Tibetan guerrillas – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 02 Dec 2021 12:45:10 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Tibetan guerrillas – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bangladesh 50: ভয়ঙ্কর লালডেঙ্গার মিজো বিদ্রোহীদের টুকরো করেছিল ‘তিব্বতি ভূত’ বাহিনী https://ekolkata24.com/offbeat-news/bangladesh-50-phantom-of-the-hills-mysterious-tibetan-guerrillass-in-bangladesh-liberation-war Thu, 02 Dec 2021 11:59:13 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13209 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধে একদল ‘তিব্বতি ভূতের হামলা’ হয়েছিল! সেই হামলায় কচুকাটা হয়েছিল পাকিস্তানি সেনা আর তাদের দোসর মিজোরাম থেকে আসা বিদ্রোহীরা। সবমিলে সে এক অদ্ভুতূড়ে কান্ড। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে এই তিব্বতি ভূত কারা ?

ভয়ঙ্কর এই কাহিনী। আর মারাত্নক এক বাহিনী। এই যুদ্ধে মিশে আছে প্রায় অশ্রুত এমন এক গোষ্ঠীর কথা যারা স্বপ্ন দেখত কখনও নিজের দেশ তিব্বত পুনরায় চিন শাসনের কব্জা থেকে মুক্ত করবে। সেই লক্ষ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া তিব্বতিদের হিংস্র হামলার স্বাক্ষী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।

ভারত সরকার বিরোধী উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম উপজাতি নেতা লালডেঙ্গা। তার নেতৃত্বে সশস্ত্র আন্দোলন চালানো মিজো বিদ্রোহীদের সাহায্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। তখনও মিজোরাম তৈরি হয়নি। ভারত বিরোধী অবস্থান নিতে সীমান্ত পেরিয়ে মিজো বিদ্রোহীরা সরাসরি মুক্তিবাহিনীর উপর হামলা চালায়। উপজাতি মিজোদের ভয়ঙ্কর হামলা রুখতে মরণপণ লড়াই চালায় স্থানীয় বাংলাদেশি সেক্টর কমান্ডাররা।

Tibetan guerrillas

এই লড়াইয়ের ময়দানে একদিন আচমকা হাজির আরও অদ্ভুত কয়েকজন। তাদের মুখ, চোখ, কথা, ব্যবহার তীব্র জিঘাংসাময়। চেহারায় মিজো বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিস্তর মিল, তবে তাদের দেখলেই ছুরি নিয়ে লাফিয়ে পড়ে। কচুকাটা হয় মিজো উপজাতি নেতা লালডেঙ্গার দলবল। স্টেনগান নিয়ে তারা পাক সেনার উপর হামলা করে হাওয়ার মতো পাহাড়ি বাঁকে মিলিয়ে যায়।

এরা কারা? মুখে মুখে রটে যায় এরা ভুত। তিব্বতি ভূতেরা হামলা করছে। তারা এসেছে বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতে।

মুচকি হাসতেন ভারতীয় সেনার মেজর জেনারেল সুজন সিং ওখান। তিনি গেরিলা যুদ্ধের পারদর্শী এক সেনানায়ক। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে তিব্বতি ভূত বাহিনীর প্রধান।

চট্টগ্রামের বিস্তির্ণ পাহাড়ি এলাকা সামলানো কঠিন। এটা বুঝে পাকিস্তান সেনার তরফে স্থানীয় চাকমা জনগোষ্ঠীর রাজা ত্রিদিব রায়ের সাহায্য চাওয়া হয়। তিনি পাকিস্তানের পক্ষ নেন। চাকমা রাজার পরামর্শেই পাক সামরিক অফিসাররা যোগাযোগ করে মিজো বিদ্রোহী নেতা লালডেঙ্গার সঙ্গে। সাগ্রহে লালডেঙ্গা রাজি হয়। তার ও চাকমা রাজার বাহিনী মিলে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হামলা।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষকরা বলছেন,মিজো উপজাতি নেতা লালডেঙ্গার সঙ্গে কথাবার্তা পাকা করেন পাকিস্তানি সেনার ব্রিগেডিয়ার জহিরুল আলম খান। ৬০০ জন মিজো বিদ্রোহীর জন্য প্রতিদিন এক পাউন্ড করে চাল দাবি করে লালডেঙ্গা। এছাড়া তিন হাজার মিজোর জন্য প্রতিদিন একটন করে চাল চায়। রাজি হয় পাকিস্তান।

লালডেঙ্গা খতরনাক। সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলে তার বিস্তর ক্ষমতা। ভারত সরকার হয় উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি বুঝে তিব্বত থেকে নির্বাসিতদের নিয়ে তৈরি করা বিশেষ বাহিনীকে নামানো হয়। শুরু হয় তিব্বতি ভূতুড়ে দলের ভয়াবহ হামলা। মিজো-তিব্বতি সেই লড়াই ছিল যেমন আক্রমনাত্মক তেমনই কৌতুহলের।

এই তিব্বতি বাহিনীর হামলার নাম “অপারেশন মাউন্টেন ঈগল” তিব্বতি এই ভূতুড়ে বাহিনীর পোশাকি নাম ‘স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স'(SSF) ; ১৯৬২ সালে ভারত-চিন সংঘর্ষের সময় তিব্বত থেকে চলে আসা ধর্মগুরু চতুর্দশ দলাই লামার অনুগত তরুন তিব্বতিদের নিয়ে SSF তৈরি করেছিল ভারত সরকার।

১৯৭১ সালে অক্টোবর মাসে স্পেশাল ফ্রণ্টিয়ার ফোর্সের তিন হাজার যোদ্ধাকে ভারতীয় বিমান বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের কাছে নামিয়ে দেয়। সীমান্তের অপর পাশে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অংশে গেরিলা অপারেশন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্বে যখন পাকিস্তান ক্রমে কোনঠাসা। পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্ত। বিজয়ী মুক্তিবাহিনীর মাঝে আচমকা দেখা গেছিল তাদের। গুলি ছুঁড়ে তারাও আনন্দ প্রকাশ করে। তারপর হঠাৎ মিলিয়ে যায়। কে এরা ? এরাই সেই তিব্বতি যোদ্ধা। যাদের হামলায় লালডেঙ্গার মতো ভয়ঙ্কর উপজাতি নেতা পিছু হটেছিল। আর চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় তো রাজত্ব ছেড়ে পাকিস্তানেই চলে গেছিলেন চিরতরে।

]]>