प्रधानमंत्री नरेन्द्र मोदी ने भारतीय क्रिकेट टीम को टी 20 विश्व कप जीतने पर बधाई दी है और कहा कि क्रिकेटरों ने विश्व कप के साथ-साथ करोड़ों लोगों का दिल भी जीत लिया है। इस जीत के बाद प्रधानमंत्री ने रविवार को कॉल कर टीम इंडिया के खिलाड़ियों से व्यक्तिगत रूप से बात की और उन्हें बधाई दी।
प्रधानमंत्री ने रोहित शर्मा को उनकी शानदार कप्तानी के लिए बधाई दी और उनके टी20 करियर की सराहना की। उन्होंने फाइनल में विराट कोहली की पारी और भारतीय क्रिकेट में उनके योगदान की सराहना की। प्रधानमंत्री ने हार्दिक पांड्या के अंतिम ओवर और सूर्य कुमार यादव के कैच की भी तारीफ की और जसप्रीत बुमराह के योगदान को भी जमकर सराहा। इसके अलावा प्रधानमंत्री ने भारतीय क्रिकेट में शानदार योगदान के लिए टीम के कोच राहुल द्रविड़ का भी आभार जताया।
इसके साथ ही इस बीच प्रधानमंत्री मोदी ने ‘एक पेड़ मां के नाम’ अभियान के तहत लोगों से मां के नाम पर पेड़ लगाने का भी आग्रह किया। “अगर मैं आपसे पूछूं कि दुनिया का सबसे अनमोल रिश्ता कौन सा है, तो आप जरूर कहेंगे- मां। हम सभी के जीवन में मां का दर्जा सबसे ऊंचा होता है। एक मां हर दर्द सहकर भी अपने बच्चे का पालन-पोषण करती है। हर मां हर तरह का स्नेह लुटाती है।” पीएम मोदी ने कहा, “जन्म देने वाली मां का ये प्यार हम सब पर कर्ज की तरह है, जिसे कोई नहीं चुका सकता।”
उन्होंने कहा, “हम धरती माँ को कुछ नहीं दे सकते, लेकिन क्या हम कुछ और कर सकते हैं? इसी विचार को ध्यान में रखते हुए, इस वर्ष विश्व पर्यावरण दिवस पर एक विशेष अभियान शुरू किया गया है। इस अभियान को ‘एक पेड़ माँ के नाम’ कहा जाता है। माँ का नाम) मैंने अपनी माँ के नाम पर एक पेड़ भी लगाया है। ”
]]>একা কুম্ভ হয়ে দূর্গ রক্ষা করছিলেন পঞ্চম দিনে প্রোটিয়া অধিনায়ক। টেনশন বেড়েই চলেছিল বিরাট ভারতের।অবশেষে জয়ের ‘পথের কাটা’ উপড়ে ফেলেন বুমরাহ,চোট সারিয়ে।
১৬৪ রানে ৭ উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকার। জয়ের জন্য দরকার ১৪১ রান প্রোটিয়াদের। বুমরাহ ৩, সামি ও সিরাজ ২ টি করে উইকেট তুলেছে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে। ক্রিজে বাভুমা ২২ আর জ্যানসন রানের খাতা এখনও খোলেনি।
]]>এই প্রথম আট টেস্ট ইনিংসে শার্দূল ঠাকুর দুই অঙ্কে পৌছেছেন এবং ৫৭’র কম রান করেছেন। পারফরম্যান্স 4*, 67, 2, 0, 57, 60, 4, 10। তরুণ প্রতিভাবান পেস বোলার কাগিসো রাবাদার বলে মুল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানে শার্দূল ফিরে আসে।
ভারতের ক্রিকেট টিম ম্যানেজমেন্টের এই কৌশল কাজে না লাগলেও ঋষভ পহ্ন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে, আর ১৭ বলে ১৪ রানের খুচরো কিন্তু প্রভাবশালী ইনিংসে অশ্বিন ব্যাট হাতে এনগিদি, রাবাদাদের চমকে দেয়। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৪ রানে অল আউট হয়,দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০৫ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে।
চতুর্থ দিনে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে সামি, সিরাজ ধাক্কা বসায়। মহম্মদ সামি এইডেন মার্করাম এবং মহম্মদ সিরাজ কিগান পিটারসেনকে ফিরিয়ে দেয়,৩৪ রানে দুই উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। ক্রিজে ডিন এলগার ৩২ এবং রাসি ভ্যান ডের ডুসেন ৯ রানে অপরাজিত অবস্থায়।
ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের মধ্যে মহম্মদ সিরাজ এখন ২০২১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।তার বোলিং স্ট্রাইক-রেট এই বছর ভারতের কুইকদের মধ্যে দ্বিতীয়-সেরা। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৫২ উইকেট স্ট্রাইক রেট ৪৩.৬, ইনিংসে প্রতি রান পিছু ১৬.৯৪। দ্বিতীয় অক্ষর প্যাটেল ৩৬ উইকেট, স্ট্রাইক রেট ৩.৬, ইনিংসে প্রতি রান পিছু ১১.৮৬।তিনে সিরাজ উইকেট, ৩০ স্ট্রাইক রেট৫৫.৪ এবং ইনিংসে প্রতি রান পিছু ২৯.৫০। চলতি বছরে শেষ ৫ টেস্ট ম্যাচের পরিসংখ্যান হিসেবে।
]]>প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে দ্রাবিড় মন্ত্র হল,”আসলে, এই ধরনের সিরিজে জয় সম্ভব খুব ভাল টিম পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে। প্রত্যেকের এখানে দায়িত্ব আছে, আমরা এখানে সফল হতে এসেছি,প্রত্যেকের ভূমিকা থাকবে এই সিরিজে”।
দ্রাবিড় মন্ত্রে, “দলের সবাই শীর্ষ স্তরের, এমনকি দলের লোয়ার অর্ডারও এই সিরিজের গুরুত্ব বুঝে, নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন।
ভারতীয় হেডকোচ প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের যে মন্ত্রে দীক্ষিত করেছে ওই প্রসঙ্গে দ্রাবিড় বলেন, “আমরা আশা রাখি, আমরা সকলে মিলে একসাথে খুব ভাল পারফরম্যান্স বজায় রাখতে পারবো, আগামী কয়েক সপ্তাহ জুড়ে”।
প্রথম দিনে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে ভারত টসে জিতে ব্যাটিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। কারন এই সুপারস্পোর্টস পার্কের পিচ ভেজা অর্থাৎ স্পজি আছে এবং উইকেটে ঘাস থাকায় পেস বোলারেরা বাড়তি বাউন্স পাবে। ‘বিরাট ভাগ্যে’ টস জিতে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম টার্গেট নেলসন ম্যান্ডেলার দেশের বিরুদ্ধে রানের পাহাড়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া। এরপর ওই পুঁজিতে ভর করে অনভিজ্ঞ প্রোটিয়ার্স ব্যাটিং লাইন আপকে স্পিন এবং পেস বোলিং’র যুগলবন্দীতে বোতলবন্দী করা।
তবে এই স্ট্র্যাটেজি কাজে দেবে বড় রানের পার্টনারশিপের যুগপৎ’এ। দক্ষিণ আফ্রিকার ২৫ বছর বয়সী ডানহাতি পেস বোলার লুঙ্গি এনগিদি এদিন টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে সবথেকে সফল বোলার হিসেবে পারফর্ম করে ৪৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছে। ভারতীয় ওপেনার মায়াঙ্ক অগ্রবাল ৬০ রানে এলবিডব্লু, চেতেশ্বর পূজারা রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়া, ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে মাত্র ৩৫ রানে ফিরিয়ে দেওয়ার কারিগর লুঙ্গি এনগিদি, বিরাট কোহলি কিগুন পিটারসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরে আসেন।
ব্যাক টু ব্যাক মায়াঙ্ক এবং পূজারার উইকেট নিয়ে ৪০.২ এবং ৪০.৩ ওভারে, ভারতের রানের গতিতে রাশ টেনে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিভাবান তরুণ পেস বোলার লুঙ্গি এনগিদি। এরপর বিরাট কোহলি হোম টিমের বিরুদ্ধে ‘বিষ দাঁত’ বসানোর মধ্যেই তরুণ এই পেস বোলার ব্যাটসম্যান কোহলির বিষ দাত উপড়ে ফেলে দেয় মাত্র ৩৫ রানে। বিরাট ধীরে ধীরে বিপদজনক হয়ে উঠছিলেন ৯৪ বল ফেস করে।
বিরাট ‘ফণা’ তোলার আগেই লুঙ্গি এনগিদি ভারতের প্রথম ইনিংসে বিরাট ‘বিপর্যয়’ নামিয়ে আনে। শতরানের মুখ না দেখা দীর্ঘদিন ধরে বিরাট ব্যাট আফ্রিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিতেই, সাময়িক জুবুথুবু প্রোটিয়ার্সদের কাছে ‘লাকি গাই’ লুঙ্গি এনগিদি। বিরাট কোহলির ক্রিজে সেট হয়ে আউট হওয়া একদিকে ভারতের রানের গতিতে শ্লথতা এনে দেয়, অন্যদিকে, প্রোটিয়ার্সরা ম্যাচে ফিরে আসে। বিরাট ‘আউট’ ভারতের বড় রানের পাহাড় গড়ে তোলার পথে প্রথম টেস্ট ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে কিনা তাও কম কৌতুহলের নয় বৈকি।
]]>এমন আবহে টিম ইন্ডিয়ার সব খেলোয়াড়কে বেশ খুশি দেখাচ্ছে।টুইটারে এমনই এক খুশির মুহুর্তের ছবি শেয়ার করেছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল, যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল। মায়াঙ্ক টুইটে ওই ছবি পোস্টের ক্যাপসনে লিখেছে,” বারবিকিউ রাতের মতো কিছুই নেই”। ভারতীয় দল গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেছে এবং হালকা ওয়ার্ক-আউটের সাথে নেট সেশনে ঘাম ঝরিয়েছে।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রনে’র বাড়বাড়ন্তের জেরে আগেই এই সফরের পূর্ব নির্ধারিত সফরসূচীতে কাটছাঁট করা হয়েছে। ওমিক্রনের দাপাদাপির জেরে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে বিনা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই
প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া।তাই গুরুত্বপূর্ণ সফরের প্রস্তুতির জন্য ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পা রেখেই নেট সেশনে মনোনিবেশ করেছে।
টেস্ট ফর্ম্যাটে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি, সম্প্রতি রোহিত শর্মাকে সাদা বলের ফর্ম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রোহিতের চোটের কারণে তার জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হয়েছে প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালকে।
টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। এরপর ৭ জানুয়ারি জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ১১ জানুয়ারি থেকে কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট খেলা হবে।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের জেতার জন্য হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মন্ত্র হল “মানের অনুশীলন এবং ভাল তীব্রতা”। দ্রাবিড় “মন্ত্রে” প্রোটিয়ার্স বধের ছক কষছে টিম ইন্ডিয়া।
কয়েকদিন আগে বিসিসিআই’র টুইটে শ্রেয়স আইয়ার জানিয়েছেন, “এই পিচে ঘাস রয়েছে,ফলে অতিরিক্ত বাউন্স আসবে এমনটা মনে করা হচ্ছে”। শ্রেয়সের পিচ নিয়ে এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে,বোলারা পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা তুলতে পারে।
অন্যদিকে, ভারতীয় পেস বোলার ঈশান্ত শর্মা’র এই পিচ নিয়ে প্রতিক্রিয়া, “শুরুতে উইকেট ভেজা ছিল। এ সময় বল একটু ঘুরছিল”।
ঈশান্তের এমন প্রতিক্রিয়া সামনে আসতেই ক্রিকেট মহল মনে করছে টেস্ট ম্যাচের শুরুর দিকে সুপারস্পোর্ট পার্কের পিচ থেকে স্পিনারেরা, বিশেষত রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটা সুবিধা পেতে পারে প্রোটিয়ার্সদের উইকেট তোলার লক্ষ্যে, এরপর সময় যত গড়াবে পিচের ভিতরের ভেজা অংশ রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শক্ত হতে থাকবে।পিচ যত শক্ত হবে, ততই জোরে বোলারেরা ঘাস থাকার কারণে অতিরিক্ত বাউন্সারে ব্যাটসম্যানকে ব্যাকফ্রুটে খেলতে বাধ্য করবে।
বড় রান করার তাগিদে প্রোটিয়ার্সরা ব্যাকফ্রুটে’র বেড়াজাল টপকে “মুভিট্যাপ” ফাঁদে পড়ে ফ্রন্টফ্রটে খেলার চেষ্টাতে বিগ শট হাঁকাতে গিয়ে উইকেট খুঁইয়ে আরও বেশি করে কোণঠাসা হওয়ার অবস্থায় চলে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় বোলিং লাইন আপকেও প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে। প্রসঙ্গত, প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে সহ অধিনায়ক কেএল রাহুল।
২০২১-২২ মরসুমে তিন টেস্ট ম্যাচের সিরিজের পর ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের অন্তর্ভুক্ত ওডিআই ম্যাচ সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ১৯ এবং ২১ জানুয়ারী পারল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে এবং তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই ম্যাচ হবে ২৩ জানুয়ারী কেপটাউনে।
]]>রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে অশ্বিনের বোমা’র তীব্রতায় ভারতীয় ক্রিকেট মহল এখন উথালপাতাল। বিস্ফোরক রবিচন্দ্রন অশ্বিন রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়ায় বলেন,প্রাক্তন হেডকোচ রবি শাস্ত্রীর মন্তব্যের পরে এবং কীভাবে তিনি তার কেরিয়ারে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তারপরে ঘূর্ণিঝড়ের মাঝখানে তিনি বাদ বোধ করেছিলেন। অনেকবার খেলাকে বিদায় বলার কথাও ভেবেছিলেন।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৯’এ সিডনি টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরে তৎকালীন হেডকোচ রবি শাস্ত্রী কুলদীপ যাদবকে বিদেশে ভারতের টপ স্পিনার হিসাবে নাম করেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অশ্বিন রবি শাস্ত্রীকে নিশানা করে বিস্ফোরক ঢঙে বলেন, তিনি কুলদীপের জন্য সত্যিই খুশি ছিলেন কারণ তিনি জানতেন অস্ট্রেলিয়ায় স্পিনার হিসাবে পাঁচ উইকেট নেওয়া কতটা কঠিন ছিল কিন্তু শাস্ত্রীর মন্তব্য তাকে ‘সম্পূর্ণ হতাশ’ করে দিয়েছে।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ শাস্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে অশ্বিন আরও বলেন, “রবি ভাইয়ের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে, আমরা সবাই করি এবং আমি মনে করি আমরা সবকিছু বলার পরেও আমাদের কথা ফিরিয়ে নিতে পারি। তখন অবশ্য আমি খুব বিষণ্ণ বোধ করছিলাম। সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলাম”।
অকপট এবং খোলা মনের মানুষ তথা ভারতের অভিজ্ঞ স্পিনার এই প্রসঙ্গে এও বলেন, “আমরা সবাই কথা বলি যে আমাদের সতীর্থদের সাফল্য উপভোগ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কুলদীপের জন্য খুশি, আমি অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ উইকেট পাইনি কিন্তু, পেয়েছে(কুলদীপ যাদব)। আমি জানি এটা কত বড় অর্জন। এমনকি যখন আমি ভাল বোলিং করেছি, আমি এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারিনি, তাই আমি তার জন্য সত্যিই খুশি। আর অস্ট্রেলিয়ায় জয়টা খুবই আনন্দের উপলক্ষ”।
অশ্বিন বলেন, “আমি যদি তার সুখ এবং দলের সাফল্যের ভাগীদার হতে চাই, তাহলে আমার মনে হওয়া উচিত যে আমি এর অংশ। আমি যদি মনে করি যে আমাকে অপমান করা হচ্ছে, তাহলে আমি কীভাবে একটি দল বা সতীর্থের সাফল্য উপভোগ করতে নিজেকে ওপরে তুলতে পারি?”
অশ্বিন অবশ্য ভারতীয় দলের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর আয়োজিত পার্টিতে যোগ দেন। এই পার্টিতে যোগ দেওয়ার প্রেক্ষাপট নিয়ে বলতে গিয়ে অকপট ভঙ্গিতে অশ্বিন বলেন, “ম্যাচের পর আমি আমার রুমে ফিরে গিয়েছিলাম এবং তারপর আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলেছিলাম, আমি আমার ব্যক্তিগত হতাশা পিছনে ফেলে যেতে পেরেছি। আমি ওই দলের অংশ হয়েছিলাম কারণ আমরা বড় সিরিজ জিতেছি”।
ওই সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচের কথা উল্লেখ করে ৩৫ বছর বয়সী রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, বারবার ইনজুরির কারণে তিনি “অনেক ব্যথা নিয়ে” খেলছেন এবং তিনি উভয় ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এমন পারফরম্যান্সের পরেও শাস্ত্রীর মন্তব্য অশ্বিনের কাছে প্রতিক্রিয়া, হতাশাজনক।
প্রসঙ্গক্রমে অশ্বিন বলেন, ‘প্রথম টেস্ট এখনও আমার স্মৃতিতে আছে। প্রথম ইনিংসে আমরা কম স্কোরে অলআউট হয়েছিলাম। এরপর প্রথম চার উইকেটের মধ্যে তিনটি নিয়েছিলাম। এবং তারপর চতুর্থ ইনিংসে যখন পিচ সম্পূর্ণ সমতল ছিল, আমি গুরুতর চোটের পরেও ৫০ ওভারের বেশি বল করেছি এবং তিনটি উইকেট নিয়েছিলাম”। তিনি এও বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম যে আমি অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে দলের জন্য ভালো কিছু করেছি, কিন্তু আমি শুনতে পেলাম ‘নাথান লিয়ন ছয় উইকেট এবং অশ্বিন তিনটি’।
ওই সময়ে আন্তজার্তিক ক্রিকেটে নিজের ব্যাডপ্যাচের প্রসঙ্গ টেনে অশ্বিন বোমা ফাটাতে গিয়ে বলেন, “আমি ইতিমধ্যেই আমার চোটের কারণে হতাশ ছিলাম কারণ আমি বোলিং’র দিক থেকে ভাল ছন্দে ছিলাম না। এই সময়ে আমি কারো সাথে কোন তুলনা চাইনি কিন্তু ওই প্রতিক্রিয়ার পর (লিওনের সাথে তুলনা করুন) এবং তারপর সিডনি মনে হলো আমি দলের জন্য কোন ভূমিকা পালন করিনি”।
অশ্বিন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে বলেন,”২০১৮ এবং ২০২০ এর মধ্যে, আমি বেশ কয়েকবার গেমটি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেছি। আমি অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছিল না। চোটের পর যত বেশি চেষ্টা করেছি, ফলাফল তত খারাপ হয়েছে”।
অশ্বিন স্বীকারোক্তিতে বলেন, “বিশেষত চোট পাওয়ার পর, আমি ছয় বল করার পর হাঁফিয়ে উঠতাম এবং সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করতাম। তাই ওভারের প্রতিটি বলের পর আমি মানিয়ে নিতাম। কখনো কখনো ছোট লাফ দিয়ে বল করতাম আবার কখনো ক্রিজের কোণ থেকে কিন্তু যখন কাজ হতো না, তখন ভাবতাম বিরতি নেওয়া উচিত”। নিজের আক্ষেপ গোপন না রেখে অশ্বিনের প্রতিক্রিয়া,” বিদেশ সফরে চোট পেয়ে ক্রিকেট মহলে সহানুভূতি প্রকাশ না করায় হতাশাও ছিল তার মধ্যে”।
ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন দেশে এবং বিদেশে ভারতের সেরা বোলার। আন্তজার্তিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত অশ্বিন ৪২৭ টি টেস্ট উইকেট নিয়েছেন। অনিল কুম্বলে এবং কপিল দেবের পর লাল বলের ফর্ম্যাটে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি।
প্রসঙ্গত, টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার স্পিনার মুত্থাইয়া মুরলিধরন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। টেস্টে ৮০০ উইকেট নিয়েছেন মুরলিধরন। মুরলিধরনের এই রেকর্ডের ধারেকাছে কোনও বোলার নেই। নিজের চোট আঘাত প্রসঙ্গে অশ্বিন আগেই স্বীকার করে বলেছেন,”মুরলিধরনের সাথে কথোপকথন করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমি যখন ইনজুরিতে পড়েছিলাম, তিনি আমাকে ডেকেছিলেন এবং আমাকে এই ধরনের আঘাত এড়াতে পরামর্শ দেন।
]]>১৯৯২-৯৩’র দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মহম্মদ আজহারউদ্দিন অধিনায়কত্বতে টিম ইন্ডিয়াতে খেলছিলেন বড় বড় খেলোয়াড়রা। টিমে ছিলেন কপিল দেব, সচীন তেন্ডুলকর, অনিল কুম্বলে, রবি শাস্ত্রীর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা। এটাই ছিল ভারতের প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। চার ম্যাচে ভারত ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গিয়েছিল। বাকি তিনটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হয়েছে।
ওই সফর ছিল অজয় জাদেজার অভিষেক সিরিজ, যিনি পরে ভারতের কিংবদন্তি খেলোয়াড় হয়েছিলেন। সিরিজের দুই টেস্ট ম্যাচ ড্র হওয়ার পর, প্রোটিয়ার্সরা তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে ৯ উইকেটে পরাজিত করে এবং চতুর্থ টেস্ট ম্যাচটিও ড্র হয়। ভারত সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হারে।
১৯৯৬-৯৭’তে সচীন তেন্ডুলকরের নেতৃত্বে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল। তিন ম্যাচের ওই সিরিজে ভারতীয় দল ২-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়। কেপটাউন ও ডারবানে ভারতীয় দলকে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ম্যাচ ড্র করতে সফল হয় ভারতীয় দল। ওই ম্যাচে ম্যাচ সেরা হন রাহুল দ্রাবিড়।
২০০১-০২’এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকায় মাত্র দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল। এই সিরিজেই অভিষেক হয় বীরেন্দ্র সেহবাগের।
ভারত প্রথম টেস্ট ম্যাচে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার জয়ের স্বাদ নিতে চেয়েছিল, কিন্তু তা হতে পারেনি। প্রথম টেস্টে ভারতকে ৯ উইকেটে শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। দুই ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয় টেস্ট ড্র করে ভারত ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায়।
১৯৯২ সালের পর প্রথমবার, ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে একটি ম্যাচ জিতেছিল রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে। জোহানেসবার্গে প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২৩ রানে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এর পর সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে প্রোটিয়ার্সরা দুর্দান্তভাবে ফিরে আসে এবং ভারতীয় দলও সিরিজ বাঁচাতে পারেনি। সিরিজের ফরসালা ২-১ ব্যবধানে হয়, সিরিজ হেরেছিল ভারত।
২০১০-১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম টেস্ট ম্যাচে এম এস ধোনির অধিনায়কত্বে ইনিংস পরাজয়ের পর, টিম ইন্ডিয়া প্রত্যাবর্তন করে এবং ডারবানে দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জয় পায়। ওই ম্যাচ ভারত ৮৭ রানে জিতেছিল। ওই ম্যাচে ভিভিএস লক্ষ্মণ প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ বিবেচিত হন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ভারতীয় দল।
আবারও ২০১৩-১৪ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেলেও ফলাফল বদলায়নি। দুই ম্যাচের ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ড্র এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ধোনির নেতৃত্বে আবারও সিরিজ জিততে পারেনি ভারত।
২০১৭-১৮ সালে বিরাট কোহলি যখন প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন, তখন সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কারণ সেখানকার রেকর্ডগুলি সত্যিই টিম ইন্ডিয়ার জন্য ভাল ছিল না। এই সফরেও বিরাট কোহলির কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা ছিল। স্বাধীনতা ট্রফি নামে খেলা ওই সিরিজে ভারতীয় দল মাত্র একটি টেস্টে জয় পেয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতীয় দলকে পরাজিত করে। ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায়।
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে সিরিজ জয় হাতছাড়াই থেকেছে ভারতীয় দলের কাছে। কোনও ভারতীয় অধিনায়ক প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সিরিজ জয় করতে পারেনি। এবার দেখার বিষয় হবে শত বিতর্কের পর, টিম ইন্ডিয়া কি এই সব ভুলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিততে পারবে? একমাত্র তিন টেস্ট প্লেয়িং দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয়ের রেকর্ডের অধিকারি, “বিরাট” ভারত টিম ইন্ডিয়ার পুরনো ট্র্যাক রেকর্ড মুছে ফেলতে পারবে আসন্ন টেস্ট সিরিজে, যা ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে, সেঞ্চুরিয়নে সুপারস্পোর্টস পার্কে।
]]>ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের স্ট্রেহ্ন এন্ড কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাই বোর্ডের টুইট করা সংক্ষিপ্ত ভিডিও’তে “ফুটবলি” ট্রেনিং সেশনের কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে বলেন,”গোটা দল প্রথমে কঠিন কোয়ারিন্টিনের মধ্যে ছিলাম মুম্বই’তে।১০ ঘন্টার বিমান যাত্রার ধকল পুইয়ে টিম এখন জোহানসবার্গে”।
সোহম দেশাই’র কথায়,”জোহানসবার্গে এসেও গোটা দলকে কঠিন কোয়ারিন্টিন প্রোটকল মেনে চলতে হয়েছে।তাই লম্বা টানা বিমান যাত্রার ধকলের বিষয়টাকে মাথায় রেখে বড় কোনও ঝুঁকি এড়ানোর জন্য হাল্কা দৌড় অভ্যাসের ট্রেনিং সেশন রাখা হয়েছে,খেলোয়াড়দের স্ট্রেহ্ন এন্ড কন্ডিশনকে লক্ষ্য করে”।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের স্ট্রেহ্ন এন্ড কন্ডিশনিং কোচ আরও জানিয়েছেন,১৪ হাজার মিটার সমুদ্রতলের ওপর দিয়ে বিমান যাত্রার ধকল সামলে, জোহানসবার্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহাওয়াগত পরিবেশে এসে খেলোয়াড়দের মস্তিস্কের ওপর চাপ রয়েছে ঘর থেকে বের হওয়ার সময়(মুম্বই), এই কারণে “ফুটবলি” ট্রেনিং সেশনকেই বেছে নেওয়া হয়েছে অনেক অপশনের মধ্যে যাতে খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনও একটা ফুরফুরে মেজাজ তৈরি হয় এবং ম্যাচে নিজেদের ফোকাস ধরে রাখতে পারে, তাই এই অভিনব ট্রেনিং সেশন।
বিসিসিআই’র করা সংক্ষিপ্ত ওই ভিডিও’তে টুইট পোস্টে পরিষ্কার যে, টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়েরা গোটা ফুটবলি সেশনকে চুটিয়ে উপভোগ করার পাশাপাশি সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট ২৬, ডিসেম্বর খেলতে নামার আগে কোনও ফাঁকফোকর রাখতে নারাজ।
]]>
#TeamIndia সাদা বলের অধিনায়ক @ImRo45 বেঙ্গালুরুতে NCA-তে তাদের প্রস্তুতি শিবিরের সময় ভারতের অনূর্ধ্ব 19 দলকে ভাষণ দেওয়ার সময় তার পুনর্বাসনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে”।
প্রসঙ্গত, এই হ্যামস্ট্রিং’র চোটের কারণেই(বিসিসিআই’র আনুষ্ঠানিক প্রেস বিবৃতি) রোহিত শর্মা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। রোহিতের বদলে টেস্ট ফর্ম্যাটের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছে প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল। এখন চোটমুক্ত হয়ে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে ওডিআই ফর্ম্যাটে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য NCA’তে রিহ্যাবিলিটেশন (পুনঃবাসন) প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলছেন রোহিত।
ইতিমধ্যেই,ভারতীয় ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি ছুঁয়েছে হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের ছত্রছায়ায়। প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে ভারত তিন ম্যাচের টেস্ট এবং সম-সংখ্যক ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে,তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের দিনক্ষণ এবং ম্যাচ ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। ২৬ ডিসেম্বরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত সেঞ্চুরিয়নে, দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের ওডিআই সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ১৯ এবং ২১ জানুয়ারী পারল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে এবং তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই ম্যাচ হবে ২৩ জানুয়ারী কেপটাউনে।
অন্যদিকে,ভারতীয় অনূর্ধ্ব -১৯ দল এখন NCA’তে আসন্ন ACC অনূর্ধ্ব- ১৯ এশিয়া কাপের চুড়ান্ত প্রস্তুতিতে রয়েছে। অল ইন্ডিয়া জুনিয়র সিলেকশন কমিটি ২০ সদস্যের দল গঠন করেছে। আসন্ন ওই টুর্নামেন্ট সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হবে, ২৩ ডিসেম্বর থেকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০২২ সালে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ICC পুরুষদের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড পরে ঘোষণা করা হবে, এমনটাই জানা গিয়েছে বোর্ড সূত্রে।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ স্কোয়াড: হারনুর সিং পান্নু, আংক্রিশ রঘুবংশী, অংশ গোসাই, এসকে রাসেদ, যশ ধুল (অধিনায়ক), অন্নেশ্বর গৌতম, সিদ্ধার্থ যাদব, কৌশল তাম্বে, নিশান্ত সিন্ধু, দিনেশ বানা (উইকেটরক্ষক), আরাধ্যা যাদব (উইকেটরক্ষক), রজনগদ বাওয়া, রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার, গর্ভ সাংওয়ান, রবি কুমার, ঋষিথ রেড্ডি, মানব পারখ, অমৃত রাজ উপাধ্যায়, ভিকি অস্টওয়াল, ভাসু ভাতস (ফিটনেস ক্লিয়ারেন্স সাপেক্ষে)
স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড় যারা এনসিএ-তে প্রস্তুতি শিবিরে: আয়ুষ সিং ঠাকুর, উদয় সাহারান, শাশ্বত ডাঙ্গওয়াল, ধানুস গৌডা, পিএম সিং রাঠোর।
]]>বিসিসিআই ওই টুইটে দেশের ক্রিকেট ভক্তকুলকে আশ্বস্ত করে পোস্ট করেছে,”টিম ইন্ডিয়া জোবা’র্গে নিজেদের প্রথম ট্রেনিং সেশনে নেমে পড়েছে”।
বোর্ডের করা ওই টুইট পোস্টে আরও দেখা যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়রা প্রথম দিনের সেশনে “ফুটবলি” অনুশীলনে ঘাম ঝড়াচ্ছে। ২৬ ডিসেম্বর “বক্সিং ডে” টেস্ট ম্যাচ, ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, যা এই সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ হতে চলেছে সেঞ্চুরিয়নে।
ওই সংক্ষিপ্ত ভিডিও পোস্টে দেখা যাচ্ছে, হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কড়া নজরদারিতে অধিনায়ক বিরাট কোহলি “এন্ড হিজ কোম্পানি” চুটিয়ে প্রথম দিনের অনুশীলন সেশনে নিজেদের গোপন অস্ত্রে শেষ মুহুর্তের পালিশ করে চলেছে। বোর্ডের করা ওই ভিডিও পোস্টে টিম ইন্ডিয়ার অন্দর মহলে এখন শুধুই “ফিল গুড ফ্যাক্টর” মুক্ত বাতাস বয়ে চলেছে, প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে আসন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার আগে।
]]>কোহলির নেতৃত্বে অনেক খেলোয়াড়ই টিম ইন্ডিয়াতে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করেছিল। এখন রোহিত অধিনায়ক হওয়ার সঙ্গেই ওই খেলোয়াড়দের স্কোয়াডের বাইরে ছিটকে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা ক্রমেই সলতে পাকছে। যখন কোন টিমে নতুন অধিনায়ক নিযুক্ত হয়, ওই নিযুক্তি করণ প্রক্রিয়াতে দলের কৌশলেও নানা বদল ঘটে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কোহলির প্রিয় খেলোয়াড়দের কেরিয়ার সরু সুতোর ওপর ঝুলছে।
এই প্রসঙ্গে প্রথম নাম যেটা উঠে আসছে সেটি হল যুজবেন্দ্র চাহাল। ভারতের এই লেগ-স্পিনার সবসময়ই বিরাট কোহলির প্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে পড়ে থাকে। চাহাল আইপিএলে আরসিবি’র হয়ে খেলেন। খারাপ ফর্মের জন্য স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের বলে বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানরা শট নেওয়ার জন্য জায়গা পেয়ে প্রচুর রান তুলছে। এর জেরে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা পাননি চাহাল। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরবর্তী পর্যায়ে হোম সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল।
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করা অনেক তরুণ খেলোয়াড়ই টিম ইন্ডিয়াতে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে। রাহুল চাহার আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেন। এমন পরিস্থিতিতে তাকে ভারতীয় দলে সুযোগ দিতে পারেন রোহিত।
মহম্মদ সিরাজ তিন ফর্ম্যাটেই বিরাট কোহলির নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেক করেছিলেন। আইপিএলে আরসিবি’র হয়ে খেলেন এবং এবারও তাকে আরসিবি দল ধরে রেখেছে। ভারতের হয়ে ১০ টেস্ট ম্যাচে ৩৩ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ।সিরাজকে বিরাটের পছন্দের খেলোয়াড়দের হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ায় রোহিত জমানায় সিরাজের স্কোয়াড থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এক্ষেত্রে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে সিরাজের পারফরম্যান্স গ্রাফ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। আভেশ এবং হর্ষাল প্যাটেলের মতো তরুণরা দুর্দান্ত খেলা দেখিয়েছে।এই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দুই ক্রিকেটার রোহিত শর্মার স্কোয়াডে আসতে পারে, এমন সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।
অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর বিরাট কোহলির নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। কিন্তু চোটের কারণে এই খেলোয়াড় দলের বাইরে চলে যান। গত দুই বছর ধরে টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে নেই বিজয় শঙ্কর। এই অবস্থায় বিজয় শঙ্করের বিকল্প হিসেবে ভেঙ্কটেশ আইয়ার সুযোগ পেতেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। আইয়ারকে নিয়ে প্রশংসা করতেও শোনা গিয়েছে রোহিত শর্মাকে সাংবাদিক বৈঠকে।রোহিত অধিনায়ক হওয়ার সঙ্গেই এই খেলোয়াড়ের কেরিয়ারে খাঁড়া নেমে আসতে পারে।
]]>বিসিসিআই অফিসিয়াল টুইটে পোস্ট করে জানিয়েছে,”
টাচডাউন দক্ষিণ আফ্রিকা 
#TeamIndia #SAvIND “, সঙ্গে ওই মুহুর্তের কিছু ছবিও শেয়ার করেছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে ভারত তিন ম্যাচের টেস্ট এবং সম-সংখ্যক ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে,তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের দিনক্ষণ এবং ম্যাচ ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। ২৬ ডিসেম্বরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত সেঞ্চুরিয়নে, দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
— BCCI (@BCCI) December 16, 2021
জোহানসবার্গে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে ৩ জানুয়ারি এবং তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচ ১১ জানুয়ারি পারলেতে আয়োজিত হবে। টেস্ট ম্যাচ সিরিজ শেষ হলেই টিম ইন্ডিয়া প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে।
ওডিআই সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ২৯ এবং ২১ জানুয়ারী পারল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে এবং তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই ম্যাচ হবে ২৩ জানুয়ারী কেপটাউনে
বৃ্হস্পতিবার সকালে ওই মুহুর্তের কিছু ছবি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) তার টুইটে শেয়ার করেছে। ওই ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে কোভিড-১৯ প্রটোকল মেনে হাসি মুখে ভারতীয় খেলোয়াড় বিমানে বসে আছে। যা স্বভাবতই ভারতীয় শিবিরের “ফিল গুড ফ্যাক্টরে”র বার্তাকে তুলে ধরে দেশের ক্রিকেট ভক্তকুলদের মাঝে।

প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে সফরে টিম ইন্ডিয়া তিন ম্যাচের টেস্ট এবং সম-সংখ্যক ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে,তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের দিনক্ষণ এবং ম্যাচ ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। ২৬ ডিসেম্বরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত সেঞ্চুরিয়নে, দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
জোহানসবার্গে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে ৩ জানুয়ারি এবং তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচ ১১ জানুয়ারি পারলেতে আয়োজিত হবে। টেস্ট ম্যাচ সিরিজ শেষ হলেই টিম ইন্ডিয়া প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে।
ওডিআই সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ২৯ এবং ২১ জানুয়ারী পারল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে এবং তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই ম্যাচ হবে ২৩ জানুয়ারী কেপটাউনে।
<
p style=”text-align: justify;”>প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট স্কোয়াড: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল, কেএল রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, শ্রেয়স আইয়ার, হনুমা বিহারী, ঋষভ পহ্ন (উইকেটরক্ষক ), ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), আর অশ্বিন, জয়ন্ত যাদব, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সামি, উমেশ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ।
]]>কার্তিক দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণেরও প্রশংসা করে বলেছেন, তাদের ব্যাটিং লাইনআপ “অরক্ষিত” এবং তারা কিছু খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল।
প্রসঙ্গত, শেষবার যখন ভারত ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছিল, তারা প্রতিটি খেলায় কঠিন লড়াই করেছিল। কিন্তু তিন টেস্টে মাত্র একটি খেলায় জিতেছিল।ভারত কখনও দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি।
দীনেশ কার্তিক চ্যাটারে বলেছেন “অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার খুব ভালো বোলিং লাইন আপ রয়েছে, বিশেষ করে ফাস্ট বোলাররা- (কাগিডো) রাবাদা, (অ্যানরিচ) নর্টজে, (ডোয়াইন) প্রিটোরিয়াস এবং তাদের পছন্দ। তবে যখন তাদের ব্যাটিংয়ের কথা আসে তখন এটি বেশ দুর্বল, তারা ফায়ার করার জন্য এক বা দুইজন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীল। তাদের বাকিদের কাছে ভারতের মতো উচ্চমানের বোলিং লাইন আপ পরিচালনা করার মতো অভিজ্ঞতা বা উপায় নেই। সুতরাং, অবশ্যই, এই পর্যায়ে আমার অর্থ ভারতে থাকবে।”
প্রাক্তন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক আরও বলেছেন, বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলের ব্যাটসম্যানরা কীভাবে শীর্ষ শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিং’র বিরুদ্ধে যাবে তা দেখা আকর্ষণীয় হবে।
ওই চ্যাটারে দীনেশ কার্তিক প্রোটিয়ার্সদের বোলিং লাইন আপ নিয়ে নিজের মত রেখে বলেছেন, “আমি মনে করি যে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার সময় চ্যালেঞ্জ ধরে কারণ তাদের আত্মবিশ্বাস বেশি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটিং কীভাবে রূপ নেয় তা দেখা সত্যিই আকর্ষণীয় হবে, এটি একটি বড় বিষয়। ভারত যদি পার্টনারশিপ সেলাই করার উপায় খুঁজে পায়(ব্যাটিং জুটি গঠন ম্যাচে) এবং প্রতিবার যখন কেউ ব্যাট করতে যায় তখন দুয়েকটি শতরান করে, তবে আমি মনে করি ভারত অস্ট্রেলিয়ায় যা অসাধারণভাবে করেছে, তা করার পথে ভাল হবে।”
ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যাবে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজে কেবলমাত্র তিনটে দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা প্রোটিয়ার্সদের হারাতে পেরেছে।
]]>নব্বইয়ের দশকে ভারতীয়দের কাছে অন্যতম প্রিয় ‘গেম’ হল ক্রিকেট এবং গেমিং ক্রাশ বলতে সেই সময়কার জনপ্রিয় খেলোয়াড়দের নাম৷ যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাহুল শরদ দ্রাবিড়৷ তাঁর ব্যক্তিত্ব, লুকস, স্টাইল, ব্যাটিংয়ের ধরন ও স্মার্টনেস সবকিছু নিয়ে তিনি ছিলেন অনবদ্য৷ তাঁর সবথেকে আকর্ষণীয় যে বিষয়টি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করত তা হল, তাঁর নম্রতা ও ভদ্রতা৷ আর সব থেকে বেশি যে জিনিটির প্রতি সব মেয়েরা পাগল ছিল, তা হল স্মাইল৷

রাহুল দ্রাবিড় সে সময় শুধুমাত্র অষ্টাদশী মহিলাদেরই নয়, মন জয় করে ছিলেন টিনেজারদেরও৷ সেই সময় নেটদুনিয়া ও সোশাল মিডিয়ায় এখনকার মতো আড়ম্বর ছিল না৷ তাই, সেই জেনারেশনের কাছে একটা দু’ টাকা দামের পোস্টকার্ডই ছিল অনেক বেশি দামি৷ শুধু পোস্ট কার্ডই নয়, যে কোনও ক্রিকেটবুক থেকে পাওয়া ছবি এমনকি পেপার কাটিংয়ের চল ছিল প্রচুর৷ পেপসির বোতোলের গায়ে লাগানো ব়্যাপার থেকে শুরু করে পোস্টকার্ড, স্ট্যাম্প সাইজ ফোটো সবকিছুকেই ডায়েরিতে স্মৃতি হিসেবে সংগ্রহ করে রাখা ছিল টিনেজারদের কাছে অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ৷
তখন ভারতীয় ক্রিকেট দলে রাহুল দ্রাবিড় ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জুটি ছিল অনবদ্য৷ ১৯৯৯ সালের ২৬ মে, টনটনে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে ক্রিকেটবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার এই দুই তরুণ তুর্কি৷ ওয়ান ডে ক্রিকেটে প্রথমবার তিনশোর পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়েছিলেন রাহুল ও সৌরভ৷ ম্যাচে দ্রাবিড় মাত্র ১২০ বলে একটি ছক্কা ও ১৭টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন৷ যা ছিল ‘দ্য ওয়াল’-এর স্বভাববিরুদ্ধ৷ সৌরভ-রাহুলের এই পার্টনারশিপ ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণময় মুহূর্ত হিসেবে লেখা হয়েছে৷ সৌরভ বাঙালি হিসেবে আমাদের মনে এক আলদা জায়গা করে নিয়েছিলেন৷ কিন্তু প্রচুর বাঙালি টিনেজার থেকে শুরু করে বয়স্ক ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ‘ঘরের ছেলে’ হয়ে উঠেছিলেন দ্রাবিড়৷
নিজের ড্যাশিং পার্সোনালিটি দিয়ে টিনেজারদের স্বপ্নের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন রাহুল৷ সেই সময় এখনকার মতো সারা বছর ধরে ক্রিকেটেদর দাপাদাপি ছিল না৷ ছিল না টি-২০ বা আইপিএল-এর মতো জনপ্রিয় ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ৷ ফলে সে সময় ভারতীয় দলের খেলা মানেই সবার মনে আলাদা উদ্বেগ থাকত৷ বাংলা মিডিয়াম স্কুলের পরীক্ষার সময় টিভি-তে ভারত-পাক ম্যাচ থাকলেও তা যেন কিছুতেই মিস করা যেত না৷ তখন অংক পরীক্ষার যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগকে দূরে সরিয়ে রেখে বাইশ গজে কোনও খেলোয়াড় কত রান করল বা কোন দল কত উইকেট হারাল তা জেনে ওঠাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ আর এই হিসেব থেকে বাদ পড়তেন না দ্রাবিড় নিজেও৷
টিভি-র ওপারে রাহুলের রানের যোগ-বিয়োগ হিসেব করতে বসতেন টিভি-র এপারে থাকা ক্রিকেটপ্রেমীরা৷ তখনকার টিনেজারের কাছে রাহুলের জনপ্রিয়তা আজও বিদ্যমান৷ সেদিনের টিনেজার আজ মাঝ বয়সি মহিলা হয়ে উঠলেও পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই দ্রাবিড়ের প্রেমে মশগুল৷ সদ্য ভারতীয় দলের কোচ হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া দ্রাবিড় দু’দশক আগের সেই প্রেমকেই যেন আবার প্রাণবন্ত করে তুললেন৷ ক্রিকেটের ‘দ্য জেন্টেলম্যান’ আজও তাঁর ফ্যানদের মনের মণিকোঠায় জায়গা ধরে রেখেছেন৷
]]>এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে ভারতের স্কোর প্রথম ইনিংসে ৮০ রানে তি উইকেট। শুভমান গিল ৪৪ এবং চেতেশ্বর পূজারা রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়ন ফিরে গিয়েছে।ক্রিজে রয়েছে মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৩২ রানে। বিরাট কোহলি রানের খাতা না খুলেই আউট। দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাকফ্রুটে টিম ইন্ডিয়া, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে। তিন উইকেট নিয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বা হাতি অর্থোডক্স স্পিনার আজিজ প্যাটেল কিউইদের হয়ে। ক্রিজে এসেছেন শ্রেয়স আইয়ার। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে চোটমুক্ত হয়ে ভারতের প্রথম একাদশে ঋদ্ধিমান সাহা উইকেটরক্ষক হিসেবে জায়গা পেয়েছেন।
শুক্রবার মুম্বই’র ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রথম টেস্টে অজিঙ্কা রাহানে নেতৃত্ব দিলেও দ্বিতীয় টেস্টে কিউইদের বিরুদ্ধে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিরাট কোহলি। ইশান্ত শর্মার চোটের কারণে মহম্মদ সিরাজ, রাহানে এবং জাডেজার চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম একাদশে ঠাই হয়েছে জয়ন্ত যাদবের।
শুক্রবার ম্যাচের আগে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, “কানপুরে প্রথম টেস্ট ম্যাচের শেষ দিনে ফাস্ট বোলার ইশান্ত শর্মা তার বাম হাতের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন। এইজন্য তিনি মুম্বই’তে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন। বিসিসিআই মেডিকেল টিম তার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে।”
ওই প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা কানপুরে প্রথম টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন ডান বাহুতে চোট পেয়েছিলেন। স্ক্যান করার পর, তার বাহুতে চোট ধরা পড়ে। তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং এই কারণে মুম্বাই’র দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন।”
প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে,কানপুরে প্রথম টেস্ট ম্যাচের শেষ দিনে ফিল্ডিং করার সময় অজিঙ্কা রাহানে বাঁদিকের হ্যামস্ট্রিংয়ে সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন। যেহেতু তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি, তাই তিনি মুম্বাই’এ দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন। তার চোটের অগ্রগতি নিয়ে বিসিসিআই,’ মেডিকেল টিম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।”
এদিকে, ভেজা আউটফিল্ডের কারণে শুক্রবার সকালে মুম্বই’র দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু হয়েছে। আম্পায়ার নিতীন মেনন এবং অনিল চৌধুরী প্রাথমিকভাবে পিচ পরিদর্শন করেন এবং পিচ এখনও খেলার উপযুক্ত নয় বলে মত পোষণ করায় টস করতে দেরি হয় প্রথমে সকাল 9:30 টায়, পরবর্তী পিচ কন্ডিশন পরিদর্শন সকাল 10:30 টায় নির্ধারিত ছিল।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ড শিবিরও চোট আঘাতের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বাঁ-কনুইতে চোটের কারণে অধিনায়ক কেন উইলিয়মসন ম্যাচ থেকে বাদ পড়েছেন। উইলিয়মসনের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবেন টম ল্যাথাম।
টসে জেতার পর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, “আমরা প্রথমে ব্যাট করছি। দেখতে অনেকটা শক্ত উইকেটের মতো এবং ঘাসের মতো নয়। সূর্য বেরিয়ে আসলে তা ব্যাট করার সেরা সময় হওয়া উচিত বলে এখানে মত। রাহানের একটি হ্যামি নিগল ছিল। পঞ্চম দিন জাদেজার ডান হাতের বাহু ফুলে গিয়েছে, এবং ইশান্তেরও চোট রয়েছে। আমাদের কানপুরের মতোই বেসিক ঠিক করতে হবে। প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনে ব্যাট করার জন্য নিউজিল্যান্ডকে অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে। আমরা পুঁজি করার মতো অবস্থানে থাকতে পারি। বাড়িতে (হোম গ্রাউন্ডে) আমরা যদি ভালো খেলি।”
কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম বলেছেন, “টসে জিতলে আমাদেরও প্রথমে ব্যাট করাই লক্ষ্য থাকত। এটি (পিচ) কয়েকদিন ধরে কভারে ছিল, এবং তাই এটি কিছুটা তাড়াতাড়ি করতে পারে। কেনের (উইলিয়ামসন) জন্য দুর্ভাগ্যজনক), তার কনুই আবার কাজ করছে, তবে এটি একটি ভাল মিচেলের জন্য সুযোগ। এখানে আর্দ্রতার সাথে সুইং হতে পারে, এবং আমরা সহায়তা পেতে পারি সঙ্গে পিচ থেকে স্পিনও হবে। কানপুরে টস হেরে যাওয়ার পর আমরা ভালো করেছি এবং আশা করছি, আমরা এখানকার কন্ডিশন কাজে লাগাতে পারব এবং উঠতে পারব। প্রথম দিকে কিছু উইকেট পাওয়া জরুরি।”
]]>এর জেরে টিম ইন্ডিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। কেননা ভারতীয় ক্রিকেট দল মুম্বইতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলে, সেখান থেকেই ৮ বা ৯ ডিসেম্বর বিমানে জোহানেসবার্গের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে চার টেস্ট,দুটি ওডিআই এবং চারটি টি টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ রয়েছে। টিম ইন্ডিয়া সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলবে ১৭ ডিসেম্বর, জোহানসবার্গে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যেসব বিমান যাত্রীরা ভারতে এসেছেন,তাদের হোম আইসোলেসনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারত সরকার।ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন(DGCA) ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত আন্তজার্তিক উড়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
— DGCA (@DGCAIndia) December 1, 2021
এই নিয়ে DGCA বুধবার নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছে,”উদ্বেগের নতুন রূপের উত্থানের সাথে ক্রমবর্ধমান বিশ্বের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে পরিস্থিতিটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দেওয়া হবে। নির্ধারিত বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবা পুনরায় চালু করার কার্যকর তারিখ যথাসময়ে অবহিত করা হবে”।
বাণিজ্যিক বিমান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরিবর্তিত করোনা পরিস্থিতির জেরে আন্তজার্তিক উড়ান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।ম মুম্বইতে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ভারত কানপুরে প্রথম টেস্ট ড্র করেছে কিউইদের বিরুদ্ধে।
গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে টিম ইন্ডিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে মঙ্গলবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বয়ান সামনে এসেছিল।
বোর্ড প্রেসিডেন্টের বয়ান,”এখন পর্যন্ত সফর নির্দিষ্ট সময় হিসাবে চলছে। আমাদের এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আছে। প্রথম টেস্ট ১৭ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত রয়েছে। আমরা এটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করব।”
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন,”খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সবসময়ই বিসিসিআইয়ের প্রথম অগ্রাধিকার, আমরা এর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করব। আমরা দেখব সামনের দিনগুলিতে কী হয়।”
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও ভারত রাষ্ট্র ব্যবস্থার উর্দ্ধে নয়। DGCA ইতিমধ্যেই আন্তজার্তিক উড়ান চলাচল নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। তাই টিম ইন্ডিয়ারর সিনিয়র দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে ঘোর অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ক্রমেই গাঢ় হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলছে। কোভিডের নতুন প্রজাতির সন্ধান মেলায় ভারতীয় ‘এ’ টিমকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিও ইতিমধ্যেই উঠেছে ভারতের ক্রিকেট মহলে। চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে ভারতীয় ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রয়েছে। ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় ‘এ’ দলের তৃতীয় তথা শেষ চারদিনের ম্যাচ রয়েছে। এই দল এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রীড়া সফরে। সব মিলিয়ে অনিশ্চয়তা আর আশঙ্কা ভারতের সিনিয়র ক্রিকেট দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ঘিরে।
]]>টানা ছয় টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিং’র ব্যাডপ্যাচ সঙ্গে ঘাড়ের চোট নিয়ে কাতরাতে কাতরাতে ঋদ্ধির অর্ধশতরান এবং ৬১ রানে শেষ অবধি অপরাজিত থাকা, লড়াকু ঋদ্ধিমান সাহা ফুরিয়ে যায়নি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো পারফরম্যান্স।চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ঋদ্ধিমান সাহা নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “সাফল্য আপনার যা আছে তাতে নয়, আপনি কে? দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত।”
Success is not in what you have, but who you are. Glad to contribute to the Team’s cause. @BCCI #IndVsNZ #TeamIndia #India pic.twitter.com/J1XydEyFng
— Wriddhiman Saha (@Wriddhipops) November 28, 2021
ঋদ্ধিমান সাহার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনের পারফরম্যান্স নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর বলেছেন,দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু ‘আদর্শ’ টিম ম্যান সাহার ভূমিকা হল ‘কঠিন কাজ’ করা যখন পহ্নকে পাওয়া যায় না।
ঋদ্ধিমান সাহার চোখ জুড়ানো ইনিংসের তারিফে টুইটার টইটুম্বুর।
@I am satinath ganguly টুইট পোস্ট,”আজ ঘাড়ে চোট নিয়ে ব্যাটিং করতে এসে আপনি দেখিয়ে দিলেন যে বাঙালি সব কিছুই পারে ۔ তোমার আজ ইনিংস দেখে বাঙালি হিসাবে গর্ববোধ করছি”।
Uddipta Narayan Hazra ঋদ্ধিমান সাহাকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইটে লিখেছেন,”খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারতের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটা ইনিংস ছিল এই ৬১ রানের ইনিংসটা
সেরে ওঠো খুব শিগগির 
পরের ম্যাচে একটা শতরানের অপেক্ষায় রইলাম
শুভকামনা
”।
Sushen Roy টুইট পোস্ট, “ঋদ্ধি দাদা খুব ভালো খেলেছো। তোমার এই ইংনিশটা আশা করি সবার হৃদয়ে অনেক জায়গা করে নিয়েছে।
ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।।”
মহেশ নিজের টুইটে ঋদ্ধিমান সাহার ছবি পোস্ট করে লিখেছে,”
কোন ট্যাটো নেই
সেক্সি চুল নেই
পেশী নেই
বডি বিল্ডিং নেই
মিষ্টি হাসি
প্রয়োজনে রান করে
টিম ম্যান
”
চতুর্থ দিনের শেষে ভারত ২৩৪ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে, ৭ উইকেটের বিনিময়, ভারতের লিড নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮০ রানের। নিউজিল্যান্ড উইল ইয়ং’র উইকেট হারিয়ে ৪ রানে চতুর্থ দিনের শেষে।
]]>কানপুরের গ্রীন পার্কে বৃহস্পতিবার থেকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ভারতের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে। পূজারাকে ঘিরে কিউইদের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা গগনচুম্বী।৩৩ বছর বয়সী অভিঞ্জ ব্যাটসম্যান পূজারার কথায়, তিনি সেঞ্চুরি করা নিয়ে “বিচলিত নন”, যতক্ষণ তিনি দলে অবদান রাখছেন।
মঙ্গলবার প্রি ম্যাচ কনফারেন্সে নিজের সেঞ্চুরির খরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পূজারা বলেন, “যতদূর আমার সেঞ্চুরির কথা, এটা যখন হওয়ার তখনই হবে। আমার কাজ হল দলের জন্য ভালো ব্যাটিং করা এবং এটা তা নয়। আমি রান পাচ্ছি না। আমি ৮০ এবং ৯০ পেয়েছি। যতক্ষণ আমি ভাল ব্যাটিং করছি এবং দলের জন্য অবদান রাখছি, আমি আমার সেঞ্চুরি নিয়ে মাথা ঘামাই না। এটা এক ইনিংসের ব্যাপার।”
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে কানপুরে সহ-অধিনায়ক চেতেশ্বর পূজারার, নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে অজিঙ্কা রাহানে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেওয়ার সাথে, পূজারা বলেছেন দলে তার ভূমিকায় খুব বেশি পরিবর্তন আনবে না।
পূজারা বলেছেন,”অতিরিক্ত দায়িত্ব আপনার পক্ষে কাজ করতে পারে কারণ আপনি তরুণদের সাথে অভিজ্ঞতা ভাগ করতে পারেন। এমনকি যখন আমি সহ-অধিনায়ক নই, আমি যতটা সম্ভব আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার চেষ্টা করি এবং চূড়ান্ত ফোকাস ভারতীয় দলকে নিয়ে।”
ইতিমধ্যেই ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি হোম সিরিযে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট-ওয়াশ করে দিয়েছে। ৩ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুম্বই’তে। বিরাট কোহলি সেকেন্ড টেস্ট ম্যাচে ভারতের হয়ে
অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলাবেন।
প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন হিসেবে অজিঙ্কা রাহানেকে দেখা যাবে। দ্বিতীয় টেস্ট মুম্বই’তে আগামী ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে। কিউইদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট টিমকে নেতৃত্ব দেবে।
ভারত ইতিমধ্যেই তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি হোম সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট-ওয়াশ করে দিয়েছে। চলতি সিরিজে দুই টেস্ট ম্যাচের প্রথমটি হবে কানপুরে। চলতি নভেম্বরের ২৫ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বতে,নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সুপার ১২ স্টেজে ভারত ছিটকে যাওয়ার পর বিসিসিআই বিরাট কোহলি সহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রামের অনুমতি দিয়েছিলেন।
এবার টানা ক্রিকেট খেলার (আইপিএলে এবং টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) সমস্ত ধকল সামলে নিয়ে কিং কোহলি কানপুরে টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে যোগ দিয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন।
]]>