scientist – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 18 Dec 2021 11:46:41 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png scientist – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Rohini court explosion: আদালতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত ডিআরডিওর বিজ্ঞানী https://ekolkata24.com/uncategorized/rohini-court-explosion-police-arrest-drdo-scientist-for-planting-explosive-to-kill-neighbour Sat, 18 Dec 2021 11:46:41 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15336 News Desk, New Delhi: রাজধানী দিল্লির রোহিণী আদালত (Rohini court) চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হল ডিআরডিওর এক বিজ্ঞানীকে। ধৃত বিজ্ঞানী পুলিশের জেরায় নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এক আইনজীবীকে খুনের উদ্দেশ্যেই তিনি ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। এমনকী, বিস্ফোরকও তিনি নিজেই তৈরি করেছেন।

ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ এবং পারিপার্শ্বিক নমুনা সংগ্রহ করার পর শনিবারই দিল্লি থেকে ডিআরডিওর ওই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৯ তারিখে দিল্লির রোহিণী আদালতের ১০২ নম্বর কক্ষে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। অত্যন্ত লঘুমানের ওই বিস্ফোরণে এক নিরাপত্তারক্ষী জখম হয়েছিলেন। আদালতের কাজ সবেমাত্র শুরু হওয়া মাত্র সাড়ে দশটা নাগাদ ওই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ফলে আদালত চত্বরে ছড়িয়ে ছিল তীব্র চাঞ্চল্য। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই আদালতের সব কক্ষেই ৯ ডিসেম্বর শুনানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিস্ফোরণের খবরে আদালত চত্বরে ছুটে আসে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। শুরু হয় তদন্ত।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করেছিল, আদালতের একটি ল্যাপটপ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ব্যাগের ভিতরে থাকা ল্যাপটপের ব্যাটারিতে কোন সমস্যা হওয়ায় সেটি ফেটে গিয়েছে। ওই ল্যাপটপের বিস্ফোরণ নিছকই দুর্ঘটনা নাকি, এর পিছনে কোন গভীর চক্রান্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সন্দেহ করে যে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্যই ল্যাপটপটি আদালত কক্ষে রাখা হয়েছিল।

অভিযুক্ত বিজ্ঞানীকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এক আইনজীবীর সঙ্গে ওই বিজ্ঞানীর গন্ডগোল ছিল। তাই ওই আইনজীবীকে প্রাণে মারতেই বিজ্ঞানী নিজেই বিস্ফোরক তৈরি করে আদালতের ১০২ নম্বর কক্ষে রেখে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওই বিজ্ঞানীর পরিকল্পনা সফল হয়নি। প্রসঙ্গত, ডিআরডিওতে কাজের কারণে ছোটখাটো বিস্ফোরক তৈরির অভিজ্ঞতা রয়েছে ধৃত বিজ্ঞানীর।

]]>
Pulin Behari Sarkar: ভারতে অজৈব রসায়নের প্রাণপুরুষ এই বাঙালি বিজ্ঞানী https://ekolkata24.com/offbeat-news/pulin-behari-sarkar-this-bengali-scientist-is-the-lifeblood-of-inorganic-chemistry-in-india Thu, 09 Dec 2021 19:27:00 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14288 বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতা: তিনি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ল্যাবরেটরি তৈরি করে গবেষক ছাত্রদের নিয়ে বর্ণালি বিশ্লেষণভিত্তিক রসায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ শুরু করেন। এই বিষয়ে অসামান্য অবদানের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় স্বর্ণ পদক পান। তিনিই প্রথম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে বিহারের গয়া থেকে ‘কলামবাইট নামের এক আকরিক আবিষ্কার করেন । এই আকরিক থেকেই তিনি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে রেনিয়াম নিষ্কাশন করেছিলেন। ভারতে খনিজ দ্রব্য থেকে তাঁর রেনিয়াম নিষ্কাশন এই প্রথম। তিনি পুলিনবিহারী সরকার।(Pulin Behari Sarkar)

১৯২৫ সাল, তিনি তখন কলিকাতা বিশ্বদ্যিালয়ের এক অধ্যাপক।’ঘোষ ট্রাভেলিং ফেলোশিপ’ নিয়ে পাড়ি দিলেন প্যারিসে। সর্বনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক জর্জেস আর্বেন এর গবেষণাগারে গবেষণা করতে । সেখানে স্ক্যাডিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম এবং ইউরেনিয়াম নিয়ে অভূতপূর্ব কাজের উপর তাঁর ফরাসি ভাষায় লেখা গবেষণাপত্রের জন্য সেখানকার জ্ঞান-বিজ্ঞান জগতের বিশেষ সম্মান ” স্টেট ডক্টরেট অব ফ্রান্স ডিগ্রি ” অর্জন করেন। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন ।

পান্নাজাতীয় ভারতীয় পাথরগুলি তিনি পর্যালোচনা করে তাদের বিচিত্র রঙের ব্যাখ্যা করেছেন। খনিজ পদার্থে দ্রুত ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ নির্ণয়ের সহজ পন্থা তিনি আবিষ্কার করেন। এমনকি সাধারণ জিনিস যেমন চাল মুসুর ডাল, উচ্ছে, করলা, পান ইত্যাদির মধ্যে কী কী ধাতু কত পরিমানে আছে তা নিয়ে গবেষণা করেন । চোখের জল, মাতৃদুগ্ধ নিয়েও তিনি বিশ্লেষণ করেছেন।

পুলিনবিহারী সরকার ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে নভেম্বর কলকাতার ঝামাপুকুরে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী বসন্তকুমার সরকার। তৎকালীন যাদবপুর ও সোনারপুর অঞ্চলের বিশাল জমিদার যাদবনারায়ণ সরকার ছিলেন তাঁর প্রপিতামহ (এঁরই নামে কলকাতায় নামাঙ্কিত বর্তমানের যাদবপুর)। জমিদারির আবহ থেকে দূরে রাখতে চাইতেন তাঁর মাতা সরোজিনী দেবী।

বাবার কর্মক্ষেত্র ছিল মেদিনীপুরের তমলুকে। তাই তাঁর মা স্বামীসহ তমলুকেই স্থায়ীভাবে বাস শুরু করেন। সুতরাং পুলিনবিহারীর বাল্য ও কৈশোর কাটে তমলুকে। সেখানকার হ্যামিলটন স্কুল থেকে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বৃত্তি-সহ এন্ট্রান্স পাশ করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে আই এস সি ক্লাসে ভর্তি হন। এখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, মানিকলাল দে, সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ।১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে বি.এসসি ও ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এম.এসসি পাশ করেন।এর পরের বছর ১৯১৬ সালে পুলিনবিহারী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে লেকচারার নিযুক্ত হন।

১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের রসায়ন শাখার সভাপতি, ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের ফেলো ছিলেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে বিশুদ্ধ রসায়ন বিভাগের ‘স্যার রাসবিহারী ঘোষ অধ্যাপক’ ও ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে রসায়ন বিভাগের প্রধান হন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অবসর নিলেও সি.এস.আই.আর. এর আর্থিক সহায়তায় ছাত্রদের নিয়ে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত গবেষণায় লিপ্ত থেকেছেন। ১৯৭১ সালে ১৪ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয় ।

]]>