पारी के 20वें ओवर में हार्दिक पंड्या की गेंद पर सूर्यकुमार यादव ने डेविड मिलर का हैरतअंगेज कैच लपका। सूर्यकुमार यादव के इस कैच के बदौलत ही साउथ अफ्रीका की टीम बैकफुट पर आ गई और इसके बाद हार्दिक ने फिर कोई मौका नहीं दिया।
अंतिम ओवर में साउथ अफ्रीका की टीम को 16 रन की जरूरत थी, लेकिन हार्दिक पांड्या ने सिर्फ 9 रन दिए जिससे भारत ने 7 रन से इस मैच को अपने नाम कर लिया।
]]>दक्षिण अफ्रीका में जन्मे डेविड वीजे का क्रिकेट करियर शानदार रहा। उन्होंने पहले अफ्रीकी टीम की तरफ से क्रिकेट के मैदान में एंट्री ली। उसके बाद वह नामीबियाई क्रिकेट टीम की भी सेवा करने में कामयाब रहे।
डेविड वीजे भारत की प्रतिष्ठित लीग आईपीएल में भी शिरकत कर चुके हैं। यहां उनका विराट कोहली से संबंध भी काफी अच्छा रहा. हालांकि, उनके समय में भी रॉयल चैलेंजर्स बेंगलुरु की टीम खिताब उठाने में नाकामयाब रही थी।
इंटरनेशनल लेवल पर डेविड वीजे कुल 69 मुकाबले खेलने में कामयाब रहे। इसमें 15 वनडे मुकाबले जबकि 54 टी20 इंटरनेशनल मैच शामिल हैं. वीजे वनडे की 15 पारियों में 25.38 की औसत से 330 रन बनाने में कामयाब रहे। इस दौरान उनके बल्ले से एक अर्धशतक निकला. वहीं टी20 की 40 पारियों में उनके बल्ले से 24.0 की औसत से 624 रन निकले।
बात करें उनके गेंदबाजी प्रदर्शन के बारे में तो वह वनडे की 15 पारियों में 45.73 की औसत से 15 विकेट चटकाने में कामयाब रहे। इसके अलावा टी20 की 54 पारियों में उन्हें 22.02 की औसत से 59 सफलता हाथ लगी।
डेविड वीजे ने आईपीएल के कुल 18 मुकाबलों में शिरकत की है. इस बीच उनके बल्ले से 11 पारियों में 29.6 की औसत से 148 रन निकले। वहीं गेंदबाजी के दौरान वह 15 पारियों में 27.5 की औसत से 16 विकेट चटकाने में कामयाब रहे।
]]>অধিনায়ক ডিন এলগার (২৮),কিগান পিটারসেন (৬২),ডুসান(১),বাভুমা (৫১),ভেরেইন(২১),মার্কো জ্যানসেন(২১),এনগিদি (০) এই সাতজন শার্দূলের শিকার।নিজেদের প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা ২২৯ রানে অল আউট হয়ে যায়। লড়াই ছুঁড়ে দেয় কিগান পিটারসেন ৬২ এবং বাভুমা ৫১ রান করে। কিন্তু ভারতীয় পেস ব্যাটারি ফুল চার্জে থাকায় দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের লড়াই বেশিক্ষণ টেকে নি। সামি ২, বুমরাহ ১ উইকেট পায়।
দ্বিতীয় টেস্টে, প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে বল হাতে শার্দূল ঠাকুরের এমন দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর, ‘ক্রিকেটের ভগবান’ সচিন তেন্ডুলকর নিজের আবেগ চেপে রাখতে না পেরে টুইট পোস্টে লেখেন,”অভিনন্দন @imShard কে তার স্থির বোলিং এবং বৈচিত্র দিয়ে ৭ উইকেট নেওয়ার জন্য। অন্যদের দ্বারা ভাল সমর্থন”।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ব্যাট করতে নেমে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেকায়দা, প্রোটিয়া বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে। কেএল রাহুল(৮) এবং মায়াঙ্ক অগ্রবাল(২৩) দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে এখন কোণঠাসা ভারত ধুকছে।ক্রিজে রয়েছে চেতেশ্বর পূজারা ১০ এবং অজিঙ্কা রাহানে ৩, ভারত ২ উইকেটের বিনিময়ে ৫০ রান তুলেছে স্কোরবোর্ডে। ভারত এগিয়ে মাত্র ২৩ রানে।
]]>প্রথম দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫ রান তুলেছে ১ উইকেটের বিনিময়ে। মঙ্গলবার ভারতকে ৯ উইকেট তুলতে হবে প্রোটিয়াদের। এমন পরিস্থিতি টিম ইন্ডিয়ার স্ট্রেহ্ন এন্ড কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাই কত দ্রুত মহম্মদ সিরাজকে খেলার উপযোগী করে মাঠে বল করার জন্য ফেরাতে পারে, এটাই এখন আসন্ন ২৪ ঘন্টায় টিম ইন্ডিয়ার অন্দরমহল জুড়ে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
মহম্মদ সামি ভারতকে প্রাথমিক সাফল্য এনে দেন, কিন্তু ডিন এলগার এবং কিগান পিটারসেন প্রোটিয়াদের জাহাজের হাল ধরে।দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মার্করামের উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তুলেছে।ক্রিজে এলগার ১১ এবং পিটারসেন ১৪ রানে অপরাজিত। প্রোটিয়ারা এখনও ১৬৭ রানে পিছিয়ে।
সোমবার সকালে ম্যাচ শুরর আগে পিঠের ওপড়ের অংশে খিঁচুনি অনুভব করেন। বাধ্য হয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট বিরাট কোহলিকে বাদ দিয়ে প্রথম একাদশ নির্বাচন করে। কেএল রাহুলকে অধিনায়ক ঘোষণা করে ভারত টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রথম ইনিংসে টিম ইন্ডিয়া ২০২ রানে অল আউট হয়ে যায়। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৫০ বলে ৪৬ রানের দুরন্ত ব্যাটিং। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ১৩৩ বলে ৫০ রান করে মার্কো জ্যানসনের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরে আসে। বিরাট কোহলির বাদ যাওয়ার কারণে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া হনুমা বিহারি তেমন কিছুই করতে পারেনি,২০ রান করে ফিরে আসে।
অজিঙ্কা রাহানে রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন। কেএল রাহুল এবং অশ্বিন ছাড়া কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যান প্রোটিয়া বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে মুখ তুলে দাঁড়াতে পারেনি।
মায়াঙ্ক ২৬,পূজারা ৩,পহ্ন ১৭ অন্যদিকে শার্দূল ঠাকুর রানের খাতা না খুলেই আউট। এই হল প্রথম ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স।
ওয়ান্ডারার্সে দ্বিতীয় টেস্টে প্রোটিয়াদের জমকালো বোলিং পারফরম্যান্স দেখা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বাহাতি জোরে বোলার মার্কো জ্যানসনের ৪ উইকেট, ৩১ রানে। কাগিসো রাবাদা এবং ডুয়ান অলিভিয়ার ৩ টি করে উইকেট পেয়েছে।
এদিন সকালে ম্যাচ শুরর আগে পিঠের ওপড়ের অংশে খিঁচুনি অনুভব করেন। বাধ্য হয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট বিরাট কোহলিকে বাদ দিয়ে প্রথম একাদশ নির্বাচন করে। কেএল রাহুলকে অধিনায়ক ঘোষণা করে ভারত টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়।

অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ১৩৩ বলে ৫০ রান করে মার্কো জ্যানসনের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরে আসে। বিরাট কোহলির বাদ যাওয়ার কারণে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া হনুমা বিহারি তেমন কিছুই করতে পারেনি,২০ রান করে ফিরে আসে।
অজিঙ্কা রাহানে রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন। কেএল রাহুল এবং অশ্বিন ছাড়া কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যান প্রোটিয়া বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে মুখ তুলে দাঁড়াতে পারেনি।
<
p style=”text-align: justify;”>মায়াঙ্ক ২৬,পূজারা ৩,পহ্ন ১৭ অন্যদিকে শার্দূল ঠাকুর রানের খাতা না খুলেই আউট। এই হল প্রথম ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স।
কাগিসো রাবাদা এবং ডুয়ান অলিভিয়ার ৩ টি করে উইকেট পেয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ১৮ রানে ১ উইকেট। মহম্মদ সামির বলে মার্করাম ৭ রানে এলবিডব্লু আউট। ক্রিজে অধিনায়ক ডিন এলগার ৬ এবং কিগুন পিটারসন ৩ রানে ব্যাট করছে।
চলতি সিরিজে ভারত ‘বক্সিং ডে’ টেস্টে প্রোটিয়াদের শক্ত ঘাটি সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্কে ১১৩ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে, সিরিজে আপাতত ১-০’তে এগিয়ে।
এশিয়া মহাদেশের টেস্ট ক্রিকেট খেলা দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২০২১-২২ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে প্রোটিয়াদের অভেদ্য দূর্গ বলে পরিচিত সেঞ্চুরিয়নে ডিন এলগারদের ধুলো মাখিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ জয় করেছে। জয়ের এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রেখে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ই যে এখন টিম ইন্ডিয়ার পাখির চোখ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় ভারত মায়াঙ্ক অগ্রবাল ১৪ এবং কেএল রাহুল ১ রানে ব্যাট করছে। ভারতের রান ১৬, কোন উইকেট না হারিয়ে।
দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগে অজিঙ্কা রাহানে বলেন, আমি এই মাঠ ভালোবাসি, এখানে খেলতে ভালোবাসি কারণ আমি খুব ভালো ভাইবস পাই। আমরা প্রথম টেস্ট জিতেছি, কিন্তু এটা গোড়া থেকে শুরু করার কথা।
রাহানে বলেন, এটা সবই নতুন করে শুরু করা এবং আমাদের আজকের সেরা দেওয়ার বিষয়ে। আমরা বর্তমানের মধ্যে থাকতে পছন্দ করি। আমাদের দুটো ম্যাচ বাকি আছে, তাই আমাদের ইতিবাচক হতে হবে এবং আমাদের সেরাটা দিতে হবে। শেষ টেস্টে দল হিসেবে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল, কিন্তু আমাদের এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী খেলতে হবে।
প্রথম টেস্টে নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে রাহানে বিলেন, গত ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করায় আমি মানসিকভাবে ভালো বোধ করছি, কিন্তু দুই ইনিংসে যেভাবে আউট হয়েছি তাতে হতাশ হয়েছি।
Toss Update – KL Rahul has won the toss and elects to bat first in the 2nd Test.
Captain Virat Kohli misses out with an upper back spasm.#SAvIND pic.twitter.com/2YarVIea4H
— BCCI (@BCCI) January 3, 2022
দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের প্রথম একাদশ : কেএল রাহুল (অধিনায়ক), মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, হনুমা বিহারী, ঋষভ পহ্ন (উইকেটরক্ষক), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ সামি, জসপ্রিত বুমরাহ(সহ অধিনায়ক), মহম্মদ সিরাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম একাদশ : ডিন এলগার (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, কিগান পিটারসেন, রাসি ভ্যান ডের ডুসেন, টেম্বা বাভুমা, কাইল ভেরেইন (উইকেটরক্ষক), মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা, কেসব মহারাজ, ডুয়ান অলিভিয়ার, লুঙ্গি এনগিদি।
]]>আগুন নিয়ন্ত্রণের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল বাহিনীর কর্মীরা। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
পার্লামেন্টের কাছেই সেন্ট জর্জ ক্যাথিড্রালে কিংবদন্তি বর্ণবৈষম্য বিরোধী নেতা আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই ঘটনাটি ঘটল।
মনে করা হচ্ছে, সংসদ এলাকার একটি পুরানো ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়, যার ফলে ক্যাথিড্রালের কাছাকাছি একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি হয় যেখানে বর্ণবৈষম্যবিরোধী আইকন আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুকে মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।
কেপ টাউনের জরুরি বিভাগের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ছাদে আগুন লেগেছে এবং জাতীয় সংসদ ভবনেও আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে নেই এবং ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।” যদিও এই ঘটনায় এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। আগুন বর্তমানে তৃতীয় তলায় রয়েছে। স্থানীয়রা ভোরে ভবনের উপরে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া দেখতে পান। এদিকে উদ্বিগ্ন কেপ টাউনের বাসিন্দারা দ্রুত টুইটারে আগুনের ছবি শেয়ার করেছেন।
কেপ টাউনের প্রাক্তন মেয়র এবং বর্তমান মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া ডি লিল ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “প্রকৃত জাতীয় সংসদ এখনও নিরাপদ”। তিনি আরও বলেন, “দমকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।” অগ্নিনির্বাপক বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, আগুনে জল স্প্রে করার জন্য একটি ক্রেন ব্যবহার করছে বলে খবর। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই বিধ্বংসী আগুনের জেরে সুসজ্জিত ভবনের অনেক ক্ষতি হতে পারে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসছে, আগুনটি প্রথমে অফিসে লাগে তারপর সেটা ক্রমেই জিমের দিকে এগিয়ে যায়। কেপ টাউনের সংসদ ভবন তিনটি বিভাগ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে মূল এবং প্রাচীনতম ভবনও রয়েছে যা কিনা ১৮৮৪ সালে তৈরি হয়েছিল। এছাড়া ১৯২০ এবং ১৯৮০-এর দশকে নির্মিত নতুন সংযোজনগুলিতে জাতীয় সংসদ রয়েছে।
]]>ওডিআই সিরিজে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবে কেএল রাহুল এবং সহ অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহ। বিসিসিআই টুইট করে জানিয়েছে,”#দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ওয়ানডে সিরিজের জন্য টিম ইন্ডিয়া ঘোষণা।
সর্বভারতীয় সিনিয়র সিলেকশন কমিটি ওডিআই সিরিজের জন্য মিস্টার কেএল রাহুলকে অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করেছে কারণ মিস্টার রোহিত শর্মা ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছেন”।
রোহিত শর্মা হ্যামস্ট্রিং’র ইনজুরির কারণে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমিতে (NCA) রোহিতের রিহ্যাবিলিটেশন প্রক্রিয়া চলছে।
#TeamIndia for three ODI series against South Africa announced.
The All-India Senior Selection Committee has named Mr KL Rahul as Captain for the ODI series as Mr Rohit Sharma is ruled out owing to an injury.
WATCH the PC live here – https://t.co/IVYMIoWXkq
— BCCI (@BCCI) December 31, 2021
বিসিসিআই শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের জন্য যে দল ঘোষণা করেছে তা হল এমনটা: কেএল রাহুল (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, রুতুরাজ গায়কওয়াড়, বিরাট কোহলি, সূর্য কুমার যাদব, শ্রেয়স আইয়ার, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, ঋষভ পহ্ন (উইকেটরক্ষক), ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), যুজবেন্দ্র চাহাল, আর অশ্বিন, ওয়াশিংটন সুন্দর, জসপ্রীত বুমরাহ (সহ- অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, দীপক চাহার, প্রসিধ কৃষ্ণ, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ।
]]>সুপারস্পোর্টস পার্কে প্রথম টেস্টে হারের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার বলেন,”ম্যাচের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এলগার বলেন, “আমি মনে করি না জোহানেসবার্গে যাওয়া আমাদের আত্মবিশ্বাসকে কোনোভাবেই কমিয়ে দেবে। একটিও ম্যাচ হারানো কখনই ভালো নয়, বিশেষ করে যখন আমরা জানি আমরা কোথায় ভুল করেছি। ম্যাচ চলাকালীন সেই ভুলগুলো শোধরানো কঠিন”। আত্ম বিশ্লেষণের ঢঙে এলগার আরও বলেন,”আশা করি ওয়ান্ডারার্সে (জোহানেসবার্গ) দ্বিতীয় টেস্টে নামা পর্যন্ত আমাদের কিছু সময় থাকবে। আমাদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করার জন্য আমরা সময় পাব”।
গত ছয় মাসের মধ্যে সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এলগারের নেতৃত্বে প্রোটিয়া দল খেলেছে মাত্র ছয় টেস্ট ম্যাচ। এর আগে অস্ট্রেলিয়া ৪ টেস্টের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে অস্বীকার করেছিল। দলের নিয়মিত অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর এলগার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছেন, কিন্তু ভারতের কাছে প্রথম টেস্টে হারের মুখ দেখতে হয়েছে।
ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে পরাজয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের আত্মবিশ্বাস কি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে এই প্রসঙ্গে অধিনায়ক ডিন এলগার বলেন, “আমি মনে করি না এটা (প্রথম টেস্টে হার) আমাদের আত্মবিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেবে। আমরা গত ছয় মাসে তুলনামূলকভাবে ভালো করেছি, তাই আমাদের যে ধরনের ভালো শক্তি আছে তা ব্যবহার করতে হবে।” দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এও বলেন, “হ্যাঁ, আমরা অবশ্যই গ্রুপ হিসেবে আমাদের খেলা পর্যালোচনা করব। আমরা অবশ্যই ফিরে আসব। এমনটাই আমি আশা করছি”।
সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের প্রথম দিনে তিন উইকেটে ২৭০ রান করার পর ভারতীয় দল ভালো অবস্থানে ছিল। কেএল রাহুল এই সময়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি খেলেন। এই প্রসঙ্গে ডিন এলগার বলেন, “ভারত প্রথম ইনিংসে ৩০০’র বেশি রান করেছিল, টস জেতাও তাদের পক্ষে গিয়েছিল। এই রানের জন্য আমাদের খেলার বাকি চার দিন খরচ হয়েছে। প্রথম দিনে আপনি যদি মাত্র তিনটি উইকেট নেন, তাহলে অবশ্যই এর জন্য আপনাকে অনেক মূল্য দিতে হবে।
ভারতীয় দল প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট জিতেছে, এই মাঠে ২৬ টি টেস্ট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার এটা দ্বিতীয় পরাজয়। এলগার বলেন, মহম্মদ সামি এবং জসপ্রিত বুমরাহ প্রথম টেস্টে ১৩ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছে, এদের বিরুদ্ধে তার দলকে সতর্ক থাকতে হবে। ভারতীয় বোলিং লাইন আপকে মূল্যায়ন প্রসঙ্গে প্রোটিয়াদের অধিনায়ক এলগার বলেন “সামি স্পষ্টতই আমাদের ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলেছে। বুমরাহ সবসময় শক্তিতে ভরপুর। উভয়ের বিরুদ্ধেই সতর্ক থাকতে হবে। তাদের (ভারত) বোলিং খুবই ভারসাম্যপূর্ণ”।
সেঞ্চুরিয়নে, প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগার অর্ধশতরান করেছিলেন।
]]>ভারতের প্রথম ইনিংসে কেএল রাহুল দুরন্ত শতরান করে সকলের নজর কেড়ে নেয়, ‘মিস্টার সেঞ্চুরিয়ন’ নামে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব রাহুলকে এই নামে ডাকতে শুরু করে ১২৩ রানের নান্দনিক ইনিংসের সুবাদে। মায়াঙ্ক অগ্রবালের ৬০ রান এবং অধিনায়ক কোহলি ৯৪ বল ফেস করে ৩৫ রানে আউট হওয়া ঘিরে চর্চ্চা কম হয়নি। প্রথম ইনিংসে অজিঙ্কা রাহানে মাত্র দুই রানের জন্য নিজের অর্ধশতরান মিস করে ৪৮ রানে আউট হয়ে। ভারতের প্রথম ইনিংসে লুঙ্গি এনগিদি বল হাতে ঝলসে ওঠে এবং ৭১ রানে ৬ উইকেট তুলে নেয়।রাবাদা তিন এবং জ্যানসন এক উইকেট পায়। ভারত ৩২৭ রানে অল আউট হয়ে যায়।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় পেস বোলার মহম্মদ সামির অভিঞ্জতার মুখে পড়ে বেসামাল হয়ে পড়ে। সামি বল হাতে ৫ উইকেট তুলে নেয় প্রোটিয়াদের ৪৪ রান দিয়ে।

অনভিজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই ‘অশনিসংকেত’ দিয়ে রেখেছিলেন প্রাক্তন জোরে বোলার মাখায়া এনতিনি এবং কিংবদন্তী প্রাক্তন পেস বোলার অ্যালান ডোনাল্ড। দুই প্রাক্তনী দক্ষিণ আফ্রিকান পেস বোলারের মোট কথা ছিল, ভারতীয় বোলিং লাইন আপ অভিঞ্জতায় ঠাসা এবং ফলে ব্যাট বলের লড়াই দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন তারা। হলও তাইই। সামি তুললেন ৫ উইকেট এবং বুমরাহ এবং শার্দূল ঠাকুর ২, সিরাজ এক উইকেট। প্রোটিয়ারা ১৯৭ রানে অল আউট প্রথম ইনিংসে।
প্রথম ইনিংসে বাভুমা ৫২,ডি কক ৩৪, রাবাদা ২৫ বলার মতো রান করে।দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সাড়ির ব্যাটসম্যানরা সামি,বুমরাহ,সিরাজদের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে এটে উঠতে পারেনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ১৭৪ রানে অল আউট হয়। দ্রাবিড়ীয় ‘মন্ত্র’ মুখ থুবড়ে পড়ে শার্দূল ঠাকুরকে ফাস্ট ডাউনে ‘সারপ্রাইজ অ্যাটাকা’র হিসেবে প্রোটিয়া বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে। কেননা ভারতের প্রথম ইনিংসে চেতেশ্বর পূজারা লুঙ্গি এনগিদির বলে রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়ন ফিরে আসেন।তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি শার্দূলকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে তুলে আনতে স্ট্র্যাটেজি নিলেও তা কাজে আসেনি।
অধিনায়ক কোহলির ব্যাট করতে নেমে মার্কো জ্যানসনের আউট সুইং বলকে শরীর থেকে দূরে থেকে, কোনও ফুটওয়ার্ক ছাড়া আউট অফ স্টাম্প থেকে খোঁচা মারা জ্যাকসনের ‘নিরীহ’ আউট সুইংকে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে বন্দী বোলার জ্যাকসনের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ‘ফিচকি হাসি’ আর গোটা প্রোটিয়া শিবিরের উল্লাস ব্যক্তিগত ১৮ রানে বিরাট আউটে সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক ট্রোলিং’র শিকার ক্যাপ্টেন কোহলি।
ড্রেসিংরুমে চুপসে যাওয়া মুখে টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন কোহলি ‘বিরাট মুখ’ যন্ত্রণায় কাতরানো এবং অসহায়তার শরিরী ভাষা (বডি ল্যাঙ্গুয়েজ) ভারতের ক্রিকেট ভক্তদের আবেগকে ঘৃণা আর রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে টুইটারে ট্রোলিং’র পথে ‘বিরাট আউট কান্ডে’।
দ্বিতীয় ইনিংসে রাহানে ২০ আর ঋষভ পহ্নের ঝড়ো ৩৪ বলে ৩৪ রান এবং অশ্বিনের ব্যাট হাতে কামাল করে দেওয়া টাইমিং মহার্ঘ্য ১৪ রান ভারতকে লড়াইতে ফিরিয়ে আনে, বিরাট ‘বিভ্রাটে’র পরে। বল হাতে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা ও জ্যানসনের ৪ উইকেট এবং এনগিদির দুই উইকেট চতুর্থ দিনের টেস্টকে জমিয়ে তোলে, সেঞ্চুরিয়নে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরাহ,সামি, সিরাজ এবং অশ্বিনের ঘূর্ণির বাঁকে পড়ে ল্যাজেগোবরে হয়ে ১৯১ রানে অল আউট হতেই ভারত প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়নে ১১৩ রানের বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে।
প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে মহম্মদ সামির তিন উইকেট আর প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট মোট ৮ উইকেট দুরন্ত পারফরম্যান্স। ৫ উইকেট নিয়ে সামি ২০০ টেস্ট উইকেট শিকার লাল বলের ফর্ম্যাটে এমন কৃতিত্ব গড়ার নজিরে পরিবারের অবদানকে কুর্নিস জানাতে ভোলে নি ‘বাংলার সুলতান’ মহম্মদ সামি।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিনের শেষ বলে জসপ্রীত বুমরাহের ইয়র্কার ডেলিভারিতে কেসব মহারাজের স্টাম্প ছিটকে পড়া আর পঞ্চম দিনে ভারতের জয়ের ‘পথের কাটা’ প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার ৭৭ রানে এলবিডব্লু’র শিকার বুমরাহের ডেলিভারিতে টিম বিরাটকে স্বস্তি শুধু এনেই দেয়নি, সঙ্গে সুপারস্পোর্টস পার্কে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ের দোড়গোড়ায় প্রায় পৌছে দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এলগার ‘কাটা’ উপড়ে ফেলে(আউট করে) চতুর্থ দিনে চোট পাওয়া বুমরাহ বল হাতে ক্যারিশমা গোটা ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সকে চরম শিখরে নিয়ে যায়, যেখানে টিম ইন্ডিয়া শুধুই ক্ষুধার্ত আফ্রিকা রাজা সিংহের হুঙ্কার ছুঁড়ে দেয় প্রোটিয়া টেল এন্ডারদের বিরুদ্ধে।
টেম্বা বাভুমা শেষ পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকে অপরাজিত ৩৫ রান করে, ৮০ বল ফেস করে।ডি ককের ২১ এবং শেষ মুহুর্তে মার্কো জ্যানসন,কাগিসো রাবাদা এবং লুঙ্গি এনিগিদির যাওয়া আর আসা ভারতের জয়কে নিশ্চিত করে তোলে।
<
p style=”text-align: justify;”>পঞ্চম দিনে খেলার শেষ শেষ মুহুর্তে ৬৬.৫ ওভারে সামির বলে মার্কো জ্যানসনের ক্যাচ পহ্নের গ্লাভসে ধরা পড়ে, পরের ওভারে পঞ্চম ডেলিভারিতে রাবাদা অশ্বিনের বলে ক্যাচ তুলে সামির হাতে বন্দি আর ৬৭.৬ ওভারে অর্থাৎ পরের বলেই এনগিদি অশ্বিনের বলে পূজারার হাতে ক্যাচ দিতেই, সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট ভারত পকেটে পুড়ে ফেলে।
]]>“Indian Cricket Team” সোশাল মিডিয়াতে প্রথম দিনের শেষে গাড়িতে করে টিম হোটেলে ফেরার পথে কেএল রাহুল নিজের ইনিংস নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভিডিও পোস্টে বলেন,”আমি কেএল রাহুল সেঞ্চুরিয়ন থেকে বলছি,এটা নতুন এবং আশা রাখি আপনারা এই ইনিংস উপভোগ করেছেন”। মনের গভীরে শতরানের আনন্দ এবং প্রথম দিনের শেষে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে নট আউট এমন পারফর্মের পরেও কেএল রাহুলের ফোকাস সড়ে যায়নি।বরংঞ্চ দ্বিতীয় দিনে ব্যাট হাতে ভারতের প্রথম ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ইস্যুতে ফোকাস রয়েছেন, তা রাহুলের মুখের হাল্কা ঝিলিক থেকেই রোদ ঝলমলে পরিবেশের মতোই পরিষ্কার।
ক্রিজে কেএল রাহুলের সঙ্গে জুটিতে রয়েছে অজিঙ্কা রাহানে ৪০ রানে অপরাজিত। ভারত ৩ উইকেটে ২৭২ রান তুলেছে প্রথম টেস্টের, প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
ভারতের হয়ে মায়াঙ্ক অগ্রবাল ৬০,চেতেশ্বর পূজারা রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়, আর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৩৫ রানে আউট। প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভারত টসে জিতে ব্যাটিং’র সিদ্ধান্ত নেয়, যা ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত ম্যাচ সিচুয়েশনে। কিন্তু প্রথমে ব্যাটিং নিয়েও মায়াঙ্ক এবং বিরাট দুজনেই সেট ব্যাটসম্যান হয়ে আউট হওয়া টিম ইন্ডিয়ার কাছে প্রথম ইনিংসের প্রেক্ষিতে বড়সর ব্রেকফেল।
লুঙ্গি এনগিডি ১৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে প্রথম দিনে ভারতের বিরুদ্ধে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স রেখেছে প্রোটিয়ার্সদের হয়ে।
যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ ডানহাতি পেস বোলার লুঙ্গি এনগিদি ব্যাক টু ব্যাক মায়াঙ্ক অগ্রবাল এবং চেতেশ্বর পূজারার উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের রান তোলার গতিতে রাশ টেনে ধরে এবং ৯৪ বল ফেস করে বিরাট ‘ফণা’ মেলে ধরার আগেই ক্যাপ্টেন কোহলিকে আউট করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দেন, তা টেস্ট ক্রিকেটে চার্মসকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রথম টেস্টেএ দ্বিতীয় দিনে কি হয় কি হয়? এমন ম্যাচ টেম্পারমেন্ট নিয়েই দুই দল বাইশ গজের ব্যাটলফিল্ডে নামতে চলেছে, যা ‘বক্সিং ডে’ টেস্টকে আরও মেলোড্রামাটিক করে তুলবে।
]]>যুবি’র টুইট পোস্ট,”সেখানে কিছু চরিত্র দেখিয়েছে ছেলেটি ‘কী একটি নক
@klrahul11 ভাল খেলেছে @mayankcricket #IndiavsSA”। ভারতীয় ওপেনার হিসেবে বিদেশের মাটিতে সবথেকে বেশি টেস্ট ক্রিকেটে শতরানের মালিক কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কারের মোট ১৫ টি। এরপরেই রয়েছে কেএল রাহুলের নাম ৫ টি শতরান, তিন নম্বরে বীরেন্দ্র সেহবাগের ৪ টি শতরান রয়েছে, বিদেশের মাটিতে।
বক্সিং ডে টেস্টে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর “মিস্টার সেঞ্চুরিয়ন” কেএল রাহুল গাড়িতে চেপে টিম হোটেলে ফেরার পথে বিসিসিআই’র টুইট ভিডিও নিজের প্রতিক্রিয়াতে বলেন,”এটা সত্যি খুবই স্পেশাল আমার কাছে, প্রতিটি শতরানের মতো। এটা খুবই আনন্দের মুহুর্ত,অনেক আবেগের চাঁদড়ে মোড়ানো পথে এই শতরান। টানা ৬-৭ ঘন্টা খেলে, লড়াই করে এই ইনিংস, একজন খেলোয়াড়ের কাছেও তৃপ্তিকর”।
“মিস্টার সেঞ্চুরিয়ন” এই নামেই ক্রিকেট মহল এখন কেএল রাহুলকে প্রশংসিত করছে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দলের কঠিন সময়ে হাল ধরে রেখে শতরান করার সুবাদে। কেএল রাহুলের এমন নজরকাড়া পারফরম্যান্সের প্রতিক্রিয়াতে সদ্য অবসর নেওয়া ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিং নিজের টুইটার হ্যাণ্ডেল ‘হরভজন টার্বোনেটর’এ পোস্ট,”ভালো খেলেছে @klrahul11 টপ ক্লাস 


@BCCI #INDvsSA “।
ইতিমধ্যেই, কেএল রাহুল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ওপেনারদের মধ্যে ওয়াসিম জাফরের সর্বোচ্চ ১১৬ রানের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন, যা জাফর
২০০৭ কেপটাউন টেস্টে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে করেছিল। রবিবার সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনে কেএল রাহুল ১২২ রানে অপরাজিত। ওয়াল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে তিন টেস্ট ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসে ভারতীয় ওপেনার ব্যাটসম্যান কেএল রাহুলের দুরন্ত পারফরম্যান্স নিয়ে তোলাপাড় গোটা বিশ্বের ক্রিকেট মহল।
প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্ব ক্রিকেট মহলের গত রবিবার কেএল রাহুলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনার কারণ উইজডেন ইন্ডিয়ার টুইট পোস্ট লক্ষ্যণীয়। ওই টুইট পোস্ট হল,”টেস্ট দলে ফেরার পর থেকে কেএল রাহুলের স্কোর (দুই বছরের ব্যবধানের পর):
84, 26, 129, 5, 0, 8, 17, 46, 122*
#SAvIND”। দু,বছর পর শতরান দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে, আর এই কারণেই কেএল রাহুলের শতরান নিয়ে এত চর্চ্চা ক্রিকেট এরিনায়।
]]>এবার ভারতকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবার সিরিজ জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ১-২এ হারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে।
প্রাক্তন পেস বোলার মাখায়া অ্যান্টনি ভারতের বিরুদ্ধে ২০০১ এবং ২০০৬-০৭ হোম সিরিজে খেলেছিলেন। ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার এক প্রেস বিবৃতিতে মাখায়া অ্যান্টনি বলেন, ‘ভারতের বোলিং আক্রমণ এবার খুব ভালো, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা তাদের ঘরের অবস্থা ভালো জানেন। আমি মনে করি এটা গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ মাখায়া বলেন, ‘আমাদের নিজেদের সমর্থন করতে হবে কারণ ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা আছে। আমাদের খেলোয়াড়রা উইকেট খুব ভালো করে জানে এবং সেটাই আমাদেরকে তাদের ওপর থেকে এগিয়ে দেবে’।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেস বোলার অ্যালান ডোনাল্ড বলেন, যে দল ভালো ব্যাট করবে তারাই সিরিজ জিতবে। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৯২-৯৩ সিরিজের পাশাপাশি ঘরের মাঠে ১৯৯৬-৯৭ সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ডোনাল্ড আরও বলেন, ‘দুই দলেরই খুব ভালো লাইন আপ, দুজনেরই খুব শক্তিশালী বোলিং এবং এর মানে দুই দলের ব্যাটিং পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে’। ডোনাল্ডের কথায়,এই সত্য লুকানো যায় না যে, এটি একটি তরুণ ব্যাটিং লাইন আপ এবং ভারতীয় আক্রমণ তাদের পরীক্ষা করবে।
অ্যালান ডোনাল্ড আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এটা সিরিজের ফলাফল নির্ধারণ করবে। আমরা গত কয়েক মরসুমে খুব বেশি গোল করতে পারিনি এবং এটি একটি চ্যালেঞ্জ হবে। আমরা যদি বোর্ডে অনেক রান পাই, তাহলে আমাদের বোলার আছে যারা ২০ উইকেট নিতে পারে তাতে কোনো সন্দেহ নেই’। ডোনাল্ড বলেছেন, ভারত বিদেশ সফরে সাফল্য অর্জনের জন্য সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেস বোলার অ্যালান ডোনাল্ড বলেন, “কয়েক বছর ধরে (বিরাট) কোহলির একটি মন্তব্য রয়েছে যে আপনি বিদেশে জিততে না পারলে আপনাকে একটি দুর্দান্ত দল হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে না এবং তিনি সত্যিই এটির দিকে কাজ করেছেন। আপনি তাকে অস্ট্রেলিয়ায় জিততে দেখেছেন এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছেন’। ডোনাল্ডের কথায়, ‘এটি’ই সেরা ভারতীয় দল। আমি এই চ্যালেঞ্জ দেখার জন্য উন্মুখ’।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে প্রোটিয়ার্সদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের মালিক তিনটে দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা। তালিকায় ভারত এখনও শত যোজন দূরে। কিন্তু ইতিহাসের চাকা ঘোড়াতে বিরাট এন্ড হিজ কোম্পানি কোমড়ে গামছা বেঁধে, নিঃশব্দ মারণ ঘাতক কোভিড-১৯ নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রনে’র দৌরাত্ম্যের মধ্যেও সুপারস্পোর্টস পার্কে ঘাম ঝড়াচ্ছে। প্রোটিয়ার্স বধের ছক কষছে টিম ইন্ডিয়া হেডস্যার রাহুল দ্রাবিড়ের মন্ত্রে,”মানের অনুশীলন এবং ভাল তীব্রতা”।
]]>সিনিয়র ভারতীয় ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারা আত্মবিশ্বাসী যে তার দলের ফাস্ট বোলাররা ২৬ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজের প্রতিটি টেস্টে ভাল পারফরম্যান্স চালিয়ে যাবে এবং ২০ উইকেট নেবে।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পা রেখে অনুশীলন শুরু করেছে এবং শনিবার দলের শীর্ষ ব্যাটসম্যানরা নেট সেশনে অংশ নিয়েছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পূজারা জানিয়েছেন, “আমাদের ফাস্ট বোলাররা আমাদের শক্তিশালী দিক এবং আমি আশা করি তারা এই কন্ডিশনের সদ্ব্যবহার করতে পারবে এবং প্রতি টেস্ট ম্যাচে আমাদের জন্য ২০ উইকেট পাবে। আমরা যখনই বিদেশে খেলি, তারা দুই দলের পার্থক্য প্রমাণ করে”।
পূজারা বলেন,”আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দিকে তাকান, এমনকি আপনি যদি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দেখেন, আমরা বোলিং ইউনিট হিসেবে ভালো করেছি এবং আমি নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকাও তাই করবে”।
সাম্প্রতিক সময়ে ফাস্ট বোলাররা বিদেশের মাটিতে ভারতের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ব্যস্ত সময়সূচী এবং কোভিড-১৯’র নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রনের’ কারণে কোনো অনুশীলন ম্যাচ খেলা হবে না প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে সিরিজে। এমনকি সফরটি পূর্ব নির্ধারিত সফরসূচীতে কাটছাঁট করা হয়েছে এবং এখন চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরে খেলা হবে।
টিম ইন্ডিয়ার মূখ্য কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং তার সার্পোট স্টাফদের প্রশংসা করতে গিয়ে পূজারা বলেন, “ভালো ব্যাপার হল আমরা ভারতে কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। এই কারণেই বেশিরভাগ খেলোয়াড় ছন্দে আছেন এবং যখন প্রস্তুতির কথা আসে, আমাদের সাপোর্ট স্টাফরা দুর্দান্ত। তারা আমাদের ভালো সমর্থন করছে এবং প্রথম টেস্ট শুরু হতে এখনও বাকি পাঁচ থেকে ছয় দিন”। ভারতীয় দল ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছিল এবং পুজারা বিশ্বাস করেন যে সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টের প্রস্তুতির জন্য ১০ দিন যথেষ্ট সময়।
পূজারা আরও বলেন “আমি নিশ্চিত আমাদের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় আছে এবং খেলোয়াড়রা এই সিরিজের জন্য অপেক্ষা করছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের প্রথম সিরিজ জয়ের এটাই সেরা সুযোগ। তাই আমরা সবাই কৌতূহলী। বায়ো বাবোল পরিবেশে দিন কাটানোর মধ্যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে তবে পূজারা বিশ্বাস করেন এটি দলকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে”।
চেতেশ্বর পূজারা বলেন, “কখনও কখনও আমি মনে করি বায়ো বাবোল প্রক্রিয়া নিরাপদ পরিবেশ এই কারণে দলের পরিবেশের বুননে সাহায্য করে, যেখানে আপনি নিজের সতীর্থদের সাথে বেশি সময় কাটান, খেলোয়াড়রা একসাথে একটি রুমে থাকে, একসঙ্গে টিম ডিনার করেন।” তাই সামগ্রিকভাবে আমি মনে করি এটি দলকে সাহায্য করে, তবে হ্যাঁ এর পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আপনাকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, আপনি বেড়াতে যেতে পারবেন না।
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতো বিশ্ব বিপর্যয়ের পরিস্থিতির মধ্যে থেকে লড়াই করে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় করতে হয়নি। বরংঞ্চ বিশ্ব জুড়ে মারণ ভাইরাসের ভ্রুকুটি হীন পরিবেশে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই বাইশ গজের চূড়ান্ত ব্যাটলফিল্ডে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেকায়দায় ফেলে সিরিজ ছিনিয়ে নিয়েছিল।
কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার কাছে পরিবেশ এবং পরিস্থিতি দুটোই আলাদা। কোভিড-১৯ ভাইরাসের মাস্তানি গোটা দুনিয়া জুড়ে সঙ্গে কোভিড প্রটোকল মেনে “বাবোল টু বাবোল” প্রক্রিয়ার একঘেয়েমিতে দিনযাপন করে চলা, যা খেলোয়াড়দের শারিরীক এবং মানসিক চিন্তায় আঘাত হানতে পারে।
তাই বাইশ গজের “হাইভোল্টেজ ব্যাটলফিল্ডে” নামার আগের লড়াই প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং এরপর অন ফিল্ড সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানো দুই’র মিশেলে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়েছে টিম ইন্ডিয়া প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে সফরে। যা ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের বইতে শুধু “ব্যতিক্রমী লড়াই” বললেও টিম ইন্ডিয়ার লড়াই’র এই মানসিকতাকে অসম্মানিত করা হবে।
]]>অবশেষে সমস্ত প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে বিসিসিআই’র নির্বাচক কমিটি কেএল রাহুলকে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দিয়ে একটা সুক্ষ ইঙ্গিত দিয়ে রাখলো যে ভবিষ্যতে এই ওপেনারের ভূমিকা আরও বড় হতে চলেছে,টিম ইন্ডিয়ায়।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা’র সঙ্গে কেএল রাহুল এমন কয়েকজন খেলোয়াড় টিম ইন্ডিয়ার, যাদের তিন ফর্ম্যাটেই ভারতের আন্তজার্তিক ক্রিকেট সিরিজে জায়গা নিশ্চিত। গত আইপিএলে কেএল রাহুলের রান তোলার গতি সহ অধিনায়কত্ব নিয়ে ওঠা সমস্ত প্রশ্নের অবসান ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যে বিরাট ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরে এসেছেন, ফলে কেএল রাহুল এখন বিসিসিআই’র ভবিষ্যৎ রোডম্যাপে স্বয়ংক্রিয় পচ্ছন্দ (Automatic choose) হিসেবে জুড়ে গিয়েছে।
আইপিএল শুরর আগে কেএল রাহুলের পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না, কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরে কেএল রাহুল টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে ওঠে। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলে কেএল রাহুল ১৩ ম্যাচের একই ইনিংসে ৬২.৬০ গড়ে ৬২৬ রান করেন। যা আইপিএলে রুতুরাজ গায়কোয়াড এবং ফাফ ডুপ্লেসি’র ব্যাটিং গড়কে ছাপিয়ে গিয়েছে। এমন তাক লাগানো পারফরম্যান্স বিসিসিআই’কে বাধ্য করেছে ভারতীয় ক্রিকেটের আগামী দিনের রোডম্যাপে কেএল রাহুল নিয়ে সুদূরপ্রসারী চিন্তা ভাবনায়।
]]>বিসিসিআই অফিসিয়াল টুইটে পোস্ট করে জানিয়েছে,”
টাচডাউন দক্ষিণ আফ্রিকা 
#TeamIndia #SAvIND “, সঙ্গে ওই মুহুর্তের কিছু ছবিও শেয়ার করেছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে ভারত তিন ম্যাচের টেস্ট এবং সম-সংখ্যক ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে,তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের দিনক্ষণ এবং ম্যাচ ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। ২৬ ডিসেম্বরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত সেঞ্চুরিয়নে, দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
— BCCI (@BCCI) December 16, 2021
জোহানসবার্গে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে ৩ জানুয়ারি এবং তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচ ১১ জানুয়ারি পারলেতে আয়োজিত হবে। টেস্ট ম্যাচ সিরিজ শেষ হলেই টিম ইন্ডিয়া প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে।
ওডিআই সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ২৯ এবং ২১ জানুয়ারী পারল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে এবং তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই ম্যাচ হবে ২৩ জানুয়ারী কেপটাউনে
টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা রবিবার মুম্বই’এ অনুশীলনের সময় বাঁদিকের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন। এই চোটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন রোহিত। টেস্ট স্কোয়াডে রোহিত শর্মার জায়গায় আসবেন প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল। সোমবার এক প্রেস বিবৃতি জারি করেছে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।
কয়েকদিন আগেই বিসিসিআই সচিব জয় শাহ প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, বিসিসিআই সিনিয়র সিলেকশন কমিটি আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের (IND vs SA 2021-22) জন্য ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি সহ ১৮ জনের দল ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ওডিআই এবং টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে রোহিত শর্মা টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে।
এখন রোহিত শর্মার চোট নিয়ে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ বোর্ড সচিবের। এদিনের প্রেস বিবৃতিতে ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল, শ্রেয়স আইয়ার, হনুমা বিহারী, ঋষভ পহ্ন (উইকেট-রক্ষক), ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেট-রক্ষক),রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জয়ন্ত যাদব, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সামি, উমেশ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ রয়েছেন।
২৬ ডিসেম্বর সেঞ্চুরিয়নে ভারতের প্রথম টেস্ট ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় টেস্ট ৩ জানুয়ারি জোহানসবার্গে,তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট ১১ জানুয়ারি কেপটাউনে।
]]>টেস্ট সিরিজের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দল ২১ জনের খেলোয়াড়ের একটি স্কোয়াড বেছে নিয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত ক্রীড়াসূচি অনুসারে টেস্ট সিরিজ ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রন’র বাড়বাড়ন্তের জন্য সিরিজ কিছু দিনের জন্য পিছিয়ে দিয়ে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২৬ ডিসেম্বর সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জানুয়ারি জোহানেসবার্গে এবং তৃতীয় টেস্ট ১১ জানুয়ারি কেপটাউনে অনুষ্ঠিত হবে।
টেস্ট সিরিজ শেষে দুই দলের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ১৯ জানুয়ারি পারলিতে, ২১ জানুয়ারি পারলিতে এবং ২৩ জানুয়ারি কেপটাউনে তৃতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের জন্য ২১ সদস্যের দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড এইরকম :
ডিন এলগার (অধিনায়ক), টেম্বা বাভুমা (সহ-অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), কাগিসো রাবাদা, সরেল আরভি, বেউরান হেন্ডরিক্স, জর্জ লিন্ডে, কেশব মহারাজ, লুঙ্গি এনগিডি, এইডেন মার্করাম, উইন মুলডার, অ্যানরিচ নরখিয়া, কিগান পিটারসেন , রাসি ওয়ান ডের ডুসেন, কাইল ভিরেন, মার্কো জেনসেন, গ্লেন্টন স্টুরম্যান, প্রেনেলান সুব্রেন, সিসান্ডা মাগালা, রায়ান রিচেলটন এবং ডুয়ান অলিভিয়ার।
শনিবার বিসিসিআই’র বার্ষিক সাধারণ সভায় এই ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া তিন টেস্ট, তিন ওডিআই, তবে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পরবর্তী তারিখে অনুষ্ঠিত হবে, যা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিসিসিআই’র জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হল ভারতীয় ‘A’ দলের চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর রয়েছে, প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন তারা ব্যস্ত।
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (CSA) একটি মিডিয়া রিলিজে বলেছে,”ভারতের সফর মূলত নির্ধারিত হিসাবেই চলবে, লজিস্টিক ব্যবস্থায় কিছু সামঞ্জস্য রেখে, যেমন ভারতীয় দলের আগমনের সময়।”
CSA মিডিয়া রিলিজে জানিয়েছে “সফরটি এখন নিশ্চিত করা হয়েছে এবং কার্যকর লজিস্টিক পরিকল্পনার অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারতীয় দলের আগমনের সময় এক সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হবে।”দক্ষিণ আফ্রিকান বোর্ডও নিশ্চিত করেছে যে সফর চলাকালীন কঠোরভাবে কোভিড-১৯ প্রটোকল বলবৎ রাখা হবে।CSA আরও বলেছে, “আগামী ৪৮ ঘন্টা” মধ্যে ভেন্যুগুলি নিশ্চিত করা হবে।
CSA এর ভারপ্রাপ্ত সিইও ফোলেতসি মোসেকি বলেছেন,”আমি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব এবং সেইসাথে বিসিসিআই-এর নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই সফরকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য, এত অক্লান্ত পরিশ্রম করার জন্য। এমনকি সবচেয়ে অনিশ্চিত সময়ের মধ্যেও, বোর্ডগুলি আশার আলোকে বাঁচিয়ে রেখেছিল এবং আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে এই সফরটি সত্যিই হবে। CSA হিসাবে আমাদের জন্য এটি সর্বদা পুরানো বন্ধুদের একটি মিটিং যখন প্রোটিয়ারা ভারতের সাথে লড়াই করে, তবে আমরা এখনও ভক্তদের একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব এবং দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত দর্শন উপস্থাপন করব।”
তবে খবর এমনও উঠে আসছে যে ম্যাচ ভেন্যুতে দর্শক প্রবেশের ওপরে নিষেদ্ধাঞ্জা আরোপিত হতে পারে, জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার প্রশ্নে করোনার ‘ওমিক্রন’ প্রজাতির বাড়বাড়ন্তের কারণে।
ইতিপূর্বে বিসিসিআই’র সচিব জয় শাহ বলেছিলেন যে ভারত নির্ধারিত সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনটি টেস্ট এবং যতগুলি ওয়ানডে খেলবে তবে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পরবর্তী তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, তার দল আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে স্পষ্টতা চাইছে।
বিরাটের কথায়,”এমন কিছু খেলোয়াড় আছেন যারা এই মুহূর্তে এই দলের অংশ নন যারা দলে যোগদানের জন্য কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করবে,এই ধরনের জিনিসে আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্পষ্টতা চাইতে চান।”
]]>এর জেরে টিম ইন্ডিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। কেননা ভারতীয় ক্রিকেট দল মুম্বইতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলে, সেখান থেকেই ৮ বা ৯ ডিসেম্বর বিমানে জোহানেসবার্গের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে চার টেস্ট,দুটি ওডিআই এবং চারটি টি টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ রয়েছে। টিম ইন্ডিয়া সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলবে ১৭ ডিসেম্বর, জোহানসবার্গে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যেসব বিমান যাত্রীরা ভারতে এসেছেন,তাদের হোম আইসোলেসনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারত সরকার।ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন(DGCA) ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত আন্তজার্তিক উড়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
— DGCA (@DGCAIndia) December 1, 2021
এই নিয়ে DGCA বুধবার নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছে,”উদ্বেগের নতুন রূপের উত্থানের সাথে ক্রমবর্ধমান বিশ্বের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে পরিস্থিতিটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দেওয়া হবে। নির্ধারিত বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবা পুনরায় চালু করার কার্যকর তারিখ যথাসময়ে অবহিত করা হবে”।
বাণিজ্যিক বিমান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরিবর্তিত করোনা পরিস্থিতির জেরে আন্তজার্তিক উড়ান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।ম মুম্বইতে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ভারত কানপুরে প্রথম টেস্ট ড্র করেছে কিউইদের বিরুদ্ধে।
গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে টিম ইন্ডিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে মঙ্গলবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বয়ান সামনে এসেছিল।
বোর্ড প্রেসিডেন্টের বয়ান,”এখন পর্যন্ত সফর নির্দিষ্ট সময় হিসাবে চলছে। আমাদের এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আছে। প্রথম টেস্ট ১৭ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত রয়েছে। আমরা এটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করব।”
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন,”খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সবসময়ই বিসিসিআইয়ের প্রথম অগ্রাধিকার, আমরা এর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করব। আমরা দেখব সামনের দিনগুলিতে কী হয়।”
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও ভারত রাষ্ট্র ব্যবস্থার উর্দ্ধে নয়। DGCA ইতিমধ্যেই আন্তজার্তিক উড়ান চলাচল নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। তাই টিম ইন্ডিয়ারর সিনিয়র দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে ঘোর অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ক্রমেই গাঢ় হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলছে। কোভিডের নতুন প্রজাতির সন্ধান মেলায় ভারতীয় ‘এ’ টিমকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিও ইতিমধ্যেই উঠেছে ভারতের ক্রিকেট মহলে। চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে ভারতীয় ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রয়েছে। ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় ‘এ’ দলের তৃতীয় তথা শেষ চারদিনের ম্যাচ রয়েছে। এই দল এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রীড়া সফরে। সব মিলিয়ে অনিশ্চয়তা আর আশঙ্কা ভারতের সিনিয়র ক্রিকেট দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে।
]]>