Scientists – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 22 Oct 2021 19:57:09 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Scientists – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Science: নীলচোখের মানুষদের পূর্বপুরুষ একজনই বলে গবেষণায় এল নয়া তত্ব https://ekolkata24.com/offbeat-news/science-blue-eyed-humans-have-a-single-common-ancestor Fri, 22 Oct 2021 19:57:09 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8774 বিশেষ প্রতিবেদন: সব নীল চোখের (blue eyes) মানুষের পূর্বপুরুষ মূলত একজনই, যিনি আজ থেকে প্রায় ৬,০০০-১০,০০০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই মানুষটির মধ্যেই মূলত এক জেনেটিক মিউটেশন ঘটে, এবং তার থেকেই নীল রঙা চোখের উৎপত্তি।

প্রশ্ন আসতে পারে জেনেটিক মিউটেশন কী?
‘জেনেটিক মিউটেশন হলো, কোষ বিভাজন বা প্রতিলিপনের সময় কোনো জীবের জিনোমে উপস্থিত নিউক্লিউটাইড (DNA, RNA) সিকুয়েন্সের পরিবর্তন ঘটা।’

কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল নীল চোখের জন্য দায়ী সে জেনেটিক মিউটেশনের আদ্যোপান্ত জানতে পেরেছেন। গবেষক দলের প্রধান, অধ্যাপক হ্যান্স রুডলফ লিচফ আইবার্গ জানান, ছয় থেকে দশ হাজার বছর আগে কোনো এক ব্যক্তি জেনেটিক মিউটেশন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। সেই মিউটেশনের ফলে ওই ব্যক্তির চোখে মেলানিনের পরিমাণ কমে যায়। ফলশ্রুতিতে চোখ বাদামি না হয়ে নীল রং ধারণ করে। পরবর্তীতে তার সেই মিউটেশন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে গিয়েছে মানবজাতিতে।

আমাদের চোখের বাদামী রঞ্জকের জন্য দায়ী মূলত OCA2 নামক এক জিন।নীল চোখে এটি অনুপস্থিত। HERC2 নামক একটি OCA2 কে বৈশিষ্ট্য প্রকাশে কিছুটা বাধা দেয়। যার ফলে চোখ বাদামী বর্ণ প্রদর্শন না করে নীল বর্ণ প্রকাশ করে। প্রতিটা নীল চোখের ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই একই মিউটেশন দায়ী।

OCA2 জিনে যে মিউটেশন সাধিত হয়, তা জিনটির কার্যকলাপে পুরোপুরি বাধা দেয় না। এটির কাজ হলো চোখের আইরিসে মেলানিনের উৎপাদন কমিয়ে এর কার্যকলাপকে নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ করে ফেলা। তাই চোখের রঙ বাদামী না হয়ে নীল হয়। আমাদের ত্বক, চোখ, চুলে মেলানিন রয়েছে। OCA2 জিন পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দিলে এগুলো মেলানিনশূন্যতায় ভুগত। ফলে পুরো দেহ সাদা হয়ে যেত। জীববিজ্ঞানের ভাষায় এই অবস্থাকে ‘অ্যালবিনিজম’ বলে অভিহিত করা হয়।

পৃথিবীতে রংভেদে চোখের শতকরা হারঃ বাদামী: ৭০% – ৭৯%,নীল: ৮% – ১০%,হালকা বাদামী (Hazel): ৫%,পীতাভ বাদামী (Amber): ৫%,ধূসর: ৩%,সবুজ: ২%,লাল/খয়েরী: <১%, হেটেরোক্রোমিয়া (যাদের দুই চোখের রঙ দুই রকম): <১%

]]>
অসাধ্য সাধন করলেন বিজ্ঞানীরা, মানুষের শরীরে বসল শুয়োরের কিডনি https://ekolkata24.com/uncategorized/scientists-have-done-the-impossible-the-kidneys-of-pigs-have-settled-in-the-human-body Wed, 20 Oct 2021 10:43:28 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8455 নিউজ ডেস্ক: এক কথায় বলতে গেলে অসাধ্যসাধন করলেন বিজ্ঞানীরা এই প্রথম কোন পশুর কিডনি মানুষের দেহে বসানো হল। আমেরিকার নিউইয়র্কে ব্রেন ডেথ হওয়া এক রোগীর শরীরে বসানো হয়েছে শুয়োরের কিডনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অস্ত্রোপচার ১০০ শতাংশ সফল। মানুষের শরীর শুয়োরের কিডনি গ্রহণ করেছে। প্রতিস্থাপিত কিডনি তার স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেছে।

নিউ ইয়র্কের এনওয়াইইউ ল্যানগন হেলথ ট্রান্সপ্লান্ট ইন্সটিটিউট হাসপাতালে প্রথম মানুষের দেহে পশুর কিডনি প্রতিস্থাপিত হল। ব্রেন ডেথ হওয়া ৫৪ বছরের এক মানুষের শরীরে বসানো হয়েছে শুয়োরের কিডনি। অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সদ্য প্রতিস্থাপিত কিডনি তার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে শুরু করেছে। ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর চিকিৎসক রবার্ট মন্টগোমারি বলেছেন, শুয়োরের শরীরের কিডনি, ফুসফুস, হার্টের মতো বিভিন্ন অঙ্গ নিয়ে তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়ায় এই কাজ করা হচ্ছে। পশুর শরীরের এইসব অঙ্গ মানুষের শরীরেও যাতে ব্যবহার করা যায় তার জন্য দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গবেষণা চলছিল। প্রাথমিকভাবে শুয়োরের হার্ট ও কিডনি ইতিমধ্যেই মানুষের শরীরে বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আপাতত ব্রেন ডেথ হওয়া ৫৪ বছরের এক মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপিত শুয়োরের কিডনিটি খুব সুন্দর ও স্বাভাবিক ভাবে কাজ শুরু করেছে। মন্টোগোমারি আরও দাবি করেছেন, যদি এই কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ সফল হয় তাহলে আগামী দিনে শুয়োরের হার্টও মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হবে।

জন হপকিন্স স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ডক্টর ডোরি সেগেভ বলেছেন, আমেরিকার একটা বড় সংখ্যক মানুষ কিডনির সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু প্রতিস্থাপনের জন্য সব সময় উপযুক্ত কিডনি খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই মানুষের শরীরে কিডনি, হার্ট, ফুসফুস যেমন হয় ঠিক সেভাবেই কৃত্রিম পদ্ধতিতে জিনবিদ্যার সাহায্যে এই ধরনের অঙ্গ তৈরি করে শুয়োরের শরীরের সেগুলির বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে। গবেষণাগারে বিশেষ প্রক্রিয়ায় এ ধরনের শুকর পালন করা হয়। প্রয়োজনে শুয়োরের দেহে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত এই সমস্ত অঙ্গই মানুষের শরীরে ব্যবহার করা হবে।

]]>