theme – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 15 Nov 2021 17:43:39 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png theme – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় বাংলার মণ্ডপের থিমেও এবার ‘দুয়ারে সরকার’ https://ekolkata24.com/uncategorized/duyare-sarkar-theme-of-the-bengal-mandapa-at-the-international-trade-fair Mon, 15 Nov 2021 17:40:51 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11438 News Desk: রাজধানী দিল্লির আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় (international trade fair) দুয়ারে সরকারের উন্নয়নমুখী থিমেই সেজেছে বাংলার মণ্ডপ। রাজ্যের সমস্ত জনপ্রিয় ও উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ।

শুধু দুয়ারে সরকারই নয়, বাংলার সৌজন্যে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প উঠে এসেছে মণ্ডপসজ্জায়। রূপশ্রী, (rupashree) কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী (swasthasathi), লক্ষীর ভান্ডার-সহ বাংলার বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রকল্পকের ভাবনাকে সামনে রেখে এবারের আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় নিজেদের প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির প্রগতি ময়দানে আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্যাভিলিয়নের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপাল রেসিডেন্ট কমিশনার কৃষ্ণ গুপ্তা (krishna gupta) এবং জনসংযোগ বিভাগের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইসার আর ডি মীনা।

করোনা মহামারীতে গত বছর বন্ধ থাকার পর এবার ফের চালু হয়েছে এই আন্তর্জাতিক শিল্পমেলা। উদ্যোক্তাদের থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্যাভিলিয়নের মূল লক্ষ্য হল উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে তুলে ধরা। বিভিন্ন রেপ্লিকার মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে চিত্রিত করে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের হস্তশিল্প বৈচিত্র্যের বিপুল সম্ভারও উঠে এসেছে এই প্রদর্শনীতে।

Bengal Mandapa at the International Art Fair

বাংলার সংস্কৃতির নিদর্শন হিসেবে দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির, হাওড়া (howrah bridge) সেতু এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আদলে তিনটি প্রবেশদ্বার তৈরি করা হয়েছে। প্যাভিলিয়নের ঠিক মাঝখানে রাখা নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেটের আদলে তৈরি শিল্পকর্ম। গ্রামীণ ও শহুরে জীবনযাত্রার উন্নতি সাধন ও মেলবন্ধনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। গ্রামীণ কারুশিল্পে রাজ্যের ঐতিহ্যকে হস্তশিল্প এবং তাঁত পণ্যের মাধ্যমে এই আন্তর্জাতিক শিল্প মেলায় তুলে ধরা হয়েছে। রয়েছে মঞ্জুষা, তন্তুজ, বঙ্গশ্রী, পশ্চিমবঙ্গ খাদি (khadi) ও গ্রামীণ শিল্প বোর্ড, রাজ্য রেশম শিল্পী সমবায় মহাসংঘ এবং বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্ভারও।

শিল্পমেলার প্রথম দু’দিন বাংলার প্যাভিলিয়নে ছিল উৎসাহী মানুষের ভিড়। মমতা সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প নিয়ে দর্শকদের খোঁজ নিতে দেখা যায়। বাংলার প্যাভিলিয়নে স্থান পেয়েছে রাজ্যের কুঠিরশিল্প, তাঁতিদের হাতে তৈরি শাড়ি ও পোশাক। ঠাঁই পেয়েছে কৃষি বিপণন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, পর্যটনের (tourism) মতো দফতরও । যথারীতি জায়গা পেয়েছে বাংলার মন ভরিয়ে দেওয়া মিষ্টিও (sweet)। বাংলার হরেক কিসিমের মিষ্টি চেখে দেখতে ভিড় ছিল ভালই।

<

p style=”text-align: justify;”>উদ্যোক্তাদের পক্ষে কৃষ্ণ গুপ্তা বলেন, কোভিড পরিস্থিতির জন্য এক বছর পর আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা হচ্ছে। এই মেলার মাধ্যমে  বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের নিজস্ব শৈলীতে তৈরি পণ্য জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই ভাবনা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে।

]]>
Kali Pujo: গ্রামীন হাওড়ার বুকে ‘একটুকরো গুজরাট’ https://ekolkata24.com/uncategorized/theme-of-kali-pujo-in-howrah-is-gujarat Wed, 03 Nov 2021 09:17:17 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10140 News Desk, Kolkata: বাংলার রাজনীতি বলছে গুজরাটি সংস্কৃতি হঠাও দেশ বাঁচাও। বাংলার এক গ্রাম সেই গুজরাটি শিল্পকেই কালী আরাধনার অঙ্গ করেছে। উদয়নারায়ণপুরের বুকে ‘একটুকরো গুজরাট’। শুনতে একটু অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি! এবার কালীপুজোয় উদয়নারায়ণপুরের বুকে ‘একটুকরো গুজরাট’ ভাবনাকে তুলে ধরেছে বরুইপুর ঝটিকা বাহিনী।

পঞ্চাশোর্ধ্ব এই পুজোর এবারের ভাবনা ‘একটুকরো গুজরাট’। সেই ভাবনাকে তুলে ধরতেই গুজরাটের ঐতিহ্যবাহী লিপ্পন শিল্পকলার মধ্যে দিয়ে মন্ডপ, প্রতিমাকে সাজিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। গুজরাটের বিখ্যাত সোমনাথ মন্দিরের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে মন্ডপের প্রবেশদ্বার। মন্ডপের ভিতরে ও প্রতিমা নির্মাণ করা হচ্ছে লিপ্পন শিল্পকলার মাধ্যমে। মন্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে প্যারিসের প্লেট, জরি, কাঁচ বিভিন্ন সামগ্রী। উদ্যোক্তারা জানান, এবার তাদের বাজেট প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।

পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা শিক্ষক অনুপম মন্ডল জানান, প্রতিবারই আমরা উদয়নারায়ণপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের বুকে থিমের পুজো করে সকলকে চমক দিই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার আমাদের ভাবনা গুজরাট। মূলত গুজরাটের বিখ্যাত লিপ্পন শিল্পকলার মাধ্যমে এবার আমাদের মন্ডপ ও প্রতিমা সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

সংগঠনের আরেক কর্তা কুন্তল মাজি জানান,”চিকিৎসক অরিত্র মাজির মস্তিষ্কপ্রসূত এই ‘একটুকরো গুজরাট’এর ভাবনাকে বাস্তবায়িত করছেন শিল্পীরা।” হাতে আর মাত্র একদিন। তাই জোরকদমে শেষ মুহুর্তের মন্ডপ সজ্জার প্রস্তুতি চলছে। অন্যান্যবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলেও এবার কোভিডের কারণে তা বন্ধ রেখেছে বরুইপুরের এই পুজো কমিটি। তাদের আহ্বান, কোভিড বিধি মেনে উৎসবে সকলে সামিল হোক। শব্দদূষণ নয়, উৎসব হোক আলোকময়।

]]>
বাগনানের গ্রামে চন্ডীমন্ডপ, শতবর্ষের দোরগোড়ায় ঐতিহ্যবাহী সর্বজনীন কালীপুজো https://ekolkata24.com/offbeat-news/chandi-mandap-the-theme-of-100-year-old-kali-puja Wed, 03 Nov 2021 09:03:24 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10137 Special Correspondent, Kolkata: ‘আমাদের চণ্ডীমন্ডপ হইতে বিলাতি কারখানাঘরের প্রভূত জঞ্জাল যদি ঝাঁট দিয়া না ফেলি, তবে দুই দিক হইতেই মরিব — অর্থাৎ বিলাতি কারখানাও এখানে চলিবে না, চণ্ডীমন্ডপও বাসের অযোগ্য হইয়া উঠিবে।’ ‘আত্মশক্তি’ প্রবন্ধে উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর নগরায়ণ এবং গ্রামীণ সভ্যতার দ্বন্দ্বকে এভাবেই তুলে ধরতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুধু এই প্রবন্ধ নয় রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’, ‘রাজর্ষি’র মতো উপন্যাসে গল্পে উঠে এসেছিল চণ্ডীমন্ডপের কথা। রবীন্দ্রনাথের পরেও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ইছামতী’ উপন্যাসেও ‘গ্রামীণ জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ’ হিসেবে উঠে এসেছিল চণ্ডীমন্ডপের কথা। বাংলার ধূলিধূসরিত গ্রাম্যজীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ চন্ডীমন্ডপ। বর্তমান প্রজন্ম এই শব্দটির সাথে সেভাবে পরিচিত না হলেও বেশ কয়েক দশক আগেও গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল চন্ডীমন্ডপ।
এবার কালীপুজোয় বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসা চন্ডীমন্ডপকেই থিম হিসাবে তুলে ধরল বাগনানের বাঙালপুর বয়েজ ক্লাব। এবার তাদের পুজো ৯৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল।
শতবর্ষের দোরগোড়ায় বাঙালপুর বয়েজ ক্লাবের পক্ষ থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে চণ্ডীমন্ডপ। উদ্যোক্তারা জানান, মাটি, খড়, কাঠের মাধ্যমে মন্ডপটি নির্মাণ করা হয়েছে। আল্পনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে রং। গ্রামীণ হাওড়ার অন্যতম প্রাচীন এই সর্বজনীন কালীপুজোর রন্ধ্রে, রন্ধ্রে জড়িয়ে ইতিহাস। শোনা যায়, দেশে স্বাধীনতা আন্দোলন যখন জোরকদমে চলছে তখন হাওড়া জেলার অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী বিভূতিভূষণ ঘোষ তাঁর সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে এই পুজোয় এসে মাতৃশক্তির আরাধনা করেছিলেন। বাঙালপুর বয়েজ ক্লাবের অন্যতম কর্তা দীপঙ্কর ঘোষ জানান, বিগত প্রায় দশবছর ধরে আমরা থিমের পুজো করছি।
গতবছর থেকে করোনার জেরে বাজেট সহ আয়োজনে বেশ কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। এবার আমাদের বাজেট প্রায় দু’লক্ষ টাকা। কীভাবে এলো চন্ডী মন্ডপের ভাবনা? — দীপঙ্কর বাবুর কথায়, আমাদের গ্রামে রয়েছেন মা সিংহবাহিনী। মা’য়ের বাপেরবাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি রয়েছে। পূর্ব পুরুষদের থেকে শুনেছি মায়ের মন্ডপ ছিল চন্ডীমন্ডপ সদৃশ। সে-ই মন্ডপকেই আমরা আমাদের পুজোয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। রাত পোহালেই দীপাবলি। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাঙালপুর বয়েজ ক্লাবের সদস্যরা।

]]>
Durga Puja 2012: সোনার বাংলার প্রাণের পুজোয় থিম দেশের সোনার ছেলে https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2012-niraj-chopra-became-theme-in-durga-mandap Sun, 10 Oct 2021 03:01:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7066 বিশেষ প্রতিবেদন: তিনি ভারতের নাম বিশ্ব মঞ্চে উজ্জ্বল করেছেন। তিনি এই বছরের অলিম্পিকে ভারতের সোনার ছেলে। এবার তিনিই হয়ে উঠলেন বাংলার দুর্গাপুজো মণ্ডপের বিষয়।

সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন নীরজ। যোগ দিয়েছিলেন তাহাদের কথা নামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে।।নীরজের মুখ থেকে তাঁরই জীবনের অজানা কাহিনী শুনেছিক শহর। কি করে জ্যাভলিন থ্রো তে আসলেন তিনি? সাফল্যের পিছনে রহস্য কি ? পরিবারের অবদান কতটা? হরিয়ানার কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প? আগামী দিনের লক্ষ্য?

gidhni sporting club puja

এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন নীরজ। সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছিলেন। শুরুতে লুচি, আলুর দম, ডাল। তারপর ভাত, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ইলিশ, মটন কষা। শেষপাতে জলভরা সন্দেশ, নলেন গুড়ের আইসক্রিম, মিষ্টি দই। কিন্তু তা বলে তিনি যে বাংলার পুজোর থিম হয়ে উঠবেন তা ভাবা যায়নি। এমনটাই করেছে গিধনি স্পোর্টিং ক্লাব। তাঁদের থিম, টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী নীরজ চোপড়া।

gidhni sporting club puja

মণ্ডপের সামনেই জ্যাভলিন ছোঁড়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। পিছনে মূল মণ্ডপ। সেটি পুরোটাই এবারে ভারতের অলিম্পিক কীর্তি নিয়ে। ছেলে ও মেয়েদের হকি থেকে শুরু করে বক্সিং, ভরোত্তলনের মডেল তৈরি করা হয়েছে। উপরে অলিম্পিকের লোগো। মণ্ডপের ভিতরে ভারতের খেলার দুনিয়ায় পুরনো কীর্তি, তালিকায় কপিল দেবের বিশ্বজয় থেকে শুরু করে অলিম্পিকে ভারতের সোনা জয়ের ছবি।

বিভিন্ন আর্ট ফর্ম নিয়ে কাজ হয় দুর্গাপুজোয় কিন্তু স্পোর্টস নিয়ে কাজ প্রায় হয় না বললেই চলে। সেদিক থেকে এই মণ্ডপ অন্য বার্তা দিয়েছে তা বলা যেতেই পারে।

]]>
Durga Puja 2012: মণ্ডপে মানুষ দেখবে করোনা বধের গল্প https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2012pujo-pandel-theme-of-the-young-boys-club-is-the-destruction-of-the-corona-virus Sun, 10 Oct 2021 02:25:23 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7053 বিশেষ প্রতিবেদন: দুর্গাপূজা উৎসবের সময় থিম-ভিত্তিক প্যান্ডেলের জন্য বাংলা বিখ্যাত। ইয়ং বয়েজ ক্লাবের সদস্যরা বরাবরের মতোই প্রাসঙ্গিক সামাজিক বিষয়গুলি থিম হিসাবে ব্যাবহার করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। এই বছর তাদের থিমের নাম – “দুর্গা – করোনার ধ্বংসকারী”।

প্রতিবছর দুর্গাপূজায় সৃজনশীলতা এবং শিল্পের দিক থেকে সেরাটি বের করে আনে পশ্চিমবঙ্গের পূজা প্যান্ডেলগুলি। ইয়ং বয়েজ ক্লাব, যারা এই বছর ৫২ বছর পূর্ণ করছে, বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কিত একটি থিম নিয়ে এসেছে। এই পূজা মধ্য কলকাতার তারা চাঁদ দত্ত স্ট্রিটের কাছে অবস্থিত যা সেন্ট্রাল এভিনিউকে রবীন্দ্র সরণির সাথে সংযুক্ত করে এবং বাসিন্দাদের কাছে এটি একটি বড় আকর্ষণ।

Pandel theme of the Young Boys Club

এই প্রসঙ্গে পুজোর প্রধান আয়োজক রাকেশ সিং বলেন, “মহামারীর সময় প্রত্যেকেই দেবী দুর্গা করোনা রাক্ষসকে নির্মূল করবে এমন প্রত্যাশা করছে এবং তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা ভেবেছি মা দুর্গা আমাদের ত্রাণকর্তা হতে পারেন এবং আমরা প্রার্থনা করছি যে তিনি করোনাভাইরাসকে চিরতরে ধ্বংস করুন। কোভিডের কারণে আমরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। ভাইরাস এখনও আছে। কোভিড যোদ্ধারা তাদের জীবনের ভয় না করে আমাদের বাঁচিয়েছে।

অতএব, এই বছর আমরা এই থিম তাদের উৎসর্গ করছি। এই থিমটি কোভিড যোদ্ধাদেরও স্যালুট জানায়, যার মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, পুলিশ, মেডিকেল স্টাফ, ক্লিনিং স্টাফ, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টর প্রত্যেকে। প্রত্যেক ব্যক্তির মতো আমরাও প্রার্থনা করি যে মা দুর্গা মারাত্মক ভাইরাস নির্মূল করবেন এবং আশা করি এই মূর্তিটি রাজ্য জুড়ে স্বীকৃতি পাবে।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, “মহামারী আমাদের জীবনকে স্বীকৃতির বাইরে বদলে দিয়েছে। করোনা হল সেই রাক্ষস যার সঙ্গে সবাই যুদ্ধ করছে, এবং আমরা সবাই একে পরাস্ত করার শক্তি খুঁজছি। এইভাবে, আমরা করোনার দানব থেকে আমাদের সবাইকে রক্ষা করার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করার জন্য এই থিম নিয়ে কাজ করছি।”

]]>
Durga Puja: দুর্গা মণ্ডপের শঙ্খধ্বনিতে করোনা জয়ের ভাবনা https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-theme-of-this-years-pujo-at-kolkata-jagat-mukherjee-park Fri, 01 Oct 2021 14:11:49 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6246 বিশেষ প্রতিবেদন: ‘দারুণ বিপ্লব-মাঝে তব শঙ্খধ্বনি বাজে
সঙ্কটদুঃখত্রাতা। জনগণপথপরিচায়ক জয় হে ‘। কবি শঙ্খ ঘোষকে অনেকটা এমনভাবেই দেখতে চাইছে জগৎ মুখার্জি পার্ক। কারণ তাঁদের এবারের পুজোয় পাথেয় সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি কবিই।

শঙ্খ ঘোষের কবিতার লাইনই এবার জগত্‍ মুখার্জি পার্কের দুর্গা পুজোর থিম। তেমন ভাবেই সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। উদ্যোক্তাদের দাবি, করোনা বিধি মেনে এমনভাবে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ, যাতে বাইরে থেকেই দর্শকরা প্রতিমা দর্শনের সুযোগ পান। কীভাবে শঙ্খ ঘোষকে থিমের অঙ্গ করেছ এই ক্লাব?

“আয় আরো হাতে হাত রেখে আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি।” কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার এই লাইনই কোভিডের বিপন্ন সময়ে কলকাতার জগত্‍ মুখার্জি পার্কের এবারের দুর্গাপুজোর থিম। শঙ্খ ঘোষ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন চলতি বছরের ২১ এপ্রিল। ক্লাব কর্তা দ্বৈপায়ন রায় জানিয়েছেন, ” কবিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই আমাদের এই বিষয় ভাবনা। পাশাপাশি অসহায় মানুষের আরও হাতে হাত রেখে বেঁধে বেঁধে থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি এবারের দুর্গোৎসবের মণ্ডপে।’

Kolkata Jagat Mukherjee Park

জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজোর কলকাতা জুড়ে এক বিশাল সুনাম রয়েছে। সময় যত গড়িয়েছে ততই এখানকার থিমের চিন্তাভাবনা উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে। এবারের বিষয় ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতে জোরকদমে চলছে মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কারণ পুজো আসতে যে আর মাত্র দশটা দিন বাকি।

জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজোর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি হলেন সোনাই সরকার বলেন, “আমরা এই থিমটাকে বেছে নিয়েছি কারণ সম্প্রতি বাংলা সাহিত্যের তারকা কবি শঙ্খ ঘোষ মারা গিয়েছেন। তিনি এই কবিতা যখন লিখেছেন তখন হয়তো সময় করোনার প্রকোপ ছিল না , সেটাকে নিয়ে ভেবে তিনি তাই লেখেননি কিন্তু আজকে পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে কোভিডের জন্য সবসময় এক মানুষ অপর মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে। আজকে যখন কোভিডের জন্য আমাদের কাছের অনেক মানুষ চলে যাচ্ছেন তখন আমাদের এটাই উপলব্ধি হচ্ছে যে এই প্যান্ডেমিক পরিস্থিতিতে যদি এক মানুষ অপর মানুষের পাশে একত্রিত হয়ে শারীরিক, আর্থিক কিংবা মানসিক ভাবে না দাঁড়ায় তাহলে এই প্যান্ডেমিক থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে উঠবে৷ তাই এ বছর আমরা থিমের বিষয় হিসেবে শঙ্খ ঘোষের কবিতা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’কেই বেছে নিয়েছি।”

]]>
১০৪তম বছরে পূজো বান্ধবদেরই থিমের অঙ্গ করছে এই ক্লাব https://ekolkata24.com/offbeat-news/the-theme-of-this-years-puja-hal-chhero-na-bandhu Thu, 16 Sep 2021 11:28:02 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4758 বিশেষ প্রতিবেদন: এরাই একটা পুজোকে ১০৪ বছর ধরে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এখনকার পুজোয় পুরস্কারের দৌড়ে ওদের কথা বিশেষ মনে থাকে না পুজো উদ্যোক্তাদের। তাদেরকেই সম্মান দিয়ে থিমের অঙ্গ করে তুলছে সরকার বাগান।

বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে চলা করোনা মহামারীর এই কঠিন পরিস্থিতিতে ১০৪তম বর্ষে তাঁদের নিবেদন ” হাল ছেড়ো না বন্ধু” । বছরে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এক অভিনব পন্থা নিয়েছে এই পূজো কমিটি। যার বিষয়ের নাম “হাল ছেড়ো না বন্ধু”! কিন্তু কারা এই বন্ধু? কাদের হাল ছাড়তে বারণ করা হয়েছে? সরকার বাগানের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, বন্ধু তারাই যারা বছরের পর বছর ধরে নানাভাবে সরকার বাগান সম্মিলিত সংঘের দুর্গাপূজা আয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, যাদের বহু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে আমাদের পুজোর সাফল্যমন্ডিত হওয়ার পিছনে। মন্ডপ থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা ও প্রতিমা গড়ার পেছনে বিগত বছরগুলোতে যারা আমাদের পুজো উদযাপন করতে সহায়তা করেছেন, পাশে থেকে পুজোকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন, এই বছর সরকার বাগান সম্মিলিত সংঘ তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

বিগত বছরগুলোতে মণ্ডপ সজ্জা, আলোকসজ্জা , এবং আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন কাজে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের প্রত্যেকের থেকে কিছু কিছু জিনিস নিয়েই সেজে উঠবে তাদের ১০৪তম বর্ষের মণ্ডপ। এই মণ্ডপে যেমন থাকবে পুরুলিয়ার ছৌ নাচ, তেমন থাকবে বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির কাজ। এই করোনা পরিস্থিতিতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নানারকম হাতের কাজের জিনিসও এবারের মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহৃত হবে।

সমগ্র মন্ডপ পরিকল্পনায় থাকছেন অমিত ও অরিন্দম। মাতৃ রূপ সম্পূর্ণ সাবেকি। মাতৃ প্রতিমায় রূপদান করবেন সনাতন পাল। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘ স্বল্প বাজেটের মধ্যে পুজো করা ও কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোই সরকার বাগান সম্মিলিত সংঘের প্রধান লক্ষ্য। আমরা আমাদের এবারের এই মানবদরদি প্রচেষ্টা শিল্পের সাথে যুক্ত বেশ কিছু মানুষের বেশ কিছু মানুষের আর্থিক সংস্থানে কাজে আসবে বলেই আমাদের বিশ্বাস’।

]]>