soldiers – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 09 Dec 2021 20:12:10 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png soldiers – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Defence: সেনা ও তার পরিবারের উন্নতির প্রতি সমাজের দায়বদ্ধতা আছে: রাজনাথ সিং https://ekolkata24.com/uncategorized/collective-responsibility-of-society-to-ensure-welfare-of-soldiers-and-families-says-defence-minister-rajnath-singh Fri, 03 Dec 2021 08:09:54 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13327 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: সেনাবাহিনীর সদস্যরা গোটা দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। সেনা জওয়ানরা আছেন বলেই দেশের মানুষ নিরাপদে রাতে ঘুমোতে পারেন। সেনারা যেমন দেশের সেবা করছেন তেমনই সেনা ও তাঁদের পরিবারের উন্নতির প্রতি সমাজেরও একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। যে সকল বীর জওয়ান দেশের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ভাল রাখার নৈতিক দায়িত্ব সমাজের প্রতিটি মানুষের উপরেই বর্তায়। কারণ আমাদের মনে রাখা উচিত, দেশবাসীকে সুরক্ষা দিতে গিয়েই জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন।দিল্লিতে সশস্ত্র জওয়ানদের এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh)।

ওই অনুষ্ঠানে রাজনাথ স্পষ্ট বলেন, যেভাবে সেনা জওয়ানরা দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেন একই রকমভাবে আমাদেরও তাঁদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। আমাদেরকে সুরক্ষা দিতে গিয়েই প্রতিবছর বহু জওয়ান শহিদ হন। এই শহিদ জওয়ানদের পরিবারকে ভাল রাখার দায়িত্ব আমার-আপনার সকলের। আমাদের মনে রাখা উচিত, জওয়ানরা যদি আমাদের নিরাপত্তার দিকটি না ভাবতেন তাহলে কিন্তু তাঁরা কখনওই শহিদ হতেন না। তাঁরা অনায়াসেই আত্মরক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা সেটা না করে নির্ভয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গিয়েছেন। সেনা জওয়ানদের এই অবদান আমরা কোনওভাবেই ভুলতে পারি না। কৃতজ্ঞতাবশতই এই সমস্ত জওয়ানদের পরিবারের পাশে থাকা দরকার। মৃত জওয়ানদের পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিবেশীদের এগিয়ে আসা উচিত।

ওই অনুষ্ঠানে রাজনাথ সরাসরি পাকিস্তানের নাম না করে বলেন, আমাদের কিছু প্রতিবেশী দেশ নিজেদের উন্নয়নের কথা ভাবে না। সে দেশের মানুষ অনাহারে, অপুষ্টিতে দিন কাটালেও তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা করে না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল জঙ্গিদের মদত জুগিয়ে চলা। আসলে এই প্রতিবেশী দেশটি আমাদের দেখে হিংসায় জ্বলে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারত যখন গোটা বিশ্বের সামনে নিজেদেরকে মেলে ধরেছে, গোটা বিশ্বকে বাধ্য করেছে ভারতকে সমীহ করতে তখন সেই দেশ ক্রমশ পিছিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের গায়ে কালি ছেটাতে গিয়ে তারা আরও বেশি করে একঘরে হয়ে পড়েছে কিন্তু তাতেও ওই দেশের কোন শিক্ষা নেই। লজ্জা বোধ নেই।

রাজনাথ পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশের হিংসা ও উস্কানিমূলক আচরণের জন্যই আমাদের অস্ত্রশস্ত্র বাবদ বিপুল খরচ করতে হয়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশটি যদি অস্ত্রের পিছনে না ছুটে জঙ্গিদের হাতে অর্থ তুলে দিতে গিয়ে অর্থের অপচয় না করত তবে সেই অর্থ দিয়ে তারা দেশের উন্নয়ন করতে পারত। একই কথা প্রযোজ্য আমাদের ক্ষেত্রেও। কারণ আমরাও প্রতিবছর অস্ত্র কিনতে বিপুল টাকা খরচ করি। তবে আমরা কিন্তু শখ করে এই কাজ করি না। আমরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই অস্ত্র কিনে থাকি। কিন্তু আমরা যে টাকা দিয়ে প্রতিবছর অস্ত্র কিনি সেই টাকা দেশের উন্নয়নের পিছনে খরচ করা গেলে আমরা আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতাম।

]]>
দেশের সেনা জওয়ানদের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করতে পারেন এই ৬ উপায়ে https://ekolkata24.com/offbeat-news/6-ways-of-showing-respect-to-our-brave-soldiers Wed, 27 Oct 2021 20:44:02 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9427 News Desk: সীমান্তে রোজ কয়েকশো জওয়ান রক্ত ক্ষয় করে যাতে দেশবাসী নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন। তাদের বীরত্বের গল্প শুনলেই আমাদের গর্বে বুক ভরে ওঠে। তাদের কৃতিত্বের প্রতি কুর্নিশ জানাতে সরকারের তরফ থেকেই বিভিন্ন পুরস্কারের আয়োজন করা হয়।

তবু, কতটুকুই বা দাম দেওয়া যায় তাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সামান্য পুরস্কারের বিনিময়ে? তাদের বীরত্বের কাহিনী শুনে আমাদের দেশের অনেক যুবক স্বপ্ন দেখে দেশ রক্ষার কর্মকাণ্ডে শামিল হওয়ার। তবে তাদের কীর্তির প্রতি সন্মান জানানোর বেশ কিছু উপায় আছে সাধারণ নাগরিকদের কাছে, যা হয়তো অনেকেই জানেনা বা কখনো খেয়াল করেননি। নজর দেওয়া যাক এমন কয়েকটি উপায় দিকে যার সাহায্যে কুর্নিশ জানানো যায় দেশের বীর জওয়ানদের আত্মত্যাগের প্রতি:

respect to our brave soldiers

১. আমাদের শহীদ সার্ভিসম্যানদের স্মৃতি রক্ষা করুন
সম্প্রতি, ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার বাবা জিএল বাত্রার একটি ছবি ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে, কর্তৃপক্ষের দ্বারা অবহেলিত তার ছেলের স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার করছেন তিনি। আমাদের শহীদ জওয়ানদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং মূর্তিগুলিকে পরিষ্কার রাখা আমাদের শহীদ জওয়ানদের প্রতি সম্মান দেখানোর একটি উপায়।

২. প্রাক্তন জওয়ানদের কাহিনী শুনুন
যুদ্ধের নায়কদের জীবন মোটেই সহজ হয়না। কেউ কেউ তাদের সাথে ভারী মানসিক বোঝা বহন করে, অন্যরা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) এ ভোগে। প্রবীণ জওয়ানদের মুখ থেকে তাদের জীবন কাহিনীর গল্প শোনা যেতে পারে যাতে তাদেরও সময় কাটবে। এটি তাদের অতীত গৌরব পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ দিতে পারে। তদুপরি, আপনি তাদের কাছ থেকে যে অন্তর্দৃষ্টি পাবেন, আপনি তা অন্য কোথাও পাবেন না

৩. এনসিসির সশস্ত্র বাহিনীর জন্য সাইন আপ করুন
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে, আপনি সামরিক বাহিনীর একটি অংশ হতে শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিকের সম্পর্কেই জানতে পারবেন। তাদের জীবনদর্শনের প্রতি একটি বিশেষ অন্তর্দৃষ্টি লাভের সুযোগ পেতে পারেন আপনি এর মাধ্যমে।

৪. সেনাবাহিনীকে প্রভাবিত করে এমন কারণের জন্য লড়াই করার জন্য আপনার সোশ্যাল মিডিয়াকে উৎসর্গ করুন
ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রায়শই রাজনৈতিক দলগুলোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাদের আস্থা অর্জনের জন্য এবং এমনকি ভোট পাওয়ার জন্য তাদের সমস্যাগুলিকে রাজনীতিবিদরা রাজনীতিতে পরিণত করেছেন। এই সমস্ত সমস্যা গুলির বিরুদ্ধে এর জোরালো মতবাদ গড়ে তোলার জন্য আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে পারেন।

৫. তাদের পরিবারকে সমর্থন করে আমাদের শহীদদের সাহায্য করুন
আপনার ভালবাসা দেখানো সর্বদা এমন লোকদের কাছে প্রসারিত হতে পারে যারা তাদের জীবন হারিয়েছে। অনেকের কাছে শ্রদ্ধা দেখানো মানে একজন শহীদের জানাজায় যোগদান করা। যাইহোক, এটি করার আরেকটি উপায় হল সেই পরিবারগুলিকে সাহায্য করা যারা পরিষেবাতে একজন সদস্যকে হারিয়েছে।

<

p style=”text-align: justify;”>৬. শান্তির জন্য সংগ্রাম করুন, যাতে শোক করার জন্য আরও মৃত সৈন্য না থাকে
জম্মু কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বে বিদ্রোহে হাজার হাজার সৈনিক মারা গেছে। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘবদ্ধকরণের মহড়ার সময় শতাধিক সৈনিক মারা যায়। চাকরির কঠোর প্রকৃতি এবং তারা যে ভূখণ্ডে কাজ করে তার কারণে প্রতি বছর অনেকেই মারা যায়। নাগরিক হিসাবে, আমরা অ-সংঘাতমূলক এক সমাজ গঠন ও বিভেদের সমাধানের লক্ষ্যে শান্তির পরিবেশের প্রচার করতে পারি যাতে আর কোনো জওয়ানদের মৃত্যু না ঘটে।

]]>
কাশ্মীরে নয় সেনাকে হত্যার দায় স্বীকার করল নতুন জঙ্গিগোষ্ঠী পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট https://ekolkata24.com/uncategorized/new-militant-group-peoples-anti-fascist-front-claims-responsibility-for-killing-nine-soldiers-in-kashmir Wed, 20 Oct 2021 09:55:02 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8433 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: গত কয়েক দিনে কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর নয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। লস্কর-ই-তৈবা বা জইশ-ই-মহম্মদ নয়, শেষ পর্যন্ত এই হত্যার দায় স্বীকার করে নিল পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট নামে এক নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী। ওই জঙ্গিগোষ্ঠী একটি ভিডিয়ো বার্তায় নয় জওয়ানকে মারার কথা স্বীকার করেছে।

আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পর থেকেই ভূস্বর্গে জঙ্গি হামলা বেড়েছে। জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে পুলিশ, সেনাবাহিনীর তরফেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ১৬ অক্টোবর পুঞ্চের মেনধার এলাকায় নারখাস জঙ্গলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানে গুলির লড়াইয়ে সুবেদার অজয় সিং ও নায়েক হরেন্দ্র সিং শহিদ হন। ১৫ অক্টোবর বিক্রম সিং নেগি ও যোগম্বর সিং নামে আরও দুই জওয়ান শহিদ

১১ অক্টোবর পুঞ্চে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার ও চার জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। মৃত জওয়ানরা হলেন নাইব সুবেদার যশবিন্দর সিং, নায়েক মনদীপ সিং, সরজ সিং, গজ্জন সিং ও বৈশাখ এইচ। এদের মধ্যে জুনিয়র কমিশনড অফিসার ও অপর এক জওয়ানের দেহ প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়। এই সমস্ত শহিদ সেনাদের মৃত্যুর দায় স্বীকার করল পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট নামে এক নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী। একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে এই জঙ্গি সংগঠনটি জানিয়েছে, তারাই সেনা জওয়ানদের হত্যা করেছে। ওই ভিডিয়োতে নতুন এক জঙ্গি সংগঠন বলে নিজেদের পরিচয় দেয় পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট।

এদিকে ভূস্বর্গে জঙ্গিদের সক্রিয়তা বাড়ায় সেনাবাহিনীর তরফে পুঞ্চ ও রাজৌরি জুড়ে ব্যপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে। ধৃতেরা জঙ্গিদের আশ্রয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পাচার করতে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। বুধবার বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশের যৌথ অভিযানে চালিয়ে এই অস্ত্র উদ্ধার করে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশের এক যৌথ প্রতিনিধি দল বুধবার সকালে ভারত-পাক সীমান্তের তরন তারন জেলার খেমাকরণ এলাকায় অভিযান চালায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে ২২টি পিস্তল, ৪৪টি ম্যাগাজিন এবং ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে বিপুল পরিমাণ মাদকও। ১ কেজির বেশি হেরোইন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের অনুমান, ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে এদেশে অস্ত্র ও মাদক পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই অস্ত্র পৌঁছে যেত জঙ্গিদের হাতে। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে ওই সব অস্ত্রের নাগাল পায়নি জঙ্গিরা। এই মুহূর্তে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের লক্ষ হল, ভারতে বড়সড় নাশকতা চালানো। কিন্তু গোয়েন্দাদের তৎপরতায় নাশকতা চালানোর সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।

]]>
Atmanirbhar Bharat: স্বদেশী এই হাই-টেক বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট শত্রুকেও গুলি চালাবে https://ekolkata24.com/offbeat-news/atmanirbhar-bharat-live-gun-for-soldiers-hi-tech-jacket-equipped-with-camera-this-way-will-protect-from-enemies Sun, 29 Aug 2021 08:50:43 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3413 #Atmanirbhar Bharat
নিউজ ডেস্ক: এটা কোন সাধারণ বুলেট প্রুফ জ্যাকেট নয়৷ এই জ্যাকেট একদিকে যেমন সেনা-পুলিশ জওয়ানের (soldiers) প্রাণ রক্ষা করবে৷ অন্যদিকে বুলেট থেকেই সরাসরি শত্রুকে লক্ষ্য করে গুলিও করবে৷ আর এই হাইটেক জ্যাকেট (Hi-tech jacket) তৈরি করেছে মিরাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অটল কমিউনিটি ইনোভেশন সেন্টার (Atal Community Innovation Center)৷ এখানে শেষ নয়, এই সংস্থার দাবি, কোনও জওয়ান জখম হলে জ্যাকেটে থাকা হাইটেক প্রযুক্তি সরাসরি তা কন্ট্রোলকে জানিয়ে দেবে৷

আরও পড়ুন: নারীশক্তি: মা মজুর খেটে পিতৃহারা পাঁচ ছেলেমেয়েকেই পুলিশের উর্দি পরালেন

মিরাটের এমআইইটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্ভাবক শ্যাম চৌরাসিয়া দাবি করেছেন, এমন ধরনের একটি হাই-টেক জ্যাকেট ডিজাইন করা হয়েছে, যা গুলি চালানোর পাশাপাশি জওয়ানের আঘাত হওয়ার খবর ও তার অবস্থানসহ বিস্তারিত তথ্য কন্ট্রোল রুমকে জানাবে৷ যাতে আহত জওয়াদের চিকিৎসা অবিলম্বে শুরু করা যায় এবং তাদের জীবন বাঁচানো যায়। শ্যাম আরও বলেছেন, এই জ্যাকেটটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তিতে সজ্জিত। এই হাই-টেক বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের একটি ওয়্যারলেস ট্রিগারও রয়েছে, যার সাহায্যে সেনা জওয়ানরা সীমান্তে ১০টিরও বেশি বন্দুক রেখে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুদের উপযুক্ত জবাব দিতে সক্ষম হবে। এই জ্যাকেটটি মাত্র ১৫ দিনে প্রস্তুত করা হয়েছে। হাই-টেক জ্যাকেট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সক্রিয় থাকে।

tech-jacke -made in meerut

অটল কমিউনিটি ইনোভেশন সেন্টারের প্রযুক্তিবিদ শ্যাম চৌরাসিয়া জানিয়েছে, এই প্রযুক্তির সাহায্যে সীমান্তে নিযুক্ত জওয়ানরা কখনও একা থাকবে না৷ কারণ, এই জ্যাকেট জওয়ানদের সীমান্তের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ রাখবে। জ্যাকেটে ১১ মিমি দু’টি ব্যারেল রয়েছে, যা জ্যাকেটের সামনে বা পিছনে লাগানো যেতে পারে। জ্যাকেটটি লাইভ ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত, যাতে শত্রুরা পিছন থেকে আক্রমণ করতে পারবে না৷ কারণ, কন্ট্রোল রুম এবং জওয়ান পিছনসহ আশপাশের ছবি দেখতে পাবেন. আর সেই মতো শত্রুকে উপযুক্ত জবাব দিতে পারবে৷ জ্যাকেটে থাকা লাইভ বন্দুকটি ইন্টারনেট থেকেও চালানো যায় এবং যদি কোনও শত্রু কোনও জওয়ানকে আক্রমণ করে, তাহলে এই জ্যাকেট তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুলি করবে। দাবি করা হয়েছে, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে লাগানো বন্দুকের ফায়ার রেঞ্জ ২০০ মিটার। এই জ্যাকেটের সাহায্যে যে কোন ধরনের অস্ত্র চালানো যায়।

আরও পড়ুন: নাম না-জানা জারারাকুস্সু পিট ভাইপারের বিষেই মরছে করোনা ভাইরাস

এই সম্পূর্ণ সিস্টেমটি MIET ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অটল কমিউনিটি ইনোভেশন সেন্টারে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশেষ বিষয় হল এই জ্যাকেটে ইনস্টল করা সমস্ত সরঞ্জাম ভারতীয়। এটি তৈরি করতে ২৫ দিন লেগেছিল। সম্পূর্ণ প্রোটোটাইপ প্রকল্পগুলি প্রস্তুত করতে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এটি কলেজে পড়ে থাকা আবর্জনা থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে ৩.৭ ভোল্ট ব্যাটারি, ৯ ভোল্ট ব্যাটারি, সোলার প্লেট ৬ ভোল্ট, এলার্ম, ট্রান্সমিটার রিসিভার, জিপিএস, মেটাল পাইপ, রিলে ৫ ভোল্ট, ক্যামেরা, ১০ মিমি পাইপ রয়েছে।

আরও পড়ুন: BA-BCom পাস করে ঠেলাগাড়িতেই স্বপ্নের ঠিকানা খুঁজছেন শহরের চার যুবক

এমআইইটির ভাইস-চেয়ারম্যান পুনিত আগরওয়াল বলেন, যারা কিছু উদ্ভাবক করতে চায়, অটল কমিউনিটি ইনোভেশন সেন্টার সায়েন্স ল্যাব সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করে শিক্ষার্থীদের৷ যাতে তরুণরা তাদের চিন্তাকে প্রোটোটাইপে রূপান্তর করতে পারে এবং পেটেন্ট করতে পারে। তিনি বলছেন, যে সমস্ত মেধাবীরা সুযোগ পাচ্ছে না, তারা তাদের নতুন আইডিয়া নিয়ে এখানে প্রজেক্ট তৈরি করছে। এই হাই-টেক জ্যাকেটটিও পেটেন্ট করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন, সুফল পাবেন তাড়াতাড়ি

তবে প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, যতক্ষণ না এর পরীক্ষা শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ এর উপযোগিতা সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। এই প্রকল্পের পেটেন্ট করার আগে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি পরীক্ষা করা উচিত৷ তবেই এর উপযোগিতা জানা যাবে। তবে এই জ্যাকেটটি আজকাল মানুষের মধ্যে অবশ্যই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

]]>