চলতি সিরিজে ভারত ‘বক্সিং ডে’ টেস্টে প্রোটিয়াদের শক্ত ঘাটি সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্কে ১১৩ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে, সিরিজে আপাতত ১-০’তে এগিয়ে।
এশিয়া মহাদেশের টেস্ট ক্রিকেট খেলা দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২০২১-২২ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে প্রোটিয়াদের অভেদ্য দূর্গ বলে পরিচিত সেঞ্চুরিয়নে ডিন এলগারদের ধুলো মাখিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ জয় করেছে। জয়ের এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রেখে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ই যে এখন টিম ইন্ডিয়ার পাখির চোখ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় ভারত মায়াঙ্ক অগ্রবাল ১৪ এবং কেএল রাহুল ১ রানে ব্যাট করছে। ভারতের রান ১৬, কোন উইকেট না হারিয়ে।
দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগে অজিঙ্কা রাহানে বলেন, আমি এই মাঠ ভালোবাসি, এখানে খেলতে ভালোবাসি কারণ আমি খুব ভালো ভাইবস পাই। আমরা প্রথম টেস্ট জিতেছি, কিন্তু এটা গোড়া থেকে শুরু করার কথা।
রাহানে বলেন, এটা সবই নতুন করে শুরু করা এবং আমাদের আজকের সেরা দেওয়ার বিষয়ে। আমরা বর্তমানের মধ্যে থাকতে পছন্দ করি। আমাদের দুটো ম্যাচ বাকি আছে, তাই আমাদের ইতিবাচক হতে হবে এবং আমাদের সেরাটা দিতে হবে। শেষ টেস্টে দল হিসেবে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল, কিন্তু আমাদের এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী খেলতে হবে।
প্রথম টেস্টে নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে রাহানে বিলেন, গত ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করায় আমি মানসিকভাবে ভালো বোধ করছি, কিন্তু দুই ইনিংসে যেভাবে আউট হয়েছি তাতে হতাশ হয়েছি।
Toss Update – KL Rahul has won the toss and elects to bat first in the 2nd Test.
Captain Virat Kohli misses out with an upper back spasm.#SAvIND pic.twitter.com/2YarVIea4H
— BCCI (@BCCI) January 3, 2022
দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের প্রথম একাদশ : কেএল রাহুল (অধিনায়ক), মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, হনুমা বিহারী, ঋষভ পহ্ন (উইকেটরক্ষক), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ সামি, জসপ্রিত বুমরাহ(সহ অধিনায়ক), মহম্মদ সিরাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম একাদশ : ডিন এলগার (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, কিগান পিটারসেন, রাসি ভ্যান ডের ডুসেন, টেম্বা বাভুমা, কাইল ভেরেইন (উইকেটরক্ষক), মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা, কেসব মহারাজ, ডুয়ান অলিভিয়ার, লুঙ্গি এনগিদি।
]]>যদিও কেএল রাহুলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি টিম ইন্ডিয়াকে এই জয় পেতে সাহায্য করেছে, তবে এই ম্যাচে দুজন খেলোয়াড় রয়েছেন যারা এই ম্যাচে তাদের কেরিয়ারে একটি বড় লাফ দিয়েছে অনেক বড় অসাধারনকে ক্রিকেটারদের পিছনে ফেলে। এই ম্যাচে মহম্মদ সামি তার ২০০ টেস্ট উইকেট পেয়েছেন। এই ম্যাচের দুই ইনিংসেই সামি নিয়েছেন ৮ উইকেট।
সামি এখন টেস্টে মোট ২০৩ উইকেট নিয়েছেন। ঋষভ পহ্ন এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে নয়, উইকেটের পিছনে কিপিং গ্লাভস হাতে পারফরম্যান্স অব্যাহত রেখেছে। টেস্ট ম্যাচে উইকেটরক্ষক হিসেবে ১০০ টি শিকার করেছে ভারতের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
এই দুই খেলোয়াড়ের এই কৃতিত্বকে টিম ইন্ডিয়া হোটেলে কেক কেটে উদযাপন করেছে। বিসিসিআই তার টুইটার হ্যান্ডেলে ওই মুহুর্তের ছবি শেয়ার করেছে। টুইট করা পোস্টের ছবিতে দেখা যাচ্ছে উভয় খেলোয়াড় কেক কাটছে এবং টিম মেটরা অভিনন্দন জানিয়ে খুশির আনন্দে হাততালিতে মেতে উঠেছে। আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে ভারতকে, জোবার্গে।
]]>এমন এক ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের মুহুর্তে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটের ভগবান সচিন তেন্ডুলকরের টুইট পোস্ট, “এমন আক্রমণে দুর্দান্ত বোলিং যা বিশ্বের যে কোনও জায়গায় টেস্ট ম্যাচে ২০ উইকেট নিতে পারে।
একটি নিশ্চিত জয়ের জন্য #TeamIndia কে অভিনন্দন!
#SAvIND”।
ভারতের প্রাক্তন হেডকোচ রবি শাস্ত্রী প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ জয়ের আনন্দে টুইট পোস্ট, “উহু ব্রিসবেন, ওভাল, লর্ডস এবং এখন সেঞ্চুরিয়ন… অভিনন্দন @imVkohli, রাহুল দ্রাবিড় এবং সমগ্র দলকে সেঞ্চুরিয়নে জয়ী প্রথম এশিয়ান দেশ হওয়ার জন্য #BoxingDayTest #TeamIndia “।
ঐতিহাসিক ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট জয়ের মুহুর্তে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ভারতের আর এক কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষণ। এই জয় নিয়ে লক্ষণের টুইট পোস্ট, “সিডনিতে দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতার সাথে বছরটি শুরু হয়েছিল, তারপরে গাব্বাতে একটি অবিশ্বাস্য জয় ছিল, লর্ডসের জয়টি বিশেষ ছিল এবং সেঞ্চুরিয়নে একটি দুর্দান্ত জয় দিয়ে বছরের শেষ হয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত টেস্ট ম্যাচের বছর। একটি দুর্দান্ত জয়ের জন্য অভিনন্দন #INDvsSA “।
বস্তুত, পঞ্চম দিনে খেলার শেষ মুহুর্তে ৬৬.৫ ওভারে সামির বলে মার্কো জ্যানসনের ক্যাচ পহ্নের গ্লাভসে ধরা পড়ে, পরের ওভারে পঞ্চম ডেলিভারিতে রাবাদা অশ্বিনের বলে ক্যাচ তুলে সামির হাতে বন্দি আর ৬৭.৬ ওভারে অর্থাৎ পরের বলেই এনগিদি অশ্বিনের বলে পূজারার হাতে ক্যাচ দিতেই, সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট ভারত পকেটে পুড়ে ফেলে।
]]>তিন টেস্ট ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতলেও অভেদ্য প্রোটিয়া দুর্গ এখনও ভাঙতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও ভারতের কাছে অপরাজেয় এলাকা, কিন্তু এই জয় মেন ইন ব্লুকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের অনন্য নজির রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিমের নামের সঙ্গে।
জয়ের পরপরই, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে এবং ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এদিনের জয়ের সাথে কতটা খুশি সকলে। চেতেশ্বর পূজারা এবং মহম্মদ সিরাজের সাথে যে টিম হোটেলে ভারতীয় ক্রিকেট দল অবস্থান করছে তার কর্মীদের সাথে অশ্বিনকে নাচতে দেখা গিয়েছে। যা এই মুহুর্তে সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল।
ভিডিওটির ক্যাপশনে অশ্বিন বলেন ফটো তোলা পুরানো স্কুল এবং নাচ নতুন জিনিস। ক্যাপশনে লেখা “ম্যাচ-পরবর্তী প্রথাগত ছবিগুলি খুব বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে, তাই @চেতেশ্বর_পুজারা প্রথমবার @mohammedsirajofficial এবং আপনার সত্যিকারের সাথে পা নাড়িয়ে এটিকে স্মরণীয় করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কী জয়”।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টিম ইন্ডিয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন ভালোভাবে শুরু করেছিল এবং সেঞ্চুরিয়নে নিজেদের প্রথম জয় নথিভুক্ত করে। ভারতের এই জয়ের আগে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো অন্য দলগুলো হল ইংল্যান্ড (২০০০) এবং অস্ট্রেলিয়া (২০১৪)।
https://www.instagram.com/tv/CYG7s3FoG-U/?utm_source=ig_web_copy_link
প্রসঙ্গত, ভারতের কথা আসে, ২০২১ সাল ভারতীয় ক্রিকেটে ব্যতিক্রমী সময়। কেননা দ্বিতীয়বার ভারত এক ক্যালেন্ডার বছরে (ব্রিসবেন, লর্ডস, ওভাল, সেঞ্চুরিয়ন) এশিয়ার বাইরে চারটি টেস্ট জিতেছে। শেষবার ২০১৮ সালে (জোবার্গ, নটিংহাম, অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন) এমন ঐতিহাসিক মুহুর্ত ঘটেছিল।
<
p style=”text-align: justify;”>ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেট মহল মহম্মদ সামি, জসপ্রিত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ এবং শার্দুল ঠাকুরদের কাছ থেকে একটা চ্যালেঞ্জে মোড়া বোলিং আক্রমণ দেখতে চেয়েছিল এবং এই আশা পূরণের সঙ্গে, স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও তার প্রাপ্য উইকেট পেয়েছেন, টেস্টের পঞ্চম দিনে শেষের দিকে প্রোটিয়াদের দুই টেল এন্ডার রাবাদা এবং এনগিদিকে আউট করে।
]]>চতুর্থ দিনে ডুসেন(১১), মহারাজ(৮) দু উইকেট বুমরাহের। সামি এক উইকেট এইডেন মার্করামের(১), মহম্মদ সিরাজের এক উইকেট কিগান পিটারসেনকে আউট করে।
ব্যাট বলের সাতকাহন সেঞ্চুরিয়নে চতুর্থ দিন। একদিকে ডিন এলগার দুরন্ত অর্ধশতরান, অন্যদিকে দিনের শেষ বলে দুরন্ত ইয়র্কার ডেলিভারি বুমরাহের, উইকেট ছিটকে যায়, কেসব মহারাজের।টেস্ট ক্রিকেটের টোটাল মশলা মজুদ সুপারস্পোর্টস পার্কের বাইশ গজে।
সেরাদের সেরা, বুমরাহ। ভারত বনাম সেঞ্চুরিয়নের শেষ দিনে লড়াই এখন আবহাওয়ার সঙ্গে। কেননা টস ফ্যাক্টর ‘বক্সিং ডে’ টেস্টে ‘X’ ফ্যাক্টর। অধিনায়ক বিরাট কোহলির টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত, পিচে ঘাস দেখে, যা বাড়তি বাউন্স এনে দেওয়ার সম্ভাবনাকে উস্কে দিয়েছিল সঙ্গে সুপারস্পোর্টস পার্কের ভেজা স্পঞ্জি পিচ এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস। যা চতুর্থ দিনের শেষ ডেলিভারি বুমরাহের ইয়র্কার, কেসব মহারাজের উইকেট ছিটকে যাওয়া, ক্যাপ্টেন কোহলির ব্যাটিং সিদ্ধান্ত টসে জিতে আপাতত সঠিক,এই প্রেক্ষিতে। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটায় খেলা ভেস্তে যায়।
চতুর্থ দিনের একেবারে শেষ বলে জসপ্রীত বুমরাহের 143kmph রিপারের স্টাম্প উপড়ে ফেলার পর কেসব মহারাজের প্যাভিলিয়ন ‘বাপসি’ বার্তা ‘লাউড এন্ড ক্লিয়ার ‘ টিম বিরাটের, ‘বক্সি ডে’ টেস্ট ম্যাচে ভারতের জাতীয় পতাকা ‘তিরঙ্গা’ পতপত করে তুলে ধরতে এখন পঞ্চম দিনে, ‘ক্ষুধার্ত’ আফ্রিকার রাজা সিংহের মতো মারণ কামড়ে ঘায়েল করতে মুখিয়ে রয়েছে সামি,বুমরাহ,সিরাজ,শার্দূল সজ্জিত ভারতীয় বোলিং লাইন আপ,অনভিজ্ঞ প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে।
]]>যেভাবে বিরাট কোহলির ক্যাচ আউট সাইড এজড গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে গিয়ে জমা পড়ল তা দেখে লজ্জায় মুখ ঢাকা ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই। একটা নির্ভেজাল আউট সুইংকে যেতে না দিয়ে ক্রিজে অতি সামান্য ফুটওয়ার্ক দিয়ে শরীরের থেকে দূরে ওই আউট সুইংকে খোঁচা দিতেই তা ডি ককের গ্লাভসে নেট অনুশীলনের ঢঙে জমা পড়ে যায়। ডি কককে কোনও বাড়তি ঝুঁকি নিতে হয়নি বিরাট এজড অর্থাৎ ক্যাচ গ্লাভসে বন্দী করতে। শুধুমাত্র বলের মুভমেন্টে চোখ রেখে বিরাট গ্লাভস বন্দী হয়। একপ্রকার ক্রিকেটের শিক্ষানবিশ আউটের ঢঙে।
]]>ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রানে ১ উইকেট, রানের লিড দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৪৬ রানের। মায়াঙ্ক অগ্রবাল ৪ রানে আউট, মার্কো জ্যানসনের বলে ক্যাচ উইকেট রক্ষক কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে।
পিচে ছিল ঘাস,বাড়তি বাউন্সারে সম্ভাবনা ছিল। দ্বিতীয় দিনের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ টেস্টে। তৃতীয় দিন আবহাওয়ার এই সুবিধা ভরপেট গোগ্রাসে চিবিয়ে খেলেন ভারতীয় পেস বোলার মহম্মদ সামি। নিলেন ৫ উইকেট প্রোটিয়াদের মার্করাম,পিটারসন,বাভুমা,মুল্ডার,রাবাদা।
প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে টেম্বা বাভুমার ১০৩ বলে ৫২ রান এবং কাগিসো রাবাদার ৪৫ বলে ২৫ রান ভারতীয় বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে প্রাপ্তি।
সেঞ্চুরিয়নে ‘বক্সিং ডে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ ডানহাতি পেস বোলার লুঙ্গি এনগিদির বিষাক্ত ডেলিভারির ছোবলে ভারত প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেটে ৩২৭ রানে গুটিয়ে যায়। এনগিদি শিকার করে ৬ উইকেট, টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জিং প্রোটিয়া বোলিং লাইন আপ। সুপারস্পোর্টস পার্কে টসে জিতে ভারত ব্যাটিং করতে নামে, যা এই পিচের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত। উইকেটে ঘাস রয়েছে আবার ভেজা অর্থাৎ স্পঞ্জিও রয়েছে। পিচে ঘাস থাকায় বাড়তি বাউন্স পাওয়ার একটা প্রবল সম্ভাবনা থেকেই ভারতের ব্যাটিং’র সিদ্ধান্ত।
টেস্টের প্রথম দিন লুঙ্গি এনগিদির শিকার তিন উইকেট, দ্বিতীয় দিন খেলা বৃষ্টি বিঘ্নিত হওয়ার জন্য ভেস্তে যায় এবং তৃতীয় দিন রোদের ঝিলিকে লুঙ্গি এনগিদির চওড়া হাসি আরও তিন উইকেট প্রাপ্তিতে ফুটে ওঠে, মোট ৬ উইকেট ৭১ রানে ডানহাতি পেসার এনগিদির, ৫ মেডেন, ২৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে। মায়াঙ্ক অগ্রবাল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে,ঋষভ পহ্ন,মহম্মদ সামি মোট ৬ উইকেট প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে লুঙ্গি এনগিদির।
লুঙ্গি এনগিদির ধসে, ভারত ৩২৭ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট হলেও পিচ এবং আবহাওয়া কন্ডিশনে বুমেরাং স্কোরবোর্ডে রানের গতিপ্রকৃতি। কেননা অনভিজ্ঞ প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন আপ এবার সামি,বুমরাহ এবং সিরাজ সঙ্গে শার্দূললের মুখোমুখি হয়ে নাজেহাল, বেসামাল।
অভিজ্ঞ প্রাক্তন প্রোটিয়া জোরে বোলারদের ভবিষ্যৎ বাণী এবং সুপারস্পোর্টস পার্কের ঘাসে ঢাকা পিচ ও আবহাওয়া ফ্যাক্টর থেকে ভারতীয় বোলারেরা কতটা বেনিফিট (উইকেট) তুলতে পারে সেটাই পরীক্ষার মুখে ছিল। কারণ সময় যত গড়াবে এই পিচ তত শক্ত হবে এবং বাড়তি বাউন্স ছলকে ছলকে উঠতে পারে যদি বোলাররা বোলিং ডেলিভারির শেষ মুহুর্তে টপ থেকে ঘাড়, কাঁধ এবং কোমড়কে একই পয়েন্টে এনে ফুল লেহ্ন ডেলিভারি বিপক্ষের বিরুদ্ধে শানাতে পারে, তাহলেই অনভিজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং লাইন আপে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠতে পারে। হলও তাইই।
‘বিরাট’ ভারত ১ উইকেটে হারিয়ে ১৬ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৪৬ রানে এগিয়ে, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে। ক্রিজে প্রথম টেস্টে শতরানের মালিক ‘মিস্টার সেঞ্চুরিয়ন’ কেএল রাহুল ৫ এবং ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে প্রথম ইনিংসে চেতেশ্বর পূজারার লুঙ্গি এনগিদির বলে রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার শিক্ষা থেকে হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় ‘মন্ত্রে’ শার্দূল ঠাকুরকে ফাস্ট ডাউনে তুলে আনা ‘মাস্টারস্ট্রোর্ক’ হতে পারে যদি শার্দূল দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়া বোলিং লাইনের বিরুদ্ধে কেরামতি দেখিয়ে ক্লিক করে গেলে।
শার্দূল ঠাকুরকে ওপড়ের ব্যাটিং ডাউনে তুলে আনার কারণ, লোহা গরম আছে, গরম লোহায় হাতুড়ি বাড়িতে ‘মন পসন্দ’ আকার দেওয়া যায়, এক্ষেত্রেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে কেরামতি দেখিয়ে লুঙ্গি এনিগিদি, রাবাদাদের বোলিং’এ ছন্দপতন ঘটিয়ে ক্লিক করে গেলে।।
]]>অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র চার ওভারে ৬ উইকেট নেন স্কট বোল্যান্ড। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ছিল একেবারে নীচু স্তরের। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই ডাবল ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি এবং চার ব্যাটসম্যান রানের খাতা না খুলেই আউট হন। এখনও অ্যাসেজ সিরিজের তিনটি ম্যাচই অস্ট্রেলিয়ার নামে, যা একতরফা।
এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল মেলবোর্নে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রান করে, ইংল্যান্ড দল প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর। দলের হয়ে ওপেনার মার্কাস হ্যারিসের অবদান সবচেয়ে বেশি ৭৬ রান। হ্যারিস তার দুর্দান্ত ইনিংসে ১৮৯ বলে সাতটি বাউন্ডারি হাঁকান।
৫ টেস্ট ম্যাচের ‘দ্য অ্যাসেজ’ সিরিজের চতুর্থ টেস্ট আগামী বছর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে জানুয়ারির ৫ তারিখে। এবং পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট ম্যাচ হবে হোবার্টে, ১৪ জানুয়ারি।
অন্যদিকে, ‘বক্সিং ডে’ টেস্টে স্কট বোল্যান্ডের করা প্রতিটি বল ছিল ৩২ বছরের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের ফল। তিনি তার সুযোগ পাওয়ার জন্য তার গাধার মতো পরিশ্রম করেছিলেন এবং টেস্ট অভিষেকের জন্য অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে পরিসংখ্যানের দিক থেকে ষষ্ঠ সেরা বোলার হিসেবে তাকে চিরকাল মনে অক্ষয় হয়ে থাকবেন।
স্কটের পারফরম্যান্সের তাৎপর্য পরিসংখ্যানের বাইরেও পৌঁছেছে। তার গলায় জনি মোল্লা পদক নিয়ে তাকে দেখতে অবিশ্বাস্য লাগছে। ১৮৬৮ সালের দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরকারী একজন জার্দওয়াদজালি ব্যক্তি উনাররিমিনের সম্মানে এই পদকটি অনেক অর্থ বহন করে। এবং ওই সফরের ১৫৩ বছর পর গুলিডজান নামক একজন বোল্যান্ডকে পুরস্কৃত করার মুহুর্ত এককথায় অবিশ্বাস্য।
বোল্যান্ড হয়তো এখনও এটি বুঝে উঠতে পারেনি, কিন্তু MCG’তে তার পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার আনাচে কানাচে, চারপাশে অনেক আলোচনা ঝড় ইতিমধ্যেই তৈরি করেছে।শিশুরা তার সংস্কৃতি, জনি এবং ক্রিকেটের আদিবাসী ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইছে।
]]>‘Indiancricketteam’ ইনস্ট্রাগ্রাম হ্যাণ্ডেলে পন্থের ছবি পোস্ট হতেই অধিনায়ক বিরাট কোহলির ডেপুটি কেএল রাহুল ওই পোস্টে কমেন্ট সেকশনে গিয়ে প্রতিক্রিয়াতে ‘
’ এই ইমোজি পোস্ট করেছে। সঙ্গে বিরাটের ডেপুটি ঋষভ পন্থকে ভালবাসা এবং বন্ধুতার অমোঘ বন্ধনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘
’ এই ইমোজি পোস্ট করে।
আবার, oyearyansingh ঋষভের ওই ইনস্ট্রাগ্রাম পোস্টের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়নে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে উইকেটরক্ষক- ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থের জ্বলে ওঠার আশাবাদী বার্তায় পোস্টে ‘
’ এই ইমোজি পোস্ট করে সুপারস্পোর্টস পার্কে আসন্ন প্রথম টেস্টের আগে হাওয়া গরম করে দিয়েছে, ডিসেম্বরের হাড় কাঁপুনি শীতের আবহে।
দিন কয়েক আগে, ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার এবং ঈশান্ত শর্মা সুপারস্পোর্টস পার্কের পিচের পূর্বাভাস নিয়ে বিসিসিআই’র টুইটে নিজেদের প্রতিক্রিয়া রেখেছে।
প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে সুপারস্পোর্ট পার্কের পিচ কেমন হতে পারে তা নিয়ে শ্রেয়স আইয়ার জানিয়েছেন, “এই পিচে ঘাস রয়েছে,ফলে অতিরিক্ত বাউন্স আসবে এমনটা মনে করা হচ্ছে”। শ্রেয়সের পিচ নিয়ে এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে,বোলারা পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা তুলতে পারে।
অন্যদিকে, ভারতীয় পেস বোলার ঈশান্ত শর্মা’র এই পিচ নিয়ে প্রতিক্রিয়া, “শুরুতে উইকেট ভেজা ছিল। এ সময় বল একটু ঘুরছিল”।
ঈশান্তের এমন প্রতিক্রিয়া সামনে আসতেই ক্রিকেট মহল মনে করছে টেস্ট ম্যাচের শুরুর দিকে সুপারস্পোর্ট পার্কের পিচ থেকে স্পিনারেরা, বিশেষত রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটা সুবিধা পেতে পারে প্রোটিয়ার্সদের উইকেট তোলার লক্ষ্যে, এরপর সময় যত গড়াবে পিচের ভিতরের ভেজা অংশ রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শক্ত হতে থাকবে।পিচ যত শক্ত হবে, ততই জোরে বোলারেরা ঘাস থাকার কারণে অতিরিক্ত বাউন্সারে ব্যাটসম্যানকে ব্যাকফ্রুটে খেলতে বাধ্য করবে।
বড় রান করার তাগিদে প্রোটিয়ার্সরা ব্যাকফ্রুটে’র বেড়াজাল টপকে “মুভিট্যাপ” ফাঁদে পড়ে ফ্রন্টফ্রটে খেলার চেষ্টাতে বিগ শট হাঁকাতে গিয়ে উইকেট খুঁইয়ে আরও বেশি করে কোণঠাসা হওয়ার অবস্থায় চলে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় বোলিং লাইন আপকে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে।
এদিকে শুক্রবার ভারতের টেস্ট দলের সহ অধিনায়ক কেএল রাহুল প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে এসে বলেন, একটি দল হিসাবে আমাদের জন্য একটি বড় সিরিজ হতে চলেছে। বিদেশের মাটিতে খেলা সিরিজকে আমরা সবসময় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমরা এই দিকটিতে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি।ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার জয় আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তিনি বলেন, সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পুরো ফোকাস ম্যাচ জেতা এবং নিজেদের সেরাটা দেওয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের খারাপ রেকর্ডের প্রশ্নে কেএল বলেন, আমি তা মনে করি না। আমি যা করতে পারি তা হল ভাল প্রস্তুতি এবং একই জিনিস দলের প্রত্যেক সদস্যের জন্য প্রযোজ্য। আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো। টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়ক বলেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি যেমন বলেছি, নতুন বল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা সেই অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত করেছি।
প্রসঙ্গত, রোহিত শর্মার হ্যামস্ট্রিং’র চোটের কারণে প্রথমবার ভারতের টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক কেএল রাহুল। হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় “মন্ত্রে” প্রোটিয়ার্স বধের ছক কষছে টিম ইন্ডিয়া। খেলোয়াড়দের জেতার জন্য হেডকোচ দ্রাবিড়ের গুরুমন্ত্র হল “মানের অনুশীলন এবং ভাল তীব্রতা”।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে বিরাট-সৌরভ বিতর্ক এবং আফ্রিকার মাটিতে অনুশীলনের সেশনে ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ভারতের প্রাক্তন হেডকোচ রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে ‘বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি’ প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের আগে টিম ইন্ডিয়ার অন্দরমহলে ঘুমোট পরিবেশ ঘনিয়ে তোলে। গোটা বিতর্কের আগুনে ঢোক গেলে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
শুক্রবার, ‘Indiancricketteam’ ইনস্ট্রাগ্রাম হ্যান্ডেলে ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থের ফুরফুরে মেজারের ছবি পোস্টের ‘মোটিভ’ একটাই, বার্তা দেওয়া দেশের তামাম ক্রিকেট ভক্তদের ‘ঠিক হ্যায়’, অর্থাৎ সব ঠিক আছে।
]]>এমন আবহে টিম ইন্ডিয়ার সব খেলোয়াড়কে বেশ খুশি দেখাচ্ছে।টুইটারে এমনই এক খুশির মুহুর্তের ছবি শেয়ার করেছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল, যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল। মায়াঙ্ক টুইটে ওই ছবি পোস্টের ক্যাপসনে লিখেছে,” বারবিকিউ রাতের মতো কিছুই নেই”। ভারতীয় দল গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেছে এবং হালকা ওয়ার্ক-আউটের সাথে নেট সেশনে ঘাম ঝরিয়েছে।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রনে’র বাড়বাড়ন্তের জেরে আগেই এই সফরের পূর্ব নির্ধারিত সফরসূচীতে কাটছাঁট করা হয়েছে। ওমিক্রনের দাপাদাপির জেরে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে বিনা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই
প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া।তাই গুরুত্বপূর্ণ সফরের প্রস্তুতির জন্য ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পা রেখেই নেট সেশনে মনোনিবেশ করেছে।
টেস্ট ফর্ম্যাটে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি, সম্প্রতি রোহিত শর্মাকে সাদা বলের ফর্ম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রোহিতের চোটের কারণে তার জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হয়েছে প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালকে।
টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। এরপর ৭ জানুয়ারি জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ১১ জানুয়ারি থেকে কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট খেলা হবে।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের জেতার জন্য হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মন্ত্র হল “মানের অনুশীলন এবং ভাল তীব্রতা”। দ্রাবিড় “মন্ত্রে” প্রোটিয়ার্স বধের ছক কষছে টিম ইন্ডিয়া।
কয়েকদিন আগে বিসিসিআই’র টুইটে শ্রেয়স আইয়ার জানিয়েছেন, “এই পিচে ঘাস রয়েছে,ফলে অতিরিক্ত বাউন্স আসবে এমনটা মনে করা হচ্ছে”। শ্রেয়সের পিচ নিয়ে এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে,বোলারা পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা তুলতে পারে।
অন্যদিকে, ভারতীয় পেস বোলার ঈশান্ত শর্মা’র এই পিচ নিয়ে প্রতিক্রিয়া, “শুরুতে উইকেট ভেজা ছিল। এ সময় বল একটু ঘুরছিল”।
ঈশান্তের এমন প্রতিক্রিয়া সামনে আসতেই ক্রিকেট মহল মনে করছে টেস্ট ম্যাচের শুরুর দিকে সুপারস্পোর্ট পার্কের পিচ থেকে স্পিনারেরা, বিশেষত রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটা সুবিধা পেতে পারে প্রোটিয়ার্সদের উইকেট তোলার লক্ষ্যে, এরপর সময় যত গড়াবে পিচের ভিতরের ভেজা অংশ রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শক্ত হতে থাকবে।পিচ যত শক্ত হবে, ততই জোরে বোলারেরা ঘাস থাকার কারণে অতিরিক্ত বাউন্সারে ব্যাটসম্যানকে ব্যাকফ্রুটে খেলতে বাধ্য করবে।
বড় রান করার তাগিদে প্রোটিয়ার্সরা ব্যাকফ্রুটে’র বেড়াজাল টপকে “মুভিট্যাপ” ফাঁদে পড়ে ফ্রন্টফ্রটে খেলার চেষ্টাতে বিগ শট হাঁকাতে গিয়ে উইকেট খুঁইয়ে আরও বেশি করে কোণঠাসা হওয়ার অবস্থায় চলে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় বোলিং লাইন আপকেও প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে। প্রসঙ্গত, প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে সহ অধিনায়ক কেএল রাহুল।
২০২১-২২ মরসুমে তিন টেস্ট ম্যাচের সিরিজের পর ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের অন্তর্ভুক্ত ওডিআই ম্যাচ সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ১৯ এবং ২১ জানুয়ারী পারল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে এবং তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই ম্যাচ হবে ২৩ জানুয়ারী কেপটাউনে।
]]>এই ইস্যুতে অশ্বিন রিটুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া রেখেছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে মুরলিধরন নিজেও বলেন, কেউ যদি তার রেকর্ডের কাছাকাছি যেতে পারে তবে সে অশ্বিন ছাড়া আর কেউ নয়।
আসলে, অশ্বিন তার ইউটিউব চ্যানেলে একজন ভক্তের জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের উত্তরের প্রসঙ্গে এই বিষয়ে তার মতামত দিয়েছেন। এক ভক্ত অশ্বিনকে ৮০০ টেস্ট উইকেট ভাঙার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কি মুরলিধরনকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন?
এই বিষয়ে অশ্বিন বলেন, ৮০০ উইকেট এখন অনেক দূর। মুরলিধরনের সাথে কথোপকথন করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমি যখন ইনজুরিতে পড়েছিলাম, তিনি আমাকে ডেকেছিলেন এবং আমাকে এই ধরনের আঘাত এড়াতে পরামর্শ দেন।
অশ্বিন আরও বলেন, “৮০০ তার উইকেট নাগালের বাইরে। আমি একটা সময়ে এক ধাপ এগিয়ে, আমি জানি যে আপনারা আশা করছেন আমি ওই বিশেষ পয়েন্টে পৌঁছতে পারব, কিন্তু এটা ঘটানো খুব কঠিন। এটা করতে পারলে এটা হবে আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন। কিন্তু তা নাগালের বাইরে”।
এখানেই থেমে না থেকে অশ্বিন বলেন, “মুরলি আন্না আমাকে সবসময় পরামর্শ দেন। আমি তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি আমাকে ৮০০ উইকেটে পৌঁছাতে অনুপ্রাণিত করেছেন। কিন্তু আমি নিজেই জানি যে এটি অনেক দূরের পথ”।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বর্তমানে ভারতের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া তৃতীয় বোলার হলেন অশ্বিন। অশ্বিন এখন পর্যন্ত ৪২৭ উইকেট নিয়েছেন।
]]>মুম্বই’এ দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৩৭২ রানে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছে ভারত।
কানপুরে উদ্বোধনী ম্যাচ ড্র করার পর চতুর্থ দিনে মুম্বই টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে 372 রানে হারিয়েছে ভারত। জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল এখন 124 রেটিং পয়েন্ট রয়েছে এবং তার পরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড (121), অস্ট্রেলিয়া (108), ইংল্যান্ড (107), পাকিস্তান (92), দক্ষিণ আফ্রিকা (88), শ্রীলঙ্কা (83), ওয়েস্ট ইন্ডিজ। (75), বাংলাদেশ (49) এবং জিম্বাবোয়ে (31)।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা( ICC) নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করে ঘোষণা করেছে,”
@MRFWorldwide ICC পুরুষদের টেস্ট টিম র্যাঙ্কিং-এ ভারত এক নম্বরে ফিরে এসেছে।”
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের পর অভিনন্দন বার্তায় সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে,
“অভিনন্দন বিরাট কোহলি।

খেলার প্রতিটি ফর্ম্যাটে 50টি আন্তর্জাতিক জয়ের সাথে প্রথম খেলোয়াড়।

#TeamIndia #INDvNZ।”
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি সামাজিক মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের উচ্ছ্বাসে গা ভাসিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে,
“অবিশ্বাস্য জয়! ব্ল্যাকক্যাপসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত 372 রানের জয় টেস্টে ভারতের সবচেয়ে বড় জয় (রান দ্বারা)। #TeamIndia-এর দুর্দান্ত অল-রাউন্ড শো, স্পিনাররা ছিল ব্যতিক্রমী, মহম্মদ সিরাজ দুর্দান্ত ছিল কিন্তু মায়াঙ্ক আগরওয়ালের জন্য একটি বড় হাততালি রয়েছে – আপনি বিশেষ ছিলেন!
#INDvsNZ ভারতীয় ক্রিকেট দল।”
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) টেবিলে, ভারত 42 পয়েন্ট এবং 58.33 জয়ের শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Covid 19: আতঙ্কের নতুন নাম omicron কেমন ‘খতরনাক’, জেনে নিন
ওমিক্রন প্রতিরোধ করতে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছিল। ওই সমস্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। জেনোম সিকোয়েন্সিংয়েই দুজনের শরীরে ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে। আক্রান্ত দুইজনের একজনের বয়স ৪৬ অন্য জনের ৬৬। তবে নিরাপত্তার কারণে ওই দুইজন কোথা থেকে এসেছেন এবং তাঁদের পরিচয় জানায়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: Omicron: আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন, দাবি বিশেষজ্ঞদের
লব আগরওয়াল এদিন জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে মৃদু উপসর্গ রয়েছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে প্রত্যেককেই করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে ভিড়। অন্যদিকে করোনা সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভিকে পল জানিয়েছেন, ওমিক্রন রুখতে নতুন করে আর কোনও বিধি-নিষেধ তৈরি করার কথা এখনই ভাবা হচ্ছে না। তবে যে নিয়মগুলি বর্তমানে চালু রয়েছে সেগুলি মানুষকে মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ওমিক্রনকে উদ্বেগজনক ভাইরাস বলে চিহ্নিত করেছে। যে সমস্ত দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেই দেশগুলিকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। ওমিক্রন রুখতে দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত সর্তকতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
]]>এদিন সকালে বেশ কয়েক লাখ হবু শিক্ষক সরকারের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা দিতে নিজেদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যান। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই খবর রটে যায় যে, হোয়াটস অ্যাপে (WhatsApp) টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছে। বেশকিছু পরীক্ষার্থী মোবাইলে সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও পেয়ে যান। তাই বিষয়টি যে গুজব তা নয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় যোগী সরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্পেশাল টাস্কফোর্স ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার দুই অর্ধে টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে দুটি পরীক্ষাই বাতিল করে দেওয়া হয়। পরীক্ষা বাতিলের এই খবরে যথারীতি চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, যোগী আদিত্যনাথ সরকার বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষক নিয়োগের ভান করছে। কিন্তু যোগী সরকার মূলত বিজেপির লোকজনকেই চাকরি দিতে চায়। সে কারণেই তারা নিজেদের লোকজনকে আগে থাকতেই প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু কোনওভাবে বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। বিরোধীরা প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার যথাযথ তদন্তের দাবি তুলেছে।
বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে কি হাল এ ঘটনায় তারই প্রমাণ। রাজ্যের হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বিজেপি সরকার।
অন্যদিকে রাজ্যের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসেই নতুন করে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই পরীক্ষার নির্দিষ্ট দিন, তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। এদিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার খবর পেতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে স্পেশাল টাস্কফোর্স। বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়ে তারা প্রয়াগরাজ এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। এই পরীক্ষার আয়োজক সংস্থাও এসটিএফের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হলে এই সংস্থাকে পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব আর দেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সতীশ দ্বিবেদী।
]]>১৭১ বলে ১০৫ রানের দুরন্ত ইনিংস নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক হওয়া টেস্ট ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ারের। ১৬ তম ভারতীয় ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার, যিনি অভিষেক টেস্টে শতরান করে রেকর্ড গড়লেন। এই তালিকায় প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করার অনন্য নজিরে নাম রয়েছে লালা অমরনাথ, দীপক শোধন, কৃপাল সিং, আব্বাস আলি বেজ, হনুমন্ত সিং, গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ, সুরেন্দ্র অমরনাথ, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, প্রবীণ আমরে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা ও পৃথ্বী শাহের।

রবীন্দ্র জাডেজা ৫০ রানে আউট। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা ১ রান করে প্যাভিলিয়ন ফিরে আসে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩৮ এবং উমেশ যাদব ১০ রানে নট আউট থাকে।
প্রথম ইনিংসে ভারত শুরুতে মায়াঙ্ক অগ্রবালের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভমান গিল কার্যকরী ৫২ রানের ইনিংস খেলে দেয়। পূজারা ২৬ এবং অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ৩৫ রানে আউট হয়।
শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে রবীন্দ্র জাডেজার ১১৩ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দেয়। নিউজিল্যান্ডের হয়ে অধিনায়ক টিম সাউদি ২৭.৪ ওভারে, ৬ ওভার মেডেন দিয়ে, ৬৯ রান দিয়ে পূজারা, আইয়ার, জাডেজা, সাহা,অক্ষর প্যাটেলের মোট ৫ উইকেট শিকার করেছে প্রথম টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসে। টসে জিতে ভারত ব্যাটিং’র সিদ্ধান্ত নেয়, যা এখনও পর্যন্ত টিমের অনুকূলে রয়েছে।
]]>কিংবদন্তী ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কারের কাছ থেকে অভিষেক টেস্ট ম্যাচে ক্যাপ পেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার। ভারত নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারত ৭.৫ ওভারে মায়াঙ্ক অগ্রবালের উইকেট হারিয়ে ফেলে দিনের শুরুতেই। মায়াঙ্ক ১৩ রানে জেমিসনের বলে উইকেট কিপার টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরে আসে। ভারত মায়াঙ্কের উইকেট হারিয়ে ২১ রান তুলেছিল। শুভমান গিল ৫২ রানে আউট হন। চেতেশ্বর পূজারা ২৬, অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ৩৫ রানে আউট হয়।
নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি পেসার কাইল জেমিসন ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছে মায়াঙ্ক অগ্রবাল, শুভমান গিল এবং অজিঙ্কা রাহানের। টিম সাউদি চেতেশ্বর পূজারার উইকেট নিয়েছে।
শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে রবীন্দ্র জাডেজা প্রথম ইনিংসের তৃতীয় সেশনে ব্যাট করছে ৩৭ রানে। ৭৫.৪ ওভারে ভারত ৪ উইকেটে ২৩৫ রান তুলেছে, খেলা চলছে।
]]>ইংলিশ রোডসের জন্ম ইয়র্কশায়ারের কার্কহিটনে, ১৮৭৭ সালে। টেস্ট ক্রিকেটের জন্মও সে বছরই। বাবার নাম ছিল আলফ্রেড রোডস, কার্কহিটন ক্রিকেট দলের দ্বিতীয় একাদশের ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। সন্তান উইলফ্রেডকেও ক্রিকেটার হতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, কিনে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের সরঞ্জামও। উইলফ্রেডের বয়স যখন ১৬ বছর, তখন ক্রিকেটটাকে গুরুত্বের সাথে খেলতে শুরু করেন, কিছুদিনের মধ্যে ঢুকেও যান কার্কহিটনের দ্বিতীয় একাদশে। সেই সাথে একটা চাকরি নিতে হয় স্থানীয় রেলওয়েতে। ভালোই সামলাচ্ছিলেন দু’দিক। কিন্তু একদিন সঠিক সময়ে মাঠে পৌঁছানোর জন্য রেলের ঘণ্টা বাজাতে ভুলে যান, ফলে চাকরিটা হারাতে হয় তাঁকে।
এটাই শাপে বর হয়েছিল তাঁর। একটা খামারে কাজ নেন তিনি, ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগ দিতে সক্ষম হন। এদিকে মাঠের খেলায় ক্রমেই উন্নতি করছিলেন, যার ফলে কার্কহিটনের প্রথম একাদশে ঢুকে যান। শুরু হয় উইলফ্রেড রোডসের উত্থান।
পেশাদার ক্রিকেট জীবন শুরু হয় স্কটল্যান্ডের গালা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে। সে সময় ব্যাটিংয়ে ওপেন করতেন তিনি, ডান হাতে ব্যাট করতেন। আর বল করতেন বাঁ হাতে, মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন। প্রথম মৌসুমে নেন ৯২ উইকেট। সে সময় নিজের বলের কার্যকারিতা লক্ষ্য করে পেস বোলিং থেকে স্পিনে সরে আসেন। পরের মৌসুমে উইকেট কম পেয়েছিলেন বটে, তবে গড়ের চেহারাটা ভালো হয়েছিল আগের চেয়ে। এরপর আর গালা ক্রিকেট ক্লাবে থাকার মানে হয় না। এমসিসির একজন সদস্যের পরামর্শে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে খেলার জন্য চলে আসেন ইংল্যান্ডে।

চেষ্টা করেন ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে।খেলার। কিন্তু অর্থ সমস্যার কারণে তারা ফিরিয়ে দেয় উইলফ্রেডকে। বাধ্য হয়ে উইলফ্রেড যান ইয়র্কশায়ারের দরজায়। সে সময় ববি পিলের বদলি হিসেবে একজন বাঁহাতি স্পিনার খুঁজছিল ইয়র্কশায়ার। একটা ট্রায়াল ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে যান উইলফ্রেড। কিন্তু সেই ম্যাচে তার পারফরম্যান্স হলো জঘন্য। ফলাফল, ইয়র্কশায়ার নিতে রাজি হলো না তাকে।
উইলফ্রেডের কপাল খোলে ১৮৯৮ সালে। হেডিংলি’র নেটে বল করার জন্য ডাকা হলো তাকে, সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে গেলেন কিছু প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার। সেই বছরেরই ১২ মে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হলো তার। সুযোগ পেয়েই চমক দেখালেন, প্রথম ম্যাচেই তুলে নিলেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন, ৪৫ রানের বিনিময়ে নিলেন ১৩ উইকেট। মৌসুম শেষ করলেন ১৫৪ উইকেট নিয়ে, যে কারণে ১৮৯৯ সালে যে পাঁচজন ‘উইজডেন ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হলেন, তাদের একজনের নাম উইলফ্রেড রোডস। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
৫৮ টি টেস্টে ২৩২৫ রান (২ টি শতরান সহ) ও ১২৭ টি উইকেট তাঁর নামে আছে। সর্বোচ্চ ১৭৯ ও সেরা বোলিং ৮/৬৮। ৩২ বছরের প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারে ম্যাচে ৫৮ খানা শতরান সহ ৩৮,৯৬৯ রান করেন। সর্বোচ্চ ২৬৭ অপরাজিত। ১৯৭ খানা অর্ধশতরান ও করেন তিনি। বল হাতে প্রথম শ্রেণির খেলায় ৪২০৪ টি উইকেট পান যা এখনো প্রথম শ্রেণিতে সর্বোচ্চ। ২৮৭ বার প্রথম শ্রেণিতে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন তিনি। ম্যাচে ১০ উইকেট নেন ৬৮ বার। সেরা বোলিং ২৪ রানে ৯ উইকেট। ক্যাচ ধরেছেন ৭৬৪টা, যা সপ্তম সর্বোচ্চ। ৩০,০০০ রান আর ২,০০০ উইকেটের যে এলিট ক্লাব আছে, তার সংখ্যা মাত্র ৪ জন। একজন উইলফ্রেড রোডস, বাকি তিনজন জর্জ হার্স্ট, ফ্রাঙ্ক উলি এবং ডব্লিউ জি গ্রেস। সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও তার দখলে, খেলেছেন ১,১১০ ম্যাচ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রাঙ্ক উলি, তিনি খেলেছেন ৯৭৮ ম্যাচ। এবং রোডস হচ্ছেন ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের এক মৌসুমে ১০০০ রান করেছেন এবং ১০০ উইকেট নিয়েছেন ১৬ বার!
ভারতে কোয়াড্রাঙ্গুলার খেলেছেন, খেলেছেন মঈন-উদ্-দৌল্লাতে। ভিজির দলেও খেলেছেন। ক্রিকেটের এত গুলো রেকর্ড যাঁর পকেটে তিনি ঢাকা পড়েছেন টি২০ ক্রিকেটের আড়ালে।
]]>