Soviet Union – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Wed, 25 Aug 2021 05:10:40 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Soviet Union – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 আবদুলের আকাশ: তালিবানি ফতোয়া কেটে পলাতক আফগান মহাকাশচারী https://ekolkata24.com/offbeat-news/abdul-ahad-momand-first-afghan-citizen-to-journey-to-outer-space Wed, 25 Aug 2021 05:10:40 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3098 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: তখন আফগানিস্তানের শাসনে সে দেশের কমিউনিস্ট দল পিডিপি। দলটির ‘খালাক’ গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা। প্রতিবেশী সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ মদতে আফগানিস্তান ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। ইসলামি শাসনতন্ত্র কায়েম করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলিকে (মুজাহিদিন) সরাসরি সংঘর্ষে নেমেছিল।

আফগান সরকারে থাকা পিডিপি দলের মধ্যে চলছিল টানাপোড়েন। এই টানাপোড়েনের মাঝেই কমিউনিস্ট খালাক গোষ্ঠীকে সরিয়ে কুর্সি দখল করে অপর গোষ্ঠী পরচম। এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১৯৮০ দশকে আফগানিস্তান জুড়ে শুরু হয়েছিল মহাকাশ বিজ্ঞানের চর্চা !!

মহাকাশ বিজ্ঞান-স্পেস সায়েন্স এসব নাম আফগানিস্তানের সঙ্গে যায়-ই না !! কারণ এই দেশ তো আমাদের চোখে সুদখোর, কিসমিস বেচা কাবুলিওয়ালাদের দেশ। তবে তলিয়ে দেখলে জানা যায়, আফগানিস্তান ভারতের আগে স্বাধীনতা পাওয়া দেশ। সেই দেশ বরাবর ভারতের স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র পথকে সমর্থন জানিয়েছে।

Abdul Ahad Momand

পড়ুনঃ লেনিনের সমর্থনে আফগানিস্তানেই হয় ভারতের প্রথম ‘বিপ্লবী সরকার’

এমনই আফগানিস্তান তখন সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত। আফগান জনজীবনে লেগেছে ইউরোপিয়ান স্পর্শ। কাবুল, জালালাবাদ সহ দেশটির সর্বত্র রাস্তায় রাস্তায় বোরখা প্রায় ভুলে গেছেন মহিলারা। এসেছে ইউরোপীয় পোশাক। এমনই সময়ে আফগান সরকার উদ্যোগ নেয় মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চার। মস্কো রাজি হয়। শুরু হলো আকাশের ঠিকানায় আফগানি কিসমিসের কাহিনি লেখার পালা।

আফগানিস্তান তখন পরিচিত গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ও পরে আমীরতন্ত্র থেকে বহুদূরে আফগানিস্তান ছিল। ‘৮০ দশক। প্রতিবেশি সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ মদতে আফগানিস্তানে চলছিল কমিউনিস্ট সরকার। আমেরিকার মদতে ধর্মীয় মুজাহিদিন বিভিন্ন গোষ্ঠী তখন সোভিয়েত বিরোধী লড়াই করছে। তাদের পক্ষ নিয়ে কলকাতা, শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জেলায় বুদ্ধিজীবীরা বলছিলেন, “সোভিয়েত সরকার আফগানিস্তানকে গোল্লায় পাঠাচ্ছে”। ঠিক তখনই আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট সরকার সোভিয়েত সাহায্যে তাদের দেশের প্রথম মহাকাশ অভিযান চালায়।

Abdul Ahad Momand

বিশ্ববিখ্যাত সোভিয়েত মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ‘মির’ (নাসার চক্ষুশূল) থেকে ব্রহ্মাণ্ড পরিভ্রমণ করেছিলেন আফগান মহাকাশচারী আবদুল আহদ মোহামন্দ। ১৯৮৮ সালের ২৯ আগস্ট দিনটা আফগানিস্তান তো বটেই, বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। যে দেশ শুধু এক গোলি এক দুশমন রীতিতে বিশ্বাসী, তাদের প্রতিনিধি হয়েছে আবদুল আহদ মহাকাশে বিচরণ করছিলেন। আফগানিস্তান শুরু করেছিল মহাকাশ বিজ্ঞানের কাহিনি লিখতে।

তখন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডক্টর মহম্মদ নাজিবুল্লাহ। তিনি সোভিয়েত অনুরাগী। তাঁর অনুরোধেই আফগান বিমান সৈনিক আবদুল আহদকে সোভিয়েত বলশেভিক সরকার সুযোগ দিয়েছিল মহাকাশ পরিভ্রমণের। মহাকাশ থেকে বিশেষ টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট ডক্টর নাজিবুল্লাহের সঙ্গে কথা বলেন আফগান মহাকাশযাত্রী, বৈজ্ঞানিক, বিমান সৈনিক আবদুল আহদ। গোটা আফগান জাতি তো বটেই বিশ্ব সেলাম করেছিল।

সোভিয়েত মহাকাশ বিজ্ঞান কেন্দ্র ইউরি গ্যাগারিন রিসার্চ সেন্টারে দীর্ঘ সময় তালিম নেন আফগান মহাকাশচারী আবদুল আহদ। তাঁকে মহাকাশে পাঠানোর বিষয়ে সোভিয়েত সরকার নিয়েছিল যাবতীয় উদ্যোগ। সুযোগ্য ছাত্র হিসেবে আবদুল সবকিছু শিখে দুই রুশ মহাকাশচারীর সঙ্গে পৃথিবী ছেড়েছিলেন। তারপর মহাকাশে তাঁদের পরিভ্রমণ পালা।

১৯৮৮ সালের পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে থাকে। প্রতিবেশি সোভিয়েতে অভ্যন্তরে শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। সেই ধাক্কা লাগতে শুরু করে আফগানিস্তানে। নব্বই দশকে টুকরো হয়ে যায় সোভিয়েত। স্বাভাবিকভাবেই আফগানিস্তানে এর প্রভাব পড়েছিল।

সোভিয়েতকে ভাঙার অভিযুক্ত তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিখাইল গরবাচেভ। কাবুল জুড়ে রাজনৈতিক গালিচার রঙ পাল্টে যাচ্ছিল। গরবাচেভ সফল হলেন। সোভিয়েত ভাঙল। সোভিয়েত পতন বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম অধ্যায়।
নব্বই দশকে কমিউনিস্ট বলশেভিক সরকারের সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙতেই কাবুলের কমিউনিস্ট সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়। প্রেসিডেন্ট ডক্টর নাজিবুল্লাহর সরকারের পতন হল। এরপর কখনো গুলাবুদ্দিন হেকমতিয়ার, তো কখনো বুরহাউদ্দিন রব্বানির মিলিশিয়া হামলা। অরক্ষিত কাবুলের রাষ্ট্রসংঘ কার্যালয়ে থাকা নাজিবুল্লাহ বুঝছিলেন বাঁচা অসম্ভব। এসবই গত শতাব্দীর ‘৯০ দশকের ঘটনা।

নাজিবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সোভিয়েত অনুরাগী মার্শাল আবদুল রশিদ দোস্তাম আর সোভিয়েত বিরোধী ‘পঞ্জশিরের সিংহ’ আহমেদ শাহ মাসুদের বন্ধুত্ব তৈরি করল ধোঁয়াশা। পথ আলাদা তবে দুজনেরই শত্রু তালিবান। এই জোট চেয়েছিল নাজিবুল্লাহকে রক্ষা করতে। নাজিবুল্লাহ বুঝতে পারেননি। হয়তবা দোস্তাম-মাসুদের সহাবস্থান মানতে পারেননি। একলা হয়ে গেলেন।

রাতের পর রাত, কাবুলের রাজপথ ধরে সোভিয়েত লাল তারা মার্কা ট্যাংকগুলো ঘড়ঘড় করে চলছিল পশ্চিম দিকে -উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের দিকে। সোভিয়েত সেনা সরতে সময় নিয়েছিল। বিরাট সামরিক বহর যেদিন পুরোপুরি আফগানিস্তান ত্যাগ করল তখনই কাবুলে ঢুকল তালিবান। কাবুল দখল করে রাষ্ট্রসংঘ কার্যালয় ঘিরে নিল তালিবান জঙ্গিরা।

নাজিবুল্লাহ একটি কাজ করতে পেরেছিলেন। স্ত্রী সন্তানদের নয়াদিল্লি পাঠাতে পেরেছিলেন। মার্কিন চাপে রাষ্ট্রসংঘের কাবুল কার্যালয়ের দরজা খুলে দিল স্টেনগানধারী রক্ষীরা। তাদের সামনে দিয়েই তালিবান জঙ্গিরা টেনে আনল মহম্মদ নাজিবুল্লাহকে। মেরে ঝুলিয়ে দিল লাইট পোস্টে। ১৯৯৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কাবুলে তৈরি হল প্রথম তালিবান সরকার।

নাজিবুল্লাহকে খুনের কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তান ছাড়েন মহাকাশচারী আবদুল আহদ। কাবুল থেকে মস্কো যান। সেখানে আর ঠাঁই হয়নি সোভিয়েত জমানার বিশ্বশ্রেষ্ঠ মির মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের একমাত্র আফগানি মহাকাশ বিজ্ঞানীর। ‘লাল তারা’ পদক লুকিয়ে মস্কো থেকে জার্মানিতে চলে যান আবদুল আহদ।

গত তিরিশ বছর সেখানেই রয়েছেন আবদুল আহদ। মহাকাশের সঙ্গে তেমন যোগ নেই। ইউরি গ্যাগারিন মহাকাশ চর্চা কেন্দ্রের আফগানি গবেষক এখন প্রৌঢ় জার্মান নাগরিক। টিভিতে কাবুলের পতন দেখলেন আবার। হয়ত একটু দীর্ঘশ্বাস পড়েছে।

]]>
লেনিনের সমর্থনে আফগানিস্তানেই হয় ভারতের প্রথম ‘বিপ্লবী সরকার’ https://ekolkata24.com/offbeat-news/historic-indian-provincial-government-was-founded-in-kabul-suported-by-soviet-union Wed, 18 Aug 2021 17:27:06 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2589 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: সে ছিল এক মারকাটারি ব্যাপার। ব্রিটিশ ভীত। আফগানিস্তানের আমীর উল্লসিত। সোভিয়েত দিচ্ছে সমর্থন। সবমিলে ১৯১৫ সালে ভারতীয় বিপ্লবীরা আফগানিস্তানের রাজধানীতে যে প্রবাসী সরকার গঠন করেছিলেন তার সম্পর্কে বিস্তর লিখেছেন কমিউনিস্ট বিপ্লবী ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত। ‘My Life Story’ আত্মজীবনীমূলক বইতে লিখেছেন সেই সরকারের প্রধান রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ।

আফগানিস্তান এখন তালিবান শাসনাধীন। গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারকে উপড়ে ফেলে দেশটিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান। এই জঙ্গি সরকার কায়েম হওয়ার পিছনে কূটনৈতিক জলঘোলা প্রবল। একপ্রকার তালিবান হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানের শাসন। নির্বাসিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

তবে আফগানিস্তান নিয়ে কূটনৈতিক পাশা খেলা বহু পুরনো। এ দেশের ভৌগোলিক অবস্থান এমনই যে বারবার বিভিন্ন দেশ, রাজতন্ত্র শক্তি আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে এশিয়ার বুকে নিজেদের ভিত শক্ত করতে চেয়েছে। আধুনিক ইতিহাসের তিন শক্তি ব্রিটিশ, সোভিয়েত ও আমেরিকা এসেছে-গেছে। আফগানিস্তানের গৃহবিবাদের মঞ্চ ঘিরে জন্ম নিয়েছে কূটনৈতিক খেলা।

ব্রিটিশ শাসনে থাকা ভারতের বিপ্লবীরা সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট সরকারের মদতে বারবার সশস্ত্র পথ নিয়েছিলেন। এতে জড়িয়েছিল দারুল উলুম দেওবন্দের ধর্মীয় শিক্ষার্থীরা। আফগানিস্তানের মাটিতে ব্রিটিশ বিরোধী গোষ্ঠী প্রত্যক্ষ মদত পায়। তৈরি হয় ভারতের বাইরে বিপ্লবীদের নেতৃত্বে প্রথম প্রবাসী ভারত সরকার।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাঝেই ভারত থেকে আফগানিস্তান হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে চলে যাওয়া বিপ্লবীদের নেতৃত্বে তৈরি প্রবাসী ভারত সরকার বেশিদিন চলে। তবে এই সরকার ব্রিটিশ শক্তির কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় কাবুলে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় প্রবাসী সরকার। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য এই সরকার আফগানিস্তানের আমীর (শাসক), জার্মানির ভারতীয় বিপ্লবী কমিটি (জার্মান কমিটি), তুরস্ক ও প্রথম দিতে রাশিয়ার জার রাজ পরিবারের সমর্থন পায়। ১৯১৭ সালে জারতন্ত্র উচ্ছেদ করে সোভিয়েত তৈরি হলে, সেই সরকারের প্রধান লেনিন সরাসরি কাবুলের এই প্রবাসী ভারতীয় সরকারকে সমর্থন করেন। সোভিয়েত সমর্থন পায় বিপ্লবীদের সরকার।

এক নজরে প্রবাসী বিপ্লবীদের পরিচালিত সরকারের মন্ত্রিপরিষদ:
১. রাষ্ট্রপতি বিপ্লবী রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ
২. প্রধানমন্ত্রী মাওলানা বরকতউল্লাহ
৩. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উবায়দুল্লাহ সিন্ধি
৪. বিদেশমন্ত্রীর চম্পকরমন পিল্লাই
৫. যুদ্ধমন্ত্রী মৌলবি বশির

এই বিপ্লবী সরকার বা প্রবাসী ভারতীয় সরকারের কথা বিপ্লবী এম এন রায়ের লেখা, বিপ্লবী ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের বিভিন্ন রচনায় এসেছে। তাঁরাও এই সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রবাসী ভারতীয় সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিপ্লবী রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ শাসনে থাকা ভারতের দিকে সেনা অভিযানের পরিকল্পনা করেন।

কাবুল থেকে গুপ্তচরদের পাঠানো সংবাদে ভীত ছিল ব্রিটেন। ফলে তারা আফগানিস্তানের উপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে থাকে। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের আমীরের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ হয় ব্রিটিশদের। ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ নামে এটি পরিচিত। ১৯১৯ সালে তৃতীয় যুদ্ধের পর আফগানিস্তান স্বাধীন হয়। তবে আফগান আমীর হাবিবুল্লাহ খানের উপর চাপ তৈরি করা হয় যাতে প্রবাসী ভারতীয় বিপ্লবীদের সরকার চলতে না পারে।

আফগান আমীর হাবিবুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় বিপ্লবীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি চাপের মুখে সরাসরি কোনও সমর্থন না করলেও গোপনে প্রভূত সাহায্য করেন। তবে ১৯১৯ সালের পর কাবুলে ভারতীয় বিপ্লবীদের এই সরকার আর স্থায়ী হয়নি। যে সব বিপ্লবীরা, দেওবন্দের শিক্ষার্থিরা আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন তাঁরা সোভিয়েতমুখী হতে থাকেন। অনেকে দেশে ফিরে গোপনে ব্রিটিশ বিরোধী কাজ শুরু করেন। ধরা পড়েন।

কাবুলের সেই বিপ্লবী সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল সোভিয়েত কমিউনিস্ট সরকার। পরাধীন ভারতের স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র ও সংগঠিক শ্রমিক কৃষক বিদ্রোহের জন্য সোভিয়েত প্রধান লেনিন সরাসরি বার্তা পাঠান। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রপ্রধানের ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই বার্তায় দেশের অভ্যন্তরে বিপ্লবীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ফেলে দেয়। যার ফল ভারতের মাটিতে দুটি ব্রিটিশ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। একটি কানপুর বলশেভিক ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৪) ও দ্বিতীয়টি মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯)।

ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কাবুলের প্রবাসী ভারতীয় সরকারের রাষ্ট্রপতি বিপ্লবী রাজা মহেন্দ্রপ্রতাপ কানপুর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। ১৯৫৭ সালের লোকসভা নির্বাতনে কমিউনিস্ট নেতা, নির্দল প্রার্থী মহেন্দ্রপ্রতাপের কাছেই মথুরা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছিলেন ভারতীয় জনসংঘ প্রার্থী অটলবিহারী বাজপেয়ী।

]]>