রাশিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী পিত্রর কাপিৎজা সেই সময় লর্ড রাদারফোর্ডের ছাত্র ছিলেন। প্রতি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাপিৎজা’র রুমে বৈজ্ঞানিক সভা অনুষ্ঠিত হতো। অত্যন্ত উঁচুমানের বৈজ্ঞানিক প্রতিভা ছাড়া ওই সভায় যোগ দেয়া কারো পক্ষে সম্ভব ছিল না। অনেক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের প্রথম ঘোষণা দেয়া হয়েছিল ‘কাপিৎজা ক্লাব’ নামে পরিচিত ছিল ঐ বিজ্ঞান-সভায়। ১৯৩৮ সালের শুরুতে কাপিৎজা ক্লাবে বক্তৃতা দেন হোমি ভাবা। কাপিৎজা ক্লাবে হোমি ভাবা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন পরবর্তীতে তাঁদের প্রত্যেকেই পৃথিবীবিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন, অনেকেই পেয়েছেন ‘নোবেল পুরষ্কার’।

ভারতে পরমাণু গবেষণার জনক ছিলেন বিজ্ঞানী ভাবা। কিছু দিন পরই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে একটি পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রাজি হয়ে যান। এ ছাড়াও ভারতে থোরিয়াম প্ল্যান্ট, ইউরেনিয়াম প্ল্যান্ট, ফুয়েল এলিমেন্ট ফেব্রিকেশন ফ্যাসিলিটি, হেভিওয়াটার প্ল্যান্ট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। তিনি যখন পরমাণু অস্ত্র নিয়ে বক্তৃতা দিতেন, তখন তাঁর কথা শুনে মনেই হতো না যে, পরমাণু অস্ত্র দিয়ে কারুর ক্ষতি করা সম্ভব। এতটাই ভালো মানুষ ছিলেন তিনি।

যদিও এই পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কাজকর্ম তাঁর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, এমনটা বলাই যায়। তিনি মারা যান এক বিমান দুর্ঘটনায়। যদিও সেটা দুর্ঘটনা নাকি ষড়যন্ত্র, সেই নিয়ে প্রচুর মতবাদ আছে।

]]>
Science: মানুষ কেন ধ্বংসাত্মক চিন্তা করে? জানালেন চিকিৎসক https://ekolkata24.com/offbeat-news/science-know-why-people-thought-about-destructive-things Sun, 24 Oct 2021 20:09:07 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9020 Special Correspondent: মস্তিষ্ক শরীরের সবচেয়ে গোপন কর্ণার । সেখানে লোকে ভাবে, কি ভাবতে পারে, তার বেশিরভাগ কেবল সেই মানুষটাই জানে, অন্য কেউ জানে না । ভদ্র সমাজে ভদ্র থাকতে চেষ্টা করে মানুষ। প্রিটেন্ড করতে হয় যে – সে গালি দিতে জানে না, অনেক ভদ্র তারা । কিন্তু মনে মনে সকলে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর গালিও দিতে পারে । মনের জিনিস তো মনেই, তার আবার ভালো মন্দ কি ! এবং দেয়ার পর ভালো ফিলও করে অনেকে ।

আসলে সবার মধ্যেই ভয়ংকর সব চিন্তা আসে মাঝে মাঝে । আবার ভুলেও যায় সময় সময় । মনে পড়লে বরং নিজেরাই মাঝে মাঝে সে সব চিন্তা কি করে এলো, ওটা ভেবে পায় না । মনে মনে হাসে লোকে, কারণ বাহির তাদের সে সব জানতে পারে না বলে ।

একদিকে এমন চিন্তা যেমন আসে, তেমনি নিজেদের ভেতর কখনো এ নিয়ে বিব্রত হয়, অবাক হয়, ক্রোধে পুড়তে থাকে এবং শেষে ভুলে যায় । কিন্তু কি করে এমন হয় ! কেন এমন হয় ! যে জিনিসটি নিয়ে চিন্তা করতে চায় না, সেটি কি করে লোকের মাথায় আসে । বিশেষ করে ভায়োলেন্ট চিন্তা ভাবনা মানুষ কেন করে ? সেই কথা জানালেন ইংল্যান্ডের চিকিৎসক ডা. অপূর্ব চৌধুরী

তাঁর মতে, ভয়ংকর চিন্তা ভাবনাগুলো দুটো পথে আমাদের মধ্যে আসে । একটা ইরোটিক পথে সেক্সচুয়ালি, আরেকটা ডেস্ট্রাক্টিভ ইমাজিনেশন । সেক্সে ফ্যান্টাসির ওয়াইল্ড পার্ট যত বেশি অদ্ভুদ, টিপিক্যাল নয়, ভয়ংকর এবং ট্যাবু, ততো বেশি সেটা মজা দেয়, ভালো লাগে এবং ভালো লাগা শেষে গিলটি ফিলিংসও দেয় । অদ্ভুদ একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বেশিরভাগ মানুষ এই জায়গাটি পার করে । একদিকে ভাবতে মজা, আরেকদিকে একই ভাবনা দেয় সাজা ।

একই সাথে ভায়োলেন্ট তাকে মজা দেয়, একই সাথে সেটাই আবার শরমিন্দার কারণ হয় । নিজের মধ্যে লজ্জায় পড়ে যায়। মনে মনে ভাবে, হায় হায়, কেউ যদি সে সব জেনে ফেলে । বার বার হতে থাকলে ভাবে সে হয়তো অসুস্থ চিন্তা করছে । যত বেশি ভাবতে থাকে সে খারাপ জিনিস ভাবছে, তত সে একদিকে সেটা দমাতে চেষ্টা করে, আরেকদিকে তার ভায়োলেন্ট চিন্তা আরো ভায়োলেন্ট হয়ে উঁকি দিয়ে আরো মজা দিতে থাকে ।’

তিনি বলছেন, এমন হলে কি করবেন ? প্রথমত : এমন চিন্তা স্বাভাবিক, এটি ধরে নিন । এমন সবার মধ্যে আছে, আপনি ব্যতিক্রম নন । কোনো চিন্তাই অস্বাভাবিক নয়, যতক্ষণ এটি কেবল চিন্তা । দুই : নিজেকে অসুস্থ ভাবার কিছু নেই, যতই সেটি ভায়োলেট কিংবা অদ্ভুদ হোক । চিন্তা তো চিন্তাই, যতক্ষণ পর্যন্ত চিন্তাটা ছিনতাই হয়ে কার্যকর না হবে ।

তিন : চিন্তাকে দমাতে নেই । আমাদের মস্তিষ্ক হলো জেনারেটর অফ থটস । এখানে চিন্তা আসতে থাকবে । চিন্তাকে থামাতে হলে আরেকটা চিন্তা দিয়ে সরাতে হয় । সেই ঘুরে ফিরে এক গর্ত থেকে আরেক গর্তে যাওয়াই হয় ।

চার : যাকে ভায়োলেন্ট ভাবছেন, সেটি আপনার মনে, বাস্তবে না । যত বেশি চেপে ধরবেন, ভায়োলেন্ট টি আরো ভায়োলেন্ট আকারে বের হতে চেষ্টা করবে । তারচেয়ে তাকে আসতে দিয়ে ডিসেন্সিটাইজেশন করা । একসময় আর সেটি আপনাকে টানবে না বা মজা হারিয়ে ফেলবেন ।

পাঁচ : এমন চিন্তা আসার কারণে দুশ্চিন্তা বা ডিপ্রেসেড হওয়ার কিছু নেই । এ গুলো মস্তিষ্কের রেন্ডম প্রসেজের একটি । সুস্থতা বা অসুস্থতা, কোনোটাই নয়, কেবল চলমান ।

ছয় : ধ্বংসাত্মক তখনই, যখন তা আপনার দৈনন্দিন স্বাভাবিক চিন্তা এবং জীবনযাপনকে ব্যাহত করবে । যেমন: OCD, PTSD, ক্রণিক ডিপ্রেশন, এমন সব সমস্যাগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন

]]>
ভারতীয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর ইতিহাস https://ekolkata24.com/offbeat-news/history-of-indian-science-fiction Thu, 30 Sep 2021 06:57:57 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6081 বিশেষ প্রতিবেদন: পুরাণ এবং বিজ্ঞানের মধ্যে নিহিত সাহিত্যের এই ধারা বছরের পর বছর ধরে বিকাশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ অক্সফোর্ড ডিকশনারি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীকে সংজ্ঞায়িত করেছে, “কল্পনা করা ভবিষ্যতের বৈজ্ঞানিক বা প্রযুক্তিগত অগ্রগতি যা সামাজিক বা পরিবেশগত পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে, প্রায়শই স্থান বা সময় ভ্রমণ এবং অন্যান্য গ্রহের জীবনকে চিত্রিত করে।”

বহুলাংশে, এই সংজ্ঞাটি জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর অনেক চিত্রায়নে প্রতিফলিত। কিন্তু যেহেতু কথাসাহিত্য একটি বৃহত্তর দৈহিক বাস্তবতার একটি পারমাণবিক দৃষ্টিভঙ্গি, তাই এটি সর্বদা অনেকগুলি আর্থ-সামাজিক প্রশ্নের ব্যাপক উত্তর দিতে পারে না। এর সামাজিক জটিলতা, বৈচিত্র্য এবং শ্রেণী বৈষম্যের পরিপ্রেক্ষিত, একজনের জন্য কথাসাহিত্য যা অন্য ব্যক্তির জন্য অন্য কিছু হতে পারে না। ঠিক এই বিষয়টি ভারতে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীকে ঠিক কী গুরুত্ব বহন করে তা নির্ধারণ করা কঠিন করে তোলে।

History of Indian science fiction

ভারতীয় বিজ্ঞান কথাসাহিত্য – সহকারী অধ্যাপক সামি এ. খান এই বিষয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন তিনি পশ্চিমে জনপ্রিয় ট্রপের বিনোদন হিসাবে কাজ করেন। তার মতে, “এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আধুনিক ভারতীয় কল্পবিজ্ঞান বিদ্যমান। দুটি ভাষা থেকে উদ্ধৃত করা- তার মধ্যে বাবু কেশব প্রসাদের ‘চন্দ্র লোক কি যাত্রা’ যা সরস্বতীতে প্রকাশিত এবং বাংলাতে হেমলাল দত্তের ‘রহস্য’ যা প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান দর্পণে এবং জগদানন্দ রায়ের ‘শুক্র ভ্রমণ’ এবং জগদীশ চন্দ্র বসুর ‘পলাতক তুফান’ অব্যক্ত এ প্রকাশিত, “।

খান পরামর্শ দেন যে কথাসাহিত্যের প্রকৃতি প্রায়শই সমাজের বিজ্ঞান এবং কল্পনার ধারণা দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয়। একজন ব্যক্তি তাত্ক্ষণিকভাবে একটি ফটকা লেখায় A থেকে বিন্দু B পর্যন্ত ভ্রমণ করে। কল্পনায়, এটি অ্যাপারিশন’ (হ্যারি পটার) এর কারণে হতে পারে , অথবা কল্পবিজ্ঞানে এটি টেলিপোর্টেশন (স্টার ট্রেক) দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। পুরাণে এটি একটি ঐশ্বরিক সত্তার ইচ্ছার ফল হতে পারে (বিফ্রাস্ট ইন থর)। যদিও ঘটনা একই থাকে কিন্তু সেটি যেভাবে বর্ণিত হয়েছে তা নির্ধারণ করে যে পাঠ্যটি ফ্যান্টাসি বা পৌরাণিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ বা বাজারজাত করা হয়েছে কিনা তার ওপর । বিজয়েন্দ্র মোহান্তি বহু বছর ধরে কল্পবিজ্ঞানমূলক কথাসাহিত্য নিয়ে কাজ করছেন ; একজন প্রাক্তন সাংবাদিক, লেখক সম্প্রতি তার কল্পকাহিনী শিরোনামে অনলাইনে সায়েন্স ফিকশনের অ্যানথোলজি চালু করেছেন।

History of Indian science fiction

বিজ্ঞানের আধিক্য, অতিপ্রাকৃত এবং পরিচিত পৌরাণিক কাহিনী এই চিত্তাকর্ষক সংগ্রহে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গুজব যা মাধ্যমে বিশ্বাসীর জগৎকে দেখার নতুন উপায় খুঁজে পায়। আমরা নিজেদেরকে বোঝাতে পেরেছি যে সংস্কৃতি একটি স্থির জিনিস যা অনেক আগে অস্তিত্ব পেয়েছিল এবং এখন এটি ” সংরক্ষণ ” করা দরকার। সায়েন্স ফিকশনও সাধারণত একটি শহুরে ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বিজ্ঞান সাক্ষর। যদিও মহানগরগুলিতে এসএফ শুরু হতে পারে তবে এটি ধীরে ধীরে শহর এবং অন্যান্য অঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করে । বৈজ্ঞানিক শিক্ষার বৃদ্ধির সাথে কয়েক দশক আগে এসএফের উত্থানের জন্য মঞ্চ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবং ভারতীয় লেখকরা এই নিয়ে খেলেন, যেমন – রায়ের অধ্যাপক শঙ্কু , উদাহরণস্বরূপ তিনি গিরিডিতে থাকেন।

আধুনিক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী আধুনিক সংবেদনশীলতা এবং উদ্বেগের প্রতিধ্বনি। পৌরাণিক বা ফ্যান্টাসি গল্প প্রায় সব সময় চলমান আছে। পডকাস্ট পরিসংখ্যান আপনাকে বলবে যে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরানার একটি হল পুরাণ। ভারতের অন্য সব কিছুর মতো ভারতীয় কল্পনাও একচেটিয়া নয়। এর বড় অংশগুলি এখনও ফটকা সাহিত্যের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।

]]>