Sheikh Mujibur Rahman – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 10 Jan 2022 04:08:23 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Sheikh Mujibur Rahman – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bangladesh 50: পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন রবীন্দ্রনাথের গানই হবে ‘জাতীয় সঙ্গীত’ https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-50-ex-diplomat-sasanka-sekhar-banerjee-re-calling-historic-journey-with-mujibur-rahaman Mon, 10 Jan 2022 04:08:23 +0000 https://ekolkata24.com/?p=18637 পঞ্চাশ বছর আগে এক ঐতিহাসিক বিমান যাত্রার সাক্ষী ছিলেন ইংল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত শশাঙ্ক শেখর ব্যানার্জি। বাংলাদেশের (Bangladesh 50) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডন থেকে নয়াদিল্লি এসেছিলেন।

ইংল্যান্ড সরকারের বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধুর সেই ১৩ ঘণ্টার সফর ছিল চরম কৌতূহলজনক। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির মুজিবুর রহমান দিল্লিতে আসেন। তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় ভারত সরকার।

একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই পাকিস্তান সরকার বন্দি করেছিল বঙ্গবন্ধুকে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কূটনৈতিক চাপে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয় পাক সরকার।

সেই ঐতিহাসিক বিমান যাত্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হবে রবীন্দ্রনাথ রচিত “আমার সোনার বাংলা…”।

ভারতের ততকালীন রাষ্ট্রদূত শশাঙ্ক শেখর ব্যানার্জির স্মৃতিকথা:
“ফ্লাইটে নানা কথার মধ্যে হঠাৎ বঙ্গবন্ধু বললেন, ব্যানার্জি তুমি গান গাইতে জানো? অবাক হয়ে বললাম, আমি তো গানের গ-ও জানি না। তিনি বললেন, আরে তাতে কী! তুমি আমার সঙ্গে ধরো। বলেই তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন, আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম। বেশ পেছনে বসা ড. কামাল হোসেনদেরও দাঁড়াতে বললেন এবং তার সঙ্গে গান ধরতে বললেন। তিনি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ খুব দরদ দিয়ে গাইতে থাকলেন আর তখন তার দুই চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে থাকল। একজন মহান নেতার গভীর দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি পরম ভালোবাসা আমাকে আবার মুগ্ধ করল। গান গেয়ে তিনি যখন বসলেন, তখন আমি আমার কূটনৈতিক প্রথা ভেঙে একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে বললাম, ‘বঙ্গবন্ধু, আপনাকে আমি প্রণাম করতে পারি? তিনি কিছু বলার আগেই আমি তার চরণ স্পর্শ করে প্রণাম করলাম।’ কিছুক্ষণ পর বঙ্গবন্ধু আমাকে বললেন, এটি হবে আমার স্বাধীন দেশের জাতীয় সংগীত।”

]]>
Bangladesh 50: বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ’, প্রেরণায় ভিয়েতনাম https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-50-bangladesh-name-history-in-context-of-vietnam-independence-war-and-leftist-movement-in-kolkata Sun, 05 Dec 2021 08:47:47 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13629 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: উত্তাল ষাটের দশক। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পাকিস্তান সরকারের দমননীতি ও সামরিক আইনের প্রতিবাদে গণঅভ্যুত্থানে সামিল হয়েছেন। কাঁপছিল পাকভূমি। আর ভারত কাঁপছিল বিশ্বজোড়া আলোড়িত ভিয়েতনাম মুক্তিসংগ্রামের সমর্থনে বামপন্থীদের স্লোগানে- ‘তোমার নাম আমার নাম ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম’। কলকাতার রাজপথে জনতরঙ্গ। ভিয়েতনামে চলছিল স্বাধীনতার যুদ্ধ। কমিউনিস্ট গেরিলা বাহিনীর হামলায় জমি হারাচ্ছিল মার্কিন সেনা।

কলকাতার জনকল্লোল থেকে কি ঢাকা মুখ ঘুরিয়ে রাখতে পারে? স্বাভাবিকভাবেই নয়। ফলে ভিয়েতনাম মুক্তিসংগ্রামের স্লোগান পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে পদ্মা-মেঘনা তীরে গণ আন্দোলনে ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। সেই স্লোগানই ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণঅভ্যুত্থানের অংশ হয়ে গেল অচিরেই। এই কাজটি করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ঘোষণা করলেন ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।’ অচিরেই মুখে মুখে জন্ম নিল ‘বাংলাদেশ’।

Bangladesh-Vietnam-war

বঙ্গবন্ধুর তৈরি স্লোগান পূর্ব পাকিস্তানের জমিতে পাক সরকার বিরোধী আন্দোলনের মূল স্লোগান হয়ে যায়। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর যুক্তবাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় ‘বাংলাদেশ’ নামটি চূড়ান্ত করেন বঙ্গবন্ধু নিজেই। দিনটি ‘বাংলাদেশ দিবস’ বা ‘বাংলাদেশের নামকরণের দিবস’ হিসেবেই পালিত হয়।

সোহরাওয়ার্দীর ওই স্মরণসভায় বাংলাদেশ নাম দেওয়ার কারণ হিসেবে পরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ১৯৫২ সালে সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলা ভাষা থেকে -বাংলা। স্বাধীন দেশের আন্দোলন সংগ্রাম থেকে-দেশ। এই দুটি ইতিহাস ও সংগ্রামকে এক করে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করা হয়।

১৯৬৯ সালের পাঁচ ডিসেম্বরের পর মৌখিকভাবে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের নাম হয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে কাগজে-কলমে পূর্ব পাকিস্তান লিখলেও মুখে সবাই এই অঞ্চলকে বাংলাদেশই বলতেন।

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, ‘‘বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ওই স্মরণসভায় বঙ্গবন্ধু জানান, দেশ স্বাধীনের পর নাম ‘বাংলাদেশ’ রাখা হবে। এমনকী তিনি সেদিন স্লোগানও দিয়েছিলেন ‘আমার দেশ, তোমার দেশ-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’। বঙ্গবন্ধু কখনও পূর্ব পাকিস্তান বলতেন না, তিনি সবসময় পূর্ব বাংলা বলতেন।’

১৯৫২ সালে ভাষার অধিকারের জন্য রক্তাক্ত গণআন্দোলনেের ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানের মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় বাংলা। ১৯৫৭ সালে করাচিতে পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান নামের প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেছিলেন, পূর্ব বাংলা নামের একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। যদি পূর্ব পাকিস্তান নাম রাখতেই হয়, তাহলে বাংলার মানুষের জনমত যাচাই করতে হবে। তারা নামের এই পরিবর্তন মেনে নিবে কিন সেজন্য গণভোট করতে হবে।

]]>
Kolkata: বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করেই কলকাতা বইমেলা https://ekolkata24.com/uncategorized/kolkata-international-book-fair-theme-country-bangladesh Mon, 08 Nov 2021 18:00:14 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10762 News Desk: অবশেষে দিনক্ষণ ঠিক হলে। করোনা সংক্রমণ থাকলেও পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই শুরু হতে চলেছে কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা। পূর্ব ঘোষণা মতো প্রতিবেশি বাংলাদেশ হচ্ছে থিম কান্ট্রি। আর বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উন্নতি করা হচ্ছে বইমেলা। এমনই জানিয়েছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।

আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হবে বইমেলা। মেলা চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। করোনা সংক্রমণ কারণে বারবার সময়সূচি বদলেছে বইমেলা। সংক্রমণ রয়েছে। তবে তার গতি কম। ফলে মেলা শুরুর ঘন্টা বাজল।

বইমেলায় এবার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে ছিন্ন হয়ে রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের পর তৈরি হয় বাংলাদেশ। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের অন্যতম পর্ব ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার লড়াই ‘মুক্তিযুদ্ধ’। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা এই মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) এর সদর কার্যালয়। বাংলাদেশ তৈরির পর কলকাতায় এসে শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী ঐতিহাসিক জনবহুল গণসংবর্ধনায় ভাষণ দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক কিংবদন্তি নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর ছাত্রাবস্থা ও রাজনীতির শুরু কলকাতা থেকেই। তিনি বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় আসা ও বাংলাদেশ তৈরির সুবর্ণ জয়ন্তী চলছে। একইসঙ্গে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী। সবমিলে এবারের কলকাতা বইমেলায় নয়াদিল্লি-ঢাকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রভাব বিশেষ লক্ষ্যনীয় বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

 

]]>
Mujib 100: কলকাতা প্রেসক্লাবে সূচনা বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র https://ekolkata24.com/uncategorized/tribute-to-bangabandhu-sheikh-mujibur-rahman-in-kolkata-press-club Thu, 28 Oct 2021 16:14:14 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9524 News Desk, Kolkata: বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামাঙ্কিত সংবাদ কক্ষ উদ্বোধন হলো ঐতিহ্যবাহী কলকাতা প্রেসক্লাবে। ‘বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র’র উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ যে সময়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে, সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর নামে কলকাতা প্রেসক্লাবে সংবাদ কেন্দ্র স্থাপন দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আরেকটি মাইলফলক। এর আগে নয়া দিল্লিতে প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ায় বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী।

Press-Club-Kolkata

বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াই অর্থাৎ ‘মুক্তিযুদ্ধ’ সময়ের পাঁচ বর্ষীয়ান সাংবাদিক ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তরুণ গাঙ্গুলী, সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত, মানস ঘোষ ও দিলীপ চক্রবর্তী। পিআইবি জানাচ্ছে, তাঁদের ‘মুক্তিযুদ্ধ সুবর্ণজয়ন্তী কলমসেনা সম্মান’ প্রদান করা হয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের প্রতক্ষ্য সহযোগিতা ছিল। ততকালীন সময়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার যা ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে পরিচিত তার সদর কার্যালয় ছিল কলকাতায়। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র জীবন কলকাতাতেই কেটেছে।

কলকাতা প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সংবাদ কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য শামসুর সানোয়ার কমল ও কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান প্রমুখ।

কলকাতা প্রেসক্লাব প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস সুর বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই সংবাদ কেন্দ্র স্থাপন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন ও সংগ্রাম করায় ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর নামে সংবাদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার অর্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে প্রকৃত ইতিহাস জানতে নতুন প্রজন্মের জন্য এই কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

]]>
রাষ্ট্রসংঘ প্রথমবার গমগম করল জলগগম্ভীর বাংলা ভাষণে, নজির গড়লেন বঙ্গবন্ধু https://ekolkata24.com/offbeat-news/first-ever-bengali-spech-at-un-by-sheikh-mijibur-rahman Sat, 25 Sep 2021 06:57:29 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5543 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: ১৯৭১ সালে বিশ্ব জেনেছিল পদ্মা-মেঘনা-ধলেশ্বরীর তীরে ভারতীয় সেনা ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ আক্রমণে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাভাষার দেশ বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। এই ঐতিহাসিক আত্মপ্রকাশের চার বছরের মাথায় সরাসরি রাষ্ট্রসংঘ থেকে পুরো দুলিয়া শুনেছিল প্রথম বাংলা ভাষণ।

১৯৭৪ সালের ঐতিহাসিক ২৫ সেপ্টেম্বর। এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বারের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য পৃথিবীর সব দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারে, বাংলা ভাষাভাষী বাঙালি জাতির জন্য রয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। তার নাম বাংলাদেশ।

কী বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু ? তাঁর বহু বিখ্যাত এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাংলাভাষার ভাষণ আজও রাষ্ট্রসংঘের কাছে অমূল্য সংগ্রহ। বহু রাষ্ট্রনায়কের বহু ঐতিহাসিক ভাষণ ও চমকদার মুহূর্তের কেন্দ্র নিউইয়র্কের রাষ্ট্রসংঘ সদর কার্যালয়ের অধিবেশন কক্ষ।

রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আজ এই মহামহিমান্বিত সমাবেশে দাঁড়াইয়া আপনাদের সাথে আমি এই জন্য পরিপূর্ণ সন্তুষ্টির ভাগীদার যে বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ আজ এই পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করিতেছেন। আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পূর্ণতা চিহ্নিত করিয়া বাঙালি জাতির জন্য ইহা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার অর্জনের জন্য এবং একটি স্বাধীন দেশে মুক্ত নাগরিকের মর্যাদা নিয়া বাঁচার জন্য বাঙালি জনগণ শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী সংগ্রাম করিয়াছেন, তাঁহারা বিশ্বের সকল জাতির সাথে শান্তি ও সৌহার্দ্য নিয়া বাস করিবার জন্য আকাঙ্খিত ছিলেন।’

বিশ্ব চমকে গেল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের অনুবাদ করে সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুনলেন। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ সংগ্রহশালায় সেই বাংলাভাষার প্রথম ভাষণ রক্ষিত আছে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্য পৃথিবীর সব দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারে, বাংলা ভাষাভাষী বাঙালি জাতির জন্য রয়েছে একটি সার্বভৌম দেশ। তার নাম বাংলাদেশ।  বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পরেই রাষ্ট্রসংঘে আলোড়ন পড়ে। সেই ভাষণ শুনেছিলেন শুধু বাংলাদেশবাসী নন, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার অগনিত মানুষ। সবাই জানলেন বাংলা আন্তর্জাতিক সরকারি ভাষা হয়ে গিয়েছে।

]]>