stronger – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 06 Dec 2021 17:58:43 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png stronger – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 India Russia Summit: আগামী দিনে ভারত রাশিয়া সম্পর্ক আরও উন্নত হবে, দাবি পুতিন-মোদীর https://ekolkata24.com/uncategorized/india-russia-summit-pm-modi-meets-putin-in-delhi-says-india-russia-ties-stronger-than-ever Mon, 06 Dec 2021 17:58:43 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13863 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনেই সোমবার রাজধানী দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে (hyderabad house) রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির (Vladimir Putin) পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। এদিন বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতা সন্ত্রাস দমন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার বিষয়ে একমত হলেন।

এদিনের বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, করোনার (corona) কারণে গত দু’বছর ভারত-রাশিয়ার বার্ষিক সম্মেলন হয়নি। কিন্তু তাতে দু’দেশের সম্পর্কে কোনও রকম প্রভাব পড়েনি। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, গত দু’বছরে দুই দেশকেই একাধিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। গত কয়েক দশকে গোটা বিশ্বের রাজনীতিতে অনেক বদল হয়েছে। কিন্তু ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কে কোথাও কোন বদল হয়নি। বদল একটাই হয়েছে সেটা হল, দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। চলতি পরিস্থিতিতে পুতিনের এই সফর সেটাই প্রমাণ করল।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ভারতকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ বলে মনে করে রাশিয়া। নয়াদিল্লি আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু, সেটা একাধিকবার প্রমাণ হয়েছে। ভবিষ্যতে দু’দেশের সম্পর্ক আরও উজ্জ্বল হবে। পুতিন আরও বলেন দুই দেশ প্রতিরক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, সন্ত্রাস দমনের মতো একাধিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করছে। উল্লেখ্য, এদিনই উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে একে-২০৩ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তৈরি একটি চুক্তিতে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষর করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১০ বছর আমেঠির এই অস্ত্র কারখানায় রুশ প্রযুক্তিতে ৬ লক্ষের বেশি কালাশনিকভ সিরিজের অত্যাধুনিক সংস্করণ একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরি হবে। আজকের বৈঠকে রাজনাথ এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শুয়েগোর সঙ্গে ড্রোন প্রতিরোধকারী অত্যাধুনিক মিসাইল কেনার ব্যাপারে কথা বলেন। পুতিনের সঙ্গে এদিনের আলোচনায় মোদী দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর বিশেষ জোর দেন। পাশাপাশি কথা বলেছেন আফগানিস্তান পরিস্থিতির নিয়েও।

অন্যদিকে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী এদিন আমেরিকাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ভারত কার থেকে কি ধরনের অস্ত্র কিনবে সে ব্যাপারে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। অন্য কোনও দেশ এ ব্যাপারে নাক গলাবে, সেটা নয়াদিল্লি কখনওই সহ্য করবে না। উল্লেখ্য, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে ড্রোন প্রতিরোধকারী মিসাইল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। এমনকী, অন্য দেশ থেকে অস্ত্র কেনার এই সিদ্ধান্তের জন্য তারা ভারতের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও দিয়েছে। তবে ভারত আমেরিকার এই হুমকিকে যে পাত্তাই দিচ্ছে না সেটা প্রমাণ হয়ে গেল রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করায়।

]]>
স্বাধীনতা উত্তর যুগে জাতীয় কংগ্রেস শক্তিশালী এই বাঙালির হাত ধরেই https://ekolkata24.com/offbeat-news/surendranath-banerjee-who-make-congress-more-stronger Wed, 10 Nov 2021 09:07:39 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10915 Special Correspondent, Kolkata: ১৮৭৬ সালে তিনি সর্ব ভারতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারতীয় সংঘ বা দি ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৮ সাল হতে তিনি বেঙ্গলী শিরোনামে একটি কাগজ সম্পাদনা করতেন এবং নির্ভিক ও ঔৎসুক চিত্তে জাতীয় সংস্কৃতি, একতা, স্বাধীনতা ও মুক্তির বিষয়ে নিয়মিত লিখতেন। ১৮৭৬-১৮৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের সদস্য হিসেবে ছিলেন। তার সুদক্ষ ও সুচারু নেতৃত্বের ফলে ভারতীয় সংঘ অল্প সময়েই পরিস্ফুটিত হয়। তিনি রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৮৮৩ সাল থেকে ভারতের সকল এলাকা থেকে আগত প্রতিনিধিদের নিয়ে নিয়মিতভাবে বার্ষিক সভা পরিচালনা করতেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা পায় এবং এর লক্ষ্য, উদ্দেশ্যও ভারতীয় সংঘের সাথে মিল থাকায় ১৮৮৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের ২য় অধিবেশনে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতীয় সংঘকে কংগ্রেসের সাথে একীভূত করেন। তিনি নতুন প্রতিষ্ঠিত কংগ্রেসকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে দুইবার – ১৮৯৫ এবং ১৯০৭ সালে এর সভাপতিত্ব করেন।

১৯০৫ সালে সুরেন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন এবং স্বদেশী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। অধিকন্তু হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে এবং জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। পরবর্তীতে তিনি মতানৈক্যজনিত কারণে ১৯১৮ সালে কংগ্রেস থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। এরপর তিনি মধ্যপন্থী হিসেবে হিন্দু-মুসলিম উভয় পক্ষকে একীকরণের জন্য উদ্যোগী হন। ১৯২১ সালে তিনি নাইট উপাধি লাভ করেন এবং বাংলায় তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে ১৯২১ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত দেশের সেবায় মনোনিবেশ ঘটান।

সমাজ সংস্কারে শিক্ষক হিসেবে স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ছাত্রদেরকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জ্বীবিত, অনুপ্রাণিত তথা উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। একই সাথে তিনি ভারতীয়দের একতাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। উনবিংশ শতকে রাজা রামমোহন রায়ের নির্দেশিত সমাজ-ধর্ম বিষয়ক পুণর্জাগরণের আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে বিশেষভাবে সচেষ্ট ছিলেন। সুরেন্দ্রনাথ সমাজ পুণর্গঠনের অংশ হিসেবে বিশেষ করে বিধবা বিবাহ, মেয়েদের অধিক বয়সে বিবাহ ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়ান।

সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক সংগঠন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রতিষ্ঠাতা। পরে এ দলটিকে নিয়ে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁকে রাষ্ট্রগুরু সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ১৮৪৮ সালের ৩০ নভেম্বর কলকাতায় সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম। তাঁর বাবা দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ঐ যুগের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) পরীক্ষা পাশ করেন। অতঃপর ১৮৭১ সালে তিনি সিভিল সার্ভিসের কর্মজীবনে সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রবেশ করেন। তিনি তার নির্ধারিত দায়িত্ব সঠিকভাবে চালাতে পারেননি ও অগ্রসর হতে চান না – এ অজুহাতে তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়। জাতীয় নেতৃত্বে জোড়ালোভাবে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে তিনি পুণরায় ইংল্যান্ডে গমন করেন। তিনি ছিলেন একজন স্বভাবজাত লেখক এবং বাগ্মী হিসেবেও তিনি ছিলেন তদ্রুপ।

জুন, ১৮৭৫ সালে মাতৃভূমি ভারতে ফিরে আসেন এবং শিক্ষকতার মহান পেশায় নিজেকে মনোনিবেশ ঘটান। ইংরেজীর প্রফেসর হিসেবে প্রথমে মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন এবং পরে ফ্রী চার্চ কলেজে নিয়োজিত ছিলেন। সর্বশেষে রিপন কলেজে যোগ দেন। পরবর্তীকালে এই রিপন কলেজই তার নামে নামকরণ করা হয় সুরেন্দ্রনাথ কলেজ হিসেবে।

]]>