‘কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী’, এই শব্দযুগল বহুবার লেখা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। কল্পতরু হয়ে তিনি দিয়েছেন কী কী? নিঃসন্দেহে উনি বা ওনার দল সাধারণ মানুষকে অনেক কিছু দিয়েছেন। শহরে, গ্রামের রাস্তাঘাটে চোখ ফেরালে অনেক পোস্টার-হোডিং চোখে পড়ে সকলের। সুবজ সাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী… আরও কতো কী!
শুধুই কি দেওয়া? দাঁড়িপাল্লার কনসেপ্টাই বিগড়ে যাবে তাহলে৷ বিগত কয়েক বছরে যা গিয়েছে তা দৃশ্যমান নয়- মানুষের কর্মদ্যোগ। মাসে মাসে কিছু টাকা ঢুকছে তথাকথিত গরীব, মধ্যবিত্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। শ্রমের বিনিময়ে আগে যে টাকা রোজকার করা হতো এখন সেই টাকা মিলছে ঘরে বসে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য খাটনি বা শ্রমের পরিমাণ কমছে ধীরেধীরে। তৃণমূল সরকার চিরকাল থাকবে এমনটা আশা করা যায় না। আগামী দিনে অন্য কোনও দল ক্ষমতায় আসতেই পারে। তারাও কি বজায় রাখবে একই ভর্তুকি নীতি? শ্রম এমন একটা বিষয় যা একজন মানুষের সম্পদ। সেই সম্পদেই যদি ধুলো জমে তাহলে প্রয়োজনে তা আর কাজে লাগবে কি?
আত্মসমান বোধেও লাগতে পারে কারও। সবাই কিন্তু ৫ টাকার ডিম-ভাতের লাইনে দাঁড়ান না। শ্রমিকদের অনেকেই এখনও দুপুরের ভাত খান কোনও হোটেলে। হয়তো সেই ডিম-ভাতই খাচ্ছেন। কিন্তু লাইনে দাঁড়াচ্ছেন না। কাজের বিনিময়ে সম্মানিক। আমজনতার অধিকাংশের ইউএসপি এটা। কিন্তু কাজ কোথায়? ছাঁটাইয়ের খবর, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর মেলে বিস্তর। কিন্তু নতুন কারখানা হয়েছে কিংবা বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে এমন উদাহরণ ক’টা? যে সিঙ্গুর আন্দোলনের হাত ধরে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছিল, সেই আন্দোলনই এখন প্রশ্নের মুখে। দলের অন্দরেও দ্বিধা। চাকরির অভাবে ছেলে-মেয়েরা চলে যাচ্ছেন রাজ্যের বাইরে।
সম্প্রতি মমতা দাবি করেছেন তিনিও বাম ঘেঁষা। সম্প্রতি মঞ্চে উচ্চারণ করেছেন হিন্দু দেব-দেবীর নাম। গ্রামের মেয়েটির ইমেজের পাশাপাশি তিনিও আঁকেন ছবি, লেখেন কবিতা-গান। অর্থাৎ অলরাউন্ডার। মাঠে শব্দ যখন ব্যবহার করাই হল তখন এবার ‘খেলা’র প্রসঙ্গ। একজন আদর্শ অলরাউন্ডারের মতোই তিনি জিতিয়েছেন নিজের দলকে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, তিনি না, আদপে জিতিয়েছে মানুষে। কারণ বাংলার মানুষ এখনও বিজেপিকে মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। রাজ্যে আপাতত বিকল্প কোনও শক্তি নেই, তাই তৃণমূলের পক্ষে গরিষ্ঠ মত।
জেলা স্তরে বা গ্রামের দিকে পার্টির সমর্থকরা এখনও মেনে নিতে পারছেন না নেত্রীর ফেজ টুপি পরার ছবি। ইমাম ভাতাও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছি একাংশের মনে। প্রাক-নির্বাচনী ভাষণে হিন্দি ব্যবহার হয়েছে নিয়মিত। ‘কেন অবাঙালী তোষণ?’ এই প্রশ্নও কি ওঠেনি আগে? যে মানুষ রাজ্যের বাইরে যাননি, তিনি লন্ডন-প্যারিস চেনন না৷ তিনি শুধু চেনেন নিজের পরিবার, নিজের এলাকাকে। জিনিসের দাম বাড়ছে, চাকরি কমছে, হাত পড়ছে মাথায়। এখনও বৃষ্টি হলে ভাঙছে বাঁধ, ঘরে ঢুকছে জল। মানুষ এবার করবেটা কী?
]]>মোট ২ টি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কোন ব্যাঙ্কে কোন যোগ্যতায় কোন পোস্টে নিয়োগ করা হবে, কেমন কি বেতন, কীভাবে নিয়োগ করা হবে, আবেদন করবেন কীভাবে – এই সমস্ত তথ্য পরপর দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক অনুযায়ী শূন্যপদ, যোগ্যতা ও বেতন
নির্বাচন পদ্ধতি
বিজ্ঞপ্তি নম্বর – 04/2021 অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচিত করা হবে। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে মোট দুটি পেপারের ।
1) পেপার – ১ এ যে যে বিষয় থাকবে সেগুলি হল – ইংরেজি, বাংলা, জেনারেল অ্যাওয়ারনেস, কোয়ান্টাটিভ আপটিটিউড এবং রিজনিং অ্যাবিলিটি। প্রতিটি বিষয়ে ৩০ নম্বর করে মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সময় সীমা ২ ঘণ্টা। প্রশ্ন করা হবে MCQ টাইপ ।
2) পোস্ট কোড অনুযায়ী পেপার – ২ এ বিষয়ের পরীক্ষা হবে। প্রশ্ন করা হবে MCQ টাইপ । মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় সীমা ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। দুটি পরীক্ষা নেওয়া হবে একই দিনে । লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা অনুযায়ী প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে।
বিজ্ঞপ্তি নম্বর – 05/2021 অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচিত করা হবে লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে কেবল একটি পেপারেরই পরীক্ষা দিতে হবে অনলাইনে। তবে পোস্ট কোড অনুযায়ী বিষয়গুলি আলাদা আছে।
1) 215001 পোস্ট কোড অনুযায়ী যে বিষয়গুলি আছে সেগুলি হল – ইংরেজি, বাংলা, জেনারেল অ্যাওয়ারনেস, কোয়ান্টাটিভ আপটিটিউড, রিসনিং টেস্ট এবং অ্যাকাউন্টটেন্সি।
2) 215002 পোস্ট কোড অনুযায়ী যে বিষয়গুলি আছে সেগুলি হল – ইংরেজি, বাংলা, জেনারেল অ্যাওয়ারনেস, কোয়ান্টাটিভ আপটিটিউড এবং রিসনিং টেস্ট।
দুটি ক্ষেত্রেই মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষার সময় সীমা ২ ঘণ্টা। MCQ টাইপ প্রশ্ন করা হবে। নেগেটিভ মার্কিং আছে। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ১/৪ অংশ নম্বর কাটা যাবে। এছাড়াও কম্পিউটারের প্র্যাক্টিক্যাল টেস্ট দিতে হবে। পেপার – ১ এর প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী মেধা তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীদের ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
অনলাইনে WEBCSC এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.webcsc.org এ ২১ জানুয়ারি, ২০২২ এর মধ্যে আবেদন করতে হবে৷ আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় তথ্য স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
প্রসেসিং এবং এক্সামিনেশন ফি বাবদ মোট আবেদন ফি ৬৫০/- টাকা। তবে এসসি/এসটির ক্ষেত্রে কেবল প্রসেসিং ফি বাবদ ২৫০/- টাকা জমা করতে হবে। অনলাইনে ডেবিট/ক্রেডিট/নেট ব্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে টাকা জমা করতে হবে ।
আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে দেখুন WEBCSC এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.webcsc.org বা যোগাযোগ করতে পারেন – 9903755050/9903761050/9903741050 বা ইমেল পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায় – [email protected]।
]]>কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার ছিলেন রাজীব কুমার। বর্তমানে তিনি অতিরিক্ত ডিজি হিসেবে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন ডিজি হিসেবে রাজীবকে আর কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সারদা মামলায় নাম জড়ায় রাজীব কুমারের। তাঁর বিরুদ্ধে জোরালো তদন্তে নামে সিবিআই। এর প্রতিবাদে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
]]>দায়িত্ব নিয়ে বাংলায় এসে প্রথম দিন থেকেই সেই কাজটি করে চলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এবার সেই একই ছবি দেখা গেল বামশাসিত রাজ্য কেরলে। বাংলার মতই এবার কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের (Arif Mohammad Khan) সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরমে উঠল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan)। অনেকটা ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বনাম জগদীপ ধনকড়ের বিরোধের মতই।
রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ ও মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের মধ্যে বিবৃতি পাল্টা বিবৃতির পাশাপাশি চলছে পত্রাঘাত। বামশাসিত কেরলেও রাজ্যপাল বনাম সরকার সংঘাতের সূত্রপাত উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে।
সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকারের নির্বাচিত কোনও প্রার্থীকেই রাজ্যপাল উপাচার্য হিসেবে আনুষ্ঠানিক নিয়োগের সম্মতি দিতে বাধ্য। কিছুদিন আগে বিধানসভা নির্বাচনের পর কেরলের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। নতুন উপাচার্যদের নাম নিয়েই আপত্তি করেছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তাঁর অভিযোগ, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার রাজ্যপালের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার উচ্চশিক্ষায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসন খর্ব করছে।
রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্কের জল এতটাই ঘোলা হয়েছে যে, আচার্যের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁমকি দিয়েছেন আরিফ মহম্মদ। যদিও রাজ্যপালের এই হুঁমকিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজয়ন সরকার। ফলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমশই বেড়ে চলেছে।
উল্লেখ্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে একই রকম সংঘাত শুরু হয়েছিল বাংলাতেও। এ ধরনের সংঘাত এড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে। ওই সংশোধনী মাধ্যমে আচার্য তথা রাজ্যপালের হাত থেকে সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি সার্চ কমিটিতেও রাজ্যপালের ক্ষমতা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়।
তবে কেরলে এখনও পর্যন্ত আইন সংশোধনের পথে হাঁটেনি বিজয়ন সরকার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দেখানো পথে বিজয়ন সরকার যে হাঁটবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বরং পায়ে পা দিয়ে রাজ্যপালের ঝামেলা বাঁধানের এই চেষ্টা পাকাপাকি বন্ধ করতে বিজয়ন সরকারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই অনুসরণ করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
]]>কিন্তু বিজেপির নাগাল্যান্ডের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য তেমজেন ইম্মা আলং (temjen imma alang ) শনিবারের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ওটিং গ্রামে যা ঘটেছে সেটা যুদ্ধাপরাধের সামিল। নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হয়েছে সেখানে। অসম রাইফেলসের এই কাজের কোনও ব্যাখ্যা হতে পারে না। যে কারণেই এটা ঘটে থাকুক তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক। একই সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি তেমজেন বলেছেন, ঘটনার পর নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অসম রাইফেলস গোয়েন্দা দফতরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের অজুহাত দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

শনিবারের ঘটনার কড়া সমালোচনা করে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি বলেছেন, কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে নিহত পরিবারগুলিকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া। আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করা। মৃতদের পরিবারগুলির কোনও সদস্যকে চাকরি এবং যারা কোনও কারণবশত শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়বেন তাঁদের আজীবন দায়িত্বভার বহন করা।
নাগাল্যান্ড বিজেপি সভাপতি আরও বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও নাগা রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রাজ্যের রাজনৈতিক সমস্যা যখন মেটার মুখে ঠিক সেই সময়ে এ ধরনের ঘটনা অনেক বেশি উদ্বেগজনক। কেন্দ্র ও নাগা রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের অনেক বেশি সংযম ও ধৈর্য দেখানো উচিত ছিল। শনিবার ওটিং গ্রামের কিছু নিরীহ ও সাধারণ মানুষ সারাদিন খনিতে হাড়ভাঙা খাটুনির পর বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁদের হাতে টিফিনের কৌটো, জলের বোতল ছাড়া কোনও কিছুই ছিল না। কিন্তু তা সত্বেও জওয়ানরা যেভাবে গুলি চালিয়ে নিরীহ মানুষকে খুন করেছে এটা যুদ্ধাপরাধের সামিল। এটা গণহত্যা ছাড়া কিছু নয়।
গুলি চালানোর ঘটনাকে জঘন্যতম অপরাধ বলে উল্লেখ করে নাগাল্যান্ড বিজেপি সভাপতি তেমজেন দাবি করেন, অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কিভাবে জওয়ানরা কিছু নিরীহ, নিরাপরাধ মানুষকে এভাবে গুলি করে মারল তার জবাব দিতে হবে। শনিবার কিসের ভিত্তিতে কমান্ডিং অফিসার জওয়ানদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তা জানানো হোক?
অন্যদিকে অসম রাইফেলসের পক্ষ থেকে শনিবারের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, জওয়ানদের ওপর চড়াও হয়েছিল এলাকার মানুষ। এলাকায় অসম রাইফেলসের শিবিরের উপর তিনশ’রও বেশি স্থানীয় মানুষ আক্রমণ চালিয়েছিলেন। তাদেরকে সরিয়ে দিতেই জওয়ানরা শূন্যে গুলি চালায়। অসম রাইফেলসের এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তেমজেন পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, জওয়ানরা যদি শূন্যে গুলি চালিয়ে থাকে তাহলে কিভাবে এতগুলি নিরীহ প্রাণ অকালে ঝরে গেল।
]]>সমীক্ষা বলছে, দক্ষিণ ভারত ও উত্তর পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির মানুষ পুলিশের উপর যথেষ্ট আস্থাবান। দেশের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা কতটা স্মার্ট তা জানতে ‘স্মার্ট পুলিশিং ইন্ডেক্স ২০২১’ প্রকাশ করা হয়েছে। আইপিএফ-এর তৈরি করা ইনডেক্সে দেখা গিয়েছে, পুলিশের উপর ভরসা রয়েছে এমন প্রথম পাঁচ রাজ্য হল অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অসম, কেরল ও সিকিম।

অন্যদিকে তালিকার একেবারে নিচের দিকে রয়েছে যথাক্রমে বিহার (bihar), উত্তরপ্রদেশ (utterpradesh), ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড ও পাঞ্জাব। এই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। আইপিএফ নামে এই সংগঠনটি ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষের মতামত নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। এই সমীক্ষায় প্রতিটি রাজ্যকে ১০-এর মধ্যে নম্বর দেওয়া হয়েছে। দশ নম্বরের মধ্যে ৮.১ এক পেয়ে প্রথম স্থানটি দখল করেছে অন্ধপ্রদেশ। বিহার ও উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে যথাক্রমে ৫.৭৪ ও ৫.৮১ নম্বর। পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্ত নম্বর ৬.৬৬।
যে কোনও সমস্যায় পুলিশ মানুষকে কতটা সাহায্য করে এই প্রশ্নের উত্তরে দেখা গিয়েছে, সর্বশেষ স্থানটি দখল করেছে উত্তরপ্রদেশ। নিরপেক্ষ পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে সবথেকে পিছনের রাজ্যটি হল উত্তরপ্রদেশ। বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নেও যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ একেবারেই কম নম্বর পেয়েছে। এই সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই পুলিশের উপর মানুষের ভরসা সবচেয়ে কম।
শনিবারই উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রধানের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে এই সমীক্ষা রিপোর্ট নিশ্চিতভাবেই মোদিকে চাপে রাখবে। কারণ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই পুলিশের উপর মানুষের আস্থা, ভরসা, ও বিশ্বাস সবচেয়ে কম।
]]>হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা,হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতার আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং ও কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর কারণ কী? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। যার জেরে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে। দুই ২৪ পরগনা ,পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়ায় আগামী কয়েকদিন দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এছাড়া আজ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়গ্রাম, হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
শহরেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও। আকাশ মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সকালের দিকে কিছু কিছু জায়গায় সামান্য কুয়াশাও হতে পারে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। বাতাসে প্রচুর আর্দ্রতা থাকায় অস্বস্তি বজায় থাকবে।
কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। রাতের দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার থেকে কমতে থাকবে রাতের তাপমাত্রা।
]]>