अब तक मिली जानकारी के मुताबिक, बीसीसीआई के पूर्व अध्यक्ष और भारतीय क्रिकेट टीम के पूर्व कप्तान सौरव गांगुली अपनी पत्नी डोना गांगुली के साथ बुधवार को कोलकाता रेप-मर्डर केस की पीड़िता डॉक्टर के लिए न्याय की मांग को लेकर कोलकाता की सड़कों पर चलेंगे। सौरव गांगुली के पत्नी डोना एक डान्स स्कूल चलाती हैं और उसमें सैकड़ों लड़कियों को नृत्य सिखाती हैं।
कुछ ही दिनों पहले सौरव गांगुली ने कोलकाता के एक अस्पताल में एक युवा चिकित्सक के साथ रेप और हत्या की रविवार को निंदा की थी। उन्होंने कहा था कि एक बेटी का पिता होने के नाते वह इस घटना से बहुत दुखी हैं। हालांकि, उन्होंने ये भी कहा था कि पश्चिम बंगाल और भारत को सुरक्षित माना जाता है और किसी एक घटना के आधार पर पूरी व्यवस्था पर कोई फैसला नहीं किया जाना चाहिए।
सौरव गांगुली ने कहा था कि यह एक जघन्य घटना है। इस तरह के अपराध के लिए कोई माफी नहीं हो सकती। उन्होंने कहा था कि मामले में तत्काल कार्रवाई करनी चाहिए। हालांकि, उन्होंने कहा था कि ऐसी घटनाएं कहीं भी हो सकती हैं, लेकिन यह दुर्भाग्यपूर्ण है कि यह विशेष मामला एक अस्पताल के अंदर हुआ। पूर्व क्रिकेटर ने चिकित्सा प्रतिष्ठानों में मजबूत सुरक्षा उपायों का आह्वान किया था।
]]>করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ককে। এই সময় প্রায় তিনজন চিকিৎসক টিম সারাক্ষণ সৌরভের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত বছরের জানুয়ারিতে হার্ট অ্যাটাকের কারণে সৌরভের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়। এ সময় তাকে কয়েকদিন হাসপাতালে কাটাতে হয়।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুস্থতা নিয়ে চিকিৎসকরা মেডিকেল বুলেটিনে জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও দাদা কয়েকদিন নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকবেন। এ সময় তার স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখা হবে। এছাড়া তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ এবং শ্রীঘ্রই মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা।
২০২১ সাল দাদার জন্য বিশেষ কিছু ভাল কাটেনি। প্রথমে দাদাকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এরপর সাম্প্রতিক সময়ে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কত্বের বিতর্কেও নাম জড়িয়ে গিয়ে অবশেষে সমস্ত বিতর্কে ইতি টানতে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কলকাতায় দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে অধিনায়কত্বের বিতর্কে ঢোক গিলতে হয়। এই দুই বড় সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে সৌরভ করোনার কবলে পড়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পূর্ণ সুস্থ।
]]>হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওমিক্রনে সংক্রমিত হননি সৌরভ গাঙ্গুলি। করোনা আক্রান্ত হলেও সংকটজনক নয় তিনি। তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে রেখে চিকিৎসা চলবে।
এই মুহূর্তে ওমিক্রন আতঙ্কে গোটা দেশে, ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গ। কয়েকদিন আগে জ্বর আসায় করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল সৌরভের। রিপোর্ট পজিটিভ এলে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা তা জানতে তাঁর নমুনা জিন পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ওমিক্রনের সংক্রমণ না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফেরে চিকিৎসকদের মধ্যে। যদিও সৌরভের চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
]]>সূত্রের খবর, গত ২ দিন ধরে জ্বর ও সর্দি থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে সৌরভ করোনা পরীক্ষা করেন। তাছাড়া তাঁর আর কোনও উপসর্গ ছিল না। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে সৌরভ চাইছেন, বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা হোক। তাঁর স্ত্রী ডোনা এবং কন্যা সানার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
সোমবার সকালে অসুস্থ বোধ করায় সৌরভের টেলিভিশন শোয়ের শ্যুটিং বাতিল করা হয়। তার আগে অবশ্য তিনি কয়েকটি পণ্যের বিজ্ঞাপনী শ্যুটিং করেছেন। কীভাবে, কোথা থেকে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গত কিছুদিনে সৌরভ দেশ-বিদেশের কিছু শহরে সফরেও গিয়েছিলেন। সর্বশেষ সফরে গিয়েছিলেন মুম্বই। সেই সূত্রে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তাও এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৩ জন। ২১টি রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দেশে ওমিক্রন (omicron) আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পেরিয়ে গেছে। একদিনে ১৩৫ জন নতুন করে করোনার (coronavirus) নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলেন। সোমবার করোনার নতুন স্ট্রেনে ছড়িয়েছে মণিপুর (Manipur) ও গোয়ায় (Goa)। পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন।
]]>ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসার পর থেকে, প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ভারতীয় ক্রিকেটকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন ভূমিকার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে।
অনিল কুম্বলে এবং রবি শাস্ত্রীর মতো দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়, এমএস ধোনি ২০২১’র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলের পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন।
এক টক শো’তে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় “শচীন স্পষ্টতই কিছুটা আলাদা। তিনি এই সমস্ত কিছুর সাথে জড়িত হতে চান না। আমি নিশ্চিত যে ভারতীয় ক্রিকেটে শচীনের কোনোভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে, এটি এর চেয়ে ভাল খবর হতে পারে না। কোন উপায়ে এই নিয়ে স্পষ্টতই কাজ করা দরকার”।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “কারণ চারিদিকে দ্বন্দ্ব অনেক বেশি। ঠিক বা ভুল, আপনি যা কিছু করেন এবং আপনার কাছে ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দটি থাকে তা জানালা দিয়ে লাফিয়ে উঠতে থাকে, যার মধ্যে কিছু আমি সত্যিই অবাস্তব বলে মনে করি। তাই আপনাকে সেরাটি দেখতে হবে সেরা প্রতিভাকে খেলার সাথে জড়িত রাখার উপায় হিসেবে। এবং এক পর্যায়ে শচীনও ভারতীয় ক্রিকেটে জড়িত হওয়ার একটি উপায় খুঁজে পাবেন”।
বর্তমানে তেন্ডুলকর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (IPL) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পরামর্শদাতা হিসেবে রয়েছেন। এই অবস্থানে শচীন তেন্ডুলকর ভারতীয় দলের সঙ্গে জড়িত হলে “স্বার্থের সংঘাত”র ইস্যুতে বিতর্কে নাম জড়াতে পারে মাস্টার ব্লাস্টারের; এক্ষেত্রে একটা সম্ভাবনা উকি দিচ্ছে শচীনের কাছে বিকল্প রোডম্যাপ হিসেবে, তা হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর পদে ইস্তফা দিয়ে তবেই ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের সাথে কাজ করার রাস্তা মসৃণের।
]]>গত বুধবার বিরাট কোহলি এক সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক বয়ানে বলেন, ভারতীয় ওডিআই দলে গার্ড (নেতৃত্ব) পরিবর্তনের বিষয়ে বিসিসিআই এবং এর সদস্যরা তার সাথে কোনও আলোচনা করেনি।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় চলতি বিতর্কে রাশ টেনে ধরার মুহুর্তে পরিষ্কার প্রতিক্রিয়া ,”নো কমেন্টস (কোন মন্তব্য নেই), বিসিসিআই এটা নিয়ে কাজ করছে। আমি কোনও মন্তব্য করবো না এবং এই সময়ে কিছু বলব না।”
বিরাট- সৌরভ বিতর্কের শুরু,বিরাট কোহলিকে ওডিআই অধিনায়কের পদ থেকে অপসারণের একদিন পরে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন যে তিনি সত্যিই বিরাটের সাথে নেতৃত্বের পরিবর্তনের বিষয়ে কথা বলেছিলেন এবং কথোপকথনে তিনি (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) বিরাটকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
]]>বিরাট কোহলির এই বয়ান সামনে আসতেই নতুন করে বিতর্ক বেঁধেছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের(বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণের নিশানা করে ছাপার অযোগ্য অশ্লীল ভাষায়।
Shyam Bhalerao Patil’র টুইট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। টুইট পোস্টটি হল এরকম,”#viratkholi your always my captain champ ……and some words for jay Shah’s servent Fuck you #dada”, এই টুইট পোস্ট ঘিরে যত বিতর্ক এখন তুঙ্গে।
ইংল্যান্ডের মাটিতে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক ছিলেনসৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ওই সূত্র ধরে Shyam Bhalerao Patil’র টুইটের রিপ্লাইং’এ Pankaj Chaudhary গুজরাতি ভাষাতে ঝাঁঝালো প্রতিবাদী পোস্ট, “শ্যাম পাতিল …. পাকিস্তান কাদানা হারাওয়ালা সালয়ানি , একি আইসিসি ইভেন্ট নাহি জিঙ্কালা , আউস আনি ইং মাধে টেস্ট সিরিজ জিঙ্কালি তে টেলে এন্ডারের মুলে …তুজা বিরাট লাহান মুলা সারাখা ওয়াগাতো ,ফালাতু উদযাপন করাতো…কাসলা ক্যাপ্টেন হোন .DADA লা কাহি মানায়ছ নাহি হা”। প্রতিবাদের ঝাঁঝালো গন্ধে Shyam Bhalerao Patil’র রিপ্লাইং পোস্ট, “একতাচ ভাঘা সরখা লধলা তি ম্যাচ বিরাট….আনি তু মালা এনকো সাঙ্গু,তু তুজ তুজ কাম(Fuck you) কর ভাব”।
Shyam Bhalerao Patil’র টুইটের প্রতিক্রিয়াতে Suraj Mishra
রিপ্লাইং পোস্টে নিশান, “আমি #দাদার সাথে আছি।
তিনি দল গড়েছেন।
ধোনি এটাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন।
বিরাট কোহলি সব চেষ্টাই নষ্ট করে দিলেন”।
Carlsberg Champp’র রিপ্লাইং পোস্ট Shyam Bhalerao Patil’র টুইটের প্রতিক্রিয়াতে,
“ওয় বেহেঞ্চোদ সুন-
ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কৌতুক হল বিরাট কোহলির সাথে সৌরভ গাঙ্গুলিকে তুলনা করা।
মনে রাখবেন, কোহলি যে মঞ্চে তার পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তা গাঙ্গুলি তার ঘাম এবং রক্ত দিয়ে তৈরি করেছিলেন।
#দাদা হবে #দাদাকিংবদন্তির সঙ্গে তার তুলনা নেই”! এই প্রতিবাদী রিপ্লাইং’র জবাব এরকম Shyam Bhalerao Patil’র,”ইয়ে লাভদে বাপ কো মাত শিখা(এসব নিজের বাপকে শেখাস না)”।
Shyam Bhalerao Patil’র টুইটের জবাবে ABHISHEK SINGH’র অশিক্ষিত বলে রিপ্লাইং পোস্ট,”নৌকর(ভৃত্য) কা বানান তো সহি কর লো ভাই”।Shyam Bhalerao Patil’র রিপ্লাইং পোস্ট অশিক্ষিত কটাক্ষ দেখে,”তুজে সমঝ মে আই না”।ABHISHEK SINGH’র পাল্টা রিপ্লাইং পোস্ট Shyam Bhalerao Patil’কে উদ্দ্যেশ্য করে, দোস্ত সমোজ মে তো বহুত চিজ আতি কিন্তু ইসকা মতলব ইয়ে নাহি কি গলত “spell karo” বানান করো।এবার Shyam Bhalerao Patil’র রিপ্লাইং পোস্ট ABHISHEK SINGH’র টার্গেট করে,”সামজ মে আতা হ্যায় না তো আপনা কাম করনা ফির…দুসরন কে বিচ মেন কিয়ুন ঘুস রাহা হ্যায়…”রিপ্লাইং’এ ABHISHEK SINGH’র পোস্ট, ” দোস্ত টুইটার এক পাবলিক প্ল্যাটফর্ম হ্যায়, তুমনে ইসে ডালা ইসিলিয়ে হো তাকি লগ ঘুসে; আইসা না হোতা তুম আপনি ডাইরি মে লিখ কে কে চোদ দেতে।”
Shyam Bhalerao Patil’র টুইটের রিপ্লাইং’এ Sudi M’র পোস্ট, “ভাই.. কিসি কো গালি দে নে উসকা কুছ না জাতা.. বস তেরা আওকাত, তেরি ফ্যামিলি কা ইতিহাস, তেরা পরওয়ারিশ অর তেরা আন্দর কি সাদা হুয়া ইনসান দিখতা হ্যায়.. কভি #দাদা জেইসা বন কে দেখা দে!! তো মান জাউ.. আমি দাদার সাথে দাড়িয়ে আছি#dada।”
সব মিলিয়ে দেখতে গেলে Shyam Bhalerao Patil’র টুইটের প্রতিক্রিয়াতে রিপ্লাইং পোস্টে শুধুই #dada সমর্থনে প্রতিবাদ আছড়ে পড়েছে।
]]>হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেটে “ট্রান্সজ্যাকসন পিরিয়ড” শুরু হয়। অনেক জল্পনার মেঘ জমতে থাকে টিম ইন্ডিয়ার নতুন অধিনায়ক কে হবে তাই নিয়ে। শেষমেশ সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে ক্যাপ্টেন কোহলির হাত থেকে রোহিত শর্মার হাতে টি টোয়েন্টি এবং ওডিআই দলের ক্যাপ্টেন আর্ম ব্যাটন তুলে দেয় বিসিসিআই। কিন্তু এতেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। বিতর্কের জল গড়িয়েই চলেছে।
এমনই আবহে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly), ভারতীয় দলের বিতর্কিত সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব বিরাট কোহলি থেকে রোহিত শর্মার কাছে অধিনায়কত্ব পরিবর্তন বিষয়ে কথা বলেছেন।
বোর্ড সভাপতি বলেছেন যে তিনি কোহলিকে “ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলেন” টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের ভূমিকা ছেড়ে না দেওয়ার জন্য। সেপ্টেম্বরে সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাট থেকে ভারতীয় অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান কোহলি। কোহলির টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার তিন মাস পর, বিসিসিআই তারকা খেলোয়াড়কে ওডিআই অধিনায়কের পদ থেকে বাদ দেয় এবং নতুন পূর্ণ-সময়ের সীমিত ওভারের অধিনায়ক হিসেবে ওপেনার রোহিত শর্মাকে মনোনীত করে।
বোর্ড সভাপতি এই প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, “এটা যেমন আমি বলেছি… আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে (কোহলি) টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। স্পষ্টতই, তিনি কাজের চাপ অনুভব করেছিলেন। কোনটা ঠিক, তিনি একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার, তিনি তার ক্রিকেট নিয়ে খুব তীব্র ছিলেন। তিনি (কোহলি) দীর্ঘ সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব করেছেন এবং এই ঘটনাগুলি ঘটে। কারণ আমি দীর্ঘ সময় ধরে অধিনায়কত্ব করেছি; অতএব, আমি জানি। এছাড়াও, তারা কেবল একজন সাদা বলের অধিনায়ক চেয়েছিল। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। আমি জানি না ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে। তবে আমি যেমন বলেছি, এটি একটি ভাল দল এবং এতে কিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড় রয়েছে এবং আমি আশা করি তারা এটিকে ঘুরিয়ে দেবে।”
প্রসঙ্গত, কোহলি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তের পিছনে কাজের চাপ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। কোহলি ওই সময়েই বলেছিলেন, “ওয়ার্কলোড বোঝা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং গত 8-9 বছরে আমার বিশাল কাজের চাপ বিবেচনা করে 3 টি ফর্ম্যাটে খেলে এবং গত 5-6 বছর ধরে নিয়মিত অধিনায়কত্ব করার জন্য, আমি মনে করি আমাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার তাগিদে নিজেকে জায়গা দেওয়া দরকার। টেস্ট এবং ওডিআই ক্রিকেটে ভারতীয় দল।”
]]>‘বিরাট’ ইস্যুতে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাফাই,”এটি একটি কল যা বিসিসিআই এবং নির্বাচকরা একসাথে নিয়েছিল। আসলে, বিসিসিআই বিরাটকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক পদ থেকে সরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল কিন্তু স্পষ্টতই, তিনি রাজি হননি। এবং নির্বাচকরা তখন দুটি ভিন্ন অধিনায়ক রাখা ঠিক মনে করেননি। দুটি সাদা বলের ফর্ম্যাটের জন্য।”
সাফাই’র সুরে মহারাজ গাইলেন, “তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বিরাট টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে থাকবেন এবং রোহিত সাদা বলের অধিনায়কের দায়িত্ব নেবেন। সভাপতি হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলেছি এবং নির্বাচকদের চেয়ারম্যান তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছি।”
‘বিরাট’ সাফাই’র ঢঙে গাইতে গিয়ে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রোহিত শর্মার নেতৃত্বের ক্ষমতার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে, এবং বিরাট টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে চালিয়ে যাবেন। বিসিসিআই হিসাবে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ভারতীয় ক্রিকেট ভাল হাতে রয়েছে। আমরা বিরাট কোহলিকে সাদা বলের ফর্ম্যাটে অধিনায়ক হিসাবে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাই।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বিসিসিআই’র সিনিয়র নির্বাচক কমিটি ১৮ সদস্যের যে দল বেছে নিয়েছে, ওই স্কোয়াডে রোহিত শর্মাকে ভারতের টেস্ট টিমের সহ-অধিনায়ক হিসেবেও জায়গা দেওয়া হয়েছে।
এইভাবে বিসিসিআই’র সিনিয়র নির্বাচক কমিটি এবং দেশের ক্রিকেট বোর্ড “লাউড এন্ড ক্লিয়ার” বার্তা দিয়ে দিয়েছে, টেস্ট ফর্ম্যাটের অধিনায়ক বিরাট কোহলির আন্তজার্তিক ক্রিকেট কেরিয়ারের আগামী দিনগুলো নিয়ে।
২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভারতের প্রথম টেস্ট ম্যাচ সেঞ্চুরিয়নে, যা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সার্কেলে নতুন একটি অংশ তৈরি করবে।
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের পারফরম্যান্সের নিন্দা করেছেন।
নিন্দার কারণ ব্যাখা প্রসঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাফ কথা, “আমার মনে হয়েছে তারা এই বিশ্বকাপে যথেষ্ট স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারেনি। কখনও কখনও বড় টুর্নামেন্টে এটা ঘটে, আপনি কেবল আটকে যান, যখন আমি তাদের পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে দেখেছিলাম – আমার কেবল মনে হয়েছিল যে এই ভারতীয় দল তার সামর্থ্যের ১৫ শতাংশ খেলছে।”
পাকিস্তান ভারতকে ১০ উইকেটে এবং নিউজিল্যান্ড তাদের ৮ উইকেটে পরাজিত করেছিল। এই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একথা বলেছেন, ভারতীয় দল নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনার সাথে খেলতে পারেনি।
]]>প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে চার টেস্ট,দুটি ওডিআই এবং চারটি টি টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ রয়েছে। টিম ইন্ডিয়া সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলবে ১৭ ডিসেম্বর জোহানসবার্গে।
এই প্রসঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বয়ান সামনে এসেছে। সৌরভ বলেছেন,আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর এখন থেকেই চলছে।
মঙ্গলবার বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন যে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সূচীতে রয়েছে এবং তারা কোভিড-১৯’র নয়া প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলছে। কোভিডের নতুন প্রজাতির সন্ধান মেলায় ভারতীয় ‘এ’ টিমকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিও ইতিমধ্যেই উঠেছে ভারতের ক্রিকেট মহলে।
বোর্ড প্রেসিডেন্টের বয়ান,”এখন পর্যন্ত সফর নির্দিষ্ট সময় হিসাবে চলছে। আমাদের এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আছে। প্রথম টেস্ট ১৭ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত রয়েছে। আমরা এটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করব।”
ভারত মুম্বইতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলবে এবং সেখান থেকে ৮ বা ৯ ডিসেম্বর বিমানে জোহানেসবার্গের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়েছেন,”খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সবসময়ই বিসিসিআইয়ের প্রথম অগ্রাধিকার, আমরা এর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করব। আমরা দেখব সামনের দিনগুলিতে কী হয়।”
রবি শাস্ত্রীর জমানার পর এখন টিম ইন্ডিয়ার কম্যান্ড হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে। দলের নতুন স্পিরিট, নতুন লক্ষ্য সবকিছুই আলাদা। কিউইদের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের পর রাহুল দ্রাবিড় হেড কোচ হিসেবে প্রথম বিদেশ সফর, দক্ষিণ আফ্রিকায়। বলা চলে রাহুলের দ্রাবিড়ের কাছে এটা acid টেস্ট। কিন্তু রাহুল দ্রাবিড়ের ক্রিকেট দর্শন হল, “কোন বিষয়কে সমস্যা হিসেবে না দেখে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া।” টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে ড্রেসিংরুমে বসে কিভাবে নতুন এই চ্যালেঞ্জেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ক্লিনশিট করে তা দেখার অধীর অপেক্ষায় ক্রিকেট ভক্তরা।
]]>বুধবার এক প্রেস রিলিজ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কুম্বলে সর্বোচ্চ তিন তিন বছরের মেয়াদে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। বুধবার ঘোষণার অংশ হিসেবে আইসিসির চেয়ার গ্রেগ বার্কলে বলেন, “আমি সৌরভকে আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট কমিটির সভাপতির পদে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত।”
বার্কলে বলেন,”বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং পরবর্তীতে একজন প্রশাসক হিসাবে তার অভিজ্ঞতা আমাদের ক্রিকেটের সিদ্ধান্তগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”

বার্কলে প্রেস রিলিজে বলেন,”আমি অনিলকে গত নয় বছরে তার অসামান্য নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই যার মধ্যে ডিআরএসের আরও নিয়মিত এবং ধারাবাহিক প্রয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খেলার উন্নতি করা এবং সন্দেহভাজন বোলিং অ্যাকশনগুলিকে মোকাবেলা করার জন্য একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
আইসিসি আরও ঘোষণা করেছে যে এটি আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) এর বর্তমান ফর্মের সাথে চালিয়ে যাবে, যেখানে শীর্ষ দুটি দল দুই বছর ধরে একটি লিগ পর্বের পরে একটি ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
<
p style=”text-align: justify;”>ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের গর্ভনিং বোর্ড “দেশে সাম্প্রতিক সরকারী পরিবর্তনের আলোকে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং আফগানিস্তানের ক্রিকেটের অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য” একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। চার সদস্যের দলে ইমরান খাজা চেয়ার এবং রস ম্যাককলাম, লসন নাইডু এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান রমিজ রাজা রয়েছেন।
]]>যে লবি সিস্টেম ভেঙে দিয়েছিলেন সৌরভ তা প্রকট হয়ে ফিরে এসেছে ২০২১ সালে। এই সমস্যা মাথাচারা দিচ্ছিল ২০১৯ সালের অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে। ৫০ওভারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল শেষ হতেই বিরাট আর রোহিত দুটো আলাদা ক্যাম্প তৈরি হয়ে গেল দলে। ঘটনার জন্য বিরাট দায়ী, কারন তিনি কোনও প্লেয়ারকে সেট হতে দেননি। স্পিন জুটি থেকে শুরু করে টিম সেটিং হর রোজ নতুন নতুন খেলছে। কেই একবার খারাপ খেললেই দল থেকে বাদ। আবার নতুন।প্লেয়ার নিয়ে পরীক্ষা শুরু। ভেঙেছেন অশ্বিন-জাদেজা জুটি। নিজে তৈরি করেই নষ্ট করেছেন কুল-চা জুটি। চার নম্বরে ব্যাটে কাউকে থিতু হতে দেননি। রোহিত সেই জায়গাটা পেতেই নড়েচড়ে বসলেন সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্সও ভালো। আর দেখে কে?

বিশেষজ্ঞরা সোজাসুজি প্রশ্ন তুলেছেন ঈশান কিষান , সূর্য কুমার যাদব কীভাবে বিশ্বকাপ দলে ঢুকে পড়লেন? যে জায়গাটা শ্রেয়শ আয়াররা খেটে খেটে তৈরি করেছেন সে জায়গায় হঠাৎ করেই সূর্য কুমার যাদব? অভিজ্ঞতার দাম দেওয়া হল না।ইয়ো ইয়ো টেস্ট করে বলা হয় যে কোনও প্লেয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য ফিট কি না সেখানে হার্দিকের মতো আনফিট প্লেয়ার দিব্যি খেলছেন। করছেন লোক দেখানি বোলিং। সৌজন্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্যাম্প। রোহিত ক্যাম্প , তাই রাহুল চাহার দলে আসে অথচ যুজবেন্দ্র চাহল সেরা টি-২০ বোলার হয়েও বিশ্বকাপ দলের বাইরে। শিখর ধাওয়ান , টুর্নামেন্টের আগের সিরিজে , শ্রীলঙ্কায় অধিনায়ক । ফর্মে থেকেও টুর্নামেন্টে দলের বাইরে। পাশাপাশি তিনি কেরিয়ারের সমস্ত আইসিসি ইভেন্টে ব্যাপকভাবে সফল। কেন বাদ গেলেন? বিরাটের উপর ক্ষুব্ধ বোর্ড।
লবি আস্তে আস্তে তৈরি হচ্ছিল। বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই দল নির্বাচন করে সেই সম্ভাবনাকে দুয়ার খুলে আহ্বান জানালেন টিম সৌরভ। যখন তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন এমন লবির জায়গা তৈরি হচ্ছে কেন সেটাকে ভাঙলেন না ? উল্টে সমস্যার গোড়ায় ধুনো দিয়ে গেলেন। সমস্যায় জর্জরিত অধিনায়ক হঠাৎ বড় টুর্নামেন্টের আগে টি-২০ অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন। কোচ? তাঁর উপরে স্পেশাল পুরনো রাগ রয়েছে সৌরভের। ভালো খেলেও আইসিসি ইভেন্টের কাপ আনতে না পেরে সে সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে রবি শাস্ত্রীর জন্য। চাপ তৈরি হল এবং আবারও বড় টুর্নামেন্টের আগে কোচও বলে দিলেন তিনি আর থাকতে চান না। টিমের উপর প্রভাব প্রকট হয়েছে।

অশ্বিন, তাঁকে তো বিরাট খেলাবেন না। তাও আরবের স্লো উইকেটে। খেলবেন উড়ে এসে জুড়ে বসা বরুণ চক্রবর্তী। অশ্বিন তো টি-২০ বিশ্বকাপের দলে আসার জায়গাতেই ছিলেন না। ঢুকলেন রোহিত এবং বোর্ড ক্যাম্প দিয়ে। টিমে তো এলেন কিন্ত অধিনায়ক তো বিরাট, কে জানে বিশ্বের সেরা স্পিনারের সঙ্গে তাঁর কীসের ইগোর লড়াই! যে কোনও মূল্যেই তিনি খেলবেনই না।
এসব প্রশ্ন দল ঘোষণার দিন থেকেই উঠছিল। ফলাফলে তা প্রকট হয়েছে। ঠিক যেন ২০০৭ এর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সঙ্গে যেন বেশ কিছু ক্ষেত্রে মিলে যাচ্ছে এই দলের পরিবেশ পরিস্থিতি। ভুলভাল ব্যাটিং অর্ডার। রোহিত তিনে ঈশান কিষান-রাহুল ওপেন আর চারে বিরাট। পুরো ঘেঁটে ঘ। একই কান্ড হয়েছিল সেবারেও। সেওয়াগ শচীন নন বা সৌরভ সেওয়াগ নন। ওপেন করলেন উথাপ্পা সৌরভ। তিনে নাকি সেওয়াগ। চারে সচিন, পাঁচে অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়, ছয়ে ক্যাপটেন যুবরাজ সিং। টিম ঘেঁটে লাট। বোলিং ইরফান সেই সময়ের সেরা বোলার এবং চ্যাপেল ধন্য হয়েও দলে ছিলেন না। সেবারে চ্যাপেল মোড়ে কীর্তি আর এখন আবার কোহলি এবং টিম সৌরভের জেদাজেদি। ফল ভারতের লজ্জাজনক পারফরম্যান্স। এই লবি না ভাঙলে সময় আরও নিঃসন্দেহে দুরূহ আসতে চলেছে তা বলা যেতেই পারে।
<
p style=”text-align: justify;”>রেমিডি? টিম সৌরভ সাহস নিয়ে করে দিন না পন্থ কে ছোট ফরম্যাটের অধিনায়ক। আপনি তো সাহসী। লবি না বাড়িয়ে একটু ভালো কিছু ভেবে দেখুন না।
]]>কলকাতা ভিত্তিক কর্পোরেট জায়ান্ট সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আরপি গ্রুপ লখনউ আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য ৭,০৯০ কোটির রেকর্ড পরিমাণে বিড জিতে যাওয়ার কয়েকদিন পরেই লোধা কমিটির খাঁড়া নিয়ে চর্চ্চা শুরু হয়। একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, “আচ্ছা, আমি মনে করি তিনি মোহনবাগান থেকে পুরোপুরি সরে যাচ্ছেন। আমি আজ মনে করি। এটা সৌরভের জন্য ঘোষণা করা। মানে, দুঃখিত। “
ইতিমধ্যেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ATKMB থেকে তার ডিরেক্টর পদে পদত্যাগ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, কলকাতার এই হেভিওয়েট দলে যেখানে তারও একটি অংশ রয়েছে।
লোধা কমিটির স্বার্থের সংঘাত নিয়মে বলে দেওয়া আছে, “যখন বিসিসিআই, একজন সদস্য, আইপিএল বা ফ্র্যাঞ্চাইজি এমন সত্ত্বার সাথে চুক্তিবদ্ধ ব্যবস্থায় প্রবেশ করে, যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা তার আত্মীয়, অংশীদার বা ঘনিষ্ঠ সহযোগীর আগ্রহ থাকে।”
কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে,”এই সুপারিশ এমন ঘটনাগুলোর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে যেখানে পরিবারের সদস্য, অংশীদার বা ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা এমন পজিশনে রয়েছে যা একক ব্যক্তির অংশগ্রহণ, কাজের পরিধি এবং ভূমিকা পালন হিসাবে আপোষ করতে পারে বা দেখা যেতে পারে।”
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অতীতেও লোধা কমিটির ‘স্বার্থের সংঘাত’ নিয়মে ৩ বছরের ডেডলাইনের জাঁতাকলে জড়িয়ে পড়েছিলেন।২০১৯ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টা হওয়ার সময় স্বার্থের দ্বন্দ্বের সুপারিশ মেনে পদ থেকে সরিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
]]>“যেখানে প্রাপ্য সেখানে ক্রেডিট দিন। পাকিস্তান আজ ভালো খেলেছে। এটি একটি সম্পূর্ণ দলগত প্রচেষ্টা ছিল। ভারতের জন্য কিছুই হারায়নি এখনও এই ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় আছে।
#IndvPAK #T20WorldCup” এমন ভাবেই রবিবার টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারের মূল্যায়ন করে টুর্নামেন্টে প্রত্যাবর্তনের আশা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দীন।
পাকিস্তান ১০ উইকেটে জিতেছে,ভারতীয় বোলিং লাইন আপকে পিটিয়ে ক্লাব স্তরে নামিয়ে এনে। মহম্মদ রিজওয়ান ৫৫ বলে ৭৯ সঙ্গে বাবর আজম ৫২ বলে ৬৮ রান, দুই পাক ওপেনার অপরাজিত থেকে ম্যাচ ভারতের থেকে ছিনিয়ে জয় হাসিল করেছে তাইই নয়, নয়া ইতিহাস গড়ে তুলেছে।
বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের প্রথম জয় ভারতের বিরুদ্ধে অধিনায়ক বাবর আজমের নেতৃত্বতে,১২-১।তার আগে টসে জিতে পাকিস্তান বোলিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। টিম ইন্ডিয়ার গর্বের ব্যাটিং লাইন আপ শাহিন আফ্রিদির ঝড়ের কবলে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। তাই ‘দাদার’ কথা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল, বলতেই হচ্ছে,”পাকিস্তানও একটি ভালো দল। এক বা দুইজন খেলোয়াড় ক্লিক করলে যা কিছু ঘটতে পারে। “
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লজ্জার হার ভারতের,হতশ্রী পারফরম্যান্স, তীব্র সমালোচনার ঢেউ, এতকিছু সত্ত্বেও প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আজহারউদ্দীন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিরাটের ভারতকে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বলেছিলেন, টিম ইন্ডিয়াকে বিশ্বকাপ জিততে হলে অনেক বেশি ‘ম্যাচিওর’ হতে হবে। বোর্ড প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য উঠে আসার পরেই টিম ইন্ডিয়ার মেন্টর হিসেবে এম এস ধোনির রিক্রুটমেন্ট হয়।
তাই মহম্মদ আজহারউদ্দীন ৩১ অক্টোবর, রবিবার নিউজিল্যান্ড ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার প্রত্যাবর্তনে বিশ্বাস রাখছেন তা অমূলক নয়। কেননা ‘দাদার’ মগজশাস্ত্রে ভরসা দেশের তামাম ক্রিকেট ভক্তদের।
]]>দুবাইতে রবিবার টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ১২ নক আউট স্টেজে ভারত মুখোমুখি হতে চলেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ভারতে ম্যাচ আয়োজন করা কঠিন, কারণ টিকিটের চাহিদা বেশি এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আয়োজন করা সহজ।
দাদার কথায়,”আমি প্রথমবার সিএবি’র ( ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল) সভাপতি হয়েই ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং প্রশাসক হিসেবে এটি ছিল আমার প্রথম ম্যাচ। টিকিটের ব্যাপক চাহিদার কারণে ভারতে পাকিস্তানের সাথে ম্যাচ আয়োজন করা খুবই কঠিন। ওখানে (ভারতে) ম্যাচের ওপর অনেক বেশি মনোযোগ(Attention) ছিল যা এখানে নেই(UAE)।”
এরই সঙ্গে বিসিসিআই সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আশা প্রকাশ করেছেন যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে, এই সংখ্যাটি এখন ১৩-০ হতে পারে।
হ্যাঁ, ১৩-০ এর একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং ভারত এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের অপরাজিত ধারাবাহিকতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই ভারতীয় দলের সকল খেলোয়াড়ই বাস্তবে ম্যাচ বিজয়ী (Match winner) এবং এই দলটি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমাদের ১০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে পারে, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এমনটাই বলেন।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, পাকিস্তানও একটি ভালো দল। এক বা দুইজন খেলোয়াড় ক্লিক করলে যা কিছু ঘটতে পারে। মানসিক লড়াই জেতা জরুরী। আমি মনে করি এটি একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচ হবে।
]]>
এই পোস্টেই দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া।
ঘটনার সূত্রপাত একটি পরিচিত ফেসবুক গ্রুপে, যার মেম্বার সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার। সুতনু দে নামের জনৈক নেটনাগরিক একটি পোস্ট করেন বাঙালির আইকনদের নিয়ে। চারটি ছবির ওই কোলাজে প্রথম ছবিটিই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বাকি তিনজন হলেন স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সুভাষচন্দ্র বসু। তিনজনই শুধু বাঙালির নন, গোটা দেশের পূজিত। রক্তমাংসের মানুষ হলেও যারা মহাপুরুষ, প্রাতঃস্মরণীয়। অন্যদিকে খেলার দুনিয়ায় বাঙালিকে এক অন্য ছবি দেখিয়েছেন সৌরভ। ক্রিকেটার বা জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে অফুরন্ত কৃতিত্বই শুধু না, বেহালার ছেলের লর্ডসের ব্যালকনিতে খালি গায়ে জামা ঘোরানো বা দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে পায়ের ওপর পা তুলে বিশ্বের ক্রিকেট শাসন করতে দেখেও রোমাঞ্চিত হয় বাঙালিরা। কিন্তু তারপরেও তাকে কোনওভাবেই কি ওপরের তিনজনের সঙ্গে বসানো যায়? এই নিয়েই দ্বিধাবিভক্ত নেটদুনিয়া।

অনেকেই জানিয়েছেন, সৌরভ নিজের জায়গায় সেরা। দেশকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন। বেটিং করে অস্তাচলে চলে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটের আকাশে নতুন সুর্যোদয় ঘটিয়েছেন। ফলে তাঁকে মহাপুরুষদের সঙ্গে তুলনা করাই যায়। যদিও বেশীরভাগ নেটিজেনই ভিন্নমত পোষন করেছেন। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে বাঙালির তিন আদর্শের সঙ্গে তুলনা করাকে একেবারেই ভালো চোখে নেননি তাঁরা। রীতিমতো একহাত নিয়েছেন পোস্টদাতাকে। বিধানসভা ভোটের আগে গুঞ্জন উঠেছিল ভারতীয় জনতা পার্টিতে যাচ্ছেন সৌরভ, যা ভালোভাবে নেননি তাঁর বহু অনুগামীই। তা শেষে সত্যি না হলেও বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ায় সৌরভ যথেষ্ট ঘনিষ্ট অমিত শাহ’র পুত্র জয় শাহের (বিসিসিআই সচিব)। ফলে শুধু খেলার রেকর্ডে নয়, প্রতিনিয়ত সৌরভকে কাঁটাছেড়া করা হচ্ছে রাজনৈতিক আঙ্গিকেও। পোস্টের বিরোধীতা বাড়ার সেটাও অন্যতম কারণ।
]]>কেবিসির এই নতুন প্রোমোতে বীরু এবং সৌরভের সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের অনেক মজা করতে দেখা গিয়েছে। অমিতাভ বীরুকে জিজ্ঞেস করেন, ব্যাটিংয়ের সময় আপনি নাকি গুন গুন করে গান করেন? এই প্রশ্নের উত্তরে, বীরু মাথা নেড়ে কিশোর কুমারের গান ‘চালা যাতা হু কিসি কি ধুন মে’ গাইতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, অমিতাভ অনেকবার বীরু এবং মহারাজের সঙ্গে মজা করেছেন।
View this post on Instagram
এই শোতে অমিতাভ বচ্চন একবার সেওয়াগকে ফের জিজ্ঞাসা করেন, যদি ভারতীয় দল পাকিস্তান বা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিততে পারে, তাহলে আপনি টিম ইন্ডিয়ার জন্য কোন দুটি লাইন উৎসর্গ করবেন? এই বিষয়ে বীরু হাসতে হাসতে অমিতাভের জনপ্রিয় শাহেনশাহের সংলাপ তুলে ধরে বলেন, ‘‘‘রিস্তে মে তো হম তোমারা বাপ লাগতে হ্যায়’’৷
আর একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় বীরু প্রাক্তন ভারতীয় কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের দিকেও কটাক্ষ করেছিলেন। অমিতাভ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, যদি গ্রেগ চ্যাপেলের জন্য একটি গান উৎসর্গ করতে হয়, তাহলে সেটা কোনটি হবে? বীরু এই বিষয়ে গেয়ে ওঠেন, অপনি তো জেয়সে তেয়সে কাট জায়েগি, আপকা কেয়া হোগা জবান-ই-আলি’৷ গাঙ্গুলি এবং অমিতাভ দুজনেই এটা শুনে হাসতে লাগলেন। আসলে গাঙ্গুলি এবং চ্যাপেলের মধ্যে অনেক বিতর্ক ছিল।
]]>