Susanta Ghosh – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 27 Sep 2021 05:18:13 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Susanta Ghosh – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 হেরেও ‘সুশান্ত এফেক্ট’ পশ্চিম মেদিনীপুরে, বনধের রোষ বাম কর্মীদের https://ekolkata24.com/uncategorized/strike-effect-in-jangalmahal-but-no-body-can-see-ex-minister-susanta-ghosh Mon, 27 Sep 2021 05:18:13 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5707 নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে প্রবল সাড়া ফেলে নিজ এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে ক্রমাগত তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে রোষ দেখিয়েছিলেন দাপুটে সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। তবে ভোটে শালবনী কেন্দ্রে তিনি পরাজিত হন। প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক তথা বেনাচাপড়া কঙ্কাল কান্ডে জেল খেটে আসা সুশান্তবাবুর দাপট ফের দেখা গেল ভারত বনধে।

পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিস্তির্ণ গ্রামাঞ্চলে প্রায় খড়কুটোর মতো উড়ে যাওয়া সিপিআইএম সমর্থকরা তীব্র রোষ নিয়ে বনধে সামিল। চন্দ্রকোনা, মেদিনীপুর, শালবনি, গড়বেতায় বনধের প্রভাব পড়েছে। ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল এলাকাতেও একই ছবি। সুশান্তবাবুর খাস এলাকা লাগোয়া বাঁকুড়ার বিভিন্ন গ্রামে বনধের প্রভাবে রাজ্য ও জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ।

Susanta-Ghosh

তবে আশ্চর্যজনকভাবে সুশান্ত ঘোষ অদৃশ্য। সূত্রের খবর, তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনে সকাল থেকেই বনধ পালনে নেমেছে বাম সমর্থকরা।

সুশান্ত ঘোষ টানা ৩৪ বছরের বাম জমানার ৩২ বছরের বিধায়ক ছিলেন। বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশবছরে ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিরোধিতা ছিল চরমে। সেই সব কথা বইতে লিখে দল থেকে সাময়িক সাসপেন্ড হন। পরে বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকে ফেরায় সিপিআইএম।

সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে। তবে বাম নেতা আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন নিয়েছেন। তাঁর মন্ত্রীত্বের সময়ে নেতাই গণহত্যা ঘটে। প্রবল বিতর্কিত সেই সময়। পরে নির্বাচনে বাম জমানা শেষ হয়। কিন্তু ২০১১ সালের ভোটেও জিতেছিলেন সুশান্ত ঘোষ।

]]>
“ক্ষমতা দ্যাখাইতাস, তোমাদের ফ্যালাইয়া ফেরত যামু”, আগ্রাসী মানিকে উল্লসিত সুশান্ত, বঙ্গ বামে হেঁচকি https://ekolkata24.com/uncategorized/viral-video-showing-angry-image-of-ex-tripura-cm-manik-sarkar Tue, 07 Sep 2021 09:37:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4079 আগরতলা ও কলকাতা: এ কোন মানিক! যার প্রতিটা বাক্য থাকে সংযত সেই বর্ষিয়ান সিপিআইএম নেতা, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar) রাস্তায় নেমে সরকারপক্ষ বিজেপির উত্তেজিত সমর্থকদের ধমকে ঠান্ডা করছেন। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মানিক সরকার কে আক্রমনাত্মক ভঙ্গীমায়। তিনি বলছেন, “ক্ষমতা দ্যাখাইতাস, তোমাদের ফ্যালাইয়া ফেরত যামু”।

ত্রিপুরার বর্তমান বিরোধী নেতা মানিক সরকারের এমন রূপ কেউ আগে দেখেইনি। বাম মহলে হই হই রব।পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতারা রীতিমতো চমকে গেছেন তাঁদের ত্রিপুরার নেতা মানিক সরকারের আগ্রাসী রূপ দেখে। সিপিআইএম মহলে তীব্র আলোচিত হচ্ছে মানিক সরকারের অবস্থান।

Manik Sarkar

বঙ্গ বামেদের মুখ চুন। জেলা মহকুমার সমর্থকরা পর্যন্ত নেতাদের মুন্ডপাত করছেন। অনেকেরই যুক্তি বুদ্ধবাবুর নরম মুখ দিয়ে দলকে শূন্যতে নামানো ছাড়া কিছুই হয়নি। অথচ ত্রিপুরাতেও দল সরকারে নেই। তবে বিরোধী নেতা মানিক সরকার যেভাবে হামলাকারীদের দিকে তেড়ে গেছেন তা নজিরবিহিন ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এমন কেন করেনা নেতারা, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, মানিক সরকারের রূদ্র রূপ দেখে প্রবল উল্লসিত সিপিআইএমের আগ্রাসী নেতা সুশান্ত ঘোষ। ২০১১ সালে বাম সরকার পতনের পর বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে জড়িয়ে জেলে গিয়েছিলেন সুশান্তবাবু। তবে তিনি আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরেছেন। দল চাঙ্গা হলেও ভোটে সুশান্তবাবু হেরেছেন। সূত্রের খবর,আসন্ন দলীয় রাজ্য সম্মেলনে সুশান্তবাবুর হামলা হবে বুদ্ধদেব ঘনিষ্ট ‘নরম’নেতাদের উপর। আগেই ‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশবছর’ বইতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দূর্বল প্রশাসনিক কাজের প্রবল সমালোচনা করেছেন সুশান্ত ঘোষ।

ঘটনা সোমবারের। ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার নিজের কেন্দ্র ধনপুরে সভা করতে গিয়েছিলেন। তাঁর কনভয় আটকে দেয় বিজেপি। শুরু হয় হামলা। গাড়ি থেকে নেমে মানিক সরকার পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের বারবার বলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে। অভিযোগ, পুলিশ নীরব ভূমিকা নেয়। এর পরেই মানিকবাবু সরাসরি হামলাকারীদের দিকে আঙুল তুলে শাসানি দেন।

পাক্কা স্থানীয় বাচনে( সিলেটি উচ্চারণ ) মানিক সরকার বিজেপি সমর্থকদের বেশি বাড়াবাড়ি না করার হুঁশিয়ারি দেন। এদিকে মানিকবাবুকে ঘিরে রাখে বিজেপি সমর্থক ও পুলিশ। তাদের মাঝখান থেকে নেতাকে ছিনিয়ে আনেন বাম সমর্থকরা। মানিক সরকারের রুদ্র রূপ দেখে উত্তেজিত সিপিআইএম কর্মীরা দলীয় ঝাণ্ডার বাঁশ নিয়ে তেড়ে যান। সেই হামলায় বিজেপি সমর্থকরা জখম হন। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর ঘেরাও কেটে মানিক সরকারকে নিয়ে টানা ৫ কিলোমিটার মিছিল করে সিপিআইএম।

ধনপুরের সভা থেকে রাজ্য সরকার, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মানিকবাবু। তিনি চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। মানিকবাবুর অভিযোগ, কেউ একজন ফোন করে পুলিশকে নির্বিকার থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তাঁর লক্ষ্য সরকারের দুই শীর্ষ মন্ত্রীর দিকে তা স্পষ্ট।

মানিক সরকারের এমন রূপ দেখে পশ্চিমবঙ্গের সিপিআইএম মহলে প্রায় হেঁচকি তোলা পরিস্থিতি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমন ভূমিকা কেন যে রাজ্যের প্রাক্তন বাম মুখ্যমন্ত্রী নেননি তাও সমালোচনায় উঠে আসছে। রাজ্য বাম শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে হতাশার কয়েকটি বাক্য- ইস বাংলায় একজন মানিক সরকার নেই।

]]>
কান্তি-অশোক-সুশান্ত-তন্ময় ‘চতুরঙ্গ’ সর্বনাশা আঘাতের মুখে CPIM https://ekolkata24.com/uncategorized/cpim-state-conference-will-be-a-political-drama-stage Sun, 05 Sep 2021 16:06:34 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3940 #Political Drama
বিশেষ প্রতিবেদন: আক্রমণ হবেই। এটা ধরেই রাজ্য সম্মেলনে ঢোঁক গিলতে তৈরি সিপিআইএম (CPIM)। বিমান-সূর্যকান্ত অর্থাৎ প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সম্পাদক হতে চলছেন মূল লক্ষ্যবস্তু। গোছাগোছা বাছাবাছা প্রশ্নের শক্তিশেল নিয়ে তৈরি আক্রমণকারী ‘চতুর্মুখ’-কান্তি গাঙ্গুলী, অশোক ভট্টাচার্য, সুশান্ত ঘোষ ও তন্ময় ভট্টাচার্য। সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনে হতে চলেছে ‘চতুরঙ্গ সর্বনাশ’।

২০১১ সাল রাজ্যে বাম বিপর্যয়ের সীমান্ত বছর। সেই বছরেই চৌত্রিশ বছরের বামফ্রন্ট সরকার কুর্সি হারায়। সেই বছরেই তৃণমূল কংগ্রেসের কুর্সি লাভ। গত দশ বছরের ছবি একদম স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গে বামেদের আর স্থান নেই। হারতে হারতে একেবারে শূন্য। সর্বশেষ বিধানসভা ভোটে ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ স্বীকার করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

Susanta Ghosh

সুশান্তর বাণ: ‘বুদ্ধ-তন্ত্র’!
কিন্তু চতুরঙ্গ সর্বনাশা আক্রমণ তাতে আটকাবে না। সূত্রের খবর বারবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নরম রাজনীতির গরম সমালোচক সুশান্ত ঘোষ একেবারে মুখিয়ে রয়েছেন। সম্ভবত তিনিই সর্বাধিক ভয়ঙ্কর আঘাতটি করতে চলেছেন রাজ্য কমিটিকে।সুশান্তবাবুর কাটা কাটা মন্তব্য কীরকম হতে পারে তা তাঁরই লেখা ‘বামফ্রন্ট জনানার শেষ দশবছর’ বই থেকেই মিলতে পারে। জ্যোতিবাবু ও বুদ্ধবাবু দুই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক দিকের তুল্যমূল্য আলোচনা তুলে ধরে প্রাক্তন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ তীব্র সমালোচনা করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। দল থেকে সাময়িক সাসপেন্ড হন। তবে তাঁকে ফেরাতে বাধ্য হয় সিপিআইএম। শাসক তৃণমূলের নজরে এখনও ‘প্রবল আগ্রাসী’ সুশান্ত ঘোষের লক্ষ্যবস্তু নরম সরম নেতারা।

Kanti Ganguly

কান্তির হামলা: ‘বুড়ো বুড়ি নয় ছোঁড়া ছুঁড়ি’!
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলীর লেখা ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্মৃতির চমকপ্রদ ঘটনাবলী ‘রক্তপলাশের আকাঙ্খায়’। বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা গতবারের মতো এবারেও যে হারবেন তা স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর ক্যালকুলেশনের বাইরে ছিল বলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা টিএমসি নেতাদের অনেকেই মনে করছেন। কান্তিবাবু সরাসরি জানিয়েছেন, দলে বৃদ্ধতন্ত্রের ভারত্ব কমাতে হবে। তাঁর হামলার লক্ষ্যবস্তু অবশ্যই সাংগঠনিক গঠনস্তর ও নেতৃত্বের ‘হাই তোলা’ কর্মসূচি। সত্তরোর্ধ কান্তিবাবুর যৌবনদীপ্ত ভূমিকা সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় এলেই রাজ্যবাসীর কাছে মূল আলোচনা হয়। বয়স তাঁর পায়ের তলায় পড়ে থাকে।

Ashok Bhattacharya

অশোক অশনি: বে-আক্কেলের জোট!
শিলিগুড়ি শুধু নয়, অতি উন্নত চিন পর্যন্ত তাঁর নাম ছড়িয়ে। পুর প্রশাসনের খুঁটিনাটি, পুর উন্নয়নের বিষয়ে প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক তাত্ত্বিক প্রশ্নের উত্তর দিতে কালঘাম ছুটবেই মুজফ্ফর আহমেদ ভবন আলো করে থাকা নেতাদের। অশোকবাবুর সাফ কথা কোন যুক্তিতে সংযুক্ত মোর্চা গঠিত হয়েছিল? নির্বাচনে শিলিগুড়ি থেকে তিনি যে হারবেন তা মোদী-মমতা কারোর অংকেই ছিলনা। তবে তিনি হেরেছেন। শিষ্য শংকর ঘোষ বাম ছেড়ে রাম হয়ে জিতে গুরুর আশীর্বাদ নিয়েছেন। সম্ভবত শিষ্যটি তৃণমূলে যাওয়ার পথে।

Tanmoy Bhattacharya
তন্ময়ে তটস্থ: কেমনধারা দল!
ভোটে হেরে ঘরে ফিরে চিকেন স্যান্ডুইচ খেতে খেতে ত্রিপুরার সর্বাপেক্ষা আলোচিত টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে দলের মুণ্ডপাত করেছিলেন। তার আগে নিজের ফেসবুকেই হামলা করেন দলীয় উচ্চস্তরীয় নেতাদের। প্রশ্ন ছিল অনেকটা এমন, দল কি আদৌ ভোট লড়তে নেমেছিল! প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের অবস্থানে সিপিআইএমের অন্দরে ভূমিকম্প দেখা দেয়। প্রবল যুক্তিধর তন্ময়কে মুখ বন্ধ রাখার ফরমান দেওয়া হয়। তিনি মুখ বন্ধ করেছেন। তবে রাজ্য সম্মেলনে তোপ দাগবেন।

পরিস্থিতি বলছে, সিপিআইএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন থেকে নতুন কোনও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্ম হতে পারে। অন্তত নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে ঘুরছে ১৯৬৮ সালে সিপিআইএমের বর্ধমান প্নেনামের (বর্ধিত সম্মেলন) স্মৃতি।

]]>