শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার নেতৃত্বে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে দূষণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছে। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালে শীর্ষ আদালত কেজরি সরকারকে প্রশ্ন করে, আপনারা বলেছিলেন বাড়ি থেকেই অফিসের কাজকর্ম হবে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তাহলে আপনারা করছেনটা কী? একই সঙ্গে আদালত বলে, আপনারা তো প্রতিদিনই হলফনামা দিয়ে দূষণ রোধ করতে কত কিছু করবেন বলছেন। কমিটি তৈরি করছেন, কিন্তু তাতে কি আদৌ কি কোনও কাজের কাজ হয়েছে?
দিল্লি সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, দিল্লির সরকার রাজধানীর দূষণ প্রতিরোধ করতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। ওই উত্তরের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি রামান্না ফের প্রশ্ন করেন, আপনি বলুন রাস্তার মাঝখানে ব্যানার নিয়ে কেন ছেলে মেয়েরা দাঁড়িয়ে আছে? এটাতো সস্তার রাজনীতি হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্যের বিষয়টা কি আদৌ ভাবা হচ্ছে? আদালত দিল্লির দূষণের সঙ্গে কোনও রকম আপস করবে না। কেউ যদি ভেবে থাকে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করবে, সেটা হবে না। আগে দিল্লি সরকার বলুক কোন পরিস্থিতিতে তারা স্কুল খোলার মত এত বড় একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল।
একই সঙ্গে এদিন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ দিল্লি সরকারকে জানিয়েছে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের জানাতে হবে রাজধানীর দূষণ প্রতিরোধ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
]]>পাকিস্তানের প্রাক্তন বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে রবিবারের হাইভোল্টেজ ভারত- পাকিস্তান ম্যাচ সম্পর্কে কথা বলার সময় বলেছিলেন,”সবচেয়ে ভালো কথা, রিজওয়ান যা করেছে, মাশাল্লা, সে হিন্দুদের ঘেরা মাটিতে নামাজ পড়ল, সেটা সত্যিই আমার জন্য বিশেষ কিছু ছিল।”
ওয়াকার ইউনিসের এই মন্তব্যটি অনুরাগীদের কাছে ভালভাবে ঠেকেনি এবং এমনকি ক্রিকেট বিশ্লেষক হর্ষ ভোগলেকেও বিরক্ত করেছে, যিনি সাধারণত কোনও বিতর্কে প্রবেশ করা থেকে দূরে থাকেন এবং প্রায়শই কূটনৈতিক থাকেন। গোটা বিতর্কের প্রতিক্রিয়ায় হর্ষ ভোগলে আশা রাখেন,আমি নিশ্চিত ওয়াকারের কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়া হবে।
For a person of Waqar Younis' stature to say that watching Rizwan offering namaz in front of Hindus was very special to him, is one of the most disappointing things I have heard. A lot of us try hard to play such things down and talk up sport and to hear this is terrible.
— Harsha Bhogle (@bhogleharsha) October 26, 2021
হর্ষ ভোগলে এই বিষয়টিকে “সবচেয়ে হতাশাজনক জিনিসগুলির মধ্যে একটি” বলে মনে করেন এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারের কাছ থেকে আসা এমন মন্তব্যকে “ভয়ঙ্কর” বোধ বলে মনে করেন।
মঙ্গলবার ওয়াকার ইউনিসের বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই টুইট করে হর্ষ ভোগলে লেখেন,”ওয়াকার ইউনিসের মতো উচুদরের একজন ব্যক্তির এটা বলা যে রিজওয়ানকে হিন্দুদের সামনে নামাজ পড়তে দেখা তার কাছে খুব বিশেষ ছিল, আমি শুনে খুবই হতাশ হয়েছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ধরনের জিনিসগুলিকে খেলার পরিসরে নীচে রাখে এবং খেলাধুলোর মাঝে এই ধরনের কথা শুনতে পাওয়া ভয়ানক।”
৬০ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ধারাভাষ্যকার আরও বিশ্বাস করেন যে ওয়াকার, যিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত পাকিস্তানের বোলিং কোচ ছিলেন, তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন, তিনি (হর্ষ ভোগলে) বিশ্বাস করেন যে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন ঘটে।
একই সঙ্গে হর্ষ ভোগলে পাকিস্তানি ভক্তদের কাছে থেকেও আশা রাখেন যে, তাদের কিংবদন্তি ক্রিকেটারের এই মন্তব্যের নিন্দা তারাও করবে। এই প্রসঙ্গে হর্ষ ভোগলে টুইটে লেখেন,”আমি সত্যিই আশা করি যে পাকিস্তানের অনেক প্রকৃত ক্রীড়াপ্রেমী এই বিবৃতিটির বিপজ্জনক দিকটি দেখতে সক্ষম হবেন এবং আমার হতাশার সাথে যোগ দেবেন। আমাদের মতো ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য এটাকে খুব কঠিন করে তোলে এবং লোকেদের বলার চেষ্টা করা যে এটি শুধুমাত্র খেলা, শুধু একটি ক্রিকেট ম্যাচ।” এরপরে রিটুইট করে ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষক লেখেন,”আপনি মনে করবেন ক্রিকেটাররা, আমাদের খেলার দূত হিসেবে, একটু বেশি দায়িত্বশীল হবেন। আমি নিশ্চিত ওয়াকার থেকে ক্ষমা চাওয়া হবে। আমাদের ক্রিকেট বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করা নয়।”
প্রসঙ্গত, রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলিকে আউট করে শাহিন আফ্রিদির স্মরণীয় পারফরম্যান্সের জেরে পাকিস্তান ১৮ ওভারের মধ্যে ১৫২ রান তাড়া করে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে, ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
]]>