Subrata Mukherjee – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 06 Nov 2021 10:15:38 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Subrata Mukherjee – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Subrata Mukherjee: কোনদিন খালি হাতে ফিরিনি তাঁর কাছ থেকে, সুব্রত নিয়ে লোপামুদ্রা https://ekolkata24.com/entertainment/music-artist-lopamudra-mitra-about-subrata-mukherjee Sat, 06 Nov 2021 10:15:38 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10476 News Desk: সুব্রত মুখোপাধ্যায় যে শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন তা সবার জানা। গানের জগতেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন লোপামুদ্রা মিত্র।

তিনি জানিয়েছেন, “সুব্রতদাকে প্রথম সামনে থেকে দেখি, ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটউট হলে।২০০০ সালে। তখন তিনি সদ্য মেয়র হয়েছেন। আমার গান শুনেছিলেন সামনের সারিতে বসে। সেইদিন প্রথম আলাপ।তারপর থেকেই মানুষটিকে চিনেছিলাম একজন মানুষ হিসেবে। ব্যাক্তিগত কারণে অথবা সহজ পরব, কোনদিন খালি হাতে ফিরিনি তার কাছ থেকে।

প্রথম বছর সহজ পরবের আগে আমি আর কালিকা তাঁর বাড়ি গেছি। সাহায্য করেছেন তাঁর যথাসাধ্য।অনুষ্ঠানের দিন সুব্রতদা নিজে কাজের কারণে আসতে পারেননি, বৌদি এসেছেন। শুধু গানবাজনা ভালোবেসে। তারপর থেকে প্রতিটি বছর সহজ পরব তাঁর সাহায্য পেয়েছে।

শ্রদ্ধা করি তাঁকে শুধু মানুষ হিসেবে শুধু নয়, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও। যেটা আজকের দিনে অনেককেই করতে পারিনা। এমন মানুষের চলে যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হয়।”

৭৫ বছর বয়সে এসএসকেএম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। চার নভেম্বর রাত ৯.২২মিনিটে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর মৃত্যু হয় তাঁর। পাঁচ তারিখ বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন সন্ধে নাগাদ হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের শৌচাগারে যান তিনি। এরপরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে দেখতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ হাসপাতালে যান মমতা। কার্ডিওলজির আইসিসিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, নির্মল মাজি। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসএসকেএমে ভর্তি হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ধমনীতে স্টেন্ট বসানোর পরেও অবস্থার অবনতি হয় তাঁর।

দীপাবলির আগের সপ্তাহেই হঠাৎ শরীর খারাপ হয় তাঁর। গত ররিবার এসএসকেএমে চেক আপ করাতে গিয়ে আরও অসুস্থ বোধ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। একসপ্তাহ ধরে ICCU-তে কাটানোর পরে শেষ হল জীবনের সঙ্গে লড়াই। সকলকে চির বিদায় জানালেন বঙ্গ রাজনীতির চিরসবুজ ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের সারেঙ্গাবাদের ছেলে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ৬-এর দশকে পড়তে আসেন কলকাতায় । অ্যানথ্রোপলজিতে ব্যাচেলর অফ সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হলেন বঙ্গবাসী কলেজে। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিওলজি-তে মাস্টার্স। এর পর পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা মিউসিওলজি বা মিউজিয়াম স্টাডিজে। এর পর দীর্ঘ ৫০ বছর সাফল্যের সঙ্গে সেই দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

]]>
মোহনবাগানকে জেতাতে লাল হলুদের মাঠে বসে খেলা দেখতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় https://ekolkata24.com/offbeat-news/subrata-mukherjee-used-to-watch-the-game-from-east-bengal-to-win-mohun-bagan Sat, 06 Nov 2021 04:50:30 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10450 Special Correspondent, Kolkata: ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট কাটাতে লাল হলুদ তাঁবুতে গিয়ে ইস্ট-মোহন ম্যাচ দেখতেন কট্টর মোহনবাগান সমর্থক তথা সদ্য প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

লাল হলুদের এই পয়েন্ট কাটানোর কথা জানিয়েছেন দেবব্রত সরকার ওরফে লাল হলুদের নিতু দা। তিনি বলেন, “এই গল্প জআমি খুব ছেলেবেলা থেকে ময়দানে আসতাম। এসে দেখতাম পল্টুদার সাথে সুব্রতদার একটা মধুর সম্পর্ক। এটাও শুনতাম সুব্রতদা নাকি আপাদমস্তক মোহনবাগানের সমর্থক, কিন্তু ভালো লাগতো ওনাকে দেখে যে তিনি আমাদের ম্যাচ গুলোর সময় ঠিক পল্টুদার পাশে বসে ম্যাচ উপভোগ করতেন।

আসলে একজন কট্টর মোহনবাগানী আরেকজন কট্টর ইস্টবেঙ্গলি দুই বন্ধু, ম্যাচ দেখার নাম করে একে অন্যের টিমের খেলা থাকলেই তাদের মাঠে চলে যেতেন, এটা আসলে একটা তুক-তাক, অন্যের টিমের পয়েন্ট কাটার লক্ষ্যে। সুব্রতদা যেমন আমাদের খেলা থাকলে আমাদের মাঠে আসতেন তেমনি আবার পল্টুদা রাও মোহনবাগানের খেলা থাকলে চলে যেতেন তাদের মাঠে, পয়েন্ট কাটবার জন্য। এ ছিল এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সুব্রতদা আমাদের মাঠে আসলে ওনার পাশে থাকতেন পল্টুদা, জীবনদা, প্রদীপ ঘোষ – এই প্রদীপ ঘোষ ওনার রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন আর ছিলেন আদ্যোপান্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। মাঠে একটা সুন্দর সমাবেশ থাকতো।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, “সবসময় ওনাকে দেখেছি, যে, কোনো মানুষ কোনো কাজের জন্য তার কাছে গেছে, তিনি পরিষ্কার কথাটা পরিষ্কার করে বলেছেন। আমি কোনো রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে বলছি না, আমাদের ময়দান কেন্দ্রিক কোনো কিছু নিয়ে তার কাছে কেউ গেলে তিনি পরিষ্কার কথাটা পরিষ্কার ভাবে তাকে বুঝিয়ে বলতেন। পল্টুদা ওনার থেকে বয়েসে বড় হলেও তার সাথে সুব্রতদার অদ্ভুত একটা সুসম্পর্ক ছিল এই স্পোর্টসকে কেন্দ্র করে। কখনো আই.এফ.এ.’র রাজনীতি, কখনো সি.এ.বি.’র রাজনীতি বা অন্যান্য আসোসিয়েশনের যেকোনো সমস্যায় তিনি পল্টুদার সাথে আলোচনা করতেন।

আবার পল্টুদা যেমন মাঝে মাঝে সুব্রতদার বাড়িতে যেতেন সেরকমই পল্টুদা বাড়িতে থাকলে তিনি চলে আসতেন পল্টুদার বাড়িতে। পল্টুদা চলে যাওয়ার পর আমাকে আর স্বপনদাকে উনি খুব স্নেহ করতেন। মাঝে মাঝে আমরাও যেতাম ওনার কাছে। সুব্রতদা যখন মেয়র হলেন, আমি আর স্বপনদা ওনার কাছে গিয়ে বললাম, “বড় ক্লাবগুলোতে তো কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই, তুমি যদি একটু করে দাও, ভালো হয়”। সুব্রতদা বললো, “দেখ আমি তো পুরো করতে পারবো না, বেশ খানিকটা করে দিচ্ছি, বাকিটা তোদের দেখতে হবে”। আমি বললাম, “ঠিক আছে”। সাথে সাথে স্বপনদা বললো, “মোহনবাগান তো চায় নি, তা তুমি দেবে তো?” তার উত্তরে খুব সুন্দর ভাবে তিনি বলেছিলেন, “মোহনবাগান তো আমার কাছে চায় নি, তোরা চেয়েছিস, তোদের দিচ্ছি”।

একজন আদ্যোপান্ত মোহনবাগানী হয়েও স্পোর্টস এর উন্নতিতে সবসময়ই এগিয়ে আসার মানসিকতা সুব্রত দার মধ্যে দেখতে পেয়েছিলাম। এরকম একজন ময়দান প্রিয় মানুষ চলে গেলো, আমরা খুবই শোকাহত। তিনি যেমন মোহনবাগানের সদস্য ছিলেন, তেমনি আমাদের সদস্য ছিলেন। প্রত্যেক বছরের বার্ষিক চাঁদা দিয়ে উনি কার্ড নবীকরণ করাতেন। ওনার সহকর্মী দেবুদার সাথে কথা বলে আমিই সেটা পাঠিয়ে দিতাম সুব্রতদার কাছে। আর হয়তো কার্ড রিনিউ করে পাঠাতে হবেনা, সুব্রতদার চলে যাওয়া ময়দানে এক অনন্ত শূন্যতার সৃষ্টি হলো। একজন ফুটবল প্রেমী ব্যক্তিত্বকে হারালাম আমরা। ওনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। ওনার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই।
সুব্রতদা এক বর্ণময় চরিত্র, রাজনীতির আঙিনার মতো ময়দানেও তিনি অমর হয়ে থাকবেন।”

]]>
Subrata Mukherjee: যে কথা শেষ হয়নি! মমতাকে নিয়ে আত্মজীবনীতে কী লিখেছেন সুব্রত? https://ekolkata24.com/uncategorized/an-unfinished-autobiography-by-subrata-mukherjee Fri, 05 Nov 2021 15:19:10 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10394 News Desk, Kolkata: বইটার নাম জানে না কেউ, হয়ত পারিবারিক সৌজন্যে এই আত্মজীবনী প্রকাশ হতেও পারে। আবার দিনের আলো না দেখতেও পারে। আসলে যে প্রশ্নটা থেকেই গেল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) প্রয়াণের পর, সেটি হলো তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘অকপটে’ কী লিখেছেন?

আরও পড়ুন: নকশাল নেতা সরোজ দত্তর ‘মার্ডার’ দেখা উত্তমকুমারকে ফোন করলেন, কে তিনি?

সুব্রত-মমতার ‘রাজনৈতিক রসায়ন’ মোড় নিয়েছিল বাম জমামার শেষ কয়েক বছরে। কংগ্রেসের একদা যুবনেত্রী মমতার ‘গাইড’ পরে মমতাকেই ‘নেত্রী’ হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। ঘনিষ্ঠরা জানেন, মমতা কংগ্রেস ত্যাগের পর তার সম্পর্কে কী ভাবতেন সুব্রতবাবু। তবে অকপটে এও স্বীকার করেছেন, মমতার ডাকে লক্ষ মানুষ জড়ো হতে পারে। আমার ডাকে কেউ আসবে না। এর থেকে প্রমাণ হয় মমতার নেতৃত্ব কতটা শক্তিশালী।
বঙ্গবাসীর কাছে কৌতুহলের আরও এক পর্ব চর্চিত ‘নারদা মামলা’র সেই বিখ্যাত ভিডিও। এ নিয়েই সোজাসাপটা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আত্মবিশ্লেষণ কীরকম সেটিও অধরা থাকল।

Subrata Mukherjee

ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সুব্রত-প্রিয়

সুব্রতবাবুর অবর্তমানে সেই লেখার ‘এডিট’ হবে না তো, এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিস্ফোরক বোঝাই খাতা উল্টোলেই রাজনৈতিক বিস্ফোরণ তো হবেই এমনই ধারণা বহু ডান-বাম নেতার। সুব্রতবাবু নিজেই অকপটে বলে গিয়েছেন ‘আমি সোজাসাপটা লোক। এর জন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে।’

আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee: হেফাজতে চারু মজুমদারে মৃত্যু, পুলিশমন্ত্রী ছিলেন সুব্রত

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের মার্কামারা ঘটনাগুলি দশকের পর দশক চর্চিত। ‘নকশাল নেতা সরোজ দত্ত মার্ডার’ হোক বা বন্দি চারু মজুমদারের মৃত্যু বিতর্ক, রয়েছে জরুরি অবস্থায় মন্ত্রী হিসেবে রবীন্দ্রনাথের কবিতা না ছাপানোর মতো সিদ্ধান্ত। পরে তা স্বীকার করেন। কিন্তু জরুরি অবস্থা জারির প্রেক্ষাপটকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছিলেন।

Subrata Mukherjee

এসবের পর আসছে টানা বাম জমানায় তৎকালীন সরকারের সঙ্গে সৌহার্দ্যমূলক ব্যবস্থা রাখার কৌশলে ‘তরমুজ’ আখ্যা পাওয়া আর বঙ্গ কংগ্রেসের অভ্যন্তরের কথা। কিছু ইঙ্গিত দি়য়ে ছিলেন আশি- নব্বই দশকে প্রদেশ কংগ্রেসের জটিল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাঁর কলমের ডগায় এসেছে। তেমনই কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির পরের অবস্থা ও বিশ্লেষণ, ব্যক্তিগত মুহূর্ত সবই এসেছে পরপর। এক সংবাদ মাধ্যমে সুব্রতবাবুর সরাসরি জবাব ছিল, এত মালমশলা আছে যে …!

সুব্রতবাবু সোজাসাপটা থাকতে ভালোবাসেন বলেই জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন অনেক কথা সরাসরি বললে যে অনেকের বিরাগভাজন হতে হবে। তবে আমি লিখছি।

<

p style=”text-align: justify;”>কী লিখে গিয়েছেন মুনমুন সেনের এই ‘নায়ক বন্ধু’? কেউ জানে না। কেমন রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করেছেন কংগ্রেস যুবনেত্রী মমতা থেকে নিজ নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতার? অজানা। সিনিয়র ‘সুব্রতদা’ আর জুনিয়র মমতা-কে কীভাবে ডাকতেন একে অপরকে? এ নিয়েও চরম কৌতূহল রয়েছে। শুধু সবার অগোচরে থাকা আত্মজীবনীটা নীরবে বিস্ফোরণের অপেক্ষা করছে।

]]>
নকশাল নেতা সরোজ দত্তর ‘মার্ডার’ দেখা উত্তমকুমারকে ফোন করলেন, কে তিনি? https://ekolkata24.com/uncategorized/naxal-leader-saroj-dutta-murder-case Fri, 05 Nov 2021 09:40:31 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10353 News Desk: কে তিনি? উত্তমকুমার জীবদ্দশায় যাঁদের কাছে ‘মুখ খুলেছিলেন’ তাঁরাও কোনও এক অজানা আশঙ্কায় নীরব ছিলেন। কারণ সে মন্ত্রী আর জবরদস্ত তার কাজকর্ম।

মহানায়কের জীবনে এমন সন্ধিক্ষণ আর আসেনি। তিনি বম্বে (মুম্বই) চলে গিয়ে কিছুটা ধাতস্থ হতে চেয়েছিলেন। সেই সময় একটি ফোন এসেছিল, হাসি হাসি গলায় উত্তমকুমারকে কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিটি। সিনেমায় বহু ভিলেনকে সরাসরি কুপোকাত করে দেওয়া উত্তমকুমার বুঝেছিলেন বেশি বলা ভালো না।

এই ঘটনার পিছনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অতিবামপন্থী নেতা, কবি ও সাংবাদিক সরোজ দত্তর মার্ডার মুহূর্ত। কলকাতাতেই ১৯৭১ সালের ৫ই আগস্টের ভোরে কিংবদন্তি এই রাজনীতিককে খুন করা হয়। কানাঘুষোয় শোনা যায় ঘটনাচক্র বা দুর্ঘটনাচক্রে সরোজ দত্তকে খুনের মুহূর্তটি দেখে ফেলেছিলেন মর্নিং ওয়াক করতে আসা উত্তম কুমার। এর পরেই কেউ তাঁকে বলেছিল ‘উত্তমদা আপনি কিছুই দেখেননি’।

চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার সাড়া জাগানো সিনেমা আতঙ্ক মুক্তি পায় ১৯৮৬ সালে। সেখানে সত্তর দশকে পাড়া পাড়ায় যে মস্তানি ও খুন চলছিল তারই জ্বলন্ত মুহূর্ত ধরা আছে। এক ছাত্র অপর ছাত্রকে খুন করছে এই মুহূর্ত দেখে ফেলা বৃদ্ধ শিক্ষককে পরিচ্ছন্ন হুমকি দেয় খুনি ‘মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি’। এই সংলাপেই ধরা আছে ভয়াবহ সময়টির আতঙ্কিত জনজীবন।

তপন সিনহার আতঙ্ক সিনেমার সংলাপটির চিন্তা এসেছিল উত্তমকুমারকে দেওয়া টেলিফোনে হুমকি থেকেই তাতে নিশ্চিত অনেকেই। সেই ফোন যিনি করেন তিনি সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের পছন্দের এক তরুণ নেতা। এও শোনা যায় উত্তমকুমার সহ বাংলা চলচ্চিত্রের প্রায় সবাই তাঁর ঘনিষ্ঠ। ফলে ফোনটা এসেছিল হুকুমদারি মার্কা গলায় নয়, নেহাতই উত্তম গুণমুগ্ধ হয়েই একটি আবদার। তবে সেই ফোন যে আসলে হুঁশিয়ারি তাও স্পষ্ট ছিল।

তবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মহলে উত্তমকুমার কিছুটা বলেছিলেন সেই ফোন করা ব্যক্তির বিষয়ে। তাঁর সেই ভীত গলায় আলোচনার রেশ ধরেই পরবর্তী কালে সময় ও তারিখ মিলিয়ে জানা যায় সেদিন ভোরে নকশালপন্থী নেতা সরোজ দত্তকে খুনের মুহর্তে কাকতালীয়ভাবে হাজির হয়েছিলেন মর্নিংওয়াক করা উত্তমকুমার। এর পরেই খুব পরিচিত একজন তাঁকে বলেন, ‘উত্তমদা আপনি কিছুই দেখেননি।’

নকশালবাড়ি আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা সরোজ দত্ত অন্যান্যদের মতো আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁকে ১৯৭১ সালের ৪ আগস্টের শেষ রাতে পুলিশ এসে অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে তাঁকে আর কোথাও কেউ দেখেনি। সেই থেকেই তিনি আজও পর্যন্ত পুলিশের খাতায় ‘নিখোঁজ’। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু অনেক রহস্য অনাবৃত থেকে গেল।

]]>
Subrata Mukherjee: হেফাজতে চারু মজুমদারে মৃত্যু, পুলিশমন্ত্রী ছিলেন সুব্রত https://ekolkata24.com/uncategorized/subrata-mukherjee-always-silent-on-charu-majumdar-dearth-mystery Fri, 05 Nov 2021 08:29:08 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10346 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বিতর্কিত ২৮ জুলাই। ১৯৭২ সালের দিনটিতে মৃত্যু হয়েছিল সশস্ত্র নকশালপন্থী আন্দোলনের স্রষ্টা চারু মজুমদারের। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিস্তর বিবাদ বিতর্ক রয়েছে। তবে সরকার কর্তৃক ঘোষণা করা হয়েছিল মৃত্যুর কারণ ‘হৃদরোগ’। নকশালপন্থী নেতা ও দলগুলির অভিযোগ, ‘তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) অধীনস্থ পুলিশ বিভাগ অজানা কারণে চারুবাবুর মৃত্যুর কারণ গোপন করেছিল’।

নকশালবাড়ি আন্দোলনের সরাসরি সমর্থক বিভিন্ন অতিবামপন্থী সংগঠনগুলির আরও অভিযোগ, দেশের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা আন্তর্জাতিক পরিচিতি পাওয়া ‘সিএম’ (চারু মজুমদার) কে পুলিশি হেফাজতে মেরে ফেলা হয়েছিল। তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সরকারের আমলেই চারুবাবুর গ্রেফতারি ও হেফাজতে মৃত্যুর বিতর্ক এখনও চলছে।

ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম অধ্যায় দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি কৃষক অভ্যুত্থান। সশস্ত্র সংগ্রামের তত্ত্বে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন সিপিআইএম থেকে বহিষ্কৃত কমিউনিস্ট নেতা চারু মজুমদার ও সমদর্শী নেতারা।

১৯৬৭ সালে সরাসরি নকশালবাড়িতে সশস্ত্র কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, রক্তাক্ত পরিস্থিতির জেরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হাওয়া আরও গরম হয়েছিল। সেই আন্দোলনের ফলে গোটা দেশে অতি বাম রাজনৈতিক তত্ত্বের পালে হাওয়া লাগে। এই আন্দোলনের মূল নেতা চারু মজুমদার অসুস্থ হয়েও গোপনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাঁকে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করে সরকার। নকশাল আন্দোলন তীব্র আকার নেয়। অবশেষে তাঁকে ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই কলকাতার গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

চারু মজুমদারের গ্রেফতারের পরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ছিল তাঁর শারিরীক অবস্থা কেমন? শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত চারবাবু বন্দি হলেও তিনি আইনত চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠতে থাকে। তবে নিরুত্তর ছিলেন রাজ্যের ততকালীন পুলিশমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

অভিযোগ উঠছিল, চারু মজুমদারকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার ছক করেছে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনিও নীরবতার পথ নিয়েছিলেন। চাপে পড়ে অসুস্থ চারুবাবুর চিকিৎসা শুরু হয় হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৭২ সালের ২৮ জুলাই তিনি প্রয়াত হন।

এই ইস্যুটি রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জীবনভর তাড়া করেছে। তিনিও বিষয়টি নিয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট করেননি। ফলে বিতর্ক থেকেই গিয়েছে। সুব্রতবাবুর প্রয়াণে এই বিতর্কের সরাসরি জবাব দেওয়ার কেউ নেই। নকশালপন্থীদের অভিযোগ অনুসারে ‘রহস্যাবৃত’ থাকল চারু মজুমদারের মৃত্যুর কারণ।

]]>
Subrata Mukherjee: জরুরি অবস্থা, সিদ্ধার্থ থেকে মমতা মন্ত্রিসভার বর্ণময় সুব্রত মুখোপাধ্যায় https://ekolkata24.com/uncategorized/subrata-mukherjee-internal-emergency-and-minister-subrata-mukherjee-a-political-controversial-journey Thu, 04 Nov 2021 17:57:49 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10314 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: রাজ্যে বাম জমানার পতনের পর যখন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার মহাকরণে ঢুকছে, তখন প্রায় অনুচ্চারিত একটি নজির গড়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনিই মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার একমাত্র সদস্য যাঁর রাজ্যে মন্ত্রীত্ব করার পূর্বঅভিজ্ঞতা ছিল। সেই অর্থে তিনি টিএমসি সরকারের একমাত্র মহাকরণ ঘোরা একজন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব সামলেছেন আগে। কিন্তু রাজ্য সরকারের মন্ত্রীর অভিজ্ঞতা ছিল সুব্রতবাবুর।

বাম জমানার পতনের ঠিক আগে ১৯৭২-১৯৭৭ পর্যন্ত কংগ্রেসের সরকারের সুব্রতবাবু ছিলেন পুলিশ ও তথ্য দফতরের দায়িত্বে। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিদ্ধার্থ শংকর রায়।

প্রথম পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বই সুব্রতবাবুর রাজনৈতিক জীবনে সবথেকে আলোচিত। সেই সময়েই অর্থাৎ ১৯৭৫ সালে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। তথ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকায় বহু ‘অপ্রিয়’ কাজ করতে হয়েছে সুব্রতবাবুকে। জরুরি অবস্থা বিরোধী যে কোনও সংবাদ কেটে দেওয়ার মতো ঘটনা রাজ্যে তাঁর দফতরেই হত। তিনি থাকতেন উপস্থিত। সে কথা পরবর্তী সময়ে স্বীকার করেছেন। বিশেষ করে ততকালীন বিরোধী দল সিপিআইএমের মু়খপত্র ‘গণশক্তি’ সংবাদ পরিবেশনায় সুব্রতবাবুর নজর থাকত প্রবল।

নিজেই জানিয়েছিলেন “গণশক্তির সরোজ মুখার্জি আমার কাছে এসেছিলেন। ওঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির” ছাপতে চান। আমি সটান না করে দিয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল দেশের যা অবস্থা তাতে ওই কবিতার অন্য অর্থ হবে। এটা আমি ঠিক করিনি৷ এখন ভাবলে খারাপ লাগে” 

জরুরি অবস্থার পরে ১৯৭৭ সালে রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের পতন হয়। তৈরি হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। এই দীর্ঘ চৌত্রিশ বছরের বাম জমানাতে বিরোধী কংগ্রেসের তিনমূর্তি ছিলেন প্রিয়-সোমেন-সুব্রত। আর নেই তাঁরা। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে সেই অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। তিনি এমন এক রাজনীতিক যিনি বিরোধী হোক বা সরকার সবপক্ষেই নিজ মহিমায় উজ্জ্বল।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় টালমাটাল যুক্তফ্রন্ট সরকার ছিল এ রাজ্যে প্রথম অ-কংগ্রেসি সরকার। ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ এই সময়ে দুটি যুক্তফ্রন্ট সরকারকে নড়িয়ে দেওয়ার যে ঘটনাবহুল ছক তৈরি হয়েছিল সেই সময়টিতে অর্থাৎ রাজনৈতিক ঝঞ্ঝাপূর্ণ বামপন্থী রাজনীতির উত্থান সময়ে কংগ্রেসি জাতীয়তাবাদী ঘরানার দক্ষিণপন্থী তরুন নেতাদের আকাল চলছিল। সেই আকালের বাজারে উদয় প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি, সোমেন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাবড় তাবড় বাম ও অতিবাম রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাঝে কংগ্রেসি তিন মূর্তির প্রবল আত্মপ্রকাশ সেই যে শুরু হয়েছিল, দীর্ঘ চার দশক পেরিয়ে সুব্রতবাবু ছিলেন সেই জাতীয়তাবাদী ঘরানার সর্বশেষ প্রতিনিধি।

রাজনৈতিক জীবনে প্রথম মাইলফলকটি অবশ্যই ছিল, ১৯৭২ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে রাজ্যে ফের কংগ্রেসের ক্ষমতা দখলে সুব্রতবাবুর মন্ত্রী হওয়া। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের সঙ্গে মহাকরণ ও বিধানসভায় ঢুকলেন পুলিশ ও তথ্য দফতরের মন্ত্রী হয়ে। তারপর কংগ্রেস ভেঙে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পরপর দলত্যাগ ফের ফিরে আসা এরকমই চলেছে। একপর্যায়ে মমতাকে নেত্রী বলে মেনেও নিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন।

সিদ্ধার্থশংকর থেকে শুরু মাঝে জ্যোতি বসু-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মুখ্যমন্ত্রীতে বিরোধী পক্ষে আর সর্বশেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মু়খ্যমন্ত্রীত্বে মন্ত্রিসভাতেই রাজনৈতিক জীবন কাটল। পুরো রাজনৈতিক জীবনে জরুরি অবস্থার মতো সবথেকে বিতর্কিত ঘটনাটি পরে হেসে উড়িয়েছেন। সুব্রতবাবু এমনই। সেটা সবপক্ষই স্বীকার করে নিয়েছেন।

]]>
Subrata Mukherjee: প্রয়াত রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যাায় https://ekolkata24.com/uncategorized/late-state-panchayat-minister-subrata-mukherjee Thu, 04 Nov 2021 16:51:40 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10308 News Desk, Kolkata: দীপাবলির রাতে প্রয়াত হলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হন তিনি। রাতেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সুব্রতবাবুর মৃত্যুর খবর জানান মুখ্যমন্ত্রী৷

পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন-সহ রাজ্যের চারটি দফতরের মন্ত্রী, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।  ১৯৭২ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন। জরুরি অবস্থার সময় বিতর্কিত পর্বে সুব্রত ছিলেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্বে। ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০০১ থেকে ২০০৫ তিনি ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র
(বিস্তারিত আসছে)

]]>