Sundarban – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 24 May 2024 07:53:01 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Sundarban – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 बंगाल की खाड़ी में बन रहा तूफान, बंगाल में सतर्कता https://ekolkata24.com/top-story/storm-forming-in-bay-of-bengal Fri, 24 May 2024 07:52:39 +0000 https://ekolkata24.com/?p=47508 कोलकाता : बंगाल की खाड़ी में बन रहे एक तूफान के भीषण चक्रवात में तब्दील होकर 26 मई को बंगाल और उससे सटे बांग्लादेश के तट पर पहुंचने की संभावना है। रविवार की शाम से लेकर देर रात तक तूफान बंगाल से टकराने की संभावना है। जानकारी के अनुसार 102 की स्पीड में हवा चलेगी।

बंगाल में छठे दौर के चुनाव के अगले दिन यानी रविवार को बेहद शक्तिशाली चक्रवात ‘रिमल’ के टकराने की आशंका है। तूफान की दिशा ओडिशा से बांग्लादेश तक हो सकती है, संकेत मिल रहा है कि रुझान पश्चिम बंगाल और बांग्लादेश के सुंदरबन तट की ओर होने की अधिक संभावना है। 

मौसम विभाग की माने तो चक्रवात के कारण पश्चिम बंगाल के तटीय जिलों उत्तर 24 परगना, दक्षिण 24 परगना, पूर्वी मिदनापुर के कई इलाकों में भारी बारिश होगी।रविवार को 110 की रफ्तार से हवा चलेगी,  शनिवार से ही तूफानी बारिश का शुरू हो सकती है।  हवा की रफ्तार 110 माना जा रहा है। पूर्व मेदिनीपुर, उत्तर एवं दक्षिण 24 परगना में बारिश हो सकती है। तीनों जिलों में बिजली गिरने के साथ 50 किमी की रफ्तार से तेज हवाएं चलेंगी। कोलकाता के साथ-साथ दक्षिण बंगाल के सभी जिलों में तेज हवाओं के साथ बारिश होने की काफी संभावना भी है।

]]>
Tiger Census: পচা মাংস-ডিমের লোভে আসবে মামা! শুরু বাঘ গণনা https://ekolkata24.com/uncategorized/tiger-census-sundarban Tue, 07 Dec 2021 13:42:09 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13985 News Desk: দক্ষিণ রায় বা বড় মিঞা পচা মাংস খেতে ভালোবাসে। পচা ডিমের গন্ধ খুব প্রিয়। এসব মাখিয়ে লোভনীয় ডিস তৈরি করা হয়েছে। গন্ধে ম ম করছে ! আর কি না এসে পারে, আসতেই হবে। তৈরি বনকর্মীরা। হই হই করে শুরু হয়েছে বাঘ সুমারি। সুন্দরবন জুড়ে চলছে এই কাজ।

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বেশিরভাগ পড়ে বাংলাদেশে। অরণ্যের অংশটি ভারতের দিকে পড়ছে তার অধীনে আছে তার বেশিরভাগই দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। উত্তর ২৪ পরগনার দিকেও আছে কিছু এলাকা। এই বনাঞ্চলের কোথায় কতজন বাঘ মামা আছে তার গুণতি শুরু হয়েছে।

সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আমফান ও ইয়াসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের। তবে জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে ফেলায় তত ক্ষতি হয়নি। জাওয়াদের কারণে বাঘ সুমারি পিছিয়ে দিয়েছিল রাজ্য বন দফতর।

বনদফতর সূত্রে খবর, ঠিক ছিল গত ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে সুন্দরবনের বাঘ গণনার কাজ। জাওয়াদের আশঙ্কায় দিনটি পিছিয়ে ৭ ডিসেম্বর করা হয়। সেই মতো মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে বাঘ সুমারির কাজ।

জিপিএস ও ইনফ্রারেড প্রযুক্তি সহহাই রেজুলেশান নাইট ভিসন ক্যামেরার সাহায্যে গোনা হবে বাঘের সংখ্যা।

শেষ বাঘ সুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে ৯৬ টি বাঘ রয়েছে। সম্প্রতি ধরে যেভাবে লোকালয়ে বাঘের হামলার ঘটছে এবং পর্যটকরা সুন্দরবনে বেড়াতে এসে বার বার যেভাবে বাঘের দর্শন পেয়েছেন, তাতে সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা আগের থেকে বেশ খানিকটা বেড়েছে বলেই অনুমান করছেন বন আধিকারিকরা।

বনদফতর জানিয়েছে সুন্দরবনের কোর এরিয়ার মোট ৭৪৮টি জায়গায় ক্যামেরা বসানো হবে। এক একটি জায়গায় দুটি করে ক্যামেরা থাকবে। ক্যামেরার সামনে এলেই উঠবে ছবি।

বনদফতর জানিয়েছে, যেখানে ক্যামেরা থাকবে তার পাশেই পচা মাংস আর পচা ডিমের সংমিশ্রণে তৈরি তরল একটি বাঁশের টুকরোয় লাগিয়ে দেওয়া হবে। যাতে বাঘ ওই বিশেষ তরলের গন্ধে আকৃষ্ট হয়। বাঘ এলেই স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা ছবি তুলবে। ৩০ থেকে ৩৬ দিন পরে সেই ক্যামেরাগুলি খুলে নিয়ে ছবি বিশ্লেষণ করে সুন্দরবনের সঠিক বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করবেন বিশেষজ্ঞরা।

বনকর্মীদের ১০টি বিশেষ দল জঙ্গলের মধ্যে ক্যামেরা বসানোর কাজ করবেন। এক একটি দলে অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন করে বনকর্মী রয়েছেন। প্রায় ৪০০ বনকর্মী কাজে নেমেছেন।

]]>
Bengali Ritual: কৃষক সমাজ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে এই পার্বণ, ধরে রেখেছে সুন্দরবন https://ekolkata24.com/offbeat-news/thats-how-a-bengali-ritual-lost-its-old-beauty Tue, 19 Oct 2021 06:49:39 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8245 বিশেষ প্রতিবেদন: এ এক বিশেষ প্রাচীন লোকাচার (Bengali Ritual)। প্রাচীন প্রথাটি মূলত বঙ্গের কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে দেখা যায়৷ একসময় কৃষিজীবী পরিবারগুলি এই প্রথা বেশ জাঁকজমক করে পালন করত, যা আজ অনেকক্ষেত্রেই হারিয়ে গিয়েছে। কোনওরকমে বেঁচে রয়েছে সুন্দরবনে। নাম, নল সংক্রান্তি।

গ্রামীণ লোকাচার নলসংক্রান্তি আর ডাকসংক্রান্তি দুটোই একই প্রথা। অঞ্চলভেদে আলাদা রকম নাম। তবে সুন্দরবন এলাকায় এই প্রথাটিকে নলসংক্রান্তি বলে। আশ্বিন মাসের শেষদিন অর্থাৎ সংক্রান্তির দিনে এই প্রথাটি পালিত হয়৷ আজ সেই আশ্বিনের শেষ দিন। এইসময় হল ধানগাছে ফসল আসার সময়, ধানগাছে ফুল হয়, ধানগাছ গর্ভবতী হয়৷ আর ধানের ভেতরের অংশটি এই সময়ে একেবারে দুধের মতো। যেটি পরবর্তী পর্যায়ে চালে পরিণত হয়।

Bengali Ritual

এই নরম মিষ্টি দুধ অংশটি পোকামাকড়ের খুব প্রিয়। ফলে ধানের উপর পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যায়। এরা ধানের দুধ অংশটি শুষে নেয়। ধানের পুষ্টি হয় না। ধান থেকে চাল পাওয়া যায় না, সব আগড়া হয়। ফলে কৃষকের সর্বনাশ। কৃষক পরিবারগুলি দুঃখের সীমা থাকে না। তখন ফসল বাঁচাতে কৃষকরা ফসল এক পদ্ধতি বা টোটকা অবলম্বন করতেন পরে সেটিই প্রথা হিসেবে প্রচলিত। কৃষকরা বলতেন ধান গাছের সাধ ভক্ষন অনুষ্ঠান হল নল সংক্রান্তি।

আশ্বিনের মাস শেষের আগের দিনে নল গাছ কেটে আনা হয়। নিম, কালমেঘ, তুলসী, ওল, আদা, ভেট , বয়েড়া, মানকচু, চাল কুমড়ো খাড়া, নটে খাড়া, কেতকী, বেলপাতা, শশা গাছকে ইত্যাদি দশ বার রকমের ভেষজ খুব ছোটো ছোটো করে কুচি করা হয়। তারপর আতপ চাল ও শুকনো চিংড়ি মাছ মিশিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ঐ মিশ্রণটিকে বড় পাতায় দিয়ে মুড়ে নলগাছে পাট দিয়ে তিনি বাঁধা হয়। মুখে কোনো কথা বলা যাবে না। সারা গ্রামের চাষীরা জড়ো হন এক জায়গায়। রাত জেগে নল বাঁধার কাজ চলে। সংক্রান্তির দিন ভোরে সূর্যের আলো ফোটার আগেই এই মিশ্রণবাঁধা নলটি জমিতে ঈশান কোণে পুঁতে দেওয়া হত। আর বলা হয়-
“নল পড়ল ভুঁয়ে ,যা শনি তুই উত্তর মুয়ে।” এখানে শনি অর্থাৎ সব পোকামাকড়কে বোঝানো হয়েছে। কৃষকেরা এটাকেই গর্ভবতী ধান গাছকে ‘সাধ খাওয়ানো’র কথা বলেন৷ নল সংক্রান্তিতে নলপোতা নিয়ে লোকমুখে প্রচলিত

ছড়া-
‘অন সরিষা কাঁকুড় নাড়ি
যা রে পোক ধানকে ছাড়ি ।
এতে আছে শুকতা
ধান ফলবে মুকতা ।
এতে আছে কেঁউ
ধান হবে সাত বেঁউ ।
এতে আছে হলদি
ধান ফলবে জলদি ।
এতে আছে ওল
মহাদেবের ধ্যান করে বল হরিবোল।’

Bengali Ritual

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে যেটা দেখা যায় তা হল এই ফসল বাঁচানোর প্রথাটির যখন প্রচলন শুরু হয় তখন আজকের দিনের মত এত কীটনাশক ঔষধ বা রাসায়নিক সারের আবির্ভাব ঘটেনি। কীটপতঙ্গের হাত থেকে ফসল কে রক্ষা করার জন্য এই মিশ্রণটি তৈরি করা হত, এটি তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ যুক্ত ছিল যে পোকামাকড় সহজেই আর ফসলের এলাকায় আসত না। রক্ষা পেত কৃষকের ফসল৷ শুধু তাই নয়, আবার জমির মাঝে এই যে নলগাছ পুঁতে রাখা হয় সেটিতে পেঁচা প্রভৃতি প্রাণীরা এসে বসে এবং সেখান থেকে তারা খুব সহজেই ফসলের ক্ষতিকারক প্রাণীগুলিকে শিকার করে৷ পুরো ব্যাপারটিতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষে উপকৃত হয় কৃষক৷ প্রচলিত হয় প্রথাটি।

এই সংক্রান্তির ভোরে একটি ঝুড়িতে রাখা হত ওল, হলদি, নিমপাতা, এক পুঁটলি আতপ চাল মাকে দেখতাম স্নান সেরে ওই ঝুড়ি জলে চুবিয়ে একটা পেতলের ঘটিতে জল নিয়ে ফিরতো , সেই জল দিয়ে নিমপাতা আর হলুদ বেটে খেলেই নাকি শরীরের সকল রোগ থেকে মুক্তি। দুই মেদিনীপুর জেলায় এই দিন সকালে প্রতি বাড়িতে এই নিম পাতা হলুদ আর আতপ চালের বাটা বা আলই খাওয়ার প্রথা চালু রয়েছে। এর সাথে খাওয়া হয় তাল আটির গজাড়। এদিন দুই-তিন রকমের পিঠে হয় তৈরী হয়। মধ্যাহ্ন ভোজনের সময় অন্যান্য তরিতরকারীর সাথে সাত রকমের শাক ভাজা, বিউলির ডাল,ওলের তরকারী, মাছের টক খাওয়ার প্রথা আছে। তাছাড়া এদিন বাড়ির গরুকেও কাঁচা ও নিম পাতা খাওয়ানোর রীতি রয়েছে।

যদিও আজকে এলাকার বেশিরভাগ মানুষের ধানের জমি পরিনত হয়েছে মাছ চাষের ঝিলে। যেটুকু খালি জমি আছে তাতেও বন্যার জল থৈ থৈ করছে। ঘাসের জঙ্গলে ভরে গেছে। বাংলার লোকাচার নিয়ে অনেক গল্পকথা প্রচলিত আছে পল্লীসমাজে যেগুলো সভ্যতার অগ্রগতির চাকায় পিষে যেতে যেতে ক্রমশ হারিয়ে যাবার উপক্রম। বেশিরভাগ প্রথা লোকাচার হারিয়ে গেছে আধুনিকতার দাপটে।

]]>